ফিচার ডেস্ক

চীনের বেইজিং শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ‘নিষিদ্ধ শহর’ বা ফরবিডেন সিটি চীনের ইতিহাস ও স্থাপত্যের এক অমূল্য সম্পদ। ১৬৪৪ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত মিং ও কিং রাজবংশের সম্রাটদের আবাসস্থল হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
নিষিদ্ধ শহরটি প্রায় ১৭৮ একর বিস্তৃত। এটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১ হাজার ভবন, যা মূলত কাঠের বিম, জটিল খোদাই ও হলুদ-চকচকে টাইলস দিয়ে নির্মিত। ভবনগুলোর নকশা শুধু দর্শনীয়ই নয়, এটি প্রাচীন চীনা নীতি ও ফেং শুইয়ের প্রভাবও বহন করে।
ইতিহাসের সাক্ষ্য
মিং রাজবংশের ইয়ংলি সম্রাট ১৪০৬ সালে শহরের নির্মাণকাজ শুরু করেন। প্রায় ১৪ বছর ধরে নির্মাণকাজ চলার পর শহরটি ব্যবহারের উপযোগী হয়। পরবর্তী পাঁচ শতক ধরে এটি চীনের সম্রাটদের ক্ষমতার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই সময়ে ২৪ জন সম্রাট এখানে বসবাস করেছেন।

নিষিদ্ধ শহরের স্থাপত্য ও নির্মাণসম্পর্কিত অনেক বিষয় এখনো রহস্যময়। কাঠের এই ভবনগুলো গত পাঁচ শ বছরে চীনের ছোট-বড় সব ভূমিকম্প সহ্য করেছে। শহরের ‘হল অব সুপ্রিম হারমনি’র আঙিনায় গাছ নেই, কেন তা আজও অজানা। এ ছাড়া ভবনের মাপের নিখুঁত অনুপাত ও নকশাকারদের পরিচয় নিয়েও অনেক ধাঁধা রয়েছে। পূর্বের ধারণা অনুসারে, মিং রাজবংশের খ্যাতনামা শিল্পী কুয়াই জিয়ঙ শহরের নকশাকার ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে প্রকৃত নকশাকার ছিলেন কাই জিন নামের অন্য একজন।
বহু গবেষক মনে করেন, ভবনের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৬ অনুপাত ১১ রাখা হয়েছে। এমনকি আঙিনার মাপও একই অনুপাতে। এই নিখুঁত জ্যামিতিক ব্যবস্থা প্রাচীন চীনা গুপ্তজ্ঞান বা প্রতীকের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
প্রতীকের ব্যবহার
শহরের ছাদ, দেয়াল ও অন্যান্য স্থানে ড্রাগন, ফিনিক্স এবং অন্যান্য পৌরাণিক প্রাণীর ভাস্কর্য বা চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাচীন চীনে এসব প্রতীকের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এগুলো শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, অনেক ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা, শক্তি ও সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হতো। এই প্রতীকগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাটের ক্ষমতা, প্রাসাদের নিরাপত্তা ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্য। তাই এই ভাস্কর্য বা চিত্রগুলো শুধু নান্দনিকতার জন্য নয়, বরং প্রতীকের মধ্য দিয়ে সম্রাট ও প্রাসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক সামাজিক ও ধর্মীয় ধারণা প্রকাশ পেত।
আধুনিক পর্যটনকেন্দ্র
১৯১২ সালে চীনের রাজবংশ পতনের পর ১৯২৫ সালে নিষিদ্ধ শহরকে জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আজ এখানে দর্শনার্থীরা সম্রাটদের জীবনধারা, প্রাসাদের স্থাপত্যশৈলী, পেইন্টিং, ক্যালিগ্রাফি, সিরামিকস, ব্রোঞ্জ মূর্তিসহ নানান শিল্পকর্ম উপভোগ করতে পারেন। সম্রাটদের ব্যক্তিগত সংগ্রহও সংরক্ষিত আছে সেখানে। এটি চীনের বড় জাদুঘরগুলোর একটি।

শহরের আলো, সোনালি ছাদ এবং জটিল নকশা পর্যটকদের অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। চীনা শিল্প, সংস্কৃতি ও ইতিহাসে আগ্রহী যে কেউ এখান থেকে সমৃদ্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
অতীত ও প্রাচীন শিকড়
গত বছর চীনা প্রত্নতাত্ত্বিকেরা শহরের কেন্দ্রস্থলে খনন কাজ চালিয়েছিলেন। সে খনন থেকে কিছু নতুন তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। সে তথ্য জানাচ্ছে, বর্তমান নিষিদ্ধ শহর ১৩ শতকের কুবলাই খানের রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেষের ওপর গড়ে উঠেছে। এটি প্রমাণ করে যে শহরের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। এটি বহু যুগ ধরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে।
নিষিদ্ধ শহর বলা হয় কেন
এই শহরে সম্রাট স্বয়ং বসবাস করতেন। ফলে অন্যান্য জায়গার চেয়ে এখানে তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিল সরাসরি। এখানে তাঁর কথাই ছিল আইন। সাধারণ প্রজা বা রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যের জন্যও শহরটিতে প্রবেশের অধিকার ও চলাচল ছিল সীমিত। শুধু সম্রাটই যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে যেতে পারতেন। এ কারণে এটিকে ‘নিষিদ্ধ শহর’ বলা হয়।

চীনের নিষিদ্ধ শহর কেবল ইতিহাসের সাক্ষ্য নয়, এটি স্থাপত্য, শিল্প এবং রাজকীয় জীবনধারার এক প্রতীক। সম্রাটদের ক্ষমতা, রহস্যময় স্থাপত্য, জটিল নকশা এবং সাংস্কৃতিক প্রতীকের মাধ্যমে শহরটি দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
চীনের ইতিহাস, স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এই শহর আজ বিশ্বের পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। বেইজিংয়ের কেন্দ্রে অবস্থিত এই নগরীর সৌন্দর্য ও রহস্য পর্যটকেরা একবার দেখে চিরকাল মুগ্ধ থাকবেন।
সূত্র: সিএনএন

চীনের বেইজিং শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ‘নিষিদ্ধ শহর’ বা ফরবিডেন সিটি চীনের ইতিহাস ও স্থাপত্যের এক অমূল্য সম্পদ। ১৬৪৪ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত মিং ও কিং রাজবংশের সম্রাটদের আবাসস্থল হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
নিষিদ্ধ শহরটি প্রায় ১৭৮ একর বিস্তৃত। এটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১ হাজার ভবন, যা মূলত কাঠের বিম, জটিল খোদাই ও হলুদ-চকচকে টাইলস দিয়ে নির্মিত। ভবনগুলোর নকশা শুধু দর্শনীয়ই নয়, এটি প্রাচীন চীনা নীতি ও ফেং শুইয়ের প্রভাবও বহন করে।
ইতিহাসের সাক্ষ্য
মিং রাজবংশের ইয়ংলি সম্রাট ১৪০৬ সালে শহরের নির্মাণকাজ শুরু করেন। প্রায় ১৪ বছর ধরে নির্মাণকাজ চলার পর শহরটি ব্যবহারের উপযোগী হয়। পরবর্তী পাঁচ শতক ধরে এটি চীনের সম্রাটদের ক্ষমতার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই সময়ে ২৪ জন সম্রাট এখানে বসবাস করেছেন।

নিষিদ্ধ শহরের স্থাপত্য ও নির্মাণসম্পর্কিত অনেক বিষয় এখনো রহস্যময়। কাঠের এই ভবনগুলো গত পাঁচ শ বছরে চীনের ছোট-বড় সব ভূমিকম্প সহ্য করেছে। শহরের ‘হল অব সুপ্রিম হারমনি’র আঙিনায় গাছ নেই, কেন তা আজও অজানা। এ ছাড়া ভবনের মাপের নিখুঁত অনুপাত ও নকশাকারদের পরিচয় নিয়েও অনেক ধাঁধা রয়েছে। পূর্বের ধারণা অনুসারে, মিং রাজবংশের খ্যাতনামা শিল্পী কুয়াই জিয়ঙ শহরের নকশাকার ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে প্রকৃত নকশাকার ছিলেন কাই জিন নামের অন্য একজন।
বহু গবেষক মনে করেন, ভবনের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৬ অনুপাত ১১ রাখা হয়েছে। এমনকি আঙিনার মাপও একই অনুপাতে। এই নিখুঁত জ্যামিতিক ব্যবস্থা প্রাচীন চীনা গুপ্তজ্ঞান বা প্রতীকের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
প্রতীকের ব্যবহার
শহরের ছাদ, দেয়াল ও অন্যান্য স্থানে ড্রাগন, ফিনিক্স এবং অন্যান্য পৌরাণিক প্রাণীর ভাস্কর্য বা চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাচীন চীনে এসব প্রতীকের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এগুলো শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, অনেক ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা, শক্তি ও সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হতো। এই প্রতীকগুলোর মধ্যে রয়েছে সম্রাটের ক্ষমতা, প্রাসাদের নিরাপত্তা ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্য। তাই এই ভাস্কর্য বা চিত্রগুলো শুধু নান্দনিকতার জন্য নয়, বরং প্রতীকের মধ্য দিয়ে সম্রাট ও প্রাসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক সামাজিক ও ধর্মীয় ধারণা প্রকাশ পেত।
আধুনিক পর্যটনকেন্দ্র
১৯১২ সালে চীনের রাজবংশ পতনের পর ১৯২৫ সালে নিষিদ্ধ শহরকে জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আজ এখানে দর্শনার্থীরা সম্রাটদের জীবনধারা, প্রাসাদের স্থাপত্যশৈলী, পেইন্টিং, ক্যালিগ্রাফি, সিরামিকস, ব্রোঞ্জ মূর্তিসহ নানান শিল্পকর্ম উপভোগ করতে পারেন। সম্রাটদের ব্যক্তিগত সংগ্রহও সংরক্ষিত আছে সেখানে। এটি চীনের বড় জাদুঘরগুলোর একটি।

শহরের আলো, সোনালি ছাদ এবং জটিল নকশা পর্যটকদের অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। চীনা শিল্প, সংস্কৃতি ও ইতিহাসে আগ্রহী যে কেউ এখান থেকে সমৃদ্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
অতীত ও প্রাচীন শিকড়
গত বছর চীনা প্রত্নতাত্ত্বিকেরা শহরের কেন্দ্রস্থলে খনন কাজ চালিয়েছিলেন। সে খনন থেকে কিছু নতুন তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। সে তথ্য জানাচ্ছে, বর্তমান নিষিদ্ধ শহর ১৩ শতকের কুবলাই খানের রাজপ্রাসাদের ধ্বংসাবশেষের ওপর গড়ে উঠেছে। এটি প্রমাণ করে যে শহরের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। এটি বহু যুগ ধরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে।
নিষিদ্ধ শহর বলা হয় কেন
এই শহরে সম্রাট স্বয়ং বসবাস করতেন। ফলে অন্যান্য জায়গার চেয়ে এখানে তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিল সরাসরি। এখানে তাঁর কথাই ছিল আইন। সাধারণ প্রজা বা রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যের জন্যও শহরটিতে প্রবেশের অধিকার ও চলাচল ছিল সীমিত। শুধু সম্রাটই যেকোনো সময়, যেকোনো স্থানে যেতে পারতেন। এ কারণে এটিকে ‘নিষিদ্ধ শহর’ বলা হয়।

চীনের নিষিদ্ধ শহর কেবল ইতিহাসের সাক্ষ্য নয়, এটি স্থাপত্য, শিল্প এবং রাজকীয় জীবনধারার এক প্রতীক। সম্রাটদের ক্ষমতা, রহস্যময় স্থাপত্য, জটিল নকশা এবং সাংস্কৃতিক প্রতীকের মাধ্যমে শহরটি দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
চীনের ইতিহাস, স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এই শহর আজ বিশ্বের পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। বেইজিংয়ের কেন্দ্রে অবস্থিত এই নগরীর সৌন্দর্য ও রহস্য পর্যটকেরা একবার দেখে চিরকাল মুগ্ধ থাকবেন।
সূত্র: সিএনএন

আপনার আজকের এনার্জি লেভেল দেখলে এনার্জি ড্রিংক কোম্পানিগুলোও ঘাবড়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, এই বিপুল শক্তি কোথায় লাগাবেন, সেটা ঠিক করতে গিয়েই দিনের অর্ধেকটা পার হয়ে যাবে। সকালে হয়তো ভাবলেন, ঘর পরিষ্কার করবেন, দুপুরে মনে হলো ম্যারাথনের ট্রেনিং নেবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুম অনেকের জন্য একধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই শিরশিরে ঠান্ডা লাগা, বাইরে বের হতে গরম পোশাকে নিজেকে আটকে রাখার প্রবণতা, এমনকি দিনের শুরুতেই শরীরের শক্তি কমে যাওয়ার অনুভূতি। এসব মিলিয়ে শীতকালকে অস্বস্তিকর করে তোলে। যদিও গরম জামা-কাপড়ের মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়
১৪ ঘণ্টা আগে
অফিসে প্রতিদিনের কাজের চাপ, সময়ের মধ্যে কাজের লক্ষ্য পূরণ এবং অফিসের দীর্ঘদিনের একই রুটিন অনেককে এক জায়গায় বসে কাজ করতে বাধ্য করে। এমন পরিস্থিতিতে কর্মীরা প্রায়ই ডেস্কে বসে খাবার খেয়ে থাকেন, মাঝেমধ্যে সামান্য হাঁটাচলা করেন। অফিসে আসার জন্য প্রতিদিন যে সুস্থ রুটিন; যেমন হাঁটা, শরীরচর্চা বা পর্যাপ্ত
১৯ ঘণ্টা আগে
সামনেই বিয়ের মৌসুম। বছরের এই সময়ে অনেকের বাগ্দান হয়ে যায়। আজকাল বাগ্দান কোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠান নয়; বিয়ের মতো বাগ্দানও ঘটা করে অনুষ্ঠিত হয়। জমকালো শাড়ি বা লেহেঙ্গার সঙ্গে সোনা-রুপার জড়োয়া গয়না পরতে ভালোবাসেন নারীরা। বিয়ের মতো বাগ্দানেও অনেকে এখন দুই হাত ভরে মেহেদি লাগান।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার আজকের এনার্জি লেভেল দেখলে এনার্জি ড্রিংক কোম্পানিগুলোও ঘাবড়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, এই বিপুল শক্তি কোথায় লাগাবেন, সেটা ঠিক করতে গিয়েই দিনের অর্ধেকটা পার হয়ে যাবে। সকালে হয়তো ভাবলেন, ঘর পরিষ্কার করবেন, দুপুরে মনে হলো ম্যারাথনের ট্রেনিং নেবেন, আর সন্ধ্যায় গিয়ে হয়তো ভুল করে পোষা তেলাপোকার সঙ্গে তর্ক শুরু করে দেবেন। মাথা ঠান্ডা রাখুন, নয়তো সামান্য চাটনি কম হওয়ার কারণেও রেগে গিয়ে গোটা রেস্তোরাঁ কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অতি-উদ্যম আজ আপনাকে এমন জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে, যেখানে পৌঁছানোর কথা আপনার ছিল না।
বৃষ
বৃষ রাশি, আজ আপনার কপালজুড়ে চরম আলস্যের ছাপ। আজ যদি আপনাকে কোনো অলিম্পিকে অংশ নিতে বলা হয়, তবে সেটা হবে ‘কে কতক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকতে পারে’ সেই প্রতিযোগিতা। মন আজ দামি খাবার আর আরামদায়ক সোফায় ডুবে থাকতে চাইবে। আর্থিক দিক থেকে একটু সাবধানে থাকুন—আজকের দিনে ‘একটা অতিরিক্ত পিৎজা’ কিনতে গিয়ে পুরো মাসের বাজেট উল্টে যেতে পারে। কেউ যদি এসে প্রিয় কম্বলটি কেড়ে নিতে চায়, তবে ছোটখাটো একটি গৃহযুদ্ধ লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মিথুন
আজকের দিনটা হবে একটি চলমান কফি আড্ডা! মস্তিষ্ক এখন এমন দ্রুতগতিতে চলছে যে মুখ হয়তো সেই গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারবে না। ফলস্বরূপ একবারে ১০ জনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করতে গিয়ে ৫ জনের গোপন কথা ফাঁস করে দিতে পারেন। মন আজ একাধারে চাইবে কাজ করতে, সিনেমা দেখতে, প্রেম করতে, আবার একই সঙ্গে হিমালয়ে সন্ন্যাসী হতে। আজ যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, ‘কেমন আছেন?’ ভুলেও বিশদ উত্তর দিতে যাবেন না। কারণ, বিশদ উত্তর দিতে গিয়ে আপনার জীবনকাহিনি একটি উপন্যাস ছাড়িয়ে মহাকাব্যে রূপ নিতে পারে।
কর্কট
আজ ইমোশন মিটার একদম ‘ফুল’ সিগন্যালে আছে। আকাশের মেঘ দেখলেও মনে দুঃখের সানাই বাজতে পারে, আর কেউ যদি জিজ্ঞেস করে ‘পানি খাবেন?’ তাতেই আবেগে চোখ ছলছল করে উঠবে। এই অতিরিক্ত সংবেদনশীলতার কারণে আজ সহকর্মীরাও আপনার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবে। পকেটে টিস্যু পেপার ও একটি ‘দুঃখ বিলাস’ অ্যালার্ম সেট করে রাখুন। মনে রাখবেন, পুড়ে যাওয়া টোস্টের জন্য হাউমাউ করে কাঁদার কোনো প্রয়োজন নেই, তাতে টোস্টটা আবার আস্ত হয়ে উঠবে না।
সিংহ
সিংহ মশাই, আজ নিজেকে একটি চলন্ত স্পটলাইট ভাববেন। মনে হবে, এই পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আপনাকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে, আর বাকি সবাই আপনার জন্য হাততালি দিতে বাধ্য। বস যদি আজ মিটিংয়ে আপনার প্রশংসা না করেন, তবে ধরে নেবেন—এটি একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আজ সকালে উঠে আয়নায় নিজের সঙ্গে কিছুক্ষণ সদ্ভাব বজায় রাখুন। অন্যথায় সামান্য অহংকার আজ এমন পর্যায়ে যেতে পারে যে রাস্তায় চলমান একটা পিঁপড়াও আপনার ব্যক্তিত্বের সামনে নতজানু হোক, এমনটি আপনি চাইবেন।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বাতিক’ জেগে উঠেছে। চারপাশে সামান্য ধুলো বা অসংগতি দেখলেই মেজাজ সপ্তমে উঠবে। আজ মনে মনে অন্যদের অপরিষ্কার টেবিল বা বাঁকা করে রাখা জুতা দেখে বিচার করতে থাকবেন। প্রেমিকের শার্টে যদি একটা দাগও দেখেন, তবে সেই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলে বসতে পারেন। আজকের দিনে জীবনসঙ্গীর আলমারি ঘাঁটাঘাঁটি করা থেকে বিরত থাকুন। নইলে তার এককোণে লুকিয়ে রাখা ছোটখাটো বিশৃঙ্খলা দেখলে আপনার নার্ভাস ব্রেকডাউন হতে পারে।
তুলা
তুলা রাশি, আপনার জীবনে আজ ভারসাম্যের চরম অভাব। সকালের নাশতায় ডিম-টোস্ট না বাটার-পাউরুটি, নাকি রুটি-সবজি খাবেন—এই সিদ্ধান্ত নিতেই দুই ঘণ্টা চলে যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত আজ ভুলেও নিতে যাবেন না। কারণ, মন সারা দিন ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’-এর মাঝে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকবে। আজকের প্রিয় শব্দবন্ধ: ‘হুম...ঠিক নিশ্চিত নই।’ কাউকে আপনার পক্ষ থেকে কিছু অর্ডার করতে দিন। নইলে মেনুকার্ড দেখতে দেখতেই রেস্তোরাঁ বন্ধের সময় হয়ে যাবে।
বৃশ্চিক
আজ রহস্যময়তার চাদরে মুড়ে থাকবেন। মনে হবে, সবাই আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সহকর্মী ‘শুভ সকাল’ বললে তার পেছনে লুকিয়ে থাকা গোপন বার্তা খোঁজার চেষ্টা করবেন। আজকের মেজাজ হলো—নীরব, গভীর এবং সামান্য সন্দেহপ্রবণ। সঙ্গী যদি আপনাকে ‘আই লাভ ইউ’ লিখে টেক্সট করে, আপনি তার জবাবে জিজ্ঞেস করবেন, ‘তুমি কি এর সঙ্গে আরও কিছু বোঝাতে চাচ্ছ?’ এই অতিরিক্ত চিন্তা আজ আপনাকে গোয়েন্দা বানিয়ে দেবে।
ধনু
ধনু রাশি, আজ আপনার পা দুটো অস্থির, মন উড়ু উড়ু। হঠাৎ করেই ঠিক করে ফেলতে পারেন, এই মুহূর্তে চাকরি ছেড়ে দিয়ে একটা কচ্ছপ নিয়ে পৃথিবী ঘুরে আসবেন। ফিল্টার ছাড়া কথা বলার প্রবণতা আজ সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছাবে। যার ফলস্বরূপ অপ্রিয় সত্য কথা বলে আজ বেশ কিছু মানুষের চক্ষুশূল হতে পারেন। কথা বলার আগে এক গ্লাস পানি খান। এটি আপনার মুখকে কিছুটা সময়ের জন্য আটকে রাখবে এবং বন্ধুদের রক্ষা করবে। ভ্রমণ আপনার রক্তে, কিন্তু আজ ট্রেনের টিকিট না কেটে অন্তত বইয়ের পাতায় ভ্রমণ করুন।
মকর
মকর মশাই, আজ আপনার ওয়ার্কহোলিক সত্তা একদম ফ্যান্সি ড্রেস পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যরা যখন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসের আমেজ খুঁজবে, তখন আপনি একটি নতুন ‘৫ বছরের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা’ তৈরি করতে বসবেন। আপনার মনে হবে, দুনিয়ার সব কাজ একাই কাঁধে নিয়েছেন। মজার ব্যাপার হলো: আপনি মনে মনে চরম আলস্যের জন্য বৃষ রাশি বা ধনু রাশিদের তাচ্ছিল্য করে যাবেন। আজ উচিত জোর করে নিজেকে একটি বিরতি দেওয়া। যদি পারেন, এক মিনিট চুপচাপ বসে থাকুন। অবশ্য এক মিনিট স্থির থাকাই আজকের বড় চ্যালেঞ্জ।
কুম্ভ
আজ আপনার চিন্তাভাবনা আকাশ ছুঁয়েছে। হয়তো বসে আছেন ফ্ল্যাটের বারান্দায়, কিন্তু মনে মনে ভাবছেন, মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে। বন্ধু যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে, ‘কী খাবি?’ তার জবাবে বলবেন, ‘খাদ্য কি কেবলই একটি সামাজিক নির্মাণ নয়?’ আপনার এই দার্শনিক কথাবার্তা আজ অন্যদের একটু বিভ্রান্ত করতে পারে। বাস্তব জগতে ফিরে আসার জন্য মাঝেমধ্যে নিজেকে চিমটি কাটুন। না হলে বন্ধু মনে করবে আপনি হঠাৎ করে কোনো এলিয়েন ভাষায় কথা বলা শুরু করেছেন।
মীন
মীন রাশি, আজ আপনার দিবাস্বপ্ন দেখার ক্ষমতা রেকর্ড ভাঙবে। হয়তো চা বানাতে গিয়ে ভুল করে লবণ দিয়ে দিলেন। কারণ, আপনার মন তখন সমুদ্রের তলদেশের কোনো এক জাদুকরি রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবচেতন মন আজ এতটাই সক্রিয় যে, হয়তো আপনার পোষা বিড়ালটিকেও কোনো এক রহস্যময় গুরু বলে ভুল করবেন। বাস্তব ও কল্পনার মধ্যে একটা সরু সুতা খুঁজে বের করুন। কাউকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কথা বলার আগে অন্তত দুবার নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনি সত্যিই তার সঙ্গে কথা বলছেন, নাকি স্বপ্নে দেখা কোনো চরিত্রের সঙ্গে।

মেষ
আপনার আজকের এনার্জি লেভেল দেখলে এনার্জি ড্রিংক কোম্পানিগুলোও ঘাবড়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, এই বিপুল শক্তি কোথায় লাগাবেন, সেটা ঠিক করতে গিয়েই দিনের অর্ধেকটা পার হয়ে যাবে। সকালে হয়তো ভাবলেন, ঘর পরিষ্কার করবেন, দুপুরে মনে হলো ম্যারাথনের ট্রেনিং নেবেন, আর সন্ধ্যায় গিয়ে হয়তো ভুল করে পোষা তেলাপোকার সঙ্গে তর্ক শুরু করে দেবেন। মাথা ঠান্ডা রাখুন, নয়তো সামান্য চাটনি কম হওয়ার কারণেও রেগে গিয়ে গোটা রেস্তোরাঁ কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অতি-উদ্যম আজ আপনাকে এমন জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে, যেখানে পৌঁছানোর কথা আপনার ছিল না।
বৃষ
বৃষ রাশি, আজ আপনার কপালজুড়ে চরম আলস্যের ছাপ। আজ যদি আপনাকে কোনো অলিম্পিকে অংশ নিতে বলা হয়, তবে সেটা হবে ‘কে কতক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকতে পারে’ সেই প্রতিযোগিতা। মন আজ দামি খাবার আর আরামদায়ক সোফায় ডুবে থাকতে চাইবে। আর্থিক দিক থেকে একটু সাবধানে থাকুন—আজকের দিনে ‘একটা অতিরিক্ত পিৎজা’ কিনতে গিয়ে পুরো মাসের বাজেট উল্টে যেতে পারে। কেউ যদি এসে প্রিয় কম্বলটি কেড়ে নিতে চায়, তবে ছোটখাটো একটি গৃহযুদ্ধ লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মিথুন
আজকের দিনটা হবে একটি চলমান কফি আড্ডা! মস্তিষ্ক এখন এমন দ্রুতগতিতে চলছে যে মুখ হয়তো সেই গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারবে না। ফলস্বরূপ একবারে ১০ জনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করতে গিয়ে ৫ জনের গোপন কথা ফাঁস করে দিতে পারেন। মন আজ একাধারে চাইবে কাজ করতে, সিনেমা দেখতে, প্রেম করতে, আবার একই সঙ্গে হিমালয়ে সন্ন্যাসী হতে। আজ যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, ‘কেমন আছেন?’ ভুলেও বিশদ উত্তর দিতে যাবেন না। কারণ, বিশদ উত্তর দিতে গিয়ে আপনার জীবনকাহিনি একটি উপন্যাস ছাড়িয়ে মহাকাব্যে রূপ নিতে পারে।
কর্কট
আজ ইমোশন মিটার একদম ‘ফুল’ সিগন্যালে আছে। আকাশের মেঘ দেখলেও মনে দুঃখের সানাই বাজতে পারে, আর কেউ যদি জিজ্ঞেস করে ‘পানি খাবেন?’ তাতেই আবেগে চোখ ছলছল করে উঠবে। এই অতিরিক্ত সংবেদনশীলতার কারণে আজ সহকর্মীরাও আপনার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবে। পকেটে টিস্যু পেপার ও একটি ‘দুঃখ বিলাস’ অ্যালার্ম সেট করে রাখুন। মনে রাখবেন, পুড়ে যাওয়া টোস্টের জন্য হাউমাউ করে কাঁদার কোনো প্রয়োজন নেই, তাতে টোস্টটা আবার আস্ত হয়ে উঠবে না।
সিংহ
সিংহ মশাই, আজ নিজেকে একটি চলন্ত স্পটলাইট ভাববেন। মনে হবে, এই পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আপনাকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে, আর বাকি সবাই আপনার জন্য হাততালি দিতে বাধ্য। বস যদি আজ মিটিংয়ে আপনার প্রশংসা না করেন, তবে ধরে নেবেন—এটি একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আজ সকালে উঠে আয়নায় নিজের সঙ্গে কিছুক্ষণ সদ্ভাব বজায় রাখুন। অন্যথায় সামান্য অহংকার আজ এমন পর্যায়ে যেতে পারে যে রাস্তায় চলমান একটা পিঁপড়াও আপনার ব্যক্তিত্বের সামনে নতজানু হোক, এমনটি আপনি চাইবেন।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বাতিক’ জেগে উঠেছে। চারপাশে সামান্য ধুলো বা অসংগতি দেখলেই মেজাজ সপ্তমে উঠবে। আজ মনে মনে অন্যদের অপরিষ্কার টেবিল বা বাঁকা করে রাখা জুতা দেখে বিচার করতে থাকবেন। প্রেমিকের শার্টে যদি একটা দাগও দেখেন, তবে সেই সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলে বসতে পারেন। আজকের দিনে জীবনসঙ্গীর আলমারি ঘাঁটাঘাঁটি করা থেকে বিরত থাকুন। নইলে তার এককোণে লুকিয়ে রাখা ছোটখাটো বিশৃঙ্খলা দেখলে আপনার নার্ভাস ব্রেকডাউন হতে পারে।
তুলা
তুলা রাশি, আপনার জীবনে আজ ভারসাম্যের চরম অভাব। সকালের নাশতায় ডিম-টোস্ট না বাটার-পাউরুটি, নাকি রুটি-সবজি খাবেন—এই সিদ্ধান্ত নিতেই দুই ঘণ্টা চলে যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত আজ ভুলেও নিতে যাবেন না। কারণ, মন সারা দিন ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’-এর মাঝে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকবে। আজকের প্রিয় শব্দবন্ধ: ‘হুম...ঠিক নিশ্চিত নই।’ কাউকে আপনার পক্ষ থেকে কিছু অর্ডার করতে দিন। নইলে মেনুকার্ড দেখতে দেখতেই রেস্তোরাঁ বন্ধের সময় হয়ে যাবে।
বৃশ্চিক
আজ রহস্যময়তার চাদরে মুড়ে থাকবেন। মনে হবে, সবাই আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সহকর্মী ‘শুভ সকাল’ বললে তার পেছনে লুকিয়ে থাকা গোপন বার্তা খোঁজার চেষ্টা করবেন। আজকের মেজাজ হলো—নীরব, গভীর এবং সামান্য সন্দেহপ্রবণ। সঙ্গী যদি আপনাকে ‘আই লাভ ইউ’ লিখে টেক্সট করে, আপনি তার জবাবে জিজ্ঞেস করবেন, ‘তুমি কি এর সঙ্গে আরও কিছু বোঝাতে চাচ্ছ?’ এই অতিরিক্ত চিন্তা আজ আপনাকে গোয়েন্দা বানিয়ে দেবে।
ধনু
ধনু রাশি, আজ আপনার পা দুটো অস্থির, মন উড়ু উড়ু। হঠাৎ করেই ঠিক করে ফেলতে পারেন, এই মুহূর্তে চাকরি ছেড়ে দিয়ে একটা কচ্ছপ নিয়ে পৃথিবী ঘুরে আসবেন। ফিল্টার ছাড়া কথা বলার প্রবণতা আজ সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছাবে। যার ফলস্বরূপ অপ্রিয় সত্য কথা বলে আজ বেশ কিছু মানুষের চক্ষুশূল হতে পারেন। কথা বলার আগে এক গ্লাস পানি খান। এটি আপনার মুখকে কিছুটা সময়ের জন্য আটকে রাখবে এবং বন্ধুদের রক্ষা করবে। ভ্রমণ আপনার রক্তে, কিন্তু আজ ট্রেনের টিকিট না কেটে অন্তত বইয়ের পাতায় ভ্রমণ করুন।
মকর
মকর মশাই, আজ আপনার ওয়ার্কহোলিক সত্তা একদম ফ্যান্সি ড্রেস পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যরা যখন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসের আমেজ খুঁজবে, তখন আপনি একটি নতুন ‘৫ বছরের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা’ তৈরি করতে বসবেন। আপনার মনে হবে, দুনিয়ার সব কাজ একাই কাঁধে নিয়েছেন। মজার ব্যাপার হলো: আপনি মনে মনে চরম আলস্যের জন্য বৃষ রাশি বা ধনু রাশিদের তাচ্ছিল্য করে যাবেন। আজ উচিত জোর করে নিজেকে একটি বিরতি দেওয়া। যদি পারেন, এক মিনিট চুপচাপ বসে থাকুন। অবশ্য এক মিনিট স্থির থাকাই আজকের বড় চ্যালেঞ্জ।
কুম্ভ
আজ আপনার চিন্তাভাবনা আকাশ ছুঁয়েছে। হয়তো বসে আছেন ফ্ল্যাটের বারান্দায়, কিন্তু মনে মনে ভাবছেন, মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে। বন্ধু যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে, ‘কী খাবি?’ তার জবাবে বলবেন, ‘খাদ্য কি কেবলই একটি সামাজিক নির্মাণ নয়?’ আপনার এই দার্শনিক কথাবার্তা আজ অন্যদের একটু বিভ্রান্ত করতে পারে। বাস্তব জগতে ফিরে আসার জন্য মাঝেমধ্যে নিজেকে চিমটি কাটুন। না হলে বন্ধু মনে করবে আপনি হঠাৎ করে কোনো এলিয়েন ভাষায় কথা বলা শুরু করেছেন।
মীন
মীন রাশি, আজ আপনার দিবাস্বপ্ন দেখার ক্ষমতা রেকর্ড ভাঙবে। হয়তো চা বানাতে গিয়ে ভুল করে লবণ দিয়ে দিলেন। কারণ, আপনার মন তখন সমুদ্রের তলদেশের কোনো এক জাদুকরি রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবচেতন মন আজ এতটাই সক্রিয় যে, হয়তো আপনার পোষা বিড়ালটিকেও কোনো এক রহস্যময় গুরু বলে ভুল করবেন। বাস্তব ও কল্পনার মধ্যে একটা সরু সুতা খুঁজে বের করুন। কাউকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কথা বলার আগে অন্তত দুবার নিশ্চিত হয়ে নিন, আপনি সত্যিই তার সঙ্গে কথা বলছেন, নাকি স্বপ্নে দেখা কোনো চরিত্রের সঙ্গে।

চীনের বেইজিং শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ‘নিষিদ্ধ শহর’ বা ফরবিডেন সিটি চীনের ইতিহাস ও স্থাপত্যের এক অমূল্য সম্পদ। ১৬৪৪ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত মিং ও কিং রাজবংশের সম্রাটদের আবাসস্থল হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৫ আগস্ট ২০২৫
শীতের মৌসুম অনেকের জন্য একধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই শিরশিরে ঠান্ডা লাগা, বাইরে বের হতে গরম পোশাকে নিজেকে আটকে রাখার প্রবণতা, এমনকি দিনের শুরুতেই শরীরের শক্তি কমে যাওয়ার অনুভূতি। এসব মিলিয়ে শীতকালকে অস্বস্তিকর করে তোলে। যদিও গরম জামা-কাপড়ের মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়
১৪ ঘণ্টা আগে
অফিসে প্রতিদিনের কাজের চাপ, সময়ের মধ্যে কাজের লক্ষ্য পূরণ এবং অফিসের দীর্ঘদিনের একই রুটিন অনেককে এক জায়গায় বসে কাজ করতে বাধ্য করে। এমন পরিস্থিতিতে কর্মীরা প্রায়ই ডেস্কে বসে খাবার খেয়ে থাকেন, মাঝেমধ্যে সামান্য হাঁটাচলা করেন। অফিসে আসার জন্য প্রতিদিন যে সুস্থ রুটিন; যেমন হাঁটা, শরীরচর্চা বা পর্যাপ্ত
১৯ ঘণ্টা আগে
সামনেই বিয়ের মৌসুম। বছরের এই সময়ে অনেকের বাগ্দান হয়ে যায়। আজকাল বাগ্দান কোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠান নয়; বিয়ের মতো বাগ্দানও ঘটা করে অনুষ্ঠিত হয়। জমকালো শাড়ি বা লেহেঙ্গার সঙ্গে সোনা-রুপার জড়োয়া গয়না পরতে ভালোবাসেন নারীরা। বিয়ের মতো বাগ্দানেও অনেকে এখন দুই হাত ভরে মেহেদি লাগান।
২১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শীতের মৌসুম অনেকের জন্য একধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই শিরশিরে ঠান্ডা লাগা, বাইরে বের হতে গরম পোশাকে নিজেকে আটকে রাখার প্রবণতা, এমনকি দিনের শুরুতেই শরীরের শক্তি কমে যাওয়ার অনুভূতি। এসব মিলিয়ে শীতকালকে অস্বস্তিকর করে তোলে। যদিও গরম জামা-কাপড়ের মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়, তবুও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন শরীর গরম রাখার জন্য আরও কার্যকর উপায় হতে পারে।
শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা শুধু গরম রাখে না, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরকে সক্রিয় রাখতেও সাহায্য করে।
জাফরান
জাফরান শুধু খাবারের রং বা স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার হয় না। শীতের দিনে এটি শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে গরম রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর। জাফরানে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোকেমিক্যালস শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, মানসিক চাপ কমায় এবং মেজাজকে স্বস্তিদায়ক রাখে। গরম দুধের সঙ্গে দু-তিন স্ট্র্যান্ড জাফরান মিশিয়ে খেলে শরীর চাঙা থাকে এবং ঠান্ডা কম লাগে। জাফরান রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা ভেতরের উষ্ণতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে মানসিক স্বস্তি দেয়। শীতকালে সকালের বা রাতের এক কাপ গরম দুধে জাফরান মিশিয়ে খাওয়া শরীরকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে, শক্তি বৃদ্ধি করে এবং মেজাজ ঠিক রাখে। চাইলে সামান্য দারুচিনি বা মধু মিশিয়ে আরও স্বাদ এবং গরম রাখার ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
মসলা
মসলা শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি শীতের দিনে শরীরকে গরম রাখতেও সাহায্য করে। লবঙ্গ, দারুচিনি, গোলমরিচ, এলাচ এবং হালকা শুকনো মরিচ শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। শীতকালে রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যায়, ফলে হাত-পা শীত অনুভব করে। মসলা এটি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। রান্নায় মসলার সঠিক ব্যবহার শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং সারা দিন প্রাণবন্ত রাখে।
আদা
আদা শীতকালে শরীর গরম রাখার জন্য প্রাকৃতিক ‘হিটার’ হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজম উন্নত করে এবং শক্তি জোগায়। সকালে এক কাপ আদা চা আপনাকে সারা দিন সতেজ রাখে। শুকনো আদা ব্যাগের সঙ্গে রাখলে বাইরে বেরোতেও ঠান্ডা কম লাগে। চাইলে আদা চা সামান্য দারুচিনি, লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে আরও স্বাদ ও গরম রাখার ক্ষমতা বাড়ানো যায়। নিয়মিত গ্রহণ করলে এটি সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

বাদাম ও খেজুর
শীতের সময় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে। এই সময়ে শরীরকে শক্তিশালী রাখতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজসমৃদ্ধ খাবারের প্রয়োজন বৃদ্ধি পায়। বাদাম ও খেজুর এমন দুটি খাবার, যা প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে গরম রাখে। বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভিটামিন ‘ই’ শরীরকে শক্তি দেয় এবং তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। খেজুরের প্রাকৃতিক শর্করা দ্রুত শক্তি জোগায়। এই খাবারগুলো সহজে পাওয়া যায় এবং প্রয়োজনমতো দ্রুত খাওয়া যায়। শীতকালে অল্প পরিমাণে বাদাম ও খেজুর খেলে শরীরকে সজীব রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মধু
মধু প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে গরম রাখে এবং সর্দি-কাশি কমাতে সহায়ক। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, ঠান্ডা কম অনুভূত হয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। সকালে বা রাতে খাঁটি মধুর এক চামচ খাওয়ার মাধ্যমে শরীরকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করা যায়। তবে মধু কেনার সময় খাঁটি কি না, তা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রক্রিয়াজাত বা মিশ্রিত মধু এই কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
শীতের দিনে গরম থাকার জন্য অতিরিক্ত টিপস
দিনের ছোট ছোট সময়ে হালকা গরম খাবার গ্রহণ করুন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন। শীতকালে মানুষ কম পানি পান করে, যা শরীরের কার্যকারিতা কমায়।
বাইরে বের হতে গেলে গরম জামা-কাপড় এবং এক কাপ গরম পানীয় সঙ্গে রাখলে ঠান্ডা কম লাগে।
সূত্র: ন্যাচার বে

শীতের মৌসুম অনেকের জন্য একধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই শিরশিরে ঠান্ডা লাগা, বাইরে বের হতে গরম পোশাকে নিজেকে আটকে রাখার প্রবণতা, এমনকি দিনের শুরুতেই শরীরের শক্তি কমে যাওয়ার অনুভূতি। এসব মিলিয়ে শীতকালকে অস্বস্তিকর করে তোলে। যদিও গরম জামা-কাপড়ের মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়, তবুও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন শরীর গরম রাখার জন্য আরও কার্যকর উপায় হতে পারে।
শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা শুধু গরম রাখে না, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরকে সক্রিয় রাখতেও সাহায্য করে।
জাফরান
জাফরান শুধু খাবারের রং বা স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার হয় না। শীতের দিনে এটি শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে গরম রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর। জাফরানে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোকেমিক্যালস শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, মানসিক চাপ কমায় এবং মেজাজকে স্বস্তিদায়ক রাখে। গরম দুধের সঙ্গে দু-তিন স্ট্র্যান্ড জাফরান মিশিয়ে খেলে শরীর চাঙা থাকে এবং ঠান্ডা কম লাগে। জাফরান রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা ভেতরের উষ্ণতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে মানসিক স্বস্তি দেয়। শীতকালে সকালের বা রাতের এক কাপ গরম দুধে জাফরান মিশিয়ে খাওয়া শরীরকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে, শক্তি বৃদ্ধি করে এবং মেজাজ ঠিক রাখে। চাইলে সামান্য দারুচিনি বা মধু মিশিয়ে আরও স্বাদ এবং গরম রাখার ক্ষমতা বাড়ানো যায়।
মসলা
মসলা শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি শীতের দিনে শরীরকে গরম রাখতেও সাহায্য করে। লবঙ্গ, দারুচিনি, গোলমরিচ, এলাচ এবং হালকা শুকনো মরিচ শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। শীতকালে রক্ত সঞ্চালন ধীর হয়ে যায়, ফলে হাত-পা শীত অনুভব করে। মসলা এটি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। রান্নায় মসলার সঠিক ব্যবহার শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং সারা দিন প্রাণবন্ত রাখে।
আদা
আদা শীতকালে শরীর গরম রাখার জন্য প্রাকৃতিক ‘হিটার’ হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজম উন্নত করে এবং শক্তি জোগায়। সকালে এক কাপ আদা চা আপনাকে সারা দিন সতেজ রাখে। শুকনো আদা ব্যাগের সঙ্গে রাখলে বাইরে বেরোতেও ঠান্ডা কম লাগে। চাইলে আদা চা সামান্য দারুচিনি, লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে আরও স্বাদ ও গরম রাখার ক্ষমতা বাড়ানো যায়। নিয়মিত গ্রহণ করলে এটি সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

বাদাম ও খেজুর
শীতের সময় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে। এই সময়ে শরীরকে শক্তিশালী রাখতে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজসমৃদ্ধ খাবারের প্রয়োজন বৃদ্ধি পায়। বাদাম ও খেজুর এমন দুটি খাবার, যা প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে গরম রাখে। বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ভিটামিন ‘ই’ শরীরকে শক্তি দেয় এবং তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। খেজুরের প্রাকৃতিক শর্করা দ্রুত শক্তি জোগায়। এই খাবারগুলো সহজে পাওয়া যায় এবং প্রয়োজনমতো দ্রুত খাওয়া যায়। শীতকালে অল্প পরিমাণে বাদাম ও খেজুর খেলে শরীরকে সজীব রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মধু
মধু প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে গরম রাখে এবং সর্দি-কাশি কমাতে সহায়ক। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, ঠান্ডা কম অনুভূত হয় এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। সকালে বা রাতে খাঁটি মধুর এক চামচ খাওয়ার মাধ্যমে শরীরকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করা যায়। তবে মধু কেনার সময় খাঁটি কি না, তা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রক্রিয়াজাত বা মিশ্রিত মধু এই কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
শীতের দিনে গরম থাকার জন্য অতিরিক্ত টিপস
দিনের ছোট ছোট সময়ে হালকা গরম খাবার গ্রহণ করুন।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন। শীতকালে মানুষ কম পানি পান করে, যা শরীরের কার্যকারিতা কমায়।
বাইরে বের হতে গেলে গরম জামা-কাপড় এবং এক কাপ গরম পানীয় সঙ্গে রাখলে ঠান্ডা কম লাগে।
সূত্র: ন্যাচার বে

চীনের বেইজিং শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ‘নিষিদ্ধ শহর’ বা ফরবিডেন সিটি চীনের ইতিহাস ও স্থাপত্যের এক অমূল্য সম্পদ। ১৬৪৪ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত মিং ও কিং রাজবংশের সম্রাটদের আবাসস্থল হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৫ আগস্ট ২০২৫
আপনার আজকের এনার্জি লেভেল দেখলে এনার্জি ড্রিংক কোম্পানিগুলোও ঘাবড়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, এই বিপুল শক্তি কোথায় লাগাবেন, সেটা ঠিক করতে গিয়েই দিনের অর্ধেকটা পার হয়ে যাবে। সকালে হয়তো ভাবলেন, ঘর পরিষ্কার করবেন, দুপুরে মনে হলো ম্যারাথনের ট্রেনিং নেবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
অফিসে প্রতিদিনের কাজের চাপ, সময়ের মধ্যে কাজের লক্ষ্য পূরণ এবং অফিসের দীর্ঘদিনের একই রুটিন অনেককে এক জায়গায় বসে কাজ করতে বাধ্য করে। এমন পরিস্থিতিতে কর্মীরা প্রায়ই ডেস্কে বসে খাবার খেয়ে থাকেন, মাঝেমধ্যে সামান্য হাঁটাচলা করেন। অফিসে আসার জন্য প্রতিদিন যে সুস্থ রুটিন; যেমন হাঁটা, শরীরচর্চা বা পর্যাপ্ত
১৯ ঘণ্টা আগে
সামনেই বিয়ের মৌসুম। বছরের এই সময়ে অনেকের বাগ্দান হয়ে যায়। আজকাল বাগ্দান কোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠান নয়; বিয়ের মতো বাগ্দানও ঘটা করে অনুষ্ঠিত হয়। জমকালো শাড়ি বা লেহেঙ্গার সঙ্গে সোনা-রুপার জড়োয়া গয়না পরতে ভালোবাসেন নারীরা। বিয়ের মতো বাগ্দানেও অনেকে এখন দুই হাত ভরে মেহেদি লাগান।
২১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

অফিসে প্রতিদিনের কাজের চাপ, সময়ের মধ্যে কাজের লক্ষ্য পূরণ এবং অফিসের দীর্ঘদিনের একই রুটিন অনেককে এক জায়গায় বসে কাজ করতে বাধ্য করে। এমন পরিস্থিতিতে কর্মীরা প্রায়ই ডেস্কে বসে খাবার খেয়ে থাকেন, মাঝেমধ্যে সামান্য হাঁটাচলা করেন। অফিসে আসার জন্য প্রতিদিন যে সুস্থ রুটিন; যেমন হাঁটা, শরীরচর্চা বা পর্যাপ্ত পানি খাওয়া প্রয়োজন, সেটিও অনেকে মানেন না।
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ডায়াবেটিসকে লাইফস্টাইল ডিজিজ বলা হয়। এটি কখনো ভালো হয় না, তবে চাইলে ভালো রাখা যায়। তবে ভালো রাখতে হলে আপনাকে ডায়েট, ডিসিপ্লিন ও ড্রাগ—এই তিন জিনিসের সঠিক কম্বিনেশন তৈরি করতে হবে। তাহলে আপনি এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।’
অন্যদিকে, যাঁরা বাড়িতে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এক জায়গায় স্থিরভাবে বসে থাকার সম্ভাবনা কম থাকে। সাধারণত একজন সুস্থ মানুষ ঘণ্টায় অন্তত একবার নিজের স্থান পরিবর্তন করা উচিত। কিন্তু করপোরেট বা বেসরকারি সংস্থায় দীর্ঘ সময় একটানা বসে থাকা স্বাভাবিক অভ্যাস হয়ে গেছে। লন্ডনভিত্তিক চিকিৎসক কর্ণ রাজন বলেন, ‘অফিসে নিয়মিত কাজ করার কারণে কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস ক্রমশই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।’
দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে থাকা
একজন বিজ্ঞানী বলেছেন, ‘সিটিং ইজ দ্য নিউ স্মোকিং’। দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা এখন ধূমপানের মতো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অফিসে যাঁরা ৬-৮ ঘণ্টা একটানা ডেস্কে বসে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি প্রায় অনিবার্য। অনেকে কেবল প্রয়োজনমতো খুব সামান্য চলাফেরার জন্য উঠে দাঁড়ান। দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। অর্থাৎ, রক্তে শর্করা বেড়ে গেলেও ইনসুলিন তা ভাঙতে পারে না, ফলে শক্তি পেশিতে সঞ্চারিত হয় না। ক্রমশ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের একটি প্রধান কারণ। এ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, যা আরও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অফিসের চাপের কারণে অনেকে পুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত চিনি যুক্ত পানীয় ও মিষ্টি বেশি খেয়ে থাকেন। এই ধরনের খাবারে ক্যালরি, চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট বেশি থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে যদি এই ধরনের জিনিসগুলো প্রাধান্য পায়, তাহলে তা ওজন বৃদ্ধি, রক্তে শর্করার হঠাৎ ওঠানামা এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ানোর সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়া অতিরিক্ত চিনি এবং ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার রক্তে প্রদাহের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা দীর্ঘ মেয়াদে ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
অপর্যাপ্ত বা অনিয়মিত ঘুম
কাজের চাপের কারণে অনেকে নিজের ঘুমের সময় কমিয়ে দেন। কেউ বাড়ি ফিরে ল্যাপটপ হাতে কাজ চালিয়ে যান, কেউ রাতেও মোবাইল বা ল্যাপটপে চোখ রাখেন। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং দৈনিক ৬-৭ ঘণ্টার ঘুমও পূর্ণ হয় না। অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। বিশেষত ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায়, রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়। এ ছাড়া ঘুম কম হলে কর্টিসল এবং অন্যান্য স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়ে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
সকালের খাবার না খাওয়া
অফিসে যাওয়ার তাড়া সামলাতে বা সময় বাঁচাতে অনেকে সকালের খাবার না খেয়ে বের হন। দীর্ঘ সময় পেট খালি থাকলে ইনসুলিনের কাজ ব্যাহত হয়। ইনসুলিন রক্তে থাকা শর্করাকে শক্তিতে রূপান্তর করে, কিন্তু কাজ না করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। নিয়মিত সকালের খাবার না খেলে দীর্ঘ মেয়াদে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে দিনের বাকি অংশে অতিরিক্ত বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়, যা ওজন বাড়ার কারণ।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ
কর্মক্ষেত্রের চাপ এবং অন্যান্য দৈনন্দিন চাপ থেকে মানসিক চাপ তৈরি হয়। মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। এই হরমোন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং মিষ্টি বা নোনতা খাবারের প্রতি আকর্ষণও বাড়ায়। দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। মানসিক চাপ কমানো এবং নিয়মিত বিশ্রাম, শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক।
সূত্র: ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (যুক্তরাষ্ট্র)

অফিসে প্রতিদিনের কাজের চাপ, সময়ের মধ্যে কাজের লক্ষ্য পূরণ এবং অফিসের দীর্ঘদিনের একই রুটিন অনেককে এক জায়গায় বসে কাজ করতে বাধ্য করে। এমন পরিস্থিতিতে কর্মীরা প্রায়ই ডেস্কে বসে খাবার খেয়ে থাকেন, মাঝেমধ্যে সামান্য হাঁটাচলা করেন। অফিসে আসার জন্য প্রতিদিন যে সুস্থ রুটিন; যেমন হাঁটা, শরীরচর্চা বা পর্যাপ্ত পানি খাওয়া প্রয়োজন, সেটিও অনেকে মানেন না।
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ডায়াবেটিসকে লাইফস্টাইল ডিজিজ বলা হয়। এটি কখনো ভালো হয় না, তবে চাইলে ভালো রাখা যায়। তবে ভালো রাখতে হলে আপনাকে ডায়েট, ডিসিপ্লিন ও ড্রাগ—এই তিন জিনিসের সঠিক কম্বিনেশন তৈরি করতে হবে। তাহলে আপনি এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রেখে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।’
অন্যদিকে, যাঁরা বাড়িতে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এক জায়গায় স্থিরভাবে বসে থাকার সম্ভাবনা কম থাকে। সাধারণত একজন সুস্থ মানুষ ঘণ্টায় অন্তত একবার নিজের স্থান পরিবর্তন করা উচিত। কিন্তু করপোরেট বা বেসরকারি সংস্থায় দীর্ঘ সময় একটানা বসে থাকা স্বাভাবিক অভ্যাস হয়ে গেছে। লন্ডনভিত্তিক চিকিৎসক কর্ণ রাজন বলেন, ‘অফিসে নিয়মিত কাজ করার কারণে কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস ক্রমশই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।’
দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে থাকা
একজন বিজ্ঞানী বলেছেন, ‘সিটিং ইজ দ্য নিউ স্মোকিং’। দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা এখন ধূমপানের মতো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অফিসে যাঁরা ৬-৮ ঘণ্টা একটানা ডেস্কে বসে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি প্রায় অনিবার্য। অনেকে কেবল প্রয়োজনমতো খুব সামান্য চলাফেরার জন্য উঠে দাঁড়ান। দীর্ঘ সময় বসে থাকার ফলে শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। অর্থাৎ, রক্তে শর্করা বেড়ে গেলেও ইনসুলিন তা ভাঙতে পারে না, ফলে শক্তি পেশিতে সঞ্চারিত হয় না। ক্রমশ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে, যা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের একটি প্রধান কারণ। এ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, যা আরও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অফিসের চাপের কারণে অনেকে পুষ্টিকর খাবারের পরিবর্তে প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্ট ফুড, অতিরিক্ত চিনি যুক্ত পানীয় ও মিষ্টি বেশি খেয়ে থাকেন। এই ধরনের খাবারে ক্যালরি, চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট বেশি থাকে। প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে যদি এই ধরনের জিনিসগুলো প্রাধান্য পায়, তাহলে তা ওজন বৃদ্ধি, রক্তে শর্করার হঠাৎ ওঠানামা এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ানোর সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়া অতিরিক্ত চিনি এবং ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার রক্তে প্রদাহের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা দীর্ঘ মেয়াদে ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
অপর্যাপ্ত বা অনিয়মিত ঘুম
কাজের চাপের কারণে অনেকে নিজের ঘুমের সময় কমিয়ে দেন। কেউ বাড়ি ফিরে ল্যাপটপ হাতে কাজ চালিয়ে যান, কেউ রাতেও মোবাইল বা ল্যাপটপে চোখ রাখেন। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং দৈনিক ৬-৭ ঘণ্টার ঘুমও পূর্ণ হয় না। অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। বিশেষত ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায়, রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়। এ ছাড়া ঘুম কম হলে কর্টিসল এবং অন্যান্য স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়ে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
সকালের খাবার না খাওয়া
অফিসে যাওয়ার তাড়া সামলাতে বা সময় বাঁচাতে অনেকে সকালের খাবার না খেয়ে বের হন। দীর্ঘ সময় পেট খালি থাকলে ইনসুলিনের কাজ ব্যাহত হয়। ইনসুলিন রক্তে থাকা শর্করাকে শক্তিতে রূপান্তর করে, কিন্তু কাজ না করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। নিয়মিত সকালের খাবার না খেলে দীর্ঘ মেয়াদে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে দিনের বাকি অংশে অতিরিক্ত বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়, যা ওজন বাড়ার কারণ।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ
কর্মক্ষেত্রের চাপ এবং অন্যান্য দৈনন্দিন চাপ থেকে মানসিক চাপ তৈরি হয়। মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। এই হরমোন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং মিষ্টি বা নোনতা খাবারের প্রতি আকর্ষণও বাড়ায়। দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। মানসিক চাপ কমানো এবং নিয়মিত বিশ্রাম, শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়ক।
সূত্র: ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (যুক্তরাষ্ট্র)

চীনের বেইজিং শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ‘নিষিদ্ধ শহর’ বা ফরবিডেন সিটি চীনের ইতিহাস ও স্থাপত্যের এক অমূল্য সম্পদ। ১৬৪৪ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত মিং ও কিং রাজবংশের সম্রাটদের আবাসস্থল হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৫ আগস্ট ২০২৫
আপনার আজকের এনার্জি লেভেল দেখলে এনার্জি ড্রিংক কোম্পানিগুলোও ঘাবড়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, এই বিপুল শক্তি কোথায় লাগাবেন, সেটা ঠিক করতে গিয়েই দিনের অর্ধেকটা পার হয়ে যাবে। সকালে হয়তো ভাবলেন, ঘর পরিষ্কার করবেন, দুপুরে মনে হলো ম্যারাথনের ট্রেনিং নেবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুম অনেকের জন্য একধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই শিরশিরে ঠান্ডা লাগা, বাইরে বের হতে গরম পোশাকে নিজেকে আটকে রাখার প্রবণতা, এমনকি দিনের শুরুতেই শরীরের শক্তি কমে যাওয়ার অনুভূতি। এসব মিলিয়ে শীতকালকে অস্বস্তিকর করে তোলে। যদিও গরম জামা-কাপড়ের মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়
১৪ ঘণ্টা আগে
সামনেই বিয়ের মৌসুম। বছরের এই সময়ে অনেকের বাগ্দান হয়ে যায়। আজকাল বাগ্দান কোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠান নয়; বিয়ের মতো বাগ্দানও ঘটা করে অনুষ্ঠিত হয়। জমকালো শাড়ি বা লেহেঙ্গার সঙ্গে সোনা-রুপার জড়োয়া গয়না পরতে ভালোবাসেন নারীরা। বিয়ের মতো বাগ্দানেও অনেকে এখন দুই হাত ভরে মেহেদি লাগান।
২১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সামনেই বিয়ের মৌসুম। বছরের এই সময়ে অনেকের বাগ্দান হয়ে যায়। আজকাল বাগ্দান কোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠান নয়; বিয়ের মতো বাগ্দানও ঘটা করে অনুষ্ঠিত হয়। জমকালো শাড়ি বা লেহেঙ্গার সঙ্গে সোনা-রুপার জড়োয়া গয়না পরতে ভালোবাসেন নারীরা। বিয়ের মতো বাগ্দানেও অনেকে এখন দুই হাত ভরে মেহেদি লাগান। মেহেদির রঙে যেন আঁকা হয় কনের বুকভরা স্বপ্ন। হাতের পাতায় ফুটে ওঠে ফুল, পাখি, লতাপাতা, ময়ূর, গাছ, কলকে, চরকা, ডট, বটপাতা, পানপাতা কিংবা মধুবনী নকশা। তবে মেহেদি দিয়ে নকশা করার আগে কিছু বিষয় মনে রাখা চাই, নয়তো সাজটা অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে।

হাতের ধরন বুঝে নকশা
মেহেদির রঙে হাত রাঙালেই হবে? নকশাও করতে হবে হাতের ধরন বুঝে। একেকজনের হাত একেকরকম। কারও হাতের তালু বেশ বড়; সেসব হাতে ভরাট নকশা সুন্দর দেখায়। আর যাঁদের হাতের তালু ছোট; সেসব হাতে লতাপাতার মতো লম্বা নকশায় মানায় বেশ। এ ক্ষেত্রে হাতের আঙুলে নকশা করার সময় ভাবনায় রাখতে হবে, সব আঙুলে নকশা আঁকবেন নাকি শুধু একটি বা দুটিতে আঁকবেন। এটা নির্ভর করবে নকশার ধরনের ওপর। যদি নকশার ধরন হাতের কবজির কোনা থেকে লম্বা হয়ে তর্জনীর দিকে উঠে যায়, তাহলে একটি আঙুলে ভরাট নকশায় ভালো লাগবে। অন্য আঙুলগুলোয় মেহেদি না পরলেও ভালো লাগবে। আর যদি করতে হয়, সে ক্ষেত্রে খুব হালকা কোনো নকশা করতে হবে।
‘বাগ্দান উপলক্ষে মেহেদি পরার আগে অবশ্যই হাত ও পা ওয়াক্সিং, মেনিকিউর ও পেডিকিউর, ডি ট্যান ট্রিটমেন্ট করে নেওয়া প্রয়োজন। এতে হাত ও পা অনেক বেশি সুন্দর দেখাবে। মেহেদি লাগানোর পর এই কাজগুলো করতে গেলে নকশা নষ্ট হয়ে যাবে।’ শোভন সাহা কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী
মেহেদি যাচাই-বাছাই ও প্রয়োজনীয় কিছু কথা
মেহেদি কেনার জন্য চাই সতর্কতা। পাকা রঙের মেহেদি দেখার পাশাপাশি খেয়াল করতে হবে, তাতে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক আছে কি না। এ জন্য মেহেদির প্যাকেট ভালো করে পড়ে নিতে হবে। মেহেদি পরার আগে হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে ময়শ্চারাইজ করে নিতে হবে। ময়শ্চারাইজ করার আধা ঘণ্টা পর মেহেদি দেওয়া যাবে। বলে রাখা ভালো, মেহেদি লাগানোর আগে নখে হালকা ট্রান্সপারেন্ট নেইলপলিশের কোটিং করতে পারেন; এতে মেহেদি দেওয়ার সময় নখে রং লাগার ঝুঁকি থাকবে না। কনের হাতে মেহেদির নকশা যেমন হোক না কেন, মেহেদি পরার আগে কিছু বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। যিনি মেহেদি পরাবেন, তাঁর কোলের ওপর কুশন ও তার ওপর টাওয়েল বা গামছা বিছিয়ে তার ওপর হাত রেখে মেহেদি পরাতে হবে। এতে অসতর্ক মুহূর্তে মেহেদি ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। মেহেদির টিউবের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে বা টিউবের মুখে বাড়তি মেহেদি চলে এলে মোছার জন্য হাতের কাছে পর্যাপ্ত টিস্যু রাখতে হবে। খোলামেলা আলোময় জায়গায় বসতে হবে মেহেদি পরাতে।

পায়ে মেহেদির নকশা করতে চাইলে
পায়ে পরার নকশা একটু ভিন্ন হয়। পায়ে আলতার মতো নকশা করা যেতে পারে। পায়ের চারদিকে লম্বা ধরনের বা লতাপাতার নকশা এঁকে মাঝ বরাবর মান্ডালার মতো গোলাকার নকশায় ভরিয়ে নিলে ভালো লাগবে। আবার হাতের নকশার সঙ্গে মিল রেখে পায়ের এক পাশ বা দুই পাশে পরলে ভালো লাগবে।
আগেই আর্টিস্ট বুকিং দিয়ে রাখুন
বাগ্দানে মেহেদি পরতে চাইলে আগেই আর্টিস্ট বুকিং দিয়ে রাখুন। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে মেহেদি আর্টিস্টদের সন্ধান পাওয়া যায়। এ ছাড়াও হোম বিউটি সার্ভিস দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মেহেদি আর্টিস্ট বুক করে নিতে পারেন। বুক করার আগে তাঁর পোর্টফোলিও একটু যাচাই-বাছাই করে নেওয়া ভালো। সাধারণত পারলারে বা আর্টিস্টদের কাছে মেহেদি দিতে চাইলে বাজেট রাখতে হয় ৩ থেকে ৮ হাজার টাকা। পছন্দের আর্টিস্টের সঙ্গে আলাপ করে নকশা ও বাজেট আগে ঠিক করে নিলে সময় বাঁচবে।

সামনেই বিয়ের মৌসুম। বছরের এই সময়ে অনেকের বাগ্দান হয়ে যায়। আজকাল বাগ্দান কোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠান নয়; বিয়ের মতো বাগ্দানও ঘটা করে অনুষ্ঠিত হয়। জমকালো শাড়ি বা লেহেঙ্গার সঙ্গে সোনা-রুপার জড়োয়া গয়না পরতে ভালোবাসেন নারীরা। বিয়ের মতো বাগ্দানেও অনেকে এখন দুই হাত ভরে মেহেদি লাগান। মেহেদির রঙে যেন আঁকা হয় কনের বুকভরা স্বপ্ন। হাতের পাতায় ফুটে ওঠে ফুল, পাখি, লতাপাতা, ময়ূর, গাছ, কলকে, চরকা, ডট, বটপাতা, পানপাতা কিংবা মধুবনী নকশা। তবে মেহেদি দিয়ে নকশা করার আগে কিছু বিষয় মনে রাখা চাই, নয়তো সাজটা অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে।

হাতের ধরন বুঝে নকশা
মেহেদির রঙে হাত রাঙালেই হবে? নকশাও করতে হবে হাতের ধরন বুঝে। একেকজনের হাত একেকরকম। কারও হাতের তালু বেশ বড়; সেসব হাতে ভরাট নকশা সুন্দর দেখায়। আর যাঁদের হাতের তালু ছোট; সেসব হাতে লতাপাতার মতো লম্বা নকশায় মানায় বেশ। এ ক্ষেত্রে হাতের আঙুলে নকশা করার সময় ভাবনায় রাখতে হবে, সব আঙুলে নকশা আঁকবেন নাকি শুধু একটি বা দুটিতে আঁকবেন। এটা নির্ভর করবে নকশার ধরনের ওপর। যদি নকশার ধরন হাতের কবজির কোনা থেকে লম্বা হয়ে তর্জনীর দিকে উঠে যায়, তাহলে একটি আঙুলে ভরাট নকশায় ভালো লাগবে। অন্য আঙুলগুলোয় মেহেদি না পরলেও ভালো লাগবে। আর যদি করতে হয়, সে ক্ষেত্রে খুব হালকা কোনো নকশা করতে হবে।
‘বাগ্দান উপলক্ষে মেহেদি পরার আগে অবশ্যই হাত ও পা ওয়াক্সিং, মেনিকিউর ও পেডিকিউর, ডি ট্যান ট্রিটমেন্ট করে নেওয়া প্রয়োজন। এতে হাত ও পা অনেক বেশি সুন্দর দেখাবে। মেহেদি লাগানোর পর এই কাজগুলো করতে গেলে নকশা নষ্ট হয়ে যাবে।’ শোভন সাহা কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী
মেহেদি যাচাই-বাছাই ও প্রয়োজনীয় কিছু কথা
মেহেদি কেনার জন্য চাই সতর্কতা। পাকা রঙের মেহেদি দেখার পাশাপাশি খেয়াল করতে হবে, তাতে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক আছে কি না। এ জন্য মেহেদির প্যাকেট ভালো করে পড়ে নিতে হবে। মেহেদি পরার আগে হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে ময়শ্চারাইজ করে নিতে হবে। ময়শ্চারাইজ করার আধা ঘণ্টা পর মেহেদি দেওয়া যাবে। বলে রাখা ভালো, মেহেদি লাগানোর আগে নখে হালকা ট্রান্সপারেন্ট নেইলপলিশের কোটিং করতে পারেন; এতে মেহেদি দেওয়ার সময় নখে রং লাগার ঝুঁকি থাকবে না। কনের হাতে মেহেদির নকশা যেমন হোক না কেন, মেহেদি পরার আগে কিছু বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। যিনি মেহেদি পরাবেন, তাঁর কোলের ওপর কুশন ও তার ওপর টাওয়েল বা গামছা বিছিয়ে তার ওপর হাত রেখে মেহেদি পরাতে হবে। এতে অসতর্ক মুহূর্তে মেহেদি ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। মেহেদির টিউবের মুখ বন্ধ হয়ে গেলে বা টিউবের মুখে বাড়তি মেহেদি চলে এলে মোছার জন্য হাতের কাছে পর্যাপ্ত টিস্যু রাখতে হবে। খোলামেলা আলোময় জায়গায় বসতে হবে মেহেদি পরাতে।

পায়ে মেহেদির নকশা করতে চাইলে
পায়ে পরার নকশা একটু ভিন্ন হয়। পায়ে আলতার মতো নকশা করা যেতে পারে। পায়ের চারদিকে লম্বা ধরনের বা লতাপাতার নকশা এঁকে মাঝ বরাবর মান্ডালার মতো গোলাকার নকশায় ভরিয়ে নিলে ভালো লাগবে। আবার হাতের নকশার সঙ্গে মিল রেখে পায়ের এক পাশ বা দুই পাশে পরলে ভালো লাগবে।
আগেই আর্টিস্ট বুকিং দিয়ে রাখুন
বাগ্দানে মেহেদি পরতে চাইলে আগেই আর্টিস্ট বুকিং দিয়ে রাখুন। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে মেহেদি আর্টিস্টদের সন্ধান পাওয়া যায়। এ ছাড়াও হোম বিউটি সার্ভিস দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মেহেদি আর্টিস্ট বুক করে নিতে পারেন। বুক করার আগে তাঁর পোর্টফোলিও একটু যাচাই-বাছাই করে নেওয়া ভালো। সাধারণত পারলারে বা আর্টিস্টদের কাছে মেহেদি দিতে চাইলে বাজেট রাখতে হয় ৩ থেকে ৮ হাজার টাকা। পছন্দের আর্টিস্টের সঙ্গে আলাপ করে নকশা ও বাজেট আগে ঠিক করে নিলে সময় বাঁচবে।

চীনের বেইজিং শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ‘নিষিদ্ধ শহর’ বা ফরবিডেন সিটি চীনের ইতিহাস ও স্থাপত্যের এক অমূল্য সম্পদ। ১৬৪৪ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত মিং ও কিং রাজবংশের সম্রাটদের আবাসস্থল হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৫ আগস্ট ২০২৫
আপনার আজকের এনার্জি লেভেল দেখলে এনার্জি ড্রিংক কোম্পানিগুলোও ঘাবড়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, এই বিপুল শক্তি কোথায় লাগাবেন, সেটা ঠিক করতে গিয়েই দিনের অর্ধেকটা পার হয়ে যাবে। সকালে হয়তো ভাবলেন, ঘর পরিষ্কার করবেন, দুপুরে মনে হলো ম্যারাথনের ট্রেনিং নেবেন।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুম অনেকের জন্য একধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই শিরশিরে ঠান্ডা লাগা, বাইরে বের হতে গরম পোশাকে নিজেকে আটকে রাখার প্রবণতা, এমনকি দিনের শুরুতেই শরীরের শক্তি কমে যাওয়ার অনুভূতি। এসব মিলিয়ে শীতকালকে অস্বস্তিকর করে তোলে। যদিও গরম জামা-কাপড়ের মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়
১৪ ঘণ্টা আগে
অফিসে প্রতিদিনের কাজের চাপ, সময়ের মধ্যে কাজের লক্ষ্য পূরণ এবং অফিসের দীর্ঘদিনের একই রুটিন অনেককে এক জায়গায় বসে কাজ করতে বাধ্য করে। এমন পরিস্থিতিতে কর্মীরা প্রায়ই ডেস্কে বসে খাবার খেয়ে থাকেন, মাঝেমধ্যে সামান্য হাঁটাচলা করেন। অফিসে আসার জন্য প্রতিদিন যে সুস্থ রুটিন; যেমন হাঁটা, শরীরচর্চা বা পর্যাপ্ত
১৯ ঘণ্টা আগে