ইয়াসির আরাফাত

পুণ্যভূমি জেরুজালেম ভ্রমণ করার পর মনে হচ্ছিল, আমি আসল ফিলিস্তিনের দেখা এখনো পাইনি। কারণ, জেরুজালেম একটি মিশ্র শহর, যেখানে অনেক ধর্মের মানুষ বসবাস করে। শহরটি মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান সবার কাছে পবিত্র। তাই শহরজুড়ে দেখা যায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক। স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের জীবন কেমন, সেটা স্বচক্ষে দেখা ও অনুভবের জন্য ওয়েস্ট ব্যাংক বা পশ্চিম তীরে প্রবেশ করা ছাড়া আমার হাতে কোনো বিকল্প ছিল না।
ওয়েস্ট ব্যাংকের রাজধানী রামাল্লা। সেখানেই ছিল ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলওর প্রধান কার্যালয়। ফিলিস্তিনের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল হচ্ছে পিএলও এবং হামাস। হামাসের কার্যালয় গাজায়। রামাল্লা ছাড়াও ফিলিস্তিনের বাকি গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো হচ্ছে নাবলুস, হিব্রোন ও বেথলেহেম। নাবলুস ছাড়া বাকি সব শহরেই আমি গিয়েছি।
এই চারটি শহরের মধ্যে পশ্চিমাদের কাছে যিশুর জন্মভূমি বলে বেথলেহেম বেশি পরিচিত। এ শহরে যিশুর জন্মস্থানটি বিশেষভাবে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে খ্রিষ্টানদের উপাসনার জন্য। সেখানে আছে চার্চ অব দি নেটিভিটি নামে একটি গির্জা। পশ্চিম থেকে আসা অনেক খ্রিষ্টান বিভিন্ন গ্রুপ ট্যুর করে থাকে এই গির্জায়। সে জন্য আমার মতো একা বেথলেহেম যাওয়া মানুষের সংখ্যা খুবই নগণ্য। পশ্চিম তীরকে জেরুজালেম ও ইসরায়েল থেকে আলাদা করার জন্য চতুর্দিকে ইসরায়েলি সরকার এমনভাবে উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘিরে রেখেছে যে স্থানীয় গাইড ছাড়া একাকী চলাচল করাটা খুবই কঠিন।
জেরুজালেম থেকে বেথলেহেম এবং অন্যান্য শহরে যাতায়াতের জন্য নিয়মিত বাস আছে। তবে বাসে যাওয়াটা সহজ হলেও ফিরে আসাটা এত সহজ নয়। কারণ জেরুজালেম জাতিসংঘ স্বীকৃত একটি নিরপেক্ষ শহর হলেও বর্তমানে এটি ইসরায়েলের দখলে এবং ওয়েস্ট ব্যাংক থেকে ইসরায়েলের অনুমতি ছাড়া কেউ জেরুজালেমে প্রবেশ করতে পারে না। পশ্চিম তীর উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘেরা এবং কিছুক্ষণ পরপর ইসরায়েলি চেক পয়েন্ট বসানো রয়েছে। সেসব চেক পয়েন্ট দিয়ে ইসরায়েলি সৈন্যদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে জেরুজালেমে প্রবেশ করতে হয়। ফলে ইউরোপিয়ান পাসপোর্টের সুবাদে ৫ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে এসে আল-আকসা দেখা গেলেও মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে জন্ম নেওয়া একজন ফিলিস্তিনের পক্ষে সেখানে গিয়ে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়া সম্ভব নয়!
ফিলিস্তিনিদের চোখমুখে পরাধীনতার কষ্ট দেখেছি। বলা হয়ে থাকে, আল-আকসা মসজিদের সব থেকে বড় হকদার ফিলিস্তিনিরা। অথচ পশ্চিম তীর থেকে জেরুজালেমে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইসরায়েলের অনেক জায়গায় নিম্ন বেতনে কাজ করে থাকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের লোকজন। এই কাজের জন্য তাদের বিশেষ একটি ওয়ার্কিং পাসের প্রয়োজন হয়। শুধু তারাই জেরুজালেম যেতে পারে, যাদের কাছে আছে ইসরায়েলে কাজ করার সেই বিশেষ ওয়ার্কিং পাস।
পশ্চিম তীরের ভেতরেও এক শহর থেকে আরেক শহরে যাতায়াতে আছে ইসরায়েলি অনেক বাধ্যবাধকতা। ইসরায়েল দেয়াল ও চেক পয়েন্টগুলো এমনভাবে তৈরি করেছে, যাতে মুহূর্তের মধ্যেই তারা এক শহরকে আরেক শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। এ জন্য এক শহর থেকে আরেক শহরের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার হলেও সেখানে যেতে হলে গাড়ি চালাতে হয় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার।
জেরুজালেম থেকে পশ্চিম তীর যাওয়া-আসার সময় এবং পশ্চিম তীরের ভেতরেও দেখা যায় ইসরায়েলি সেটেলমেন্ট।
জুলুম-নির্যাতন এবং পরাধীনতা ও খাঁচাবন্দী জীবনের মধ্যেও ফিলিস্তিনিরা তাদের জীবন চালিয়ে নিচ্ছে। বড় বড় শপিং মল হচ্ছে, রমরমা ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে। আছে ফ্যান্সি কফি শপ, রেস্টুরেন্ট; মানুষ সেখানে আড্ডা দিচ্ছে। রাস্তার মাঝে দামি দামি বিএমডব্লিউ, মার্সিডিস, জাগুয়ার গাড়ি চলাচল করছে। এত কিছুর মধ্যেও জীবন থেমে নেই—জীবন জীবনের মতো চলে যাচ্ছে।
পশ্চিম তীরে আমার ভ্রমণ শেষ করেছিলাম রামাল্লা শহরে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক নেতা ইয়াসির আরাফাতের কবর ও মিউজিয়াম ভ্রমণের মাধ্যমে। পুরো ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইতিহাস সম্পর্কে স্পষ্ট একটি ধারণা পাওয়া যায় ছোট্ট সুন্দর এ জাদুঘরটিতে গেলে। এ জাদুঘরে ঘোরার সুযোগ হয়েছে আমার খুব অল্প সময়।
পশ্চিম তীর ছেড়ে জেরুজালেমে ফিরে যাওয়ার সময় একধরনের মিশ্র অনুভূতি হলো। একদিকে পুরো ওয়েস্ট ব্যাংক দেয়াল দিয়ে ঘেরা। দেখে মনে হয় যেন খোলা আকাশের নিচে বাইরে যাওয়ার সুযোগহীন একটি উন্মুক্ত জেলখানা। অন্য দিকে হাল ছেড়ে না দেওয়া, বেঁচে থাকার উপায় খুঁজতে থাকা, স্বাধীন জীবনের স্বপ্ন দেখে অনেক মানুষ।

পুণ্যভূমি জেরুজালেম ভ্রমণ করার পর মনে হচ্ছিল, আমি আসল ফিলিস্তিনের দেখা এখনো পাইনি। কারণ, জেরুজালেম একটি মিশ্র শহর, যেখানে অনেক ধর্মের মানুষ বসবাস করে। শহরটি মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান সবার কাছে পবিত্র। তাই শহরজুড়ে দেখা যায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক। স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের জীবন কেমন, সেটা স্বচক্ষে দেখা ও অনুভবের জন্য ওয়েস্ট ব্যাংক বা পশ্চিম তীরে প্রবেশ করা ছাড়া আমার হাতে কোনো বিকল্প ছিল না।
ওয়েস্ট ব্যাংকের রাজধানী রামাল্লা। সেখানেই ছিল ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলওর প্রধান কার্যালয়। ফিলিস্তিনের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল হচ্ছে পিএলও এবং হামাস। হামাসের কার্যালয় গাজায়। রামাল্লা ছাড়াও ফিলিস্তিনের বাকি গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো হচ্ছে নাবলুস, হিব্রোন ও বেথলেহেম। নাবলুস ছাড়া বাকি সব শহরেই আমি গিয়েছি।
এই চারটি শহরের মধ্যে পশ্চিমাদের কাছে যিশুর জন্মভূমি বলে বেথলেহেম বেশি পরিচিত। এ শহরে যিশুর জন্মস্থানটি বিশেষভাবে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে খ্রিষ্টানদের উপাসনার জন্য। সেখানে আছে চার্চ অব দি নেটিভিটি নামে একটি গির্জা। পশ্চিম থেকে আসা অনেক খ্রিষ্টান বিভিন্ন গ্রুপ ট্যুর করে থাকে এই গির্জায়। সে জন্য আমার মতো একা বেথলেহেম যাওয়া মানুষের সংখ্যা খুবই নগণ্য। পশ্চিম তীরকে জেরুজালেম ও ইসরায়েল থেকে আলাদা করার জন্য চতুর্দিকে ইসরায়েলি সরকার এমনভাবে উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘিরে রেখেছে যে স্থানীয় গাইড ছাড়া একাকী চলাচল করাটা খুবই কঠিন।
জেরুজালেম থেকে বেথলেহেম এবং অন্যান্য শহরে যাতায়াতের জন্য নিয়মিত বাস আছে। তবে বাসে যাওয়াটা সহজ হলেও ফিরে আসাটা এত সহজ নয়। কারণ জেরুজালেম জাতিসংঘ স্বীকৃত একটি নিরপেক্ষ শহর হলেও বর্তমানে এটি ইসরায়েলের দখলে এবং ওয়েস্ট ব্যাংক থেকে ইসরায়েলের অনুমতি ছাড়া কেউ জেরুজালেমে প্রবেশ করতে পারে না। পশ্চিম তীর উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘেরা এবং কিছুক্ষণ পরপর ইসরায়েলি চেক পয়েন্ট বসানো রয়েছে। সেসব চেক পয়েন্ট দিয়ে ইসরায়েলি সৈন্যদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে জেরুজালেমে প্রবেশ করতে হয়। ফলে ইউরোপিয়ান পাসপোর্টের সুবাদে ৫ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে এসে আল-আকসা দেখা গেলেও মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে জন্ম নেওয়া একজন ফিলিস্তিনের পক্ষে সেখানে গিয়ে এক ওয়াক্ত নামাজ পড়া সম্ভব নয়!
ফিলিস্তিনিদের চোখমুখে পরাধীনতার কষ্ট দেখেছি। বলা হয়ে থাকে, আল-আকসা মসজিদের সব থেকে বড় হকদার ফিলিস্তিনিরা। অথচ পশ্চিম তীর থেকে জেরুজালেমে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইসরায়েলের অনেক জায়গায় নিম্ন বেতনে কাজ করে থাকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের লোকজন। এই কাজের জন্য তাদের বিশেষ একটি ওয়ার্কিং পাসের প্রয়োজন হয়। শুধু তারাই জেরুজালেম যেতে পারে, যাদের কাছে আছে ইসরায়েলে কাজ করার সেই বিশেষ ওয়ার্কিং পাস।
পশ্চিম তীরের ভেতরেও এক শহর থেকে আরেক শহরে যাতায়াতে আছে ইসরায়েলি অনেক বাধ্যবাধকতা। ইসরায়েল দেয়াল ও চেক পয়েন্টগুলো এমনভাবে তৈরি করেছে, যাতে মুহূর্তের মধ্যেই তারা এক শহরকে আরেক শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। এ জন্য এক শহর থেকে আরেক শহরের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার হলেও সেখানে যেতে হলে গাড়ি চালাতে হয় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার।
জেরুজালেম থেকে পশ্চিম তীর যাওয়া-আসার সময় এবং পশ্চিম তীরের ভেতরেও দেখা যায় ইসরায়েলি সেটেলমেন্ট।
জুলুম-নির্যাতন এবং পরাধীনতা ও খাঁচাবন্দী জীবনের মধ্যেও ফিলিস্তিনিরা তাদের জীবন চালিয়ে নিচ্ছে। বড় বড় শপিং মল হচ্ছে, রমরমা ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে। আছে ফ্যান্সি কফি শপ, রেস্টুরেন্ট; মানুষ সেখানে আড্ডা দিচ্ছে। রাস্তার মাঝে দামি দামি বিএমডব্লিউ, মার্সিডিস, জাগুয়ার গাড়ি চলাচল করছে। এত কিছুর মধ্যেও জীবন থেমে নেই—জীবন জীবনের মতো চলে যাচ্ছে।
পশ্চিম তীরে আমার ভ্রমণ শেষ করেছিলাম রামাল্লা শহরে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক নেতা ইয়াসির আরাফাতের কবর ও মিউজিয়াম ভ্রমণের মাধ্যমে। পুরো ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইতিহাস সম্পর্কে স্পষ্ট একটি ধারণা পাওয়া যায় ছোট্ট সুন্দর এ জাদুঘরটিতে গেলে। এ জাদুঘরে ঘোরার সুযোগ হয়েছে আমার খুব অল্প সময়।
পশ্চিম তীর ছেড়ে জেরুজালেমে ফিরে যাওয়ার সময় একধরনের মিশ্র অনুভূতি হলো। একদিকে পুরো ওয়েস্ট ব্যাংক দেয়াল দিয়ে ঘেরা। দেখে মনে হয় যেন খোলা আকাশের নিচে বাইরে যাওয়ার সুযোগহীন একটি উন্মুক্ত জেলখানা। অন্য দিকে হাল ছেড়ে না দেওয়া, বেঁচে থাকার উপায় খুঁজতে থাকা, স্বাধীন জীবনের স্বপ্ন দেখে অনেক মানুষ।

এই শীতের সন্ধ্যায় অফিসে থেকে বাড়ি ফিরে গরমাগরম চায়ে চুমুক তো দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা-ও তো থাকতে হবে। এর জন্য সকালে বের হওয়ার আগে একটি বাটিতে খেসারি ডাল ভিজিয়ে রেখে বের হোন। সন্ধ্যায় তা দিয়ে তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু।
১৩ মিনিট আগে
ছোট ঘরে প্রয়োজনীয় সব আসবাব গুছিয়ে রেখে পরিসর খোলামেলা দেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আধুনিক মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সঠিক আসবাব নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট ঘরটিও করে তুলতে পারবেন আরামদায়ক ও আভিজাত্যপূর্ণ।
২ ঘণ্টা আগে
নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
২০ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা; বিশেষ করে চুলের জন্য কী হতে চলেছে ট্রেন্ডি, তা নিয়ে ফ্যাশন-সচেতনদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। কানাঘুষা চলছে, চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

এই শীতের সন্ধ্যায় অফিসে থেকে বাড়ি ফিরে গরমাগরম চায়ে চুমুক তো দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা-ও তো থাকতে হবে। এর জন্য সকালে বের হওয়ার আগে একটি বাটিতে খেসারি ডাল ভিজিয়ে রেখে বের হোন। সন্ধ্যায় তা দিয়ে তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু। আপনাদের জন্য রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
খেসারি ডাল ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচের কুঁচি ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া, ধনিয়াগুঁড়া, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ এবং সয়াবিন তেল (ভাজার জন্য) পরিমাণমতো।
প্রণালি
ভেজানো খেসারি ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। তারপর পাটায় বেঁটে নিন। একটি বাটিতে সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজু ছেড়ে ডোবা তেলে সোনালি করে ভেজে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু ও মুখরোচক গরম গরম পেঁয়াজু।

এই শীতের সন্ধ্যায় অফিসে থেকে বাড়ি ফিরে গরমাগরম চায়ে চুমুক তো দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা-ও তো থাকতে হবে। এর জন্য সকালে বের হওয়ার আগে একটি বাটিতে খেসারি ডাল ভিজিয়ে রেখে বের হোন। সন্ধ্যায় তা দিয়ে তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু। আপনাদের জন্য রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
খেসারি ডাল ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচের কুঁচি ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া, ধনিয়াগুঁড়া, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ এবং সয়াবিন তেল (ভাজার জন্য) পরিমাণমতো।
প্রণালি
ভেজানো খেসারি ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। তারপর পাটায় বেঁটে নিন। একটি বাটিতে সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজু ছেড়ে ডোবা তেলে সোনালি করে ভেজে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু ও মুখরোচক গরম গরম পেঁয়াজু।

পুণ্যভূমি জেরুজালেম ভ্রমণ করার পর মনে হচ্ছিল, আমি আসল ফিলিস্তিনের দেখা এখনো পাইনি। কারণ, জেরুজালেম একটি মিশ্র শহর, যেখানে অনেক ধর্মের মানুষ বসবাস করে। শহরটি মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান সবার কাছে পবিত্র।
০৯ নভেম্বর ২০২৩
ছোট ঘরে প্রয়োজনীয় সব আসবাব গুছিয়ে রেখে পরিসর খোলামেলা দেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আধুনিক মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সঠিক আসবাব নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট ঘরটিও করে তুলতে পারবেন আরামদায়ক ও আভিজাত্যপূর্ণ।
২ ঘণ্টা আগে
নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
২০ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা; বিশেষ করে চুলের জন্য কী হতে চলেছে ট্রেন্ডি, তা নিয়ে ফ্যাশন-সচেতনদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। কানাঘুষা চলছে, চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস
২০ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

ছোট ঘরে প্রয়োজনীয় সব আসবাব গুছিয়ে রেখে পরিসর খোলামেলা দেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আধুনিক মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সঠিক আসবাব নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট ঘরটিও করে তুলতে পারবেন আরামদায়ক ও আভিজাত্যপূর্ণ। নতুন দম্পতি যাঁরা ছোট ফ্ল্যাটে সংসারজীবন শুরু করতে চলেছেন বা যাঁরা শিক্ষার্থী, শহরে ছোট বাসা নিয়ে থাকছেন, তাঁদের জন্য মাল্টিফাংশনাল আসবাব খুব কাজে দেয়। এতে ঘরের জায়গাও বাঁচে আবার এক আসবাবই হয়ে ওঠে বহু কাজের কাজী।
মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার কী?
সহজ কথায়, যে ফার্নিচারগুলো একাধিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়, সেগুলোই মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার। যেমন একটি সোফা, যা রাতে আবার বিছানা হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এগুলোকে বলা হয় সোফা কাম বেড। আবার একটি ডাইনিং টেবিল, যা প্রয়োজন শেষে ভাঁজ করে দেয়ালের সঙ্গে হেলান দিয়ে রাখা যায়। তখন সেটি হয়ে ওঠে দেয়ালের সাজের একটা অংশ।
ছোট জায়গায় মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিচের টিপসগুলো কাজে লাগাতে পারেন।
দৈনন্দিন প্রয়োজন বুঝে নিন
ফার্নিচার কেনার আগে নিজের জীবনযাত্রা নিয়ে ভাবুন। আপনি বাসায় থেকে কাজ করেন কিনা বা প্রায়ই অতিথির সমাগম হয় কিনা তার ওপর আপনার ফার্নিচার নির্বাচন নির্ভর করবে। আপনি যদি বাসায় বসে অফিসের কাজ করেন, তবে এমন কফি টেবিল বেছে নিন, যা ডেস্ক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। আবার প্রায় অতিথি এলে রাতে ঘুমানোর জন্য সোফা কাম বেড আপনার জন্য আদর্শ।

বহুমুখী ব্যবহারকে প্রাধান্য দিন
এমন আসবাব কিনুন, যা সহজেই একটি থেকে আরেকটিতে রূপান্তর করা সম্ভব। যেমন বসার পাশাপাশি শোয়া বা জিনিস রাখার কাজেও আসবে, এরকম ফার্নিচার নিলে একসঙ্গে একটাতেই অনেক কাজ হয়ে যাবে।
স্টোরেজ সুবিধা দেখে নিন
ছোট ঘরের প্রধান সমস্যা হলো জিনিসপত্র রাখার জায়গার অভাব। তাই হাইডিং স্টোরেজ সুবিধাসহ আসবাব কিনুন। যেমন ড্রয়ারযুক্ত বিছানা কিংবা ভেতরে ফাঁকা থাকা অটোমান বা বসার টুল। এগুলো ঘরকে জঞ্জালমুক্ত রাখবে।
দেয়ালের ব্যবহার
মেঝের জায়গা বাঁচাতে দেয়ালের উচ্চতাকে কাজে লাগান। লম্বা বুকশেলফ বা দেয়ালে সেট করা যায় এমন বুকশেলফ, ড্রেসিং টেবিল বা ডাইনিং টেবিলের ব্যবহার ঘর বড় ও খোলামেলা দেখাবে।
হালকা ও আরামদায়ক আসবাব
ভারী ও বড় আসবাব আসলে ছোট ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। চিকন ও মডুলার ডিজাইনের আসবাব কিনুন। ফোল্ডিং চেয়ার বা টেবিল প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করে সরিয়ে রাখা যায়, যা জায়গাও বাঁচায়।
রঙের সঠিক ব্যবহার
রঙের ওপর ঘরের প্রশস্ততা অনেকটাই নির্ভর করে। হালকা ও নিউট্রাল রং, যেমন সাদা, বেইজ বা হালকা ধূসর রঙে ঘর বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। হালকা রঙের ফার্নিচারও একই কাজ করে এবং ঘরকে অন্ধকার করে দেয় না।

পরিমাণের চেয়ে গুণগত মান দেখুন
অনেক সস্তা ও কম কাজের আসবাব দিয়ে ঘর না ভরিয়ে কয়েকটি মানসম্পন্ন মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার কিনুন। মানসম্পন্ন একটি সোফা-কাম-বেড বা অ্যাডজাস্টেবল ওয়ার্কস্টেশন আপনার দীর্ঘদিনের সঙ্গী হয়ে ঘরে একটা মিনিমালিস্টিক লুক বজায় রাখবে।
কমেন্ট (কোট আনকোট করে লেখার মাঝখানে দেবেন)
ছোট বাসা সাজাতে এমন মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করতে হবে, যেগুলোর গড়ন সোজাসাপ্টা ও যত্ন নেওয়া সহজ। ছোট ঘরের ক্ষেত্রে নিচু আসবাব বাছাই করতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাব রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। বেছে নিতে হবে মিনিমাল আসবাব। এতে করে ঘরের আয়তন অনেকটাই বড় দেখাবে। এতে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারবে এবং ঘরটাকেও বড় দেখাবে।
রুম্মান আরা ফারুকী
প্রধান স্থপতি, ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্টুডিও স্বয়ং

ছোট ঘরে প্রয়োজনীয় সব আসবাব গুছিয়ে রেখে পরিসর খোলামেলা দেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আধুনিক মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সঠিক আসবাব নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট ঘরটিও করে তুলতে পারবেন আরামদায়ক ও আভিজাত্যপূর্ণ। নতুন দম্পতি যাঁরা ছোট ফ্ল্যাটে সংসারজীবন শুরু করতে চলেছেন বা যাঁরা শিক্ষার্থী, শহরে ছোট বাসা নিয়ে থাকছেন, তাঁদের জন্য মাল্টিফাংশনাল আসবাব খুব কাজে দেয়। এতে ঘরের জায়গাও বাঁচে আবার এক আসবাবই হয়ে ওঠে বহু কাজের কাজী।
মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার কী?
সহজ কথায়, যে ফার্নিচারগুলো একাধিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়, সেগুলোই মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার। যেমন একটি সোফা, যা রাতে আবার বিছানা হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এগুলোকে বলা হয় সোফা কাম বেড। আবার একটি ডাইনিং টেবিল, যা প্রয়োজন শেষে ভাঁজ করে দেয়ালের সঙ্গে হেলান দিয়ে রাখা যায়। তখন সেটি হয়ে ওঠে দেয়ালের সাজের একটা অংশ।
ছোট জায়গায় মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিচের টিপসগুলো কাজে লাগাতে পারেন।
দৈনন্দিন প্রয়োজন বুঝে নিন
ফার্নিচার কেনার আগে নিজের জীবনযাত্রা নিয়ে ভাবুন। আপনি বাসায় থেকে কাজ করেন কিনা বা প্রায়ই অতিথির সমাগম হয় কিনা তার ওপর আপনার ফার্নিচার নির্বাচন নির্ভর করবে। আপনি যদি বাসায় বসে অফিসের কাজ করেন, তবে এমন কফি টেবিল বেছে নিন, যা ডেস্ক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। আবার প্রায় অতিথি এলে রাতে ঘুমানোর জন্য সোফা কাম বেড আপনার জন্য আদর্শ।

বহুমুখী ব্যবহারকে প্রাধান্য দিন
এমন আসবাব কিনুন, যা সহজেই একটি থেকে আরেকটিতে রূপান্তর করা সম্ভব। যেমন বসার পাশাপাশি শোয়া বা জিনিস রাখার কাজেও আসবে, এরকম ফার্নিচার নিলে একসঙ্গে একটাতেই অনেক কাজ হয়ে যাবে।
স্টোরেজ সুবিধা দেখে নিন
ছোট ঘরের প্রধান সমস্যা হলো জিনিসপত্র রাখার জায়গার অভাব। তাই হাইডিং স্টোরেজ সুবিধাসহ আসবাব কিনুন। যেমন ড্রয়ারযুক্ত বিছানা কিংবা ভেতরে ফাঁকা থাকা অটোমান বা বসার টুল। এগুলো ঘরকে জঞ্জালমুক্ত রাখবে।
দেয়ালের ব্যবহার
মেঝের জায়গা বাঁচাতে দেয়ালের উচ্চতাকে কাজে লাগান। লম্বা বুকশেলফ বা দেয়ালে সেট করা যায় এমন বুকশেলফ, ড্রেসিং টেবিল বা ডাইনিং টেবিলের ব্যবহার ঘর বড় ও খোলামেলা দেখাবে।
হালকা ও আরামদায়ক আসবাব
ভারী ও বড় আসবাব আসলে ছোট ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। চিকন ও মডুলার ডিজাইনের আসবাব কিনুন। ফোল্ডিং চেয়ার বা টেবিল প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করে সরিয়ে রাখা যায়, যা জায়গাও বাঁচায়।
রঙের সঠিক ব্যবহার
রঙের ওপর ঘরের প্রশস্ততা অনেকটাই নির্ভর করে। হালকা ও নিউট্রাল রং, যেমন সাদা, বেইজ বা হালকা ধূসর রঙে ঘর বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। হালকা রঙের ফার্নিচারও একই কাজ করে এবং ঘরকে অন্ধকার করে দেয় না।

পরিমাণের চেয়ে গুণগত মান দেখুন
অনেক সস্তা ও কম কাজের আসবাব দিয়ে ঘর না ভরিয়ে কয়েকটি মানসম্পন্ন মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার কিনুন। মানসম্পন্ন একটি সোফা-কাম-বেড বা অ্যাডজাস্টেবল ওয়ার্কস্টেশন আপনার দীর্ঘদিনের সঙ্গী হয়ে ঘরে একটা মিনিমালিস্টিক লুক বজায় রাখবে।
কমেন্ট (কোট আনকোট করে লেখার মাঝখানে দেবেন)
ছোট বাসা সাজাতে এমন মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করতে হবে, যেগুলোর গড়ন সোজাসাপ্টা ও যত্ন নেওয়া সহজ। ছোট ঘরের ক্ষেত্রে নিচু আসবাব বাছাই করতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাব রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। বেছে নিতে হবে মিনিমাল আসবাব। এতে করে ঘরের আয়তন অনেকটাই বড় দেখাবে। এতে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারবে এবং ঘরটাকেও বড় দেখাবে।
রুম্মান আরা ফারুকী
প্রধান স্থপতি, ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্টুডিও স্বয়ং

পুণ্যভূমি জেরুজালেম ভ্রমণ করার পর মনে হচ্ছিল, আমি আসল ফিলিস্তিনের দেখা এখনো পাইনি। কারণ, জেরুজালেম একটি মিশ্র শহর, যেখানে অনেক ধর্মের মানুষ বসবাস করে। শহরটি মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান সবার কাছে পবিত্র।
০৯ নভেম্বর ২০২৩
এই শীতের সন্ধ্যায় অফিসে থেকে বাড়ি ফিরে গরমাগরম চায়ে চুমুক তো দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা-ও তো থাকতে হবে। এর জন্য সকালে বের হওয়ার আগে একটি বাটিতে খেসারি ডাল ভিজিয়ে রেখে বের হোন। সন্ধ্যায় তা দিয়ে তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু।
১৩ মিনিট আগে
নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
২০ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা; বিশেষ করে চুলের জন্য কী হতে চলেছে ট্রেন্ডি, তা নিয়ে ফ্যাশন-সচেতনদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। কানাঘুষা চলছে, চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
জাপানি সমাজে ‘হারিয়ো’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা রয়েছে। এই সংস্কৃতিতে মানুষ সব সময় আশপাশের পরিবেশ ও অন্যের অনুভূতির প্রতি সচেতন; যাতে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকে। তবে এই অলিখিত নিয়মগুলো বিদেশিদের জন্য অনেক সময় বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
২০২৫ সালে মার্কিন ভ্রমণবিষয়ক ম্যাগাজিন কঁদে নাস্ত ট্রাভেলারের পাঠক জরিপে জাপান ‘বিশ্বের সেরা দেশ’ নির্বাচিত হওয়ার পর টোকিওতে বসবাসরত খাদ্য ও ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ টোকিও হালফি পর্যটকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আচরণগত পরামর্শ তুলে ধরেন।
নির্ধারিত সময়ের আগে পৌঁছানো
জাপানে সময়নিষ্ঠা শুধু ভদ্রতা নয়, এটি দায়িত্ববোধ। এখানে ‘ঠিক সময়ে পৌঁছানো’ বলতে বোঝায় ৫-১০ মিনিট আগে উপস্থিত হওয়া; বিশেষ করে রেস্তোরাঁয় বুকিং থাকলে। দেরি করাকে এখানে খুবই অসম্মানজনক হিসেবে দেখা হয়। তাই যাতায়াতের সময় সব ধরনের বিলম্বের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা জরুরি।
নীরব থাকা শিষ্টাচার
জাপানিরা শান্ত পরিবেশকে খুব গুরুত্ব দেন। ট্রেন, বাস, রেস্তোরাঁ বা যেকোনো পাবলিক স্থানে উচ্চ স্বরে কথা বলা উচিত নয়। ধীর ও শান্ত কণ্ঠে কথা বলাকে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ধরা হয়।
‘মোত্তাইনাই’ সংস্কৃতি বুঝুন
‘মোত্তাইনাই’ মানে অপচয় না করা। খাবার, সময় বা পরিশ্রম—কোনো কিছুই যেন নষ্ট না হয়। সেটাই এই দর্শনের মূল কথা। খাবারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্ডার না করা, প্রতিটি খাবারের পেছনের শ্রম ও উপাদানের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। এসবই এই সংস্কৃতির অংশ।
খাবারের টেবিলে শালীনতা
জাপানে খাওয়া শুধু দৈনন্দিন কাজ নয়, এটি সাংস্কৃতিক আচারের অংশ। তাই কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি—
গণপরিবহনে শিষ্টাচার
জাপানের গণপরিবহনে চলাচল করার সময় নীরবতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ফোন সাইলেন্ট রাখতে হয়, উচ্চ স্বরে কথা বলা অনুচিত। সাধারণ ট্রেন বা বাসে খাবার খাওয়া নিষেধ। লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে জাপানিরা খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ। আগে নামা যাত্রীদের নামতে দেওয়া হয়। এসকেলেটরেও নিয়ম আছে, টোকিওতে বাঁ পাশে দাঁড়ানো হয়, ওসাকায় ডান পাশে। স্থানীয়দের দেখে অনুসরণ করাই সবচেয়ে ভালো।
আবর্জনা নিজের দায়িত্ব
জাপানের রাস্তাঘাট পরিষ্কার হলেও সেখানে ডাস্টবিন খুব কম দেখা যায়। মানুষ সাধারণত নিজের আবর্জনা ব্যাগে রেখে দেয় এবং নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আলাদা ভাগে (প্লাস্টিক, কাগজ, ধাতু ইত্যাদি) ফেলে।
ব্যক্তিগত পরিসরের প্রতি সম্মান
জাপানিরা ব্যক্তিগত পরিসরকে খুব গুরুত্ব দেন। অপরিচিত কাউকে জড়িয়ে ধরা বা স্পর্শ করা অস্বস্তিকর হতে পারে। করমর্দনের বদলে হালকা নত হয়ে অভিবাদন জানানোই প্রচলিত। প্রকাশ্যে ঘনিষ্ঠ আচরণও সাধারণত গ্রহণযোগ্য নয়।
ট্রাফিক আইন মানা
খালি রাস্তা হলেও জাপানিরা সবুজসংকেত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। নিয়ম মেনে চলাই এখানে সামাজিক দায়িত্বের অংশ। পর্যটকদেরও সেটি অনুসরণ করা উচিত।
কথার আড়ালের অর্থ বোঝা জরুরি
জাপানিরা সাধারণত সরাসরি ‘না’ বলেন না। ‘কঠিন হবে’ বা ‘পরে দেখা যাবে’—এ ধরনের কথার আড়ালে ভদ্রভাবে প্রত্যাখ্যান লুকিয়ে থাকতে পারে। এখানে ‘হোননে’ (মনের কথা) ও ‘তাতেমায়ে’ (সামাজিক মুখোশ) এই দুই ধারণা খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সংঘাত এড়িয়ে সামাজিক সামঞ্জস্য বজায় রাখাই মুখ্য।
সূত্র: সিএন ট্রাভেলার

নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
জাপানি সমাজে ‘হারিয়ো’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা রয়েছে। এই সংস্কৃতিতে মানুষ সব সময় আশপাশের পরিবেশ ও অন্যের অনুভূতির প্রতি সচেতন; যাতে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকে। তবে এই অলিখিত নিয়মগুলো বিদেশিদের জন্য অনেক সময় বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
২০২৫ সালে মার্কিন ভ্রমণবিষয়ক ম্যাগাজিন কঁদে নাস্ত ট্রাভেলারের পাঠক জরিপে জাপান ‘বিশ্বের সেরা দেশ’ নির্বাচিত হওয়ার পর টোকিওতে বসবাসরত খাদ্য ও ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ টোকিও হালফি পর্যটকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আচরণগত পরামর্শ তুলে ধরেন।
নির্ধারিত সময়ের আগে পৌঁছানো
জাপানে সময়নিষ্ঠা শুধু ভদ্রতা নয়, এটি দায়িত্ববোধ। এখানে ‘ঠিক সময়ে পৌঁছানো’ বলতে বোঝায় ৫-১০ মিনিট আগে উপস্থিত হওয়া; বিশেষ করে রেস্তোরাঁয় বুকিং থাকলে। দেরি করাকে এখানে খুবই অসম্মানজনক হিসেবে দেখা হয়। তাই যাতায়াতের সময় সব ধরনের বিলম্বের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা জরুরি।
নীরব থাকা শিষ্টাচার
জাপানিরা শান্ত পরিবেশকে খুব গুরুত্ব দেন। ট্রেন, বাস, রেস্তোরাঁ বা যেকোনো পাবলিক স্থানে উচ্চ স্বরে কথা বলা উচিত নয়। ধীর ও শান্ত কণ্ঠে কথা বলাকে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ধরা হয়।
‘মোত্তাইনাই’ সংস্কৃতি বুঝুন
‘মোত্তাইনাই’ মানে অপচয় না করা। খাবার, সময় বা পরিশ্রম—কোনো কিছুই যেন নষ্ট না হয়। সেটাই এই দর্শনের মূল কথা। খাবারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্ডার না করা, প্রতিটি খাবারের পেছনের শ্রম ও উপাদানের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। এসবই এই সংস্কৃতির অংশ।
খাবারের টেবিলে শালীনতা
জাপানে খাওয়া শুধু দৈনন্দিন কাজ নয়, এটি সাংস্কৃতিক আচারের অংশ। তাই কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি—
গণপরিবহনে শিষ্টাচার
জাপানের গণপরিবহনে চলাচল করার সময় নীরবতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ফোন সাইলেন্ট রাখতে হয়, উচ্চ স্বরে কথা বলা অনুচিত। সাধারণ ট্রেন বা বাসে খাবার খাওয়া নিষেধ। লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে জাপানিরা খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ। আগে নামা যাত্রীদের নামতে দেওয়া হয়। এসকেলেটরেও নিয়ম আছে, টোকিওতে বাঁ পাশে দাঁড়ানো হয়, ওসাকায় ডান পাশে। স্থানীয়দের দেখে অনুসরণ করাই সবচেয়ে ভালো।
আবর্জনা নিজের দায়িত্ব
জাপানের রাস্তাঘাট পরিষ্কার হলেও সেখানে ডাস্টবিন খুব কম দেখা যায়। মানুষ সাধারণত নিজের আবর্জনা ব্যাগে রেখে দেয় এবং নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আলাদা ভাগে (প্লাস্টিক, কাগজ, ধাতু ইত্যাদি) ফেলে।
ব্যক্তিগত পরিসরের প্রতি সম্মান
জাপানিরা ব্যক্তিগত পরিসরকে খুব গুরুত্ব দেন। অপরিচিত কাউকে জড়িয়ে ধরা বা স্পর্শ করা অস্বস্তিকর হতে পারে। করমর্দনের বদলে হালকা নত হয়ে অভিবাদন জানানোই প্রচলিত। প্রকাশ্যে ঘনিষ্ঠ আচরণও সাধারণত গ্রহণযোগ্য নয়।
ট্রাফিক আইন মানা
খালি রাস্তা হলেও জাপানিরা সবুজসংকেত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। নিয়ম মেনে চলাই এখানে সামাজিক দায়িত্বের অংশ। পর্যটকদেরও সেটি অনুসরণ করা উচিত।
কথার আড়ালের অর্থ বোঝা জরুরি
জাপানিরা সাধারণত সরাসরি ‘না’ বলেন না। ‘কঠিন হবে’ বা ‘পরে দেখা যাবে’—এ ধরনের কথার আড়ালে ভদ্রভাবে প্রত্যাখ্যান লুকিয়ে থাকতে পারে। এখানে ‘হোননে’ (মনের কথা) ও ‘তাতেমায়ে’ (সামাজিক মুখোশ) এই দুই ধারণা খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সংঘাত এড়িয়ে সামাজিক সামঞ্জস্য বজায় রাখাই মুখ্য।
সূত্র: সিএন ট্রাভেলার

পুণ্যভূমি জেরুজালেম ভ্রমণ করার পর মনে হচ্ছিল, আমি আসল ফিলিস্তিনের দেখা এখনো পাইনি। কারণ, জেরুজালেম একটি মিশ্র শহর, যেখানে অনেক ধর্মের মানুষ বসবাস করে। শহরটি মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান সবার কাছে পবিত্র।
০৯ নভেম্বর ২০২৩
এই শীতের সন্ধ্যায় অফিসে থেকে বাড়ি ফিরে গরমাগরম চায়ে চুমুক তো দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা-ও তো থাকতে হবে। এর জন্য সকালে বের হওয়ার আগে একটি বাটিতে খেসারি ডাল ভিজিয়ে রেখে বের হোন। সন্ধ্যায় তা দিয়ে তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু।
১৩ মিনিট আগে
ছোট ঘরে প্রয়োজনীয় সব আসবাব গুছিয়ে রেখে পরিসর খোলামেলা দেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আধুনিক মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সঠিক আসবাব নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট ঘরটিও করে তুলতে পারবেন আরামদায়ক ও আভিজাত্যপূর্ণ।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা; বিশেষ করে চুলের জন্য কী হতে চলেছে ট্রেন্ডি, তা নিয়ে ফ্যাশন-সচেতনদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। কানাঘুষা চলছে, চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস
২০ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

২০২৬ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা; বিশেষ করে চুলের জন্য কী হতে চলেছে ট্রেন্ডি, তা নিয়ে ফ্যাশন-সচেতনদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। কানাঘুষা চলছে, চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস পলিশ ইয়ার’; যেখানে কৃত্রিমতার চেয়ে চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিগত রুচি বেশি প্রাধান্য পাবে। তবে বছরের শুরুতে যাঁরা নতুন হেয়ারকাট নিয়ে সবার সামনে হাজির হতে চাইছেন, তাঁরা অপেক্ষা না করে এই হেয়ারকাটগুলোর যেকোনোটি বেছে নিতে পারেন।
গ্র্যাজুয়েট বব
গতানুগতিক বব কাটের চিরচেনা রূপ ছাপিয়ে ২০২৬ সালে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকতে পারে ‘গ্র্যাজুয়েট বব’। এতে পেছনের দিকের চুলগুলো কিছুটা ছোট ও সূক্ষ্ম টেক্সচারযুক্ত থাকে এবং সামনের দিকের চুলগুলো ক্রমান্বয়ে কিছুটা লম্বা হয়ে আসে। মানে, দুই কানের পাশের চুলগুলো মাথার পেছনের অংশের চুলের তুলনায় পয়েন্ট আকারে লম্বা হয়ে নামে। এই কাট চুলে চমৎকার ভলিউম যোগ করে। যাঁরা ঘরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে—উভয় ক্ষেত্রে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী, স্মার্ট এবং একই সঙ্গে বেশ পরিপাটি হিসেবে উপস্থাপন করতে চান, তাঁদের জন্য এই কাট হবে সেরা পছন্দ।
ডিসকানেক্টেড ফ্রিঞ্জ
যাঁরা একটু বোল্ড ও ব্যতিক্রম লুকে নিজেকে দেখতে চান, তাঁদের জন্য এই ডিসকানেক্টেড ফ্রিঞ্জ লুক। এই হেয়ারস্টাইলের মূল বিশেষত্ব হলো কপালের সামনের ছোট করে ছাঁটা চুলগুলো; যা বাকি চুলের সঙ্গে মিশে না গিয়ে কিছুটা আলাদা বা ‘ডিসকানেক্টেড’ অবস্থায় থাকে। এটি আপনার চেহারায় একটি আত্মবিশ্বাসী ও বোল্ড লুক নিয়ে আসবে।
সাইড ফ্রিঞ্জ
কোমল আর মায়াবী একটি লুকের জন্য সাইড ফ্রিঞ্জের আবেদন চিরন্তন। চুলের দৈর্ঘ্য যেমনই হোক, এক পাশে আলতো করে ঝুলে থাকা এই চুলগুলো চেহারায় একটি চমৎকার ‘ফেস-ফ্রেমিং’ ইফেক্ট তৈরি করে, যা মুখের গড়নকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। যাঁরা চুলে খুব বেশি কাটছাঁট না করে পরিবর্তন আনতে চান, এই স্টাইল তাঁদের জন্য।
প্রতিবছর বিভিন্ন হেয়ারকাট ট্রেন্ডে আসে। তবে ট্রেন্ডে থাকলে কিংবা ভালো লাগলেই যেকোনো হেয়ারকাট দেওয়াটা উচিত নয়। মুখের গড়ন ও চুলের ধরন বুঝে হেয়ারকাট বেছে নিতে হবে। না হলে পুরো লুকটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।–শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী
স্ক্যাল্পটেড কার্লস
যাঁদের চুল প্রাকৃতিকভাবেই কোঁকড়া, তাঁদের জন্য সুসংবাদ। আগামী বছরের ফ্যাশনে কৃত্রিমভাবে চুল সোজা করার চেয়ে চুলের স্বাভাবিক টেক্সচার বা গঠনই বেশি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট শেপ বা আকৃতিতে সাজানো এই ‘স্ক্যাল্পচারাল কার্লস’ আপনার পুরো লুকে যোগ করবে অনন্য এক মাত্রা। এটি চুলের স্বাভাবিক ভলিউম বজায় রেখে চুলে আনে প্রাণবন্ত ভাব। যাঁরা নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে একটু ভালোভাবে তুলে ধরতে চান, তাঁদের জন্য এই স্টাইল হবে আগামী বছরের সেরা পছন্দ।

সফট কার্ভ বব
হলিউডের পুরোনো সিনেমা দেখতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা বেছে নিতে পারেন এই হেয়ারকাট। ঘাড় পর্যন্ত কাটা চুলের আগার অংশ সামান্য কার্ভ করা থাকে এই হেয়ারস্টাইলে। শুধু এক পাশে সিঁথি কেটে পরিপাটি করে আঁচড়ে নিলেই চুল নিয়ে আর কোনো ভাবনা নেই।

চুলে প্রাধান্য পাবে চকচকে রঙ
চুলের রঙের ক্ষেত্রে আগামী বছর রাজত্ব করতে চলেছে গাঢ় বাদামি বা ল্যাভিস ব্রুনেট শেডের নানা বৈচিত্র্য। ধারণা করা হচ্ছে, বিশেষ করে কফি মোকা বা এসপ্রেসোর মতো উজ্জ্বল ও চকচকে রংগুলো ফ্যাশন-সচেতনদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে। এই শেডগুলোর বিশেষত্ব হলো এদের অসাধারণ উজ্জ্বলতা ও গ্লসি ফিনিশ, যা চুলে একটি প্রাকৃতিক কিন্তু অত্যন্ত ‘লাক্সারিয়াস’ বা বিলাসবহুল ভাব ফুটিয়ে তোলে। সেই সঙ্গে এই রংগুলো বাংলাদেশি স্কিন টোনগুলোর সঙ্গে খুব ভালো মানায় এবং চুলে একটা স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভাব আনে।

২০২৬ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা; বিশেষ করে চুলের জন্য কী হতে চলেছে ট্রেন্ডি, তা নিয়ে ফ্যাশন-সচেতনদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। কানাঘুষা চলছে, চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস পলিশ ইয়ার’; যেখানে কৃত্রিমতার চেয়ে চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিগত রুচি বেশি প্রাধান্য পাবে। তবে বছরের শুরুতে যাঁরা নতুন হেয়ারকাট নিয়ে সবার সামনে হাজির হতে চাইছেন, তাঁরা অপেক্ষা না করে এই হেয়ারকাটগুলোর যেকোনোটি বেছে নিতে পারেন।
গ্র্যাজুয়েট বব
গতানুগতিক বব কাটের চিরচেনা রূপ ছাপিয়ে ২০২৬ সালে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকতে পারে ‘গ্র্যাজুয়েট বব’। এতে পেছনের দিকের চুলগুলো কিছুটা ছোট ও সূক্ষ্ম টেক্সচারযুক্ত থাকে এবং সামনের দিকের চুলগুলো ক্রমান্বয়ে কিছুটা লম্বা হয়ে আসে। মানে, দুই কানের পাশের চুলগুলো মাথার পেছনের অংশের চুলের তুলনায় পয়েন্ট আকারে লম্বা হয়ে নামে। এই কাট চুলে চমৎকার ভলিউম যোগ করে। যাঁরা ঘরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে—উভয় ক্ষেত্রে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী, স্মার্ট এবং একই সঙ্গে বেশ পরিপাটি হিসেবে উপস্থাপন করতে চান, তাঁদের জন্য এই কাট হবে সেরা পছন্দ।
ডিসকানেক্টেড ফ্রিঞ্জ
যাঁরা একটু বোল্ড ও ব্যতিক্রম লুকে নিজেকে দেখতে চান, তাঁদের জন্য এই ডিসকানেক্টেড ফ্রিঞ্জ লুক। এই হেয়ারস্টাইলের মূল বিশেষত্ব হলো কপালের সামনের ছোট করে ছাঁটা চুলগুলো; যা বাকি চুলের সঙ্গে মিশে না গিয়ে কিছুটা আলাদা বা ‘ডিসকানেক্টেড’ অবস্থায় থাকে। এটি আপনার চেহারায় একটি আত্মবিশ্বাসী ও বোল্ড লুক নিয়ে আসবে।
সাইড ফ্রিঞ্জ
কোমল আর মায়াবী একটি লুকের জন্য সাইড ফ্রিঞ্জের আবেদন চিরন্তন। চুলের দৈর্ঘ্য যেমনই হোক, এক পাশে আলতো করে ঝুলে থাকা এই চুলগুলো চেহারায় একটি চমৎকার ‘ফেস-ফ্রেমিং’ ইফেক্ট তৈরি করে, যা মুখের গড়নকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। যাঁরা চুলে খুব বেশি কাটছাঁট না করে পরিবর্তন আনতে চান, এই স্টাইল তাঁদের জন্য।
প্রতিবছর বিভিন্ন হেয়ারকাট ট্রেন্ডে আসে। তবে ট্রেন্ডে থাকলে কিংবা ভালো লাগলেই যেকোনো হেয়ারকাট দেওয়াটা উচিত নয়। মুখের গড়ন ও চুলের ধরন বুঝে হেয়ারকাট বেছে নিতে হবে। না হলে পুরো লুকটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।–শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী
স্ক্যাল্পটেড কার্লস
যাঁদের চুল প্রাকৃতিকভাবেই কোঁকড়া, তাঁদের জন্য সুসংবাদ। আগামী বছরের ফ্যাশনে কৃত্রিমভাবে চুল সোজা করার চেয়ে চুলের স্বাভাবিক টেক্সচার বা গঠনই বেশি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট শেপ বা আকৃতিতে সাজানো এই ‘স্ক্যাল্পচারাল কার্লস’ আপনার পুরো লুকে যোগ করবে অনন্য এক মাত্রা। এটি চুলের স্বাভাবিক ভলিউম বজায় রেখে চুলে আনে প্রাণবন্ত ভাব। যাঁরা নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে একটু ভালোভাবে তুলে ধরতে চান, তাঁদের জন্য এই স্টাইল হবে আগামী বছরের সেরা পছন্দ।

সফট কার্ভ বব
হলিউডের পুরোনো সিনেমা দেখতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা বেছে নিতে পারেন এই হেয়ারকাট। ঘাড় পর্যন্ত কাটা চুলের আগার অংশ সামান্য কার্ভ করা থাকে এই হেয়ারস্টাইলে। শুধু এক পাশে সিঁথি কেটে পরিপাটি করে আঁচড়ে নিলেই চুল নিয়ে আর কোনো ভাবনা নেই।

চুলে প্রাধান্য পাবে চকচকে রঙ
চুলের রঙের ক্ষেত্রে আগামী বছর রাজত্ব করতে চলেছে গাঢ় বাদামি বা ল্যাভিস ব্রুনেট শেডের নানা বৈচিত্র্য। ধারণা করা হচ্ছে, বিশেষ করে কফি মোকা বা এসপ্রেসোর মতো উজ্জ্বল ও চকচকে রংগুলো ফ্যাশন-সচেতনদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে। এই শেডগুলোর বিশেষত্ব হলো এদের অসাধারণ উজ্জ্বলতা ও গ্লসি ফিনিশ, যা চুলে একটি প্রাকৃতিক কিন্তু অত্যন্ত ‘লাক্সারিয়াস’ বা বিলাসবহুল ভাব ফুটিয়ে তোলে। সেই সঙ্গে এই রংগুলো বাংলাদেশি স্কিন টোনগুলোর সঙ্গে খুব ভালো মানায় এবং চুলে একটা স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভাব আনে।

পুণ্যভূমি জেরুজালেম ভ্রমণ করার পর মনে হচ্ছিল, আমি আসল ফিলিস্তিনের দেখা এখনো পাইনি। কারণ, জেরুজালেম একটি মিশ্র শহর, যেখানে অনেক ধর্মের মানুষ বসবাস করে। শহরটি মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিষ্টান সবার কাছে পবিত্র।
০৯ নভেম্বর ২০২৩
এই শীতের সন্ধ্যায় অফিসে থেকে বাড়ি ফিরে গরমাগরম চায়ে চুমুক তো দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা-ও তো থাকতে হবে। এর জন্য সকালে বের হওয়ার আগে একটি বাটিতে খেসারি ডাল ভিজিয়ে রেখে বের হোন। সন্ধ্যায় তা দিয়ে তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু।
১৩ মিনিট আগে
ছোট ঘরে প্রয়োজনীয় সব আসবাব গুছিয়ে রেখে পরিসর খোলামেলা দেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আধুনিক মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সঠিক আসবাব নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট ঘরটিও করে তুলতে পারবেন আরামদায়ক ও আভিজাত্যপূর্ণ।
২ ঘণ্টা আগে
নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
২০ ঘণ্টা আগে