
নিকোলাস চাজি ও মাথিল্ড ভোনির প্রথম দেখা হয় ২০১৫ সালে। দুজনেরই বন্ধু এমন একজনের বাসার এক অনুষ্ঠানে। আলাপচারিতার একপর্যায়ে জানতে পারেন, দুজনের একটি বিষয়ে দারুণ মিল, সেটি ভ্রমণের আগ্রহ। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে স্নাতকোত্তর শ্রেণির পড়ালেখা করছিলেন দুজনেই। একজনের আরেকজনকে এতটাই ভালো লেগে যায় যে প্রথম ডেটটা কোথায় করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন। সিদ্ধান্ত হলো, এটা হবে বেলজিয়ামের সড়কে একটি ভ্রমণ।
‘বেলজিয়ামের সড়কে একটি ভ্রমণ দিয়ে এর শুরু’, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন থাইল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ২৯ বছর বয়স্ক নিকোলাস চাজি, ‘তারপর থেকে আমরা একসঙ্গে ছুটির দিন কাটাতে লাগলাম আর সড়কপথে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে শুরু করলাম।’
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পরের কয়েকটা বছর ছোট ছোট ভ্রমণ করলেন দুজনে। তারপরই ভাবলেন, পরের ভ্রমণটা আরও লম্বা হবে, বিশ্বের নানা প্রান্তে এক বছরের একটা ভ্রমণ পরিকল্পনা ডালপালা মেলতে লাগল তাঁদের মনে।
একই স্বপ্ন
‘আমাদের চিন্তাভাবনা ছিল কীভাবে ভ্রমণটা চালিয়ে যাওয়া যায়,’ বলেন ফ্রান্স থেকে আসা ২৯ বছরের ভোনি, ‘আমাদের দুজনেরই স্বপ্ন ছিল একই, তবে প্রথমে ভেবেছিলাম এটা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’
যখন বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ করলেন, তখন মনে হলো স্বপ্নটি সত্যি করা সম্ভব। এ জন্য তাঁদের বেশ কিছু অর্থ জমাতে হবে আর জীবনধারায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে।
ভোনি জানান, তাঁরা বুঝতে পারেন, সব কটি গন্তব্য ঘুরে দেখার জন্য অন্তত তিন বছর সময় দিতে হবে তাঁদের। ‘এই কাজটা শেষ করা ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে আমাদের।’ বলেন তিনি।
নিজেদের তিন বছর সময় দিলেন তাঁরা ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত অর্থ জমানোর জন্য। ওই অর্থ দিয়ে তাঁরা গাড়িতে চেপে সাত মহাদেশের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করবেন, অতিক্রম করবেন ৩ লাখ কিলোমিটারের মতো দূরত্ব।
প্রতি মাসের আয়ের একটি বড় অংশ আলাদা একটি অ্যাকাউন্টে এ বাবদ জমা করতে লাগলেন তাঁরা। চাজি জানান, এ সময় বেশ কঠোর জীবন-যাপন শুরু করেন। রেস্তোরাঁর খরচ কমিয়ে দিলেন, বেঁচে দিলেন খুব দরকারি ছাড়া বাকি সবকিছু।
২০২০ সালের আগস্টে ২০১২ মডেলের একটি ল্যান্ডরোভার ডিফেন্ডার কেনেন তাঁরা। নাম রাখেন অ্যালবাট্রস। একে চার চাকার ওপরে ছোট্ট এক ঘরে বদলে নিলেন। এর মধ্যে আছে রূপান্তর সক্ষম একটি বিছানা, সোফা আর মাথার ওপরে প্রয়োজন হলে টাঙানো যায় এমন একটি ছাদ।
যখন তিন বছরের সময়সীমার শেষে পৌঁছালেন, তখন লক্ষ্যমাত্রা থেকে কিছুটা পিছিয়ে তাঁরা। হিসাব করেছিলেন প্রতিবছরের জন্য ৩০ হাজার ইউরোর মতো প্রয়োজন হবে তাঁদের। তবে যা-ই হোক, এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
‘পরিকল্পনা করার মতো অনেক কিছু ছিল, ’ বলেন চাজি, ‘শেষ মিনিট পর্যন্ত ব্যস্ত থাকতে হলো আমাদের।’
২০২১ সালে নেক্সট মেরিডিয়ান ডট এক্সপিডিশন নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলেন দুজনে। তাঁদের ভ্রমণের ভিডিও দেওয়াই উদ্দেশ্য। তাঁদের পরীক্ষামূলক ভ্রমণগুলোর একটির ভিডিও এতে পোস্ট করেন।
রোমাঞ্চকর ভ্রমণ
২০২২ সালের এপ্রিলে তাঁদের মূল যাত্রা শুরু হলো ফ্রান্স থেকে। লুক্সেমবার্গ, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড হয়ে একটি চক্র সম্পন্ন করলেন তাঁরা।
মজার ঘটনা, তাঁদের বিভিন্ন ভ্রমণের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা এবং সামনে কোথায় যাচ্ছেন জানানোর পর চাজি ও ভোনি আবিষ্কার করলেন, মানুষ তাঁদের ভ্রমণে রাত কাটানোর জন্য জায়গা দিতে চাচ্ছে। ডেনমার্কে এ রকম একটি প্রস্তাবে রাজি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
‘ডিনারে বসে আলাপ করলেন আমরা (আমন্ত্রণদাতার সঙ্গে)। বুঝতে পারলাম, দুই সপ্তাহ ভ্রমণের সময় ওই এক রাতে বেশি জানতে পেরেছি।’ প্রথম এ রকম থাকার অভিজ্ঞতা বলেন ভোনি, ‘ওই একজন মানুষ আমাদের জায়গাটি সম্পর্কে অনেক তথ্য দিলেন।’
তারপর থেকে তাঁরা ঠিক করলেন, এ ধরনের প্রস্তাবগুলোয় রাজি হয়ে যাবেন। এতে চলার পথে নতুন সব পথ খুলে যাবে।
‘যে দেশেই যাই, অনেক লোকের কাছ থেকে তাঁদের বাড়িতে যাওয়ার আমন্ত্রণ পাই আমরা।’ বলেন চাজি, ‘কাজেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এমন মানুষদের লম্বা একটি তালিকা আছে আমাদের কাছে।’
ইউরোপ ভ্রমণের শেষ দিকে অ্যালবাট্রসকে জাহাজে করে কানাডার হালিফাক্সে পাঠিয়ে দেন। আর তাঁরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ফেরেন ফ্রান্সে। তারপর উড়োজাহাজে কানাডা পৌঁছে প্রিয় গাড়িটায় চেপে বসেন আবার। মার্কিন মুলুকের গোটা আলাস্কা অঙ্গরাজ্য পেরোনোর পর অতিক্রম করেন ওয়াইয়োমিং, কলোরাডো, উতাহ ও অ্যারিজোনা। সেখান থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পেরিয়ে গাড়ি নিয়ে মেক্সিকো ভ্রমণ শেষে প্রবেশ করেন মধ্য আমেরিকায়।
একে একে বেলিজ, গুয়াতেমালা, এল সালভেদর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা এবং পানামা ভ্রমণ করেন। তরপর কলম্বিয়াগামী জাহাজে তুলে দেন অ্যালবাট্রসকে।
আন্তরিক অভ্যর্থনা
কলম্বিয়া থেকে অ্যালবাট্রস নিয়ে তাঁরা যান ইকুয়েডরে। লেখাটি লেখার সময় পেরুর দিকে চলেছেন তাঁরা। ভ্রমণ শুরু করার পর এল সালভেদর ছাড়া যে দেশেই গেছেন, অন্তত একটি রাত কাটিয়েছেন এ জুটি।
‘প্রতিটি দেশের বেলাতেই আমাদের উদ্দেশ্য হলো কারও বাড়িতে যাওয়া, এক বা দুই রাত কাটানো, দেশটি সম্পর্কে যতটা সম্ভব জানা, ’ বলেন চাজি, ‘স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা করা, খাবারের স্বাদ নেওয়া এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা।’
‘কারণ, আমরা খেয়াল করলাম, একটি জলপ্রপাত বা পর্বত দেখার চেয়ে এ বিষয়টি স্মৃতির ওপর বেশি প্রভাব বিস্তার করে।’
এ জুটি জানান, অস্ট্রেলিয়ায় কমপক্ষে ৩০ জন এবং চিলিতে ৫০ জনের মতো মানুষ তাঁদের রাতের জন্য একটি আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
‘অনেক লোকই আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, এগুলোর মধ্যে বাছাই করা কঠিন, ’ চাজি মন্তব্য করেন, ‘তবে আমরা অন্তত একটি বিষয় করার চেষ্টা করি। যে দেশে যাই, আমরা সব সময় এমন একজন স্থানীয় ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি, যিনি অ্যালবাট্রসের ওপর ওই দেশের পতাকা সেঁটে দেবেন।’
ভ্রমণের সময় কখনো কখনো ঝামেলায়ও পড়তে হয়েছে তাঁদের। মেক্সিকোর কথাই ধরুন। হাঁটুতে ব্যথা পাওয়ার কারণে একটি অপারেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় চাজিকে। এতে সেখানে কয়েকটি সপ্তাহ বাড়তি থাকতে হয় তাঁদের। অ্যালবাট্রসের কারিগরি কিছু সমস্যাও দেখা দেয় কয়েকবার।
‘লোকেরা মজা করে বলে, আপনার যদি ল্যান্ডরোভার থাকে, তবে আপনি একজন মেকানিকে পরিণত হবেন’ চাজি বলেন, ‘এখন আমি আসলেই জানি, কীভাবে খুচরা যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করতে হয়। আর গাড়ির যন্ত্রপাতিগুলো খুলে ফেলে পরে আবার জায়গামতো বসিয়ে দিতে মোটেই ভয় পাই না।’
বৈরী আবহাওয়া
গাড়ির সমস্যা ছাড়া বৈরী আবহাওয়াও তাদের বেগ দিয়েছে বলে জানান এই যুগল।
‘মধ্য আমেরিকায় পাঁচ মাস ধরে দিনের বেলা আর্দ্রতা আকাশচুম্বী থাকে, ঘামে জবজবে হয়ে যাবে আপনার শরীর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আবার পেয়েছি এর বিপরীত চিত্র।’
চাজি মধ্য আমেরিকায় কাটানো প্রতিটি দিন ও রাতের সেই ঘামে গোসল করার স্মৃতি স্মরণ করে জানান, এখন ইকুয়েডরের পাহাড়ি এলাকায় বেশ আনন্দে আছেন।
পেরুতে পৌঁছার পর আর্জেন্টিনার মধ্য দিয়ে যাবেন। তারপরের গন্তব্য অ্যান্টার্কটিকা। সফরের পরের ধাপটি তাদের নিয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়ায়, তারপর নিজেদের আবিষ্কার করতে চান এশিয়ায়।
যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী যায়, ভ্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়ে ইউরোপে ফিরে যাওয়ার আগে আফ্রিকা পাড়ি দেবেন অ্যালবাট্রস নিয়ে।
চাজি বলেছেন, তিনি বিশেষভাবে আফ্রিকাকে গভীরভাবে জানতে উন্মুখ হয়ে আছেন। এটিকে তাঁর ‘প্রিয় মহাদেশ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। যদিও তাঁরা যাত্রায় এক বছরের বেশি সময় ইতিমধ্যে পার করেছেন, পথে বিভিন্ন কারণে দেরি হওয়ায় ভ্রমণ সময় অন্তত এক বছর বাড়াতে হবে বলে মনে করেন।
অনুপ্রেরণার যাত্রা
তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা অংশীদারের সঙ্গেও কাজ করছেন। এঁদের মধ্যে আছে জাহাজ নিয়ে রোমাঞ্চকর অভিযানে বের হয় এমন কোম্পানিও।
তাঁদের এই ভ্রমণের যে কিছু চমৎকার দিক আছে, সেগুলো জানিয়েছেন এ যুগল।
‘যখন কোনো কাজে থাকেন, তখন আপনার কাছে এত সময় থাকে না,’ চাজি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের এখন চিন্তা করার জন্য অনেক সময় আছে।’
‘জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্যসহ নানা বিষয়ে আকর্ষণীয় সব পরিকল্পনা আমাদের মাথায় আসে।’
আপাতত অবশ্য নিজেদের এই দুঃসাহসিক অভিযানের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।
‘আমরা এসব ধারণা আমাদের মাথার এক পাশে জমা করে রেখেছি,’ চাজি বলেন, ‘তিন বা চার বছর পরে আমরা দেখব কী হয়।’
‘আমরা এখনই কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না; কারণ, আমাদের সামনে অনেকটা পথ যেতে হবে।’

নিকোলাস চাজি ও মাথিল্ড ভোনির প্রথম দেখা হয় ২০১৫ সালে। দুজনেরই বন্ধু এমন একজনের বাসার এক অনুষ্ঠানে। আলাপচারিতার একপর্যায়ে জানতে পারেন, দুজনের একটি বিষয়ে দারুণ মিল, সেটি ভ্রমণের আগ্রহ। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে স্নাতকোত্তর শ্রেণির পড়ালেখা করছিলেন দুজনেই। একজনের আরেকজনকে এতটাই ভালো লেগে যায় যে প্রথম ডেটটা কোথায় করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন। সিদ্ধান্ত হলো, এটা হবে বেলজিয়ামের সড়কে একটি ভ্রমণ।
‘বেলজিয়ামের সড়কে একটি ভ্রমণ দিয়ে এর শুরু’, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন থাইল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ২৯ বছর বয়স্ক নিকোলাস চাজি, ‘তারপর থেকে আমরা একসঙ্গে ছুটির দিন কাটাতে লাগলাম আর সড়কপথে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে শুরু করলাম।’
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পরের কয়েকটা বছর ছোট ছোট ভ্রমণ করলেন দুজনে। তারপরই ভাবলেন, পরের ভ্রমণটা আরও লম্বা হবে, বিশ্বের নানা প্রান্তে এক বছরের একটা ভ্রমণ পরিকল্পনা ডালপালা মেলতে লাগল তাঁদের মনে।
একই স্বপ্ন
‘আমাদের চিন্তাভাবনা ছিল কীভাবে ভ্রমণটা চালিয়ে যাওয়া যায়,’ বলেন ফ্রান্স থেকে আসা ২৯ বছরের ভোনি, ‘আমাদের দুজনেরই স্বপ্ন ছিল একই, তবে প্রথমে ভেবেছিলাম এটা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’
যখন বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ করলেন, তখন মনে হলো স্বপ্নটি সত্যি করা সম্ভব। এ জন্য তাঁদের বেশ কিছু অর্থ জমাতে হবে আর জীবনধারায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে।
ভোনি জানান, তাঁরা বুঝতে পারেন, সব কটি গন্তব্য ঘুরে দেখার জন্য অন্তত তিন বছর সময় দিতে হবে তাঁদের। ‘এই কাজটা শেষ করা ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে আমাদের।’ বলেন তিনি।
নিজেদের তিন বছর সময় দিলেন তাঁরা ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত অর্থ জমানোর জন্য। ওই অর্থ দিয়ে তাঁরা গাড়িতে চেপে সাত মহাদেশের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করবেন, অতিক্রম করবেন ৩ লাখ কিলোমিটারের মতো দূরত্ব।
প্রতি মাসের আয়ের একটি বড় অংশ আলাদা একটি অ্যাকাউন্টে এ বাবদ জমা করতে লাগলেন তাঁরা। চাজি জানান, এ সময় বেশ কঠোর জীবন-যাপন শুরু করেন। রেস্তোরাঁর খরচ কমিয়ে দিলেন, বেঁচে দিলেন খুব দরকারি ছাড়া বাকি সবকিছু।
২০২০ সালের আগস্টে ২০১২ মডেলের একটি ল্যান্ডরোভার ডিফেন্ডার কেনেন তাঁরা। নাম রাখেন অ্যালবাট্রস। একে চার চাকার ওপরে ছোট্ট এক ঘরে বদলে নিলেন। এর মধ্যে আছে রূপান্তর সক্ষম একটি বিছানা, সোফা আর মাথার ওপরে প্রয়োজন হলে টাঙানো যায় এমন একটি ছাদ।
যখন তিন বছরের সময়সীমার শেষে পৌঁছালেন, তখন লক্ষ্যমাত্রা থেকে কিছুটা পিছিয়ে তাঁরা। হিসাব করেছিলেন প্রতিবছরের জন্য ৩০ হাজার ইউরোর মতো প্রয়োজন হবে তাঁদের। তবে যা-ই হোক, এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
‘পরিকল্পনা করার মতো অনেক কিছু ছিল, ’ বলেন চাজি, ‘শেষ মিনিট পর্যন্ত ব্যস্ত থাকতে হলো আমাদের।’
২০২১ সালে নেক্সট মেরিডিয়ান ডট এক্সপিডিশন নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলেন দুজনে। তাঁদের ভ্রমণের ভিডিও দেওয়াই উদ্দেশ্য। তাঁদের পরীক্ষামূলক ভ্রমণগুলোর একটির ভিডিও এতে পোস্ট করেন।
রোমাঞ্চকর ভ্রমণ
২০২২ সালের এপ্রিলে তাঁদের মূল যাত্রা শুরু হলো ফ্রান্স থেকে। লুক্সেমবার্গ, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড হয়ে একটি চক্র সম্পন্ন করলেন তাঁরা।
মজার ঘটনা, তাঁদের বিভিন্ন ভ্রমণের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা এবং সামনে কোথায় যাচ্ছেন জানানোর পর চাজি ও ভোনি আবিষ্কার করলেন, মানুষ তাঁদের ভ্রমণে রাত কাটানোর জন্য জায়গা দিতে চাচ্ছে। ডেনমার্কে এ রকম একটি প্রস্তাবে রাজি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
‘ডিনারে বসে আলাপ করলেন আমরা (আমন্ত্রণদাতার সঙ্গে)। বুঝতে পারলাম, দুই সপ্তাহ ভ্রমণের সময় ওই এক রাতে বেশি জানতে পেরেছি।’ প্রথম এ রকম থাকার অভিজ্ঞতা বলেন ভোনি, ‘ওই একজন মানুষ আমাদের জায়গাটি সম্পর্কে অনেক তথ্য দিলেন।’
তারপর থেকে তাঁরা ঠিক করলেন, এ ধরনের প্রস্তাবগুলোয় রাজি হয়ে যাবেন। এতে চলার পথে নতুন সব পথ খুলে যাবে।
‘যে দেশেই যাই, অনেক লোকের কাছ থেকে তাঁদের বাড়িতে যাওয়ার আমন্ত্রণ পাই আমরা।’ বলেন চাজি, ‘কাজেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এমন মানুষদের লম্বা একটি তালিকা আছে আমাদের কাছে।’
ইউরোপ ভ্রমণের শেষ দিকে অ্যালবাট্রসকে জাহাজে করে কানাডার হালিফাক্সে পাঠিয়ে দেন। আর তাঁরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ফেরেন ফ্রান্সে। তারপর উড়োজাহাজে কানাডা পৌঁছে প্রিয় গাড়িটায় চেপে বসেন আবার। মার্কিন মুলুকের গোটা আলাস্কা অঙ্গরাজ্য পেরোনোর পর অতিক্রম করেন ওয়াইয়োমিং, কলোরাডো, উতাহ ও অ্যারিজোনা। সেখান থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পেরিয়ে গাড়ি নিয়ে মেক্সিকো ভ্রমণ শেষে প্রবেশ করেন মধ্য আমেরিকায়।
একে একে বেলিজ, গুয়াতেমালা, এল সালভেদর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা এবং পানামা ভ্রমণ করেন। তরপর কলম্বিয়াগামী জাহাজে তুলে দেন অ্যালবাট্রসকে।
আন্তরিক অভ্যর্থনা
কলম্বিয়া থেকে অ্যালবাট্রস নিয়ে তাঁরা যান ইকুয়েডরে। লেখাটি লেখার সময় পেরুর দিকে চলেছেন তাঁরা। ভ্রমণ শুরু করার পর এল সালভেদর ছাড়া যে দেশেই গেছেন, অন্তত একটি রাত কাটিয়েছেন এ জুটি।
‘প্রতিটি দেশের বেলাতেই আমাদের উদ্দেশ্য হলো কারও বাড়িতে যাওয়া, এক বা দুই রাত কাটানো, দেশটি সম্পর্কে যতটা সম্ভব জানা, ’ বলেন চাজি, ‘স্থানীয়দের সঙ্গে দেখা করা, খাবারের স্বাদ নেওয়া এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা।’
‘কারণ, আমরা খেয়াল করলাম, একটি জলপ্রপাত বা পর্বত দেখার চেয়ে এ বিষয়টি স্মৃতির ওপর বেশি প্রভাব বিস্তার করে।’
এ জুটি জানান, অস্ট্রেলিয়ায় কমপক্ষে ৩০ জন এবং চিলিতে ৫০ জনের মতো মানুষ তাঁদের রাতের জন্য একটি আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
‘অনেক লোকই আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, এগুলোর মধ্যে বাছাই করা কঠিন, ’ চাজি মন্তব্য করেন, ‘তবে আমরা অন্তত একটি বিষয় করার চেষ্টা করি। যে দেশে যাই, আমরা সব সময় এমন একজন স্থানীয় ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি, যিনি অ্যালবাট্রসের ওপর ওই দেশের পতাকা সেঁটে দেবেন।’
ভ্রমণের সময় কখনো কখনো ঝামেলায়ও পড়তে হয়েছে তাঁদের। মেক্সিকোর কথাই ধরুন। হাঁটুতে ব্যথা পাওয়ার কারণে একটি অপারেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় চাজিকে। এতে সেখানে কয়েকটি সপ্তাহ বাড়তি থাকতে হয় তাঁদের। অ্যালবাট্রসের কারিগরি কিছু সমস্যাও দেখা দেয় কয়েকবার।
‘লোকেরা মজা করে বলে, আপনার যদি ল্যান্ডরোভার থাকে, তবে আপনি একজন মেকানিকে পরিণত হবেন’ চাজি বলেন, ‘এখন আমি আসলেই জানি, কীভাবে খুচরা যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করতে হয়। আর গাড়ির যন্ত্রপাতিগুলো খুলে ফেলে পরে আবার জায়গামতো বসিয়ে দিতে মোটেই ভয় পাই না।’
বৈরী আবহাওয়া
গাড়ির সমস্যা ছাড়া বৈরী আবহাওয়াও তাদের বেগ দিয়েছে বলে জানান এই যুগল।
‘মধ্য আমেরিকায় পাঁচ মাস ধরে দিনের বেলা আর্দ্রতা আকাশচুম্বী থাকে, ঘামে জবজবে হয়ে যাবে আপনার শরীর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আবার পেয়েছি এর বিপরীত চিত্র।’
চাজি মধ্য আমেরিকায় কাটানো প্রতিটি দিন ও রাতের সেই ঘামে গোসল করার স্মৃতি স্মরণ করে জানান, এখন ইকুয়েডরের পাহাড়ি এলাকায় বেশ আনন্দে আছেন।
পেরুতে পৌঁছার পর আর্জেন্টিনার মধ্য দিয়ে যাবেন। তারপরের গন্তব্য অ্যান্টার্কটিকা। সফরের পরের ধাপটি তাদের নিয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়ায়, তারপর নিজেদের আবিষ্কার করতে চান এশিয়ায়।
যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী যায়, ভ্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়ে ইউরোপে ফিরে যাওয়ার আগে আফ্রিকা পাড়ি দেবেন অ্যালবাট্রস নিয়ে।
চাজি বলেছেন, তিনি বিশেষভাবে আফ্রিকাকে গভীরভাবে জানতে উন্মুখ হয়ে আছেন। এটিকে তাঁর ‘প্রিয় মহাদেশ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। যদিও তাঁরা যাত্রায় এক বছরের বেশি সময় ইতিমধ্যে পার করেছেন, পথে বিভিন্ন কারণে দেরি হওয়ায় ভ্রমণ সময় অন্তত এক বছর বাড়াতে হবে বলে মনে করেন।
অনুপ্রেরণার যাত্রা
তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা অংশীদারের সঙ্গেও কাজ করছেন। এঁদের মধ্যে আছে জাহাজ নিয়ে রোমাঞ্চকর অভিযানে বের হয় এমন কোম্পানিও।
তাঁদের এই ভ্রমণের যে কিছু চমৎকার দিক আছে, সেগুলো জানিয়েছেন এ যুগল।
‘যখন কোনো কাজে থাকেন, তখন আপনার কাছে এত সময় থাকে না,’ চাজি বলেন, ‘কিন্তু আমাদের এখন চিন্তা করার জন্য অনেক সময় আছে।’
‘জীবনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্যসহ নানা বিষয়ে আকর্ষণীয় সব পরিকল্পনা আমাদের মাথায় আসে।’
আপাতত অবশ্য নিজেদের এই দুঃসাহসিক অভিযানের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।
‘আমরা এসব ধারণা আমাদের মাথার এক পাশে জমা করে রেখেছি,’ চাজি বলেন, ‘তিন বা চার বছর পরে আমরা দেখব কী হয়।’
‘আমরা এখনই কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না; কারণ, আমাদের সামনে অনেকটা পথ যেতে হবে।’

রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন...
২৬ মিনিট আগে
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের দেশে ধীরে ধীরে স্যুপ খাওয়াটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মূলত চায়নিজ রেস্তোরাঁগুলোর কারণে। সুস্বাদু ও বিচিত্র নুডলস স্যুপ পাওয়া যায় এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে। ভাবার কোনো কারণ নেই, স্যুপ শুধু রেস্তোরাঁয় গিয়েই খেতে হবে। বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন মজাদার বিভিন্ন স্যুপ।
২ ঘণ্টা আগে
নগুচি বলেছিলেন, ‘টিভিতে এভারেস্টের যে সুন্দর ছবি দেখতাম, ভেবেছিলাম পাহাড়টি তেমনই হবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি চারদিকে শুধু আবর্জনা।’ সেই শুরু; নগুচি ২০০০ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে প্রায় ৯০ টন বর্জ্য সরিয়েছিলেন। কিন্তু আজ এখন সমস্যাটি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।...
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকাল আমাদের জন্য উদ্যাপনের ঋতু হলেও চুলের জন্য আতঙ্কের। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে নির্জীব ভাব আসার পাশাপাশি আগা ফাটার সমস্যাও বাড়তে থাকে। তাই এই ঋতুতে চুলের ডিপ কন্ডিশনিং রীতিনীতি মেনে চলা অপরিহার্য। তবে রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন, কী কী ঘরোয়ার উপকরণ দিয়ে চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করবেন।
পাকা কলার প্যাক
কলা খুব ভালো ময়শ্চারাইজিং উপাদান। এটি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া চুল নিরাময়ে সহায়ক। কলা ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। ফলে এটি মাথার ত্বক ও চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। কেবল একটি পাকা কলা বেটে তার সঙ্গে মধু, ডিম ও সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন। এরপর এই পেস্ট মাথার ত্বক এবং পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহারে চুল খুব দ্রুত ঝলমলে হয়।
দইয়ের জাদুকরি প্যাক

প্রচুর প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিডে ভরা দই আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতেও সহায়ক। টক দই, কলা, মধু ও জলপাই তেল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সবশেষে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এটিকে বলা যেতে পারে জাদুকরি প্যাক। তবে যাঁদের ঠান্ডা লাগে, তাঁরা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।
চুলের তরতাজা ভাব ফেরাবে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আপনার চুলে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে চুলে রেগুলার কন্ডিশনার মাখুন। নিজেই টের পাবেন চুলের তরতাজা ভাব। সপ্তাহে দুবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

তৈলাক্ত চুলের সেরা কন্ডিশনার আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগার অ্যাসিটিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এটি তৈলাক্ত মাথার ত্বক, খুশকি এবং কুঁকড়ে যাওয়া চুলের জন্য চমৎকার সমাধান। এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর জন্য চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বক ও চুলে ঢেলে দিন। ৫ মিনিট ধরে আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। হালকা করে চুল আবার শ্যাম্পু করে এরপর কন্ডিশনার মাখুন। সবশেষে সুন্দর করে চুল ধুয়ে নিন।
সহজ সমাধান নারকেল তেল
আমরা সবাই নারকেল তেলের বিস্ময়কর গুণাবলির কথা শুনে বড় হয়েছি। এই তেল যে চুলের যত্নে জাদুকরি উপাদান—এ কথা একেবারে মিথ্য়া নয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল করে তোলে নরম ও মসৃণ। নারকেল তেল দিয়ে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার তৈরি করতে, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার সময় এটি লাগান। ২০ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

শীতকাল আমাদের জন্য উদ্যাপনের ঋতু হলেও চুলের জন্য আতঙ্কের। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলে নির্জীব ভাব আসার পাশাপাশি আগা ফাটার সমস্যাও বাড়তে থাকে। তাই এই ঋতুতে চুলের ডিপ কন্ডিশনিং রীতিনীতি মেনে চলা অপরিহার্য। তবে রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন, কী কী ঘরোয়ার উপকরণ দিয়ে চুলের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করবেন।
পাকা কলার প্যাক
কলা খুব ভালো ময়শ্চারাইজিং উপাদান। এটি শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া চুল নিরাময়ে সহায়ক। কলা ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। ফলে এটি মাথার ত্বক ও চুলে গভীরভাবে পুষ্টি জোগায়। কেবল একটি পাকা কলা বেটে তার সঙ্গে মধু, ডিম ও সামান্য দুধ মিশিয়ে নিন। এরপর এই পেস্ট মাথার ত্বক এবং পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। তারপর ভালো কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহারে চুল খুব দ্রুত ঝলমলে হয়।
দইয়ের জাদুকরি প্যাক

প্রচুর প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিডে ভরা দই আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি মাথার ত্বক পরিষ্কার করে, চুল মসৃণ করে মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতেও সহায়ক। টক দই, কলা, মধু ও জলপাই তেল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সবশেষে ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে এটিকে বলা যেতে পারে জাদুকরি প্যাক। তবে যাঁদের ঠান্ডা লাগে, তাঁরা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে নিতে পারেন।
চুলের তরতাজা ভাব ফেরাবে অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ আপনার চুলে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু করে চুলে রেগুলার কন্ডিশনার মাখুন। নিজেই টের পাবেন চুলের তরতাজা ভাব। সপ্তাহে দুবার এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

তৈলাক্ত চুলের সেরা কন্ডিশনার আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগার অ্যাসিটিক অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এটি তৈলাক্ত মাথার ত্বক, খুশকি এবং কুঁকড়ে যাওয়া চুলের জন্য চমৎকার সমাধান। এটি মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর জন্য চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক মগ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বক ও চুলে ঢেলে দিন। ৫ মিনিট ধরে আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। হালকা করে চুল আবার শ্যাম্পু করে এরপর কন্ডিশনার মাখুন। সবশেষে সুন্দর করে চুল ধুয়ে নিন।
সহজ সমাধান নারকেল তেল
আমরা সবাই নারকেল তেলের বিস্ময়কর গুণাবলির কথা শুনে বড় হয়েছি। এই তেল যে চুলের যত্নে জাদুকরি উপাদান—এ কথা একেবারে মিথ্য়া নয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল করে তোলে নরম ও মসৃণ। নারকেল তেল দিয়ে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার তৈরি করতে, ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার সময় এটি লাগান। ২০ মিনিট রেখে দিন এবং তারপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

নিকোলাস চাজি ও মাথিল্ড ভোনি—দুজনেরই ভ্রমণে বেজায় আগ্রহ। নিজেদের প্রথম ডেটে গাড়িতে চেপে বেলজিয়ামের সড়কে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তাঁরা। এখন নিজেদের ল্যান্ডরোভার গাড়ি নিয়ে বিশ্বভ্রমণ করছেন এ যুগল।
০৭ আগস্ট ২০২৩
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের দেশে ধীরে ধীরে স্যুপ খাওয়াটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মূলত চায়নিজ রেস্তোরাঁগুলোর কারণে। সুস্বাদু ও বিচিত্র নুডলস স্যুপ পাওয়া যায় এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে। ভাবার কোনো কারণ নেই, স্যুপ শুধু রেস্তোরাঁয় গিয়েই খেতে হবে। বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন মজাদার বিভিন্ন স্যুপ।
২ ঘণ্টা আগে
নগুচি বলেছিলেন, ‘টিভিতে এভারেস্টের যে সুন্দর ছবি দেখতাম, ভেবেছিলাম পাহাড়টি তেমনই হবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি চারদিকে শুধু আবর্জনা।’ সেই শুরু; নগুচি ২০০০ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে প্রায় ৯০ টন বর্জ্য সরিয়েছিলেন। কিন্তু আজ এখন সমস্যাটি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।...
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে। পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে, যদি আপনি রিমোটের দখল ছেড়ে দেন। মানিব্যাগে সব সময় কিছু খুচরা টাকা রাখুন, ইজ্জত বাঁচতে পারে।
বৃষ
স্ত্রী বা পরিবারের কারোর মধুর ব্যবহারে আজ আপনি মুগ্ধ হতে পারেন, তবে এর পেছনে কোনো দামি শাড়ি, গয়না বা অনলাইন শপিংয়ের আবদার লুকিয়ে আছে কি না, তা ‘শার্লক হোমস’ স্টাইলে যাচাই করে নিন। সঞ্চয়ের জন্য দিনটি ভালো, কিন্তু লটারি জেতার আশায় অফিসের কলিগের কাছে ধার চাইবেন না। আবেগের চেয়ে আজ পেটভরা খাবারকে বেশি গুরুত্ব দিন। মিষ্টি কথায় ভুলে যাওয়ার আগে ব্যাংকের ব্যালেন্স চেক করুন।
মিথুন
মনের কথা বাড়ির লোককে বলে ফেলার জন্য আজ দারুণ দিন। তবে অফিসের বসের নামে কোনো ‘গোপন ছড়া’ বা ‘নিকনেম’ আবার ভুল করে বাড়ির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে দেবেন না! পুরোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে আবেগময় হয়ে পড়তে পারেন, সঙ্গে গামছা বা টিস্যু বক্স রাখুন। মেসেজ পাঠানোর আগে ‘রিসিভার’ কে, তা দুবার চেক করুন।
কর্কট
কারও কাছ থেকে আজ ধার নেবেন না, আর কাউকে দেবেনও না। কারণ, আজ যাকে টাকা দেবেন, তাকে খুঁজে পেতে ভবিষ্যতে আপনাকে ইন্টারপোল নিয়োগ করতে হতে পারে। সন্ধ্যার পর শরীর বেশ সতেজ থাকবে, চাইলে এক কাপ কড়া চা নিয়ে পাড়ার মোড়ে আড্ডা জমাতে পারেন। তবে পলিটিকস নিয়ে জ্ঞান দিতে যাবেন না। টাকা চাইলে ‘মানিব্যাগটা ধুতে দিয়েছি’ বলে এড়িয়ে যান।
সিংহ
বড় কোনো অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে সেই টাকা হাতে আসার আগেই অনলাইনে আইফোন বা দামি গ্যাজেটের রিভিউ দেখা শুরু করবেন না। অতিরিক্ত রাগ আপনার কর্মক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে। বসের ঝাড়ি খেয়েও আজ ‘মোনালিসা হাসি’ বজায় রাখার চেষ্টা করুন, এতে বস কনফিউজড হয়ে ঝাড়ি থামিয়ে দেবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসার প্র্যাকটিস করুন।
কন্যা
বাড়িতে যদি অবিবাহিত কেউ থাকে, তবে আজ তার বিয়ের আলোচনা তুঙ্গে উঠতে পারে। বিয়ের মেনুতে বিরিয়ানি থাকবে কি না, তা নিয়ে আজ থেকেই তর্ক শুরু হতে পারে। খাওয়ার অভ্যাসে বদল আনুন; রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার আগে বিক্রেতার হাত ধোয়া কি না, তা একটু জুম করে দেখে নিন। প্রবীণদের কথা শুনুন, মাঝেমধ্যে তারা ইন্টারনেটের চেয়েও ভালো সমাধান দেন! ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলবেন, পেটের অবস্থা ভালো নয়।
তুলা
হয়তো ভালো মনেই কাউকে উপদেশ দেবেন, কিন্তু লোকে সেটাকে পার্সোনাল অ্যাটাক হিসেবে ধরে নেবে। আজ আপনার মিষ্টি কথা মানুষের কানে ‘নিমপাতার জুস’ মনে হতে পারে। অফিসে আপনার নামে কেউ কানকথা দিতে পারে, কিন্তু উল্টো তাদের মিষ্টি খাইয়ে কনফিউজ করে দিন। চুপ থাকাই আজ আপনার সেরা অস্ত্র।
বৃশ্চিক
পাড়ার দুই খালা বা চাচির ঝগড়ায় বিচার করতে যাবেন না। অন্যের ঝামেলা মেটাতে গিয়ে নিজেই ‘ভিলেন’ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল হতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কথা বলুন। আজ আপনার কোনো পুরোনো শখ (যেমন গিটার বাজানো বা বাথরুমে গান গাওয়া) আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অন্যের ব্যাপারে বাঁ হাত ঢোকাবেন না।
ধনু
আজ আপনার মধ্যে আধুনিক চিন্তা কাজ করবে। অফিসের কাজে এআই ব্যবহার করে বসকে চমকে দিতে পারেন; তবে সাবধান, যেন ধরা না পড়েন! সৃজনশীল কাজে সাফল্য আসবে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে ব্যাগে ছাতা নিতে ভুলবেন না। কারণ, আবহাওয়া অফিস রোদ বললেও আজ বৃষ্টির সঙ্গে আপনার মোলাকাত হতে পারে। ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে রাখুন।
মকর
আপনার পকেটে আজ অদৃশ্য ফুটো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে শপিং মলে গেলে ক্রেডিট কার্ডটি বাসায় ফেলে যান। বিরোধীরা আজ আপনার ছোট কোনো ব্যাকরণগত ভুলকেও বড় করে দেখাতে পারে। তাই কথা বলার আগে মুখে ‘কাল্পনিক ফিল্টার’ ব্যবহার করুন। ‘সুলভ মূল্যে’ লেখা বোর্ড দেখলে উল্টো দিকে হাঁটুন।
কুম্ভ
দিনটি আপনার জন্য বেশ শুভ। নতুন কারোর সঙ্গে দেখা হতে পারে যে আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে (সেটা বিমা কোম্পানি বা এমএলএম মার্কেটিংয়ের লোকও হতে পারে, সাবধান!)। রাতে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যদি না মশার দল আপনার কানে গান গাওয়ার কনসার্ট আয়োজন করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের লোকদের থেকে দূরে থাকুন।
মীন
আজ সারা দিন অফিসের বা বাড়ির কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকবেন যে নিজের আয়নায় মুখ দেখার সময় পাবেন না। তবে এই ব্যস্ততার শেষে একটা মিষ্টি ক্লান্তি আসবে। সন্তানের বায়না মেটাতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। শরীরের প্রতি যত্ন নিন, লিফট থাকতে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে যাবেন না। দুপুরের খাবারটা ঠিক সময়ে খেয়ে নিন।

মেষ
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে। পরিবারে শান্তি বজায় থাকবে, যদি আপনি রিমোটের দখল ছেড়ে দেন। মানিব্যাগে সব সময় কিছু খুচরা টাকা রাখুন, ইজ্জত বাঁচতে পারে।
বৃষ
স্ত্রী বা পরিবারের কারোর মধুর ব্যবহারে আজ আপনি মুগ্ধ হতে পারেন, তবে এর পেছনে কোনো দামি শাড়ি, গয়না বা অনলাইন শপিংয়ের আবদার লুকিয়ে আছে কি না, তা ‘শার্লক হোমস’ স্টাইলে যাচাই করে নিন। সঞ্চয়ের জন্য দিনটি ভালো, কিন্তু লটারি জেতার আশায় অফিসের কলিগের কাছে ধার চাইবেন না। আবেগের চেয়ে আজ পেটভরা খাবারকে বেশি গুরুত্ব দিন। মিষ্টি কথায় ভুলে যাওয়ার আগে ব্যাংকের ব্যালেন্স চেক করুন।
মিথুন
মনের কথা বাড়ির লোককে বলে ফেলার জন্য আজ দারুণ দিন। তবে অফিসের বসের নামে কোনো ‘গোপন ছড়া’ বা ‘নিকনেম’ আবার ভুল করে বাড়ির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাঠিয়ে দেবেন না! পুরোনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে আবেগময় হয়ে পড়তে পারেন, সঙ্গে গামছা বা টিস্যু বক্স রাখুন। মেসেজ পাঠানোর আগে ‘রিসিভার’ কে, তা দুবার চেক করুন।
কর্কট
কারও কাছ থেকে আজ ধার নেবেন না, আর কাউকে দেবেনও না। কারণ, আজ যাকে টাকা দেবেন, তাকে খুঁজে পেতে ভবিষ্যতে আপনাকে ইন্টারপোল নিয়োগ করতে হতে পারে। সন্ধ্যার পর শরীর বেশ সতেজ থাকবে, চাইলে এক কাপ কড়া চা নিয়ে পাড়ার মোড়ে আড্ডা জমাতে পারেন। তবে পলিটিকস নিয়ে জ্ঞান দিতে যাবেন না। টাকা চাইলে ‘মানিব্যাগটা ধুতে দিয়েছি’ বলে এড়িয়ে যান।
সিংহ
বড় কোনো অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে সেই টাকা হাতে আসার আগেই অনলাইনে আইফোন বা দামি গ্যাজেটের রিভিউ দেখা শুরু করবেন না। অতিরিক্ত রাগ আপনার কর্মক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে। বসের ঝাড়ি খেয়েও আজ ‘মোনালিসা হাসি’ বজায় রাখার চেষ্টা করুন, এতে বস কনফিউজড হয়ে ঝাড়ি থামিয়ে দেবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাসার প্র্যাকটিস করুন।
কন্যা
বাড়িতে যদি অবিবাহিত কেউ থাকে, তবে আজ তার বিয়ের আলোচনা তুঙ্গে উঠতে পারে। বিয়ের মেনুতে বিরিয়ানি থাকবে কি না, তা নিয়ে আজ থেকেই তর্ক শুরু হতে পারে। খাওয়ার অভ্যাসে বদল আনুন; রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়ার আগে বিক্রেতার হাত ধোয়া কি না, তা একটু জুম করে দেখে নিন। প্রবীণদের কথা শুনুন, মাঝেমধ্যে তারা ইন্টারনেটের চেয়েও ভালো সমাধান দেন! ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলবেন, পেটের অবস্থা ভালো নয়।
তুলা
হয়তো ভালো মনেই কাউকে উপদেশ দেবেন, কিন্তু লোকে সেটাকে পার্সোনাল অ্যাটাক হিসেবে ধরে নেবে। আজ আপনার মিষ্টি কথা মানুষের কানে ‘নিমপাতার জুস’ মনে হতে পারে। অফিসে আপনার নামে কেউ কানকথা দিতে পারে, কিন্তু উল্টো তাদের মিষ্টি খাইয়ে কনফিউজ করে দিন। চুপ থাকাই আজ আপনার সেরা অস্ত্র।
বৃশ্চিক
পাড়ার দুই খালা বা চাচির ঝগড়ায় বিচার করতে যাবেন না। অন্যের ঝামেলা মেটাতে গিয়ে নিজেই ‘ভিলেন’ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল হতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কথা বলুন। আজ আপনার কোনো পুরোনো শখ (যেমন গিটার বাজানো বা বাথরুমে গান গাওয়া) আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অন্যের ব্যাপারে বাঁ হাত ঢোকাবেন না।
ধনু
আজ আপনার মধ্যে আধুনিক চিন্তা কাজ করবে। অফিসের কাজে এআই ব্যবহার করে বসকে চমকে দিতে পারেন; তবে সাবধান, যেন ধরা না পড়েন! সৃজনশীল কাজে সাফল্য আসবে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে ব্যাগে ছাতা নিতে ভুলবেন না। কারণ, আবহাওয়া অফিস রোদ বললেও আজ বৃষ্টির সঙ্গে আপনার মোলাকাত হতে পারে। ল্যাপটপ চার্জ দিয়ে রাখুন।
মকর
আপনার পকেটে আজ অদৃশ্য ফুটো হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিশেষ করে শপিং মলে গেলে ক্রেডিট কার্ডটি বাসায় ফেলে যান। বিরোধীরা আজ আপনার ছোট কোনো ব্যাকরণগত ভুলকেও বড় করে দেখাতে পারে। তাই কথা বলার আগে মুখে ‘কাল্পনিক ফিল্টার’ ব্যবহার করুন। ‘সুলভ মূল্যে’ লেখা বোর্ড দেখলে উল্টো দিকে হাঁটুন।
কুম্ভ
দিনটি আপনার জন্য বেশ শুভ। নতুন কারোর সঙ্গে দেখা হতে পারে যে আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে (সেটা বিমা কোম্পানি বা এমএলএম মার্কেটিংয়ের লোকও হতে পারে, সাবধান!)। রাতে ভালো ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা আছে, যদি না মশার দল আপনার কানে গান গাওয়ার কনসার্ট আয়োজন করে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের লোকদের থেকে দূরে থাকুন।
মীন
আজ সারা দিন অফিসের বা বাড়ির কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকবেন যে নিজের আয়নায় মুখ দেখার সময় পাবেন না। তবে এই ব্যস্ততার শেষে একটা মিষ্টি ক্লান্তি আসবে। সন্তানের বায়না মেটাতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। শরীরের প্রতি যত্ন নিন, লিফট থাকতে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে যাবেন না। দুপুরের খাবারটা ঠিক সময়ে খেয়ে নিন।

নিকোলাস চাজি ও মাথিল্ড ভোনি—দুজনেরই ভ্রমণে বেজায় আগ্রহ। নিজেদের প্রথম ডেটে গাড়িতে চেপে বেলজিয়ামের সড়কে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তাঁরা। এখন নিজেদের ল্যান্ডরোভার গাড়ি নিয়ে বিশ্বভ্রমণ করছেন এ যুগল।
০৭ আগস্ট ২০২৩
রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন...
২৬ মিনিট আগে
আমাদের দেশে ধীরে ধীরে স্যুপ খাওয়াটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মূলত চায়নিজ রেস্তোরাঁগুলোর কারণে। সুস্বাদু ও বিচিত্র নুডলস স্যুপ পাওয়া যায় এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে। ভাবার কোনো কারণ নেই, স্যুপ শুধু রেস্তোরাঁয় গিয়েই খেতে হবে। বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন মজাদার বিভিন্ন স্যুপ।
২ ঘণ্টা আগে
নগুচি বলেছিলেন, ‘টিভিতে এভারেস্টের যে সুন্দর ছবি দেখতাম, ভেবেছিলাম পাহাড়টি তেমনই হবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি চারদিকে শুধু আবর্জনা।’ সেই শুরু; নগুচি ২০০০ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে প্রায় ৯০ টন বর্জ্য সরিয়েছিলেন। কিন্তু আজ এখন সমস্যাটি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।...
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আমাদের দেশে ধীরে ধীরে স্যুপ খাওয়াটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মূলত চায়নিজ রেস্তোরাঁগুলোর কারণে। সুস্বাদু ও বিচিত্র নুডলস স্যুপ পাওয়া যায় এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে। ভাবার কোনো কারণ নেই, স্যুপ শুধু রেস্তোরাঁয় গিয়েই খেতে হবে। বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন মজাদার বিভিন্ন স্যুপ। কিন্তু মনে রাখা চাই, মাংস দিয়ে কিছু স্যুপ রান্না করতে গেলে খানিক সময় লাগবে। তারপরই উপভোগ করা যাবে মজাদার স্যুপ।
আপনাদের জন্য দুটি স্যুপের রেসিপি রইল।
লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ, চীন
চীনে নুডলস দিয়ে তৈরি খাবার ও চায়নিজ নুডলস স্যুপ রেসিপির কোনো ঘাটতি নেই। বলা হয়, এর বৈচিত্র্য চীনের ভূগোলের মতোই বিশাল এবং প্রতিটি অত্যন্ত সুস্বাদু। কিন্তু অসংখ্য নুডলস ডিশের, বিশেষ করে নুডলস স্যুপের মধ্যে যেটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তা হলো লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ।
সুস্বাদু, স্বচ্ছ ঝোল, পাতলা করে কাটা গরুর মাংস, নরম চায়নিজ মুলার ফালি, প্রচুর ধনেপাতা ও পেঁয়াজ কলি, গাঢ় লাল মরিচের তেল এবং হাতে তৈরি নুডলস দিয়ে রান্না করা হয় লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ।
উপকরণ
৪ পাউন্ড গরুর মাংস, ১ কেজি গরুর হাঁটুর মাংস, অর্ধেক ভাজা মুরগি, ১০ কাপ পানি, ১ লিটার চিকেন স্টক, স্বাদ অনুযায়ী লবণ, ছোট চায়নিজ মুলার অর্ধেক, ১ পাউন্ড তাজা বা শুকনো সাদা নুডলস, গরম মরিচের তেল, পেঁয়াজ কলি, ধনেপাতা।
মসলা মিশ্রণের জন্য
৭টি তারকা মৌরি, ১২টি লবঙ্গ, ১টি দারুচিনি, ৫টি তেজপাতা, ৬টি বড় স্যান্ড জিঞ্জারের টুকরো, দেড় চা-চামচ মৌরি বীজ, ১ চা-চামচ জিরা বীজ, ২ চা-চামচ সিচুয়ান গোলমরিচ, দেড় চা-চামচ সাদা গোলমরিচ, ৫টি লিকোরিস মূলের টুকরো, ৩টি শুকনো কমলার খোসা, ১টি কালো এলাচি।
গরম মরিচের তেলের জন্য
এক কাপের ৪ ভাগের ৩ ভাগ তেল, ২টি তারকা মৌরি, ছোট দারুচিনির অর্ধেক, আধা চা-চামচ সিচুয়ান গোলমরিচ, ৩ টেবিল চামচ লাল মরিচ গুঁড়া, ১ চা-চামচ লবণ, সামান্য চিনি।
প্রস্তুত প্রণালি
মাংসের হাড়গুলো ধুয়ে নিন। ৪০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বেকিং শিটে ৪৫ মিনিট বেক করে নিন। একটি বড় পাত্রে পানি ফুটিয়ে তাতে গরুর হাঁটুর মাংস এবং মুরগির মাংস যোগ করুন। সবকিছু আবার ফুটতে দিন। একবার ফুটে উঠলে হাঁটুর মাংস এবং মুরগি বের করে নিয়ে পানি ফেলে দিন এবং পাত্রটি পরিষ্কার করে নিন।
এরপর গরুর হাঁটুর মাংস এবং মুরগি আবার পাত্রে দিন। সঙ্গে বেক করে নেওয়া হাড়। এর সঙ্গে আরও ১০ কাপ পানি এবং ৪ কাপ চিকেন স্টক যোগ করুন। মসলার সব উপকরণ একত্র করে একটি পাতলা কাপড়ে পুঁটলি করে শক্তভাবে বেঁধে মসলার মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি পাত্রে রেখে দিন। এরপর পাত্রে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে সবকিছু ফুটতে দিন।
একবার ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সেদ্ধ হতে দিন। ২ ঘণ্টা পরে গরুর হাঁটুর মাংস বের করে সরিয়ে রাখুন। বাকি অংশে কাটা মুলা যোগ করে আরও ঘণ্টাখানেক সেদ্ধ হতে দিন। তারপর মসলার ব্যাগ, মুরগির হাড় বের করে ফেলে দিন। ঝোলে লবণের স্বাদ নিন এবং প্রয়োজন হলে মসলা সমন্বয় করুন। এতে স্যুপের বেজ তৈরি হয়ে যাবে।
উপকরণগুলো সেদ্ধ হওয়ার সময় মরিচের তেল তৈরি করে ফেলুন। একটি ছোট পাত্রে তেল, তারকা মৌরি, দারুচিনি এবং সিচুয়ান গোলমরিচ নিন। খুব কম আঁচে সবকিছু ধীরে ধীরে ১৫ মিনিট একসঙ্গে ভুনে নিন। একটি ছাঁকনি চামচ দিয়ে মসলাগুলো তেল থেকে আলাদা করে নিন। এরপর প্রায় ৫ মিনিট তেল ঠান্ডা করে তাতে মরিচগুঁড়া যোগ করে সেই হালকা গরম তেলে ধীরে ধীরে ভুনে নিন; যতক্ষণ না খুব সুগন্ধ ছড়ায়। লাল হয়ে গেলে তাতে লবণ ও চিনি মেশাতে হবে।
একবার ঝোল ও মরিচের তেল তৈরি হয়ে গেলে, আলাদা পাত্রে প্যাকেটের নির্দেশ অনুযায়ী নুডলস রান্না করুন। সেদ্ধ নুডলস ৬টি বাটিতে ভাগ করুন। ঠান্ডা হওয়া গরুর হাঁটুর মাংস পাতলা করে কেটে নুডলসের ওপর সাজান। এরপর তাতে একে একে ঝোল, মুলা, এক চামচ গরম মরিচের তেল এবং এক মুঠো করে কুচি করা পেঁয়াজ কলি এবং ধনেপাতা যোগ করে পরিবেশন করুন।

ইয়াইলা চোর্বাসি, তুরস্ক
তুরস্কের স্যুপের নাম ইয়াইলা চোর্বাসি। এর প্রধান উপকরণ সেদ্ধ চাল বা বার্লি। এর সঙ্গে যোগ করা হয় দই। বিশ্বাস করা হয়, এটি শীতকালে সর্দি প্রতিরোধ করে; কিছু তুর্কি হাসপাতালে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের দই স্যুপ পরিবেশন করা হয়।
শুকনো পুদিনা গুঁড়া দইয়ের হালকা টক স্বাদকে ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে। তাজা পাউরুটির সঙ্গে এটি পরিবেশন করুন।
উপকরণ
বাসমতী বা জেসমিনসহ যেকোনো ধরনের সাদা চাল, গ্রিক দই বা সাধারণ দই, স্যুপ ঘন করতে ডিম ও ময়দার সংমিশ্রণ, শুকনো পুদিনাপাতার গুঁড়া।
প্রস্তুত প্রণালি
যে চাল ব্যবহার করবেন, স্বাভাবিকের চেয়ে তাতে বেশি পানি দিয়ে প্রথমে নরম করে ভাত রান্না করুন। পানি ও ভাত এই স্যুপের ভিত্তি। একটি বাটিতে দই, ডিম, ময়দা ও লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। পানি কমে গেলে ভাতে আরও পানি যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়ুন। হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এরপর সুবিধামতো পাত্র নিয়ে ধীরে ধীরে ভাত ও পানি দই ও ডিমের মিশ্রণে যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। এরপর এই পুরো মিশ্রণ আবারও গরম পানিতে দিয়ে মাঝারি আঁচে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ফুটতে দিন। এ সময়েও মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। চেখে দেখুন। লাগলে প্রয়োজনে আরও লবণ যোগ করুন।
একটি ছোট প্যানে মাখন গলিয়ে সুগন্ধ বের হওয়া পর্যন্ত শুকনো পুদিনা সেদ্ধ করে নিন। তারপর এটি স্যুপে যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়ুন। তারপর নামিয়ে পরিবেশন করা যাবে।

আমাদের দেশে ধীরে ধীরে স্যুপ খাওয়াটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মূলত চায়নিজ রেস্তোরাঁগুলোর কারণে। সুস্বাদু ও বিচিত্র নুডলস স্যুপ পাওয়া যায় এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে। ভাবার কোনো কারণ নেই, স্যুপ শুধু রেস্তোরাঁয় গিয়েই খেতে হবে। বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন মজাদার বিভিন্ন স্যুপ। কিন্তু মনে রাখা চাই, মাংস দিয়ে কিছু স্যুপ রান্না করতে গেলে খানিক সময় লাগবে। তারপরই উপভোগ করা যাবে মজাদার স্যুপ।
আপনাদের জন্য দুটি স্যুপের রেসিপি রইল।
লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ, চীন
চীনে নুডলস দিয়ে তৈরি খাবার ও চায়নিজ নুডলস স্যুপ রেসিপির কোনো ঘাটতি নেই। বলা হয়, এর বৈচিত্র্য চীনের ভূগোলের মতোই বিশাল এবং প্রতিটি অত্যন্ত সুস্বাদু। কিন্তু অসংখ্য নুডলস ডিশের, বিশেষ করে নুডলস স্যুপের মধ্যে যেটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তা হলো লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ।
সুস্বাদু, স্বচ্ছ ঝোল, পাতলা করে কাটা গরুর মাংস, নরম চায়নিজ মুলার ফালি, প্রচুর ধনেপাতা ও পেঁয়াজ কলি, গাঢ় লাল মরিচের তেল এবং হাতে তৈরি নুডলস দিয়ে রান্না করা হয় লানঝাউ বিফ নুডলস স্যুপ।
উপকরণ
৪ পাউন্ড গরুর মাংস, ১ কেজি গরুর হাঁটুর মাংস, অর্ধেক ভাজা মুরগি, ১০ কাপ পানি, ১ লিটার চিকেন স্টক, স্বাদ অনুযায়ী লবণ, ছোট চায়নিজ মুলার অর্ধেক, ১ পাউন্ড তাজা বা শুকনো সাদা নুডলস, গরম মরিচের তেল, পেঁয়াজ কলি, ধনেপাতা।
মসলা মিশ্রণের জন্য
৭টি তারকা মৌরি, ১২টি লবঙ্গ, ১টি দারুচিনি, ৫টি তেজপাতা, ৬টি বড় স্যান্ড জিঞ্জারের টুকরো, দেড় চা-চামচ মৌরি বীজ, ১ চা-চামচ জিরা বীজ, ২ চা-চামচ সিচুয়ান গোলমরিচ, দেড় চা-চামচ সাদা গোলমরিচ, ৫টি লিকোরিস মূলের টুকরো, ৩টি শুকনো কমলার খোসা, ১টি কালো এলাচি।
গরম মরিচের তেলের জন্য
এক কাপের ৪ ভাগের ৩ ভাগ তেল, ২টি তারকা মৌরি, ছোট দারুচিনির অর্ধেক, আধা চা-চামচ সিচুয়ান গোলমরিচ, ৩ টেবিল চামচ লাল মরিচ গুঁড়া, ১ চা-চামচ লবণ, সামান্য চিনি।
প্রস্তুত প্রণালি
মাংসের হাড়গুলো ধুয়ে নিন। ৪০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বেকিং শিটে ৪৫ মিনিট বেক করে নিন। একটি বড় পাত্রে পানি ফুটিয়ে তাতে গরুর হাঁটুর মাংস এবং মুরগির মাংস যোগ করুন। সবকিছু আবার ফুটতে দিন। একবার ফুটে উঠলে হাঁটুর মাংস এবং মুরগি বের করে নিয়ে পানি ফেলে দিন এবং পাত্রটি পরিষ্কার করে নিন।
এরপর গরুর হাঁটুর মাংস এবং মুরগি আবার পাত্রে দিন। সঙ্গে বেক করে নেওয়া হাড়। এর সঙ্গে আরও ১০ কাপ পানি এবং ৪ কাপ চিকেন স্টক যোগ করুন। মসলার সব উপকরণ একত্র করে একটি পাতলা কাপড়ে পুঁটলি করে শক্তভাবে বেঁধে মসলার মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি পাত্রে রেখে দিন। এরপর পাত্রে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে সবকিছু ফুটতে দিন।
একবার ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সেদ্ধ হতে দিন। ২ ঘণ্টা পরে গরুর হাঁটুর মাংস বের করে সরিয়ে রাখুন। বাকি অংশে কাটা মুলা যোগ করে আরও ঘণ্টাখানেক সেদ্ধ হতে দিন। তারপর মসলার ব্যাগ, মুরগির হাড় বের করে ফেলে দিন। ঝোলে লবণের স্বাদ নিন এবং প্রয়োজন হলে মসলা সমন্বয় করুন। এতে স্যুপের বেজ তৈরি হয়ে যাবে।
উপকরণগুলো সেদ্ধ হওয়ার সময় মরিচের তেল তৈরি করে ফেলুন। একটি ছোট পাত্রে তেল, তারকা মৌরি, দারুচিনি এবং সিচুয়ান গোলমরিচ নিন। খুব কম আঁচে সবকিছু ধীরে ধীরে ১৫ মিনিট একসঙ্গে ভুনে নিন। একটি ছাঁকনি চামচ দিয়ে মসলাগুলো তেল থেকে আলাদা করে নিন। এরপর প্রায় ৫ মিনিট তেল ঠান্ডা করে তাতে মরিচগুঁড়া যোগ করে সেই হালকা গরম তেলে ধীরে ধীরে ভুনে নিন; যতক্ষণ না খুব সুগন্ধ ছড়ায়। লাল হয়ে গেলে তাতে লবণ ও চিনি মেশাতে হবে।
একবার ঝোল ও মরিচের তেল তৈরি হয়ে গেলে, আলাদা পাত্রে প্যাকেটের নির্দেশ অনুযায়ী নুডলস রান্না করুন। সেদ্ধ নুডলস ৬টি বাটিতে ভাগ করুন। ঠান্ডা হওয়া গরুর হাঁটুর মাংস পাতলা করে কেটে নুডলসের ওপর সাজান। এরপর তাতে একে একে ঝোল, মুলা, এক চামচ গরম মরিচের তেল এবং এক মুঠো করে কুচি করা পেঁয়াজ কলি এবং ধনেপাতা যোগ করে পরিবেশন করুন।

ইয়াইলা চোর্বাসি, তুরস্ক
তুরস্কের স্যুপের নাম ইয়াইলা চোর্বাসি। এর প্রধান উপকরণ সেদ্ধ চাল বা বার্লি। এর সঙ্গে যোগ করা হয় দই। বিশ্বাস করা হয়, এটি শীতকালে সর্দি প্রতিরোধ করে; কিছু তুর্কি হাসপাতালে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের দই স্যুপ পরিবেশন করা হয়।
শুকনো পুদিনা গুঁড়া দইয়ের হালকা টক স্বাদকে ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে। তাজা পাউরুটির সঙ্গে এটি পরিবেশন করুন।
উপকরণ
বাসমতী বা জেসমিনসহ যেকোনো ধরনের সাদা চাল, গ্রিক দই বা সাধারণ দই, স্যুপ ঘন করতে ডিম ও ময়দার সংমিশ্রণ, শুকনো পুদিনাপাতার গুঁড়া।
প্রস্তুত প্রণালি
যে চাল ব্যবহার করবেন, স্বাভাবিকের চেয়ে তাতে বেশি পানি দিয়ে প্রথমে নরম করে ভাত রান্না করুন। পানি ও ভাত এই স্যুপের ভিত্তি। একটি বাটিতে দই, ডিম, ময়দা ও লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। পানি কমে গেলে ভাতে আরও পানি যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়ুন। হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। এরপর সুবিধামতো পাত্র নিয়ে ধীরে ধীরে ভাত ও পানি দই ও ডিমের মিশ্রণে যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। এরপর এই পুরো মিশ্রণ আবারও গরম পানিতে দিয়ে মাঝারি আঁচে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ফুটতে দিন। এ সময়েও মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। চেখে দেখুন। লাগলে প্রয়োজনে আরও লবণ যোগ করুন।
একটি ছোট প্যানে মাখন গলিয়ে সুগন্ধ বের হওয়া পর্যন্ত শুকনো পুদিনা সেদ্ধ করে নিন। তারপর এটি স্যুপে যোগ করুন এবং ভালোভাবে নাড়ুন। তারপর নামিয়ে পরিবেশন করা যাবে।

নিকোলাস চাজি ও মাথিল্ড ভোনি—দুজনেরই ভ্রমণে বেজায় আগ্রহ। নিজেদের প্রথম ডেটে গাড়িতে চেপে বেলজিয়ামের সড়কে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তাঁরা। এখন নিজেদের ল্যান্ডরোভার গাড়ি নিয়ে বিশ্বভ্রমণ করছেন এ যুগল।
০৭ আগস্ট ২০২৩
রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন...
২৬ মিনিট আগে
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
নগুচি বলেছিলেন, ‘টিভিতে এভারেস্টের যে সুন্দর ছবি দেখতাম, ভেবেছিলাম পাহাড়টি তেমনই হবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি চারদিকে শুধু আবর্জনা।’ সেই শুরু; নগুচি ২০০০ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে প্রায় ৯০ টন বর্জ্য সরিয়েছিলেন। কিন্তু আজ এখন সমস্যাটি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।...
১৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সাগরপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৮৪৮ দশমিক ৮৬ মিটার উঁচু মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গটি মানুষের অদম্য সাহসের শেষ সীমানা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এসব তকমা ও শ্বেতশুভ্র সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক করুণ চিত্র। ২০০০ সালে জাপানি পর্বতারোহী কেন নগুচি যখন এভারেস্টে প্রথম সংগঠিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেন, তখন তিনি যা দেখেছিলেন, তা ছিল রীতিমতো মর্মান্তিক। নগুচি বলেছিলেন, ‘টিভিতে এভারেস্টের যে সুন্দর ছবি দেখতাম, ভেবেছিলাম পাহাড়টি তেমনই হবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি চারদিকে শুধু আবর্জনা।’ সেই শুরু; নগুচি ২০০০ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে প্রায় ৯০ টন বর্জ্য সরিয়েছিলেন। কিন্তু আজ এখন সমস্যাটি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
সম্প্রতি নেপাল সরকার প্রথমবারের মতো একটি ব্যাপক নীতিমালাসহ এভারেস্ট ক্লিনিং অ্যাকশন প্ল্যান (২০২৫-২০২৯) ঘোষণা করেছে। এভারেস্ট যে ধীরে ধীরে ‘বিশ্বের উচ্চতম ডাস্টবিনে’ পরিণত হচ্ছে, সেই আন্তর্জাতিক সমালোচনা বন্ধ করতেই এই দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ।

সংকটের নেপথ্যে: প্লাস্টিক ও জলবায়ু পরিবর্তন
দশকের পর দশক ধরে আরোহী, গাইড এবং শেরপাদের ফেলে আসা অক্সিজেন সিলিন্ডার, প্লাস্টিকের বোতল, নাইলনের দড়ি এবং মানুষের মলমূত্রে পাহাড়ের ঢালগুলো বিষিয়ে উঠেছে; বিশেষ করে প্লাস্টিক এখন মূর্তিমান আতঙ্ক; একটি প্লাস্টিক ব্যাগ প্রকৃতিতে মিশে যেতে প্রায় ৫০০ বছর সময় নেয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বরফ গলে বেরিয়ে আসছে পুরোনো আবর্জনা এবং দীর্ঘদিনের চাপা পড়া মৃতদেহ, যা নিচের জনপদগুলোর পানীয় জলের উৎসকে দূষিত করছে।
নতুন পরিকল্পনা: একনজরে সরকারের রোডম্যাপ

নেপাল সরকারের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ঘোষিত পাঁচ বছর মেয়াদি এই পরিকল্পনায় বেশ কিছু বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো,
বেস ক্যাম্প স্থানান্তর: খুম্বু হিমবাহের ওপর অবস্থিত বর্তমান বেস ক্যাম্পটি ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা ও আবর্জনার চাপে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। তাই এটি অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া যায় কি না, তার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।
বর্জ্য ফেরাতে কড়া নজরদারি: আরোহীদের ব্যবহৃত প্রতিটি সরঞ্জাম, মই ও দড়ির তালিকা এন্ট্রি পয়েন্টে জমা দিতে হবে এবং নামার সময় তা মিলিয়ে দেখা হবে। প্রত্যেক আরোহী দলকে তাদের ব্যবহৃত সব সরঞ্জাম এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ পুরোনো আবর্জনা পাহাড় থেকে নামিয়ে আনতে হবে।
ক্যাম্প-২-এ বর্জ্য সংগ্রহ কেন্দ্র: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ৭৫০ মিটার উঁচুতে ক্যাম্প-২-এ বর্জ্য সংগ্রহের জন্য একটি অস্থায়ী কেন্দ্র করা হবে। এটি চেকপয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে, যাতে উচ্চতর ক্যাম্পগুলোতে কেউ আবর্জনা ফেলে আসতে না পারে।
মাউন্টেন রেঞ্জার ও ড্রোন: পাহাড়ের ওপর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তদারক করতে প্রশিক্ষিত আরোহীদের নিয়ে একটি মাউন্টেইন রেঞ্জার দল গঠন করা হবে। এমনকি দুর্গম এলাকা থেকে আবর্জনা সংগ্রহে ড্রোনের ব্যবহারও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর্থিক নীতিমালা ও রয়্যালটি: বর্তমানে আরোহীদের ৪ হাজার ডলারের যে ডিপোজিট দিতে হয়, সেটিকে একটি অফেরতযোগ্য ফিতে রূপান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনায়, যা সরাসরি পাহাড়ের কল্যাণে ব্যয় হবে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এভারেস্টের রয়্যালটি ১১ হাজার ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার ডলার করা হয়েছে।
আদালতের আদেশ ও সচেতনতা
এই মহাপরিকল্পনা মূলত গত বছর দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশের ফল। আদালত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল পাহাড়ের ধারণক্ষমতা মেপে আরোহীদের পারমিট সংখ্যা নির্ধারণ করতে। এ ছাড়া ২০২৪ সাল থেকে বেস ক্যাম্পের ওপর ‘পুপ ব্যাগ’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকার এখন পরিবেশ-সচেতনতাকে জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা করছে।
একটি বিশাল কর্মযজ্ঞের শুরু
২০২৪ সালের বসন্ত মৌসুমে এভারেস্ট থেকে প্রায় ৮৫ টন বর্জ্য এবং ২৮ টন মানুষের মলমূত্র সরানো হয়েছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করতে বড় অঙ্কের বাজেট প্রয়োজন, যা ১০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এভারেস্টের চূড়ায় আরোহীদের দীর্ঘ সারি আর যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ এখন বিশ্ববাসীর নজরে। এই পাঁচ বছরের মহাপরিকল্পনা কি পারবে বিশ্বের ছাদকে আবার তার আদি অকৃত্রিম রূপ ফিরিয়ে দিতে? সেটি সময় বলবে, তবে নেপাল সরকারের এই কাঠামোগত উদ্যোগ হিমালয়প্রেমীদের মনে আশার আলো জাগাচ্ছে।
সূত্র: দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট

সাগরপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৮৪৮ দশমিক ৮৬ মিটার উঁচু মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গটি মানুষের অদম্য সাহসের শেষ সীমানা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এসব তকমা ও শ্বেতশুভ্র সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক করুণ চিত্র। ২০০০ সালে জাপানি পর্বতারোহী কেন নগুচি যখন এভারেস্টে প্রথম সংগঠিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেন, তখন তিনি যা দেখেছিলেন, তা ছিল রীতিমতো মর্মান্তিক। নগুচি বলেছিলেন, ‘টিভিতে এভারেস্টের যে সুন্দর ছবি দেখতাম, ভেবেছিলাম পাহাড়টি তেমনই হবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি চারদিকে শুধু আবর্জনা।’ সেই শুরু; নগুচি ২০০০ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে প্রায় ৯০ টন বর্জ্য সরিয়েছিলেন। কিন্তু আজ এখন সমস্যাটি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
সম্প্রতি নেপাল সরকার প্রথমবারের মতো একটি ব্যাপক নীতিমালাসহ এভারেস্ট ক্লিনিং অ্যাকশন প্ল্যান (২০২৫-২০২৯) ঘোষণা করেছে। এভারেস্ট যে ধীরে ধীরে ‘বিশ্বের উচ্চতম ডাস্টবিনে’ পরিণত হচ্ছে, সেই আন্তর্জাতিক সমালোচনা বন্ধ করতেই এই দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ।

সংকটের নেপথ্যে: প্লাস্টিক ও জলবায়ু পরিবর্তন
দশকের পর দশক ধরে আরোহী, গাইড এবং শেরপাদের ফেলে আসা অক্সিজেন সিলিন্ডার, প্লাস্টিকের বোতল, নাইলনের দড়ি এবং মানুষের মলমূত্রে পাহাড়ের ঢালগুলো বিষিয়ে উঠেছে; বিশেষ করে প্লাস্টিক এখন মূর্তিমান আতঙ্ক; একটি প্লাস্টিক ব্যাগ প্রকৃতিতে মিশে যেতে প্রায় ৫০০ বছর সময় নেয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বরফ গলে বেরিয়ে আসছে পুরোনো আবর্জনা এবং দীর্ঘদিনের চাপা পড়া মৃতদেহ, যা নিচের জনপদগুলোর পানীয় জলের উৎসকে দূষিত করছে।
নতুন পরিকল্পনা: একনজরে সরকারের রোডম্যাপ

নেপাল সরকারের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ঘোষিত পাঁচ বছর মেয়াদি এই পরিকল্পনায় বেশ কিছু বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো,
বেস ক্যাম্প স্থানান্তর: খুম্বু হিমবাহের ওপর অবস্থিত বর্তমান বেস ক্যাম্পটি ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা ও আবর্জনার চাপে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। তাই এটি অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া যায় কি না, তার সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।
বর্জ্য ফেরাতে কড়া নজরদারি: আরোহীদের ব্যবহৃত প্রতিটি সরঞ্জাম, মই ও দড়ির তালিকা এন্ট্রি পয়েন্টে জমা দিতে হবে এবং নামার সময় তা মিলিয়ে দেখা হবে। প্রত্যেক আরোহী দলকে তাদের ব্যবহৃত সব সরঞ্জাম এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ পুরোনো আবর্জনা পাহাড় থেকে নামিয়ে আনতে হবে।
ক্যাম্প-২-এ বর্জ্য সংগ্রহ কেন্দ্র: সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ৭৫০ মিটার উঁচুতে ক্যাম্প-২-এ বর্জ্য সংগ্রহের জন্য একটি অস্থায়ী কেন্দ্র করা হবে। এটি চেকপয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে, যাতে উচ্চতর ক্যাম্পগুলোতে কেউ আবর্জনা ফেলে আসতে না পারে।
মাউন্টেন রেঞ্জার ও ড্রোন: পাহাড়ের ওপর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তদারক করতে প্রশিক্ষিত আরোহীদের নিয়ে একটি মাউন্টেইন রেঞ্জার দল গঠন করা হবে। এমনকি দুর্গম এলাকা থেকে আবর্জনা সংগ্রহে ড্রোনের ব্যবহারও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর্থিক নীতিমালা ও রয়্যালটি: বর্তমানে আরোহীদের ৪ হাজার ডলারের যে ডিপোজিট দিতে হয়, সেটিকে একটি অফেরতযোগ্য ফিতে রূপান্তরের প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনায়, যা সরাসরি পাহাড়ের কল্যাণে ব্যয় হবে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এভারেস্টের রয়্যালটি ১১ হাজার ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার ডলার করা হয়েছে।
আদালতের আদেশ ও সচেতনতা
এই মহাপরিকল্পনা মূলত গত বছর দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশের ফল। আদালত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল পাহাড়ের ধারণক্ষমতা মেপে আরোহীদের পারমিট সংখ্যা নির্ধারণ করতে। এ ছাড়া ২০২৪ সাল থেকে বেস ক্যাম্পের ওপর ‘পুপ ব্যাগ’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকার এখন পরিবেশ-সচেতনতাকে জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা করছে।
একটি বিশাল কর্মযজ্ঞের শুরু
২০২৪ সালের বসন্ত মৌসুমে এভারেস্ট থেকে প্রায় ৮৫ টন বর্জ্য এবং ২৮ টন মানুষের মলমূত্র সরানো হয়েছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ করতে বড় অঙ্কের বাজেট প্রয়োজন, যা ১০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এভারেস্টের চূড়ায় আরোহীদের দীর্ঘ সারি আর যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ এখন বিশ্ববাসীর নজরে। এই পাঁচ বছরের মহাপরিকল্পনা কি পারবে বিশ্বের ছাদকে আবার তার আদি অকৃত্রিম রূপ ফিরিয়ে দিতে? সেটি সময় বলবে, তবে নেপাল সরকারের এই কাঠামোগত উদ্যোগ হিমালয়প্রেমীদের মনে আশার আলো জাগাচ্ছে।
সূত্র: দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট

নিকোলাস চাজি ও মাথিল্ড ভোনি—দুজনেরই ভ্রমণে বেজায় আগ্রহ। নিজেদের প্রথম ডেটে গাড়িতে চেপে বেলজিয়ামের সড়কে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন তাঁরা। এখন নিজেদের ল্যান্ডরোভার গাড়ি নিয়ে বিশ্বভ্রমণ করছেন এ যুগল।
০৭ আগস্ট ২০২৩
রোজ শ্যাম্পু করার পর বোতলজাত যে কন্ডিশনার আমরা ব্যবহার করি; সেগুলোর ব্যবহার করলেই যে চুল কোমল, সুন্দর ও মসৃণ থাকবে, এ কথা ভাবাটা বোকামি। চুলের সার্বিক সুস্থতার জন্য এই ঋতুতে কিছু ঘরোয়া ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক তৈরি করেও চুলে ব্যবহার করতে হবে। এতে পুরো শীতে চুল থাকবে নরম, মসৃণ ও জেল্লাদার। দেখে নিন...
২৬ মিনিট আগে
সঞ্চয় করার দক্ষতা নিয়ে আজ লোকে আপনার প্রশংসা করবে। তবে সাবধান! কিপটেমি আর সঞ্চয়ের মধ্যে একটা সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। বন্ধুদের ট্রিট দেওয়ার সময় হুট করে ‘মানিব্যাগ ভুলে রেখে এসেছি’ বা ‘আমার নেট কাজ করছে না’ বলার পুরোনো কৌশলটি আজ বন্ধুদের কাছে ধরা পড়ে যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
আমাদের দেশে ধীরে ধীরে স্যুপ খাওয়াটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মূলত চায়নিজ রেস্তোরাঁগুলোর কারণে। সুস্বাদু ও বিচিত্র নুডলস স্যুপ পাওয়া যায় এখন ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের রেস্তোরাঁগুলোতে। ভাবার কোনো কারণ নেই, স্যুপ শুধু রেস্তোরাঁয় গিয়েই খেতে হবে। বাড়িতেও তৈরি করতে পারেন মজাদার বিভিন্ন স্যুপ।
২ ঘণ্টা আগে