
ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
২০২৩ সালে জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলের সবগুলিতে ভ্রমণ করা পর্যটকের তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন ৫০ নাম। এটি এক বছরে সবচেয়ে বেশি মানুষের বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণের রেকর্ড। বিশ্বব্যাপী পর্যটক ও অভিযাত্রীদের ভ্রমণে সাহায্য করা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নোমাডম্যানিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্ব ভ্রমণে মানুষের আগ্রহ বহু আগে থেকেই। এ নিয়ে আছে দুনিয়া কাঁপানো উপন্যাসও। বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান ও অ্যাডভেঞ্চার লেখক জুলভার্নের উপন্যাস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ প্রকাশ পায় সেই ১৮৭২ সালে। যেখানে ফিলিয়াস ফগ নামের এক ব্যক্তি আশি দিনে বিশ্বভ্রমণের চ্যালেঞ্জ জেতেন।
কিন্তু মানুষকে কোন বিষয় প্রতিটি দেশ ভ্রমণে অনুপ্রাণিত করে? আর এই লক্ষ্যে পৌঁছানো আসলে কতটা কঠিন?
ফিনল্যান্ডের লেখক এবং সাংবাদিক রাউলি ভিরতানেন বেড়ে ওঠেন এক অজপাড়া গাঁয়ে। ধারণা করা হয় বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণ করা প্রথম ব্যক্তি তিনি।
১৯৮৮ সালে যখন ভিরতানেন এই লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন তখন জাতিসংঘ-স্বীকৃত দেশের সংখ্যা ছিল ১৭০। অবশ্য তিনি জানান পরে নতুন যুক্ত হতে থাকা জায়গাগুলোতেও ভ্রমণ করেন।
প্রতিটি দেশ ভ্রমণের পেছনে তাঁর অনুপ্রেরণা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এর কারণ হিসেবে, ‘চরম কৌতূহল এবং সংগ্রাহকের মানসিকতা’র কথা উল্লেখ করেন।
‘আশির দশকের মাঝামাঝি আবিষ্কার করলাম আমার ১৫০টি দেশ ভ্রমণ হয়ে গেছে। কাজেই মনে হলো মারা যাওয়ার আগে বাকি দেশগুলি ঘুরে আসা উচিত।’ সিএনএন ট্র্যাভেলকে ইমেইলে জানান ভিরতানেন।
এক শ কিংবা এর বেশি দেশ ভ্রমণ করা মানুষদের সংগঠন দ্য ট্রাভেলারস সেঞ্চুরি ক্লাব (টিসিসি) ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখনো তারা চমৎকার কাজ করে যাচ্ছে। তারপর আরও নতুন নতুন সংগঠন গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোস্ট ট্রাভেলারস পিপল (এমটিপি) ও নোমাড ম্যানিয়া।
যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান ইউনিভার্সিটির টুরিজম অ্যান্ড ইভেন্ট বিষয়ের প্রভাষক মাইকেল ওরিগান বলেন, ‘আমি মনে ঘোরাঘুরি করার পেছনে একটি অন্তর্নিহিত প্রেরণা জরুরি। তবে ঐতিহাসিকভাবেই ভ্রমণ আর্থিকভাবে সচ্ছল, চাকরির সহজ শর্ত এবং ভালো স্বাস্থ্যের ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।’
‘আপনার একটি শক্তিশালী পাসপোর্ট, ট্যুর গাইড এবং পরিবহন এবং হোটেল সম্পর্কে ভালো জ্ঞানের মতো বিষয়গুলি ছিল খুব জরুরি।’ বলেন ওরিগান।
অবশ্যই, আজকে অনেক ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। কম খরচের ফ্লাইট, অন অ্যারাইভাল ভিসা এবং অনলাইন বুকিং এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিক গিলিল্যান্ড আবার তাঁদের কাতারে পড়েন যারা জীবনের পরের দিকের বছরগুলি ভ্রমণের পেছনে বেশি সময় ব্যয় করেছেন।
করোনা মহামারির কারণে লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেরি হয় তাঁর। কারণ অনেক দেশই তখন দীর্ঘদিনের জন্য সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে। শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালে স্বপ্ন পূরণ হয় তাঁর।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বছরের অন্তত ৪৮ সপ্তাহই ভ্রমণের মধ্যে থাকা গিলিল্যান্ড বলেন সব দেশে যাওয়াটাই সহজ নয়। এ ক্ষেত্রে ‘ভাগ্য এবং সঠিক সময়ের’ একটা ভূমিকা থাকে।
‘আমি উত্তর কোরিয়া গিয়েছি ২০ বছর আগে। যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল, ’ বলেন তিনি, ‘ইরানের ভিসা পাওয়ার জন্য কয়েক বার চেষ্টা করতে হয়। নাউরু এত কম মানুষ যায় যে ভিসা পাওয়াটা কঠিন।’
যখন শেষ দেশ লিবিয়ায় পৌঁছান তখন শুরুতে দেশটিতে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বিমানবন্দরে। উল্লেখ্য তখন দেশটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
অনেক সময় ভ্রমণের হঠাৎ বাঁক বদলও হয়। যেমন স্লোভাকিয়ার ভ্রমণবিষয়ক ব্লগার মার্টিনা সেবোভা ১০০টি দেশ ঘোরার পর ভ্রমণে অস্ট্রেলিয়ার র্যাচেল ডেভির সঙ্গে বিশ্ব ভ্রমণের বাকি অংশটি এক সঙ্গে সম্পন্ন করা স্থির করেন। র্যাচেলেরও তত দিনে ১০০ দেশ ভ্রমণ হয়ে গেছে।
সন্দেহ নেই যে মানুষের সব দেশ ঘোরার প্রতি তীব্র আগ্রহ তৈরিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বড় ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে বিগত বছরগুলিতে তাঁর সব দেশ ভ্রমণের বিষয়ে একটা মিশ্র অনুভূতির জন্ম হয়েছে বলে জানান ভিরতানেন।
‘আমি খুব সৌভাগ্যবান, ’ স্বীকার করেন তিনি। কারণ হিসেবে বলেন কাজের সূত্রেই ৯৫ শতাংশ দেশে ভ্রমণ করতে পারেন তিনি।
‘আমি সেই অল্প মানুষদের একজন, যারা ধনী দেশে জন্ম নিয়েছে ও পড়ালেখা করেছে। এ ধরনের মানুষদের পক্ষে পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় ভ্রমণ করা সহজ। এ বিষয়ে আমার মনে একটা অপরাধবোধ আছে। তাই দরিদ্র দেশের নাগরিকদের আমার বিশ্বভ্রমণের গল্প কখনো বলি না।’ বলেন ভিরতানেন।

এদিকে জ্যামাইকায় জন্ম নেওয়া রোমেইন ওয়েল্ডসের ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবার আগে বিশ্ব ঘুরে দেখার সুযোগ কমই ছিল। মজার ঘটনা এর আগে কখনো জ্যামাইকার বাইরেই যাননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে একটি এয়ারলাইনে চাকরি পেয়ে যাওয়াই সবকিছু বদলে দেয় তাঁর।
‘আমার পরিবার ছিল খুব দরিদ্র। বাবা ছাড়া পরিবারের কেউই দেশের বাইরে যায়নি। বেশ কয়েক বছর পর পর জ্যামাইকা থেকে ইংল্যান্ডে যাওয়া-আসা করতেন তিনি।’ ইমেইলে সিএনএন ট্রাভেলকে জানান ওয়েল্ডস।
চাকরির সূত্রে বিনা পয়সায় ও কম খরচে ভ্রমণের সুযোগ পাওয়ায় পছন্দের গন্তব্যগুলোতে যেতে শুরু করেন। এভাবে ১০০টি দেশ ঘুরে ফেলেন। তখনই প্রথম জ্যামাইকান ও ক্যারিবিয়ান হিসেবে বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণের আগ্রহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ২০২২ সালে অ্যান্টিগুয়া ভ্রমণের মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছান তিনি।
প্রতিটি দেশ ভ্রমণের চেষ্টায় সফল হতে একেক জনের একেক সময় লাগে। ওয়েল্ডসের যেখানে লেগেছে ১৫ বছর গিলিল্যান্ডের লেগেছে চার দশকের কাছাকাছি।
কেউ কেউ আবার রেকর্ড সময়ে এটা করতে উৎসাহী। আর সবচেয়ে কম সময়ে সব দেশ ঘোরার রেকর্ডের মালিক কানাডার টেইলর ডেমনব্রিউনের। তাঁর সময় লাগে ১ বছর ১৮৯ দিন।
কেউ কেউ বইও লিখেছেন তাঁদের বিশ্বভ্রমণের গল্প নিয়ে। এদের মধ্যে আছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে ২০১৯ সালে সব দেশ ভ্রমণ করা উগান্ডার বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জেসিকা নেবঙ্গো এবং একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে সব দেশে দুবার পা রাখা গানার গারফরস।

মাইকেল ওরিগান স্বীকার করেন যে কিছু ভ্রমণকারী প্রতিটি দেশে ভ্রমণ করার জন্য ‘একটি অনিয়ন্ত্রিত তাগিদ দ্বারা চালিত হন’। তিনি মনে করেন এমন ভ্রমণ দেশগুলির সংস্কৃতিকে বোঝার চেষ্টা না করে ভ্রমণে উৎসাহ দিতে পারে।
তিনি মনে করেন প্রতিটি পর্যটকের নিজস্ব লক্ষ্য থাকলেও ধীরে-সুস্থে প্রতিটি দেশের বৈচিত্র্যময় পরিবেশ উপভোগ করাটা জরুরি।
একটি সত্যিকারের ‘ভ্রমণে’র মানদণ্ড কী কী থাকা উচিত তা নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেক আলোচনা হচ্ছে। এটা নিয়ে মতপার্থক্যও আছে।
নোমাডম্যানিয়া ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ব্যবহারকারীদের ভোট দেওয়ার পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা তৈরি করে গত বছর।
‘আমরা যে দেশটিতে যাই সে সম্পর্কে যতটা সম্ভব জানা গুরুত্বপূর্ণ।’ বলেন গিলিল্যান্ড। ব্যাখ্যা করেন, যে চ্যালেঞ্জটি শেষ করার সময় তিনি কখনো কখনো একটি দেশে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত কাটিয়েছেন। আবার মাত্র অর্ধেক দিন কাটিয়েছেন মোনাকো এবং লুক্সেমবার্গের মতো ছোট দেশে।
উড়োজাহাজে না চেপেই প্রতিটি দেশ ভ্রমণ সম্ভব। যাদের সময়, অর্থ এবং অন্তত উদ্যম আছে তারা যে এটা করতে পারেন তা প্রমাণ করেন তোরবিয়েন থর পেদাসিন। ডেনমার্কের এই নাগরিক ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত গত বছরের মেতে মালদ্বীপ ভ্রমণের মাধ্যমর সব দেশ ভ্রমণ সম্পন্ন করেন।
ভিরতানেন মনে করেন, প্রতিটি দেশে ভ্রমণের ইচ্ছা যাদের তাঁদের ভ্রমণের সামর্থ্য নেই এমন মানুষদের জীবন উন্নত করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত।

ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
২০২৩ সালে জাতিসংঘ স্বীকৃত ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলের সবগুলিতে ভ্রমণ করা পর্যটকের তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন ৫০ নাম। এটি এক বছরে সবচেয়ে বেশি মানুষের বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণের রেকর্ড। বিশ্বব্যাপী পর্যটক ও অভিযাত্রীদের ভ্রমণে সাহায্য করা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নোমাডম্যানিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্ব ভ্রমণে মানুষের আগ্রহ বহু আগে থেকেই। এ নিয়ে আছে দুনিয়া কাঁপানো উপন্যাসও। বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান ও অ্যাডভেঞ্চার লেখক জুলভার্নের উপন্যাস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ প্রকাশ পায় সেই ১৮৭২ সালে। যেখানে ফিলিয়াস ফগ নামের এক ব্যক্তি আশি দিনে বিশ্বভ্রমণের চ্যালেঞ্জ জেতেন।
কিন্তু মানুষকে কোন বিষয় প্রতিটি দেশ ভ্রমণে অনুপ্রাণিত করে? আর এই লক্ষ্যে পৌঁছানো আসলে কতটা কঠিন?
ফিনল্যান্ডের লেখক এবং সাংবাদিক রাউলি ভিরতানেন বেড়ে ওঠেন এক অজপাড়া গাঁয়ে। ধারণা করা হয় বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণ করা প্রথম ব্যক্তি তিনি।
১৯৮৮ সালে যখন ভিরতানেন এই লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন তখন জাতিসংঘ-স্বীকৃত দেশের সংখ্যা ছিল ১৭০। অবশ্য তিনি জানান পরে নতুন যুক্ত হতে থাকা জায়গাগুলোতেও ভ্রমণ করেন।
প্রতিটি দেশ ভ্রমণের পেছনে তাঁর অনুপ্রেরণা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এর কারণ হিসেবে, ‘চরম কৌতূহল এবং সংগ্রাহকের মানসিকতা’র কথা উল্লেখ করেন।
‘আশির দশকের মাঝামাঝি আবিষ্কার করলাম আমার ১৫০টি দেশ ভ্রমণ হয়ে গেছে। কাজেই মনে হলো মারা যাওয়ার আগে বাকি দেশগুলি ঘুরে আসা উচিত।’ সিএনএন ট্র্যাভেলকে ইমেইলে জানান ভিরতানেন।
এক শ কিংবা এর বেশি দেশ ভ্রমণ করা মানুষদের সংগঠন দ্য ট্রাভেলারস সেঞ্চুরি ক্লাব (টিসিসি) ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখনো তারা চমৎকার কাজ করে যাচ্ছে। তারপর আরও নতুন নতুন সংগঠন গড়ে উঠেছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মোস্ট ট্রাভেলারস পিপল (এমটিপি) ও নোমাড ম্যানিয়া।
যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান ইউনিভার্সিটির টুরিজম অ্যান্ড ইভেন্ট বিষয়ের প্রভাষক মাইকেল ওরিগান বলেন, ‘আমি মনে ঘোরাঘুরি করার পেছনে একটি অন্তর্নিহিত প্রেরণা জরুরি। তবে ঐতিহাসিকভাবেই ভ্রমণ আর্থিকভাবে সচ্ছল, চাকরির সহজ শর্ত এবং ভালো স্বাস্থ্যের ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।’
‘আপনার একটি শক্তিশালী পাসপোর্ট, ট্যুর গাইড এবং পরিবহন এবং হোটেল সম্পর্কে ভালো জ্ঞানের মতো বিষয়গুলি ছিল খুব জরুরি।’ বলেন ওরিগান।
অবশ্যই, আজকে অনেক ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। কম খরচের ফ্লাইট, অন অ্যারাইভাল ভিসা এবং অনলাইন বুকিং এ জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিক গিলিল্যান্ড আবার তাঁদের কাতারে পড়েন যারা জীবনের পরের দিকের বছরগুলি ভ্রমণের পেছনে বেশি সময় ব্যয় করেছেন।
করোনা মহামারির কারণে লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেরি হয় তাঁর। কারণ অনেক দেশই তখন দীর্ঘদিনের জন্য সেখানে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করে। শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালে স্বপ্ন পূরণ হয় তাঁর।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বছরের অন্তত ৪৮ সপ্তাহই ভ্রমণের মধ্যে থাকা গিলিল্যান্ড বলেন সব দেশে যাওয়াটাই সহজ নয়। এ ক্ষেত্রে ‘ভাগ্য এবং সঠিক সময়ের’ একটা ভূমিকা থাকে।
‘আমি উত্তর কোরিয়া গিয়েছি ২০ বছর আগে। যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিল, ’ বলেন তিনি, ‘ইরানের ভিসা পাওয়ার জন্য কয়েক বার চেষ্টা করতে হয়। নাউরু এত কম মানুষ যায় যে ভিসা পাওয়াটা কঠিন।’
যখন শেষ দেশ লিবিয়ায় পৌঁছান তখন শুরুতে দেশটিতে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বিমানবন্দরে। উল্লেখ্য তখন দেশটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
অনেক সময় ভ্রমণের হঠাৎ বাঁক বদলও হয়। যেমন স্লোভাকিয়ার ভ্রমণবিষয়ক ব্লগার মার্টিনা সেবোভা ১০০টি দেশ ঘোরার পর ভ্রমণে অস্ট্রেলিয়ার র্যাচেল ডেভির সঙ্গে বিশ্ব ভ্রমণের বাকি অংশটি এক সঙ্গে সম্পন্ন করা স্থির করেন। র্যাচেলেরও তত দিনে ১০০ দেশ ভ্রমণ হয়ে গেছে।
সন্দেহ নেই যে মানুষের সব দেশ ঘোরার প্রতি তীব্র আগ্রহ তৈরিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বড় ভূমিকা রেখেছে।
এদিকে বিগত বছরগুলিতে তাঁর সব দেশ ভ্রমণের বিষয়ে একটা মিশ্র অনুভূতির জন্ম হয়েছে বলে জানান ভিরতানেন।
‘আমি খুব সৌভাগ্যবান, ’ স্বীকার করেন তিনি। কারণ হিসেবে বলেন কাজের সূত্রেই ৯৫ শতাংশ দেশে ভ্রমণ করতে পারেন তিনি।
‘আমি সেই অল্প মানুষদের একজন, যারা ধনী দেশে জন্ম নিয়েছে ও পড়ালেখা করেছে। এ ধরনের মানুষদের পক্ষে পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় ভ্রমণ করা সহজ। এ বিষয়ে আমার মনে একটা অপরাধবোধ আছে। তাই দরিদ্র দেশের নাগরিকদের আমার বিশ্বভ্রমণের গল্প কখনো বলি না।’ বলেন ভিরতানেন।

এদিকে জ্যামাইকায় জন্ম নেওয়া রোমেইন ওয়েল্ডসের ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাবার আগে বিশ্ব ঘুরে দেখার সুযোগ কমই ছিল। মজার ঘটনা এর আগে কখনো জ্যামাইকার বাইরেই যাননি তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে একটি এয়ারলাইনে চাকরি পেয়ে যাওয়াই সবকিছু বদলে দেয় তাঁর।
‘আমার পরিবার ছিল খুব দরিদ্র। বাবা ছাড়া পরিবারের কেউই দেশের বাইরে যায়নি। বেশ কয়েক বছর পর পর জ্যামাইকা থেকে ইংল্যান্ডে যাওয়া-আসা করতেন তিনি।’ ইমেইলে সিএনএন ট্রাভেলকে জানান ওয়েল্ডস।
চাকরির সূত্রে বিনা পয়সায় ও কম খরচে ভ্রমণের সুযোগ পাওয়ায় পছন্দের গন্তব্যগুলোতে যেতে শুরু করেন। এভাবে ১০০টি দেশ ঘুরে ফেলেন। তখনই প্রথম জ্যামাইকান ও ক্যারিবিয়ান হিসেবে বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণের আগ্রহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ২০২২ সালে অ্যান্টিগুয়া ভ্রমণের মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছান তিনি।
প্রতিটি দেশ ভ্রমণের চেষ্টায় সফল হতে একেক জনের একেক সময় লাগে। ওয়েল্ডসের যেখানে লেগেছে ১৫ বছর গিলিল্যান্ডের লেগেছে চার দশকের কাছাকাছি।
কেউ কেউ আবার রেকর্ড সময়ে এটা করতে উৎসাহী। আর সবচেয়ে কম সময়ে সব দেশ ঘোরার রেকর্ডের মালিক কানাডার টেইলর ডেমনব্রিউনের। তাঁর সময় লাগে ১ বছর ১৮৯ দিন।
কেউ কেউ বইও লিখেছেন তাঁদের বিশ্বভ্রমণের গল্প নিয়ে। এদের মধ্যে আছেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে ২০১৯ সালে সব দেশ ভ্রমণ করা উগান্ডার বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক জেসিকা নেবঙ্গো এবং একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে সব দেশে দুবার পা রাখা গানার গারফরস।

মাইকেল ওরিগান স্বীকার করেন যে কিছু ভ্রমণকারী প্রতিটি দেশে ভ্রমণ করার জন্য ‘একটি অনিয়ন্ত্রিত তাগিদ দ্বারা চালিত হন’। তিনি মনে করেন এমন ভ্রমণ দেশগুলির সংস্কৃতিকে বোঝার চেষ্টা না করে ভ্রমণে উৎসাহ দিতে পারে।
তিনি মনে করেন প্রতিটি পর্যটকের নিজস্ব লক্ষ্য থাকলেও ধীরে-সুস্থে প্রতিটি দেশের বৈচিত্র্যময় পরিবেশ উপভোগ করাটা জরুরি।
একটি সত্যিকারের ‘ভ্রমণে’র মানদণ্ড কী কী থাকা উচিত তা নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেক আলোচনা হচ্ছে। এটা নিয়ে মতপার্থক্যও আছে।
নোমাডম্যানিয়া ২০২২ এবং ২০২৩ সালে ব্যবহারকারীদের ভোট দেওয়ার পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা তৈরি করে গত বছর।
‘আমরা যে দেশটিতে যাই সে সম্পর্কে যতটা সম্ভব জানা গুরুত্বপূর্ণ।’ বলেন গিলিল্যান্ড। ব্যাখ্যা করেন, যে চ্যালেঞ্জটি শেষ করার সময় তিনি কখনো কখনো একটি দেশে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত কাটিয়েছেন। আবার মাত্র অর্ধেক দিন কাটিয়েছেন মোনাকো এবং লুক্সেমবার্গের মতো ছোট দেশে।
উড়োজাহাজে না চেপেই প্রতিটি দেশ ভ্রমণ সম্ভব। যাদের সময়, অর্থ এবং অন্তত উদ্যম আছে তারা যে এটা করতে পারেন তা প্রমাণ করেন তোরবিয়েন থর পেদাসিন। ডেনমার্কের এই নাগরিক ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত গত বছরের মেতে মালদ্বীপ ভ্রমণের মাধ্যমর সব দেশ ভ্রমণ সম্পন্ন করেন।
ভিরতানেন মনে করেন, প্রতিটি দেশে ভ্রমণের ইচ্ছা যাদের তাঁদের ভ্রমণের সামর্থ্য নেই এমন মানুষদের জীবন উন্নত করার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত।

কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
৩ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯...
৭ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতক। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজসহ আগামী সাত দিন কেবল একটি সপ্তাহ নয়, বরং এটি একটি পুরোদস্তুর ধামাকা বলিউড মসলা মুভি! জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, একদিকে বড়দিনের আমেজ, অন্যদিকে নতুন বছরের...
৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার স্বাস্থ্যগুণের জন্য সমাদৃত। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ—কাজুবাদামের আছে বহুমুখী উপকারিতা। এটি নিয়মিত খাওয়ার পেছনে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগত কারণ আছে। আবার খাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু সতর্কতাও। তাই নিজের খাবারের তালিকায় কাজুবাদাম রাখার আগে ভালো ও খারাপ দিক জেনে রাখুন।
হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা
কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর অসম্পৃক্ত চর্বি। এটি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এ ছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
কাজুবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হলেও এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর কারণ হলো, কাজুবাদামের সবটুকু ক্যালরি শরীর শোষণ করতে পারে না। এর ভেতরের আঁশ বা ফাইবার চর্বিকে আটকে ফেলে, যা হজমের সময় শরীরে পুরোপুরি শোষিত হয় না। ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কাজুবাদাম খুবই উপকারী। এতে থাকা আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। এ ছাড়া এর ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশ কাজুবাদাম থেকে গ্রহণ করলে ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
কাজুবাদাম কপার ও জিঙ্কের চমৎকার উৎস। এই দুটি খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখতে অপরিহার্য। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (পলিফেনল ও ক্যারোটিনয়েড) শরীরের ভেতরের ব্যথা কমাতে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করতে কাজ করে।
হাড় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
কাজুবাদামে আছে ভরপুর ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন কে। এগুলো হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। এর কপার উপাদান মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ ও শক্তি উৎপাদনে সরাসরি সাহায্য করে।
কাঁচা কাজু নিরাপদ কি না
আমরা বাজারে যে কাজুবাদাম কাঁচা হিসেবে কিনি, তা আসলে পুরোপুরি কাঁচা নয়। গাছের তাজা কাজুবাদামের খোসায় ইউরুশিয়াল নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা ত্বকে অ্যালার্জি বা ফোসকা তৈরি করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত করার সময় তাপ দিয়ে এই বিষাক্ত অংশ দূর করা হয়। তাই গাছ থেকে সরাসরি পেড়ে কাজু খাওয়া নিরাপদ নয়।
খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করার সহজ উপায়
কাজুবাদাম খুব সহজে প্রতিদিনের খাবারে যোগ করা যায়। বিকেলের নাশতায় এক মুঠো ভাজা কাজু খেতে পারেন। সালাদ, স্যুপ বা স্ট্যুতে কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিলে স্বাদ ও পুষ্টি—দুই-ই বেড়ে যায়। কাজুবাদাম ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে দুধ মুক্ত ক্রিম বা পনির তৈরি করা সম্ভব। টোস্ট বা ওটমিলের সঙ্গে কাজু বাটার ব্যবহার করা যায়।
মনে রাখবেন
পরিমাণ: কাজুবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও এতে ক্যালরি বেশি। তাই দিনে ২৮ গ্রাম বা প্রায় ১৮টি বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।
লবণ ও তেল: অতিরিক্ত লবণ বা তেলে ভাজা কাজুর চেয়ে শুকনো ভাজা বা আনসলটেড কাজু বেছে নেওয়া ভালো।
অ্যালার্জি: যাদের কাঠবাদাম বা পেস্তাবাদামে অ্যালার্জি আছে, তাদের কাজু খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। শ্বাসকষ্ট বা চুলকানির মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হেলথ লাইন, ইভিএন এক্সপ্রেস, ওয়েব মেড

কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার স্বাস্থ্যগুণের জন্য সমাদৃত। হৃদ্রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ—কাজুবাদামের আছে বহুমুখী উপকারিতা। এটি নিয়মিত খাওয়ার পেছনে অনেকগুলো স্বাস্থ্যগত কারণ আছে। আবার খাওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু সতর্কতাও। তাই নিজের খাবারের তালিকায় কাজুবাদাম রাখার আগে ভালো ও খারাপ দিক জেনে রাখুন।
হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা
কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর অসম্পৃক্ত চর্বি। এটি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এ ছাড়া এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
কাজুবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হলেও এটি ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর কারণ হলো, কাজুবাদামের সবটুকু ক্যালরি শরীর শোষণ করতে পারে না। এর ভেতরের আঁশ বা ফাইবার চর্বিকে আটকে ফেলে, যা হজমের সময় শরীরে পুরোপুরি শোষিত হয় না। ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এবং আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য কাজুবাদাম খুবই উপকারী। এতে থাকা আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। এ ছাড়া এর ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশ কাজুবাদাম থেকে গ্রহণ করলে ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।
শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
কাজুবাদাম কপার ও জিঙ্কের চমৎকার উৎস। এই দুটি খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখতে অপরিহার্য। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (পলিফেনল ও ক্যারোটিনয়েড) শরীরের ভেতরের ব্যথা কমাতে এবং কোষের ক্ষতি রোধ করতে কাজ করে।
হাড় ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য
কাজুবাদামে আছে ভরপুর ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ভিটামিন কে। এগুলো হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। এর কপার উপাদান মস্তিষ্কের সুস্থ বিকাশ ও শক্তি উৎপাদনে সরাসরি সাহায্য করে।
কাঁচা কাজু নিরাপদ কি না
আমরা বাজারে যে কাজুবাদাম কাঁচা হিসেবে কিনি, তা আসলে পুরোপুরি কাঁচা নয়। গাছের তাজা কাজুবাদামের খোসায় ইউরুশিয়াল নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা ত্বকে অ্যালার্জি বা ফোসকা তৈরি করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত করার সময় তাপ দিয়ে এই বিষাক্ত অংশ দূর করা হয়। তাই গাছ থেকে সরাসরি পেড়ে কাজু খাওয়া নিরাপদ নয়।
খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করার সহজ উপায়
কাজুবাদাম খুব সহজে প্রতিদিনের খাবারে যোগ করা যায়। বিকেলের নাশতায় এক মুঠো ভাজা কাজু খেতে পারেন। সালাদ, স্যুপ বা স্ট্যুতে কাজুবাদাম ছড়িয়ে দিলে স্বাদ ও পুষ্টি—দুই-ই বেড়ে যায়। কাজুবাদাম ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে দুধ মুক্ত ক্রিম বা পনির তৈরি করা সম্ভব। টোস্ট বা ওটমিলের সঙ্গে কাজু বাটার ব্যবহার করা যায়।
মনে রাখবেন
পরিমাণ: কাজুবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও এতে ক্যালরি বেশি। তাই দিনে ২৮ গ্রাম বা প্রায় ১৮টি বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।
লবণ ও তেল: অতিরিক্ত লবণ বা তেলে ভাজা কাজুর চেয়ে শুকনো ভাজা বা আনসলটেড কাজু বেছে নেওয়া ভালো।
অ্যালার্জি: যাদের কাঠবাদাম বা পেস্তাবাদামে অ্যালার্জি আছে, তাদের কাজু খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। শ্বাসকষ্ট বা চুলকানির মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হেলথ লাইন, ইভিএন এক্সপ্রেস, ওয়েব মেড

ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯...
৭ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতক। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজসহ আগামী সাত দিন কেবল একটি সপ্তাহ নয়, বরং এটি একটি পুরোদস্তুর ধামাকা বলিউড মসলা মুভি! জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, একদিকে বড়দিনের আমেজ, অন্যদিকে নতুন বছরের...
৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে।
চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা। আপনার কড়াইটি তখন থার্মাল শকের শিকার হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে রান্নার পাত্রের আয়ু কমিয়ে দেয়। অনেক গৃহিণী ও রান্নাপ্রেমী মনে করেন, গরম কাড়াই সরাসরি সিঙ্কে নিয়ে ঠান্ডা পানি ঢাললে পোড়া খাবারের অংশ সহজে উঠে যায়। কিন্তু অল-ক্ল্যাড ও ক্যালফালনের মতো নামকরা কুকওয়্যার ব্রান্ড সতর্ক করে বলছে, এটি কড়াই নষ্ট হওয়ার বড় কারণগুলোর একটি।
থার্মাল শক কীভাবে ক্ষতি করে
ধাতু গরম হলে প্রসারিত হয় এবং ঠান্ডা হলে সংকুচিত হয়। এটি পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ নিয়ম। যখন প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি কড়াই হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসে, তখন ধাতব অণুগুলো দ্রুত সংকুচিত হয়। এই হঠাৎ পরিবর্তনই সৃষ্টি করে থার্মাল শক, যা কড়াইয়ের গঠনকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া
থার্মাল শকের সবচেয়ে সাধারণ ফল হলো কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া। হঠাৎ ঠান্ডায় কড়াইয়ের নিচের অংশ সংকুচিত হয়ে ভাঁজ হয়ে যায়। ফলে কড়াই চুলার ওপর ঠিকভাবে বসে না এবং তাপ সমানভাবে ছড়ায় না। এর ফল হিসেবে রান্নার সময় এক পাশে খাবার পুড়ে যায়, অন্য পাশে ঠিকমতো রান্না হয় না।
নন-স্টিক কড়াই বাড়তি ঝুঁকি
নন-স্টিক কড়াইয়ের ক্ষেত্রে থার্মাল শক আরও বেশি ক্ষতিকর। কারণ, প্যানের ধাতু ও নন-স্টিক কোটিংয়ের প্রসারণ ও সংকোচনের হার এক নয়। হঠাৎ ঠান্ডা হলে কোটিং ফেটে যেতে বা উঠে যেতে পারে। এতে প্যানের নন-স্টিক ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং কোটিংয়ের ক্ষুদ্র কণা খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ক্ষতিগ্রস্ত নন-স্টিক কোটিং থেকে পিএফএএস জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্গত হতে পারে। যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
ফাটল ধরার ঝুঁকি
কাস্ট আয়রন, স্টোনওয়্যার বা সিরামিক প্যানের ক্ষেত্রে থার্মাল শক কখনো কখনো তাৎক্ষণিক ফাটল ধরাতে পারে। এসব উপাদান স্টেইনলেস স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের তুলনায় বেশি ভঙ্গুর হওয়ায় হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না।

কড়াই রক্ষা করার নিয়ম
বিশেষজ্ঞদের মতে, কড়াই ভালো রাখার সহজ নিয়ম হলো ধৈর্য। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে—
রান্না শেষ হলে কড়াইটি চুলার ওপর বা পাশে রেখে স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন।
পুরোপুরি ঠান্ডা হলে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
তাড়াহুড়া থাকলে ঠান্ডা পানির বদলে গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, যাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকে।
আরও কিছু সাধারণ ভুল
বিশেষজ্ঞরা আরও কয়েকটি ভুলের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো—
ঠান্ডা পানিতে লবণ দিলে লবণের কণা তলায় জমে স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে ক্ষুদ্র গর্ত তৈরি করতে পারে। তাই পানি ফুটে ওঠার পর লবণ যোগ করা ভালো।
নন-স্টিক প্যান একটির ওপর আরেকটি রাখলে ওপরের প্যানের তলা নিচের প্যানের কোটিংয়ে আঁচড় ফেলতে পারে।
নন-স্টিক প্যানে ধাতব স্ক্রাবার বা শক্ত ঘষামাজা একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
কাস্ট আয়রন প্যান পরিষ্কারে সাবান কম ব্যবহার করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দ্রুত শুকিয়ে হালকা তেল মেখে রাখা ভালো, এতে মরিচা ধরবে না।
রান্নার পাত্রের যত্ন নেওয়া মানে শুধু খরচ বাঁচানো নয়; এটি খাবারের মান, স্বাদ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। একটি ভালো পাত্র দীর্ঘদিন ভালো থাকলে সমানভাবে রান্না হয়। খাবার পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে এবং ক্ষতিকর পদার্থ খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। গরম প্যানে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসটি ত্যাগ করলে কড়াইয়ের গঠন ও কোটিং অক্ষত এবং সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী থাকবে।
সূত্র: হাফ পোস্ট

কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে।
চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা। আপনার কড়াইটি তখন থার্মাল শকের শিকার হচ্ছে, যা ধীরে ধীরে রান্নার পাত্রের আয়ু কমিয়ে দেয়। অনেক গৃহিণী ও রান্নাপ্রেমী মনে করেন, গরম কাড়াই সরাসরি সিঙ্কে নিয়ে ঠান্ডা পানি ঢাললে পোড়া খাবারের অংশ সহজে উঠে যায়। কিন্তু অল-ক্ল্যাড ও ক্যালফালনের মতো নামকরা কুকওয়্যার ব্রান্ড সতর্ক করে বলছে, এটি কড়াই নষ্ট হওয়ার বড় কারণগুলোর একটি।
থার্মাল শক কীভাবে ক্ষতি করে
ধাতু গরম হলে প্রসারিত হয় এবং ঠান্ডা হলে সংকুচিত হয়। এটি পদার্থবিজ্ঞানের সাধারণ নিয়ম। যখন প্রায় ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার একটি কড়াই হঠাৎ ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে আসে, তখন ধাতব অণুগুলো দ্রুত সংকুচিত হয়। এই হঠাৎ পরিবর্তনই সৃষ্টি করে থার্মাল শক, যা কড়াইয়ের গঠনকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া
থার্মাল শকের সবচেয়ে সাধারণ ফল হলো কড়াই বাঁকা হয়ে যাওয়া। হঠাৎ ঠান্ডায় কড়াইয়ের নিচের অংশ সংকুচিত হয়ে ভাঁজ হয়ে যায়। ফলে কড়াই চুলার ওপর ঠিকভাবে বসে না এবং তাপ সমানভাবে ছড়ায় না। এর ফল হিসেবে রান্নার সময় এক পাশে খাবার পুড়ে যায়, অন্য পাশে ঠিকমতো রান্না হয় না।
নন-স্টিক কড়াই বাড়তি ঝুঁকি
নন-স্টিক কড়াইয়ের ক্ষেত্রে থার্মাল শক আরও বেশি ক্ষতিকর। কারণ, প্যানের ধাতু ও নন-স্টিক কোটিংয়ের প্রসারণ ও সংকোচনের হার এক নয়। হঠাৎ ঠান্ডা হলে কোটিং ফেটে যেতে বা উঠে যেতে পারে। এতে প্যানের নন-স্টিক ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং কোটিংয়ের ক্ষুদ্র কণা খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ক্ষতিগ্রস্ত নন-স্টিক কোটিং থেকে পিএফএএস জাতীয় ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্গত হতে পারে। যেগুলো দীর্ঘ মেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
ফাটল ধরার ঝুঁকি
কাস্ট আয়রন, স্টোনওয়্যার বা সিরামিক প্যানের ক্ষেত্রে থার্মাল শক কখনো কখনো তাৎক্ষণিক ফাটল ধরাতে পারে। এসব উপাদান স্টেইনলেস স্টিল বা অ্যালুমিনিয়ামের তুলনায় বেশি ভঙ্গুর হওয়ায় হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তন সহ্য করতে পারে না।

কড়াই রক্ষা করার নিয়ম
বিশেষজ্ঞদের মতে, কড়াই ভালো রাখার সহজ নিয়ম হলো ধৈর্য। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে—
রান্না শেষ হলে কড়াইটি চুলার ওপর বা পাশে রেখে স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন।
পুরোপুরি ঠান্ডা হলে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
তাড়াহুড়া থাকলে ঠান্ডা পানির বদলে গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন, যাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকে।
আরও কিছু সাধারণ ভুল
বিশেষজ্ঞরা আরও কয়েকটি ভুলের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো—
ঠান্ডা পানিতে লবণ দিলে লবণের কণা তলায় জমে স্টেইনলেস স্টিলের পাত্রে ক্ষুদ্র গর্ত তৈরি করতে পারে। তাই পানি ফুটে ওঠার পর লবণ যোগ করা ভালো।
নন-স্টিক প্যান একটির ওপর আরেকটি রাখলে ওপরের প্যানের তলা নিচের প্যানের কোটিংয়ে আঁচড় ফেলতে পারে।
নন-স্টিক প্যানে ধাতব স্ক্রাবার বা শক্ত ঘষামাজা একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত।
কাস্ট আয়রন প্যান পরিষ্কারে সাবান কম ব্যবহার করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দ্রুত শুকিয়ে হালকা তেল মেখে রাখা ভালো, এতে মরিচা ধরবে না।
রান্নার পাত্রের যত্ন নেওয়া মানে শুধু খরচ বাঁচানো নয়; এটি খাবারের মান, স্বাদ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে। একটি ভালো পাত্র দীর্ঘদিন ভালো থাকলে সমানভাবে রান্না হয়। খাবার পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে এবং ক্ষতিকর পদার্থ খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। গরম প্যানে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসটি ত্যাগ করলে কড়াইয়ের গঠন ও কোটিং অক্ষত এবং সেটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের উপযোগী থাকবে।
সূত্র: হাফ পোস্ট

ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
৩ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯...
৭ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতক। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজসহ আগামী সাত দিন কেবল একটি সপ্তাহ নয়, বরং এটি একটি পুরোদস্তুর ধামাকা বলিউড মসলা মুভি! জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, একদিকে বড়দিনের আমেজ, অন্যদিকে নতুন বছরের...
৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেটের প্রতি প্রবল উৎসাহের কারণে ব্লগ বা টুইটের মতো শব্দগুলো নির্বাচিত হয়েছিল। কিন্তু ২০২৫-এর শব্দগুলো বলছে অন্য কথা। এবারের শব্দগুলোতে কৃত্রিমতা, আবেগীয় কারসাজি এবং অদ্ভুত সব ট্রেন্ডের জয়জয়কার।
২০২৫ সালের নির্বাচিত শব্দগুলোর মাধ্যমে মানুষের ডিজিটাল জীবনের একটি বিবর্তনমূলক চিত্র ফুটে উঠেছে। এ বছর এই শব্দগুলো একসঙ্গে বিশ্লেষণ করলে একটি বিশেষ মানসিক অবস্থার খোঁজ পাওয়া যায়। যাকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল নিহিলিজম। ভুল তথ্য, এআই-জেনারেটেড ছবি এবং ষড়যন্ত্রতত্ত্বের এই ভিড়ে মানুষ এখন কাকে বিশ্বাস করবে, তা নিয়ে সন্দিহান। এই অনিশ্চয়তাকে একটি ইমোজি দিয়ে সবচেয়ে ভালো প্রকাশ করা যায়। আর তা হলো ‘কাঁধ ঝাঁকানো’ ইমোজি। অর্থাৎ, ডিজিটাল জীবনের এই অরাজকতায় মানুষ এখন কিছুটা উদাসীন এবং নিরুপায়।

ইন্টারনেটের নতুন জঞ্জাল এআই স্লপ
অস্ট্রেলীয় ইংরেজি ভাষার প্রধান নির্দেশিকা ম্যাককুয়ারি ডিকশনারি বছরের সেরা শব্দ হিসেবে বেছে নিয়েছে ‘এআই স্লপ’ শব্দটিকে। এটি মূলত জেনারেটিভ এআই দিয়ে তৈরি নিম্নমানের কনটেন্ট, যা ইন্টারনেটে না চাইতেই আমাদের সামনে চলে আসে। ত্রুটিপূর্ণ এআই ইমেজ থেকে শুরু করে লিঙ্কডইনে দেওয়া অদ্ভুত সব ক্যারিয়ার পরামর্শ সবই এই স্লপের অন্তর্ভুক্ত। এটি শুধু একটি শব্দ নয়, বরং ইন্টারনেটের অর্থহীন তথ্যের ভিড়ে প্রকৃত তথ্য খুঁজে পাওয়ার লড়াইকে ফুটিয়ে তোলে।
প্যারাসোশ্যাল (Parasocial): কৃত্রিম সম্পর্কের মায়া
‘কেমব্রিজ ডিকশনারি’ নির্বাচন করেছে ‘প্যারাসোশ্যাল’ শব্দটি। এটি এমন এক ধরনের মানসিক সম্পর্ক, যেখানে একজন ব্যক্তি কোনো সেলিব্রিটি, কাল্পনিক চরিত্র, এমনকি এআই চ্যাটবটের প্রতি একতরফা টান অনুভব করেন। ১৯৫৬ সালে সমাজবিজ্ঞানীরা শব্দটি তৈরি করলেও ২০২৫ সালে এটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। গায়িকা টেলর সুইফট ও ট্র্যাভিস কেলসের বাগদান নিয়ে ভক্তদের অতি উৎসাহ কিংবা নিঃসঙ্গ মানুষের চ্যাটবটের প্রেমে পড়া—এই ঘটনাগুলো প্যারাস্যোশাল শব্দটির ব্যবহার বাড়ার পেছনে বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে। মানুষ এখন রক্তমাংসের মানুষের চেয়ে স্ক্রিনের ওপারের চরিত্রের সঙ্গে বেশি মানসিক সংযোগ খুঁজছে।
রাগের কারসাজি রেজ বাইট (Rage Bait)
‘অক্সফোর্ড ডিকশনারি’ এ বছর বেছে নিয়েছে ‘রেজ বাইট’ শব্দটি। এটি এমন এক ধরনের কনটেন্টকে বোঝায়, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানুষকে রাগান্বিত বা উত্তেজিত করার জন্য তৈরি করা হয়। মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটে ট্রাফিক বা এনগেজমেন্ট বাড়ানো। ‘অ্যাটেনশন ইকোনমি’ বা মানুষের মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার এই নোংরা কৌশল রাজনৈতিক মেরুকরণকেও ত্বরান্বিত করছে। ২০২৫ সালে এই শব্দের ব্যবহার আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। এ ঘটনা প্রমাণ করে, আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা করার বিষয়টির প্রতি আমরা এখন অনেক বেশি সচেতন।
৬-৭ (6-7): অর্থহীনতার জয়জয়কার
এবার সবচেয়ে অদ্ভুত এবং বিতর্কিত নির্বাচনটি করেছে ‘ডিকশনারি ডট কম’। তারা কোনো শব্দ নয়, বরং সংখ্যাকে বছরের সেরা বলে ঘোষণা করেছে। তারা বেছে নিয়েছে ‘৬-৭’। জেনারেশন আলফার এই স্লাং মূলত অর্থহীন এবং অদ্ভুতুড়ে। র্যাপার স্ক্রিলার এর একটি গান থেকে এটি জনপ্রিয় হয়। এটি ব্যবহারের সময় দুই হাত দিয়ে দাঁড়িপাল্লার মতো একটি ভঙ্গি করা হয়। শুধু র্যাপার নন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকেও একটি স্কুল এই সাইন পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। মজার ব্যাপার হলো, এই শব্দের কোনো নির্দিষ্ট অর্থ নেই। মূলত কিশোর-কিশোরীরা বড়দের বিভ্রান্ত করতেই এটি বেশি ব্যবহার করে।
ভাইব কোডিং (Vibe Coding): প্রযুক্তির সহজ পাঠ
‘কোলিন্স ডিকশনারি’ বেছে নিয়েছে ‘ভাইব কোডিং’ শব্দটি। এটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সাধারণ ভাষায় কমান্ড দিয়ে কম্পিউটার কোড লেখানোর পদ্ধতি। ওপেন এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেজ কারপাথি শব্দটি জনপ্রিয় করেন। এর ফলে এখন কোডিংয়ের গভীর জ্ঞান না থাকলেও কেবল ‘ভাইব’ বা অনুভূতির মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস ম্যাগাজিন, ইভিএন এক্সপ্রেস

২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইন্টারনেটের প্রতি প্রবল উৎসাহের কারণে ব্লগ বা টুইটের মতো শব্দগুলো নির্বাচিত হয়েছিল। কিন্তু ২০২৫-এর শব্দগুলো বলছে অন্য কথা। এবারের শব্দগুলোতে কৃত্রিমতা, আবেগীয় কারসাজি এবং অদ্ভুত সব ট্রেন্ডের জয়জয়কার।
২০২৫ সালের নির্বাচিত শব্দগুলোর মাধ্যমে মানুষের ডিজিটাল জীবনের একটি বিবর্তনমূলক চিত্র ফুটে উঠেছে। এ বছর এই শব্দগুলো একসঙ্গে বিশ্লেষণ করলে একটি বিশেষ মানসিক অবস্থার খোঁজ পাওয়া যায়। যাকে বলা হচ্ছে ডিজিটাল নিহিলিজম। ভুল তথ্য, এআই-জেনারেটেড ছবি এবং ষড়যন্ত্রতত্ত্বের এই ভিড়ে মানুষ এখন কাকে বিশ্বাস করবে, তা নিয়ে সন্দিহান। এই অনিশ্চয়তাকে একটি ইমোজি দিয়ে সবচেয়ে ভালো প্রকাশ করা যায়। আর তা হলো ‘কাঁধ ঝাঁকানো’ ইমোজি। অর্থাৎ, ডিজিটাল জীবনের এই অরাজকতায় মানুষ এখন কিছুটা উদাসীন এবং নিরুপায়।

ইন্টারনেটের নতুন জঞ্জাল এআই স্লপ
অস্ট্রেলীয় ইংরেজি ভাষার প্রধান নির্দেশিকা ম্যাককুয়ারি ডিকশনারি বছরের সেরা শব্দ হিসেবে বেছে নিয়েছে ‘এআই স্লপ’ শব্দটিকে। এটি মূলত জেনারেটিভ এআই দিয়ে তৈরি নিম্নমানের কনটেন্ট, যা ইন্টারনেটে না চাইতেই আমাদের সামনে চলে আসে। ত্রুটিপূর্ণ এআই ইমেজ থেকে শুরু করে লিঙ্কডইনে দেওয়া অদ্ভুত সব ক্যারিয়ার পরামর্শ সবই এই স্লপের অন্তর্ভুক্ত। এটি শুধু একটি শব্দ নয়, বরং ইন্টারনেটের অর্থহীন তথ্যের ভিড়ে প্রকৃত তথ্য খুঁজে পাওয়ার লড়াইকে ফুটিয়ে তোলে।
প্যারাসোশ্যাল (Parasocial): কৃত্রিম সম্পর্কের মায়া
‘কেমব্রিজ ডিকশনারি’ নির্বাচন করেছে ‘প্যারাসোশ্যাল’ শব্দটি। এটি এমন এক ধরনের মানসিক সম্পর্ক, যেখানে একজন ব্যক্তি কোনো সেলিব্রিটি, কাল্পনিক চরিত্র, এমনকি এআই চ্যাটবটের প্রতি একতরফা টান অনুভব করেন। ১৯৫৬ সালে সমাজবিজ্ঞানীরা শব্দটি তৈরি করলেও ২০২৫ সালে এটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। গায়িকা টেলর সুইফট ও ট্র্যাভিস কেলসের বাগদান নিয়ে ভক্তদের অতি উৎসাহ কিংবা নিঃসঙ্গ মানুষের চ্যাটবটের প্রেমে পড়া—এই ঘটনাগুলো প্যারাস্যোশাল শব্দটির ব্যবহার বাড়ার পেছনে বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে। মানুষ এখন রক্তমাংসের মানুষের চেয়ে স্ক্রিনের ওপারের চরিত্রের সঙ্গে বেশি মানসিক সংযোগ খুঁজছে।
রাগের কারসাজি রেজ বাইট (Rage Bait)
‘অক্সফোর্ড ডিকশনারি’ এ বছর বেছে নিয়েছে ‘রেজ বাইট’ শব্দটি। এটি এমন এক ধরনের কনটেন্টকে বোঝায়, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানুষকে রাগান্বিত বা উত্তেজিত করার জন্য তৈরি করা হয়। মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটে ট্রাফিক বা এনগেজমেন্ট বাড়ানো। ‘অ্যাটেনশন ইকোনমি’ বা মানুষের মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার এই নোংরা কৌশল রাজনৈতিক মেরুকরণকেও ত্বরান্বিত করছে। ২০২৫ সালে এই শব্দের ব্যবহার আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। এ ঘটনা প্রমাণ করে, আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা করার বিষয়টির প্রতি আমরা এখন অনেক বেশি সচেতন।
৬-৭ (6-7): অর্থহীনতার জয়জয়কার
এবার সবচেয়ে অদ্ভুত এবং বিতর্কিত নির্বাচনটি করেছে ‘ডিকশনারি ডট কম’। তারা কোনো শব্দ নয়, বরং সংখ্যাকে বছরের সেরা বলে ঘোষণা করেছে। তারা বেছে নিয়েছে ‘৬-৭’। জেনারেশন আলফার এই স্লাং মূলত অর্থহীন এবং অদ্ভুতুড়ে। র্যাপার স্ক্রিলার এর একটি গান থেকে এটি জনপ্রিয় হয়। এটি ব্যবহারের সময় দুই হাত দিয়ে দাঁড়িপাল্লার মতো একটি ভঙ্গি করা হয়। শুধু র্যাপার নন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকেও একটি স্কুল এই সাইন পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। মজার ব্যাপার হলো, এই শব্দের কোনো নির্দিষ্ট অর্থ নেই। মূলত কিশোর-কিশোরীরা বড়দের বিভ্রান্ত করতেই এটি বেশি ব্যবহার করে।
ভাইব কোডিং (Vibe Coding): প্রযুক্তির সহজ পাঠ
‘কোলিন্স ডিকশনারি’ বেছে নিয়েছে ‘ভাইব কোডিং’ শব্দটি। এটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সাধারণ ভাষায় কমান্ড দিয়ে কম্পিউটার কোড লেখানোর পদ্ধতি। ওপেন এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা আন্দ্রেজ কারপাথি শব্দটি জনপ্রিয় করেন। এর ফলে এখন কোডিংয়ের গভীর জ্ঞান না থাকলেও কেবল ‘ভাইব’ বা অনুভূতির মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস ম্যাগাজিন, ইভিএন এক্সপ্রেস

ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
৩ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
৫ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতক। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজসহ আগামী সাত দিন কেবল একটি সপ্তাহ নয়, বরং এটি একটি পুরোদস্তুর ধামাকা বলিউড মসলা মুভি! জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, একদিকে বড়দিনের আমেজ, অন্যদিকে নতুন বছরের...
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতক। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজসহ আগামী সাত দিন কেবল একটি সপ্তাহ নয়, বরং এটি একটি পুরোদস্তুর ধামাকা বলিউড মসলা মুভি! জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, একদিকে বড়দিনের আমেজ, অন্যদিকে নতুন বছরের হাতছানি—সব মিলিয়ে গ্রহরা এখন পার্টি মুডে আছে।
সপ্তাহের শুরুতেই এই রাশির জাতক-জাতিকার ভেতর ‘শার্লক হোমস’ জেগে উঠবে। আশপাশের লোকজন কেন এত খুশি, কেন এত হাসছে, সবাই কেন এত খাতির করছে—এসব কিছুর পেছনে গভীর গোয়েন্দা নজর রাখবেন। তবে এত সতর্কতার কিছু নেই, অতিরিক্ত গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে আবার ফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে যেতে পারেন!
সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ দার্শনিক হয়ে উঠবেন। মনে হবে, ‘জীবনটা আসলে কী?’ তবে সেই উত্তর পাওয়ার আগেই বিরিয়ানির গন্ধ আপনাকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনবে।
এই রাশির জাতক-জাতিকারা যাঁরা রাজনীতির ময়দানের খেলোয়াড়, তাঁরা রীতিমতো ফাটিয়ে দেবেন! সপ্তাহটি তাঁদের জন্য দাবা খেলার মতো। জাতক-জাতিকার প্রতিটি চাল প্রতিপক্ষকে ঘাম ছুটিয়ে দেবে।
জনসভায় আপনার ভাষণ আজ জনতাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবে। তবে মাইক চেক করে নেবেন, নতুবা আপনার গোপন কোনো মন্তব্য জনসমক্ষে চলে আসতে পারে। বিরোধী পক্ষ আপনার ছোট কোনো ভুলকে বড় করার জন্য ওত পেতে থাকবে।
এলাকার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়বে। তবে ছবি তোলার চেয়ে মানুষের কথা শোনায় বেশি মনোযোগ দিন। ভোটাররা আপনার কাছে এই মাহেন্দ্রক্ষণের গিফট হিসেবে এলাকার উন্নয়ন চাইবে।
তবে দলের ভেতরেই ‘মীরজাফর’ চেনার চেষ্টা করুন। কারও হাসিমুখের পেছনে বিষাক্ত কোনো পরিকল্পনা থাকতে পারে।
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বিদ্যুতের গতিতে কাজ করবেন। ডেস্কে কাজের ফাইল পাহাড়ের মতো জমলেও আপনি ইউটিউবে ‘কীভাবে কোটিপতি হওয়া যায়’ তা দেখে সময় কাটাবেন।
আপনার উন্নতি দেখে সহকর্মীদের চোখ টাটাবে। কেউ যদি আপনার কলম বা ফোন চার্জার নিয়ে যায়, বুঝবেন সেটা কেবল চুরি নয়, আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা!
ব্যবসায়ীদের জন্য সময়টা দারুণ। তবে বড় কোনো চুক্তিতে সই করার আগে চশমাটা ভালো করে মুছে নেবেন, যাতে ‘শর্তাবলি’ পরিষ্কার দেখা যায়।
টাকা আসবে ঠিকই, কিন্তু সেই টাকা দিয়ে গিফট কিনতে গিয়ে আপনি দেউলিয়া হওয়ার পথে হাঁটবেন। লটারির টিকিট কাটলে হয়তো ২০ টাকা জিতবেন, কিন্তু সেই খুশিতে বন্ধুদের ১০০ টাকার মিষ্টি খাইয়ে লস করে ফেলবেন।
রাস্তায় পড়ে থাকা টাকা কুড়াতে যাবেন না, ওটা হয়তো কারোর ‘মানত’ করা পয়সা হতে পারে!
প্রেমের বাজারে বৃশ্চিক রাশির গ্রাফ এখন ঊর্ধ্বমুখী। স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হবে ঠিকই, কিন্তু সেটা হবে ‘কে রিমোট ধরবে’ বা ‘কে লাইট বন্ধ করবে’ তা নিয়ে। শেষে আপস হবে অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে।
আর সিঙ্গেলদের ক্ষেত্রে, আপনার পুরোনো কোনো ক্রাশ হঠাৎ করে ইনবক্সে ‘হাই’ পাঠাতে পারে। সাবধান! ওটা হয়তো বিয়ের কার্ড পাঠানোর আগের প্রস্তুতি। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন।
স্বাস্থ্য নিয়ে আপনার গ্রহরা একটু কানামাছি খেলছে। একদিকে আপনার মন বলবে ‘আরেক পিস কেক খাই’, অন্যদিকে লিভার বলবে ‘দোহাই তোমার, থামো!’
জিম যাওয়ার কথা ভেবে সকালে অ্যালার্ম দেবেন ঠিকই, কিন্তু সেই অ্যালার্ম বন্ধ করে আরও দুই ঘণ্টা ঘুমানোটাই হবে আপনার আসল ব্যায়াম।
ঠান্ডায় আইসক্রিম খেয়ে গলার বারোটা বাজাবেন না।
২৫ ডিসেম্বর (বড়দিন): উপহার না জুটলেও বাড়িতে ভালো খাবারের যোগ আছে।
২৮ ডিসেম্বর: অফিসের বস বা রাজনৈতিক হাইকমান্ডের সঙ্গে ঝামেলা এড়িয়ে চলুন, না হলে নতুন বছরের ছুটিটা ঘরে বসেই কাটাতে হবে।
৩১ ডিসেম্বর: পার্টিতে নাচতে গিয়ে বা মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে যেন পা মচকে না যায়, খেয়াল রাখবেন।
কারোর ব্যক্তিগত চ্যাটে বা লবিংয়ের গোপন নথিতে উঁকি দেবেন না, স্ক্রিনশট ধরা পড়ে গেলে মান-সম্মান পাড়ায় বিলিয়ে দিতে হবে। নেতিবাচকতা কাটাতে পকেটে একটি কালো রুমাল রাখুন এবং প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের উদ্দেশে বলুন—‘আমিই জনগণের প্রিয় নেতা!’
আপনার শুভ সংখ্যা: ০৯, ২১, ৭৭। শুভ রং: গাঢ় লাল বা খয়েরি।

দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনের পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতক। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য আজসহ আগামী সাত দিন কেবল একটি সপ্তাহ নয়, বরং এটি একটি পুরোদস্তুর ধামাকা বলিউড মসলা মুভি! জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, একদিকে বড়দিনের আমেজ, অন্যদিকে নতুন বছরের হাতছানি—সব মিলিয়ে গ্রহরা এখন পার্টি মুডে আছে।
সপ্তাহের শুরুতেই এই রাশির জাতক-জাতিকার ভেতর ‘শার্লক হোমস’ জেগে উঠবে। আশপাশের লোকজন কেন এত খুশি, কেন এত হাসছে, সবাই কেন এত খাতির করছে—এসব কিছুর পেছনে গভীর গোয়েন্দা নজর রাখবেন। তবে এত সতর্কতার কিছু নেই, অতিরিক্ত গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে আবার ফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে যেতে পারেন!
সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা বেশ দার্শনিক হয়ে উঠবেন। মনে হবে, ‘জীবনটা আসলে কী?’ তবে সেই উত্তর পাওয়ার আগেই বিরিয়ানির গন্ধ আপনাকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনবে।
এই রাশির জাতক-জাতিকারা যাঁরা রাজনীতির ময়দানের খেলোয়াড়, তাঁরা রীতিমতো ফাটিয়ে দেবেন! সপ্তাহটি তাঁদের জন্য দাবা খেলার মতো। জাতক-জাতিকার প্রতিটি চাল প্রতিপক্ষকে ঘাম ছুটিয়ে দেবে।
জনসভায় আপনার ভাষণ আজ জনতাকে মন্ত্রমুগ্ধ করবে। তবে মাইক চেক করে নেবেন, নতুবা আপনার গোপন কোনো মন্তব্য জনসমক্ষে চলে আসতে পারে। বিরোধী পক্ষ আপনার ছোট কোনো ভুলকে বড় করার জন্য ওত পেতে থাকবে।
এলাকার মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়বে। তবে ছবি তোলার চেয়ে মানুষের কথা শোনায় বেশি মনোযোগ দিন। ভোটাররা আপনার কাছে এই মাহেন্দ্রক্ষণের গিফট হিসেবে এলাকার উন্নয়ন চাইবে।
তবে দলের ভেতরেই ‘মীরজাফর’ চেনার চেষ্টা করুন। কারও হাসিমুখের পেছনে বিষাক্ত কোনো পরিকল্পনা থাকতে পারে।
কর্মক্ষেত্রে আপনি আজ বিদ্যুতের গতিতে কাজ করবেন। ডেস্কে কাজের ফাইল পাহাড়ের মতো জমলেও আপনি ইউটিউবে ‘কীভাবে কোটিপতি হওয়া যায়’ তা দেখে সময় কাটাবেন।
আপনার উন্নতি দেখে সহকর্মীদের চোখ টাটাবে। কেউ যদি আপনার কলম বা ফোন চার্জার নিয়ে যায়, বুঝবেন সেটা কেবল চুরি নয়, আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা!
ব্যবসায়ীদের জন্য সময়টা দারুণ। তবে বড় কোনো চুক্তিতে সই করার আগে চশমাটা ভালো করে মুছে নেবেন, যাতে ‘শর্তাবলি’ পরিষ্কার দেখা যায়।
টাকা আসবে ঠিকই, কিন্তু সেই টাকা দিয়ে গিফট কিনতে গিয়ে আপনি দেউলিয়া হওয়ার পথে হাঁটবেন। লটারির টিকিট কাটলে হয়তো ২০ টাকা জিতবেন, কিন্তু সেই খুশিতে বন্ধুদের ১০০ টাকার মিষ্টি খাইয়ে লস করে ফেলবেন।
রাস্তায় পড়ে থাকা টাকা কুড়াতে যাবেন না, ওটা হয়তো কারোর ‘মানত’ করা পয়সা হতে পারে!
প্রেমের বাজারে বৃশ্চিক রাশির গ্রাফ এখন ঊর্ধ্বমুখী। স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হবে ঠিকই, কিন্তু সেটা হবে ‘কে রিমোট ধরবে’ বা ‘কে লাইট বন্ধ করবে’ তা নিয়ে। শেষে আপস হবে অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে।
আর সিঙ্গেলদের ক্ষেত্রে, আপনার পুরোনো কোনো ক্রাশ হঠাৎ করে ইনবক্সে ‘হাই’ পাঠাতে পারে। সাবধান! ওটা হয়তো বিয়ের কার্ড পাঠানোর আগের প্রস্তুতি। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন।
স্বাস্থ্য নিয়ে আপনার গ্রহরা একটু কানামাছি খেলছে। একদিকে আপনার মন বলবে ‘আরেক পিস কেক খাই’, অন্যদিকে লিভার বলবে ‘দোহাই তোমার, থামো!’
জিম যাওয়ার কথা ভেবে সকালে অ্যালার্ম দেবেন ঠিকই, কিন্তু সেই অ্যালার্ম বন্ধ করে আরও দুই ঘণ্টা ঘুমানোটাই হবে আপনার আসল ব্যায়াম।
ঠান্ডায় আইসক্রিম খেয়ে গলার বারোটা বাজাবেন না।
২৫ ডিসেম্বর (বড়দিন): উপহার না জুটলেও বাড়িতে ভালো খাবারের যোগ আছে।
২৮ ডিসেম্বর: অফিসের বস বা রাজনৈতিক হাইকমান্ডের সঙ্গে ঝামেলা এড়িয়ে চলুন, না হলে নতুন বছরের ছুটিটা ঘরে বসেই কাটাতে হবে।
৩১ ডিসেম্বর: পার্টিতে নাচতে গিয়ে বা মঞ্চে ভাষণ দিতে গিয়ে যেন পা মচকে না যায়, খেয়াল রাখবেন।
কারোর ব্যক্তিগত চ্যাটে বা লবিংয়ের গোপন নথিতে উঁকি দেবেন না, স্ক্রিনশট ধরা পড়ে গেলে মান-সম্মান পাড়ায় বিলিয়ে দিতে হবে। নেতিবাচকতা কাটাতে পকেটে একটি কালো রুমাল রাখুন এবং প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের উদ্দেশে বলুন—‘আমিই জনগণের প্রিয় নেতা!’
আপনার শুভ সংখ্যা: ০৯, ২১, ৭৭। শুভ রং: গাঢ় লাল বা খয়েরি।

ভ্রমণ করতে অনেকেই পছন্দ করেন। আর ঘোরাঘুরিতে সবারই পছন্দের গন্তব্য থাকে। তবে পৃথিবীর সব দেশ ভ্রমণ করা মানুষের সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। ধারণা করা হয় সংখ্যাটি ৪০০-র আশপাশে। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে এই চেষ্টা করা এবং সফল হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
কাজুবাদামকে বলা হয় ‘পুষ্টির ছোট প্যাকেট’। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। এ কারণে যে আপনি মুঠো মুঠো করে সব সময় এটি খেতেই থাকবেন, তা হবে না। নিয়মিত কাজুবাদাম পরিমিত খেতে হবে। এতে আপনি পেতে পারেন দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক সুস্থতা। মূলত ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত এই বৃক্ষজাত বীজ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার
৩ ঘণ্টা আগে
কড়াইসহ যেকোনো ধাতব হাঁড়িপাতিল কেন বাঁকা হয়ে যায়, জানেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধাতব পাত্রে ঠান্ডা পানি ঢালার অভ্যাসের মধ্যে। চুলা থেকে নামানো গরম কড়াইয়ে হঠাৎ ঠান্ডা পানি ঢাললে যে শব্দ হয়, অনেকের কাছে তা সাধারণ মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি একটি সতর্কবার্তা।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল প্রায় শেষের পথে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বের খ্যাতনামা অভিধানগুলো তাদের ‘ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার’ বা বছরের সেরা শব্দ ঘোষণা করেছে। তবে এবারের নির্বাচনগুলোতে একটি বিশেষ সুর ফুটে উঠেছে। তা হলো ডিজিটাল জগতের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাস ও অনিশ্চয়তা। যেমন একুশ শতকের প্রথম দশকে অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯...
৭ ঘণ্টা আগে