
টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে করা তালিকাটিতে প্রথম পাঁচের বাকি চারটি স্থান পূরণ করেছে যথাক্রমে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। এ তথ্য জানা গেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ ডটকমের সূত্রে।
২০২২ সালে ৬১ লাখ ১৯ হাজারের বেশি-বিদেশি পর্যটক ভারতে আসেন, যা ২০২১ সালের একই সময়ের, অর্থাৎ জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ের তুলনায় ৩০৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে রেকর্ড ১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার বিদেশি পর্যটক ভারতে এসেছিলেন। তারপরই ২০২০ সালে করোনা মহামারি গোটা বিশ্বেই পর্যটন খাতকে অনেকটা স্থবির করে দেয়।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানগুলো ইমিগ্রেশন ব্যুরো থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এটা অনুসারে গত বছর ভারতে আসা বিদেশি পর্যটকদের অর্ধেকের বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
বিদেশি এই পর্যটকদের মধ্যে ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৭ জন, অর্থাৎ ২২ দশমিক ১৯ শতাংশ মার্কিন নাগরিক। এ সময় ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬০ জন বাংলাদেশি পর্যটক প্রতিবেশী দেশটিতে যান, যা মোট বিদেশি পর্যটকের ২০ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের পর্যটক ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ, অস্ট্রেলীয় নাগরিক ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং কানাডার ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তালিকায় পরের স্থানগুলো যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, জার্মানি, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার।
উল্লেখ্য, টানা পাঁচ বছর বিদেশি পর্যটকদের এই তালিকায় শীর্ষে থাকার পর ২০২১ সালে আমেরিকার পেছনে পড়ে বাংলাদেশ। তবে এ বছরের প্রথম ছয় মাসের তথ্য-উপাত্ত বলছে, আবার যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে ভারতে বিদেশি পর্যটক ভ্রমণের সংখ্যার প্রথম স্থানটি অধিকার করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের হিসাবে ভারত ভ্রমণে আসা বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা দেশটিতে যাওয়া মোট পর্যটকের ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ, পরের স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন ১৮ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা ভারতের পর্যটন খাতে বাংলাদেশের উত্থানের পেছনে একটি কারণ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের দূতাবাস না থাকাকে। ফলে বাংলাদেশের অনেক নাগরিককে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ভারতে যেতে হয়। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে চিকিৎসার জন্য যান, যা ভারত ভ্রমণে আসা বাংলাদেশিদের সংখ্যা আরও বাড়ায়।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দুই দেশ ভুটান ও নেপালি নাগরিকেরা বাদে অন্য সব দেশের নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়।
বিদেশি অতিথিদের আগমনের সময়ের হিসাব করলে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ডিসেম্বর মাস। তবে এর পরের মাস জানুয়ারিতেই আবার তেমন পর্যটক থাকে না।
প্রাথমিক হিসাবে দেখা যায়, পর্যটন থেকে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয় ২০২২ সালে ৯২ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৬৯৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, ২০২১ সালে যা ছিল ৮৮০ কোটি ডলার। তবে ২০১৯-এর আয়ের তুলনায় এটি ৪৫ শতাংশ কম।
ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে সবার চেয়ে এগিয়ে দিল্লি এয়ারপোর্ট। মোট পর্যটকের ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ আসেন এই বিমানবন্দর দিয়ে। তালিকায় পরের স্থানটি মুম্বাই এয়ারপোর্টের, ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ বিদেশি আসেন এ পথে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের হরিদাসপুর সীমান্ত পথে আসেন ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ পর্যটক। কলকাতার ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই পোর্ট দিয়েই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের প্রবেশ ঘটে প্রতিবেশী দেশটিতে। তালিকার পরের দুটি স্থান চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টের।
এদিকে রাজ্য অনুযায়ী হিসাব করলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাট বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে প্রথম স্থানে ছিল গেল বছর। এশীয় সিংহের জন্য বিখ্যাত গির জাতীয় উদ্যান, সোমনাথ মন্দির, ঐতিহাসিক দ্বারকা নগরীসহ অনেক দ্রষ্টব্য স্থানই আছে এখানে। চমৎকার কিছু উৎসব বা ফেস্টিভ্যালের আয়োজনও থাকে এখানে বছরজুড়ে।
ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) দেওয়া তথ্য বলছে, ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ গুজরাট। ২০২১ সালে বিদেশিদের সঙ্গে কেবল একটি অপরাধের ঘটনা হয়েছে সেখানে। একই বছরে দিল্লিতে এমন ঘটনা ২৭টি তামিলনাড়ুতে ১৬ এবং কেরালা ও তেলেঙ্গানায় ১৫টি করে।
এদিকে বিদেশি পর্যটক আসার তালিকায় দুইয়ে মহারাষ্ট্র। তার পরে আছে যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ।
সর্বশেষ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব করলে জাতীয়ভাবে সংরক্ষিত ও টিকিট কেটে ঢুকতে হয় এমন হেরিটেজ স্থাপনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন তাজমহলে, সংখ্যাটি ৩ লাখ ২৮ হাজার।
বিদেশি পর্যটক আসার সংখ্যা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিমাণ আপাতদৃষ্টিতে আকর্ষণীয় মনে হলেও বিশ্বের হিসাবে ভারত এই খাতে খুব ভালো অবস্থায় আছে সেটি বলা যাবে না।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের (ইউএনডব্লিউটিও) তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী মোট পর্যটক ভ্রমণে ভারতের অবদান মোটে ২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক পর্যটন খাতে আয়ে কেবল ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ অবদান রেখে দেশটির অবস্থান ১৪তম।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ট্রাভেল ও ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সূচক ২০২১-এ ভারতের অবস্থান ৫৪তম, যেখানে ২০১৯ সালে ছিল ২০ ধাপ আগে, অর্থাৎ ৩৪তম স্থানে। অবশ্য ভারতের পর্যটন সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য নানা ধরনের চেষ্টা শুরু হয়েছে।

টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে করা তালিকাটিতে প্রথম পাঁচের বাকি চারটি স্থান পূরণ করেছে যথাক্রমে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। এ তথ্য জানা গেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ ডটকমের সূত্রে।
২০২২ সালে ৬১ লাখ ১৯ হাজারের বেশি-বিদেশি পর্যটক ভারতে আসেন, যা ২০২১ সালের একই সময়ের, অর্থাৎ জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ের তুলনায় ৩০৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে রেকর্ড ১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার বিদেশি পর্যটক ভারতে এসেছিলেন। তারপরই ২০২০ সালে করোনা মহামারি গোটা বিশ্বেই পর্যটন খাতকে অনেকটা স্থবির করে দেয়।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানগুলো ইমিগ্রেশন ব্যুরো থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এটা অনুসারে গত বছর ভারতে আসা বিদেশি পর্যটকদের অর্ধেকের বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
বিদেশি এই পর্যটকদের মধ্যে ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৭ জন, অর্থাৎ ২২ দশমিক ১৯ শতাংশ মার্কিন নাগরিক। এ সময় ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬০ জন বাংলাদেশি পর্যটক প্রতিবেশী দেশটিতে যান, যা মোট বিদেশি পর্যটকের ২০ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের পর্যটক ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ, অস্ট্রেলীয় নাগরিক ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং কানাডার ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তালিকায় পরের স্থানগুলো যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, জার্মানি, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার।
উল্লেখ্য, টানা পাঁচ বছর বিদেশি পর্যটকদের এই তালিকায় শীর্ষে থাকার পর ২০২১ সালে আমেরিকার পেছনে পড়ে বাংলাদেশ। তবে এ বছরের প্রথম ছয় মাসের তথ্য-উপাত্ত বলছে, আবার যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে ভারতে বিদেশি পর্যটক ভ্রমণের সংখ্যার প্রথম স্থানটি অধিকার করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের হিসাবে ভারত ভ্রমণে আসা বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা দেশটিতে যাওয়া মোট পর্যটকের ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ, পরের স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন ১৮ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা ভারতের পর্যটন খাতে বাংলাদেশের উত্থানের পেছনে একটি কারণ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের দূতাবাস না থাকাকে। ফলে বাংলাদেশের অনেক নাগরিককে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ভারতে যেতে হয়। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে চিকিৎসার জন্য যান, যা ভারত ভ্রমণে আসা বাংলাদেশিদের সংখ্যা আরও বাড়ায়।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দুই দেশ ভুটান ও নেপালি নাগরিকেরা বাদে অন্য সব দেশের নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়।
বিদেশি অতিথিদের আগমনের সময়ের হিসাব করলে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ডিসেম্বর মাস। তবে এর পরের মাস জানুয়ারিতেই আবার তেমন পর্যটক থাকে না।
প্রাথমিক হিসাবে দেখা যায়, পর্যটন থেকে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয় ২০২২ সালে ৯২ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৬৯৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, ২০২১ সালে যা ছিল ৮৮০ কোটি ডলার। তবে ২০১৯-এর আয়ের তুলনায় এটি ৪৫ শতাংশ কম।
ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে সবার চেয়ে এগিয়ে দিল্লি এয়ারপোর্ট। মোট পর্যটকের ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ আসেন এই বিমানবন্দর দিয়ে। তালিকায় পরের স্থানটি মুম্বাই এয়ারপোর্টের, ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ বিদেশি আসেন এ পথে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের হরিদাসপুর সীমান্ত পথে আসেন ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ পর্যটক। কলকাতার ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই পোর্ট দিয়েই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের প্রবেশ ঘটে প্রতিবেশী দেশটিতে। তালিকার পরের দুটি স্থান চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টের।
এদিকে রাজ্য অনুযায়ী হিসাব করলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাট বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে প্রথম স্থানে ছিল গেল বছর। এশীয় সিংহের জন্য বিখ্যাত গির জাতীয় উদ্যান, সোমনাথ মন্দির, ঐতিহাসিক দ্বারকা নগরীসহ অনেক দ্রষ্টব্য স্থানই আছে এখানে। চমৎকার কিছু উৎসব বা ফেস্টিভ্যালের আয়োজনও থাকে এখানে বছরজুড়ে।
ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) দেওয়া তথ্য বলছে, ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ গুজরাট। ২০২১ সালে বিদেশিদের সঙ্গে কেবল একটি অপরাধের ঘটনা হয়েছে সেখানে। একই বছরে দিল্লিতে এমন ঘটনা ২৭টি তামিলনাড়ুতে ১৬ এবং কেরালা ও তেলেঙ্গানায় ১৫টি করে।
এদিকে বিদেশি পর্যটক আসার তালিকায় দুইয়ে মহারাষ্ট্র। তার পরে আছে যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ।
সর্বশেষ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব করলে জাতীয়ভাবে সংরক্ষিত ও টিকিট কেটে ঢুকতে হয় এমন হেরিটেজ স্থাপনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন তাজমহলে, সংখ্যাটি ৩ লাখ ২৮ হাজার।
বিদেশি পর্যটক আসার সংখ্যা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিমাণ আপাতদৃষ্টিতে আকর্ষণীয় মনে হলেও বিশ্বের হিসাবে ভারত এই খাতে খুব ভালো অবস্থায় আছে সেটি বলা যাবে না।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের (ইউএনডব্লিউটিও) তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী মোট পর্যটক ভ্রমণে ভারতের অবদান মোটে ২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক পর্যটন খাতে আয়ে কেবল ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ অবদান রেখে দেশটির অবস্থান ১৪তম।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ট্রাভেল ও ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সূচক ২০২১-এ ভারতের অবস্থান ৫৪তম, যেখানে ২০১৯ সালে ছিল ২০ ধাপ আগে, অর্থাৎ ৩৪তম স্থানে। অবশ্য ভারতের পর্যটন সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য নানা ধরনের চেষ্টা শুরু হয়েছে।

টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে করা তালিকাটিতে প্রথম পাঁচের বাকি চারটি স্থান পূরণ করেছে যথাক্রমে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। এ তথ্য জানা গেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ ডটকমের সূত্রে।
২০২২ সালে ৬১ লাখ ১৯ হাজারের বেশি-বিদেশি পর্যটক ভারতে আসেন, যা ২০২১ সালের একই সময়ের, অর্থাৎ জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ের তুলনায় ৩০৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে রেকর্ড ১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার বিদেশি পর্যটক ভারতে এসেছিলেন। তারপরই ২০২০ সালে করোনা মহামারি গোটা বিশ্বেই পর্যটন খাতকে অনেকটা স্থবির করে দেয়।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানগুলো ইমিগ্রেশন ব্যুরো থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এটা অনুসারে গত বছর ভারতে আসা বিদেশি পর্যটকদের অর্ধেকের বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
বিদেশি এই পর্যটকদের মধ্যে ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৭ জন, অর্থাৎ ২২ দশমিক ১৯ শতাংশ মার্কিন নাগরিক। এ সময় ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬০ জন বাংলাদেশি পর্যটক প্রতিবেশী দেশটিতে যান, যা মোট বিদেশি পর্যটকের ২০ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের পর্যটক ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ, অস্ট্রেলীয় নাগরিক ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং কানাডার ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তালিকায় পরের স্থানগুলো যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, জার্মানি, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার।
উল্লেখ্য, টানা পাঁচ বছর বিদেশি পর্যটকদের এই তালিকায় শীর্ষে থাকার পর ২০২১ সালে আমেরিকার পেছনে পড়ে বাংলাদেশ। তবে এ বছরের প্রথম ছয় মাসের তথ্য-উপাত্ত বলছে, আবার যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে ভারতে বিদেশি পর্যটক ভ্রমণের সংখ্যার প্রথম স্থানটি অধিকার করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের হিসাবে ভারত ভ্রমণে আসা বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা দেশটিতে যাওয়া মোট পর্যটকের ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ, পরের স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন ১৮ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা ভারতের পর্যটন খাতে বাংলাদেশের উত্থানের পেছনে একটি কারণ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের দূতাবাস না থাকাকে। ফলে বাংলাদেশের অনেক নাগরিককে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ভারতে যেতে হয়। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে চিকিৎসার জন্য যান, যা ভারত ভ্রমণে আসা বাংলাদেশিদের সংখ্যা আরও বাড়ায়।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দুই দেশ ভুটান ও নেপালি নাগরিকেরা বাদে অন্য সব দেশের নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়।
বিদেশি অতিথিদের আগমনের সময়ের হিসাব করলে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ডিসেম্বর মাস। তবে এর পরের মাস জানুয়ারিতেই আবার তেমন পর্যটক থাকে না।
প্রাথমিক হিসাবে দেখা যায়, পর্যটন থেকে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয় ২০২২ সালে ৯২ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৬৯৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, ২০২১ সালে যা ছিল ৮৮০ কোটি ডলার। তবে ২০১৯-এর আয়ের তুলনায় এটি ৪৫ শতাংশ কম।
ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে সবার চেয়ে এগিয়ে দিল্লি এয়ারপোর্ট। মোট পর্যটকের ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ আসেন এই বিমানবন্দর দিয়ে। তালিকায় পরের স্থানটি মুম্বাই এয়ারপোর্টের, ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ বিদেশি আসেন এ পথে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের হরিদাসপুর সীমান্ত পথে আসেন ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ পর্যটক। কলকাতার ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই পোর্ট দিয়েই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের প্রবেশ ঘটে প্রতিবেশী দেশটিতে। তালিকার পরের দুটি স্থান চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টের।
এদিকে রাজ্য অনুযায়ী হিসাব করলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাট বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে প্রথম স্থানে ছিল গেল বছর। এশীয় সিংহের জন্য বিখ্যাত গির জাতীয় উদ্যান, সোমনাথ মন্দির, ঐতিহাসিক দ্বারকা নগরীসহ অনেক দ্রষ্টব্য স্থানই আছে এখানে। চমৎকার কিছু উৎসব বা ফেস্টিভ্যালের আয়োজনও থাকে এখানে বছরজুড়ে।
ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) দেওয়া তথ্য বলছে, ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ গুজরাট। ২০২১ সালে বিদেশিদের সঙ্গে কেবল একটি অপরাধের ঘটনা হয়েছে সেখানে। একই বছরে দিল্লিতে এমন ঘটনা ২৭টি তামিলনাড়ুতে ১৬ এবং কেরালা ও তেলেঙ্গানায় ১৫টি করে।
এদিকে বিদেশি পর্যটক আসার তালিকায় দুইয়ে মহারাষ্ট্র। তার পরে আছে যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ।
সর্বশেষ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব করলে জাতীয়ভাবে সংরক্ষিত ও টিকিট কেটে ঢুকতে হয় এমন হেরিটেজ স্থাপনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন তাজমহলে, সংখ্যাটি ৩ লাখ ২৮ হাজার।
বিদেশি পর্যটক আসার সংখ্যা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিমাণ আপাতদৃষ্টিতে আকর্ষণীয় মনে হলেও বিশ্বের হিসাবে ভারত এই খাতে খুব ভালো অবস্থায় আছে সেটি বলা যাবে না।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের (ইউএনডব্লিউটিও) তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী মোট পর্যটক ভ্রমণে ভারতের অবদান মোটে ২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক পর্যটন খাতে আয়ে কেবল ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ অবদান রেখে দেশটির অবস্থান ১৪তম।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ট্রাভেল ও ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সূচক ২০২১-এ ভারতের অবস্থান ৫৪তম, যেখানে ২০১৯ সালে ছিল ২০ ধাপ আগে, অর্থাৎ ৩৪তম স্থানে। অবশ্য ভারতের পর্যটন সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য নানা ধরনের চেষ্টা শুরু হয়েছে।

টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে করা তালিকাটিতে প্রথম পাঁচের বাকি চারটি স্থান পূরণ করেছে যথাক্রমে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। এ তথ্য জানা গেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ ডটকমের সূত্রে।
২০২২ সালে ৬১ লাখ ১৯ হাজারের বেশি-বিদেশি পর্যটক ভারতে আসেন, যা ২০২১ সালের একই সময়ের, অর্থাৎ জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ের তুলনায় ৩০৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে রেকর্ড ১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার বিদেশি পর্যটক ভারতে এসেছিলেন। তারপরই ২০২০ সালে করোনা মহামারি গোটা বিশ্বেই পর্যটন খাতকে অনেকটা স্থবির করে দেয়।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানগুলো ইমিগ্রেশন ব্যুরো থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। এটা অনুসারে গত বছর ভারতে আসা বিদেশি পর্যটকদের অর্ধেকের বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
বিদেশি এই পর্যটকদের মধ্যে ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৭ জন, অর্থাৎ ২২ দশমিক ১৯ শতাংশ মার্কিন নাগরিক। এ সময় ১২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬০ জন বাংলাদেশি পর্যটক প্রতিবেশী দেশটিতে যান, যা মোট বিদেশি পর্যটকের ২০ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের পর্যটক ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ, অস্ট্রেলীয় নাগরিক ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং কানাডার ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। তালিকায় পরের স্থানগুলো যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, জার্মানি, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার।
উল্লেখ্য, টানা পাঁচ বছর বিদেশি পর্যটকদের এই তালিকায় শীর্ষে থাকার পর ২০২১ সালে আমেরিকার পেছনে পড়ে বাংলাদেশ। তবে এ বছরের প্রথম ছয় মাসের তথ্য-উপাত্ত বলছে, আবার যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে ভারতে বিদেশি পর্যটক ভ্রমণের সংখ্যার প্রথম স্থানটি অধিকার করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের হিসাবে ভারত ভ্রমণে আসা বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা দেশটিতে যাওয়া মোট পর্যটকের ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ, পরের স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন ১৮ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা ভারতের পর্যটন খাতে বাংলাদেশের উত্থানের পেছনে একটি কারণ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের দূতাবাস না থাকাকে। ফলে বাংলাদেশের অনেক নাগরিককে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ভারতে যেতে হয়। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে চিকিৎসার জন্য যান, যা ভারত ভ্রমণে আসা বাংলাদেশিদের সংখ্যা আরও বাড়ায়।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দুই দেশ ভুটান ও নেপালি নাগরিকেরা বাদে অন্য সব দেশের নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়।
বিদেশি অতিথিদের আগমনের সময়ের হিসাব করলে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ডিসেম্বর মাস। তবে এর পরের মাস জানুয়ারিতেই আবার তেমন পর্যটক থাকে না।
প্রাথমিক হিসাবে দেখা যায়, পর্যটন থেকে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা আয় ২০২২ সালে ৯২ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৬৯৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, ২০২১ সালে যা ছিল ৮৮০ কোটি ডলার। তবে ২০১৯-এর আয়ের তুলনায় এটি ৪৫ শতাংশ কম।
ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে সবার চেয়ে এগিয়ে দিল্লি এয়ারপোর্ট। মোট পর্যটকের ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ আসেন এই বিমানবন্দর দিয়ে। তালিকায় পরের স্থানটি মুম্বাই এয়ারপোর্টের, ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ বিদেশি আসেন এ পথে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের হরিদাসপুর সীমান্ত পথে আসেন ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ পর্যটক। কলকাতার ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই পোর্ট দিয়েই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের প্রবেশ ঘটে প্রতিবেশী দেশটিতে। তালিকার পরের দুটি স্থান চেন্নাই ও বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টের।
এদিকে রাজ্য অনুযায়ী হিসাব করলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাট বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে প্রথম স্থানে ছিল গেল বছর। এশীয় সিংহের জন্য বিখ্যাত গির জাতীয় উদ্যান, সোমনাথ মন্দির, ঐতিহাসিক দ্বারকা নগরীসহ অনেক দ্রষ্টব্য স্থানই আছে এখানে। চমৎকার কিছু উৎসব বা ফেস্টিভ্যালের আয়োজনও থাকে এখানে বছরজুড়ে।
ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) দেওয়া তথ্য বলছে, ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ গুজরাট। ২০২১ সালে বিদেশিদের সঙ্গে কেবল একটি অপরাধের ঘটনা হয়েছে সেখানে। একই বছরে দিল্লিতে এমন ঘটনা ২৭টি তামিলনাড়ুতে ১৬ এবং কেরালা ও তেলেঙ্গানায় ১৫টি করে।
এদিকে বিদেশি পর্যটক আসার তালিকায় দুইয়ে মহারাষ্ট্র। তার পরে আছে যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ।
সর্বশেষ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব করলে জাতীয়ভাবে সংরক্ষিত ও টিকিট কেটে ঢুকতে হয় এমন হেরিটেজ স্থাপনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন তাজমহলে, সংখ্যাটি ৩ লাখ ২৮ হাজার।
বিদেশি পর্যটক আসার সংখ্যা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিমাণ আপাতদৃষ্টিতে আকর্ষণীয় মনে হলেও বিশ্বের হিসাবে ভারত এই খাতে খুব ভালো অবস্থায় আছে সেটি বলা যাবে না।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের (ইউএনডব্লিউটিও) তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী মোট পর্যটক ভ্রমণে ভারতের অবদান মোটে ২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক পর্যটন খাতে আয়ে কেবল ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ অবদান রেখে দেশটির অবস্থান ১৪তম।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ট্রাভেল ও ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট সূচক ২০২১-এ ভারতের অবস্থান ৫৪তম, যেখানে ২০১৯ সালে ছিল ২০ ধাপ আগে, অর্থাৎ ৩৪তম স্থানে। অবশ্য ভারতের পর্যটন সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য নানা ধরনের চেষ্টা শুরু হয়েছে।

আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না।
৩৮ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত।
২ ঘণ্টা আগে
খোঁজ নিলে জানা যাবে, আমাদের মা-খালাদের অনেকের বিয়ে বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু কি তাই? বিয়ের খাবারদাবারও রান্না করতেন বাড়ির লোকজনই। কমিউনিটি সেন্টার হয়তো তখন ছিল হাতে গোনা। বাড়িতে বাবুর্চি ডেকে বিয়ের ভোজের আয়োজনও যেন ছিল বাহুল্য।
৩ ঘণ্টা আগে
চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না। বসের মুড আজ খিটখিটে হতে পারে, তাই অতিরিক্ত ক্রেডিট নিতে গিয়ে আবার অতিরিক্ত কাজ ঘাড়ে চাপিয়ে নেবেন না। কাজের ভান করাটাও একটা শিল্প, আজ সেটা রপ্ত করুন। রাস্তায় হাঁটার সময় ফোনের দিকে নয়, রাস্তার গর্তের দিকে তাকান।
বৃষ
আজ আপনার ‘রাজযোগ’ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা, তবে শর্ত হলো—বিছানা ছাড়তে হবে। আলস্য আজ আপনার প্রধান শত্রু। পুরোনো কোনো বন্ধুর হঠাৎ উদয় হতে পারে এবং ৯৯ পারসেন্ট সম্ভাবনা সে আপনার কাছে টাকা ধার চাইবে। টাকা দেওয়ার আগে আয়না দেখে ‘না’ বলার প্র্যাকটিস করে নিন। খাবার দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে মনে রাখবেন পকেট আপনারই। কাচ্চি বিরিয়ানির বদলে মৌসুমি সবজি খেয়ে পেটকে একটু শান্তি দিন।
মিথুন
আজ আপনার মুখে খই ফুটবে। যুক্তি দিয়ে বাড়ির লোকেদের এমনকি দেয়ালে টাঙানো ক্যালেন্ডারকেও হার মানিয়ে দেবেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার কথা শোনার চেয়ে সবাই আপনার টাইপিং মিসটেক ধরায় বেশি উৎসাহ দেখাবে। প্রেম জীবনে সামান্য ঝগড়ার যোগ আছে, কারণ আপনি হয়তো সঙ্গীর নাম ভুল করে অন্য কারোর নামে ডেকে ফেলতে পারেন! কথা কম বলে কান খোলা রাখুন। ফোনের রিচার্জ শেষ হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় সব ঝগড়া মিটিয়ে নিন।
কর্কট
হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে—হতে পারে আলমারির পুরোনো কোটের পকেটে বা ধোয়া প্যান্টের ভেতর থেকে একটা কড়কড়ে নোট পেয়ে যাবেন! ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি ভালো, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মাথা খাটান, মন নয়। বাড়িতে হুটহাট অতিথির আগমনে পকেটে টান পড়তে পারে এবং প্রিয় খাবারটি তাদের পাতে চলে যেতে পারে। হাসিমুখে অতিথি বিদায় করাটাই আজকের প্রধান কাজ। মিষ্টি খাওয়ার আগে আপনার সুগার এবং প্যান্টের কোমরের মাপের কথা ভাবুন।
সিংহ
আজ নিজেকে বনের রাজা ভাবলেও বাড়িতে এসে দেখবেন আপনি বড়জোর ‘বিড়াল’। বাড়ির লোকের কাছে অকারণ ঝাড়ি খাওয়ার যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রে গাধার মতো পরিশ্রম করলেও ক্রেডিট নেওয়ার সময় দেখবেন অন্য কেউ ফিতা কাটছে। তবে বিকেলের দিকে প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো চমক অপেক্ষা করছে—হয়তো কোনো ব্লক হওয়া আইডি থেকে আনব্লক হতে পারেন! গর্জন না করে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করলে আজ শান্তি পাবেন। আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে বেশিক্ষণ হাসবেন না, লোকে পাগল ভাবতে পারে।
কন্যা
আজ আপনার সবকিছুতেই ‘পারফেকশন’ চাই। চায়ের কাপে এক ফোঁটা দাগ বা কার্পেটের এক কোণে সামান্য ধুলা দেখলে আপনার বিপি বেড়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতের চিন্তায় মগ্ন থেকে ডাল পুড়িয়ে ফেলার রেকর্ড আজ আপনি গড়তে পারেন। সমালোচনা করার স্বভাবটা আজ একটু কমানোর চেষ্টা করুন। ভুল ধরা বন্ধ করে নিজের ভুলগুলো একবার গুনুন। লজিক দিয়ে কথা বলুন, ম্যাজিক বা অতিপ্রাকৃত কিছু আশা করবেন না।
তুলা
আজ আপনার ভেতরকার ‘শপার’ বা ক্রেতা সত্তাটি জেগে উঠবে। পকেটে টাকা থাকুক বা না থাকুক, অনলাইন শপিং অ্যাপে উইশলিস্ট ভরিয়ে দেবেন। দামি জিনিস কিনতে গিয়ে সস্তা নকল জিনিস কিনে ঠকার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে মান-অভিমান চললে আজ একটা ডার্ক চকলেট দিয়েই সব মিটিয়ে নিতে পারেন। পকেটের ওজন বুঝেই পা ফেলুন, ক্রেডিট কার্ড আজ আপনার শত্রু। শপিং মলে ঢোকার আগে ফোনটা সাইলেন্ট করে দিন।
বৃশ্চিক
আজ আপনার মধ্যে ফেলুদা বা শার্লক হোমস জেগে উঠবে। কে কার সঙ্গে চ্যাট করছে আর কার স্ট্যাটাস হাইড করা—সব খবর আজ রাখতে চাইবেন। গোপন শত্রুরা পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আপনিও তো কম যান না! আজ পাল্টা হুল ফোটানোর জন্য আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত। গোয়েন্দাগিরি ব্যক্তিগত জীবনে না করে কাজে লাগান। অন্যের ফোনে উঁকি মারা স্বাস্থ্যের জন্য (বিশেষ করে ঘাড়ের জন্য) ক্ষতিকর।
ধনু
বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিনের আর্থিক বা সম্পত্তি সংক্রান্ত ঝামেলা আজ এক কাপ চায়ের আড্ডায় মিটে যেতে পারে। বিকেলের দিকে আকাশকুসুম কল্পনা করবেন—গাড়ি কেনা বা বিদেশে সেটল হওয়া নিয়ে (ব্যাংকে ৫০০ টাকা ব্যালেন্স থাকলেও)। তবে জীবনসঙ্গীর আবদার মেটাতে গিয়ে আজ হাঁসফাঁস অবস্থা হতে পারে। স্বপ্ন দেখুন, কিন্তু বাস্তবের মাটিটা শক্ত করে ধরুন। বন্ধুদের পার্টি দেওয়ার চক্করে মাসের বাজেট শেষ করবেন না।
মকর
অফিসে কাজের চাপে আজ আপনার অবস্থা হতে পারে ‘ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন’ দেখার মতো। বসের ই-মেইল দেখলে মনে হতে পারে হিমালয়ে চলে যাই, কিন্তু পরক্ষণেই স্যালারির মেসেজটার কথা ভেবে কাজে মন দেবেন। আজ সহকর্মীদের সঙ্গে রাজনীতির বদলে কাজের আলোচনা করাই শ্রেয়। ধৈর্যই আজ আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। অফিসের ফ্রি চা-কফি বেশি খাবেন না, অ্যাসিডিটি হতে পারে।
কুম্ভ
আজ ভীষণ সমাজসেবী ও দায়িত্বশীল হয়ে উঠবেন। বাড়ির ঝুল ঝাড়া থেকে শুরু করে পাড়ার মোড়ে আড্ডা দেওয়া—সবতেই আপনার সক্রিয় উপস্থিতি। পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগবেন। শেয়ার বাজারে টাকা থাকলে আজ একটু নজর রাখুন, গ্রাফ আপনার দিকে ঘুরতেও পারে। দায়িত্ব পালন করুন কিন্তু সেটা যেন লোকদেখানো না হয়। আলস্য ত্যাগ করুন, তবে কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে যাবেন না।
মীন
যারা সিঙ্গেল আছেন, আজ তাদের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসার শুভ যোগ আছে। আর যারা বিবাহিত, তারা সঙ্গীর সঙ্গে কোনো পুরোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে ঝগড়া মিটিয়ে নিন। ব্যবসায় অংশীদারের সঙ্গে আজ সামান্য কারণে কথা-কাটাকাটি হতে পারে, তাই মুখে কুলুপ আঁটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কল্পনা আর বাস্তবের মাঝে একটা সীমারেখা টানুন। মাছের মতো শুধু পানি না খেয়ে মাঝে মাঝে লেবু-জলও খান।

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না। বসের মুড আজ খিটখিটে হতে পারে, তাই অতিরিক্ত ক্রেডিট নিতে গিয়ে আবার অতিরিক্ত কাজ ঘাড়ে চাপিয়ে নেবেন না। কাজের ভান করাটাও একটা শিল্প, আজ সেটা রপ্ত করুন। রাস্তায় হাঁটার সময় ফোনের দিকে নয়, রাস্তার গর্তের দিকে তাকান।
বৃষ
আজ আপনার ‘রাজযোগ’ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা, তবে শর্ত হলো—বিছানা ছাড়তে হবে। আলস্য আজ আপনার প্রধান শত্রু। পুরোনো কোনো বন্ধুর হঠাৎ উদয় হতে পারে এবং ৯৯ পারসেন্ট সম্ভাবনা সে আপনার কাছে টাকা ধার চাইবে। টাকা দেওয়ার আগে আয়না দেখে ‘না’ বলার প্র্যাকটিস করে নিন। খাবার দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে মনে রাখবেন পকেট আপনারই। কাচ্চি বিরিয়ানির বদলে মৌসুমি সবজি খেয়ে পেটকে একটু শান্তি দিন।
মিথুন
আজ আপনার মুখে খই ফুটবে। যুক্তি দিয়ে বাড়ির লোকেদের এমনকি দেয়ালে টাঙানো ক্যালেন্ডারকেও হার মানিয়ে দেবেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার কথা শোনার চেয়ে সবাই আপনার টাইপিং মিসটেক ধরায় বেশি উৎসাহ দেখাবে। প্রেম জীবনে সামান্য ঝগড়ার যোগ আছে, কারণ আপনি হয়তো সঙ্গীর নাম ভুল করে অন্য কারোর নামে ডেকে ফেলতে পারেন! কথা কম বলে কান খোলা রাখুন। ফোনের রিচার্জ শেষ হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় সব ঝগড়া মিটিয়ে নিন।
কর্কট
হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে—হতে পারে আলমারির পুরোনো কোটের পকেটে বা ধোয়া প্যান্টের ভেতর থেকে একটা কড়কড়ে নোট পেয়ে যাবেন! ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি ভালো, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মাথা খাটান, মন নয়। বাড়িতে হুটহাট অতিথির আগমনে পকেটে টান পড়তে পারে এবং প্রিয় খাবারটি তাদের পাতে চলে যেতে পারে। হাসিমুখে অতিথি বিদায় করাটাই আজকের প্রধান কাজ। মিষ্টি খাওয়ার আগে আপনার সুগার এবং প্যান্টের কোমরের মাপের কথা ভাবুন।
সিংহ
আজ নিজেকে বনের রাজা ভাবলেও বাড়িতে এসে দেখবেন আপনি বড়জোর ‘বিড়াল’। বাড়ির লোকের কাছে অকারণ ঝাড়ি খাওয়ার যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রে গাধার মতো পরিশ্রম করলেও ক্রেডিট নেওয়ার সময় দেখবেন অন্য কেউ ফিতা কাটছে। তবে বিকেলের দিকে প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো চমক অপেক্ষা করছে—হয়তো কোনো ব্লক হওয়া আইডি থেকে আনব্লক হতে পারেন! গর্জন না করে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করলে আজ শান্তি পাবেন। আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে বেশিক্ষণ হাসবেন না, লোকে পাগল ভাবতে পারে।
কন্যা
আজ আপনার সবকিছুতেই ‘পারফেকশন’ চাই। চায়ের কাপে এক ফোঁটা দাগ বা কার্পেটের এক কোণে সামান্য ধুলা দেখলে আপনার বিপি বেড়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতের চিন্তায় মগ্ন থেকে ডাল পুড়িয়ে ফেলার রেকর্ড আজ আপনি গড়তে পারেন। সমালোচনা করার স্বভাবটা আজ একটু কমানোর চেষ্টা করুন। ভুল ধরা বন্ধ করে নিজের ভুলগুলো একবার গুনুন। লজিক দিয়ে কথা বলুন, ম্যাজিক বা অতিপ্রাকৃত কিছু আশা করবেন না।
তুলা
আজ আপনার ভেতরকার ‘শপার’ বা ক্রেতা সত্তাটি জেগে উঠবে। পকেটে টাকা থাকুক বা না থাকুক, অনলাইন শপিং অ্যাপে উইশলিস্ট ভরিয়ে দেবেন। দামি জিনিস কিনতে গিয়ে সস্তা নকল জিনিস কিনে ঠকার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে মান-অভিমান চললে আজ একটা ডার্ক চকলেট দিয়েই সব মিটিয়ে নিতে পারেন। পকেটের ওজন বুঝেই পা ফেলুন, ক্রেডিট কার্ড আজ আপনার শত্রু। শপিং মলে ঢোকার আগে ফোনটা সাইলেন্ট করে দিন।
বৃশ্চিক
আজ আপনার মধ্যে ফেলুদা বা শার্লক হোমস জেগে উঠবে। কে কার সঙ্গে চ্যাট করছে আর কার স্ট্যাটাস হাইড করা—সব খবর আজ রাখতে চাইবেন। গোপন শত্রুরা পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আপনিও তো কম যান না! আজ পাল্টা হুল ফোটানোর জন্য আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত। গোয়েন্দাগিরি ব্যক্তিগত জীবনে না করে কাজে লাগান। অন্যের ফোনে উঁকি মারা স্বাস্থ্যের জন্য (বিশেষ করে ঘাড়ের জন্য) ক্ষতিকর।
ধনু
বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিনের আর্থিক বা সম্পত্তি সংক্রান্ত ঝামেলা আজ এক কাপ চায়ের আড্ডায় মিটে যেতে পারে। বিকেলের দিকে আকাশকুসুম কল্পনা করবেন—গাড়ি কেনা বা বিদেশে সেটল হওয়া নিয়ে (ব্যাংকে ৫০০ টাকা ব্যালেন্স থাকলেও)। তবে জীবনসঙ্গীর আবদার মেটাতে গিয়ে আজ হাঁসফাঁস অবস্থা হতে পারে। স্বপ্ন দেখুন, কিন্তু বাস্তবের মাটিটা শক্ত করে ধরুন। বন্ধুদের পার্টি দেওয়ার চক্করে মাসের বাজেট শেষ করবেন না।
মকর
অফিসে কাজের চাপে আজ আপনার অবস্থা হতে পারে ‘ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন’ দেখার মতো। বসের ই-মেইল দেখলে মনে হতে পারে হিমালয়ে চলে যাই, কিন্তু পরক্ষণেই স্যালারির মেসেজটার কথা ভেবে কাজে মন দেবেন। আজ সহকর্মীদের সঙ্গে রাজনীতির বদলে কাজের আলোচনা করাই শ্রেয়। ধৈর্যই আজ আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। অফিসের ফ্রি চা-কফি বেশি খাবেন না, অ্যাসিডিটি হতে পারে।
কুম্ভ
আজ ভীষণ সমাজসেবী ও দায়িত্বশীল হয়ে উঠবেন। বাড়ির ঝুল ঝাড়া থেকে শুরু করে পাড়ার মোড়ে আড্ডা দেওয়া—সবতেই আপনার সক্রিয় উপস্থিতি। পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগবেন। শেয়ার বাজারে টাকা থাকলে আজ একটু নজর রাখুন, গ্রাফ আপনার দিকে ঘুরতেও পারে। দায়িত্ব পালন করুন কিন্তু সেটা যেন লোকদেখানো না হয়। আলস্য ত্যাগ করুন, তবে কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে যাবেন না।
মীন
যারা সিঙ্গেল আছেন, আজ তাদের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসার শুভ যোগ আছে। আর যারা বিবাহিত, তারা সঙ্গীর সঙ্গে কোনো পুরোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে ঝগড়া মিটিয়ে নিন। ব্যবসায় অংশীদারের সঙ্গে আজ সামান্য কারণে কথা-কাটাকাটি হতে পারে, তাই মুখে কুলুপ আঁটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কল্পনা আর বাস্তবের মাঝে একটা সীমারেখা টানুন। মাছের মতো শুধু পানি না খেয়ে মাঝে মাঝে লেবু-জলও খান।

টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে করা তালিকাটিতে প্রথম পাঁচের বাকি চারটি স্থান পূরণ করেছে যথাক্রমে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। তবে এ বছরের প্রথম ছয় মাসের তথ্য-উপাত্ত বলছে আবার যুক্তরাষ্ট্র
১৩ আগস্ট ২০২৩
ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত।
২ ঘণ্টা আগে
খোঁজ নিলে জানা যাবে, আমাদের মা-খালাদের অনেকের বিয়ে বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু কি তাই? বিয়ের খাবারদাবারও রান্না করতেন বাড়ির লোকজনই। কমিউনিটি সেন্টার হয়তো তখন ছিল হাতে গোনা। বাড়িতে বাবুর্চি ডেকে বিয়ের ভোজের আয়োজনও যেন ছিল বাহুল্য।
৩ ঘণ্টা আগে
চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত। খেয়াল করলে দেখবেন, প্রতিবছর বিয়ের পোশাক ও সাজে নতুন কিছু যোগ হয়েছে, আবার বাদ পড়েছে সাজের কিছু পুরোনো চল। ২০২৫ সালেও বিয়ের ট্রেন্ডে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহার সঙ্গে কথা বলে চলতি বছর বিয়ের সাজে কী কী বিষয় যোগ ও বিয়োগ হয়েছে, তা নিয়ে লিখেছেন ফারিয়া রহমান খান।
এবার বিয়ের ট্রেন্ডে যা কিছু যোগ হয়েছে
তাজা ফুলের আভিজাত্য
বিগত কয়েক বছরে চুল সাজাতে এবং হলুদের গয়না হিসেবে নারীরা আর্টিফিশিয়াল ফুল ব্যবহার করেছেন। শাড়ি বা লেহেঙ্গার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এসব গয়না ব্যবহারে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে নারীদের মধ্য়ে। কিন্তু এখন চুল ও গয়নায় তো বটেই, হলুদ বা মেহেদির অনুষ্ঠানে ফ্লোরাল ওড়নায়ও আর্টিফিশিয়াল ফুলের চেয়ে তাজা ফুল ব্যবহারে আগ্রহ দেখা গেছে। শোভন সাহা বলেন, ‘এ বছর বিয়ের ডেকোরেশনেও বড় জায়গা করে নিয়েছে বড় বড় ফুলের ঝাড়বাতি এবং ফুলের পাপড়ি বিছানো হাঁটার পথ সবার নজর কেড়েছে, যা আগামী বছরেও ট্রেন্ডে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
আভিজাত্যের ছোঁয়া
বিয়েতে রাজকীয় সাজের প্রতি বাঙালির টান চিরন্তন। ২০২৫ সালের মতো আগামী বছরেও ট্রেন্ডে থাকবে মীনাকারি কাজ, ঐতিহ্যবাহী বেনারসি, জামদানি, কাঞ্জিভরম ও মসলিন শাড়ি। সেই সঙ্গে বরের সাজে রাজকীয় ভাব আনতে ভারী কাজের শেরওয়ানি বা জারদৌসি কাজের পাঞ্জাবি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব বিয়ে
বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে। ফলে প্লাস্টিকমুক্ত সাজসজ্জা, স্থানীয় খাবারের মেনু এবং মাটিতে রোপণ করা এমন ‘প্লান্টেবল’ নিমন্ত্রণপত্র এখন ট্রেন্ডে ইন হয়েছে। বরের জন্য সুতির পাঞ্জাবি-পায়জামা ও কনের জন্য পরিবেশবান্ধব কাপড়ে তৈরি পোশাক, যা অন্যান্য সময়েও পরার উপযোগী—এমন সাজপোশাকেও আগ্রহ বাড়ছে বর্তমান সময়ের তরুণদের।
কাস্টমাইজেশন ইজ বেস্ট
একঘেয়ে গতানুগতিক বিয়ের বদলে এখন মানুষ নিজের পছন্দ ও আরামকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। বিয়েতে নিজস্ব ‘হ্যাশট্যাগ’ এবং নিজেদের পরিচয় কিংবা ভালোবাসার গল্প দিয়ে বানানো ছোট ভিডিও বা স্লাইড শো এখন বিয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকে বিয়ের সময়টাকে ছোট করায় আগ্রহী। ঘরোয়া চায়ের আড্ডাতেই সেরে নিচ্ছেন বিয়ের অনুষ্ঠান। এরপর বর-কনে মিলে বিকেলে বেরিয়ে পড়ছেন হানিমুন ট্রিপে। এতে খরচও কমছে, আনন্দও বাড়ছে।
রং ও উজ্জ্বলতা
এক রঙের পোশাকের দিন এখন শেষ। এবার বিয়েতে রঙের বৈচিত্র্য থাকবে তুঙ্গে। ফুশিয়া পিঙ্কের সঙ্গে পান্না সবুজ কিংবা হলুদ ও রাজকীয় বেগুনির সংমিশ্রণ পোশাকে যোগ করবে নতুন মাত্রা। এ ছাড়া কনের লেহেঙ্গা বা শাড়িতে সোনালি, রুপালি কিংবা ব্রোঞ্জ রঙের মেটালিক ছোঁয়া বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। তা ছাড়া বার্বি পিঙ্ক বা গোলাপি রঙের বিভিন্ন শেড এখন আবার ট্রেন্ড হিসেবে ফিরে আসছে।

সাজে মিলমিশ
বিয়ের সাজে এখন বিভিন্ন স্থানের সাজের মিলমিশ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেমন কনে হয়তো সাদা গাউন পরছেন, সঙ্গে হাতে পরছেন টকটকে লাল কাচের চুড়ি। আবার বাঙালি সাজের সঙ্গে মারাঠি সাজ ব্লেন্ড করেও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে দ্বিধা করছেন না কনেরা। এমনটাই জানান শোভন সাহা।
বাদ পড়েছে যেগুলো
অতিরিক্ত কারুকাজ ও ঝলকানি
একসময় বিয়েতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পাথরের কিংবা চুমকি-পুঁতির ভারী কাজের পোশাকের চল ছিল। কিন্তু বর্তমানে এসব ‘ওভার দ্য টপ’ সাজ একদমই ‘আউট’। তবে এখন সূক্ষ্ম সুতার কাজ অথবা মেশিন এমব্রয়ডারির চাহিদা অনেক বেশি। ডেকোরেশনের ক্ষেত্রেও সবকিছু একই রঙে করার দিন শেষ। ভিন্ন ভিন্ন রং ও টেক্সচারের ব্যবহারই এখন আধুনিকতা।
কনের ভারী ওড়না
২০২৫ বলছে, ভারী বিয়ের ওড়না এখন বাতিলের খাতায়। এর বদলে নেট, অরগাঞ্জা কিংবা হালকা লেসের কাজ করা লম্বা ওড়না একটা এলিগ্যান্ট লুক এনে দেয়।
বরের গতানুগতিক সাজ
বরের সেই ক্রিম রঙের শেরওয়ানি এখন একেবারেই সেকেলে। এখন বরদের পোশাকে গাঢ় রং ও প্রিন্টের কাপড় বেশি জনপ্রিয়। পাঞ্জাবির ওপর রঙিন বা ফ্লোরাল প্রিন্টের কটি বরের সাজে আভিজাত্য ও আধুনিকতা নিয়ে আসে।
ভারী গয়না
শোভন সাহা জানান, সেকেলে ভারী গয়নার বদলে এখন চিকন বা লেয়ারিং করা গয়নার ট্রেন্ড চলছে। কানে হালকা দুল, গলায় পাতলা হারের কয়েকটা লেয়ার আপনার সাজকে অনেক বেশি মার্জিত ও ফ্যাশনেবল করতে পারে। গয়নার ক্ষেত্রে এখন মূল ট্রেন্ডই হলো ‘লেস ইজ মোর।’
পরিশেষে বলা যায়, বিয়ে মানে শুধুই অন্যের চোখে সেরা হওয়া নয়, বরং নিজের ব্যক্তিত্ব ও রুচির প্রকাশ ঘটানো। ট্রেন্ড যা-ই হোক না কেন, স্বকীয়তা সব সময় বজায় রাখা দরকার। বিয়ে যেহেতু ‘ওয়ানস ইন আ লাইফটাইম’ একটা বিষয়, সেহেতু আনন্দ ও স্টাইলটাও হওয়া চাই একেবারেই অনন্য। তাই এই নতুন ধারাগুলো মাথায় রেখে আজই শুরু করে দিতে পারেন বিয়ের পরিকল্পনা।

ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত। খেয়াল করলে দেখবেন, প্রতিবছর বিয়ের পোশাক ও সাজে নতুন কিছু যোগ হয়েছে, আবার বাদ পড়েছে সাজের কিছু পুরোনো চল। ২০২৫ সালেও বিয়ের ট্রেন্ডে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহার সঙ্গে কথা বলে চলতি বছর বিয়ের সাজে কী কী বিষয় যোগ ও বিয়োগ হয়েছে, তা নিয়ে লিখেছেন ফারিয়া রহমান খান।
এবার বিয়ের ট্রেন্ডে যা কিছু যোগ হয়েছে
তাজা ফুলের আভিজাত্য
বিগত কয়েক বছরে চুল সাজাতে এবং হলুদের গয়না হিসেবে নারীরা আর্টিফিশিয়াল ফুল ব্যবহার করেছেন। শাড়ি বা লেহেঙ্গার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এসব গয়না ব্যবহারে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে নারীদের মধ্য়ে। কিন্তু এখন চুল ও গয়নায় তো বটেই, হলুদ বা মেহেদির অনুষ্ঠানে ফ্লোরাল ওড়নায়ও আর্টিফিশিয়াল ফুলের চেয়ে তাজা ফুল ব্যবহারে আগ্রহ দেখা গেছে। শোভন সাহা বলেন, ‘এ বছর বিয়ের ডেকোরেশনেও বড় জায়গা করে নিয়েছে বড় বড় ফুলের ঝাড়বাতি এবং ফুলের পাপড়ি বিছানো হাঁটার পথ সবার নজর কেড়েছে, যা আগামী বছরেও ট্রেন্ডে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
আভিজাত্যের ছোঁয়া
বিয়েতে রাজকীয় সাজের প্রতি বাঙালির টান চিরন্তন। ২০২৫ সালের মতো আগামী বছরেও ট্রেন্ডে থাকবে মীনাকারি কাজ, ঐতিহ্যবাহী বেনারসি, জামদানি, কাঞ্জিভরম ও মসলিন শাড়ি। সেই সঙ্গে বরের সাজে রাজকীয় ভাব আনতে ভারী কাজের শেরওয়ানি বা জারদৌসি কাজের পাঞ্জাবি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব বিয়ে
বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে। ফলে প্লাস্টিকমুক্ত সাজসজ্জা, স্থানীয় খাবারের মেনু এবং মাটিতে রোপণ করা এমন ‘প্লান্টেবল’ নিমন্ত্রণপত্র এখন ট্রেন্ডে ইন হয়েছে। বরের জন্য সুতির পাঞ্জাবি-পায়জামা ও কনের জন্য পরিবেশবান্ধব কাপড়ে তৈরি পোশাক, যা অন্যান্য সময়েও পরার উপযোগী—এমন সাজপোশাকেও আগ্রহ বাড়ছে বর্তমান সময়ের তরুণদের।
কাস্টমাইজেশন ইজ বেস্ট
একঘেয়ে গতানুগতিক বিয়ের বদলে এখন মানুষ নিজের পছন্দ ও আরামকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। বিয়েতে নিজস্ব ‘হ্যাশট্যাগ’ এবং নিজেদের পরিচয় কিংবা ভালোবাসার গল্প দিয়ে বানানো ছোট ভিডিও বা স্লাইড শো এখন বিয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকে বিয়ের সময়টাকে ছোট করায় আগ্রহী। ঘরোয়া চায়ের আড্ডাতেই সেরে নিচ্ছেন বিয়ের অনুষ্ঠান। এরপর বর-কনে মিলে বিকেলে বেরিয়ে পড়ছেন হানিমুন ট্রিপে। এতে খরচও কমছে, আনন্দও বাড়ছে।
রং ও উজ্জ্বলতা
এক রঙের পোশাকের দিন এখন শেষ। এবার বিয়েতে রঙের বৈচিত্র্য থাকবে তুঙ্গে। ফুশিয়া পিঙ্কের সঙ্গে পান্না সবুজ কিংবা হলুদ ও রাজকীয় বেগুনির সংমিশ্রণ পোশাকে যোগ করবে নতুন মাত্রা। এ ছাড়া কনের লেহেঙ্গা বা শাড়িতে সোনালি, রুপালি কিংবা ব্রোঞ্জ রঙের মেটালিক ছোঁয়া বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। তা ছাড়া বার্বি পিঙ্ক বা গোলাপি রঙের বিভিন্ন শেড এখন আবার ট্রেন্ড হিসেবে ফিরে আসছে।

সাজে মিলমিশ
বিয়ের সাজে এখন বিভিন্ন স্থানের সাজের মিলমিশ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেমন কনে হয়তো সাদা গাউন পরছেন, সঙ্গে হাতে পরছেন টকটকে লাল কাচের চুড়ি। আবার বাঙালি সাজের সঙ্গে মারাঠি সাজ ব্লেন্ড করেও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে দ্বিধা করছেন না কনেরা। এমনটাই জানান শোভন সাহা।
বাদ পড়েছে যেগুলো
অতিরিক্ত কারুকাজ ও ঝলকানি
একসময় বিয়েতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পাথরের কিংবা চুমকি-পুঁতির ভারী কাজের পোশাকের চল ছিল। কিন্তু বর্তমানে এসব ‘ওভার দ্য টপ’ সাজ একদমই ‘আউট’। তবে এখন সূক্ষ্ম সুতার কাজ অথবা মেশিন এমব্রয়ডারির চাহিদা অনেক বেশি। ডেকোরেশনের ক্ষেত্রেও সবকিছু একই রঙে করার দিন শেষ। ভিন্ন ভিন্ন রং ও টেক্সচারের ব্যবহারই এখন আধুনিকতা।
কনের ভারী ওড়না
২০২৫ বলছে, ভারী বিয়ের ওড়না এখন বাতিলের খাতায়। এর বদলে নেট, অরগাঞ্জা কিংবা হালকা লেসের কাজ করা লম্বা ওড়না একটা এলিগ্যান্ট লুক এনে দেয়।
বরের গতানুগতিক সাজ
বরের সেই ক্রিম রঙের শেরওয়ানি এখন একেবারেই সেকেলে। এখন বরদের পোশাকে গাঢ় রং ও প্রিন্টের কাপড় বেশি জনপ্রিয়। পাঞ্জাবির ওপর রঙিন বা ফ্লোরাল প্রিন্টের কটি বরের সাজে আভিজাত্য ও আধুনিকতা নিয়ে আসে।
ভারী গয়না
শোভন সাহা জানান, সেকেলে ভারী গয়নার বদলে এখন চিকন বা লেয়ারিং করা গয়নার ট্রেন্ড চলছে। কানে হালকা দুল, গলায় পাতলা হারের কয়েকটা লেয়ার আপনার সাজকে অনেক বেশি মার্জিত ও ফ্যাশনেবল করতে পারে। গয়নার ক্ষেত্রে এখন মূল ট্রেন্ডই হলো ‘লেস ইজ মোর।’
পরিশেষে বলা যায়, বিয়ে মানে শুধুই অন্যের চোখে সেরা হওয়া নয়, বরং নিজের ব্যক্তিত্ব ও রুচির প্রকাশ ঘটানো। ট্রেন্ড যা-ই হোক না কেন, স্বকীয়তা সব সময় বজায় রাখা দরকার। বিয়ে যেহেতু ‘ওয়ানস ইন আ লাইফটাইম’ একটা বিষয়, সেহেতু আনন্দ ও স্টাইলটাও হওয়া চাই একেবারেই অনন্য। তাই এই নতুন ধারাগুলো মাথায় রেখে আজই শুরু করে দিতে পারেন বিয়ের পরিকল্পনা।

টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে করা তালিকাটিতে প্রথম পাঁচের বাকি চারটি স্থান পূরণ করেছে যথাক্রমে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। তবে এ বছরের প্রথম ছয় মাসের তথ্য-উপাত্ত বলছে আবার যুক্তরাষ্ট্র
১৩ আগস্ট ২০২৩
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না।
৩৮ মিনিট আগে
খোঁজ নিলে জানা যাবে, আমাদের মা-খালাদের অনেকের বিয়ে বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু কি তাই? বিয়ের খাবারদাবারও রান্না করতেন বাড়ির লোকজনই। কমিউনিটি সেন্টার হয়তো তখন ছিল হাতে গোনা। বাড়িতে বাবুর্চি ডেকে বিয়ের ভোজের আয়োজনও যেন ছিল বাহুল্য।
৩ ঘণ্টা আগে
চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগেবীভাবরী রায়

খোঁজ নিলে জানা যাবে, আমাদের মা-খালাদের অনেকের বিয়ে বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু কি তাই? বিয়ের খাবারদাবারও রান্না করতেন বাড়ির লোকজনই। কমিউনিটি সেন্টার হয়তো তখন ছিল হাতে গোনা। বাড়িতে বাবুর্চি ডেকে বিয়ের ভোজের আয়োজনও যেন ছিল বাহুল্য। পুরোনো সেই দিনগুলো যেন আবার ফিরিয়ে দিয়েছে করোনাকাল। মনে করে দেখুন, লকডাউনের দিনগুলোয় বিয়ে কিন্তু বাড়িতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিকটাত্মীয় ও বর-কনের পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে সেই বিয়ের ভোজের আয়োজনও ছিল বাড়িতে। আর বিয়ের খাবার রান্নার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন মা-খালা-বোনেরাই।
বিরিয়ানি বা পোলাওয়ের সঙ্গে গরু কিংবা খাসির রেজালা, মুরগির রোস্ট রাঁধতে কীই-বা লাগে। সঙ্গে থাকত সালাদ, চায়নিজ সবজি বা এক পদের বড় মাছ ভাজা। শেষ পাতে দই, মিষ্টি, জর্দা—ব্যস। ঘরোয়া বিয়ের আয়োজনে এর চেয়ে বেশি আর কীই-বা লাগে? তবে ঘরোয়া বিয়ে এবং ঘরে বিয়ের খাবারের আয়োজনকে এখনকার তরুণ বর-কনেও কিন্তু খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। কমিউনিটি সেন্টারে ঘটা করে বিয়ের আয়োজনের ঘনঘটার মাঝেও এখন অনেকে বাড়িতে ছোট পরিসরে বিয়ের ছিমছাম আয়োজনের পক্ষপাতী। এতে ঝামেলাও কমে, খরচও বাঁচে। তাঁরা বরং বিয়ের খাবারকে কাস্টমাইজ করে আরও সংক্ষিপ্ত করার পক্ষে। যাঁরা এই মৌসুমে ঘরেই বিয়ে ও বউভাতের খাওয়াদাওয়ার আয়োজনের কথা ভাবছেন, তাঁরা দেখুন তো এই কয়েকটি পদ রাঁধবেন কি না! ঘরোয়া বিয়ের আয়োজনে পোলাও বা বিরিয়ানির সঙ্গে পরিবেশনের মতো কয়েকটি বিশেষ পদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
ঝাল মিষ্টির ভিন্ন স্বাদের খাসির মাংস
উপকরণ
খাসির মাংস ১ কেজি, টক দই ১ কাপ, আদা ও রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, শাহি জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, কাজুবাদামবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-০১২টা, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ এবং ঘি ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
খাসির মাংস, টক দই সব মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন দুই থেকে তিন ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি হালকা বাদামি করে ভেজে মাখানো মাংস দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ঢাকনা খুলে অল্প আঁচে রান্না করুন ১০-১৫ মিনিট। এবার কষানো হলে যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তাহলে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন মাংস সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ, টমেটো সস দিয়ে দমে রাখুন ১০ মিনিট। তৈরি হয়ে গেল ঝাল মিষ্টি ভিন্ন স্বাদের খাসির মাংস।

শাহি জালি কাবাব
উপকরণ
গরুর মাংসের সেদ্ধ কিমা ২ কাপ, আলু সেদ্ধ এক কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, মিঠা আতর দু-তিন ফোঁটা, কাবাব মসলা ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতার কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, ডিম ৩টি, লেবুর রস ১ চা-চামচ।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে গোল করে কাবাব তৈরি করে তেল ব্রাশ করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে দুটি ডিম ফেটিয়ে ১ টেবিল চামচ পানি দিয়ে আবারও ফেটিয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে কাবাবগুলো ডিমে ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে শাহি জালি কাবাব।

বোরহানি
উপকরণ
টক দই ১ কেজি, ধনে ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, পোস্তদানা ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, পুদিনাপাতাবাটা ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের বাটা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, লবণ স্বাদমতো, পানি ২ কাপ, বরফকুচি ১ কাপ।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর পাতলা কাপড় দিয়ে চেলে নিন। এবার বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

খোঁজ নিলে জানা যাবে, আমাদের মা-খালাদের অনেকের বিয়ে বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু কি তাই? বিয়ের খাবারদাবারও রান্না করতেন বাড়ির লোকজনই। কমিউনিটি সেন্টার হয়তো তখন ছিল হাতে গোনা। বাড়িতে বাবুর্চি ডেকে বিয়ের ভোজের আয়োজনও যেন ছিল বাহুল্য। পুরোনো সেই দিনগুলো যেন আবার ফিরিয়ে দিয়েছে করোনাকাল। মনে করে দেখুন, লকডাউনের দিনগুলোয় বিয়ে কিন্তু বাড়িতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিকটাত্মীয় ও বর-কনের পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে সেই বিয়ের ভোজের আয়োজনও ছিল বাড়িতে। আর বিয়ের খাবার রান্নার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন মা-খালা-বোনেরাই।
বিরিয়ানি বা পোলাওয়ের সঙ্গে গরু কিংবা খাসির রেজালা, মুরগির রোস্ট রাঁধতে কীই-বা লাগে। সঙ্গে থাকত সালাদ, চায়নিজ সবজি বা এক পদের বড় মাছ ভাজা। শেষ পাতে দই, মিষ্টি, জর্দা—ব্যস। ঘরোয়া বিয়ের আয়োজনে এর চেয়ে বেশি আর কীই-বা লাগে? তবে ঘরোয়া বিয়ে এবং ঘরে বিয়ের খাবারের আয়োজনকে এখনকার তরুণ বর-কনেও কিন্তু খুব ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। কমিউনিটি সেন্টারে ঘটা করে বিয়ের আয়োজনের ঘনঘটার মাঝেও এখন অনেকে বাড়িতে ছোট পরিসরে বিয়ের ছিমছাম আয়োজনের পক্ষপাতী। এতে ঝামেলাও কমে, খরচও বাঁচে। তাঁরা বরং বিয়ের খাবারকে কাস্টমাইজ করে আরও সংক্ষিপ্ত করার পক্ষে। যাঁরা এই মৌসুমে ঘরেই বিয়ে ও বউভাতের খাওয়াদাওয়ার আয়োজনের কথা ভাবছেন, তাঁরা দেখুন তো এই কয়েকটি পদ রাঁধবেন কি না! ঘরোয়া বিয়ের আয়োজনে পোলাও বা বিরিয়ানির সঙ্গে পরিবেশনের মতো কয়েকটি বিশেষ পদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
ঝাল মিষ্টির ভিন্ন স্বাদের খাসির মাংস
উপকরণ
খাসির মাংস ১ কেজি, টক দই ১ কাপ, আদা ও রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, শাহি জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, কাজুবাদামবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-০১২টা, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ এবং ঘি ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
খাসির মাংস, টক দই সব মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন দুই থেকে তিন ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজকুচি হালকা বাদামি করে ভেজে মাখানো মাংস দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ঢাকনা খুলে অল্প আঁচে রান্না করুন ১০-১৫ মিনিট। এবার কষানো হলে যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তাহলে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে রান্না করুন মাংস সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ, টমেটো সস দিয়ে দমে রাখুন ১০ মিনিট। তৈরি হয়ে গেল ঝাল মিষ্টি ভিন্ন স্বাদের খাসির মাংস।

শাহি জালি কাবাব
উপকরণ
গরুর মাংসের সেদ্ধ কিমা ২ কাপ, আলু সেদ্ধ এক কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ করে, কাশ্মীরি মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, মিঠা আতর দু-তিন ফোঁটা, কাবাব মসলা ১ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতার কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, ডিম ৩টি, লেবুর রস ১ চা-চামচ।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে গোল করে কাবাব তৈরি করে তেল ব্রাশ করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে দুটি ডিম ফেটিয়ে ১ টেবিল চামচ পানি দিয়ে আবারও ফেটিয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে কাবাবগুলো ডিমে ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে শাহি জালি কাবাব।

বোরহানি
উপকরণ
টক দই ১ কেজি, ধনে ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরা ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, পোস্তদানা ভাজাগুঁড়া ১ চা-চামচ, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, পুদিনাপাতাবাটা ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচের বাটা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, লবণ স্বাদমতো, পানি ২ কাপ, বরফকুচি ১ কাপ।
প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর পাতলা কাপড় দিয়ে চেলে নিন। এবার বরফকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে করা তালিকাটিতে প্রথম পাঁচের বাকি চারটি স্থান পূরণ করেছে যথাক্রমে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। তবে এ বছরের প্রথম ছয় মাসের তথ্য-উপাত্ত বলছে আবার যুক্তরাষ্ট্র
১৩ আগস্ট ২০২৩
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না।
৩৮ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত।
২ ঘণ্টা আগে
চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। শীতের ঠান্ডা হাওয়া থেকে রক্ষা পেতে বাইকারদের জন্য বিশেষ পোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাইকারদের আলমারিতে যে ঠান্ডা প্রতিরোধক পরিধেয় রাখা জরুরি সেগুলো হলো:
ভারী জ্যাকেট বা সোয়েটার
শীতকালে বাইকারদের পলিয়েস্টার বা রেয়নের কাপড় পরিধান করা ভালো। সিনথেটিক পোশাক শীতের রাতে ভালো কাজ করে। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীরা ভারী সোয়েটার অথবা জ্যাকেটজাতীয় পোশাক ব্যবহার করুন শীত থেকে রক্ষা পেতে। বাইকচালকদের জন্য চামড়ার জ্যাকেট খুব ভালো পছন্দ হতে পারে। এটি শরীরের তাপ ধরে রাখতে পারে খুব ভালোভাবে।
চেস্ট প্রটেক্টর
বাইক চালানোর সময় শরীরের সামনের দিকে বাতাস লাগে। অনেক সময় জ্যাকেট কিংবা সোয়েটার সেই বাতাস ঠেকাতে পারে না। বুকে লাগা বাতাস ঠেকানোর জন্য পাওয়া যায় চেস্ট প্রটেক্টর। চেস্ট প্রটেক্টর কেনার সময় রেক্সিন বা লেদারের তৈরি চেস্ট প্রটেক্টরই বেছে নিন।
এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট
শীতের বাতাস থেকে বাঁচতে ভালো মানের একটি এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট সংগ্রহ করে নিন। ভালো মানের রেইনকোট ভালো মানের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেটও পাওয়া যায় বাজারে। এগুলো অনেকটা রেইনকোটের মতো দেখতে।
গ্লাভস শীতে হাতে অবশ্যই গ্লাভস
পরে নেবেন। গ্লাভস শীতকালে হাত ঠান্ডা হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং তাপ ধরে রাখে। সাধারণত হাতের তাপ সহজে কমে না। কিন্তু একবার কমতে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে হাতের তাপ ধরে রাখার জন্য গ্লাভসের কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্লাভস পাওয়া যায়। হাতের মাপমতো পছন্দের গ্লাভসটি কিনে পরে ফেলুন।
জুতা ও মোজা
শুধু জুতা বা স্যান্ডেল পরলে শরীরের তাপ ধরে রাখা যায় না; বরং শরীর দ্রুত তাপ হারায়। কিন্তু মোজা পরলে শরীরের এই তাপ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। সুতি বা সিনথেটিক যেকোনো আরামদায়ক মোজা ব্যবহার করতে পারেন। শীতের দিনে বাইক চালানোর সময় স্যান্ডেল ব্যবহার না করে জুতা ব্যবহার করা ভালো।
সূত্র: রাইড অ্যাডভেঞ্চারস ও অন্যান্য

চলছে ডিসেম্বর, বাংলায় পৌষ মাস। যাঁরা প্রতিদিন বাইক চালিয়ে অফিসে যাওয়া-আসা করেন অথবা বাইরে বের হলে ব্যক্তিগত বাইকে চড়ে যান, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মৌসুমে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন। শীতের ঠান্ডা হাওয়া থেকে রক্ষা পেতে বাইকারদের জন্য বিশেষ পোশাক খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাইকারদের আলমারিতে যে ঠান্ডা প্রতিরোধক পরিধেয় রাখা জরুরি সেগুলো হলো:
ভারী জ্যাকেট বা সোয়েটার
শীতকালে বাইকারদের পলিয়েস্টার বা রেয়নের কাপড় পরিধান করা ভালো। সিনথেটিক পোশাক শীতের রাতে ভালো কাজ করে। মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীরা ভারী সোয়েটার অথবা জ্যাকেটজাতীয় পোশাক ব্যবহার করুন শীত থেকে রক্ষা পেতে। বাইকচালকদের জন্য চামড়ার জ্যাকেট খুব ভালো পছন্দ হতে পারে। এটি শরীরের তাপ ধরে রাখতে পারে খুব ভালোভাবে।
চেস্ট প্রটেক্টর
বাইক চালানোর সময় শরীরের সামনের দিকে বাতাস লাগে। অনেক সময় জ্যাকেট কিংবা সোয়েটার সেই বাতাস ঠেকাতে পারে না। বুকে লাগা বাতাস ঠেকানোর জন্য পাওয়া যায় চেস্ট প্রটেক্টর। চেস্ট প্রটেক্টর কেনার সময় রেক্সিন বা লেদারের তৈরি চেস্ট প্রটেক্টরই বেছে নিন।
এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট
শীতের বাতাস থেকে বাঁচতে ভালো মানের একটি এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট সংগ্রহ করে নিন। ভালো মানের রেইনকোট ভালো মানের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেট হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ার প্রটেক্টর জ্যাকেটও পাওয়া যায় বাজারে। এগুলো অনেকটা রেইনকোটের মতো দেখতে।
গ্লাভস শীতে হাতে অবশ্যই গ্লাভস
পরে নেবেন। গ্লাভস শীতকালে হাত ঠান্ডা হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং তাপ ধরে রাখে। সাধারণত হাতের তাপ সহজে কমে না। কিন্তু একবার কমতে থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে হাতের তাপ ধরে রাখার জন্য গ্লাভসের কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্লাভস পাওয়া যায়। হাতের মাপমতো পছন্দের গ্লাভসটি কিনে পরে ফেলুন।
জুতা ও মোজা
শুধু জুতা বা স্যান্ডেল পরলে শরীরের তাপ ধরে রাখা যায় না; বরং শরীর দ্রুত তাপ হারায়। কিন্তু মোজা পরলে শরীরের এই তাপ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। সুতি বা সিনথেটিক যেকোনো আরামদায়ক মোজা ব্যবহার করতে পারেন। শীতের দিনে বাইক চালানোর সময় স্যান্ডেল ব্যবহার না করে জুতা ব্যবহার করা ভালো।
সূত্র: রাইড অ্যাডভেঞ্চারস ও অন্যান্য

টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ভারতে বিদেশি পর্যটক আসার দিক থেকে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালের তথ্যের ভিত্তিতে করা তালিকাটিতে প্রথম পাঁচের বাকি চারটি স্থান পূরণ করেছে যথাক্রমে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। তবে এ বছরের প্রথম ছয় মাসের তথ্য-উপাত্ত বলছে আবার যুক্তরাষ্ট্র
১৩ আগস্ট ২০২৩
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না।
৩৮ মিনিট আগে
ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত।
২ ঘণ্টা আগে
খোঁজ নিলে জানা যাবে, আমাদের মা-খালাদের অনেকের বিয়ে বাড়িতেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু কি তাই? বিয়ের খাবারদাবারও রান্না করতেন বাড়ির লোকজনই। কমিউনিটি সেন্টার হয়তো তখন ছিল হাতে গোনা। বাড়িতে বাবুর্চি ডেকে বিয়ের ভোজের আয়োজনও যেন ছিল বাহুল্য।
৩ ঘণ্টা আগে