Ajker Patrika

ঘুম নিয়ে সংকটে বিশ্ব

কোন দেশের মানুষ কত ঘণ্টা ঘুমায় জেনে নিন, সুস্বাস্থ্যের জন্য আপনার কত ঘণ্টা ঘুম জরুরি

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ২৩: ৫৮
সঠিক মাত্রার ঘুম স্বাস্থ্য, মানসিক সুস্থতা ও আবেগীয় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। ছবি: এআই দিয়ে তৈরি
সঠিক মাত্রার ঘুম স্বাস্থ্য, মানসিক সুস্থতা ও আবেগীয় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

কারও রাতে ঘুম হচ্ছে না, আবার কেউ দুপুরের আগে ঘুমে ঢলে পড়ছে। কেউ ঘুমের কারণে ক্লাস মিস করছে, আবার কেউ রাতে ঘুম না হওয়ায় অফিসে ঘুমিয়ে পড়ছে। ঘুম মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও এটা সব সময় অবহেলিত। আচ্ছা, একটু ঘুমিয়ে নিলেই চলবে—সবার মাঝে এমন একটা ভাব। কিন্তু সঠিক মাত্রার ঘুম স্বাস্থ্য, মানসিক সুস্থতা এবং আবেগীয় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। তবু কাজের চাপে, সামাজিক দায়িত্বে বা ডিজিটাল জগতে নিমগ্ন থাকায় প্রায়ই ঘুম বিসর্জন দিতে হয়। ঘুমের ঘাটতি যেন একটি নীরব মহামারি হয়ে উঠছে।

বিশ্বজুড়ে ঘুম নিয়ে সংকট তৈরি হচ্ছে। কোটি কোটি মানুষ দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের ঘাটতিতে ভুগছে, যার পেছনে রয়েছে মানসিক চাপ, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং অনিয়মিত রুটিন। তবে আশার কথা হলো, কিছু দেশ এখন ঘুমের গুরুত্ব উপলব্ধি করছে। ফলে সেসব দেশ তাদের স্বাস্থ্যনীতি, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রায় ঘুমকে সুনির্দিষ্টভাবে স্থান দিচ্ছে। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ও স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুযায়ী কোন দেশের মানুষ ঠিক কতটা ঘুমায়, এই বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়। এসব তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, কোন দেশে ঘুমকে কতটা বেশি আর কতটা কম গুরুত্ব দিয়েছে।

যেসব দেশের মানুষ কম ঘুমায়

গবেষণা অনুসারে, পৃথিবীতে গড়ে সবচেয়ে কম ঘুমায় জাপানের মানুষ। ছবি: পেক্সেলস
গবেষণা অনুসারে, পৃথিবীতে গড়ে সবচেয়ে কম ঘুমায় জাপানের মানুষ। ছবি: পেক্সেলস

কম ঘুমানো দেশের তালিকায় প্রথমে আছে জাপানের নাম। দেশটিতে দীর্ঘ কর্মঘণ্টা ও কর্মসংস্কৃতির চাপের কারণে মানুষ কম ঘুমায়। জাপানি নাগরিকেরা গড়ে ৫ ঘণ্টা ৫২ মিনিট ঘুমায়। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে মানুষের ঘুমের গড় সময় ৬ ঘণ্টা ২ মিনিট। আর এটাই মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষদের মানসিক চাপের প্রধান কারণ। কুয়েতের মানুষের ঘুমের গড় সময় ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। সেখানে অভিবাসী শ্রমিকদের কাজের চাপে ঘুম কম হয়। এদিকে প্রযুক্তি ও কর্মব্যস্ততার কারণে তাইওয়ানে মানুষের ঘুমের গড় সময় ৬ ঘণ্টা ২১ মিনিট। যাতায়াত, স্ক্রিন টাইম—সব মিলিয়ে তাইওয়ানের পরেই আছে ইন্দোনেশিয়া। পর্যটকপ্রবণ এই দেশে মানুষের ঘুম হয় গড়ে ৬ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। এরপরেই আসে সিঙ্গাপুর। ইন্দোনেশিয়ার তুলনায় সিঙ্গাপুরের মানুষ মাত্র ৯ মিনিট বেশি ঘুমায়। শহুরে চাপ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রভাবে দেশটিতে ঘুমের গড় সময় ৬ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট।

সিঙ্গাপুরের চেয়ে গড়ে ১ মিনিট বেশি ঘুমায় ভারতের মানুষ। পড়াশোনা ও কাজের চাপে সেখানে মানুষের ঘুমের গড় সময় ৬ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। প্রযুক্তির পাশাপাশি অস্থির রাজনৈতিক কারণে ইসরায়েলে মানুষের ঘুমের সময় গড়ে ৬ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট। অন্যান্য দেশের মতো মেক্সিকোতেও ঘুমের ব্যাঘাতের মূল কারণ কাজ, স্ক্রিন টাইম ও মানসিক চাপ। দেশটিতে ঘুমের গড় সময় ৬ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট। শহুরে জীবন ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রভাবে চিলিতে মানুষের ঘুমের গড় সময় ৬ ঘণ্টা ৩৯ মিনিট। প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি অগোছালো জীবনযাপনের ফলে ব্রাজিলের মানুষের ঘুমের গড় সময় ৬ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। জনবহুল দেশ চীন। পড়াশোনার চাপ ও ট্রাফিকের প্রভাবে সেখানে মানুষের ঘুমের গড় সময় ৬ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট। মূলত অর্থনৈতিক চাপ ও একাধিক কাজের প্রয়োজনে রাশিয়ায় মানুষের ঘুমের গড় সময় ৬ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। অন্যদিকে ক্যাফেইন, গরম আবহাওয়া ও সামাজিক জীবনযাপনের প্যাটার্নের প্রভাবে ইতালিতে মানুষের ঘুমের গড় সময় ৬ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট। দেরি করে খাওয়া এবং নাইট লাইফের প্রভাবে স্পেনের মানুষের ঘুমের গড় সময় ৬ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট।

ঘুম প্রাধান্য দিচ্ছে যে দেশগুলো

ভালো ঘুম শুধু বিশ্রামের জন্য নয়, এটি সুস্থ, কর্মক্ষম ও মানসিকভাবে স্থিতিশীল জীবনের জন্য অপরিহার্য। বিশ্বজুড়ে ঘুম সংকটের এমন সময়ে কিছু দেশ তাদের নাগরিকদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার কথা ভেবে তাদের কাজের গঠন নিয়ে ভাবছে। দেশটি ঘুমকে কেবল বিলাসিতা নয়, বরং সুস্বাস্থ্যের একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস ও নিউজিল্যান্ড। দেশগুলোর নাগরিকেরা বিশ্বে গড়ে বেশি সময় ঘুমায়।

প্রযুক্তি ব্যবহার ভালো ঘুমের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলছে। ছবি: এআই দিয়ে তৈরি
প্রযুক্তি ব্যবহার ভালো ঘুমের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলছে। ছবি: এআই দিয়ে তৈরি

অস্ট্রেলিয়া

প্রাকৃতিক জীবনের ছোঁয়া অস্ট্রেলিয়ায় ভালো ঘুমে সহায়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করে। তাদের ঘুম ভালো হওয়ার অন্যতম কারণ হলো জীবনধারায় প্রকৃতি ও ভারসাম্যের উপস্থিতি। বাইরের জীবনের প্রতি ভালোবাসা, নমনীয় কর্মসংস্কৃতি, সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা ও উন্নত জীবনযাত্রা মানের ফলে অস্ট্রেলিয়ানরা গড়ে প্রতি রাতে ৭ ঘণ্টা ২০ মিনিট ঘুমায়। দেশটিতে ঘুম শুধু বিশ্রাম নয়, সুস্থতার অংশ।

যুক্তরাজ্য

ঘুমের স্বাস্থ্যগত গুরুত্বের প্রতি জাতীয় মনোযোগ দেওয়া হয়েছে যুক্তরাজ্যে। ঘুম সেখানে স্বাস্থ্যনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ক্যাম্পেইন, গণমাধ্যম ও স্কুলগুলো নিয়মিত প্রচারণা চালায় ঘুমের গুরুত্ব, স্ক্রিন টাইম কমানো এবং মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশটিতে স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। এরই ফল হিসেবে ব্রিটিশরা গড়ে প্রতিরাতে ৭ ঘণ্টা ২২ মিনিট ঘুমায়।

নেদারল্যান্ডস

বিশ্রাম ও জীবনের ভারসাম্যে বিশ্বসেরা বলা যেতে পারে নেদারল্যান্ডসকে। সেখানে কাজের চাপ তুলনামূলক কম। সক্রিয় জীবনযাত্রা ও ঘুমবান্ধব সংস্কৃতি রয়েছে দেশটিতে। সেখানে মানুষ বিশ্রাম ও অবসরকে জীবনের স্বাভাবিক অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। উন্নত জীবনমান ও কর্মস্থলে কম চাপের কারণে ডাচরা গড়ে ৭ ঘণ্টা ২৪ মিনিট ঘুমায়।

গবেষণা অনুসারে, পৃথিবীতে গড়ে বেশি সময় ঘুমায় নিউজিল্যান্ডের মানুষ। তারা গড়ে প্রতি রাতে ৭ ঘণ্টা ২৭ মিনিট ঘুমায়। ছবি: পেক্সেলস
গবেষণা অনুসারে, পৃথিবীতে গড়ে বেশি সময় ঘুমায় নিউজিল্যান্ডের মানুষ। তারা গড়ে প্রতি রাতে ৭ ঘণ্টা ২৭ মিনিট ঘুমায়। ছবি: পেক্সেলস

নিউজিল্যান্ড

বিশ্বে সর্বোচ্চ সময় ঘুমায় নিউজিল্যান্ডের মানুষ। দেশটিতে ঘুম ঘিরে ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। পরিবার, ব্যক্তিগত সময় ও প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগের বিষয় নিউজিল্যান্ডে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তি সরাসরি ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে। উন্নত জীবনযাত্রা, কাজ ও জীবনের ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক এবং স্বাস্থ্যসেবার সহজলভ্যতা—সব মিলিয়ে নিউজিল্যান্ডবাসী গড়ে প্রতি রাতে ৭ ঘণ্টা ২৭ মিনিট ঘুমায়।

কত ঘণ্টা ঘুম জরুরি

প্রতিদিন কত ঘণ্টা ঘুম জরুরি বা সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কত ঘণ্টা ঘুমানো দরকার—এর উত্তর ভিন্ন ভিন্ন হয়। বয়স, মানুষের শারীরিক অবস্থা ও পরিশ্রমের পরিমাণভেদে ঘুমের সময় আলাদা। তারপর শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের সাধারণভাবে ঘুমের চাহিদা আলাদা। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন (এনএসএফ) এবং আমেরিকান একাডেমি অব স্লিপ মেডিসিনের (এএএসএম) মতো স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘুমের তালিকা তৈরি করেছে।

শিশুদের ঘুমের সময়

নবজাতক (শূন্য থেকে ৩ মাস): ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা (দিন ও রাতের ঘুম মিলিয়ে)।

শিশু (৪ থেকে ১১ মাস): ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা।

টডলার (১ থেকে ২ বছর): ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা।

প্রি-স্কুলার (৩ থেকে ৫ বছর): ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা।

স্কুলপড়ুয়া শিশু (৬ থেকে ১৩ বছর): ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা।

কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্কদের ঘুমের সময়

কিশোর (১৪ থেকে ১৭ বছর): ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা।

তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক (১৮ থেকে ২৫ বছর): ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা।

প্রাপ্তবয়স্ক (২৬ থেকে ৬৪ বছর): ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা

বয়স্ক (৬৫ বছর ও বেশি): ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা

ঘুমের সময়সূচির এই সুপারিশগুলো স্বাস্থ্য, মানসিক বিকাশ ও শারীরিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে ব্যক্তি, শারীরিক অবস্থা, পরিবেশ ইত্যাদি ভেদে সময়ের কিছুটা তারতম্য হতে পারে।

সূত্র

১. স্লিপ ডিউরেশন রেকমেন্ডেশন, ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন, ২০১৫

২. সেনসাস স্টেটমেন্ট অন রেকমেন্ডেড স্লিপ ডিউরেশন, আমেরিকান একাডেমি অব স্লিপ মেডিসিন, ২০১৬

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।
কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

উপকরণ

গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।

প্রণালি

গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফিরে ফিরে আসে ষাটের দশকের মেকআপ

ফারিয়া রহমান খান 
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৯
ষাটের দশকের মেকআপ লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। ছবি কৃতজ্ঞতা: যাদুর বাক্স
ষাটের দশকের মেকআপ লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। ছবি কৃতজ্ঞতা: যাদুর বাক্স

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।

সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।

‘ডল-আইড’ লুক

ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।

উইংগড লাইনার

এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

উইংগড লাইনার। ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স
উইংগড লাইনার। ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

ক্যাট আই ও স্মাজড আই লুক

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।

কাট ক্রিজ লাইনার

তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

কৌল-রিমড আইস

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।

ঠোঁটে ন্যুড শেডের ব্যবহার

সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।

চোখের পাতায় রং

সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।

ত্বকের বেস-ম্যাট থেকে গ্লোয়ি

ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।

হাই-আর্চড আইব্রো

সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।

মাসকারার ব্যবহার

সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।

সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঘুরে আসুন কাউয়ার চর

মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম 
ঘুরে আসুন কাউয়ার চর

এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রুম থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম আলীপুরের মাছের আড়তগুলোতে আসা নানান পদের মাছ দেখতে। রিকশা ভ্যানে দ্রুত পৌঁছেও গেলাম।

মাছের বাজার মানেই বিক্রির হাঁকডাক। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে জেলেদের সারি সারি সাগরফেরত ট্রলার। তাতে চেনা-অচেনা বাহারি মাছ। এত মাছ দেখে কেনার ইচ্ছা জাগল। কিছু টাটকা চিংড়ি ও বেল ঘাগড়া মাছ কিনে ভ্যানচালকের বাসায় রান্নার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এবার হোটেলে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম। দুপুরে ভ্যানচালক ফিরে এলেন দেশীয় মোটা চালের ভাত, ডাল, ভর্তা ও মাছের তরকারি নিয়ে! পাকা রাঁধুনির রান্না বেশ আয়েশ করে খেয়েদেয়ে বের হয়ে পড়ি তাহেরপুরের পথে।

যেতে যেতে আমখোলা পাড়ায় ব্রেক। সড়কের পাশেই তালগাছের ছায়ায় ঘেরা স্বচ্ছ টলটলে পানির একটি পুকুর। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো কুয়াকাটার প্রথম খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর এটি। এখান থেকে মগ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি সংগ্রহ করত। পুকুরের আশপাশের পরিবেশটাও বেশ চমৎকার। চাইলে এক বিকেল আমখোলা পাড়া পুকুরটির ধারে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।

রিকশা ভ্যান চলল। চলতে চলতে সাবমেরিন অফিস পার হওয়ার পরেই তাহেরপুরের সৌন্দর্য আমাদের গিলে ফেলল! পথের দুই ধারে সারি সারি প্রাচীন তালগাছ। কোনো কোনো সড়কের দুই পাশে বাবলাগাছ। এর সৌন্দর্য লিখে বোঝানো দায়। পা বাড়ালাম লেবুর বনের পথে। বেহাল বেড়িবাঁধ সড়ক হলেও যাওয়ার পরে নিমেষে পথের ক্লান্তি উবে যায়। প্রায় এক হাজার একর আয়তনের লেবুর বনে লেবুগাছের দেখা না মিললেও দেখা হলো প্রচুর কেওড়া, গেওয়া, গরান, কড়ই, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে সৈকত লাগোয়া কিছু মৃত গাছের আকার দেখে আমাদের মনে হলো, যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গিয়েছি! লেবুগাছের অস্তিত্ব না থাকলেও লেবুর বন এককথায় অসাধারণ।

ইতিমধ্যে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে সূর্য। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ভাটার ফলে শান্ত সাগরের দিগন্তবিস্তৃত বালিয়াড়িতে, মৃদু হাওয়ায় এবার ভ্যান চলে আন্ধারমানিকের দিকে। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সৈকতঘেঁষা মসজিদে নামাজ আদায় করে, সারি সারি দোকানের কোনো একটা থেকে তাজা সামুদ্রিক মাছ আর কাঁকড়া কিনে ফ্রাই করতে দিই। চোখের সামনে তেলে ভাজা মচমচে কাঁকড়া চলেও আসে আমাদের হাতে। খেতে সুস্বাদু।

চারদিকে অন্ধকার জেঁকে বসলে আমরা আলীপুরের দিকে ফিরি। রাতের খাবার খেয়ে রুমে ঢুকে ঘুমের প্রস্তুতি। উঠতে হবে ভোররাত চারটায়। টার্গেট কাউয়ার চরে সূর্যোদয় দেখা।

এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে ঠিকমতো। চারটায় উঠে প্রস্তুত। যেতে যেতে লক্ষ্মীর বাজার গ্রামের সুন্দর উঠানওয়ালা একটি মসজিদ। সেখানে নামাজ আদায় করেই ছুটতে শুরু করি। কিন্তু নাহ্‌! গঙ্গামতির চর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুব আকাশে একরাশ মেঘের আগমনে সূর্যোদয় দেখা ভেস্তে যায়। তাতে কি? একটি টার্গেট মিস হয়েছে মাত্র। বাকিগুলো তো পড়েই আছে। একটা ডাবের পানি শেষ করে আমরা উঠে পড়ি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।

1000065269---Copy

সেটা চলতে শুরু করল সৈকত ধরে। ডানে সাগর আর বাঁয়ে দীর্ঘ ঝাউবন। আমরা যাচ্ছি আর থামছি। মূলত অবারিত প্রকৃতি আমাদের থামতে বাধ্য করছে। প্রায় বিলুপ্ত সাগরলতার দেখা মিলল কাউয়ার চরে। চোখে পড়ল শব্দ পেলেই গর্তে লুকিয়ে পড়া লাল কাঁকড়াদের। পায়রা নদীর মোহনায় দেখা হলো খেয়া জালে মাছ শিকার। এই সকালে উত্তাল সাগরের রূপ শান্ত। এ রকমটা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই কাউয়ার চর সৈকতের শেষ সীমা পর্যন্ত। বাইক ছেড়ে ঢুকে যাই ঝাউবনের ভেতরে। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনের সৌন্দর্য কি ধরা যাবে এই লেখায়!

কাউয়ার চরের আরেক দর্শনীয় জিনিস বটতলীর হামিদ সি প্যালেস। সেখানে যাওয়ার আগে সাগর থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো। এত কম দাম দেখে ঢাকাবাসীর জন্য দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে পারলাম না। ডুবোতেলে নিজ হাতে ইলিশ ভাজতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়ে ভ্যানে উঠে বসি।

1000065067

সৈকত লাগোয়া বেড়িবাঁধের দুই পাশে সারি সারি বাবলাগাছ। নির্জন রাস্তা ধরে মাত্র ১০ মিনিটে ভ্যান পৌঁছে গেল হামিদ প্যালেসের দোরগোড়ায়। ধীর পায়ে হেঁটে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আকাশমণি বৃক্ষ। ভেতরটাতে অন্যান্য গাছ। নান্দনিক ডিজাইনের দোতলা বাংলো। এর ছাদ থেকে ঝাউবনসহ পুরো প্যালেসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজরে আসে। প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে অসংখ্য তালগাছ। প্যালেসটাকে তালবাগান বললেও ভুল হবে না। রয়েছে মাছের খামার। সঙ্গে দেশি গরুর বহর। অচেনা স্বর্ণ-৫ জাতের ধানের চাষাবাদ। বাতাসে ধানগাছের দোল। এ সবকিছু মিলিয়ে কাউয়ার চর ভ্রমণ সত্যি সার্থক।

যাবেন যেভাবে

ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস চলাচল করে। কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক অথবা অটো কিংবা ভ্যানগাড়িতে কাউয়ার চরে যাওয়া যায়। সকালে গিয়ে দুপুরেই ফিরে আসা সম্ভব।

থাকা-খাওয়া

কুয়াকাটায় অনেক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। তাই থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। কাউয়ার চরে থাকতে চাইলে নিজস্ব তাঁবুতে অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিংবা মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গামতিতে থাকা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেশে সরকার অনুমোদিত পাঁচ তারা ২০টি হোটেল

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪১
ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকা
ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকা

পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।

পাঁচ তারা স্বীকৃতি পাওয়া মানে হলো হোটেলটিতে আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ, নিরাপত্তা, রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, স্টাফ প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা। তাই যেকোনো ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে সেসব হোটেল বেছে নিতে পারেন।

ঢাকার অনুমোদিত পাঁচ তারা হোটেল

  • প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও
  • ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকা
  • র‍্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন
  • ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট
  • হোটেল সারিনা
  • ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট
  • লো মেরিডিয়ান
  • রেনেসাঁ হোটেলস
  • কারিশমা সার্ভিসেস লিমিটেড

এই হোটেলগুলো মূলত গুলশান, বনানী, খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, কনফারেন্স, কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জন্য এগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

কক্সবাজারের পাঁচ তারা হোটেল

বিশ্বের দীর্ঘতম সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পাঁচ তারা হোটেলের চাহিদা বেশি। এখানে বিলাসী পর্যটকদের জন্য পাঁচ তারা ৩টি হোটেল রয়েছে। সেগুলো হলো—

  • রয়্যাল টিউলিপ সি পার্ল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা
  • সিগাল হোটেল
  • ওশান প্যারাডাইস
  • সাইমন বিচ রিসোর্ট

এই হোটেলগুলো মূলত সমুদ্রের কাছে। ইনফিনিটি পুল, বিচ অ্যাক্সেস, লাইভ রেস্টুরেন্ট ও স্পা সেবার জন্য জনপ্রিয়।

গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ, শ্রীমঙ্গল
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ, শ্রীমঙ্গল

পাহাড়ি ও রিসোর্ট অঞ্চল

অনেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শান্ত পরিবেশ খোঁজেন। তাঁদের জন্য সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট।

  • গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ, শ্রীমঙ্গল
  • দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট, হবিগঞ্জ
  • গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট
  • গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট
  • উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে ২টি

র‍্যাডিসন ব্লু বে ভিউ
র‍্যাডিসন ব্লু বে ভিউ

চট্টগ্রামে আছে পাঁচ তারা একটি হোটেল

চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে এখানে উচ্চমানের হোটেলের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে এই শহরে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মাত্র একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। নাম র‍্যাডিসন ব্লু বে ভিউ।

সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী নতুন যে হোটেলগুলো পাঁচ তারা তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুটি হোটেল রয়েছে। এগুলো দেশের আঞ্চলিক হোটেলশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ দুটি হোটেল হলো—

  • মম ইন হোটেল, বগুড়া
  • হোটেল জাবীর প্যারাডাইস, যশোর

যেহেতু অনেক হোটেল নিজেকে ‘পাঁচ তারা’ দাবি করে, তাই সরকারি স্বীকৃতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মান যাচাই, নিরাপত্তা, স্টাফ কোয়ালিটি এবং সেবা মানের মতো বিষয়ে সরকারিভাবে অনুমোদিত হোটেলগুলোকে নির্ধারিত মান বজায় রাখতে হয়। এতে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট সেবা নিশ্চিত থাকে।

সূত্র: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত