Ajker Patrika

ইউটিউবে সর্বাধিক দেখা ভিডিও ‘বেবি শার্ক’, জনপ্রিয়তার কারণ কী

সানজিদা কাওছার ঋতু, ঢাকা
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৪: ২০
ইউটিউবে সর্বাধিক দেখা ভিডিও ‘বেবি শার্ক’, জনপ্রিয়তার কারণ কী

ইউটিউবে সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভিডিওগুলোর একটি হচ্ছে ‘বেবি শার্ক’। শিশুদের জন্য তৈরি দুই মিনিটের এ ভিডিও ২০১৬ সালের ১৮ জুন ইউটিউবে পোস্ট করার পরই বিলবোর্ড হট ১০০–এর তালিকায় জায়গা করে নেয়। এরপর একের পর এক জনপ্রিয় শিল্পীদের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে এ গানটি। স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি পর্যন্ত এ গানটি ইউটিউবে দেখা হয়েছে মোট ১৩ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন বার! 

মূলত শিশুদের জন্য তৈরি করা হলেও এ গানটি মা–বাবার ওপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। শিশুরা যতবার এ গান শুনতে চায়, তাদের সঙ্গে মা–বাবাদেরও এ গান শুনতে হয়। বারবার এ গান শুনে মা–বাবার বিরক্তি এসে গেলেও শিশুদের সাধ মেটে না! 

শিশুরা কেন এ গান বারবার শুনতে চায়, তা নিয়ে বৈজ্ঞানিক কিছু ব্যাখ্যা বের করেছে অনলাইন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি বিস্ট। 

এ গানটির কথা পুনরাবৃত্তিমূলক। এর সহজ সুর ও কথা সহজেই মুখস্থ হয়ে যায় এবং এটি গাওয়াও সহজ। সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের থর্নটন স্কুল অব মিউজিকের সহযোগী অধ্যাপক বিয়াট্রিজ ইলারি শিশুদের সংগীত নিয়ে ব্যাপকভাবে অধ্যয়ন করেছেন। তিনি বলেন, শিশুদের শব্দভান্ডার অত্যন্ত সীমিত হয়। তাই কোনো শব্দের বারবার পুনরাবৃত্তি করলে তারা সহজ শব্দগুলো মনে রাখতে পারে। প্রাপ্তবয়স্করাও এ গান একবার শুনলে গুণগুণ করতে থাকেন। 

ভ্যালোরি সালিমপুর একজন স্নায়ু বৈজ্ঞানিক পরামর্শক এবং মন্ট্রিল নিউরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের একজন গবেষক। তিনি মানব মস্তিষ্ক কেন এবং কীভাবে সংগীত প্রক্রিয়া করে তা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁর গবেষণায় শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় সুরগুলো মস্তিষ্কের ডোপামিনার্জিক সিস্টেমে তীব্র আনন্দের অনুভূতি তৈরি করতে পারে। মস্তিষ্কের এ ব্যবস্থা থেকেই আনন্দ, সন্তোষ ও পুরস্কারের অনুভূতি উৎসারিত হয়। 

সালিমপুর বলেন, ‘ডোপামিন নিঃসরণ ধারণা তৈরি এবং পরিণতি মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করে। যখন কোনো কিছু আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয় তখন ডোপামিন ক্ষরিত হয় এবং এর ফলে সুখানুভূতির সৃষ্টি হয়।’ 

সালিমপুরের গবেষণায় দেখা গেছে, ডোপামিনার্জিক সিস্টেম সুপিরিয়র টেম্পোরাল গাইরাসের সঙ্গে মিলে কাজ করে। মস্তিষ্কের এ অংশটি এমন একটি অঞ্চল যা কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সমস্ত শব্দ সম্পর্কে তথ্য সংরক্ষণ করে। এ শব্দ–স্মৃতিগুলোর মধ্যে শিশুর নিজের শোনা, বাবা–মায়ের শোনা এবং স্কুলে সহপাঠীদের শোনা গান অন্তর্ভুক্ত থাকে। শব্দের সঙ্গে এ সম্পর্কগুলো কোনো ব্যক্তি কোন বিষয়ে আনন্দ পাবে এবং কোন কারণে তার ডোপামিন ক্ষরিত হবে মস্তিষ্ককে সেটির পূর্বানুমান করতে সাহায্য করে। 

সালিমপুর বলেন, ‘কোনো সংগীত যদি খুব বেশি অনুমানযোগ্য এবং পুনরাবৃত্তিমূলক হয় তবে ডোপামিনের নিঃসরণ হবে না।’ সালিমপুর তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, তাঁর দুই বছর বয়সী সন্তান ঘুম থেকে উঠেই জিজ্ঞেস করে, ‘বেবি শার্ক কোথায়?’ তাহলে কোন ধরনের সংগীত মানুষকে আকর্ষণ করে, সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যখন কোনো সংগীত শুনতে যাচ্ছেন, তখন সেটির শব্দ বিন্যাস সম্পর্কে একেবারেই পূর্বানুমান করতে না পারলে সেটিতে তাঁর জন্য কোনো সুখকর চমক থাকে না।’

‘বেবি শার্ক’ গানটি শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় হওয়ার আরও একটি কারণ হলো, গানটি পরিবার ও প্রাণী নিয়ে। শিশুদের গান রচনার একটি সাধারণ উপাদান হলো প্রাণীদের নাম। ‘বেবি শার্ক’ গানটি শুরু হয় গল্পের মূল চরিত্রকে উপস্থাপনের মাধ্যমে। এ গানটির মূল চরিত্রগুলো হলো—বেবি শার্ক, মা শার্ক, বাবা শার্ক, গ্র্যান্ডমা শার্ক ও গ্র্যান্ডপা শার্ক। শিশুদের জন্য এ শব্দগুলো বেশ পরিচিত। প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের নাম গানে চারবার ও একই সুরে বলায় তা শিশুর স্মৃতিতে সহজে গেঁথে যাচ্ছে। এতে তাদের গল্প শোনার আগ্রহ ও প্রত্যেক চরিত্রের সঙ্গে পরিচিতি আরও দৃঢ় হয়। 

সালিমপুর বলেন, ‘গানের কথা সহজ মনে হলেও এ শব্দগুলোই মূলত শিশুকে গানটির প্রতি আকৃষ্ট করে। বেবি, ড্যাডি, মামি, গ্র্যান্ডপা, গ্র্যান্ডমা—এ শব্দগুলোর সঙ্গে শিশু বেশি সংযোগ বোধ করে। এই সংযুক্তি বোধ সংগীতের সঙ্গে একটি বন্ধন তৈরি করতে সাহায্য করে। এ মানুষগুলোর সঙ্গেই শিশুর বেশি ইতিবাচক সম্পর্ক থাকে, যার ফলে শিশুর মস্তিষ্কের আবেগ ও পুরস্কার ব্যবস্থা প্রভাবিত হয়।’ 

এখানে ইলারি যোগ করেন, ‘শিশু ও প্রাপ্তবয়স্করা এ গানের কথাগুলো নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারেন এবং গান নতুন করে সাজাতে পারেন এবং অসংখ্যবার এ গান দেখতে পারেন।’

সালিমপুর বলেন, ‘গানের নাম “বেবি শার্ক” দিয়েই এর জনপ্রিয়তার কারণ বোঝা যায়। শিশুরা নিজেদের বেবি ও প্রাণী হিসেবে প্রকাশ করতে পছন্দ করে বেশি। শার্ক বা হাঙর, প্রাণী হিসেবে তাদের কাছে বেশ মজার। শিশু মনে এটি ভয়েরও সঞ্চার করতে পারে। এই গান তাদের প্রাণীর সঙ্গে যেমন সম্পৃক্ত করে তেমন হাঙরকে তুলনামূলকভাবে কম ভীতিকর হিসেবেও উপস্থাপন করে।’ 

শিশুদের গানে গানে গল্প শোনানোর জন্য এর লয় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই গানের গতি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ভ্যালোরি বলেন, ‘এই গানের তাল, মাত্রা ও লয়ের কারণে এটি বেশ সক্রিয় মনে হয়। ভিডিওতে মাছগুলো দৌড়ে পালানোর সময় “রান অ্যাওয়ে ডু ডু ডু (পালিয়ে যাও) ” কথায় গানটির গতি বেড়ে যায়। আবার যখন “সেফ অ্যাট লাস্ট (অবশেষে নিরাপদ) ” বলা হয়, তখন গানটি তুলনামূলক ধীর লয়ে গাওয়া হয়। শিশুরা গানটির সক্রিয় অংশ অভিনয় করে দেখাতে পছন্দ করে।’ 

সালিমপুর বলেন, ‘আনন্দ ও আবিষ্কারের আদিম এ অনুভূতিটির কারণে যেসব প্রাপ্তবয়স্কের সন্তান নেই তাঁরাও এ গানটি শুনতে পছন্দ করেন।’ 

ক্রমে গানটি দ্রুত লয়ে গাওয়ার কারণে শিশুরা গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচতে বাধ্য হয়। দ্রুত লয়ের সুরের সঙ্গে বড় ছোট সবাই তাল মেলাতে পছন্দ করে। এ কারণে পপ মিউজিকে ও ক্লাবে এ ধরনের সুরের গান বাজানো হয়। দ্রুত লয়ের গান আমাদের মস্তিষ্কের আদি কোষ ও অন্যান্য প্রাচীন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। এ ছাড়া এ ধরনের গান ডোপামিন নিঃসরণে সাহায্য করে। 

আরেকটি তত্ত্ব হলো, শিশুর হৃৎস্পন্দন সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে দ্রুত হয়। হৃৎস্পন্দনের সঙ্গে মিলে যায় এমন লয়ের সংগীত তারা পছন্দ করে। 

সংগীতের বিট বিন্যাসের সঙ্গে দেহের নড়াচড়ার মিলও অত্যন্ত আনন্দদায়ক হতে পারে। কারণ, এতে মস্তিষ্কের অনুমান ক্রিয়া জড়িত থাকে। তাই অপরিচিত গানের তুলনায় পরিচিত গানের সঙ্গে নাচ বেশি আনন্দদায়ক মনে হয়। যোগ করেন ইলারি সালিমপুর। 

শিশুদের জন্য এ গানটি যে শুধু শ্রুতিমধুর তাই নয়; এর দৃশ্যায়নও বেশ আকর্ষণীয়। বেবি শার্ক গানটিতে অডিও ও ভিডিওর চমৎকার সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। 

ইলারি বলেন, শিশুদের গানে দৃশ্যায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা শুধু গান শোনে না, তারা গান দেখেও এবং এর সঙ্গে অভিনয়ও করে। উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার, সহজ নাচ ও গ্রিন স্ক্রিনের ব্যবহার গানটিকে শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। 

২০১৫ সালে গানটির যে সংস্করণ বেরিয়েছিল তাতে কেবল অ্যানিমেশন ও মানুষের মতো দেখতে চরিত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে ২০১৬ সালে ভাইরাল হওয়া সংস্করণটিতে শিশুদের এ গান শুনে এর তালে তালে নাচতেও দেখানো হয়। এ দৃশ্যের মধ্যে শিশুরা নিজেকে খুঁজে পায়। 

একটি শিশু সন্তানের মা হিসেবে ইলারি বলেন, ‘আমরা জানি, শিশুরা অন্য শিশুকে স্ক্রিনে দেখতে পছন্দ করে। তারা স্ক্রিনে দেখা শিশুদের অনুকরণ করতে পছন্দ করে।’

প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে এ গানে কার্টুনের মতো পরিবেশে নাচতে থাকা শিশুদের আদুরে মনে হলেও, শিশুদের অবিকশিত মস্তিষ্কে বড় বড় চোখ, জ্যামিতিক আকৃতি, রঙিন সমুদ্র ও বন্ধুভাবাপন্ন হাঙর বেশ আকর্ষণীয় মনে হয়। 

আর প্রাপ্তবয়স্কদের এ গান পছন্দ করার একটি কারণ হলো, এটি তাদের ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়। এটি তাদের ওই এক সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন তারা রাজনীতি ও দায়িত্বের ভারে নুয়ে ছিল না। 

সালিমপুর বলেন, তাঁর দুই বছর বয়সী সন্তানও ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে বেবি শার্ক গান শুনতে চায়। আর তাঁর চিকিৎসক স্বামীও সারা দিন এ গানই গুণগুণ করতে থাকেন। এমনকি হাসপাতালের নার্সেরাও এখন এ গান গুনগুন শুরু করেছেন!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর ঋণ—দুটাই সমান বিপজ্জনক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আজকের রাশিফল: তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর ঋণ—দুটাই সমান বিপজ্জনক

মেষ

আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!

বৃষ

আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।

মিথুন

অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।

কর্কট

সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!

সিংহ

স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।

কন্যা

আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।

তুলা

প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!

বৃশ্চিক

সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।

ধনু

আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।

মকর

অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।

কুম্ভ

আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!

মীন

আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উৎসবে ঘরের আবহ বদলে দেবে আলোর ব্যবহার

তুষ্টি মনোয়ার
ছবি: রিনিশ ডিআইওয়াই নেস্ট
ছবি: রিনিশ ডিআইওয়াই নেস্ট

সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে। সঙ্গে আপনার ঘর করে তুলবে প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শক্তিতে ভরপুর। এটি যেমন আভিজাত্যপূর্ণ, তেমনি মন ভালো রাখতেও যথেষ্ট কার্যকর। এখন খুব সহজে একটি সুইচ টিপে নিজের ঘর ছবির মতো অনন্য করে তোলা যায়। ঘর স্মার্টভাবে সাজাতে কোন জায়গায় কী রকম আলো ব্যবহার করতে হবে, তা জেনে নিন এখানে।

আলোর ধরন ও ব্যবহার

ঘর সাজাতে সাধারণত কয়েক ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়—

  • প্রাকৃতিক আলো: জানালার মাধ্যমে আসা আলো ঘরে আরামদায়ক একটা ভাব দেয়। এটি আমাদের শরীরে সেরোটোনিন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে মন ভালো থাকে।
  • অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট: এটি পুরো ঘর সমানভাবে আলোকিত করে। সাধারণত বসার ঘরে এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।
  • টাস্ক লাইট: পড়াশোনা, রান্না বা ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে যে জোরালো আলো ব্যবহার করা হয়, সেটিই হলো টাস্ক লাইট।
  • অ্যাকসেন্ট লাইট: ঘরের কোনো নির্দিষ্ট কোনা, ছবি বা গাছ ফুটিয়ে তুলতে এই আলো ব্যবহার করা হয়।
  • মুড লাইটিং: ক্লান্তিকর দিনের শেষে একটু প্রশান্তি পেতে ওয়ার্ম এলইডি স্ট্রিপ বা ফেইরি লাইটের মৃদু আলো খুব ভালো কাজ করে।

উৎসবে বিভিন্ন ঘরে আলোর ব্যবহার

শোয়ার ঘর

শোয়ার ঘর যেহেতু বিশ্রামের জায়গা, তাই সেখানে আলো হওয়া উচিত নরম। তবে বাড়িতে দাওয়াত বা উৎসবের দিনগুলোয় অতিথি সমাগম হলে শোয়ার ঘরেও আড্ডা জমে ওঠে। উৎসবকে কেন্দ্র করে শোয়ার ঘর আলোয় সাজাতে পারেন। দেয়ালের ল্যাম্প অথবা সিলিং থেকে ঝোলানো পেন্ডেন্ট লাইটে ঘরে আভিজাত্য এনে দেয়। এই ঘরের আলোকসজ্জায় ফ্ল্যাশ-মাউন্ট-ফিক্সচার বেছে নিতে পারেন।

2

বসার ঘর

এটি সবাই মিলে বসে টিভি দেখা বা আড্ডা দেওয়ার জায়গা। এই ঘরে টিভির পেছনে ‘বায়াস লাইটিং’ ব্যবহার করলে চোখের ওপর চাপ কম পড়বে। এখানে আড্ডার আবহ ঠিক রাখতে সাধারণ আলোর পাশাপাশি মৃদু আলোর ব্যবস্থাও রাখা উচিত।

545576442_1118617443699907_7184441671146611119_n---Copy

ডাইনিং

খাবার টেবিলের ঠিক ওপরে একটি ঝাড়বাতি বা মাল্টি-লাইট পেন্ডেন্ট বসালে তা সব দিকে সমানভাবে আলো ছড়াবে। খাবারের পরিবেশ উৎসবমুখর রাখতে আলোর তীব্রতা কমানো-বাড়ানোর জন্য ‘ডিমার সুইচ’ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

4

পড়ার ঘর

পড়ার টেবিলে অবশ্যই অ্যাডজাস্টেবল ল্যাম্প রাখতে হবে। এখানে আলো এমনভাবে সেট করতে হবে, যাতে বইয়ের ওপর সরাসরি আলো পড়ে এবং চোখের ওপর চাপ তৈরি না করে।

সিঁড়ি ও আউটডোর

নিরাপত্তার জন্য সিঁড়িতে স্ট্রিপ লাইট বা ওয়াল মাউন্টেড স্পটলাইট ব্যবহার করতে পারেন। আর উৎসবে বাড়ির প্রবেশপথ বা বাগানে হাঙ্গিং লাইট লাগালে তা বাড়ির সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।

সূত্র: হোমলেন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেকিং করতে কোন খাবারে কোন ময়দা

ফারাহ্ রহমান
ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

বেকিংয়ের কথা মনে এলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে নরম কেক, তুলতুলে পাউরুটি কিংবা বিস্কুটের কথা। তবে এসব বানানোর সময় একই ময়দা দিয়ে সব তৈরি করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি—হয় কেক শক্ত হয়ে যায়, নয়তো পাউরুটি ঠিকমতো ফোলে না। এর মূল কারণ হলো ভুল ময়দা নির্বাচন করা। প্রতিটি খাবারের সঠিক গন্ধ ও স্বাদ বজায় রাখতে এর মূল উপাদান সম্পর্কে ধারণা রাখা খুবই জরুরি। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন। তারপর নতুন বছর; ফলে এটাই বেকিংয়ের সেরা সময়। জেনে নিতে পারেন কোন খাবার বেকিংয়ে কোন ধরনের ময়দা বেছে নিতে হবে।

ময়দা আসলে কী

বিভিন্ন শস্য; যেমন ধান, গম, যব, বিভিন্ন বাদাম অথবা বিভিন্ন বীজ পিষে তৈরি করা মিহি গুঁড়াই মূলত ময়দা। আমরা সাধারণত গমের ময়দা বেশি ব্যবহার করি। ময়দার সঙ্গে পানি বা দুধ মেশালে এতে থাকা প্রোটিনগুলো মিলে ‘গ্লুটেন’ তৈরি করে। এই গ্লুটেনই খাবার নরম বানায়।

ভিন্ন ভিন্ন ময়দা এবং এর ব্যবহার

সাধারণ ময়দা

আমাদের রান্নাঘরে খুঁজলেই পাওয়া যায় এই সাধারণ ময়দা বা অল পারপাস ফ্লাওয়ার। কেক, বিস্কুট, পেস্ট্রি কিংবা প্যানকেক বানানোর জন্য এটি সবচেয়ে উপযুক্ত। এর গ্লুটেন মাঝারি মানের হওয়ায় তৈরি খাবার খুব বেশি নরম বা শক্ত হয় না।

স্ট্রং হোয়াইট ব্রেড ফ্লাওয়ার

এটি পাউরুটি বানানোর জন্য বিশেষ ময়দা। যাঁরা ঘরে পাউরুটি, পিৎজা অথবা ডোনাট বানাতে চান, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে, যা প্রচুর গ্লুটেন তৈরি করে। ফলে পাউরুটি অনেক বেশি ফোলে এবং সুন্দর টেক্সচার তৈরি করে।

সেলফ-রাইজিং ফ্লাওয়ার

এই ময়দায় আগে থেকে বেকিং পাউডার ও লবণ মেশানো থাকে। ঝটপট কেক, মাফিন বা স্কোনস বানাতে এটি ব্যবহার করা হয়। এতে আগে থেকে পরিমাণমতো সব মেশানো থাকায় পরিমাণে ভুল হওয়ার ভয় থাকে না।

হোলসাম ফ্লাওয়ার

পুরো গম পিষে এটি তৈরি করা হয়। ফলে এতে আঁশ ও পুষ্টিগুণ বেশি থাকে এবং এটি দেখতে লাল বা বাদামি রঙের হয়। স্বাস্থ্যকর রুটি বা ভারী পাউরুটি বানাতে এটি ব্যবহার করা হয়। এটি একটু ঘন ও দানাদার হয়।

কর্নফ্লাওয়ার

এটি আসলে বেকিংয়ের চেয়ে রান্নায় বেশি ব্যবহার করা হয়। স্যুপ অথবা ঘন সস তৈরিতে কর্নফ্লাওয়ার অতুলনীয়। তবে এটি ব্যবহার করার আগে ঠান্ডা পানিতে গুলিয়ে ব্যবহার করলে দলা পাকানোর ভয় থাকে না।

সঠিক নির্বাচনেই সাফল্য

যে রেসিপির জন্য যে ধরনের ময়দার কথা বলা হয়, সব সময় সেটিই ব্যবহারের চেষ্টা করুন। হাতের কাছে সেলফ-রাইজিং ফ্লাওয়ার না থাকলে সাধারণ ময়দার সঙ্গে পরিমাণমতো বেকিং পাউডার মিশিয়ে নিলে কাজ চলে যাবে। সঠিক ময়দা ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে দারুণ কেক বা পাউরুটি বানাতে পারবেন।

সূত্র: গয়া বেকারি ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তিনটি সহজ ও সুস্বাদু ভেজ খাবার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ০০
রেড ক্যাবেজ স্যালাড। ছবি: বিবিসি
রেড ক্যাবেজ স্যালাড। ছবি: বিবিসি

আসছে বড়দিন। মানে ছুটির দিন। কর্মব্যস্ত জীবনে একটা দিন ছুটি মানেই খানিক অন্য রকম খাবার খাওয়ার চেষ্টা। শখের রাঁধুনি যাঁরা ভাবছেন, এবার বড়দিনে রান্নাঘরের দায়িত্বটা নিজেই নেবেন, তাঁদের জন্যই এই লেখা। যেহেতু উৎসবে প্রথম নিজে রান্না করবেন, তাই রান্নাটা যত রিস্ক ফ্রি হবে, ততই ভালো। মাংস ও মিষ্টি আইটেমের পাশাপাশি ভেজ আইটেমও তো রাখা চাই। কী থাকতে পারে ভেজ আইটেমে?

হানি রোস্টেড ক্যারট

উপকরণ

ছোট গাজর ১ কেজি, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, খাঁটি মধু ৩ টেবিল চামচ, তাজা লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, থাইম গুঁড়া সামান্য, লবণ এবং গোলমরিচগুঁড়া পরিমাণমতো।

হানি রোস্টেড ক্যারট। ছবি: বিবিসি ইউকে
হানি রোস্টেড ক্যারট। ছবি: বিবিসি ইউকে

প্রণালি

ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্রিহিট করুন। গাজরের গোড়া ও আগার অংশ কেটে খোসা ছাড়িয়ে নিন। গাজর মোটা হলে লম্বালম্বি অর্ধেক বা লম্বালম্বি চার টুকরো করে কেটে নিয়ে একটি বড় বেকিং ট্রেতে রাখুন। এবার এগুলোর ওপর অলিভ অয়েল ঢেলে দিন। এরপর ওপর থেকে লবণ ও গোলমরিচ ছড়িয়ে দিয়ে ভালো করে মেশান। তারপর ওভেনে ১৫ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য বেক করুন। প্রায় নরম ও হালকা বাদামি না হওয়া পর্যন্ত বেক করতে থাকুন। কতটা সময় বেক করতে হবে, তা নির্ভর করবে গাজর কতটা পুরু তার ওপর।

এই ফাঁকে একটি বাটিতে মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে ফেটিয়ে নিন। এবার ওভেন থেকে গাজরের ট্রে বের করে নিয়ে বেক করা গাজরের ওপর মধু ও লেবুর মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন। সামান্য থাইম পাতার গুঁড়াও ছড়িয়ে দিতে পারেন। এবার সবকিছু হালকা করে মিশিয়ে নিয়ে আরও ৮-১০ মিনিটের জন্য ওভেনে বেক করুন। গাজরে চকচকে ভাব এলে বের করে পরিবেশন করুন।

এই রেসিপি ভেগানদের জন্য তৈরি করতে, মধুর পরিবর্তে ম্যাপল সিরাপ ব্যবহার করতে পারেন।

রেড ক্যাবেজ স্যালাড

উপকরণ

মাখন ১ চা-চামচ, অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ, সরু করে কাটা পেঁয়াজ ১টি, দারুচিনিগুঁড়া ১ চা- চামচ, জায়ফলগুঁড়া আধা চা-চামচ, ঝিরি ঝিরি করে কাটা লাল বাঁধাকপি ৬০০ গ্রাম, ব্রাউন সুগার ৩ টেবিল চামচ, খোসা ছাড়িয়ে কুচি করে করা আপেল ৩টি, সিরকা এক টেবিল চামচ, থাইম পাতা সাজানোর জন্য।

প্রণালি

একটি বড় ঢাকনাযুক্ত সসপ্যানে মাখন এবং তেল গরম করুন। গরম হলে পেঁয়াজ দিন এবং নরম না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এবার অন্যান্য মসলা দিয়ে নাড়ুন। তারপর বাঁধাকপি যোগ করুন এবং মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। এভাবে ৩ থেকে ৪ মিনিট ভাজুন। এবার চিনি, আপেল কুচি ও সিরকা দিয়ে আবার কিছুক্ষণ নাড়ুন। তারপর চুলার আঁচ কমিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩০ মিনিট ধরে রান্না করুন। সবশেষ নিজের পছন্দমতো ডিশে পরিবেশন করুন।

পারফেক্ট রোস্ট পটেটো

উপকরণ

যেকোনো উদ্ভিজ্জ তেল ৩ টেবিল চামচ, ৪ ভাগ করে কাটা মাঝারি আকারের আলু ২০০ গ্রাম, লবণ ও গোলমরিচগুঁড়া পরিমাণমতো।

পারফেক্ট রোস্ট পটেটো। ছবি: বিবিসি ইউকে
পারফেক্ট রোস্ট পটেটো। ছবি: বিবিসি ইউকে

প্রণালি

ওভেন ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্রিহিট করুন। চুলায় আলুগুলো প্যানে ঢেকে সেদ্ধ হতে দিন। পানি ফুটে উঠলে লবণ দিয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে সেদ্ধ করুন। আধা সেদ্ধ হলে আলুগুলো চুলা থেকে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার পেপার টাওয়েল দিয়ে চেপে আলুর সঙ্গে লেগে থাকা বাড়তি পানি শুকিয়ে ফেলুন। এবার ট্রেতে করে আলুগুলো ১০ মিনিটের জন্য বাতাসের নিচে রাখুন। ওভেন ট্রেতে তেল দিয়ে আলুগুলো ছড়িয়ে দিন। ভালোভাবে তেল ও আলু মাখা হয়ে গেলে ওভেনে ২০ মিনিট ধরে বেক করুন। এরপর বের করে আলুগুলো উল্টেপাল্টে দিয়ে আরও ২০-৩০ মিনিটের জন্য অথবা সোনালি ও মুচমুচে না হওয়া পর্যন্ত বেক করুন। হয়ে গেলে আলুর ওপর লবণ ও গোলমরিচগুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।

সূত্র: বিবিসি ইউকে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত