Ajker Patrika

দীর্ঘকাল ‘সিঙ্গেল’ জীবনযাপনেও সুখী থাকা সম্ভব

দীর্ঘকাল ‘সিঙ্গেল’ জীবনযাপনেও সুখী থাকা সম্ভব

কাউকে দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বা অন্তরঙ্গ সঙ্গীবিহীন জীবনযাপন করতে দেখলে আমরা ধরে নেই, অনিরাপত্তাবোধ কারণে তিনি সঙ্গী জোটাতে পারছেন না বা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছে না। তাহলে সিঙ্গেল মানে কি শুধুই অনিরাপত্তায় ভোগা? নাকি দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল মানুষরাও নিরুদ্বেগ ও সুখী হতে পারেন?

এটা যে সম্ভব, তা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। জার্নাল অব পারসোনালিটি সাময়িকীর প্রতিবেদন অনুসারে, দীর্ঘকাল সিঙ্গেল মানুষেরাও সুখী জীবনযাপন করতে পারেন এবং সফল হতে পারেন। সব সিঙ্গেল ব্যক্তিরাই যে সুখী হন না, তাতে অবাক হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আর এই বিষয়টি প্রধানত সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার উপর নির্ভর করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।    

সিঙ্গেল থাকার প্রবণতা বাড়ছে 
সিঙ্গেল জীবনযাপনের প্রবণতা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। ১৯৮১ সালে কানাডায় ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ মানুষ সিঙ্গেল ছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে ৬১ শতাংশে ওঠে। এছাড়া শুধু একা থাকা মানুষের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ১৯৮১ সালে ১৭ লাখ মানুষ একা বাস করতো। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৪৪ লাখ। 

নানা কারণেই মানুষ সিঙ্গেল থাকে। কেউ একাকিত্ব বেছে নেয়, কেউ ব্যক্তিগত লক্ষ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আবার সম্পর্ক এখন বেশ জটিল হয়ে পড়েছে বলে কারো কারো অভিযোগ। অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় একা থাকছেন তারা। 

সম্পর্ক ঘিরে ব্যক্তির সম্পৃক্ততার ধরনের কারণে অনেকে সিঙ্গেল থাকেন। এ বিষয়ে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নামে বেশ জনপ্রিয় একটি তত্ত্ব আছে। আমরা অন্যদের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক তৈরি করি এটি সে বিষয়ে সুগবেষণাজাত একটি মডেলও বটে। অ্যামাজনে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি নিয়ে সার্চ দিলে হাজার হাজার রেজাল্ট আসে। শুধু টিকটকে অ্যাটাচমেন্ট থিওরি হ্যাশট্যাগের ভিডিও ১৪ কোটি বার দেখা হয়েছে। 

অ্যাটাচমেন্ট থিওরি সম্পর্ক নিয়ে কি বলে
অ্যাটাচমেন্ট থিওরি অনুসারে, উদ্বেগ ও এড়িয়ে যাওয়ার মাত্রা দিয়ে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক রূপ নেয়। এক ধরনের অনিরাপত্তাবোধ মানুষকে সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন করার পাশাপাশি সঙ্গীর ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত করে থাকে। একে অ্যাটাচমেন্ট অ্যাংজাইটি বা সম্পৃক্ততা উদ্বেগ বলে। কেউ কেউ যে ঘনিষ্ঠতা ও অন্তরঙ্গতায় অস্বস্তিবোধ করেন, তার কারণ সম্পৃক্ততা এড়ানোর প্রবণতা। 

যাদের মধ্যে সম্পৃক্ততা নিয়ে উদ্বেগ ও এড়িয়ে চলার প্রবণতা কম থাকে তারা সহজেই অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে। তাঁরা অন্যের ওপর যেমন নির্ভর করতে পারে, তেমনি ঘনিষ্ঠতায়ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। 

সাধারণত সিঙ্গেল মানুষদের খুব বেশি গায়ে পড়া স্বভাবের ও সম্পর্কে প্রতিশ্রুতিশীল নয় বলে ভাবা হয়। সিঙ্গেল ও জুটি- দুই ধরনের মধ্যে তুলনা করে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সিঙ্গেলরা সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেন। অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক মানুষই স্বেচ্ছায় একা সঙ্গীহীন জীবন বেছে নিচ্ছেন এবং বেশ হাসিখুশি জীবন পার করছেন। সিঙ্গেল মানুষদের মধ্যেও নানা ধরণ আছে। কেউ নিজের সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী, আবার কেউ ভোগেন হীনম্মন্যতায়। 

সর্বশেষ এক গবেষণায় সামাজিক এবং চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা সিঙ্গেল মানুষদের সংযুক্তির ধরন এবং তা তাদের ভালো থাকার সঙ্গে কীভাবে জড়িত তা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেছেন। গবেষকেরা এবিষয়ে দুটি জরিপ চালান। এর একটিতে ৪৮২ জন সিঙ্গেল তরুণ ও অপরটিতে দীর্ঘদিন সিঙ্গেল ৪০০ বয়স্ক মানুষকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ৭৮ শতাংশ মানুষই অনিরাপত্তায় ভুগছে এবং ২২ শতাংশ নিরাপদ বোধ করেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। 

এই গবেষণায় সিঙ্গেলদের চারটি ধরনের সন্ধান মিলেছে— 

* নিরাপদ বোধ করা সিঙ্গেলরা সম্পর্কে অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তুলনামূলক বেশি স্বচ্ছন্দ (২২ শতাংশ)।

* উদ্বিগ্ন সিঙ্গেলরা অন্যরা ভালোবাসে কিনা সবসময় তা ভাবতে থাকে এবং প্রত্যাখ্যাত হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন (৩৭ শতাংশ)।

* এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব যেসব সিঙ্গেলদের মধ্যে, তারা অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় অস্বস্তি বোধ করেন এবং নিজের স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেন (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলের সংখ্যা ২৩ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল বয়স্কদের সংখ্যা ১১ শতাংশ)।

* সম্পর্ক নিয়ে ভীত সিঙ্গেল ব্যক্তিদের মধ্যে সঙ্গীর ছেড়ে যাওয়া নিয়ে উচ্চমাত্রার উদ্বেগ থাকে। পাশাপাশি অন্তরঙ্গতা ও ঘনিষ্ঠতায়ও অস্বস্তি বোধ করেন তাঁরা (এক্ষেত্রে তরুণ সিঙ্গেলদের সংখ্যা ১৬ শতাংশ এবং দীর্ঘকাল ধরে সিঙ্গেল থাকা বয়স্কদের সংখ্যা ২৮ শতাংশ)। 

নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব চ্যালেঞ্জিং
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা সিঙ্গেলদের কাছে একাকিত্ব বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। কিন্তু যারা নিরাপদ বোধ করেন, তারা এই একাকিত্ব বেশ উপভোগ করেন। তাঁদের অ-রোমান্টিক সম্পর্কের পরিধি বেশি। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক বেশ ভালো। রোমান্টিক সম্পর্কের বাইরেই তারা যৌন চাহিদা পূরণ করেন; জীবন নিয়ে মোটাদাগে বেশ সন্তুষ্ট থাকেন। তবে মজার ব্যাপার হলো- এ দলের মানুষেরা সামনে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানোর কিছুটা ইচ্ছাপোষণ করে থাকেন। 

উদ্বিগ্ন সিঙ্গেল ব্যক্তিরা একাকিত্ব নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। তাঁদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ কম থাকে, ঘনিষ্ঠ অন্যদের কাছে কম সমর্থন পান বলে তাঁদের মনে হয়। অন্য ধরনের সিঙ্গেলদের চেয়ে জীবন নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি সবচেয়ে কম। 

সম্পর্ক এড়িয়ে চলার প্রবণতা যেসব সিঙ্গেলের, তাঁরা রোমান্টিক সম্পর্কে জড়াতে আগ্রহ দেখান সবচেয়ে কম। নিজের সিঙ্গেল জীবন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকেন। তবে এদের বন্ধু ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে। এসব সম্পর্কে নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে তারা কম সন্তুষ্ট থাকেন। তারা জীবনের অর্থ খুঁজে পান কম এবং সুখীও হন কম। 

সম্পর্কের বিষয়ে ভীত সিঙ্গেলরা নিরাপদ সিঙ্গেলদের চেয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে বেশ জটিলতার মুখোমুখি হয়। তারা নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এবং আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। জীবন নিয়েও তারা বেশ অসন্তুষ্ট থাকেন। 

শুধু সিঙ্গেলদের নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, রোমান্টিক সম্পর্কে থাকলেই জীবন রঙিন হবে, সুন্দর হবে। সম্পর্কে অসুখী থাকলেও সিঙ্গেল জীবনের চেয়ে বেশি দুর্দশা দেখা দিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, সম্পর্কে সম্পৃক্ততা প্রবণতা আজীবনের জন্য নির্ধারিত নয়। জীবনের নানা অভিজ্ঞতার সঙ্গে তাও পরিবর্তিত হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে টা চাই? ঝটপট তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু

ফিচার ডেস্ক
ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা
ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা

এই শীতের সন্ধ্যায় অফিসে থেকে বাড়ি ফিরে গরমাগরম চায়ে চুমুক তো দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু চায়ের সঙ্গে টা-ও তো থাকতে হবে। এর জন্য সকালে বের হওয়ার আগে একটি বাটিতে খেসারি ডাল ভিজিয়ে রেখে বের হোন। সন্ধ্যায় তা দিয়ে তৈরি করে নিন মুচমুচে পেঁয়াজু। আপনাদের জন্য রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

উপকরণ

খেসারি ডাল ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচের কুঁচি ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া, ধনিয়াগুঁড়া, জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ এবং সয়াবিন তেল (ভাজার জন্য) পরিমাণমতো।

প্রণালি

ভেজানো খেসারি ডাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। তারপর পাটায় বেঁটে নিন। একটি বাটিতে সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজু ছেড়ে ডোবা তেলে সোনালি করে ভেজে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু ও মুখরোচক গরম গরম পেঁয়াজু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছোট ঘর সাজান মাল্টিফাংশনাল আসবাবে

ফারিয়া রহমান খান 
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৯
শহরে ছোট বাসা নিয়ে থাকছেন, তাঁদের জন্য মাল্টিফাংশনাল আসবাব খুব কাজে দেয়। ছবি: পেক্সেলস
শহরে ছোট বাসা নিয়ে থাকছেন, তাঁদের জন্য মাল্টিফাংশনাল আসবাব খুব কাজে দেয়। ছবি: পেক্সেলস

ছোট ঘরে প্রয়োজনীয় সব আসবাব গুছিয়ে রেখে পরিসর খোলামেলা দেখানো একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আধুনিক মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করে খুব সুন্দরভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। সঠিক আসবাব নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার ছোট ঘরটিও করে তুলতে পারবেন আরামদায়ক ও আভিজাত্যপূর্ণ। নতুন দম্পতি যাঁরা ছোট ফ্ল্যাটে সংসারজীবন শুরু করতে চলেছেন বা যাঁরা শিক্ষার্থী, শহরে ছোট বাসা নিয়ে থাকছেন, তাঁদের জন্য মাল্টিফাংশনাল আসবাব খুব কাজে দেয়। এতে ঘরের জায়গাও বাঁচে আবার এক আসবাবই হয়ে ওঠে বহু কাজের কাজী।

মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার কী?

সহজ কথায়, যে ফার্নিচারগুলো একাধিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়, সেগুলোই মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার। যেমন একটি সোফা, যা রাতে আবার বিছানা হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। এগুলোকে বলা হয় সোফা কাম বেড। আবার একটি ডাইনিং টেবিল, যা প্রয়োজন শেষে ভাঁজ করে দেয়ালের সঙ্গে হেলান দিয়ে রাখা যায়। তখন সেটি হয়ে ওঠে দেয়ালের সাজের একটা অংশ।

ছোট জায়গায় মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিচের টিপসগুলো কাজে লাগাতে পারেন।

দৈনন্দিন প্রয়োজন বুঝে নিন

ফার্নিচার কেনার আগে নিজের জীবনযাত্রা নিয়ে ভাবুন। আপনি বাসায় থেকে কাজ করেন কিনা বা প্রায়ই অতিথির সমাগম হয় কিনা তার ওপর আপনার ফার্নিচার নির্বাচন নির্ভর করবে। আপনি যদি বাসায় বসে অফিসের কাজ করেন, তবে এমন কফি টেবিল বেছে নিন, যা ডেস্ক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। আবার প্রায় অতিথি এলে রাতে ঘুমানোর জন্য সোফা কাম বেড আপনার জন্য আদর্শ।

ছোট ঘরে রাখার জন্য এমন আসবাব কিনুন, যা সহজেই একটি থেকে আরেকটিতে রূপান্তর করা সম্ভব। ছবি: পেক্সেলস
ছোট ঘরে রাখার জন্য এমন আসবাব কিনুন, যা সহজেই একটি থেকে আরেকটিতে রূপান্তর করা সম্ভব। ছবি: পেক্সেলস

বহুমুখী ব্যবহারকে প্রাধান্য দিন

এমন আসবাব কিনুন, যা সহজেই একটি থেকে আরেকটিতে রূপান্তর করা সম্ভব। যেমন বসার পাশাপাশি শোয়া বা জিনিস রাখার কাজেও আসবে, এরকম ফার্নিচার নিলে একসঙ্গে একটাতেই অনেক কাজ হয়ে যাবে।

স্টোরেজ সুবিধা দেখে নিন

ছোট ঘরের প্রধান সমস্যা হলো জিনিসপত্র রাখার জায়গার অভাব। তাই হাইডিং স্টোরেজ সুবিধাসহ আসবাব কিনুন। যেমন ড্রয়ারযুক্ত বিছানা কিংবা ভেতরে ফাঁকা থাকা অটোমান বা বসার টুল। এগুলো ঘরকে জঞ্জালমুক্ত রাখবে।

দেয়ালের ব্যবহার

মেঝের জায়গা বাঁচাতে দেয়ালের উচ্চতাকে কাজে লাগান। লম্বা বুকশেলফ বা দেয়ালে সেট করা যায় এমন বুকশেলফ, ড্রেসিং টেবিল বা ডাইনিং টেবিলের ব্যবহার ঘর বড় ও খোলামেলা দেখাবে।

হালকা ও আরামদায়ক আসবাব

ভারী ও বড় আসবাব আসলে ছোট ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। চিকন ও মডুলার ডিজাইনের আসবাব কিনুন। ফোল্ডিং চেয়ার বা টেবিল প্রয়োজনের সময় ব্যবহার করে সরিয়ে রাখা যায়, যা জায়গাও বাঁচায়।

রঙের সঠিক ব্যবহার

রঙের ওপর ঘরের প্রশস্ততা অনেকটাই নির্ভর করে। হালকা ও নিউট্রাল রং, যেমন সাদা, বেইজ বা হালকা ধূসর রঙে ঘর বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। হালকা রঙের ফার্নিচারও একই কাজ করে এবং ঘরকে অন্ধকার করে দেয় না।

প্রয়োজন শেষে ভাঁজ করে দেয়ালের সঙ্গে হেলান দিয়ে রাখা যায় কিছু কিছু মাল্টিফাংশনাল আসবাব। ছবি: পেক্সেলস
প্রয়োজন শেষে ভাঁজ করে দেয়ালের সঙ্গে হেলান দিয়ে রাখা যায় কিছু কিছু মাল্টিফাংশনাল আসবাব। ছবি: পেক্সেলস

পরিমাণের চেয়ে গুণগত মান দেখুন

অনেক সস্তা ও কম কাজের আসবাব দিয়ে ঘর না ভরিয়ে কয়েকটি মানসম্পন্ন মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার কিনুন। মানসম্পন্ন একটি সোফা-কাম-বেড বা অ্যাডজাস্টেবল ওয়ার্কস্টেশন আপনার দীর্ঘদিনের সঙ্গী হয়ে ঘরে একটা মিনিমালিস্টিক লুক বজায় রাখবে।

কমেন্ট (কোট আনকোট করে লেখার মাঝখানে দেবেন)

ছোট বাসা সাজাতে এমন মাল্টিফাংশনাল আসবাব ব্যবহার করতে হবে, যেগুলোর গড়ন সোজাসাপ্টা ও যত্ন নেওয়া সহজ। ছোট ঘরের ক্ষেত্রে নিচু আসবাব বাছাই করতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাব রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। বেছে নিতে হবে মিনিমাল আসবাব। এতে করে ঘরের আয়তন অনেকটাই বড় দেখাবে। এতে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারবে এবং ঘরটাকেও বড় দেখাবে।

রুম্মান আরা ফারুকী

প্রধান স্থপতি, ইন্টেরিয়র ডিজাইন স্টুডিও স্বয়ং

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাপানের ‘অলিখিত নিয়ম’—যেগুলো না জানলে বিব্রত হতে পারেন পর্যটকেরা

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪২
জাপানের ‘অলিখিত নিয়ম’—যেগুলো না জানলে বিব্রত হতে পারেন পর্যটকেরা

নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।

জাপানি সমাজে ‘হারিয়ো’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা রয়েছে। এই সংস্কৃতিতে মানুষ সব সময় আশপাশের পরিবেশ ও অন্যের অনুভূতির প্রতি সচেতন; যাতে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকে। তবে এই অলিখিত নিয়মগুলো বিদেশিদের জন্য অনেক সময় বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।

২০২৫ সালে মার্কিন ভ্রমণবিষয়ক ম্যাগাজিন কঁদে নাস্ত ট্রাভেলারের পাঠক জরিপে জাপান ‘বিশ্বের সেরা দেশ’ নির্বাচিত হওয়ার পর টোকিওতে বসবাসরত খাদ্য ও ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ টোকিও হালফি পর্যটকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আচরণগত পরামর্শ তুলে ধরেন।

নির্ধারিত সময়ের আগে পৌঁছানো

জাপানে সময়নিষ্ঠা শুধু ভদ্রতা নয়, এটি দায়িত্ববোধ। এখানে ‘ঠিক সময়ে পৌঁছানো’ বলতে বোঝায় ৫-১০ মিনিট আগে উপস্থিত হওয়া; বিশেষ করে রেস্তোরাঁয় বুকিং থাকলে। দেরি করাকে এখানে খুবই অসম্মানজনক হিসেবে দেখা হয়। তাই যাতায়াতের সময় সব ধরনের বিলম্বের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা জরুরি।

নীরব থাকা শিষ্টাচার

জাপানিরা শান্ত পরিবেশকে খুব গুরুত্ব দেন। ট্রেন, বাস, রেস্তোরাঁ বা যেকোনো পাবলিক স্থানে উচ্চ স্বরে কথা বলা উচিত নয়। ধীর ও শান্ত কণ্ঠে কথা বলাকে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ধরা হয়।

‘মোত্তাইনাই’ সংস্কৃতি বুঝুন

‘মোত্তাইনাই’ মানে অপচয় না করা। খাবার, সময় বা পরিশ্রম—কোনো কিছুই যেন নষ্ট না হয়। সেটাই এই দর্শনের মূল কথা। খাবারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্ডার না করা, প্রতিটি খাবারের পেছনের শ্রম ও উপাদানের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। এসবই এই সংস্কৃতির অংশ।

খাবারের টেবিলে শালীনতা

জাপানে খাওয়া শুধু দৈনন্দিন কাজ নয়, এটি সাংস্কৃতিক আচারের অংশ। তাই কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি—

  • খাবারের ছবি তোলার আগে শেফের অনুমতি নিন
  • মোবাইল বা ক্যামেরা সরাসরি টেবিল বা কাউন্টারে রাখবেন না
  • হাতব্যাগ টেবিলের ওপর রাখা অশোভন, অধিকাংশ রেস্তোরাঁয় ব্যাগ রাখার আলাদা ব্যবস্থা থাকে
  • ছবি তুললে দ্রুত তুলুন, খাবার ঠান্ডা হলে শেফ অসম্মানিত বোধ করতে পারেন
  • পানীয়তে ‘চিয়ার্স’ করার সময় গ্লাসে গ্লাস ঠোকাবেন না
  • তীব্র সুগন্ধিযুক্ত পারফিউম বা হ্যান্ডক্রিম ব্যবহার এড়িয়ে চলুন

গণপরিবহনে শিষ্টাচার

জাপানের গণপরিবহনে চলাচল করার সময় নীরবতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ফোন সাইলেন্ট রাখতে হয়, উচ্চ স্বরে কথা বলা অনুচিত। সাধারণ ট্রেন বা বাসে খাবার খাওয়া নিষেধ। লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে জাপানিরা খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ। আগে নামা যাত্রীদের নামতে দেওয়া হয়। এসকেলেটরেও নিয়ম আছে, টোকিওতে বাঁ পাশে দাঁড়ানো হয়, ওসাকায় ডান পাশে। স্থানীয়দের দেখে অনুসরণ করাই সবচেয়ে ভালো।

আবর্জনা নিজের দায়িত্ব

জাপানের রাস্তাঘাট পরিষ্কার হলেও সেখানে ডাস্টবিন খুব কম দেখা যায়। মানুষ সাধারণত নিজের আবর্জনা ব্যাগে রেখে দেয় এবং নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আলাদা ভাগে (প্লাস্টিক, কাগজ, ধাতু ইত্যাদি) ফেলে।

ব্যক্তিগত পরিসরের প্রতি সম্মান

জাপানিরা ব্যক্তিগত পরিসরকে খুব গুরুত্ব দেন। অপরিচিত কাউকে জড়িয়ে ধরা বা স্পর্শ করা অস্বস্তিকর হতে পারে। করমর্দনের বদলে হালকা নত হয়ে অভিবাদন জানানোই প্রচলিত। প্রকাশ্যে ঘনিষ্ঠ আচরণও সাধারণত গ্রহণযোগ্য নয়।

ট্রাফিক আইন মানা

খালি রাস্তা হলেও জাপানিরা সবুজসংকেত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। নিয়ম মেনে চলাই এখানে সামাজিক দায়িত্বের অংশ। পর্যটকদেরও সেটি অনুসরণ করা উচিত।

কথার আড়ালের অর্থ বোঝা জরুরি

জাপানিরা সাধারণত সরাসরি ‘না’ বলেন না। ‘কঠিন হবে’ বা ‘পরে দেখা যাবে’—এ ধরনের কথার আড়ালে ভদ্রভাবে প্রত্যাখ্যান লুকিয়ে থাকতে পারে। এখানে ‘হোননে’ (মনের কথা) ও ‘তাতেমায়ে’ (সামাজিক মুখোশ) এই দুই ধারণা খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সংঘাত এড়িয়ে সামাজিক সামঞ্জস্য বজায় রাখাই মুখ্য।

সূত্র: সিএন ট্রাভেলার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নতুন বছরে চুলের ছাঁটে বদল আনতে চাচ্ছেন? এই হেয়ারকাটগুলো বিবেচনায় রাখতে পারেন

ফারিয়া রহমান খান 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩০
চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস পলিশ ইয়ার’; যেখানে কৃত্রিমতার চেয়ে চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিগত রুচি বেশি প্রাধান্য পাবে। ছবি: পেক্সেলস
চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস পলিশ ইয়ার’; যেখানে কৃত্রিমতার চেয়ে চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিগত রুচি বেশি প্রাধান্য পাবে। ছবি: পেক্সেলস

২০২৬ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা; বিশেষ করে চুলের জন্য কী হতে চলেছে ট্রেন্ডি, তা নিয়ে ফ্যাশন-সচেতনদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। কানাঘুষা চলছে, চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস পলিশ ইয়ার’; যেখানে কৃত্রিমতার চেয়ে চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিগত রুচি বেশি প্রাধান্য পাবে। তবে বছরের শুরুতে যাঁরা নতুন হেয়ারকাট নিয়ে সবার সামনে হাজির হতে চাইছেন, তাঁরা অপেক্ষা না করে এই হেয়ারকাটগুলোর যেকোনোটি বেছে নিতে পারেন।

গ্র্যাজুয়েট বব

গতানুগতিক বব কাটের চিরচেনা রূপ ছাপিয়ে ২০২৬ সালে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকতে পারে ‘গ্র্যাজুয়েট বব’। এতে পেছনের দিকের চুলগুলো কিছুটা ছোট ও সূক্ষ্ম টেক্সচারযুক্ত থাকে এবং সামনের দিকের চুলগুলো ক্রমান্বয়ে কিছুটা লম্বা হয়ে আসে। মানে, দুই কানের পাশের চুলগুলো মাথার পেছনের অংশের চুলের তুলনায় পয়েন্ট আকারে লম্বা হয়ে নামে। এই কাট চুলে চমৎকার ভলিউম যোগ করে। যাঁরা ঘরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে—উভয় ক্ষেত্রে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী, স্মার্ট এবং একই সঙ্গে বেশ পরিপাটি হিসেবে উপস্থাপন করতে চান, তাঁদের জন্য এই কাট হবে সেরা পছন্দ।

ডিসকানেক্টেড ফ্রিঞ্জ

যাঁরা একটু বোল্ড ও ব্যতিক্রম লুকে নিজেকে দেখতে চান, তাঁদের জন্য এই ডিসকানেক্টেড ফ্রিঞ্জ লুক। এই হেয়ারস্টাইলের মূল বিশেষত্ব হলো কপালের সামনের ছোট করে ছাঁটা চুলগুলো; যা বাকি চুলের সঙ্গে মিশে না গিয়ে কিছুটা আলাদা বা ‘ডিসকানেক্টেড’ অবস্থায় থাকে। এটি আপনার চেহারায় একটি আত্মবিশ্বাসী ও বোল্ড লুক নিয়ে আসবে।

সাইড ফ্রিঞ্জ

কোমল আর মায়াবী একটি লুকের জন্য সাইড ফ্রিঞ্জের আবেদন চিরন্তন। চুলের দৈর্ঘ্য যেমনই হোক, এক পাশে আলতো করে ঝুলে থাকা এই চুলগুলো চেহারায় একটি চমৎকার ‘ফেস-ফ্রেমিং’ ইফেক্ট তৈরি করে, যা মুখের গড়নকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। যাঁরা চুলে খুব বেশি কাটছাঁট না করে পরিবর্তন আনতে চান, এই স্টাইল তাঁদের জন্য।

প্রতিবছর বিভিন্ন হেয়ারকাট ট্রেন্ডে আসে। তবে ট্রেন্ডে থাকলে কিংবা ভালো লাগলেই যেকোনো হেয়ারকাট দেওয়াটা উচিত নয়। মুখের গড়ন ও চুলের ধরন বুঝে হেয়ারকাট বেছে নিতে হবে। না হলে পুরো লুকটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী

স্ক্যাল্পটেড কার্লস

যাঁদের চুল প্রাকৃতিকভাবেই কোঁকড়া, তাঁদের জন্য সুসংবাদ। আগামী বছরের ফ্যাশনে কৃত্রিমভাবে চুল সোজা করার চেয়ে চুলের স্বাভাবিক টেক্সচার বা গঠনই বেশি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট শেপ বা আকৃতিতে সাজানো এই ‘স্ক্যাল্পচারাল কার্লস’ আপনার পুরো লুকে যোগ করবে অনন্য এক মাত্রা। এটি চুলের স্বাভাবিক ভলিউম বজায় রেখে চুলে আনে প্রাণবন্ত ভাব। যাঁরা নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে একটু ভালোভাবে তুলে ধরতে চান, তাঁদের জন্য এই স্টাইল হবে আগামী বছরের সেরা পছন্দ।

যাঁরা ঘরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে—উভয় ক্ষেত্রে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী, স্মার্ট এবং একই সঙ্গে বেশ পরিপাটি হিসেবে উপস্থাপন করতে চান, তাঁদের জন্য গ্র‍্যাজুয়েট বব কাট হবে সেরা পছন্দ। ছবি: পেক্সেলস
যাঁরা ঘরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে—উভয় ক্ষেত্রে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী, স্মার্ট এবং একই সঙ্গে বেশ পরিপাটি হিসেবে উপস্থাপন করতে চান, তাঁদের জন্য গ্র‍্যাজুয়েট বব কাট হবে সেরা পছন্দ। ছবি: পেক্সেলস

সফট কার্ভ বব

হলিউডের পুরোনো সিনেমা দেখতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা বেছে নিতে পারেন এই হেয়ারকাট। ঘাড় পর্যন্ত কাটা চুলের আগার অংশ সামান্য কার্ভ করা থাকে এই হেয়ারস্টাইলে। শুধু এক পাশে সিঁথি কেটে পরিপাটি করে আঁচড়ে নিলেই চুল নিয়ে আর কোনো ভাবনা নেই।

যাঁরা নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে একটু ভালোভাবে তুলে ধরতে চান, তাঁদের জন্য স্ক্যাল্পটেড কার্লস স্টাইল হবে আগামী বছরের সেরা পছন্দ।
যাঁরা নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে একটু ভালোভাবে তুলে ধরতে চান, তাঁদের জন্য স্ক্যাল্পটেড কার্লস স্টাইল হবে আগামী বছরের সেরা পছন্দ।

চুলে প্রাধান্য পাবে চকচকে রঙ

চুলের রঙের ক্ষেত্রে আগামী বছর রাজত্ব করতে চলেছে গাঢ় বাদামি বা ল্যাভিস ব্রুনেট শেডের নানা বৈচিত্র্য। ধারণা করা হচ্ছে, বিশেষ করে কফি মোকা বা এসপ্রেসোর মতো উজ্জ্বল ও চকচকে রংগুলো ফ্যাশন-সচেতনদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে। এই শেডগুলোর বিশেষত্ব হলো এদের অসাধারণ উজ্জ্বলতা ও গ্লসি ফিনিশ, যা চুলে একটি প্রাকৃতিক কিন্তু অত্যন্ত ‘লাক্সারিয়াস’ বা বিলাসবহুল ভাব ফুটিয়ে তোলে। সেই সঙ্গে এই রংগুলো বাংলাদেশি স্কিন টোনগুলোর সঙ্গে খুব ভালো মানায় এবং চুলে একটা স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভাব আনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত