
বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার দুটোই রান্নায় ব্যবহৃত একটি অতি পরিচিত রাসায়নিক উপাদান। এই দুই উপকরণ কেকসহ আরও অনেক ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেকে মনে করেন, বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা একই উপাদান। অথচ এই দুই উপকরণের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে।
বেকিং পাউডার এবং বেকিং সোডা উভয়ই খাবারের মধ্যে বুদ্বুদভর্তি টেক্সচার এবং স্বাদ তৈরি করতে ভূমিকা পালন করে। এরা সুপার মার্কেটে একই সঙ্গে এবং প্রায় একই ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়। এই দুই উপাদানে পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো—
প্যাকেটের গায়ে যা লেখা থাকে
প্যাকেটের দিকে নজর দিলে এই দুটি পণ্যের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।
বেকিং সোডাতে একটিই উপাদান থাকে তা হলো সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট। এই উপাদান সোডিয়াম বাইকার্বনেট বা সাধারণত বাইকার্ব নামেও পরিচিত। বেকিং সোডা পরিষ্কারের কাজে, রান্নায় এবং গন্ধ দূর করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
বেকিং পাউডার সাধারণত তিনটি উপাদানের মিশ্রণ—বেকিং সোডা, অ্যাসিড এবং ভুট্টা, চাল বা গম থেকে উদ্ভূত স্টার্চ। স্টার্চের কাজ হলো—বেকিং পাউডারকে মাপার কাজ সহজ করে দেওয়া এবং এটি অ্যাসিড এবং বেকিং সোডা একসঙ্গে মিলে প্রতিক্রিয়া করতে বাধা দেয়। স্টার্চ নিশ্চিত করে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত না রান্নার সময় আসে, ততক্ষণ অ্যাসিড এবং বেকিং সোডা একত্রিত হয়ে কাজ শুরু না করে। অর্থাৎ, শুধু রান্নার সময়েই সেগুলো একসঙ্গে কাজ করে খাবারের অন্যান্য উপাদান ফোলানোর কাজ শুরু করে।
এদিকে বেকিং পাউডার শুধু রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়।
দুই পণ্যের সাধারণ উপাদান হলো বেকিং সোডা। এই লবণটি প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে, অথবা কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা যেতে পারে।
অ্যাসিডই হলো মূল বিষয়
বেকিং সোডা একটি লবণ, যার মানে হলো—এটি অ্যাসিডের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করতে পারে। এ রকম বুদ্বুদীয় বিক্রিয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড, পানি এবং নতুন লবণের মিশ্রণ সৃষ্টি হয়। বেকিং সোডা তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে এটি কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসও মুক্ত করতে পারে।
যখন বেকিং সোডা কেকের ব্যাটারে মেশানো হয় তখন অ্যাসিডের জন্য কিছু প্রাথমিক রাসায়নিক কার্যক্রম দেখা যাবে। এই প্রক্রিয়া বুদ্বুদ তৈরি করে এবং মিশ্রণটিকে ফুলিয়ে তোলে।
মিশ্রণের অন্যান্য উপাদানের মাধ্যমে অ্যাসিড তৈরি হয়, যেমন—দুধ, দই, মিষ্টি দই (বাটার মিল্ক)। যদি বেশি অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়, তবে অধিকাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ব্যাটার পর্যায়েই বের হয়ে যাবে, ফলে ফুলানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই সব গ্যাস হারিয়ে যাবে।
যখন মিশ্রণটি গরম ওভেনে বা চুলায় রাখেন, তখন উচ্চ তাপমাত্রায় আরও কার্বন ডাই-অক্সাইডের বুদ্বুদ তৈরি হয়। এই তাপীয় কার্যক্রমে একটি নতুন লবণ—সোডিয়াম কার্বনেট তৈরি হয়। তবে এটি বেশি পরিমাণে তৈরি হলে খাবারের স্বাদ ভালো হয় না।
বেকিং পাউডার কেকের ব্যাটারে মেশালে একইভাবে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয় এবং বুদ্বুদ তৈরি হয়। মিশ্রণে থাকা বেকিং সোডা বেকিং পাউডারের অ্যাসিডের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করবে, পাশাপাশি ব্যাটারে থাকা যেকোনো অ্যাসিডীয় উপাদানের সঙ্গেও এটি প্রতিক্রিয়া করবে।
বেকিং পাউডারে থাকা অ্যাসিডের ধরন বেকিং পাউডারের আচরণে সূক্ষ্মভাবে পরিবর্তন আনতে পারে। যত বেশি অ্যাসিড ব্যাটারের মধ্যে দ্রবণীয় হবে, তত দ্রুত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের বুদ্বুদ তৈরি হবে।
যে রেসিপিগুলোতে বেকিং পাউডার এবং বেকিং সোডা উভয়ই ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে এসব উপাদান সাধারণত দুটি কাজ করে—
১. অন্য কোনো উপাদান থেকে অতিরিক্ত খাদ্য অ্যাসিড নিরপেক্ষ করা।
২. সময়মতো, তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে ফোলানোর প্রক্রিয়া শুরু করা।
তবে, অতিরিক্ত বেকিং সোডা ব্যবহারে খাবারের রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
একটির বিপরীতে আরেকটির ব্যবহার
বেকিংয়ের কাজ গবেষণাগারের রাসায়নিক পরীক্ষার মতো। বেকিং পাউডার বা তার বিপরীতে বেকিং সোডার পরিবর্তে ব্যবহার না করাই ভালো। এগুলোর রাসায়নিক প্রভাব সূক্ষ্মভাবে ভিন্ন।
তবে একটির বিপরীতে আরেকটির ব্যবহার করতে চাইলে সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলা ভালো। এই সাধারণ নিয়ম হলো—বেকিং সোডার পরিমাণের তিন গুণ বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে (যেমন—যদি রেসিপিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা চাওয়া হয়, তাহলে তিন চা চামচ বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে)।
এই নিয়ম বেকিং পাউডারে ইতিমধ্যেই থাকা অ্যাসিডের মূল ভূমিকা বিবেচনা করে না। এটি রেসিপিতে চূড়ান্ত অ্যাসিড-বেকিং পাউডারের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
তবে লেবুর রস বা ভিনেগার যোগ করে এই পার্থক্যটি ঠিক করা যায়। তবে সঠিক পরিমাণে অ্যাসিড এবং লবণ মেলানো কঠিন হতে পারে। এই অ্যাসিডগুলো দ্রুত কার্বন ডাই-অক্সাইড মুক্ত করতে পারে, ফলে ফলে খাবারটি শক্ত হয় এবং কম ফুলতে পারে।
এ ছাড়া, বেকিং সোডার জায়গায় বেকিং পাউডার কখনোই কোনো কিছু পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে অ্যাসিড (যেমন—ফসফেট বা টাইট্রিক অ্যাসিড) এবং স্টার্চ থাকে। এই অ্যাসিড এবং স্টার্চ পরিষ্কারের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। স্টার্চ আঠালো এবং দাগযুক্ত অবস্থা তৈরি করতে পারে, যা পরবর্তীকালে পরিষ্কার করতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার দুটোই রান্নায় ব্যবহৃত একটি অতি পরিচিত রাসায়নিক উপাদান। এই দুই উপকরণ কেকসহ আরও অনেক ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেকে মনে করেন, বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা একই উপাদান। অথচ এই দুই উপকরণের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে।
বেকিং পাউডার এবং বেকিং সোডা উভয়ই খাবারের মধ্যে বুদ্বুদভর্তি টেক্সচার এবং স্বাদ তৈরি করতে ভূমিকা পালন করে। এরা সুপার মার্কেটে একই সঙ্গে এবং প্রায় একই ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়। এই দুই উপাদানে পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো—
প্যাকেটের গায়ে যা লেখা থাকে
প্যাকেটের দিকে নজর দিলে এই দুটি পণ্যের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।
বেকিং সোডাতে একটিই উপাদান থাকে তা হলো সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট। এই উপাদান সোডিয়াম বাইকার্বনেট বা সাধারণত বাইকার্ব নামেও পরিচিত। বেকিং সোডা পরিষ্কারের কাজে, রান্নায় এবং গন্ধ দূর করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
বেকিং পাউডার সাধারণত তিনটি উপাদানের মিশ্রণ—বেকিং সোডা, অ্যাসিড এবং ভুট্টা, চাল বা গম থেকে উদ্ভূত স্টার্চ। স্টার্চের কাজ হলো—বেকিং পাউডারকে মাপার কাজ সহজ করে দেওয়া এবং এটি অ্যাসিড এবং বেকিং সোডা একসঙ্গে মিলে প্রতিক্রিয়া করতে বাধা দেয়। স্টার্চ নিশ্চিত করে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত না রান্নার সময় আসে, ততক্ষণ অ্যাসিড এবং বেকিং সোডা একত্রিত হয়ে কাজ শুরু না করে। অর্থাৎ, শুধু রান্নার সময়েই সেগুলো একসঙ্গে কাজ করে খাবারের অন্যান্য উপাদান ফোলানোর কাজ শুরু করে।
এদিকে বেকিং পাউডার শুধু রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়।
দুই পণ্যের সাধারণ উপাদান হলো বেকিং সোডা। এই লবণটি প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে, অথবা কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা যেতে পারে।
অ্যাসিডই হলো মূল বিষয়
বেকিং সোডা একটি লবণ, যার মানে হলো—এটি অ্যাসিডের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করতে পারে। এ রকম বুদ্বুদীয় বিক্রিয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড, পানি এবং নতুন লবণের মিশ্রণ সৃষ্টি হয়। বেকিং সোডা তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে এটি কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসও মুক্ত করতে পারে।
যখন বেকিং সোডা কেকের ব্যাটারে মেশানো হয় তখন অ্যাসিডের জন্য কিছু প্রাথমিক রাসায়নিক কার্যক্রম দেখা যাবে। এই প্রক্রিয়া বুদ্বুদ তৈরি করে এবং মিশ্রণটিকে ফুলিয়ে তোলে।
মিশ্রণের অন্যান্য উপাদানের মাধ্যমে অ্যাসিড তৈরি হয়, যেমন—দুধ, দই, মিষ্টি দই (বাটার মিল্ক)। যদি বেশি অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়, তবে অধিকাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ব্যাটার পর্যায়েই বের হয়ে যাবে, ফলে ফুলানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই সব গ্যাস হারিয়ে যাবে।
যখন মিশ্রণটি গরম ওভেনে বা চুলায় রাখেন, তখন উচ্চ তাপমাত্রায় আরও কার্বন ডাই-অক্সাইডের বুদ্বুদ তৈরি হয়। এই তাপীয় কার্যক্রমে একটি নতুন লবণ—সোডিয়াম কার্বনেট তৈরি হয়। তবে এটি বেশি পরিমাণে তৈরি হলে খাবারের স্বাদ ভালো হয় না।
বেকিং পাউডার কেকের ব্যাটারে মেশালে একইভাবে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয় এবং বুদ্বুদ তৈরি হয়। মিশ্রণে থাকা বেকিং সোডা বেকিং পাউডারের অ্যাসিডের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করবে, পাশাপাশি ব্যাটারে থাকা যেকোনো অ্যাসিডীয় উপাদানের সঙ্গেও এটি প্রতিক্রিয়া করবে।
বেকিং পাউডারে থাকা অ্যাসিডের ধরন বেকিং পাউডারের আচরণে সূক্ষ্মভাবে পরিবর্তন আনতে পারে। যত বেশি অ্যাসিড ব্যাটারের মধ্যে দ্রবণীয় হবে, তত দ্রুত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের বুদ্বুদ তৈরি হবে।
যে রেসিপিগুলোতে বেকিং পাউডার এবং বেকিং সোডা উভয়ই ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে এসব উপাদান সাধারণত দুটি কাজ করে—
১. অন্য কোনো উপাদান থেকে অতিরিক্ত খাদ্য অ্যাসিড নিরপেক্ষ করা।
২. সময়মতো, তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে ফোলানোর প্রক্রিয়া শুরু করা।
তবে, অতিরিক্ত বেকিং সোডা ব্যবহারে খাবারের রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
একটির বিপরীতে আরেকটির ব্যবহার
বেকিংয়ের কাজ গবেষণাগারের রাসায়নিক পরীক্ষার মতো। বেকিং পাউডার বা তার বিপরীতে বেকিং সোডার পরিবর্তে ব্যবহার না করাই ভালো। এগুলোর রাসায়নিক প্রভাব সূক্ষ্মভাবে ভিন্ন।
তবে একটির বিপরীতে আরেকটির ব্যবহার করতে চাইলে সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলা ভালো। এই সাধারণ নিয়ম হলো—বেকিং সোডার পরিমাণের তিন গুণ বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে (যেমন—যদি রেসিপিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা চাওয়া হয়, তাহলে তিন চা চামচ বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে)।
এই নিয়ম বেকিং পাউডারে ইতিমধ্যেই থাকা অ্যাসিডের মূল ভূমিকা বিবেচনা করে না। এটি রেসিপিতে চূড়ান্ত অ্যাসিড-বেকিং পাউডারের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
তবে লেবুর রস বা ভিনেগার যোগ করে এই পার্থক্যটি ঠিক করা যায়। তবে সঠিক পরিমাণে অ্যাসিড এবং লবণ মেলানো কঠিন হতে পারে। এই অ্যাসিডগুলো দ্রুত কার্বন ডাই-অক্সাইড মুক্ত করতে পারে, ফলে ফলে খাবারটি শক্ত হয় এবং কম ফুলতে পারে।
এ ছাড়া, বেকিং সোডার জায়গায় বেকিং পাউডার কখনোই কোনো কিছু পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে অ্যাসিড (যেমন—ফসফেট বা টাইট্রিক অ্যাসিড) এবং স্টার্চ থাকে। এই অ্যাসিড এবং স্টার্চ পরিষ্কারের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। স্টার্চ আঠালো এবং দাগযুক্ত অবস্থা তৈরি করতে পারে, যা পরবর্তীকালে পরিষ্কার করতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার দুটোই রান্নায় ব্যবহৃত একটি অতি পরিচিত রাসায়নিক উপাদান। এই দুই উপকরণ কেকসহ আরও অনেক ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেকে মনে করেন, বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা একই উপাদান। অথচ এই দুই উপকরণের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে।
বেকিং পাউডার এবং বেকিং সোডা উভয়ই খাবারের মধ্যে বুদ্বুদভর্তি টেক্সচার এবং স্বাদ তৈরি করতে ভূমিকা পালন করে। এরা সুপার মার্কেটে একই সঙ্গে এবং প্রায় একই ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়। এই দুই উপাদানে পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো—
প্যাকেটের গায়ে যা লেখা থাকে
প্যাকেটের দিকে নজর দিলে এই দুটি পণ্যের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।
বেকিং সোডাতে একটিই উপাদান থাকে তা হলো সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট। এই উপাদান সোডিয়াম বাইকার্বনেট বা সাধারণত বাইকার্ব নামেও পরিচিত। বেকিং সোডা পরিষ্কারের কাজে, রান্নায় এবং গন্ধ দূর করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
বেকিং পাউডার সাধারণত তিনটি উপাদানের মিশ্রণ—বেকিং সোডা, অ্যাসিড এবং ভুট্টা, চাল বা গম থেকে উদ্ভূত স্টার্চ। স্টার্চের কাজ হলো—বেকিং পাউডারকে মাপার কাজ সহজ করে দেওয়া এবং এটি অ্যাসিড এবং বেকিং সোডা একসঙ্গে মিলে প্রতিক্রিয়া করতে বাধা দেয়। স্টার্চ নিশ্চিত করে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত না রান্নার সময় আসে, ততক্ষণ অ্যাসিড এবং বেকিং সোডা একত্রিত হয়ে কাজ শুরু না করে। অর্থাৎ, শুধু রান্নার সময়েই সেগুলো একসঙ্গে কাজ করে খাবারের অন্যান্য উপাদান ফোলানোর কাজ শুরু করে।
এদিকে বেকিং পাউডার শুধু রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়।
দুই পণ্যের সাধারণ উপাদান হলো বেকিং সোডা। এই লবণটি প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে, অথবা কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা যেতে পারে।
অ্যাসিডই হলো মূল বিষয়
বেকিং সোডা একটি লবণ, যার মানে হলো—এটি অ্যাসিডের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করতে পারে। এ রকম বুদ্বুদীয় বিক্রিয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড, পানি এবং নতুন লবণের মিশ্রণ সৃষ্টি হয়। বেকিং সোডা তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে এটি কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসও মুক্ত করতে পারে।
যখন বেকিং সোডা কেকের ব্যাটারে মেশানো হয় তখন অ্যাসিডের জন্য কিছু প্রাথমিক রাসায়নিক কার্যক্রম দেখা যাবে। এই প্রক্রিয়া বুদ্বুদ তৈরি করে এবং মিশ্রণটিকে ফুলিয়ে তোলে।
মিশ্রণের অন্যান্য উপাদানের মাধ্যমে অ্যাসিড তৈরি হয়, যেমন—দুধ, দই, মিষ্টি দই (বাটার মিল্ক)। যদি বেশি অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়, তবে অধিকাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ব্যাটার পর্যায়েই বের হয়ে যাবে, ফলে ফুলানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই সব গ্যাস হারিয়ে যাবে।
যখন মিশ্রণটি গরম ওভেনে বা চুলায় রাখেন, তখন উচ্চ তাপমাত্রায় আরও কার্বন ডাই-অক্সাইডের বুদ্বুদ তৈরি হয়। এই তাপীয় কার্যক্রমে একটি নতুন লবণ—সোডিয়াম কার্বনেট তৈরি হয়। তবে এটি বেশি পরিমাণে তৈরি হলে খাবারের স্বাদ ভালো হয় না।
বেকিং পাউডার কেকের ব্যাটারে মেশালে একইভাবে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয় এবং বুদ্বুদ তৈরি হয়। মিশ্রণে থাকা বেকিং সোডা বেকিং পাউডারের অ্যাসিডের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করবে, পাশাপাশি ব্যাটারে থাকা যেকোনো অ্যাসিডীয় উপাদানের সঙ্গেও এটি প্রতিক্রিয়া করবে।
বেকিং পাউডারে থাকা অ্যাসিডের ধরন বেকিং পাউডারের আচরণে সূক্ষ্মভাবে পরিবর্তন আনতে পারে। যত বেশি অ্যাসিড ব্যাটারের মধ্যে দ্রবণীয় হবে, তত দ্রুত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের বুদ্বুদ তৈরি হবে।
যে রেসিপিগুলোতে বেকিং পাউডার এবং বেকিং সোডা উভয়ই ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে এসব উপাদান সাধারণত দুটি কাজ করে—
১. অন্য কোনো উপাদান থেকে অতিরিক্ত খাদ্য অ্যাসিড নিরপেক্ষ করা।
২. সময়মতো, তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে ফোলানোর প্রক্রিয়া শুরু করা।
তবে, অতিরিক্ত বেকিং সোডা ব্যবহারে খাবারের রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
একটির বিপরীতে আরেকটির ব্যবহার
বেকিংয়ের কাজ গবেষণাগারের রাসায়নিক পরীক্ষার মতো। বেকিং পাউডার বা তার বিপরীতে বেকিং সোডার পরিবর্তে ব্যবহার না করাই ভালো। এগুলোর রাসায়নিক প্রভাব সূক্ষ্মভাবে ভিন্ন।
তবে একটির বিপরীতে আরেকটির ব্যবহার করতে চাইলে সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলা ভালো। এই সাধারণ নিয়ম হলো—বেকিং সোডার পরিমাণের তিন গুণ বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে (যেমন—যদি রেসিপিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা চাওয়া হয়, তাহলে তিন চা চামচ বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে)।
এই নিয়ম বেকিং পাউডারে ইতিমধ্যেই থাকা অ্যাসিডের মূল ভূমিকা বিবেচনা করে না। এটি রেসিপিতে চূড়ান্ত অ্যাসিড-বেকিং পাউডারের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
তবে লেবুর রস বা ভিনেগার যোগ করে এই পার্থক্যটি ঠিক করা যায়। তবে সঠিক পরিমাণে অ্যাসিড এবং লবণ মেলানো কঠিন হতে পারে। এই অ্যাসিডগুলো দ্রুত কার্বন ডাই-অক্সাইড মুক্ত করতে পারে, ফলে ফলে খাবারটি শক্ত হয় এবং কম ফুলতে পারে।
এ ছাড়া, বেকিং সোডার জায়গায় বেকিং পাউডার কখনোই কোনো কিছু পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে অ্যাসিড (যেমন—ফসফেট বা টাইট্রিক অ্যাসিড) এবং স্টার্চ থাকে। এই অ্যাসিড এবং স্টার্চ পরিষ্কারের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। স্টার্চ আঠালো এবং দাগযুক্ত অবস্থা তৈরি করতে পারে, যা পরবর্তীকালে পরিষ্কার করতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার দুটোই রান্নায় ব্যবহৃত একটি অতি পরিচিত রাসায়নিক উপাদান। এই দুই উপকরণ কেকসহ আরও অনেক ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেকে মনে করেন, বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা একই উপাদান। অথচ এই দুই উপকরণের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে।
বেকিং পাউডার এবং বেকিং সোডা উভয়ই খাবারের মধ্যে বুদ্বুদভর্তি টেক্সচার এবং স্বাদ তৈরি করতে ভূমিকা পালন করে। এরা সুপার মার্কেটে একই সঙ্গে এবং প্রায় একই ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়। এই দুই উপাদানে পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো—
প্যাকেটের গায়ে যা লেখা থাকে
প্যাকেটের দিকে নজর দিলে এই দুটি পণ্যের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।
বেকিং সোডাতে একটিই উপাদান থাকে তা হলো সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট। এই উপাদান সোডিয়াম বাইকার্বনেট বা সাধারণত বাইকার্ব নামেও পরিচিত। বেকিং সোডা পরিষ্কারের কাজে, রান্নায় এবং গন্ধ দূর করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
বেকিং পাউডার সাধারণত তিনটি উপাদানের মিশ্রণ—বেকিং সোডা, অ্যাসিড এবং ভুট্টা, চাল বা গম থেকে উদ্ভূত স্টার্চ। স্টার্চের কাজ হলো—বেকিং পাউডারকে মাপার কাজ সহজ করে দেওয়া এবং এটি অ্যাসিড এবং বেকিং সোডা একসঙ্গে মিলে প্রতিক্রিয়া করতে বাধা দেয়। স্টার্চ নিশ্চিত করে যে, যতক্ষণ পর্যন্ত না রান্নার সময় আসে, ততক্ষণ অ্যাসিড এবং বেকিং সোডা একত্রিত হয়ে কাজ শুরু না করে। অর্থাৎ, শুধু রান্নার সময়েই সেগুলো একসঙ্গে কাজ করে খাবারের অন্যান্য উপাদান ফোলানোর কাজ শুরু করে।
এদিকে বেকিং পাউডার শুধু রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়।
দুই পণ্যের সাধারণ উপাদান হলো বেকিং সোডা। এই লবণটি প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে, অথবা কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা যেতে পারে।
অ্যাসিডই হলো মূল বিষয়
বেকিং সোডা একটি লবণ, যার মানে হলো—এটি অ্যাসিডের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করতে পারে। এ রকম বুদ্বুদীয় বিক্রিয়ায় কার্বন ডাই-অক্সাইড, পানি এবং নতুন লবণের মিশ্রণ সৃষ্টি হয়। বেকিং সোডা তাপমাত্রা ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে এটি কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসও মুক্ত করতে পারে।
যখন বেকিং সোডা কেকের ব্যাটারে মেশানো হয় তখন অ্যাসিডের জন্য কিছু প্রাথমিক রাসায়নিক কার্যক্রম দেখা যাবে। এই প্রক্রিয়া বুদ্বুদ তৈরি করে এবং মিশ্রণটিকে ফুলিয়ে তোলে।
মিশ্রণের অন্যান্য উপাদানের মাধ্যমে অ্যাসিড তৈরি হয়, যেমন—দুধ, দই, মিষ্টি দই (বাটার মিল্ক)। যদি বেশি অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়, তবে অধিকাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস ব্যাটার পর্যায়েই বের হয়ে যাবে, ফলে ফুলানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই সব গ্যাস হারিয়ে যাবে।
যখন মিশ্রণটি গরম ওভেনে বা চুলায় রাখেন, তখন উচ্চ তাপমাত্রায় আরও কার্বন ডাই-অক্সাইডের বুদ্বুদ তৈরি হয়। এই তাপীয় কার্যক্রমে একটি নতুন লবণ—সোডিয়াম কার্বনেট তৈরি হয়। তবে এটি বেশি পরিমাণে তৈরি হলে খাবারের স্বাদ ভালো হয় না।
বেকিং পাউডার কেকের ব্যাটারে মেশালে একইভাবে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া শুরু হয় এবং বুদ্বুদ তৈরি হয়। মিশ্রণে থাকা বেকিং সোডা বেকিং পাউডারের অ্যাসিডের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করবে, পাশাপাশি ব্যাটারে থাকা যেকোনো অ্যাসিডীয় উপাদানের সঙ্গেও এটি প্রতিক্রিয়া করবে।
বেকিং পাউডারে থাকা অ্যাসিডের ধরন বেকিং পাউডারের আচরণে সূক্ষ্মভাবে পরিবর্তন আনতে পারে। যত বেশি অ্যাসিড ব্যাটারের মধ্যে দ্রবণীয় হবে, তত দ্রুত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের বুদ্বুদ তৈরি হবে।
যে রেসিপিগুলোতে বেকিং পাউডার এবং বেকিং সোডা উভয়ই ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে এসব উপাদান সাধারণত দুটি কাজ করে—
১. অন্য কোনো উপাদান থেকে অতিরিক্ত খাদ্য অ্যাসিড নিরপেক্ষ করা।
২. সময়মতো, তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে ফোলানোর প্রক্রিয়া শুরু করা।
তবে, অতিরিক্ত বেকিং সোডা ব্যবহারে খাবারের রং পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
একটির বিপরীতে আরেকটির ব্যবহার
বেকিংয়ের কাজ গবেষণাগারের রাসায়নিক পরীক্ষার মতো। বেকিং পাউডার বা তার বিপরীতে বেকিং সোডার পরিবর্তে ব্যবহার না করাই ভালো। এগুলোর রাসায়নিক প্রভাব সূক্ষ্মভাবে ভিন্ন।
তবে একটির বিপরীতে আরেকটির ব্যবহার করতে চাইলে সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলা ভালো। এই সাধারণ নিয়ম হলো—বেকিং সোডার পরিমাণের তিন গুণ বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে (যেমন—যদি রেসিপিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা চাওয়া হয়, তাহলে তিন চা চামচ বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে)।
এই নিয়ম বেকিং পাউডারে ইতিমধ্যেই থাকা অ্যাসিডের মূল ভূমিকা বিবেচনা করে না। এটি রেসিপিতে চূড়ান্ত অ্যাসিড-বেকিং পাউডারের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
তবে লেবুর রস বা ভিনেগার যোগ করে এই পার্থক্যটি ঠিক করা যায়। তবে সঠিক পরিমাণে অ্যাসিড এবং লবণ মেলানো কঠিন হতে পারে। এই অ্যাসিডগুলো দ্রুত কার্বন ডাই-অক্সাইড মুক্ত করতে পারে, ফলে ফলে খাবারটি শক্ত হয় এবং কম ফুলতে পারে।
এ ছাড়া, বেকিং সোডার জায়গায় বেকিং পাউডার কখনোই কোনো কিছু পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে অ্যাসিড (যেমন—ফসফেট বা টাইট্রিক অ্যাসিড) এবং স্টার্চ থাকে। এই অ্যাসিড এবং স্টার্চ পরিষ্কারের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। স্টার্চ আঠালো এবং দাগযুক্ত অবস্থা তৈরি করতে পারে, যা পরবর্তীকালে পরিষ্কার করতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
১ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

ডিসেম্বরের ছুটির দিন খানিকটা আলাদা তো বটেই। এমন শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টক দই আধা কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, তেজপাতা ২ পিস, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ফালি ৮ থেকে ১০টি, বেরেস্তা আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল আধা কাপ।
প্রণালি
গরুর মাংস টক দই এবং সব বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাখিয়ে ঢেকে রাখুন ২ থেকে ৩ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। তারপর ভালোভাবে নেড়ে অল্প আঁচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে ঢাকনা দিয়ে দিন। এবার ঢাকনা খুলে মাংস ভালোভাবে কষান। যদি মাংস সেদ্ধ না হয়, তবে সামান্য পানি দিন। মাংসের ওপর তেল ভেসে উঠলে কাঁচা মরিচ ফালি ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে দমে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। ব্যস, রান্না হয়ে গেল কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের ঝাল রসা।

বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার দুটোই রান্নায় ব্যবহৃত একটি অতি পরিচিত রাসায়নিক উপাদান। এই দুই উপকরণ কেকসহ আরও অনেক ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেকে মনে করেন, বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা একই উপাদান। অথচ এই দুই উপকরণের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৫
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফারিয়া রহমান খান

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

রুপালি পর্দায় ষাটের দশকের নায়িকাদের দেখলে এখনো মুগ্ধতা কাজ করে। অথচ সে সময়ে এখনকার মতো আধুনিক মেকআপ কিট তো ছিলই না, বরং মেকআপ নিখুঁত করতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হতো। তবু সে সময়কার মেকআপ লুক এখনকার মেকআপ থেকে অনেকটা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কেমন যেন এক মায়া ভ্রম সৃষ্টি করে। সে কারণেই কিনা, সেই সব লুক নানান সময় কোনো না কোনোভাবে ফিরে ফিরে এসেছে। একেবারে শতভাগ না হলেও আলাদাভাবে চোখের সাজ, ঠোঁটের সাজ, বেজ মেকআপ—সবই কোনো না কোনোভাবে ঘুরেফিরে ঠিকই জায়গা করে নিচ্ছে তরুণীদের মনে।
সেই সময়ের মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।
ষাটের দশকে মেকআপের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকত চোখ। সে সময়ের জনপ্রিয় লুক ছিল মডেল টুইগির ‘ডল-আইড’। এই মেকআপে দুই থেকে তিন স্তরের মাসকারা ব্যবহার করে চোখের পাপড়িকে খুবই ঘন, লম্বা ও ড্রামাটিক করা হতো। সঙ্গে চোখের নিচের পাতার ওয়াটার লাইনে সাদা আই পেনসিল ব্যবহার করে চোখের আকৃতি পুতুলের চোখের মতো বড় দেখানো হতো।
এই দশকে চোখের সাজে আইলাইনারের ব্যবহার ছিল খুবই জনপ্রিয়। সোফিয়া লরেন বা ডায়ানা রসের মতো তারকারা চোখের ওপরে ল্যাশ লাইনে মোটা করে কালো লাইনার টেনে দিতেন। এতে চোখে একধরনের নাটকীয়তা আসত। এই বোল্ড উইংগড লাইনার লুকটি আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।

ষাটের দশকে ক্যাট আই ছিল খুবই প্রচলিত। গায়িকা অ্যারেথা ফ্র্যাঙ্কলিন ক্যাট আই লুকের সঙ্গে চোখের ওপরের ও নিচের লাইনার কিছুটা স্মাজ করে একটা আবেদনময় লুক আনতেন। এই লুক রাতের সাজ হিসেবে খুবই মানানসই।
তখনকার মেকআপ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাট ক্রিজ লাইনার। অভিনেত্রী শের ও ডায়হান ক্যারলের মতো তারকারা চোখের ভাঁজের ওপর দিয়ে একটি চিকন কালো রেখা টেনে দিতেন। এটি চোখে একটি গভীর ও নাটকীয় লুক দিত।

অভিনেত্রী ব্রিজিট বার্দোত বা রনি স্পেক্টারের লুকে এই কৌশল চোখে পড়ে। এই কৌশলে চোখের চারপাশে, বিশেষ করে নিচের ল্যাশ লাইনে ঘন কালো কাজল ব্যবহার করা হতো। সাধারণত দিনের বেলার সাজের চেয়ে রাতের সাজে এটি চোখকে আরও বোল্ড ও রহস্যময় করে তোলে। বর্তমানেও ড্রামাটিক লুক তৈরি করতে চাইলে কৌল-রিমড আইস লুকটি তৈরি করে দেখতে পারেন।
সে সময় চোখের সাজ যেহেতু খুবই জাঁকজমকপূর্ণ ও নাটকীয় হতো, তাই ভারসাম্য বজায় রাখতে ঠোঁটের সাজ হতো একেবারেই সাদামাটা। এই দশকে কখনোই ঠোঁট ও চোখকে একসঙ্গে হাইলাইট করা হতো না; বরং চোখের সাজকেই প্রাধান্য দিতে ঠোঁটে ন্যুড, সাদামাটা গোলাপি বা হালকা কমলার মতো মিউট শেডগুলো ব্যবহার করা হতো। অভিনেত্রী জেন বার্কিন সব সময় সফট পিংক লিপ কালার দিয়ে একটা ন্যাচারাল লুক তৈরি করতেন।
সে সময় চোখের সাজে উজ্জ্বল রংগুলোর মধ্যে কালো, ধূসর, সাদা বা নীল রঙের প্রাধান্য ছিল বেশি। এলিজাবেথ টেলর বা ডেনিয়েল লুনার মতো তারকারা চোখে উজ্জ্বল নীল রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করতেন, যা সাজে একটা চমৎকার আভিজাত্য আনত।
ষাটের দশকের শুরুর দিকে মেকআপের বেস তৈরিতে পাউডার ব্যবহার করে ত্বক সম্পূর্ণ ম্যাট রাখা হতো। সময়ের সঙ্গে এই ধারা বদলে দশকের শেষের দিকে ত্বক প্রাণবন্ত ও সতেজ দেখাতে গ্লোয়ি বা উজ্জ্বল মেকআপের চল শুরু হয়। আজকের দিনেও ডালনেস কাটিয়ে ফ্রেশ লুক তৈরিতে গ্লোয়ি বেস বেশ জনপ্রিয়।
সে যুগে ভ্রুর আকারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। ন্যান্সি কোয়ান বা নিনা সিমনের মতো তারকারা হাই-আর্চড আইব্রোর ট্রেন্ড সেট করেন, যা চোখের নাটকীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলত।
সে সময় বোল্ড লুক থেকে শুরু করে মিনিমালিস্টিক বা ক্যাজুয়াল লুক—সবখানেই মাসকারা ছিল সাজের অপরিহার্য অংশ। অড্রে হেপবার্ন তাঁর মিনিমালিস্টিক লুকে চোখের ওপরের পাতায় মোটা লাইনারের সঙ্গে ঘন করে মাসকারা এবং ঠোঁটে হালকা কোরাল শেড ব্যবহার করে ক্ল্যাসিক লুক তৈরি করতেন।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ, ছবি সৌজন্য: যাদুর বাক্স

বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার দুটোই রান্নায় ব্যবহৃত একটি অতি পরিচিত রাসায়নিক উপাদান। এই দুই উপকরণ কেকসহ আরও অনেক ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেকে মনে করেন, বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা একই উপাদান। অথচ এই দুই উপকরণের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৫
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
১ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেমুহাম্মদ জাভেদ হাকিম

এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রুম থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম আলীপুরের মাছের আড়তগুলোতে আসা নানান পদের মাছ দেখতে। রিকশা ভ্যানে দ্রুত পৌঁছেও গেলাম।
মাছের বাজার মানেই বিক্রির হাঁকডাক। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে জেলেদের সারি সারি সাগরফেরত ট্রলার। তাতে চেনা-অচেনা বাহারি মাছ। এত মাছ দেখে কেনার ইচ্ছা জাগল। কিছু টাটকা চিংড়ি ও বেল ঘাগড়া মাছ কিনে ভ্যানচালকের বাসায় রান্নার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এবার হোটেলে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম। দুপুরে ভ্যানচালক ফিরে এলেন দেশীয় মোটা চালের ভাত, ডাল, ভর্তা ও মাছের তরকারি নিয়ে! পাকা রাঁধুনির রান্না বেশ আয়েশ করে খেয়েদেয়ে বের হয়ে পড়ি তাহেরপুরের পথে।
যেতে যেতে আমখোলা পাড়ায় ব্রেক। সড়কের পাশেই তালগাছের ছায়ায় ঘেরা স্বচ্ছ টলটলে পানির একটি পুকুর। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো কুয়াকাটার প্রথম খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর এটি। এখান থেকে মগ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি সংগ্রহ করত। পুকুরের আশপাশের পরিবেশটাও বেশ চমৎকার। চাইলে এক বিকেল আমখোলা পাড়া পুকুরটির ধারে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
রিকশা ভ্যান চলল। চলতে চলতে সাবমেরিন অফিস পার হওয়ার পরেই তাহেরপুরের সৌন্দর্য আমাদের গিলে ফেলল! পথের দুই ধারে সারি সারি প্রাচীন তালগাছ। কোনো কোনো সড়কের দুই পাশে বাবলাগাছ। এর সৌন্দর্য লিখে বোঝানো দায়। পা বাড়ালাম লেবুর বনের পথে। বেহাল বেড়িবাঁধ সড়ক হলেও যাওয়ার পরে নিমেষে পথের ক্লান্তি উবে যায়। প্রায় এক হাজার একর আয়তনের লেবুর বনে লেবুগাছের দেখা না মিললেও দেখা হলো প্রচুর কেওড়া, গেওয়া, গরান, কড়ই, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে সৈকত লাগোয়া কিছু মৃত গাছের আকার দেখে আমাদের মনে হলো, যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গিয়েছি! লেবুগাছের অস্তিত্ব না থাকলেও লেবুর বন এককথায় অসাধারণ।
ইতিমধ্যে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে সূর্য। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ভাটার ফলে শান্ত সাগরের দিগন্তবিস্তৃত বালিয়াড়িতে, মৃদু হাওয়ায় এবার ভ্যান চলে আন্ধারমানিকের দিকে। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সৈকতঘেঁষা মসজিদে নামাজ আদায় করে, সারি সারি দোকানের কোনো একটা থেকে তাজা সামুদ্রিক মাছ আর কাঁকড়া কিনে ফ্রাই করতে দিই। চোখের সামনে তেলে ভাজা মচমচে কাঁকড়া চলেও আসে আমাদের হাতে। খেতে সুস্বাদু।
চারদিকে অন্ধকার জেঁকে বসলে আমরা আলীপুরের দিকে ফিরি। রাতের খাবার খেয়ে রুমে ঢুকে ঘুমের প্রস্তুতি। উঠতে হবে ভোররাত চারটায়। টার্গেট কাউয়ার চরে সূর্যোদয় দেখা।
এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে ঠিকমতো। চারটায় উঠে প্রস্তুত। যেতে যেতে লক্ষ্মীর বাজার গ্রামের সুন্দর উঠানওয়ালা একটি মসজিদ। সেখানে নামাজ আদায় করেই ছুটতে শুরু করি। কিন্তু নাহ্! গঙ্গামতির চর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুব আকাশে একরাশ মেঘের আগমনে সূর্যোদয় দেখা ভেস্তে যায়। তাতে কি? একটি টার্গেট মিস হয়েছে মাত্র। বাকিগুলো তো পড়েই আছে। একটা ডাবের পানি শেষ করে আমরা উঠে পড়ি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।

সেটা চলতে শুরু করল সৈকত ধরে। ডানে সাগর আর বাঁয়ে দীর্ঘ ঝাউবন। আমরা যাচ্ছি আর থামছি। মূলত অবারিত প্রকৃতি আমাদের থামতে বাধ্য করছে। প্রায় বিলুপ্ত সাগরলতার দেখা মিলল কাউয়ার চরে। চোখে পড়ল শব্দ পেলেই গর্তে লুকিয়ে পড়া লাল কাঁকড়াদের। পায়রা নদীর মোহনায় দেখা হলো খেয়া জালে মাছ শিকার। এই সকালে উত্তাল সাগরের রূপ শান্ত। এ রকমটা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই কাউয়ার চর সৈকতের শেষ সীমা পর্যন্ত। বাইক ছেড়ে ঢুকে যাই ঝাউবনের ভেতরে। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনের সৌন্দর্য কি ধরা যাবে এই লেখায়!
কাউয়ার চরের আরেক দর্শনীয় জিনিস বটতলীর হামিদ সি প্যালেস। সেখানে যাওয়ার আগে সাগর থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো। এত কম দাম দেখে ঢাকাবাসীর জন্য দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে পারলাম না। ডুবোতেলে নিজ হাতে ইলিশ ভাজতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়ে ভ্যানে উঠে বসি।

সৈকত লাগোয়া বেড়িবাঁধের দুই পাশে সারি সারি বাবলাগাছ। নির্জন রাস্তা ধরে মাত্র ১০ মিনিটে ভ্যান পৌঁছে গেল হামিদ প্যালেসের দোরগোড়ায়। ধীর পায়ে হেঁটে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আকাশমণি বৃক্ষ। ভেতরটাতে অন্যান্য গাছ। নান্দনিক ডিজাইনের দোতলা বাংলো। এর ছাদ থেকে ঝাউবনসহ পুরো প্যালেসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজরে আসে। প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে অসংখ্য তালগাছ। প্যালেসটাকে তালবাগান বললেও ভুল হবে না। রয়েছে মাছের খামার। সঙ্গে দেশি গরুর বহর। অচেনা স্বর্ণ-৫ জাতের ধানের চাষাবাদ। বাতাসে ধানগাছের দোল। এ সবকিছু মিলিয়ে কাউয়ার চর ভ্রমণ সত্যি সার্থক।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস চলাচল করে। কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক অথবা অটো কিংবা ভ্যানগাড়িতে কাউয়ার চরে যাওয়া যায়। সকালে গিয়ে দুপুরেই ফিরে আসা সম্ভব।
থাকা-খাওয়া
কুয়াকাটায় অনেক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। তাই থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। কাউয়ার চরে থাকতে চাইলে নিজস্ব তাঁবুতে অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিংবা মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গামতিতে থাকা যায়।

এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি। রুম থেকে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম আলীপুরের মাছের আড়তগুলোতে আসা নানান পদের মাছ দেখতে। রিকশা ভ্যানে দ্রুত পৌঁছেও গেলাম।
মাছের বাজার মানেই বিক্রির হাঁকডাক। ঘাটে নোঙর করা রয়েছে জেলেদের সারি সারি সাগরফেরত ট্রলার। তাতে চেনা-অচেনা বাহারি মাছ। এত মাছ দেখে কেনার ইচ্ছা জাগল। কিছু টাটকা চিংড়ি ও বেল ঘাগড়া মাছ কিনে ভ্যানচালকের বাসায় রান্নার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এবার হোটেলে ফিরে খানিকটা সময় বিশ্রাম। দুপুরে ভ্যানচালক ফিরে এলেন দেশীয় মোটা চালের ভাত, ডাল, ভর্তা ও মাছের তরকারি নিয়ে! পাকা রাঁধুনির রান্না বেশ আয়েশ করে খেয়েদেয়ে বের হয়ে পড়ি তাহেরপুরের পথে।
যেতে যেতে আমখোলা পাড়ায় ব্রেক। সড়কের পাশেই তালগাছের ছায়ায় ঘেরা স্বচ্ছ টলটলে পানির একটি পুকুর। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো কুয়াকাটার প্রথম খনন করা মিষ্টি পানির পুকুর এটি। এখান থেকে মগ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি সংগ্রহ করত। পুকুরের আশপাশের পরিবেশটাও বেশ চমৎকার। চাইলে এক বিকেল আমখোলা পাড়া পুকুরটির ধারে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
রিকশা ভ্যান চলল। চলতে চলতে সাবমেরিন অফিস পার হওয়ার পরেই তাহেরপুরের সৌন্দর্য আমাদের গিলে ফেলল! পথের দুই ধারে সারি সারি প্রাচীন তালগাছ। কোনো কোনো সড়কের দুই পাশে বাবলাগাছ। এর সৌন্দর্য লিখে বোঝানো দায়। পা বাড়ালাম লেবুর বনের পথে। বেহাল বেড়িবাঁধ সড়ক হলেও যাওয়ার পরে নিমেষে পথের ক্লান্তি উবে যায়। প্রায় এক হাজার একর আয়তনের লেবুর বনে লেবুগাছের দেখা না মিললেও দেখা হলো প্রচুর কেওড়া, গেওয়া, গরান, কড়ই, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সঙ্গে। এগুলোর মধ্যে সৈকত লাগোয়া কিছু মৃত গাছের আকার দেখে আমাদের মনে হলো, যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে গিয়েছি! লেবুগাছের অস্তিত্ব না থাকলেও লেবুর বন এককথায় অসাধারণ।
ইতিমধ্যে পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে সূর্য। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। ভাটার ফলে শান্ত সাগরের দিগন্তবিস্তৃত বালিয়াড়িতে, মৃদু হাওয়ায় এবার ভ্যান চলে আন্ধারমানিকের দিকে। মাগরিবের ওয়াক্ত হলে সৈকতঘেঁষা মসজিদে নামাজ আদায় করে, সারি সারি দোকানের কোনো একটা থেকে তাজা সামুদ্রিক মাছ আর কাঁকড়া কিনে ফ্রাই করতে দিই। চোখের সামনে তেলে ভাজা মচমচে কাঁকড়া চলেও আসে আমাদের হাতে। খেতে সুস্বাদু।
চারদিকে অন্ধকার জেঁকে বসলে আমরা আলীপুরের দিকে ফিরি। রাতের খাবার খেয়ে রুমে ঢুকে ঘুমের প্রস্তুতি। উঠতে হবে ভোররাত চারটায়। টার্গেট কাউয়ার চরে সূর্যোদয় দেখা।
এখন পর্যন্ত সবকিছু চলছে ঠিকমতো। চারটায় উঠে প্রস্তুত। যেতে যেতে লক্ষ্মীর বাজার গ্রামের সুন্দর উঠানওয়ালা একটি মসজিদ। সেখানে নামাজ আদায় করেই ছুটতে শুরু করি। কিন্তু নাহ্! গঙ্গামতির চর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুব আকাশে একরাশ মেঘের আগমনে সূর্যোদয় দেখা ভেস্তে যায়। তাতে কি? একটি টার্গেট মিস হয়েছে মাত্র। বাকিগুলো তো পড়েই আছে। একটা ডাবের পানি শেষ করে আমরা উঠে পড়ি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে।

সেটা চলতে শুরু করল সৈকত ধরে। ডানে সাগর আর বাঁয়ে দীর্ঘ ঝাউবন। আমরা যাচ্ছি আর থামছি। মূলত অবারিত প্রকৃতি আমাদের থামতে বাধ্য করছে। প্রায় বিলুপ্ত সাগরলতার দেখা মিলল কাউয়ার চরে। চোখে পড়ল শব্দ পেলেই গর্তে লুকিয়ে পড়া লাল কাঁকড়াদের। পায়রা নদীর মোহনায় দেখা হলো খেয়া জালে মাছ শিকার। এই সকালে উত্তাল সাগরের রূপ শান্ত। এ রকমটা দেখতে দেখতে পৌঁছে যাই কাউয়ার চর সৈকতের শেষ সীমা পর্যন্ত। বাইক ছেড়ে ঢুকে যাই ঝাউবনের ভেতরে। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ ঝাউবনের সৌন্দর্য কি ধরা যাবে এই লেখায়!
কাউয়ার চরের আরেক দর্শনীয় জিনিস বটতলীর হামিদ সি প্যালেস। সেখানে যাওয়ার আগে সাগর থেকে ধরে আনা তাজা ইলিশ দিয়ে খিচুড়ি খাওয়া হলো। এত কম দাম দেখে ঢাকাবাসীর জন্য দীর্ঘশ্বাস না ছেড়ে পারলাম না। ডুবোতেলে নিজ হাতে ইলিশ ভাজতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়ে ভ্যানে উঠে বসি।

সৈকত লাগোয়া বেড়িবাঁধের দুই পাশে সারি সারি বাবলাগাছ। নির্জন রাস্তা ধরে মাত্র ১০ মিনিটে ভ্যান পৌঁছে গেল হামিদ প্যালেসের দোরগোড়ায়। ধীর পায়ে হেঁটে প্রবেশ করলাম ভেতরে। প্রবেশদ্বারের দুই পাশে আকাশমণি বৃক্ষ। ভেতরটাতে অন্যান্য গাছ। নান্দনিক ডিজাইনের দোতলা বাংলো। এর ছাদ থেকে ঝাউবনসহ পুরো প্যালেসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজরে আসে। প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে অসংখ্য তালগাছ। প্যালেসটাকে তালবাগান বললেও ভুল হবে না। রয়েছে মাছের খামার। সঙ্গে দেশি গরুর বহর। অচেনা স্বর্ণ-৫ জাতের ধানের চাষাবাদ। বাতাসে ধানগাছের দোল। এ সবকিছু মিলিয়ে কাউয়ার চর ভ্রমণ সত্যি সার্থক।
যাবেন যেভাবে
ঢাকা-কুয়াকাটা সরাসরি বাস চলাচল করে। কুয়াকাটা থেকে মোটরবাইক অথবা অটো কিংবা ভ্যানগাড়িতে কাউয়ার চরে যাওয়া যায়। সকালে গিয়ে দুপুরেই ফিরে আসা সম্ভব।
থাকা-খাওয়া
কুয়াকাটায় অনেক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট রয়েছে। তাই থাকা-খাওয়ার চিন্তা নেই। কাউয়ার চরে থাকতে চাইলে নিজস্ব তাঁবুতে অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কিংবা মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে গঙ্গামতিতে থাকা যায়।

বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার দুটোই রান্নায় ব্যবহৃত একটি অতি পরিচিত রাসায়নিক উপাদান। এই দুই উপকরণ কেকসহ আরও অনেক ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেকে মনে করেন, বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা একই উপাদান। অথচ এই দুই উপকরণের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৫
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
১ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
পাঁচ তারা স্বীকৃতি পাওয়া মানে হলো হোটেলটিতে আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ, নিরাপত্তা, রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, স্টাফ প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা। তাই যেকোনো ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে সেসব হোটেল বেছে নিতে পারেন।
ঢাকার অনুমোদিত পাঁচ তারা হোটেল
এই হোটেলগুলো মূলত গুলশান, বনানী, খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, কনফারেন্স, কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জন্য এগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজারের পাঁচ তারা হোটেল
বিশ্বের দীর্ঘতম সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পাঁচ তারা হোটেলের চাহিদা বেশি। এখানে বিলাসী পর্যটকদের জন্য পাঁচ তারা ৩টি হোটেল রয়েছে। সেগুলো হলো—
এই হোটেলগুলো মূলত সমুদ্রের কাছে। ইনফিনিটি পুল, বিচ অ্যাক্সেস, লাইভ রেস্টুরেন্ট ও স্পা সেবার জন্য জনপ্রিয়।

পাহাড়ি ও রিসোর্ট অঞ্চল
অনেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শান্ত পরিবেশ খোঁজেন। তাঁদের জন্য সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট।

চট্টগ্রামে আছে পাঁচ তারা একটি হোটেল
চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে এখানে উচ্চমানের হোটেলের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে এই শহরে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মাত্র একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। নাম র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ।
সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী নতুন যে হোটেলগুলো পাঁচ তারা তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুটি হোটেল রয়েছে। এগুলো দেশের আঞ্চলিক হোটেলশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ দুটি হোটেল হলো—
যেহেতু অনেক হোটেল নিজেকে ‘পাঁচ তারা’ দাবি করে, তাই সরকারি স্বীকৃতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মান যাচাই, নিরাপত্তা, স্টাফ কোয়ালিটি এবং সেবা মানের মতো বিষয়ে সরকারিভাবে অনুমোদিত হোটেলগুলোকে নির্ধারিত মান বজায় রাখতে হয়। এতে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট সেবা নিশ্চিত থাকে।
সূত্র: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

পাঁচ তারা হোটেল কোনগুলো? অনেকে এ নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। তাই হোটেল নির্বাচনের আগে দেখে নিতে পারেন সরকার অনুমোদিত তালিকা। সেই তালিকা অনুসারে আমাদের দেশে পাঁচ তারা হোটেলের সংখ্যা ২০।
পাঁচ তারা স্বীকৃতি পাওয়া মানে হলো হোটেলটিতে আন্তর্জাতিক মানের কক্ষ, নিরাপত্তা, রেস্টুরেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, স্টাফ প্রশিক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করা। তাই যেকোনো ভ্রমণকারী নিশ্চিন্তে সেসব হোটেল বেছে নিতে পারেন।
ঢাকার অনুমোদিত পাঁচ তারা হোটেল
এই হোটেলগুলো মূলত গুলশান, বনানী, খিলক্ষেত ও তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী, কনফারেন্স, কনসার্ট এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টের জন্য এগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কক্সবাজারের পাঁচ তারা হোটেল
বিশ্বের দীর্ঘতম সাদা বালুর সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে পাঁচ তারা হোটেলের চাহিদা বেশি। এখানে বিলাসী পর্যটকদের জন্য পাঁচ তারা ৩টি হোটেল রয়েছে। সেগুলো হলো—
এই হোটেলগুলো মূলত সমুদ্রের কাছে। ইনফিনিটি পুল, বিচ অ্যাক্সেস, লাইভ রেস্টুরেন্ট ও স্পা সেবার জন্য জনপ্রিয়।

পাহাড়ি ও রিসোর্ট অঞ্চল
অনেকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য শান্ত পরিবেশ খোঁজেন। তাঁদের জন্য সিলেট বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট।

চট্টগ্রামে আছে পাঁচ তারা একটি হোটেল
চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে এখানে উচ্চমানের হোটেলের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। তবে এই শহরে সরকারি তালিকা অনুযায়ী মাত্র একটি পাঁচ তারা হোটেল রয়েছে। নাম র্যাডিসন ব্লু বে ভিউ।
সাম্প্রতিক আপডেট অনুযায়ী নতুন যে হোটেলগুলো পাঁচ তারা তালিকায় যুক্ত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের দুটি হোটেল রয়েছে। এগুলো দেশের আঞ্চলিক হোটেলশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ দুটি হোটেল হলো—
যেহেতু অনেক হোটেল নিজেকে ‘পাঁচ তারা’ দাবি করে, তাই সরকারি স্বীকৃতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। মান যাচাই, নিরাপত্তা, স্টাফ কোয়ালিটি এবং সেবা মানের মতো বিষয়ে সরকারিভাবে অনুমোদিত হোটেলগুলোকে নির্ধারিত মান বজায় রাখতে হয়। এতে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট সেবা নিশ্চিত থাকে।
সূত্র: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

বেকিং সোডা এবং বেকিং পাউডার দুটোই রান্নায় ব্যবহৃত একটি অতি পরিচিত রাসায়নিক উপাদান। এই দুই উপকরণ কেকসহ আরও অনেক ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু অনেকে মনে করেন, বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা একই উপাদান। অথচ এই দুই উপকরণের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে।
২৪ মার্চ ২০২৫
শীতের দুপুরে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া না হলে চলে? শিশুদের স্কুল ছুটি বলে দিনগুলোও থাকে চাপমুক্ত। তাই ছুটির দিনে একটু বেশি সময় নিয়ে মজাদার খাবার তৈরিতে মেতে উঠতে মায়েদের কোনো বাধা নেই। পোলাওয়ের সঙ্গে গরুর মাংসের আলু ঝোল না করে একটু ভিন্নভাবে মাংসটা রেঁধে ফেলুন না! আপনাদের জন্য কাজুবাদাম দিয়ে গরুর মাংসের...
১ ঘণ্টা আগে
ষাটের দশকে মেকআপের মূল আকর্ষণ ছিল চোখের সাজের নাটকীয়তা আর ঠোঁটের ন্য়ুড মেকআপ। কিছু কৌশল ব্যবহার করে এখনো সহজে ষাটের দশকের ক্ল্যাসিক ও নজরকাড়া লুক তৈরি করতে পারেন। আসছে নতুন বছর ষাটের দশকের সাজে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে কী করতে পারেন, তাই দেখে নিন একনজরে।...
১৭ ঘণ্টা আগে
এক বন্ধুকে নিয়ে ভীষণ সংগোপনে কুয়াকাটার বাসে উঠে পড়লাম ঢাকা থেকে। পাখিডাকা ভোরে নেমে পড়লাম কুয়াকাটার কিছু দূর আগে আলীপুর বাজারে। কুয়াকাটার এক ভ্রমণবন্ধু আগেই স্থানীয় এক হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন বলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হয়নি।
১ দিন আগে