মোহাম্মদ নাদের হোসেন ভূঁইয়া

স্যুট-বুট-টাই পরার চল এসেছে ইউরোপ থেকে। স্যুট বলতে আসলে শার্ট, প্যান্ট, কোট, ওয়েস্ট কোট, টাই কিংবা বো-টাই—এই পাঁচটি অংশকে একসঙ্গে বোঝায়। নিজেকে নান্দনিক রূপে প্রদর্শনের জন্য এবং স্মার্ট পারসোনালিটি প্রকাশে স্যুটের জুড়ি নেই। করপোরেট অফিসে স্য়ুট পরার নিয়ম আছে। আবার বিয়ে ও বিশেষ অনুষ্ঠানেও অনেকে স্যুট পরতে ভালোবাসেন। আমাদের দেশে শীতকালে অনেককে স্য়ুট পরতে দেখা যায়। হয়তো অনেকের অজানা, স্যুট পরারও কিছু নিয়ম রয়েছে। অন্তত পাঁচটি নিয়ম জানা থাকলে স্যুটে আপনি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন।
১. শার্ট
ফরমাল শার্ট হিসেবে সাধারণত হালকা রঙের শার্টই বেছে নেওয়া হয়। রংচঙা ক্যাজুয়াল শার্ট কোনোভাবে স্যুটের সঙ্গে পরা যাবে না। স্য়ুট পরার সময় শার্টের রং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন রঙের শার্ট থাকলেও ফরমাল গেটআপের ক্ষেত্রে স্প্রেড কলার বা পয়েন্ট কলার শার্ট পরাই ভালো। স্প্রেড কলার শার্ট বিভিন্ন মিটিংয়ের জন্য পরা যায়। আর বিভিন্ন পার্টি বা ডিনার ডেটে স্যুট পরার ক্ষেত্রে পয়েন্ট কলার শার্ট পরা যেতে পারে। স্প্রেড কলারে টাই পরা হয় সব সময়। আর ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পয়েন্ট কলার শার্ট ক্ষেত্রবিশেষে টাই ছাড়াও পরতে পারেন। স্য়ুট পরার ক্ষেত্রে কখনোই বাটন-ডাউন শার্ট বাছাই করবেন না। এতে সৌন্দর্যহানি হয়।
২. প্যান্ট
ফরমাল প্যান্টের ফিটিংস ভালো হতে হবে; অর্থাৎ প্যান্ট স্ট্রেইট কাট হবে আর লম্বায় এমন হতে হবে যেন তা পায়ের পাতায় এসে ভাঁজ হয়ে না থাকে। স্যুটের প্যান্টের রঙের সঙ্গে কোট ও ওয়েস্ট কোটের রঙের মিল থাকা চাই।
৩. কোট
কোটে যদি তিনটি বোতাম থাকে, তাহলে মাঝের বোতাম সব সময় লাগিয়ে রাখতে হবে। নিচের বোতাম সব সময় খোলা রাখতে হবে। আর যদি দুই বোতামের কোট হয়, তাহলে ওপরের বোতাম সব সময় লাগিয়ে রাখতে হবে আর নিচের বোতাম সব সময় খোলা রাখতে হবে। বসার আগে স্যুটের সব বোতাম খুলে তারপর বসতে হবে। আবার ওঠার পর বোতাম লাগিয়ে নিতে হবে। কোটের হাতার মাপ যেন ঠিক থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এই ভুল খুব বেশি হয়। কোটের হাতা এমন হতে হবে যেন তা শার্টের হাতা একদম ঢেকে না ফেলে বা শার্টের হাতার অনেক অংশ বের হয়ে থাকে। ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোটের হাতা এমন হতে হবে যাতে শার্টের হাতার ১ ইঞ্চির ৪ ভাগের ১ ভাগ পর্যন্ত দেখা যায়।
৪. ওয়েস্ট কোট
এখন অনেকে অফিসে ওয়েস্ট কোট পরেন না। পরতে হলে অবশ্যই কোটের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পরতে হবে।
৫. টাই বা বো-টাই
স্যুটের সঙ্গে যে ধরনের টাই পরা হয়, সেগুলোর রং সাধারণত শার্টের রঙের চেয়ে গাঢ় হয়। কোনোভাবেই শার্টের চেয়ে হালকা রঙের টাই পরা ঠিক হবে না। টাই প্যান্টের বেল্ট লাইন পর্যন্ত লম্বা হতে হবে। স্য়ুটের সঙ্গে ছোট টাই পরা একে তো নিয়মবহির্ভূত, দেখতেও বেমানান লাগে। তবে টাই পরতে না চাইলে বো-টাইও
বেছে নেওয়া যেতে পারে।

স্যুট-বুট-টাই পরার চল এসেছে ইউরোপ থেকে। স্যুট বলতে আসলে শার্ট, প্যান্ট, কোট, ওয়েস্ট কোট, টাই কিংবা বো-টাই—এই পাঁচটি অংশকে একসঙ্গে বোঝায়। নিজেকে নান্দনিক রূপে প্রদর্শনের জন্য এবং স্মার্ট পারসোনালিটি প্রকাশে স্যুটের জুড়ি নেই। করপোরেট অফিসে স্য়ুট পরার নিয়ম আছে। আবার বিয়ে ও বিশেষ অনুষ্ঠানেও অনেকে স্যুট পরতে ভালোবাসেন। আমাদের দেশে শীতকালে অনেককে স্য়ুট পরতে দেখা যায়। হয়তো অনেকের অজানা, স্যুট পরারও কিছু নিয়ম রয়েছে। অন্তত পাঁচটি নিয়ম জানা থাকলে স্যুটে আপনি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন।
১. শার্ট
ফরমাল শার্ট হিসেবে সাধারণত হালকা রঙের শার্টই বেছে নেওয়া হয়। রংচঙা ক্যাজুয়াল শার্ট কোনোভাবে স্যুটের সঙ্গে পরা যাবে না। স্য়ুট পরার সময় শার্টের রং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন রঙের শার্ট থাকলেও ফরমাল গেটআপের ক্ষেত্রে স্প্রেড কলার বা পয়েন্ট কলার শার্ট পরাই ভালো। স্প্রেড কলার শার্ট বিভিন্ন মিটিংয়ের জন্য পরা যায়। আর বিভিন্ন পার্টি বা ডিনার ডেটে স্যুট পরার ক্ষেত্রে পয়েন্ট কলার শার্ট পরা যেতে পারে। স্প্রেড কলারে টাই পরা হয় সব সময়। আর ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পয়েন্ট কলার শার্ট ক্ষেত্রবিশেষে টাই ছাড়াও পরতে পারেন। স্য়ুট পরার ক্ষেত্রে কখনোই বাটন-ডাউন শার্ট বাছাই করবেন না। এতে সৌন্দর্যহানি হয়।
২. প্যান্ট
ফরমাল প্যান্টের ফিটিংস ভালো হতে হবে; অর্থাৎ প্যান্ট স্ট্রেইট কাট হবে আর লম্বায় এমন হতে হবে যেন তা পায়ের পাতায় এসে ভাঁজ হয়ে না থাকে। স্যুটের প্যান্টের রঙের সঙ্গে কোট ও ওয়েস্ট কোটের রঙের মিল থাকা চাই।
৩. কোট
কোটে যদি তিনটি বোতাম থাকে, তাহলে মাঝের বোতাম সব সময় লাগিয়ে রাখতে হবে। নিচের বোতাম সব সময় খোলা রাখতে হবে। আর যদি দুই বোতামের কোট হয়, তাহলে ওপরের বোতাম সব সময় লাগিয়ে রাখতে হবে আর নিচের বোতাম সব সময় খোলা রাখতে হবে। বসার আগে স্যুটের সব বোতাম খুলে তারপর বসতে হবে। আবার ওঠার পর বোতাম লাগিয়ে নিতে হবে। কোটের হাতার মাপ যেন ঠিক থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এই ভুল খুব বেশি হয়। কোটের হাতা এমন হতে হবে যেন তা শার্টের হাতা একদম ঢেকে না ফেলে বা শার্টের হাতার অনেক অংশ বের হয়ে থাকে। ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোটের হাতা এমন হতে হবে যাতে শার্টের হাতার ১ ইঞ্চির ৪ ভাগের ১ ভাগ পর্যন্ত দেখা যায়।
৪. ওয়েস্ট কোট
এখন অনেকে অফিসে ওয়েস্ট কোট পরেন না। পরতে হলে অবশ্যই কোটের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পরতে হবে।
৫. টাই বা বো-টাই
স্যুটের সঙ্গে যে ধরনের টাই পরা হয়, সেগুলোর রং সাধারণত শার্টের রঙের চেয়ে গাঢ় হয়। কোনোভাবেই শার্টের চেয়ে হালকা রঙের টাই পরা ঠিক হবে না। টাই প্যান্টের বেল্ট লাইন পর্যন্ত লম্বা হতে হবে। স্য়ুটের সঙ্গে ছোট টাই পরা একে তো নিয়মবহির্ভূত, দেখতেও বেমানান লাগে। তবে টাই পরতে না চাইলে বো-টাইও
বেছে নেওয়া যেতে পারে।
মোহাম্মদ নাদের হোসেন ভূঁইয়া

স্যুট-বুট-টাই পরার চল এসেছে ইউরোপ থেকে। স্যুট বলতে আসলে শার্ট, প্যান্ট, কোট, ওয়েস্ট কোট, টাই কিংবা বো-টাই—এই পাঁচটি অংশকে একসঙ্গে বোঝায়। নিজেকে নান্দনিক রূপে প্রদর্শনের জন্য এবং স্মার্ট পারসোনালিটি প্রকাশে স্যুটের জুড়ি নেই। করপোরেট অফিসে স্য়ুট পরার নিয়ম আছে। আবার বিয়ে ও বিশেষ অনুষ্ঠানেও অনেকে স্যুট পরতে ভালোবাসেন। আমাদের দেশে শীতকালে অনেককে স্য়ুট পরতে দেখা যায়। হয়তো অনেকের অজানা, স্যুট পরারও কিছু নিয়ম রয়েছে। অন্তত পাঁচটি নিয়ম জানা থাকলে স্যুটে আপনি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন।
১. শার্ট
ফরমাল শার্ট হিসেবে সাধারণত হালকা রঙের শার্টই বেছে নেওয়া হয়। রংচঙা ক্যাজুয়াল শার্ট কোনোভাবে স্যুটের সঙ্গে পরা যাবে না। স্য়ুট পরার সময় শার্টের রং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন রঙের শার্ট থাকলেও ফরমাল গেটআপের ক্ষেত্রে স্প্রেড কলার বা পয়েন্ট কলার শার্ট পরাই ভালো। স্প্রেড কলার শার্ট বিভিন্ন মিটিংয়ের জন্য পরা যায়। আর বিভিন্ন পার্টি বা ডিনার ডেটে স্যুট পরার ক্ষেত্রে পয়েন্ট কলার শার্ট পরা যেতে পারে। স্প্রেড কলারে টাই পরা হয় সব সময়। আর ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পয়েন্ট কলার শার্ট ক্ষেত্রবিশেষে টাই ছাড়াও পরতে পারেন। স্য়ুট পরার ক্ষেত্রে কখনোই বাটন-ডাউন শার্ট বাছাই করবেন না। এতে সৌন্দর্যহানি হয়।
২. প্যান্ট
ফরমাল প্যান্টের ফিটিংস ভালো হতে হবে; অর্থাৎ প্যান্ট স্ট্রেইট কাট হবে আর লম্বায় এমন হতে হবে যেন তা পায়ের পাতায় এসে ভাঁজ হয়ে না থাকে। স্যুটের প্যান্টের রঙের সঙ্গে কোট ও ওয়েস্ট কোটের রঙের মিল থাকা চাই।
৩. কোট
কোটে যদি তিনটি বোতাম থাকে, তাহলে মাঝের বোতাম সব সময় লাগিয়ে রাখতে হবে। নিচের বোতাম সব সময় খোলা রাখতে হবে। আর যদি দুই বোতামের কোট হয়, তাহলে ওপরের বোতাম সব সময় লাগিয়ে রাখতে হবে আর নিচের বোতাম সব সময় খোলা রাখতে হবে। বসার আগে স্যুটের সব বোতাম খুলে তারপর বসতে হবে। আবার ওঠার পর বোতাম লাগিয়ে নিতে হবে। কোটের হাতার মাপ যেন ঠিক থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এই ভুল খুব বেশি হয়। কোটের হাতা এমন হতে হবে যেন তা শার্টের হাতা একদম ঢেকে না ফেলে বা শার্টের হাতার অনেক অংশ বের হয়ে থাকে। ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোটের হাতা এমন হতে হবে যাতে শার্টের হাতার ১ ইঞ্চির ৪ ভাগের ১ ভাগ পর্যন্ত দেখা যায়।
৪. ওয়েস্ট কোট
এখন অনেকে অফিসে ওয়েস্ট কোট পরেন না। পরতে হলে অবশ্যই কোটের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পরতে হবে।
৫. টাই বা বো-টাই
স্যুটের সঙ্গে যে ধরনের টাই পরা হয়, সেগুলোর রং সাধারণত শার্টের রঙের চেয়ে গাঢ় হয়। কোনোভাবেই শার্টের চেয়ে হালকা রঙের টাই পরা ঠিক হবে না। টাই প্যান্টের বেল্ট লাইন পর্যন্ত লম্বা হতে হবে। স্য়ুটের সঙ্গে ছোট টাই পরা একে তো নিয়মবহির্ভূত, দেখতেও বেমানান লাগে। তবে টাই পরতে না চাইলে বো-টাইও
বেছে নেওয়া যেতে পারে।

স্যুট-বুট-টাই পরার চল এসেছে ইউরোপ থেকে। স্যুট বলতে আসলে শার্ট, প্যান্ট, কোট, ওয়েস্ট কোট, টাই কিংবা বো-টাই—এই পাঁচটি অংশকে একসঙ্গে বোঝায়। নিজেকে নান্দনিক রূপে প্রদর্শনের জন্য এবং স্মার্ট পারসোনালিটি প্রকাশে স্যুটের জুড়ি নেই। করপোরেট অফিসে স্য়ুট পরার নিয়ম আছে। আবার বিয়ে ও বিশেষ অনুষ্ঠানেও অনেকে স্যুট পরতে ভালোবাসেন। আমাদের দেশে শীতকালে অনেককে স্য়ুট পরতে দেখা যায়। হয়তো অনেকের অজানা, স্যুট পরারও কিছু নিয়ম রয়েছে। অন্তত পাঁচটি নিয়ম জানা থাকলে স্যুটে আপনি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন।
১. শার্ট
ফরমাল শার্ট হিসেবে সাধারণত হালকা রঙের শার্টই বেছে নেওয়া হয়। রংচঙা ক্যাজুয়াল শার্ট কোনোভাবে স্যুটের সঙ্গে পরা যাবে না। স্য়ুট পরার সময় শার্টের রং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন রঙের শার্ট থাকলেও ফরমাল গেটআপের ক্ষেত্রে স্প্রেড কলার বা পয়েন্ট কলার শার্ট পরাই ভালো। স্প্রেড কলার শার্ট বিভিন্ন মিটিংয়ের জন্য পরা যায়। আর বিভিন্ন পার্টি বা ডিনার ডেটে স্যুট পরার ক্ষেত্রে পয়েন্ট কলার শার্ট পরা যেতে পারে। স্প্রেড কলারে টাই পরা হয় সব সময়। আর ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পয়েন্ট কলার শার্ট ক্ষেত্রবিশেষে টাই ছাড়াও পরতে পারেন। স্য়ুট পরার ক্ষেত্রে কখনোই বাটন-ডাউন শার্ট বাছাই করবেন না। এতে সৌন্দর্যহানি হয়।
২. প্যান্ট
ফরমাল প্যান্টের ফিটিংস ভালো হতে হবে; অর্থাৎ প্যান্ট স্ট্রেইট কাট হবে আর লম্বায় এমন হতে হবে যেন তা পায়ের পাতায় এসে ভাঁজ হয়ে না থাকে। স্যুটের প্যান্টের রঙের সঙ্গে কোট ও ওয়েস্ট কোটের রঙের মিল থাকা চাই।
৩. কোট
কোটে যদি তিনটি বোতাম থাকে, তাহলে মাঝের বোতাম সব সময় লাগিয়ে রাখতে হবে। নিচের বোতাম সব সময় খোলা রাখতে হবে। আর যদি দুই বোতামের কোট হয়, তাহলে ওপরের বোতাম সব সময় লাগিয়ে রাখতে হবে আর নিচের বোতাম সব সময় খোলা রাখতে হবে। বসার আগে স্যুটের সব বোতাম খুলে তারপর বসতে হবে। আবার ওঠার পর বোতাম লাগিয়ে নিতে হবে। কোটের হাতার মাপ যেন ঠিক থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এই ভুল খুব বেশি হয়। কোটের হাতা এমন হতে হবে যেন তা শার্টের হাতা একদম ঢেকে না ফেলে বা শার্টের হাতার অনেক অংশ বের হয়ে থাকে। ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোটের হাতা এমন হতে হবে যাতে শার্টের হাতার ১ ইঞ্চির ৪ ভাগের ১ ভাগ পর্যন্ত দেখা যায়।
৪. ওয়েস্ট কোট
এখন অনেকে অফিসে ওয়েস্ট কোট পরেন না। পরতে হলে অবশ্যই কোটের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পরতে হবে।
৫. টাই বা বো-টাই
স্যুটের সঙ্গে যে ধরনের টাই পরা হয়, সেগুলোর রং সাধারণত শার্টের রঙের চেয়ে গাঢ় হয়। কোনোভাবেই শার্টের চেয়ে হালকা রঙের টাই পরা ঠিক হবে না। টাই প্যান্টের বেল্ট লাইন পর্যন্ত লম্বা হতে হবে। স্য়ুটের সঙ্গে ছোট টাই পরা একে তো নিয়মবহির্ভূত, দেখতেও বেমানান লাগে। তবে টাই পরতে না চাইলে বো-টাইও
বেছে নেওয়া যেতে পারে।

বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য
২ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
২ ঘণ্টা আগে
হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এখন পরিচিত উপকরণ। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়েছে, রান্নার সময় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে শরীরে অ্যালুমিনিয়াম জমে গিয়ে গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি পুরোপুরি ভয় পাওয়ার মতো নয়। আবার একেবারে ঝুঁকিমুক্তও বলা যায় না...
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, আপনি একা নন। মাথার ওপর এই ‘মরুকরণ’ এখন বিশ্বজুড়ে এক মহোৎসবের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মাথার ওপর ঘাস কম থাকলেও যদি ভেতরে উর্বরতা থাকে, তবে জীবনটা কিন্তু মোটেও পানসে নয়; বরং এক চিলতে রোদ মাথায় মেখে আভিজাত্যের সঙ্গেই ঘুরে বেড়ান। কারণ, ‘টাক’ এখন বিশ্বজনীন!
স্পেন যখন টাকে চ্যাম্পিয়ন
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ‘টাক’ বা কেশহীন পুরুষের দেশ কোনটি জানেন? উত্তরটা হলো স্পেন। ২০২৪ সালের ডেটা অনুযায়ী, স্পেনের প্রায় ৪৪.৫ শতাংশ পুরুষই হয় টাক, না হয় দ্রুত চুল হারাচ্ছেন তারা। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে ইতালি ও ফ্রান্স। ইতালিতে ৪৪.৩৭ শতাংশ পুরুষের মাথায় টাক। আর ফ্রান্সে এর সংখ্যা ৪৪.২৫ শতাংশ। ভাবা যায়! অর্ধেক দেশের পুরুষ মাথার মাঝখানে মরুভূমি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিও এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই, তারাও টপ ফাইভের মধ্যে বেশ দাপটের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে।
পশ্চিমের দেশে হাহাকারের কারণ
গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়া বা দক্ষিণ আমেরিকার তুলনায় ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে পুরুষদের মাথায় টাক পড়ার হার লক্ষণীয়ভাবে বেশি। প্রশ্ন উঠতে পারে, পশ্চিমাদের মাথায় কেন এত বাতাসের ঝাপটা? গবেষকেরা বলছেন, এর পেছনে কয়েকটা জম্পেশ কারণ আছে। প্রথম কারণ জিনতত্ত্ব। ককেশীয় বা সাদা চামড়ার পুরুষদের ডিএনএতেই নাকি চুল পড়ার একটা সহজাত প্রবণতা আছে। দ্বিতীয়ত, খাদ্যাভ্যাস। বার্গার, প্রক্রিয়াজাত মিট আর ভিটামিনের অভাব তাদের চুলের গোড়াকে নড়বড়ে করে দিচ্ছে। চুল পড়া সরাসরি বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত। পশ্চিমা দেশগুলোতে (যেমন যুক্তরাজ্য) পুরুষদের গড় বয়স সাধারণত ৪০ বছর। অন্যদিকে ভারত বা ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা বেশি। জনসংখ্যার গড় বয়স বেশি হওয়ার কারণে পশ্চিমা দেশগুলোতে টাক পড়া পুরুষদের সংখ্যা বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে আছে ইউরোপ-আমেরিকার অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা ও মানসিক চাপ। মানে, পকেটে টাকা এলেও মাথায় চুল টিকছে না। এর পেছনে কাজ করে মূলত পাঁচটি প্রধান কারণ।

এশীয়রা কি তবে নিরাপদ
মজার বিষয় হলো, আমাদের এশিয়ায় টাক পড়ার হার তুলনামূলক অনেক কম। ইন্দোনেশিয়া এই তালিকার একদম নিচে, মাত্র ২৬.৯৬ শতাংশ। ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ার পুরুষদের মাথায়ও এখনো বেশ জঙ্গল টিকে আছে। তবে এশিয়ায় টাকে চ্যাম্পিয়ন কিন্তু জাপান। ২০১১ সালের এক জরিপ বলছে, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে জাপানিরাই সবচেয়ে বেশি চুল হারান। চীন ও ভারতেও এখন এই সমস্যা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, যদিও পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় তা এখনো নস্যি। ২০২৪ সালের জরিপের তথ্য অনুযায়ী এশিয়ার দেশ হিসেবে তালিকায় সবার ওপরে আছে তুরস্ক। দেশটির ৪০.০৩ শতাংশ পুরুষের মাথায় টাক। এরপর আছে সৌদি আরব ৩৯.৭৫ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩৮.১ শতাংশ, জাপান ৩৫.৬৯ শতাংশ, ইরান ৩৫.০৩ শতাংশ, ভারত ৩৪.০৬ শতাংশ, পাকিস্তান ৩৩.৬৪ শতাংশ, ইসরায়েল ৩৩.৫৬ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ৩২.২৭ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৩০.৯৪ শতাংশ, চীন ৩০.৮১ শতাংশ, মালয়েশিয়া ২৯.২৪ শতাংশ, ফিলিপাইন ২৮ শতাংশ ও সবশেষে আছে ইন্দোনেশিয়া, ২৬.৯৬ শতাংশ।

টাক পড়ার মহৌষধি ও ঘরসংসার
টাক পড়া নিয়ে এখন আর কেউ ঘরে বসে হাপিত্যেশ করেন না। নরওয়ের পুরুষেরা যেমন টাক পড়াকে বার্ধক্যের সহজ নিয়ম হিসেবে মেনে নিয়ে ক্লিন শেভ লুকে স্টাইল করেন। আবার যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কিংবা চুল প্রতিস্থাপনের বাজার এখন তুঙ্গে। আমাদের দেশেও এখন হরেক রকম তেলের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি ডাক্তারদের কাছে ভিড় বাড়ছে। কেউ কেউ তো আবার রসিকতা করে বলেন, ‘মাথায় চুল নেই তো কী হয়েছে, বুদ্ধি তো সব ভেতরেই জমছে!’
টাকই যখন আভিজাত্য
চুল পড়া শুধু বংশগতি বা হরমোনের খেলা নয়, এটি এখন আমাদের জীবনযাত্রার এক আয়না। তবে স্পেন বা ইতালির মতো দেশগুলো আমাদের একটা দারুণ শিক্ষা দেয়, চুলে জঙ্গল থাকুক বা না থাকুক, আত্মবিশ্বাসটা যেন ষোলো আনা থাকে। তাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ‘চকচকে’ মাথা দেখে মন খারাপ না করে ভাবুন, বিশ্বের প্রায় ৪২ শতাংশ পুরুষই আপনার এই দলে আছেন।
সূত্র: মেডিহেয়ার, স্ট্যাটিস্টা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ

বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, আপনি একা নন। মাথার ওপর এই ‘মরুকরণ’ এখন বিশ্বজুড়ে এক মহোৎসবের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মাথার ওপর ঘাস কম থাকলেও যদি ভেতরে উর্বরতা থাকে, তবে জীবনটা কিন্তু মোটেও পানসে নয়; বরং এক চিলতে রোদ মাথায় মেখে আভিজাত্যের সঙ্গেই ঘুরে বেড়ান। কারণ, ‘টাক’ এখন বিশ্বজনীন!
স্পেন যখন টাকে চ্যাম্পিয়ন
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ‘টাক’ বা কেশহীন পুরুষের দেশ কোনটি জানেন? উত্তরটা হলো স্পেন। ২০২৪ সালের ডেটা অনুযায়ী, স্পেনের প্রায় ৪৪.৫ শতাংশ পুরুষই হয় টাক, না হয় দ্রুত চুল হারাচ্ছেন তারা। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে ইতালি ও ফ্রান্স। ইতালিতে ৪৪.৩৭ শতাংশ পুরুষের মাথায় টাক। আর ফ্রান্সে এর সংখ্যা ৪৪.২৫ শতাংশ। ভাবা যায়! অর্ধেক দেশের পুরুষ মাথার মাঝখানে মরুভূমি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিও এই দৌড়ে পিছিয়ে নেই, তারাও টপ ফাইভের মধ্যে বেশ দাপটের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে।
পশ্চিমের দেশে হাহাকারের কারণ
গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়া বা দক্ষিণ আমেরিকার তুলনায় ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে পুরুষদের মাথায় টাক পড়ার হার লক্ষণীয়ভাবে বেশি। প্রশ্ন উঠতে পারে, পশ্চিমাদের মাথায় কেন এত বাতাসের ঝাপটা? গবেষকেরা বলছেন, এর পেছনে কয়েকটা জম্পেশ কারণ আছে। প্রথম কারণ জিনতত্ত্ব। ককেশীয় বা সাদা চামড়ার পুরুষদের ডিএনএতেই নাকি চুল পড়ার একটা সহজাত প্রবণতা আছে। দ্বিতীয়ত, খাদ্যাভ্যাস। বার্গার, প্রক্রিয়াজাত মিট আর ভিটামিনের অভাব তাদের চুলের গোড়াকে নড়বড়ে করে দিচ্ছে। চুল পড়া সরাসরি বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত। পশ্চিমা দেশগুলোতে (যেমন যুক্তরাজ্য) পুরুষদের গড় বয়স সাধারণত ৪০ বছর। অন্যদিকে ভারত বা ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা বেশি। জনসংখ্যার গড় বয়স বেশি হওয়ার কারণে পশ্চিমা দেশগুলোতে টাক পড়া পুরুষদের সংখ্যা বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে আছে ইউরোপ-আমেরিকার অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা ও মানসিক চাপ। মানে, পকেটে টাকা এলেও মাথায় চুল টিকছে না। এর পেছনে কাজ করে মূলত পাঁচটি প্রধান কারণ।

এশীয়রা কি তবে নিরাপদ
মজার বিষয় হলো, আমাদের এশিয়ায় টাক পড়ার হার তুলনামূলক অনেক কম। ইন্দোনেশিয়া এই তালিকার একদম নিচে, মাত্র ২৬.৯৬ শতাংশ। ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ার পুরুষদের মাথায়ও এখনো বেশ জঙ্গল টিকে আছে। তবে এশিয়ায় টাকে চ্যাম্পিয়ন কিন্তু জাপান। ২০১১ সালের এক জরিপ বলছে, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে জাপানিরাই সবচেয়ে বেশি চুল হারান। চীন ও ভারতেও এখন এই সমস্যা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, যদিও পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় তা এখনো নস্যি। ২০২৪ সালের জরিপের তথ্য অনুযায়ী এশিয়ার দেশ হিসেবে তালিকায় সবার ওপরে আছে তুরস্ক। দেশটির ৪০.০৩ শতাংশ পুরুষের মাথায় টাক। এরপর আছে সৌদি আরব ৩৯.৭৫ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩৮.১ শতাংশ, জাপান ৩৫.৬৯ শতাংশ, ইরান ৩৫.০৩ শতাংশ, ভারত ৩৪.০৬ শতাংশ, পাকিস্তান ৩৩.৬৪ শতাংশ, ইসরায়েল ৩৩.৫৬ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ৩২.২৭ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৩০.৯৪ শতাংশ, চীন ৩০.৮১ শতাংশ, মালয়েশিয়া ২৯.২৪ শতাংশ, ফিলিপাইন ২৮ শতাংশ ও সবশেষে আছে ইন্দোনেশিয়া, ২৬.৯৬ শতাংশ।

টাক পড়ার মহৌষধি ও ঘরসংসার
টাক পড়া নিয়ে এখন আর কেউ ঘরে বসে হাপিত্যেশ করেন না। নরওয়ের পুরুষেরা যেমন টাক পড়াকে বার্ধক্যের সহজ নিয়ম হিসেবে মেনে নিয়ে ক্লিন শেভ লুকে স্টাইল করেন। আবার যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট কিংবা চুল প্রতিস্থাপনের বাজার এখন তুঙ্গে। আমাদের দেশেও এখন হরেক রকম তেলের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি ডাক্তারদের কাছে ভিড় বাড়ছে। কেউ কেউ তো আবার রসিকতা করে বলেন, ‘মাথায় চুল নেই তো কী হয়েছে, বুদ্ধি তো সব ভেতরেই জমছে!’
টাকই যখন আভিজাত্য
চুল পড়া শুধু বংশগতি বা হরমোনের খেলা নয়, এটি এখন আমাদের জীবনযাত্রার এক আয়না। তবে স্পেন বা ইতালির মতো দেশগুলো আমাদের একটা দারুণ শিক্ষা দেয়, চুলে জঙ্গল থাকুক বা না থাকুক, আত্মবিশ্বাসটা যেন ষোলো আনা থাকে। তাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ‘চকচকে’ মাথা দেখে মন খারাপ না করে ভাবুন, বিশ্বের প্রায় ৪২ শতাংশ পুরুষই আপনার এই দলে আছেন।
সূত্র: মেডিহেয়ার, স্ট্যাটিস্টা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ

স্যুট-বুট-টাই পরার চল এসেছে ইউরোপ থেকে। স্যুট বলতে আসলে শার্ট, প্যান্ট, কোট, ওয়েস্ট কোট, টাই কিংবা বো-টাই—এই পাঁচটি অংশকে একসঙ্গে বোঝায়। নিজেকে নান্দনিক রূপে প্রদর্শনের জন্য এবং স্মার্ট পারসোনালিটি প্রকাশে স্যুটের জুড়ি নেই। করপোরেট অফিসে স্য়ুট পরার নিয়ম আছে। আবার বিয়ে ও বিশেষ অনুষ্ঠানেও অনেকে স্যুট
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
২ ঘণ্টা আগে
হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এখন পরিচিত উপকরণ। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়েছে, রান্নার সময় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে শরীরে অ্যালুমিনিয়াম জমে গিয়ে গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি পুরোপুরি ভয় পাওয়ার মতো নয়। আবার একেবারে ঝুঁকিমুক্তও বলা যায় না...
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না, বিশেষ করে রিকশাওয়ালার সঙ্গে—হেরে যাওয়ার চান্স ১০০ পারসেন্ট। তবে আজ আপনার সৃষ্টিশীল ক্ষমতা বাড়বে, কিন্তু সেটা অফিসের কাজের বদলে ‘কীভাবে কাজ ফাঁকি দেওয়া যায়’ সেই প্ল্যান করতেই বেশি খরচ হবে। বাড়িতে স্ত্রীর হাতের রান্না আজ একটু বেশিই নোনতা হতে পারে, তবে সেটা অমৃতের মতো খেয়ে ফেলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
বৃষ
আজ আর্থিক উন্নতিতে স্ত্রীর (বা প্রেমিকার) ভূমিকা থাকবে প্রবল। তবে মনে রাখবেন, সেই টাকা শেষ পর্যন্ত ওনার কেনাকাটাতেই খরচ হবে! বন্ধুরা আজ আপনার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে—সাহায্য করার জন্য নয়, ট্রিট নেওয়ার জন্য। শরীরের দিকে নজর দিন, ভুঁড়িটা কিন্তু গত সপ্তাহের চেয়ে ২ ইঞ্চি বেড়েছে! বিনিয়োগ করার জন্য দিনটি ভালো, তবে বন্ধুকে ধার দেওয়ার আগে নিজের অ্যাকাউন্টে কয় টাকা আছে তা দেখে নিন। বিকেলের দিকে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আত্মীয়ের ফোন আসতে পারে, যিনি হয়তো আপনার বিয়ে বা চাকরি নিয়ে প্যাঁচাল পাড়বেন। বেশি ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন, পেটটা আজ বিদ্রোহ করতে পারে।
মিথুন
জীবনসঙ্গীর রোমান্টিক আচরণে আজ আকাশে ভাসবেন। তবে বেশি আবেগময় হয়ে কেঁদে ভাসিয়ে দেবেন না, তাতে ঘর নোংরা হবে বৈকি! কাজে আজ একটু বিরক্তি আসতে পারে। মনে হবে ‘চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে হিমালয়ে চলে যাই’, কিন্তু ট্রেনের টিকিট কাটার টাকা নেই মনে পড়তেই আবার কাজে মন দেবেন। আপনার সৃজনশীল প্রতিভা আজ বিকাশিত হবে। হয়তো নতুন কোনো রান্নার রেসিপি আবিষ্কার করবেন অথবা বাথরুমে বসে দারুণ কোনো সুর ভাঁজবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ আপনার পোস্টে লাইক কম পড়তে পারে, তাতে মন খারাপ করবেন না। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফোনের স্ক্রিনে তাকাবেন না।
কর্কট
বাড়িতে আজ ঝগড়া হওয়ার প্রবল যোগ। পুরোনো কোনো ঝগড়া (যেটা আপনি তিন বছর আগে জিতেছিলেন) নতুন করে শুরু হতে পারে। সন্তানেরা আজ আপনার মানসম্মান ধুলোয় মেশাতে পারে অথবা এমন কিছু করতে পারে, যাতে আপনি গর্বে বুক ফুলিয়ে পাড়া মাথায় করবেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন, না হলে চোখের জলে বালিশ ভিজবে। আজ মেজাজ খিটখিটে থাকতে পারে। অফিসের কলিগের সামান্য কথাতেও মনে হতে পারে যে সে আপনাকে অপমান করছে। তবে বিকেলের পর মেজাজ ফুরফুরে হবে। পুরোনো কোনো প্রেমিকার মেসেজ আসার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে (ভুল করেও রিপ্লাই দেবেন না!)। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ কমেন্ট করার আগে তিনবার ভাবুন।
সিংহ
আজ নিজেকে বনের রাজা মনে করবেন, কিন্তু বাড়িতে ঢুকলেই সেই রাজত্ব শেষ! পরিবারে শান্তি থাকবে। ব্যবসায় লাভের মুখ দেখবেন, তবে পেটের ব্যথার একটা সম্ভাবনা আছে। হয়তো গতকালের বাসি বিরিয়ানিটার দোষ! মনোবল তুঙ্গে রাখুন, আপনার তেজ দেখে শত্রুরাও আজ ভয় পেয়ে নমস্কার ঠুকবে। আজ আপনার নেতৃত্বের ক্ষমতা দেখা যাবে। এমনকি মোড়ের দোকানের চা বানানোর পদ্ধতিতে পর্যন্ত আপনি জ্ঞান দেবেন। আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হবে। প্রেমিকা আজ সিনেমা দেখার আবদার করতে পারে, পকেটে টাকা না থাকলে ইমোশনাল কার্ড খেলুন। বাসি খাবার একদম খাবেন না।
কন্যা
কাজে ছোটখাটো বাধা আসবে ঠিকই, কিন্তু আপনি তো আবার সবজান্তা! নিজেই সব ঠিক করে ফেলবেন। শত্রুরা আপনার পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আজ এমন ফর্মে আছেন যে ওরাই উল্টো গর্তে পড়বে। দাঁতের ডাক্তার দেখানোর দরকার হতে পারে, তাই মিষ্টি খাওয়া একটু কমান। আজ আপনার পরিচ্ছন্নতা বা বাতিকগ্রস্ততা তুঙ্গে থাকবে। অন্যের কাজের খুঁত ধরতে গিয়ে হয়তো নিজের কাজই ভুলে যাবেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য দিনটি দারুণ, পড়াশোনায় মন বসবে (যদি ফোনটা অন্য ঘরে থাকে)। লটারি বা জুয়া থেকে দূরে থাকুন, ভাগ্য আজ সহায় নয়।
তুলা
টাকাপয়সার লেনদেনে আজ একদম তাড়াহুড়ো করবেন না। ডাবল চেক করুন, না হলে দাতা হাতেম তাই হয়ে যাবেন। দিনটি বেশ আলসেমিতে কাটার কথা। বিছানা আজ আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করার সুযোগ আসবে, কিন্তু খরচটা কে দেবে, সেটা আগে ঠিক করে নিন। আজ জীবনের ভারসাম্য খুঁজতে গিয়ে নিজেই ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলতে পারেন। শপিং করতে গিয়ে সস্তায় বাজে জিনিস কিনে ফেলার যোগ আছে। প্রেমিকার সঙ্গে আজ একটু মান-অভিমান হতে পারে, তবে সেটা রাতের মধ্যেই মিটে যাবে। অপরিচিত কাউকে লিফট দেবেন না।
বৃশ্চিক
ব্যবসায় আজ কুবেরের ধন দেখতে পেতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত লোভ করলে সেটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। সাবধানে গাড়ি চালান, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ আজ আপনার জন্য স্পেশাল অফার (জরিমানা) নিয়ে অপেক্ষা করতে পারে। স্ত্রীর অবহেলা আজ মন খারাপ করতে পারে, এক কাপ চা বানিয়ে দিয়ে দেখুন বরফ গলে কি না। আপনার রহস্যময় আচরণ আজ চারপাশের মানুষকে বিভ্রান্ত করবে। গোয়েন্দাগিরি করার ইচ্ছা জাগতে পারে, কিন্তু সেটা নিজের সঙ্গীর ওপর ট্রাই না করাই ভালো। কর্মক্ষেত্রে আপনার আইডিয়ার প্রশংসা হবে, যদিও সেটার ক্রেডিট বস নেওয়ার চেষ্টা করবেন। বেশি কথা বলা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ধনু
হারানো কোনো প্রিয় জিনিস আজ ফিরে পেতে পারেন। হতে পারে সেটা কোনো পুরোনো নোটবুক অথবা সেই ৫০০ টাকার নোট যেটা প্যান্টের পকেটে ধোয়া হয়ে গিয়েছিল! পরিবারে শান্তি থাকবে, তবে অতিরিক্ত উৎসাহ দেখাতে গিয়ে কারো বিরাগভাজন হবেন না। দ্বিধা ঝেড়ে ফেলুন, আজ আপনিই সেরা। ভ্রমণের পরিকল্পনা হতে পারে। হয়তো অফিস থেকে পালানোর কোনো ফন্দি আঁটবেন। আজ নিয়তি আপনার ওপর বেশ সদয়, তবে রাস্তা পার হওয়ার সময় নিয়তির ওপর ভরসা না করে দুপাশে দেখে নিন। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে ছাতা নিতে ভুলবেন না।
মকর
বিদেশে ব্যবসা থাকলে আজ কোনো দারুণ খবর আসতে পারে। তবে খরচ আর সঞ্চয়ের মধ্যে মহাযুদ্ধ চলবে। বাড়িতে অতিথি আসতে পারে, যার মানে হলো প্রিয় আরামদায়ক সোফাটা আজ হাতছাড়া! স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য মিটিয়ে নেওয়ার আজই সেরা দিন। উপহার হিসেবে একটা চকোলেটই যথেষ্ট। কাজে আজ অনেক সময় নষ্ট হতে পারে ইন্টারনেট সমস্যার কারণে। কোনো পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়ে যেতে পারে, যিনি হয়তো আপনার কাছে টাকা ধার চাইবেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে না বলুন। আজ ভারী কোনো জিনিস একা তুলতে যাবেন না।
কুম্ভ
সকালটা একটু তিতা হতে পারে—হয়তো অ্যালার্ম বাজেনি অথবা চায়ে চিনি বেশি হয়েছে। তবে বেলা বাড়লে পরিস্থিতি বদলাবে। অফিসে কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন, কিন্তু বুদ্ধির জোরে সেটা সামলে নেবেন। ইনকাম বাড়ানোর নতুন (এবং হয়তো একটু অদ্ভুত) বুদ্ধি মাথায় আসবে। আজ আপনি বেশ দার্শনিক মুডে থাকবেন। ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে গভীর জীবনবোধ নিয়ে পোস্ট করবেন, যদিও লোকে সেটা স্কিপ করে চলে যাবে। প্রেম বা বিয়ের প্রস্তাবে আজ সবুজসংকেত পেতে পারেন। ইলেকট্রনিক গ্যাজেট আজ আপনার সঙ্গে বেইমানি করতে পারে।
মীন
পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বাড়িতে যে ক্যাঁচক্যাঁচানি চলছিল, আজ তার ইতি ঘটতে পারে। বিকেলে কোনো মন্দিরে বা ধর্মসভায় যাওয়ার যোগ আছে। মনে শান্তি পাবেন। পরিবারকে দেওয়া কথা রাখতে চেষ্টা করুন, না হলে ডিনার আজ কপালে জুটবে না। রাজনীতিতে যুক্ত থাকলে আজ বড় কোনো নেতার সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ পাবেন। আজ আপনি বেশ পরোপকারী হয়ে উঠবেন। রাস্তার কুকুরকে বিস্কুট খাওয়ানো থেকে শুরু করে কলিগকে সাহায্য করা—সবতেই আপনি আগে। তবে নিজের কাজ ফেলে রেখে অন্যকে সাহায্য করতে গিয়ে বসের বকুনি খাবেন না যেন! অন্যের গোপন কথা আজ নিজের পেটে রাখুন।

মেষ
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝগড়া করবেন না, বিশেষ করে রিকশাওয়ালার সঙ্গে—হেরে যাওয়ার চান্স ১০০ পারসেন্ট। তবে আজ আপনার সৃষ্টিশীল ক্ষমতা বাড়বে, কিন্তু সেটা অফিসের কাজের বদলে ‘কীভাবে কাজ ফাঁকি দেওয়া যায়’ সেই প্ল্যান করতেই বেশি খরচ হবে। বাড়িতে স্ত্রীর হাতের রান্না আজ একটু বেশিই নোনতা হতে পারে, তবে সেটা অমৃতের মতো খেয়ে ফেলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
বৃষ
আজ আর্থিক উন্নতিতে স্ত্রীর (বা প্রেমিকার) ভূমিকা থাকবে প্রবল। তবে মনে রাখবেন, সেই টাকা শেষ পর্যন্ত ওনার কেনাকাটাতেই খরচ হবে! বন্ধুরা আজ আপনার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে—সাহায্য করার জন্য নয়, ট্রিট নেওয়ার জন্য। শরীরের দিকে নজর দিন, ভুঁড়িটা কিন্তু গত সপ্তাহের চেয়ে ২ ইঞ্চি বেড়েছে! বিনিয়োগ করার জন্য দিনটি ভালো, তবে বন্ধুকে ধার দেওয়ার আগে নিজের অ্যাকাউন্টে কয় টাকা আছে তা দেখে নিন। বিকেলের দিকে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আত্মীয়ের ফোন আসতে পারে, যিনি হয়তো আপনার বিয়ে বা চাকরি নিয়ে প্যাঁচাল পাড়বেন। বেশি ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন, পেটটা আজ বিদ্রোহ করতে পারে।
মিথুন
জীবনসঙ্গীর রোমান্টিক আচরণে আজ আকাশে ভাসবেন। তবে বেশি আবেগময় হয়ে কেঁদে ভাসিয়ে দেবেন না, তাতে ঘর নোংরা হবে বৈকি! কাজে আজ একটু বিরক্তি আসতে পারে। মনে হবে ‘চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে হিমালয়ে চলে যাই’, কিন্তু ট্রেনের টিকিট কাটার টাকা নেই মনে পড়তেই আবার কাজে মন দেবেন। আপনার সৃজনশীল প্রতিভা আজ বিকাশিত হবে। হয়তো নতুন কোনো রান্নার রেসিপি আবিষ্কার করবেন অথবা বাথরুমে বসে দারুণ কোনো সুর ভাঁজবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ আপনার পোস্টে লাইক কম পড়তে পারে, তাতে মন খারাপ করবেন না। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফোনের স্ক্রিনে তাকাবেন না।
কর্কট
বাড়িতে আজ ঝগড়া হওয়ার প্রবল যোগ। পুরোনো কোনো ঝগড়া (যেটা আপনি তিন বছর আগে জিতেছিলেন) নতুন করে শুরু হতে পারে। সন্তানেরা আজ আপনার মানসম্মান ধুলোয় মেশাতে পারে অথবা এমন কিছু করতে পারে, যাতে আপনি গর্বে বুক ফুলিয়ে পাড়া মাথায় করবেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন, না হলে চোখের জলে বালিশ ভিজবে। আজ মেজাজ খিটখিটে থাকতে পারে। অফিসের কলিগের সামান্য কথাতেও মনে হতে পারে যে সে আপনাকে অপমান করছে। তবে বিকেলের পর মেজাজ ফুরফুরে হবে। পুরোনো কোনো প্রেমিকার মেসেজ আসার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে (ভুল করেও রিপ্লাই দেবেন না!)। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ কমেন্ট করার আগে তিনবার ভাবুন।
সিংহ
আজ নিজেকে বনের রাজা মনে করবেন, কিন্তু বাড়িতে ঢুকলেই সেই রাজত্ব শেষ! পরিবারে শান্তি থাকবে। ব্যবসায় লাভের মুখ দেখবেন, তবে পেটের ব্যথার একটা সম্ভাবনা আছে। হয়তো গতকালের বাসি বিরিয়ানিটার দোষ! মনোবল তুঙ্গে রাখুন, আপনার তেজ দেখে শত্রুরাও আজ ভয় পেয়ে নমস্কার ঠুকবে। আজ আপনার নেতৃত্বের ক্ষমতা দেখা যাবে। এমনকি মোড়ের দোকানের চা বানানোর পদ্ধতিতে পর্যন্ত আপনি জ্ঞান দেবেন। আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হবে। প্রেমিকা আজ সিনেমা দেখার আবদার করতে পারে, পকেটে টাকা না থাকলে ইমোশনাল কার্ড খেলুন। বাসি খাবার একদম খাবেন না।
কন্যা
কাজে ছোটখাটো বাধা আসবে ঠিকই, কিন্তু আপনি তো আবার সবজান্তা! নিজেই সব ঠিক করে ফেলবেন। শত্রুরা আপনার পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আজ এমন ফর্মে আছেন যে ওরাই উল্টো গর্তে পড়বে। দাঁতের ডাক্তার দেখানোর দরকার হতে পারে, তাই মিষ্টি খাওয়া একটু কমান। আজ আপনার পরিচ্ছন্নতা বা বাতিকগ্রস্ততা তুঙ্গে থাকবে। অন্যের কাজের খুঁত ধরতে গিয়ে হয়তো নিজের কাজই ভুলে যাবেন। তবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য দিনটি দারুণ, পড়াশোনায় মন বসবে (যদি ফোনটা অন্য ঘরে থাকে)। লটারি বা জুয়া থেকে দূরে থাকুন, ভাগ্য আজ সহায় নয়।
তুলা
টাকাপয়সার লেনদেনে আজ একদম তাড়াহুড়ো করবেন না। ডাবল চেক করুন, না হলে দাতা হাতেম তাই হয়ে যাবেন। দিনটি বেশ আলসেমিতে কাটার কথা। বিছানা আজ আপনাকে চুম্বকের মতো টানবে। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করার সুযোগ আসবে, কিন্তু খরচটা কে দেবে, সেটা আগে ঠিক করে নিন। আজ জীবনের ভারসাম্য খুঁজতে গিয়ে নিজেই ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলতে পারেন। শপিং করতে গিয়ে সস্তায় বাজে জিনিস কিনে ফেলার যোগ আছে। প্রেমিকার সঙ্গে আজ একটু মান-অভিমান হতে পারে, তবে সেটা রাতের মধ্যেই মিটে যাবে। অপরিচিত কাউকে লিফট দেবেন না।
বৃশ্চিক
ব্যবসায় আজ কুবেরের ধন দেখতে পেতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত লোভ করলে সেটা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। সাবধানে গাড়ি চালান, রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ আজ আপনার জন্য স্পেশাল অফার (জরিমানা) নিয়ে অপেক্ষা করতে পারে। স্ত্রীর অবহেলা আজ মন খারাপ করতে পারে, এক কাপ চা বানিয়ে দিয়ে দেখুন বরফ গলে কি না। আপনার রহস্যময় আচরণ আজ চারপাশের মানুষকে বিভ্রান্ত করবে। গোয়েন্দাগিরি করার ইচ্ছা জাগতে পারে, কিন্তু সেটা নিজের সঙ্গীর ওপর ট্রাই না করাই ভালো। কর্মক্ষেত্রে আপনার আইডিয়ার প্রশংসা হবে, যদিও সেটার ক্রেডিট বস নেওয়ার চেষ্টা করবেন। বেশি কথা বলা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ধনু
হারানো কোনো প্রিয় জিনিস আজ ফিরে পেতে পারেন। হতে পারে সেটা কোনো পুরোনো নোটবুক অথবা সেই ৫০০ টাকার নোট যেটা প্যান্টের পকেটে ধোয়া হয়ে গিয়েছিল! পরিবারে শান্তি থাকবে, তবে অতিরিক্ত উৎসাহ দেখাতে গিয়ে কারো বিরাগভাজন হবেন না। দ্বিধা ঝেড়ে ফেলুন, আজ আপনিই সেরা। ভ্রমণের পরিকল্পনা হতে পারে। হয়তো অফিস থেকে পালানোর কোনো ফন্দি আঁটবেন। আজ নিয়তি আপনার ওপর বেশ সদয়, তবে রাস্তা পার হওয়ার সময় নিয়তির ওপর ভরসা না করে দুপাশে দেখে নিন। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে ছাতা নিতে ভুলবেন না।
মকর
বিদেশে ব্যবসা থাকলে আজ কোনো দারুণ খবর আসতে পারে। তবে খরচ আর সঞ্চয়ের মধ্যে মহাযুদ্ধ চলবে। বাড়িতে অতিথি আসতে পারে, যার মানে হলো প্রিয় আরামদায়ক সোফাটা আজ হাতছাড়া! স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য মিটিয়ে নেওয়ার আজই সেরা দিন। উপহার হিসেবে একটা চকোলেটই যথেষ্ট। কাজে আজ অনেক সময় নষ্ট হতে পারে ইন্টারনেট সমস্যার কারণে। কোনো পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়ে যেতে পারে, যিনি হয়তো আপনার কাছে টাকা ধার চাইবেন। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে না বলুন। আজ ভারী কোনো জিনিস একা তুলতে যাবেন না।
কুম্ভ
সকালটা একটু তিতা হতে পারে—হয়তো অ্যালার্ম বাজেনি অথবা চায়ে চিনি বেশি হয়েছে। তবে বেলা বাড়লে পরিস্থিতি বদলাবে। অফিসে কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন, কিন্তু বুদ্ধির জোরে সেটা সামলে নেবেন। ইনকাম বাড়ানোর নতুন (এবং হয়তো একটু অদ্ভুত) বুদ্ধি মাথায় আসবে। আজ আপনি বেশ দার্শনিক মুডে থাকবেন। ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে গভীর জীবনবোধ নিয়ে পোস্ট করবেন, যদিও লোকে সেটা স্কিপ করে চলে যাবে। প্রেম বা বিয়ের প্রস্তাবে আজ সবুজসংকেত পেতে পারেন। ইলেকট্রনিক গ্যাজেট আজ আপনার সঙ্গে বেইমানি করতে পারে।
মীন
পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বাড়িতে যে ক্যাঁচক্যাঁচানি চলছিল, আজ তার ইতি ঘটতে পারে। বিকেলে কোনো মন্দিরে বা ধর্মসভায় যাওয়ার যোগ আছে। মনে শান্তি পাবেন। পরিবারকে দেওয়া কথা রাখতে চেষ্টা করুন, না হলে ডিনার আজ কপালে জুটবে না। রাজনীতিতে যুক্ত থাকলে আজ বড় কোনো নেতার সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ পাবেন। আজ আপনি বেশ পরোপকারী হয়ে উঠবেন। রাস্তার কুকুরকে বিস্কুট খাওয়ানো থেকে শুরু করে কলিগকে সাহায্য করা—সবতেই আপনি আগে। তবে নিজের কাজ ফেলে রেখে অন্যকে সাহায্য করতে গিয়ে বসের বকুনি খাবেন না যেন! অন্যের গোপন কথা আজ নিজের পেটে রাখুন।

স্যুট-বুট-টাই পরার চল এসেছে ইউরোপ থেকে। স্যুট বলতে আসলে শার্ট, প্যান্ট, কোট, ওয়েস্ট কোট, টাই কিংবা বো-টাই—এই পাঁচটি অংশকে একসঙ্গে বোঝায়। নিজেকে নান্দনিক রূপে প্রদর্শনের জন্য এবং স্মার্ট পারসোনালিটি প্রকাশে স্যুটের জুড়ি নেই। করপোরেট অফিসে স্য়ুট পরার নিয়ম আছে। আবার বিয়ে ও বিশেষ অনুষ্ঠানেও অনেকে স্যুট
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য
২ ঘণ্টা আগে
হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এখন পরিচিত উপকরণ। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়েছে, রান্নার সময় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে শরীরে অ্যালুমিনিয়াম জমে গিয়ে গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি পুরোপুরি ভয় পাওয়ার মতো নয়। আবার একেবারে ঝুঁকিমুক্তও বলা যায় না...
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাগদান এবং একসঙ্গে ব্যবসা শুরু
চীনা গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হেইলংজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা মিস্টার হে ও মিস ওয়াং পারিবারিকভাবে বাগদান করেন। বাগদানের পর তাঁরা হেবেই প্রদেশে গিয়ে মিস্টার হে-এর পরিবারের মালিকানাধীন একটি মালাটাং রেস্তোরাঁ একসঙ্গে পরিচালনা করতে শুরু করেন।
সংসার ও ব্যবসা নিয়ে বিরোধ
একসঙ্গে থাকা ও ব্যবসা পরিচালনার ছয় মাসের মধ্যে তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিস্টার হে অভিযোগ করেন, তাঁর হবু স্ত্রী সহজ কাজ বেছে নিতেন এবং প্রতিদিন এত বেশি খাবার খেতেন যে রেস্তোরাঁয় ক্রেতাদের বিক্রির জন্য পর্যাপ্ত উপকরণ থাকত না। তিনি বলেন, ‘সে প্রতিদিন এত বেশি খায় যে আমাদের বিক্রি করার মতো উপকরণই শেষ হয়ে যায়।’
পরিবারের অবস্থান
মিস্টার হে-এর পরিবারও বিয়ে বাতিলের পক্ষে অবস্থান নেয়। তাদের দাবি, ভবিষ্যৎ পুত্রবধূর আচরণ আগের মতো নেই। বাগদানের আগের সময়ের তুলনায় তাঁর দায়িত্ববোধ এবং কাজের আগ্রহ কমে গেছে বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। তাদের মতে, সংসার ও পারিবারিক ব্যবসার প্রতি যে মনোযোগ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তা তিনি দেখাননি। এ কারণেই পরিবারটি বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায়।
আদালতে মামলা ও আর্থিক দাবি
বাগদান ভেঙে যাওয়ার পর মিস্টার হে আদালতে মামলা করেন। তিনি মেয়েকে তাঁর দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান ফেরত চান; পাশাপাশি প্রেমের সময়কার খরচ হিসেবে আরও ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দাবি করেন। এই খরচের তালিকায় গার্লফ্রেন্ডকে উপহার দেওয়া টাইটস ও অন্তর্বাসের দামও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মিস ওয়াংয়ের প্রতিক্রিয়া
আদালতে মিস ওয়াং তাঁর সাবেক হবু স্বামীর এই হিসাবি মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি যখন স্বেচ্ছায় এসব জিনিস কিনেছিলেন, তখন কি আপনি খুশি ছিলেন না? আমি তো আপনার বান্ধবীই ছিলাম।’
ডেটিং খরচ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত
সব দিক বিবেচনা করে আদালত প্রেমের সময়কার ৩০ হাজার ইউয়ান খরচ ফেরতের দাবি নাকচ করে দেন। আদালতের মতে, এগুলো ছিল স্বেচ্ছায় করা ব্যয়, যা সম্পর্ক চলাকালে উভয় পক্ষের জন্য মানসিক মূল্য বহন করেছিল। এগুলো কোনো ঋণ নয়।
যৌতুক ফেরত নিয়ে রায়
তবে যৌতুকের বিষয়ে আদালত চীনের দেওয়ানি আইন প্রয়োগ করেন। আইন অনুযায়ী, যদি দম্পতি বিয়ের নিবন্ধন না করে থাকেন বা নিবন্ধন করলেও বাস্তবে একসঙ্গে সংসার না করে থাকেন, তাহলে যৌতুক আংশিক বা সম্পূর্ণ ফেরত দিতে হতে পারে। সে অনুযায়ী আদালত মিস ওয়াংকে যৌতুকের অর্ধেক ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। উভয় পক্ষ এই রায় মেনে নেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
ঘটনাটি পরে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে ভাইরাল হয়ে যায়। লাখো মানুষ এ বিষয়ে মতামত দেন। অধিকাংশ মন্তব্যেই মিস্টার হে-এর কৃপণতা ও অতিরিক্ত হিসাবি মানসিকতার সমালোচনা করা হয়। এক নেটিজেন লেখেন, ‘যদি প্রতিটি নুডলসের বাটির দাম হিসাব করেন, তাহলে বিয়ে না করে কর্মচারী নিয়োগ করাই ভালো।’ অনেকে আবার মন্তব্য করেন, এমন একজন বস্তুবাদী স্বামীর সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় নারীটি ভাগ্যবান।
এ ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার গল্প নয়; প্রেম, বিয়ে ও অর্থনৈতিক প্রত্যাশা নিয়ে সমাজে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সম্পর্কের ভেতরে স্বেচ্ছায় করা খরচ কতটা হিসাবের আওতায় আসতে পারে এবং পারিবারিক প্রত্যাশা ব্যক্তিগত জীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়গুলো নিয়েই শুরু হয়েছে বিস্তৃত বিতর্ক।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাগদান এবং একসঙ্গে ব্যবসা শুরু
চীনা গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, হেইলংজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা মিস্টার হে ও মিস ওয়াং পারিবারিকভাবে বাগদান করেন। বাগদানের পর তাঁরা হেবেই প্রদেশে গিয়ে মিস্টার হে-এর পরিবারের মালিকানাধীন একটি মালাটাং রেস্তোরাঁ একসঙ্গে পরিচালনা করতে শুরু করেন।
সংসার ও ব্যবসা নিয়ে বিরোধ
একসঙ্গে থাকা ও ব্যবসা পরিচালনার ছয় মাসের মধ্যে তাঁদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিস্টার হে অভিযোগ করেন, তাঁর হবু স্ত্রী সহজ কাজ বেছে নিতেন এবং প্রতিদিন এত বেশি খাবার খেতেন যে রেস্তোরাঁয় ক্রেতাদের বিক্রির জন্য পর্যাপ্ত উপকরণ থাকত না। তিনি বলেন, ‘সে প্রতিদিন এত বেশি খায় যে আমাদের বিক্রি করার মতো উপকরণই শেষ হয়ে যায়।’
পরিবারের অবস্থান
মিস্টার হে-এর পরিবারও বিয়ে বাতিলের পক্ষে অবস্থান নেয়। তাদের দাবি, ভবিষ্যৎ পুত্রবধূর আচরণ আগের মতো নেই। বাগদানের আগের সময়ের তুলনায় তাঁর দায়িত্ববোধ এবং কাজের আগ্রহ কমে গেছে বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। তাদের মতে, সংসার ও পারিবারিক ব্যবসার প্রতি যে মনোযোগ ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তা তিনি দেখাননি। এ কারণেই পরিবারটি বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায়।
আদালতে মামলা ও আর্থিক দাবি
বাগদান ভেঙে যাওয়ার পর মিস্টার হে আদালতে মামলা করেন। তিনি মেয়েকে তাঁর দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান ফেরত চান; পাশাপাশি প্রেমের সময়কার খরচ হিসেবে আরও ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দাবি করেন। এই খরচের তালিকায় গার্লফ্রেন্ডকে উপহার দেওয়া টাইটস ও অন্তর্বাসের দামও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মিস ওয়াংয়ের প্রতিক্রিয়া
আদালতে মিস ওয়াং তাঁর সাবেক হবু স্বামীর এই হিসাবি মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনি যখন স্বেচ্ছায় এসব জিনিস কিনেছিলেন, তখন কি আপনি খুশি ছিলেন না? আমি তো আপনার বান্ধবীই ছিলাম।’
ডেটিং খরচ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত
সব দিক বিবেচনা করে আদালত প্রেমের সময়কার ৩০ হাজার ইউয়ান খরচ ফেরতের দাবি নাকচ করে দেন। আদালতের মতে, এগুলো ছিল স্বেচ্ছায় করা ব্যয়, যা সম্পর্ক চলাকালে উভয় পক্ষের জন্য মানসিক মূল্য বহন করেছিল। এগুলো কোনো ঋণ নয়।
যৌতুক ফেরত নিয়ে রায়
তবে যৌতুকের বিষয়ে আদালত চীনের দেওয়ানি আইন প্রয়োগ করেন। আইন অনুযায়ী, যদি দম্পতি বিয়ের নিবন্ধন না করে থাকেন বা নিবন্ধন করলেও বাস্তবে একসঙ্গে সংসার না করে থাকেন, তাহলে যৌতুক আংশিক বা সম্পূর্ণ ফেরত দিতে হতে পারে। সে অনুযায়ী আদালত মিস ওয়াংকে যৌতুকের অর্ধেক ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। উভয় পক্ষ এই রায় মেনে নেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
ঘটনাটি পরে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে ভাইরাল হয়ে যায়। লাখো মানুষ এ বিষয়ে মতামত দেন। অধিকাংশ মন্তব্যেই মিস্টার হে-এর কৃপণতা ও অতিরিক্ত হিসাবি মানসিকতার সমালোচনা করা হয়। এক নেটিজেন লেখেন, ‘যদি প্রতিটি নুডলসের বাটির দাম হিসাব করেন, তাহলে বিয়ে না করে কর্মচারী নিয়োগ করাই ভালো।’ অনেকে আবার মন্তব্য করেন, এমন একজন বস্তুবাদী স্বামীর সঙ্গে বিয়ে না হওয়ায় নারীটি ভাগ্যবান।
এ ঘটনা শুধু একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার গল্প নয়; প্রেম, বিয়ে ও অর্থনৈতিক প্রত্যাশা নিয়ে সমাজে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। সম্পর্কের ভেতরে স্বেচ্ছায় করা খরচ কতটা হিসাবের আওতায় আসতে পারে এবং পারিবারিক প্রত্যাশা ব্যক্তিগত জীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়গুলো নিয়েই শুরু হয়েছে বিস্তৃত বিতর্ক।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

স্যুট-বুট-টাই পরার চল এসেছে ইউরোপ থেকে। স্যুট বলতে আসলে শার্ট, প্যান্ট, কোট, ওয়েস্ট কোট, টাই কিংবা বো-টাই—এই পাঁচটি অংশকে একসঙ্গে বোঝায়। নিজেকে নান্দনিক রূপে প্রদর্শনের জন্য এবং স্মার্ট পারসোনালিটি প্রকাশে স্যুটের জুড়ি নেই। করপোরেট অফিসে স্য়ুট পরার নিয়ম আছে। আবার বিয়ে ও বিশেষ অনুষ্ঠানেও অনেকে স্যুট
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য
২ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
২ ঘণ্টা আগে
রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এখন পরিচিত উপকরণ। সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়েছে, রান্নার সময় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে শরীরে অ্যালুমিনিয়াম জমে গিয়ে গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি পুরোপুরি ভয় পাওয়ার মতো নয়। আবার একেবারে ঝুঁকিমুক্তও বলা যায় না...
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এখন পরিচিত উপকরণ। মাংস বা সবজি বেক করা, খাবার ঢেকে রাখা কিংবা ওভেনে ব্যবহার—সব ক্ষেত্রেই ফয়েলের ব্যবহার ব্যাপক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়েছে, রান্নার সময় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে শরীরে অ্যালুমিনিয়াম জমে গিয়ে গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে। ফলে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন, আসলে বিষয়টি কতটা সত্য?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি পুরোপুরি ভয় পাওয়ার মতো নয়। আবার একেবারে ঝুঁকিমুক্তও বলা যায় না। সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল সাধারণ রান্নার জন্য নিরাপদ।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের খাদ্যনিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক ডা. ড্যারিন ডেটওয়াইলার বলেন, ‘প্রতিদিনের সাধারণ রান্না ও বেকিংয়ের কাজে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার সাধারণত নিরাপদ। এতে হঠাৎ করে অ্যালুমিনিয়াম বিষক্রিয়ার আশঙ্কা নেই।’
তবে তিনি সতর্ক করে জানান, কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ফয়েল থেকে অল্প পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। বিশেষ করে খুব বেশি তাপমাত্রায় রান্না করলে বা টক ও অ্যাসিডিক খাবারের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি বাড়ে।

টক খাবারে কেন ঝুঁকি বেশি
টমেটো, লেবু, কমলা, ভিনেগার বা টক-মিষ্টি সসজাতীয় খাবারে প্রাকৃতিকভাবে অ্যাসিড থাকে। এই অ্যাসিড অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। ফলে ফয়েলের গঠন ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং সেখান থেকে অল্প পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম খাবারের মধ্যে চলে আসতে পারে।
ড. ডেটওয়াইলারের ভাষায়, ‘এর পরিমাণ সাধারণত খুবই সামান্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে বেশি পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম শরীরে প্রবেশ করলে তা স্নায়বিক রোগসহ কিছু দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যসমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।’
সর্বোচ্চ কত তাপমাত্রা পর্যন্ত নিরাপদ
ইন্টারন্যাশনাল ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিলের যোগাযোগ পরিচালক তামিকা সিমস জানান, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ২০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় নিরাপদভাবে ব্যবহার করা যায়। এই সীমার মধ্যে ওভেন বা সাধারণ রান্নার বেশির ভাগ কাজই পড়ে। রান্নাবিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ জেসিকা গেভিন বলেন, ‘দৈনন্দিন রান্নায় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল সাধারণত নিরাপদ। তবে টক বা অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার দীর্ঘ সময় ফয়েলের সংস্পর্শে রাখা উচিত নয়। এতে খাবারে ধাতব স্বাদ আসতে পারে এবং ফয়েলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
শরীরে অ্যালুমিনিয়াম কতটা প্রবেশ করে
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানায়, একজন গড় আমেরিকান প্রতিদিন খাবারের মাধ্যমে প্রায় ৭ থেকে ৯ মিলিগ্রাম অ্যালুমিনিয়াম গ্রহণ করেন। এর বেশির ভাগ অংশ শরীর স্বাভাবিকভাবেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। জেসিকা গ্যাভিনের মতে, শরীরে প্রবেশ করা মোট অ্যালুমিনিয়ামের মাত্র ৪ শতাংশের মতো আসে রান্নার সরঞ্জাম, কাটলারি, বেকিং ট্রে বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল থেকে। বাকি অংশ আসে খাবার, প্রসাধনী, ওষুধ, পানি এবং বাতাসে থাকা কণিকার মাধ্যমে।
কারা বেশি সতর্ক থাকবেন
ডা. ডেটওয়াইলার জানান, মাঝেমধ্যে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে ঝুঁকি খুবই সামান্য। তবে যাঁরা নিয়মিত ও দীর্ঘদিন ধরে বেশি পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম গ্রহণ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
বিশেষ করে—
নিরাপদ ব্যবহারের পরামর্শ
বিশেষজ্ঞরা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহারের কয়েকটি সহজ পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো:
বিকল্প কী
যাঁরা একেবারে ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে চান, তাঁদের জন্য ভালো বিকল্প হলো কাচের বেকিং ট্রে বা পাত্র। এগুলো রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়, খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না এবং কোনো ক্ষতিকর উপাদান খাবারে মেশার আশঙ্কা নেই।
সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল রান্নার ক্ষেত্রে সাধারণত নিরাপদ। তবে টক খাবার, অতিরিক্ত তাপ ও দীর্ঘ সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। সচেতন ব্যবহারই পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে।
সূত্র: হাফপোস্ট

রান্নাঘরে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এখন পরিচিত উপকরণ। মাংস বা সবজি বেক করা, খাবার ঢেকে রাখা কিংবা ওভেনে ব্যবহার—সব ক্ষেত্রেই ফয়েলের ব্যবহার ব্যাপক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়েছে, রান্নার সময় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে শরীরে অ্যালুমিনিয়াম জমে গিয়ে গুরুতর অসুখের কারণ হতে পারে। ফলে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন, আসলে বিষয়টি কতটা সত্য?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি পুরোপুরি ভয় পাওয়ার মতো নয়। আবার একেবারে ঝুঁকিমুক্তও বলা যায় না। সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল সাধারণ রান্নার জন্য নিরাপদ।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের খাদ্যনিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক ডা. ড্যারিন ডেটওয়াইলার বলেন, ‘প্রতিদিনের সাধারণ রান্না ও বেকিংয়ের কাজে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার সাধারণত নিরাপদ। এতে হঠাৎ করে অ্যালুমিনিয়াম বিষক্রিয়ার আশঙ্কা নেই।’
তবে তিনি সতর্ক করে জানান, কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ফয়েল থেকে অল্প পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। বিশেষ করে খুব বেশি তাপমাত্রায় রান্না করলে বা টক ও অ্যাসিডিক খাবারের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি বাড়ে।

টক খাবারে কেন ঝুঁকি বেশি
টমেটো, লেবু, কমলা, ভিনেগার বা টক-মিষ্টি সসজাতীয় খাবারে প্রাকৃতিকভাবে অ্যাসিড থাকে। এই অ্যাসিড অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। ফলে ফয়েলের গঠন ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং সেখান থেকে অল্প পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম খাবারের মধ্যে চলে আসতে পারে।
ড. ডেটওয়াইলারের ভাষায়, ‘এর পরিমাণ সাধারণত খুবই সামান্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে বেশি পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম শরীরে প্রবেশ করলে তা স্নায়বিক রোগসহ কিছু দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যসমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।’
সর্বোচ্চ কত তাপমাত্রা পর্যন্ত নিরাপদ
ইন্টারন্যাশনাল ফুড ইনফরমেশন কাউন্সিলের যোগাযোগ পরিচালক তামিকা সিমস জানান, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ২০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় নিরাপদভাবে ব্যবহার করা যায়। এই সীমার মধ্যে ওভেন বা সাধারণ রান্নার বেশির ভাগ কাজই পড়ে। রান্নাবিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ জেসিকা গেভিন বলেন, ‘দৈনন্দিন রান্নায় অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল সাধারণত নিরাপদ। তবে টক বা অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার দীর্ঘ সময় ফয়েলের সংস্পর্শে রাখা উচিত নয়। এতে খাবারে ধাতব স্বাদ আসতে পারে এবং ফয়েলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
শরীরে অ্যালুমিনিয়াম কতটা প্রবেশ করে
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানায়, একজন গড় আমেরিকান প্রতিদিন খাবারের মাধ্যমে প্রায় ৭ থেকে ৯ মিলিগ্রাম অ্যালুমিনিয়াম গ্রহণ করেন। এর বেশির ভাগ অংশ শরীর স্বাভাবিকভাবেই প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। জেসিকা গ্যাভিনের মতে, শরীরে প্রবেশ করা মোট অ্যালুমিনিয়ামের মাত্র ৪ শতাংশের মতো আসে রান্নার সরঞ্জাম, কাটলারি, বেকিং ট্রে বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল থেকে। বাকি অংশ আসে খাবার, প্রসাধনী, ওষুধ, পানি এবং বাতাসে থাকা কণিকার মাধ্যমে।
কারা বেশি সতর্ক থাকবেন
ডা. ডেটওয়াইলার জানান, মাঝেমধ্যে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করলে ঝুঁকি খুবই সামান্য। তবে যাঁরা নিয়মিত ও দীর্ঘদিন ধরে বেশি পরিমাণ অ্যালুমিনিয়াম গ্রহণ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
বিশেষ করে—
নিরাপদ ব্যবহারের পরামর্শ
বিশেষজ্ঞরা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহারের কয়েকটি সহজ পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো:
বিকল্প কী
যাঁরা একেবারে ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে চান, তাঁদের জন্য ভালো বিকল্প হলো কাচের বেকিং ট্রে বা পাত্র। এগুলো রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয়, খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না এবং কোনো ক্ষতিকর উপাদান খাবারে মেশার আশঙ্কা নেই।
সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল রান্নার ক্ষেত্রে সাধারণত নিরাপদ। তবে টক খাবার, অতিরিক্ত তাপ ও দীর্ঘ সময় ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। সচেতন ব্যবহারই পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে।
সূত্র: হাফপোস্ট

স্যুট-বুট-টাই পরার চল এসেছে ইউরোপ থেকে। স্যুট বলতে আসলে শার্ট, প্যান্ট, কোট, ওয়েস্ট কোট, টাই কিংবা বো-টাই—এই পাঁচটি অংশকে একসঙ্গে বোঝায়। নিজেকে নান্দনিক রূপে প্রদর্শনের জন্য এবং স্মার্ট পারসোনালিটি প্রকাশে স্যুটের জুড়ি নেই। করপোরেট অফিসে স্য়ুট পরার নিয়ম আছে। আবার বিয়ে ও বিশেষ অনুষ্ঠানেও অনেকে স্যুট
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
বাঙালি সমাজে চুল পড়া কিংবা টাক নিয়ে নানান কথা প্রচলিত আছে। কথাগুলো কৌতুকপূর্ণ হলেও আধুনিক বিশ্বের পুরুষদের জন্য এটি এক পরম দীর্ঘশ্বাসের নাম। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কপালে হাত বুলিয়ে যখন দেখা যায় ‘হেয়ারলাইন’ দিন দিন সীমান্তের মতো পিছু হটছে, তখন কারই বা মন ভালো থাকে? কিন্তু সাম্প্রতিক তথ্য
২ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভাগ্য বেশ দোদুল্যমান। অফিসে বসের সুনজরে থাকবেন ঠিকই, কিন্তু সেই নজরটা কি কাজের চাপে পিষ্ট করার জন্য নাকি প্রমোশনের জন্য, সেটা বোঝা দায়! পকেট থেকে টাকা আজ ডানা মেলে উড়ে যেতে পারে, তাই শপিং মল থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
২ ঘণ্টা আগে
হবু স্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘অলসতা’ ও ‘অতিরিক্ত খাওয়ার’ অভিযোগ তুলে বিয়ে বাতিল করেছেন এক চীনা যুবক। শুধু সম্পর্ক ভাঙাতেই থেমে থাকেননি; আদালতে মামলা করে যৌতুকসহ প্রেমের সময় করা খরচ ফেরত দাবি করেন তিনি। ঘটনাটি চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে ঘটেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে