অর্ণব সান্যাল

২৪৪১১৩৯–এ ফোন করে বেলা বোসকে চাকরি পাওয়ার খবর দিতে চেয়েছিলেন অঞ্জন দত্ত। গানের বিষয়টা ছিল, সোনার হরিণের মতো চাকরি পেলেই হয়তো প্রেমিকার সঙ্গে সারাটা জীবন কাটানোর মতো রসদ মিলবে। কিন্তু অঞ্জনের গানের সেই প্রেমিকবর আজকের এই যুগে চাকরি পেলেও কি এতটা স্বস্তিদায়ক উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে পারতেন?
দ্বিধাগ্রস্ত উত্তরটি হলো, হয়তোবা না। কারণ, এখনকার করপোরেট সংস্কৃতিতে চাকরিই জীবন হয়ে উঠেছে প্রায়। কর্মস্থল থেকে এখন আর ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে ডাক আসে না। আসে যখন-তখন। ডাকের সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতনেরা জেনে নেন কর্মীর অবস্থান ও কর্মকাণ্ডের ঠিকুজি। কখনো কখনো কি শৃঙ্খলিত মনে হয়? হওয়াটা অস্বাভাবিক নয় এমন নজরদারিতে থাকলে। তবে হ্যাঁ, এসব নজরদারি বৈশ্বিক তুলনায় তেমন কঠোর নয় মোটেও। বিশ্বে যেভাবে এখন কর্মীদের ওপর নজরদারি চলছে ঊর্ধ্বতনদের, সেটি জানলে আপনাদের আক্কেল গুড়ুম হতে বাধ্য। তবে, এসব বিষয়ে জানা থাকা ভালো। বিশ্বায়িত বিশ্বের প্রবল হাওয়া কখন এ দেশেও চলে আসে, কে জানে! চলুন তবে জেনে আসা যাক, কর্মস্থলে নজরদারির ক্ষেত্রে বিশ্বে এখন কী অবস্থা।
কর্মস্থলে নজরদারি
প্রথমেই বলে নিই, কর্মস্থলে নজরদারি নতুন কোনো বস্তু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এমনটা চলে আসছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। আজ থেকে দু-তিন শ বছর আগে তৎকালীন ব্রিটেনে বা ইউরোপে নজরদারির নামে চাবুকপেটা হতেন শ্রমিকেরা। যুগের ও প্রযুক্তির কল্যাণে সেই জায়গা ধীরে ধীরে নিল সিসিটিভি ক্যামেরা। এসব যন্ত্রনির্মিত ‘চোখ’ দিয়ে বিভিন্ন দোকান ও কারখানায় শ্রমিকদের গতিবিধি নজরে রাখা হতো এবং এখনো হয়। আমরা বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে এমন খবরও পেয়েছি যে, সিসিটিভি দিয়ে কোন শ্রমিক কাজ ফেলে শৌচাগারে যাচ্ছে, তারও হিসাব রাখা হয় এবং সে কারণে অনেকের চাকরিও চলে যায়!
এ তো গেল সাধারণ কর্মী বা শ্রমিকদের কথা। শ্রমিক আমরা কম-বেশি সবাই। তবে কারও কারও গায়ে থাকে সাদা কলারের শার্ট ও রঙিন টাই। হ্যাঁ হ্যাঁ, হোয়াইট কলার জবের কথাই বলছি। এরা সাধারণ শ্রমিকের ওপরে থেকে কাজ সামলান। তবে মালিক ব্যতীত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তালিকার তো শেষ নেই। ফলে তাঁদের ওপরে থাকা কর্মকর্তারা চালান অধস্তনদের ওপর নজরদারি। চলতি শতকের শুরু থেকেই এসব চালু হয়েছে। আর প্রযুক্তির উন্নতি যত দ্রুত হয়েছে, ততই আঁটসাঁট হয়েছে নজরদারি। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে কর্মীদের ওপর নজরদারিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ফোনের কললিস্ট ও ই-মেইল। নজরদারির কিছু কাজ গুগল ওয়ার্কস্পেস, মাইক্রোসফট টিমস বা স্ল্যাক দিয়েও করা হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে একজন কর্মীর জুম-কল থেকে শুরু করে কম্পিউটারের কি-বোর্ডে টাইপিং—সবকিছুতেই নজর রাখা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না কর্মীদের ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক ডিভাইসও। যেমন: ভেরাইটো নামের একটি সফটওয়্যার দিয়ে কর্মীরা গোপন তথ্য ফাঁস করছেন কিনা, তা নির্ণয় করা যায়। আবার ডিপস্কোর নামের একটি সফটওয়্যার ব্যক্তির মুখচ্ছবি ও কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করে কর্মী কতটা আস্থাভাজন, তা নির্ণয় করতে পারে!
অর্থাৎ, কর্মীর আগাপাশতলা—সবকিছুই নিয়োগকর্তারা নজর রাখতে চাচ্ছেন। এমনকি অফিসের কাজে কর্মী কতটুকু উৎপাদনক্ষম এবং কাজ করতে গিয়ে তিনি বিরক্ত বা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন কি না, সেটিও জানতে চাইছেন কোনো কোনো নিয়োগকর্তা। এ ক্ষেত্রে চাকরিজীবী ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বলে আর কিছু কি থাকছে?
নজরদারি বেড়েছে
বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, মূলত করোনা মহামারির পর থেকে কর্মীদের ওপর এ ধরনের কঠোর নজরদারির মাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। মহামারির শুরু থেকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যাপক প্রচলন চালু হয়। তখন থেকেই নিয়োগকর্তাদের মাথায় বাসা বাঁধে কর্মীরা আদৌ ঠিকমতো কাজ করছে কি না—সেই শঙ্কা। ফলে শুরু হয় নজরদারির নিত্যনতুন উপায় ব্যবহার।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার বলছে, মহামারির আগে বড় বড় বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতি ১০টির মধ্যে মাত্র একটি কর্মীদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর সফটওয়্যার ব্যবহার করত। আর গত তিন বছরের মধ্যে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ।
তবে এতে উজানের টান শুরু হয়েছিল আরেকটু আগে থেকেই। খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান অ্যাকসেনসিওর নিজেদের এক জরিপের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, করোনা মহামারি শুরুর আগেই প্রায় ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের হর্তাকর্তারা কর্মীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহে বিভিন্ন নজরদারি সফটওয়্যার ব্যবহারের পক্ষে ছিলেন। ইউরোপীয় কমিশনের চালানো অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মীদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর সফটওয়্যারে বৈশ্বিক চাহিদা ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। মহামারির শুরুতে দেওয়া লকডাউনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কর্মীদের মনিটরিং করার জন্য ব্যবহৃত টুলস খোঁজার বিষয়টি প্রায় ১৮ গুণ বেড়েছিল। এ ক্ষেত্রে কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক। যেমন: টাইম ডক্টর নামের একটি সফটওয়্যার যেটি ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার স্ক্রিন টাইমের ভিডিওচিত্র ধারণ করে। এর চাহিদা ২০২০ সালের এপ্রিলে এর আগের বছরের তুলনায় তিনগুণ বেড়েছিল। এমন আরেকটি সফটওয়্যার হলো ডেস্কটাইম, যা কম্পিউটারে একজন কর্মীর একটি কাজ সম্পন্নের সময় হিসাবে রাখে। এই সফটওয়্যারের চাহিদা ওই একই সময়ে চারগুণ বেড়েছিল।
এ তো গেল ২০২০ সালের অবস্থা। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে করা এক জরিপে দেখা গেছে, সেসবের ৬০ শতাংশ কর্মীদের ওপর নজরদারিতে নানা ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে। আর ওই একই সময় আরও ১৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল এবং এই নজরদারিকে একটি মোক্ষম উপায় হিসেবে বিবেচনা করছিল। হয়তো ২০২২ সাল নাগাদ তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছেই গেছে!
প্রশ্ন উঠতেই পারে, কেন কর্মীদের ওপর এত নজরদারি? বা এত নজরদারির প্রয়োজনীয়তাই-বা কতটুকু?
বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রয়োজনীয়তা একদম যে নেই, তা জোর গলায় বলা যাবে না। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই আছে। যেমন—কিছু কিছু বিশেষায়িত চাকরির ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ও কাজের সঠিক মান বজায় রাখার স্বার্থেই নজরদারির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বিশেষ করে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মতো বিভিন্ন আর্থিক ও অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মীর ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখতে হয়। অর্থ চুরি বা পাচার ঠেকাতেই এমনটা করতে হয়। আবার কিছু বহুজাতিক কোম্পানিতে প্রতিষ্ঠানের স্পর্শকাতর তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখার স্বার্থেই সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ওপর নজরদারি চালাতে হয়। আবার সোশ্যাল মিডিয়া মডারেশনের কাজ যাঁরা করেন, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই তাঁদের ডিজিটাল কর্মকাণ্ডে নজর রাখতে হয়। আরেকটি বড় কারণ দেখিয়ে কর্মীদের ওপর নজরদারিকে জায়েজ করা হয়। সেটি হলো, কর্মীদের দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি। সামষ্টিকভাবে কর্মীদের কাজের মানের ওপরই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি-অবনতি নির্ভর করে। এ জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানই বলে, এই নজরদারির মাধ্যমেই কর্মীদের উন্নত করার উপায় খোঁজা হয়। এতে ভালো-মন্দ কর্মী চিহ্নিত করাসহ অফিসে সহকর্মীদের বুলিং বা তাদের সঙ্গে করা অসদাচরণের মতো অপকর্মও রোখা সম্ভব হবে।
এসব কারণেই জেপিমরগান চেজের মতো বিশ্বখ্যাত ব্যাংক কর্মীদের ফোনকল, চ্যাট রেকর্ড ও ই-মেইল পরীক্ষার নিয়ম চালু রেখেছে। এমনকি কর্মী কতক্ষণ প্রতিষ্ঠান ভবনে অবস্থান করে, তারও হিসাব রাখা হয়। আবার গত বছর ক্রেডিট সুইসের মতো প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রবেশাধিকার চাইতে শুরু করে। এসবের দেখাদেখি অন্য অনেক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও নজরদারি চালু করছে বলে অভিযোগ উঠছে।
এভাবে যখন কর্মীদের বিষয়ে অগণিত ব্যক্তিগত তথ্য নিয়োগকর্তাদের নাগালে আসছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই এর অপব্যবহার নিয়ে শঙ্কা জাগছে। কে না জানে, এই পৃথিবীতে তথ্যই সম্পদ। আর সেই তথ্য যদি এখন কর্মীদের বিরুদ্ধে নিয়োগকর্তারা ব্যবহার করতে শুরু করেন, তখন কী হবে? কারণ মানুষের ধর্মই হলো, যেকোনো সুযোগের সদ্ব্যবহার করা, তা ভালো হোক বা খারাপ!
ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি বাদে আছে নজরদারির শিকার হওয়া কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি। এ ক্ষেত্রে কর্মীরা অত্যন্ত উদ্বেগে ভুলে থাকেন বলে বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এতে করে কর্মীরা সর্বক্ষণ বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপে ভুগে থাকে। অনেকে নিজেকে মানুষ ভাবতেও ভুলে যান! ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, কর্মীদের তিন-চতুর্থাংশই নজরদারির বিপক্ষে শুধু নয়, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার ব্যবহারেরও বিপক্ষে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে নজরদারি চালানো হয়, তা নিয়েও উদ্বেগে আছেন সিংহভাগ কর্মী।
কিন্তু এভাবে কর্মীদের ওপর নজরদারি করা কতটা আইনসংগত?
উত্তর হলো, এই চল উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে বেশ কয়েক বছর ধরে শুরু হলেও এখনো এটি প্রতিরোধে বা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বা নিখুঁত কোনো আইন নেই। এবং এই আইন না থাকাটাকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবে এ-সংক্রান্ত কিছু আইন প্রণয়নের কাজটি উন্নত দেশগুলোতে দেরিতে হলেও শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যে এমন একটি আইন করা হচ্ছে, যাতে কর্মীদের ওপর নজরদারি করতে হলে তা আগেভাগে জানানোর বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। কানেকটিকাট ও ডেলাওয়্যারেও একই ধরনের আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে কর্মীদের ওপর যেকোনো ধরনের ডিজিটাল মনিটরিং নিষিদ্ধের কথা ভাবছে। যুক্তরাজ্যে এমন আইন প্রণয়নের দাবি জোরদার হচ্ছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশনে কর্মীদের এ-সংক্রান্ত অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। তবে সেসব বিধি আরও হালনাগাদের পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। কারণ প্রযুক্তি যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে আইনিভাবে অধিকার সুরক্ষায় তাল মেলানো কঠিন হয়ে পড়ছে!
সব মিলিয়ে বলাই যায় যে, বর্তমান বিশ্বে চাকরিজীবীরা এখন আছেন আতশ কাচের নিচে। ছা-পোষা চাকরিজীবীদেরও এখন নিজেদের ছানাপোনাসহ যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য তুলে দিতে হচ্ছে চাকরিদাতাদের হাতে। এই অসম দাঁড়িপাল্লার একদিকে আছে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দুরন্ত গতি; আরেক দিকে আছে গায়েগতরে খাটা কর্মীদের অধিকার। বর্তমান পুঁজি কাঠামো এই দাঁড়িপাল্লায় ভারসাম্য আনতে দেয় কি না, সেটিই এখন দেখার। আর শেষ পর্যন্ত যদি অধিকার সুরক্ষা না-ই পায়, তবে কবি জীবনানন্দ দাশের কথায় তাল মেলানো ছাড়া তো গত্যন্তর নেই। আমাদের হয়তো মেনে নিতেই হবে, ‘মানুষের হাতে আজ মানুষ হতেছে নাজেহাল, পৃথিবীতে নেই কোনো বিশুদ্ধ চাকরি।’
তথ্যসূত্র: এবিসি নিউজ, কনসালটেন্সি ডট ইউকে, দ্য ইকোনমিস্ট, ওয়াশিংটন সেন্টার ফর ইকুইটেবল গ্রোথ, টিইউসি ডট ওআরজি ডট ইউকে, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, ইথিকাল সিস্টেমস ডট ওআরজি ও ফরচুন ম্যাগাজিন

২৪৪১১৩৯–এ ফোন করে বেলা বোসকে চাকরি পাওয়ার খবর দিতে চেয়েছিলেন অঞ্জন দত্ত। গানের বিষয়টা ছিল, সোনার হরিণের মতো চাকরি পেলেই হয়তো প্রেমিকার সঙ্গে সারাটা জীবন কাটানোর মতো রসদ মিলবে। কিন্তু অঞ্জনের গানের সেই প্রেমিকবর আজকের এই যুগে চাকরি পেলেও কি এতটা স্বস্তিদায়ক উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে পারতেন?
দ্বিধাগ্রস্ত উত্তরটি হলো, হয়তোবা না। কারণ, এখনকার করপোরেট সংস্কৃতিতে চাকরিই জীবন হয়ে উঠেছে প্রায়। কর্মস্থল থেকে এখন আর ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে ডাক আসে না। আসে যখন-তখন। ডাকের সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতনেরা জেনে নেন কর্মীর অবস্থান ও কর্মকাণ্ডের ঠিকুজি। কখনো কখনো কি শৃঙ্খলিত মনে হয়? হওয়াটা অস্বাভাবিক নয় এমন নজরদারিতে থাকলে। তবে হ্যাঁ, এসব নজরদারি বৈশ্বিক তুলনায় তেমন কঠোর নয় মোটেও। বিশ্বে যেভাবে এখন কর্মীদের ওপর নজরদারি চলছে ঊর্ধ্বতনদের, সেটি জানলে আপনাদের আক্কেল গুড়ুম হতে বাধ্য। তবে, এসব বিষয়ে জানা থাকা ভালো। বিশ্বায়িত বিশ্বের প্রবল হাওয়া কখন এ দেশেও চলে আসে, কে জানে! চলুন তবে জেনে আসা যাক, কর্মস্থলে নজরদারির ক্ষেত্রে বিশ্বে এখন কী অবস্থা।
কর্মস্থলে নজরদারি
প্রথমেই বলে নিই, কর্মস্থলে নজরদারি নতুন কোনো বস্তু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এমনটা চলে আসছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। আজ থেকে দু-তিন শ বছর আগে তৎকালীন ব্রিটেনে বা ইউরোপে নজরদারির নামে চাবুকপেটা হতেন শ্রমিকেরা। যুগের ও প্রযুক্তির কল্যাণে সেই জায়গা ধীরে ধীরে নিল সিসিটিভি ক্যামেরা। এসব যন্ত্রনির্মিত ‘চোখ’ দিয়ে বিভিন্ন দোকান ও কারখানায় শ্রমিকদের গতিবিধি নজরে রাখা হতো এবং এখনো হয়। আমরা বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে এমন খবরও পেয়েছি যে, সিসিটিভি দিয়ে কোন শ্রমিক কাজ ফেলে শৌচাগারে যাচ্ছে, তারও হিসাব রাখা হয় এবং সে কারণে অনেকের চাকরিও চলে যায়!
এ তো গেল সাধারণ কর্মী বা শ্রমিকদের কথা। শ্রমিক আমরা কম-বেশি সবাই। তবে কারও কারও গায়ে থাকে সাদা কলারের শার্ট ও রঙিন টাই। হ্যাঁ হ্যাঁ, হোয়াইট কলার জবের কথাই বলছি। এরা সাধারণ শ্রমিকের ওপরে থেকে কাজ সামলান। তবে মালিক ব্যতীত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তালিকার তো শেষ নেই। ফলে তাঁদের ওপরে থাকা কর্মকর্তারা চালান অধস্তনদের ওপর নজরদারি। চলতি শতকের শুরু থেকেই এসব চালু হয়েছে। আর প্রযুক্তির উন্নতি যত দ্রুত হয়েছে, ততই আঁটসাঁট হয়েছে নজরদারি। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে কর্মীদের ওপর নজরদারিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ফোনের কললিস্ট ও ই-মেইল। নজরদারির কিছু কাজ গুগল ওয়ার্কস্পেস, মাইক্রোসফট টিমস বা স্ল্যাক দিয়েও করা হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে একজন কর্মীর জুম-কল থেকে শুরু করে কম্পিউটারের কি-বোর্ডে টাইপিং—সবকিছুতেই নজর রাখা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না কর্মীদের ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক ডিভাইসও। যেমন: ভেরাইটো নামের একটি সফটওয়্যার দিয়ে কর্মীরা গোপন তথ্য ফাঁস করছেন কিনা, তা নির্ণয় করা যায়। আবার ডিপস্কোর নামের একটি সফটওয়্যার ব্যক্তির মুখচ্ছবি ও কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করে কর্মী কতটা আস্থাভাজন, তা নির্ণয় করতে পারে!
অর্থাৎ, কর্মীর আগাপাশতলা—সবকিছুই নিয়োগকর্তারা নজর রাখতে চাচ্ছেন। এমনকি অফিসের কাজে কর্মী কতটুকু উৎপাদনক্ষম এবং কাজ করতে গিয়ে তিনি বিরক্ত বা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন কি না, সেটিও জানতে চাইছেন কোনো কোনো নিয়োগকর্তা। এ ক্ষেত্রে চাকরিজীবী ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বলে আর কিছু কি থাকছে?
নজরদারি বেড়েছে
বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, মূলত করোনা মহামারির পর থেকে কর্মীদের ওপর এ ধরনের কঠোর নজরদারির মাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। মহামারির শুরু থেকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যাপক প্রচলন চালু হয়। তখন থেকেই নিয়োগকর্তাদের মাথায় বাসা বাঁধে কর্মীরা আদৌ ঠিকমতো কাজ করছে কি না—সেই শঙ্কা। ফলে শুরু হয় নজরদারির নিত্যনতুন উপায় ব্যবহার।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনার বলছে, মহামারির আগে বড় বড় বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতি ১০টির মধ্যে মাত্র একটি কর্মীদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর সফটওয়্যার ব্যবহার করত। আর গত তিন বছরের মধ্যে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ।
তবে এতে উজানের টান শুরু হয়েছিল আরেকটু আগে থেকেই। খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান অ্যাকসেনসিওর নিজেদের এক জরিপের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, করোনা মহামারি শুরুর আগেই প্রায় ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের হর্তাকর্তারা কর্মীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহে বিভিন্ন নজরদারি সফটওয়্যার ব্যবহারের পক্ষে ছিলেন। ইউরোপীয় কমিশনের চালানো অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মীদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর সফটওয়্যারে বৈশ্বিক চাহিদা ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। মহামারির শুরুতে দেওয়া লকডাউনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কর্মীদের মনিটরিং করার জন্য ব্যবহৃত টুলস খোঁজার বিষয়টি প্রায় ১৮ গুণ বেড়েছিল। এ ক্ষেত্রে কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক। যেমন: টাইম ডক্টর নামের একটি সফটওয়্যার যেটি ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার স্ক্রিন টাইমের ভিডিওচিত্র ধারণ করে। এর চাহিদা ২০২০ সালের এপ্রিলে এর আগের বছরের তুলনায় তিনগুণ বেড়েছিল। এমন আরেকটি সফটওয়্যার হলো ডেস্কটাইম, যা কম্পিউটারে একজন কর্মীর একটি কাজ সম্পন্নের সময় হিসাবে রাখে। এই সফটওয়্যারের চাহিদা ওই একই সময়ে চারগুণ বেড়েছিল।
এ তো গেল ২০২০ সালের অবস্থা। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে করা এক জরিপে দেখা গেছে, সেসবের ৬০ শতাংশ কর্মীদের ওপর নজরদারিতে নানা ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে। আর ওই একই সময় আরও ১৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল এবং এই নজরদারিকে একটি মোক্ষম উপায় হিসেবে বিবেচনা করছিল। হয়তো ২০২২ সাল নাগাদ তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছেই গেছে!
প্রশ্ন উঠতেই পারে, কেন কর্মীদের ওপর এত নজরদারি? বা এত নজরদারির প্রয়োজনীয়তাই-বা কতটুকু?
বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রয়োজনীয়তা একদম যে নেই, তা জোর গলায় বলা যাবে না। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই আছে। যেমন—কিছু কিছু বিশেষায়িত চাকরির ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ও কাজের সঠিক মান বজায় রাখার স্বার্থেই নজরদারির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বিশেষ করে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের মতো বিভিন্ন আর্থিক ও অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মীর ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখতে হয়। অর্থ চুরি বা পাচার ঠেকাতেই এমনটা করতে হয়। আবার কিছু বহুজাতিক কোম্পানিতে প্রতিষ্ঠানের স্পর্শকাতর তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখার স্বার্থেই সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ওপর নজরদারি চালাতে হয়। আবার সোশ্যাল মিডিয়া মডারেশনের কাজ যাঁরা করেন, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই তাঁদের ডিজিটাল কর্মকাণ্ডে নজর রাখতে হয়। আরেকটি বড় কারণ দেখিয়ে কর্মীদের ওপর নজরদারিকে জায়েজ করা হয়। সেটি হলো, কর্মীদের দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি। সামষ্টিকভাবে কর্মীদের কাজের মানের ওপরই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি-অবনতি নির্ভর করে। এ জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানই বলে, এই নজরদারির মাধ্যমেই কর্মীদের উন্নত করার উপায় খোঁজা হয়। এতে ভালো-মন্দ কর্মী চিহ্নিত করাসহ অফিসে সহকর্মীদের বুলিং বা তাদের সঙ্গে করা অসদাচরণের মতো অপকর্মও রোখা সম্ভব হবে।
এসব কারণেই জেপিমরগান চেজের মতো বিশ্বখ্যাত ব্যাংক কর্মীদের ফোনকল, চ্যাট রেকর্ড ও ই-মেইল পরীক্ষার নিয়ম চালু রেখেছে। এমনকি কর্মী কতক্ষণ প্রতিষ্ঠান ভবনে অবস্থান করে, তারও হিসাব রাখা হয়। আবার গত বছর ক্রেডিট সুইসের মতো প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রবেশাধিকার চাইতে শুরু করে। এসবের দেখাদেখি অন্য অনেক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও নজরদারি চালু করছে বলে অভিযোগ উঠছে।
এভাবে যখন কর্মীদের বিষয়ে অগণিত ব্যক্তিগত তথ্য নিয়োগকর্তাদের নাগালে আসছে, তখন স্বাভাবিকভাবেই এর অপব্যবহার নিয়ে শঙ্কা জাগছে। কে না জানে, এই পৃথিবীতে তথ্যই সম্পদ। আর সেই তথ্য যদি এখন কর্মীদের বিরুদ্ধে নিয়োগকর্তারা ব্যবহার করতে শুরু করেন, তখন কী হবে? কারণ মানুষের ধর্মই হলো, যেকোনো সুযোগের সদ্ব্যবহার করা, তা ভালো হোক বা খারাপ!
ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি বাদে আছে নজরদারির শিকার হওয়া কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি। এ ক্ষেত্রে কর্মীরা অত্যন্ত উদ্বেগে ভুলে থাকেন বলে বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এতে করে কর্মীরা সর্বক্ষণ বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপে ভুগে থাকে। অনেকে নিজেকে মানুষ ভাবতেও ভুলে যান! ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, কর্মীদের তিন-চতুর্থাংশই নজরদারির বিপক্ষে শুধু নয়, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার ব্যবহারেরও বিপক্ষে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে নজরদারি চালানো হয়, তা নিয়েও উদ্বেগে আছেন সিংহভাগ কর্মী।
কিন্তু এভাবে কর্মীদের ওপর নজরদারি করা কতটা আইনসংগত?
উত্তর হলো, এই চল উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে বেশ কয়েক বছর ধরে শুরু হলেও এখনো এটি প্রতিরোধে বা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বা নিখুঁত কোনো আইন নেই। এবং এই আইন না থাকাটাকেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবে এ-সংক্রান্ত কিছু আইন প্রণয়নের কাজটি উন্নত দেশগুলোতে দেরিতে হলেও শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যে এমন একটি আইন করা হচ্ছে, যাতে কর্মীদের ওপর নজরদারি করতে হলে তা আগেভাগে জানানোর বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। কানেকটিকাট ও ডেলাওয়্যারেও একই ধরনের আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে কর্মীদের ওপর যেকোনো ধরনের ডিজিটাল মনিটরিং নিষিদ্ধের কথা ভাবছে। যুক্তরাজ্যে এমন আইন প্রণয়নের দাবি জোরদার হচ্ছে। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশনে কর্মীদের এ-সংক্রান্ত অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। তবে সেসব বিধি আরও হালনাগাদের পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। কারণ প্রযুক্তি যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে আইনিভাবে অধিকার সুরক্ষায় তাল মেলানো কঠিন হয়ে পড়ছে!
সব মিলিয়ে বলাই যায় যে, বর্তমান বিশ্বে চাকরিজীবীরা এখন আছেন আতশ কাচের নিচে। ছা-পোষা চাকরিজীবীদেরও এখন নিজেদের ছানাপোনাসহ যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য তুলে দিতে হচ্ছে চাকরিদাতাদের হাতে। এই অসম দাঁড়িপাল্লার একদিকে আছে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দুরন্ত গতি; আরেক দিকে আছে গায়েগতরে খাটা কর্মীদের অধিকার। বর্তমান পুঁজি কাঠামো এই দাঁড়িপাল্লায় ভারসাম্য আনতে দেয় কি না, সেটিই এখন দেখার। আর শেষ পর্যন্ত যদি অধিকার সুরক্ষা না-ই পায়, তবে কবি জীবনানন্দ দাশের কথায় তাল মেলানো ছাড়া তো গত্যন্তর নেই। আমাদের হয়তো মেনে নিতেই হবে, ‘মানুষের হাতে আজ মানুষ হতেছে নাজেহাল, পৃথিবীতে নেই কোনো বিশুদ্ধ চাকরি।’
তথ্যসূত্র: এবিসি নিউজ, কনসালটেন্সি ডট ইউকে, দ্য ইকোনমিস্ট, ওয়াশিংটন সেন্টার ফর ইকুইটেবল গ্রোথ, টিইউসি ডট ওআরজি ডট ইউকে, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, ইথিকাল সিস্টেমস ডট ওআরজি ও ফরচুন ম্যাগাজিন

নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা; বিশেষ করে চুলের জন্য কী হতে চলেছে ট্রেন্ডি, তা নিয়ে ফ্যাশন-সচেতনদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। কানাঘুষা চলছে, চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস
১০ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত।
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
জাপানি সমাজে ‘হারিয়ো’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা রয়েছে। এই সংস্কৃতিতে মানুষ সব সময় আশপাশের পরিবেশ ও অন্যের অনুভূতির প্রতি সচেতন; যাতে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকে। তবে এই অলিখিত নিয়মগুলো বিদেশিদের জন্য অনেক সময় বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
২০২৫ সালে মার্কিন ভ্রমণবিষয়ক ম্যাগাজিন কঁদে নাস্ত ট্রাভেলারের পাঠক জরিপে জাপান ‘বিশ্বের সেরা দেশ’ নির্বাচিত হওয়ার পর টোকিওতে বসবাসরত খাদ্য ও ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ টোকিও হালফি পর্যটকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আচরণগত পরামর্শ তুলে ধরেন।
নির্ধারিত সময়ের আগে পৌঁছানো
জাপানে সময়নিষ্ঠা শুধু ভদ্রতা নয়, এটি দায়িত্ববোধ। এখানে ‘ঠিক সময়ে পৌঁছানো’ বলতে বোঝায় ৫-১০ মিনিট আগে উপস্থিত হওয়া; বিশেষ করে রেস্তোরাঁয় বুকিং থাকলে। দেরি করাকে এখানে খুবই অসম্মানজনক হিসেবে দেখা হয়। তাই যাতায়াতের সময় সব ধরনের বিলম্বের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা জরুরি।
নীরব থাকা শিষ্টাচার
জাপানিরা শান্ত পরিবেশকে খুব গুরুত্ব দেন। ট্রেন, বাস, রেস্তোরাঁ বা যেকোনো পাবলিক স্থানে উচ্চ স্বরে কথা বলা উচিত নয়। ধীর ও শান্ত কণ্ঠে কথা বলাকে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ধরা হয়।
‘মোত্তাইনাই’ সংস্কৃতি বুঝুন
‘মোত্তাইনাই’ মানে অপচয় না করা। খাবার, সময় বা পরিশ্রম—কোনো কিছুই যেন নষ্ট না হয়। সেটাই এই দর্শনের মূল কথা। খাবারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্ডার না করা, প্রতিটি খাবারের পেছনের শ্রম ও উপাদানের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। এসবই এই সংস্কৃতির অংশ।
খাবারের টেবিলে শালীনতা
জাপানে খাওয়া শুধু দৈনন্দিন কাজ নয়, এটি সাংস্কৃতিক আচারের অংশ। তাই কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি—
গণপরিবহনে শিষ্টাচার
জাপানের গণপরিবহনে চলাচল করার সময় নীরবতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ফোন সাইলেন্ট রাখতে হয়, উচ্চ স্বরে কথা বলা অনুচিত। সাধারণ ট্রেন বা বাসে খাবার খাওয়া নিষেধ। লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে জাপানিরা খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ। আগে নামা যাত্রীদের নামতে দেওয়া হয়। এসকেলেটরেও নিয়ম আছে, টোকিওতে বাঁ পাশে দাঁড়ানো হয়, ওসাকায় ডান পাশে। স্থানীয়দের দেখে অনুসরণ করাই সবচেয়ে ভালো।
আবর্জনা নিজের দায়িত্ব
জাপানের রাস্তাঘাট পরিষ্কার হলেও সেখানে ডাস্টবিন খুব কম দেখা যায়। মানুষ সাধারণত নিজের আবর্জনা ব্যাগে রেখে দেয় এবং নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আলাদা ভাগে (প্লাস্টিক, কাগজ, ধাতু ইত্যাদি) ফেলে।
ব্যক্তিগত পরিসরের প্রতি সম্মান
জাপানিরা ব্যক্তিগত পরিসরকে খুব গুরুত্ব দেন। অপরিচিত কাউকে জড়িয়ে ধরা বা স্পর্শ করা অস্বস্তিকর হতে পারে। করমর্দনের বদলে হালকা নত হয়ে অভিবাদন জানানোই প্রচলিত। প্রকাশ্যে ঘনিষ্ঠ আচরণও সাধারণত গ্রহণযোগ্য নয়।
ট্রাফিক আইন মানা
খালি রাস্তা হলেও জাপানিরা সবুজসংকেত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। নিয়ম মেনে চলাই এখানে সামাজিক দায়িত্বের অংশ। পর্যটকদেরও সেটি অনুসরণ করা উচিত।
কথার আড়ালের অর্থ বোঝা জরুরি
জাপানিরা সাধারণত সরাসরি ‘না’ বলেন না। ‘কঠিন হবে’ বা ‘পরে দেখা যাবে’—এ ধরনের কথার আড়ালে ভদ্রভাবে প্রত্যাখ্যান লুকিয়ে থাকতে পারে। এখানে ‘হোননে’ (মনের কথা) ও ‘তাতেমায়ে’ (সামাজিক মুখোশ) এই দুই ধারণা খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সংঘাত এড়িয়ে সামাজিক সামঞ্জস্য বজায় রাখাই মুখ্য।
সূত্র: সিএন ট্রাভেলার

নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
জাপানি সমাজে ‘হারিয়ো’ নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা রয়েছে। এই সংস্কৃতিতে মানুষ সব সময় আশপাশের পরিবেশ ও অন্যের অনুভূতির প্রতি সচেতন; যাতে সামাজিক সৌহার্দ্য বজায় থাকে। তবে এই অলিখিত নিয়মগুলো বিদেশিদের জন্য অনেক সময় বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
২০২৫ সালে মার্কিন ভ্রমণবিষয়ক ম্যাগাজিন কঁদে নাস্ত ট্রাভেলারের পাঠক জরিপে জাপান ‘বিশ্বের সেরা দেশ’ নির্বাচিত হওয়ার পর টোকিওতে বসবাসরত খাদ্য ও ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ টোকিও হালফি পর্যটকদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ আচরণগত পরামর্শ তুলে ধরেন।
নির্ধারিত সময়ের আগে পৌঁছানো
জাপানে সময়নিষ্ঠা শুধু ভদ্রতা নয়, এটি দায়িত্ববোধ। এখানে ‘ঠিক সময়ে পৌঁছানো’ বলতে বোঝায় ৫-১০ মিনিট আগে উপস্থিত হওয়া; বিশেষ করে রেস্তোরাঁয় বুকিং থাকলে। দেরি করাকে এখানে খুবই অসম্মানজনক হিসেবে দেখা হয়। তাই যাতায়াতের সময় সব ধরনের বিলম্বের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা জরুরি।
নীরব থাকা শিষ্টাচার
জাপানিরা শান্ত পরিবেশকে খুব গুরুত্ব দেন। ট্রেন, বাস, রেস্তোরাঁ বা যেকোনো পাবলিক স্থানে উচ্চ স্বরে কথা বলা উচিত নয়। ধীর ও শান্ত কণ্ঠে কথা বলাকে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ধরা হয়।
‘মোত্তাইনাই’ সংস্কৃতি বুঝুন
‘মোত্তাইনাই’ মানে অপচয় না করা। খাবার, সময় বা পরিশ্রম—কোনো কিছুই যেন নষ্ট না হয়। সেটাই এই দর্শনের মূল কথা। খাবারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্ডার না করা, প্রতিটি খাবারের পেছনের শ্রম ও উপাদানের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। এসবই এই সংস্কৃতির অংশ।
খাবারের টেবিলে শালীনতা
জাপানে খাওয়া শুধু দৈনন্দিন কাজ নয়, এটি সাংস্কৃতিক আচারের অংশ। তাই কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি—
গণপরিবহনে শিষ্টাচার
জাপানের গণপরিবহনে চলাচল করার সময় নীরবতা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ফোন সাইলেন্ট রাখতে হয়, উচ্চ স্বরে কথা বলা অনুচিত। সাধারণ ট্রেন বা বাসে খাবার খাওয়া নিষেধ। লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে জাপানিরা খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ। আগে নামা যাত্রীদের নামতে দেওয়া হয়। এসকেলেটরেও নিয়ম আছে, টোকিওতে বাঁ পাশে দাঁড়ানো হয়, ওসাকায় ডান পাশে। স্থানীয়দের দেখে অনুসরণ করাই সবচেয়ে ভালো।
আবর্জনা নিজের দায়িত্ব
জাপানের রাস্তাঘাট পরিষ্কার হলেও সেখানে ডাস্টবিন খুব কম দেখা যায়। মানুষ সাধারণত নিজের আবর্জনা ব্যাগে রেখে দেয় এবং নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আলাদা ভাগে (প্লাস্টিক, কাগজ, ধাতু ইত্যাদি) ফেলে।
ব্যক্তিগত পরিসরের প্রতি সম্মান
জাপানিরা ব্যক্তিগত পরিসরকে খুব গুরুত্ব দেন। অপরিচিত কাউকে জড়িয়ে ধরা বা স্পর্শ করা অস্বস্তিকর হতে পারে। করমর্দনের বদলে হালকা নত হয়ে অভিবাদন জানানোই প্রচলিত। প্রকাশ্যে ঘনিষ্ঠ আচরণও সাধারণত গ্রহণযোগ্য নয়।
ট্রাফিক আইন মানা
খালি রাস্তা হলেও জাপানিরা সবুজসংকেত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। নিয়ম মেনে চলাই এখানে সামাজিক দায়িত্বের অংশ। পর্যটকদেরও সেটি অনুসরণ করা উচিত।
কথার আড়ালের অর্থ বোঝা জরুরি
জাপানিরা সাধারণত সরাসরি ‘না’ বলেন না। ‘কঠিন হবে’ বা ‘পরে দেখা যাবে’—এ ধরনের কথার আড়ালে ভদ্রভাবে প্রত্যাখ্যান লুকিয়ে থাকতে পারে। এখানে ‘হোননে’ (মনের কথা) ও ‘তাতেমায়ে’ (সামাজিক মুখোশ) এই দুই ধারণা খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সংঘাত এড়িয়ে সামাজিক সামঞ্জস্য বজায় রাখাই মুখ্য।
সূত্র: সিএন ট্রাভেলার

২৪৪১১৩৯–এ ফোন করে বেলা বোসকে চাকরি পাওয়ার খবর দিতে চেয়েছিলেন অঞ্জন দত্ত। গানের বিষয়টা ছিল, সোনার হরিণের মতো চাকরি পেলেই হয়তো প্রেমিকার সঙ্গে সারাটা জীবন কাটানোর মতো রসদ মিলবে।
২৩ মে ২০২২
২০২৬ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা; বিশেষ করে চুলের জন্য কী হতে চলেছে ট্রেন্ডি, তা নিয়ে ফ্যাশন-সচেতনদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। কানাঘুষা চলছে, চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস
১০ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত।
১৫ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

২০২৬ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা; বিশেষ করে চুলের জন্য কী হতে চলেছে ট্রেন্ডি, তা নিয়ে ফ্যাশন-সচেতনদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। কানাঘুষা চলছে, চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস পলিশ ইয়ার’; যেখানে কৃত্রিমতার চেয়ে চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিগত রুচি বেশি প্রাধান্য পাবে। তবে বছরের শুরুতে যাঁরা নতুন হেয়ারকাট নিয়ে সবার সামনে হাজির হতে চাইছেন, তাঁরা অপেক্ষা না করে এই হেয়ারকাটগুলোর যেকোনোটি বেছে নিতে পারেন।
গ্র্যাজুয়েট বব
গতানুগতিক বব কাটের চিরচেনা রূপ ছাপিয়ে ২০২৬ সালে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকতে পারে ‘গ্র্যাজুয়েট বব’। এতে পেছনের দিকের চুলগুলো কিছুটা ছোট ও সূক্ষ্ম টেক্সচারযুক্ত থাকে এবং সামনের দিকের চুলগুলো ক্রমান্বয়ে কিছুটা লম্বা হয়ে আসে। মানে, দুই কানের পাশের চুলগুলো মাথার পেছনের অংশের চুলের তুলনায় পয়েন্ট আকারে লম্বা হয়ে নামে। এই কাট চুলে চমৎকার ভলিউম যোগ করে। যাঁরা ঘরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে—উভয় ক্ষেত্রে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী, স্মার্ট এবং একই সঙ্গে বেশ পরিপাটি হিসেবে উপস্থাপন করতে চান, তাঁদের জন্য এই কাট হবে সেরা পছন্দ।
ডিসকানেক্টেড ফ্রিঞ্জ
যাঁরা একটু বোল্ড ও ব্যতিক্রম লুকে নিজেকে দেখতে চান, তাঁদের জন্য এই ডিসকানেক্টেড ফ্রিঞ্জ লুক। এই হেয়ারস্টাইলের মূল বিশেষত্ব হলো কপালের সামনের ছোট করে ছাঁটা চুলগুলো; যা বাকি চুলের সঙ্গে মিশে না গিয়ে কিছুটা আলাদা বা ‘ডিসকানেক্টেড’ অবস্থায় থাকে। এটি আপনার চেহারায় একটি আত্মবিশ্বাসী ও বোল্ড লুক নিয়ে আসবে।
সাইড ফ্রিঞ্জ
কোমল আর মায়াবী একটি লুকের জন্য সাইড ফ্রিঞ্জের আবেদন চিরন্তন। চুলের দৈর্ঘ্য যেমনই হোক, এক পাশে আলতো করে ঝুলে থাকা এই চুলগুলো চেহারায় একটি চমৎকার ‘ফেস-ফ্রেমিং’ ইফেক্ট তৈরি করে, যা মুখের গড়নকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। যাঁরা চুলে খুব বেশি কাটছাঁট না করে পরিবর্তন আনতে চান, এই স্টাইল তাঁদের জন্য।
প্রতিবছর বিভিন্ন হেয়ারকাট ট্রেন্ডে আসে। তবে ট্রেন্ডে থাকলে কিংবা ভালো লাগলেই যেকোনো হেয়ারকাট দেওয়াটা উচিত নয়। মুখের গড়ন ও চুলের ধরন বুঝে হেয়ারকাট বেছে নিতে হবে। না হলে পুরো লুকটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।–শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী
স্ক্যাল্পটেড কার্লস
যাঁদের চুল প্রাকৃতিকভাবেই কোঁকড়া, তাঁদের জন্য সুসংবাদ। আগামী বছরের ফ্যাশনে কৃত্রিমভাবে চুল সোজা করার চেয়ে চুলের স্বাভাবিক টেক্সচার বা গঠনই বেশি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট শেপ বা আকৃতিতে সাজানো এই ‘স্ক্যাল্পচারাল কার্লস’ আপনার পুরো লুকে যোগ করবে অনন্য এক মাত্রা। এটি চুলের স্বাভাবিক ভলিউম বজায় রেখে চুলে আনে প্রাণবন্ত ভাব। যাঁরা নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে একটু ভালোভাবে তুলে ধরতে চান, তাঁদের জন্য এই স্টাইল হবে আগামী বছরের সেরা পছন্দ।

সফট কার্ভ বব
হলিউডের পুরোনো সিনেমা দেখতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা বেছে নিতে পারেন এই হেয়ারকাট। ঘাড় পর্যন্ত কাটা চুলের আগার অংশ সামান্য কার্ভ করা থাকে এই হেয়ারস্টাইলে। শুধু এক পাশে সিঁথি কেটে পরিপাটি করে আঁচড়ে নিলেই চুল নিয়ে আর কোনো ভাবনা নেই।

চুলে প্রাধান্য পাবে চকচকে রঙ
চুলের রঙের ক্ষেত্রে আগামী বছর রাজত্ব করতে চলেছে গাঢ় বাদামি বা ল্যাভিস ব্রুনেট শেডের নানা বৈচিত্র্য। ধারণা করা হচ্ছে, বিশেষ করে কফি মোকা বা এসপ্রেসোর মতো উজ্জ্বল ও চকচকে রংগুলো ফ্যাশন-সচেতনদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে। এই শেডগুলোর বিশেষত্ব হলো এদের অসাধারণ উজ্জ্বলতা ও গ্লসি ফিনিশ, যা চুলে একটি প্রাকৃতিক কিন্তু অত্যন্ত ‘লাক্সারিয়াস’ বা বিলাসবহুল ভাব ফুটিয়ে তোলে। সেই সঙ্গে এই রংগুলো বাংলাদেশি স্কিন টোনগুলোর সঙ্গে খুব ভালো মানায় এবং চুলে একটা স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভাব আনে।

২০২৬ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা; বিশেষ করে চুলের জন্য কী হতে চলেছে ট্রেন্ডি, তা নিয়ে ফ্যাশন-সচেতনদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। কানাঘুষা চলছে, চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস পলিশ ইয়ার’; যেখানে কৃত্রিমতার চেয়ে চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য এবং ব্যক্তিগত রুচি বেশি প্রাধান্য পাবে। তবে বছরের শুরুতে যাঁরা নতুন হেয়ারকাট নিয়ে সবার সামনে হাজির হতে চাইছেন, তাঁরা অপেক্ষা না করে এই হেয়ারকাটগুলোর যেকোনোটি বেছে নিতে পারেন।
গ্র্যাজুয়েট বব
গতানুগতিক বব কাটের চিরচেনা রূপ ছাপিয়ে ২০২৬ সালে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকতে পারে ‘গ্র্যাজুয়েট বব’। এতে পেছনের দিকের চুলগুলো কিছুটা ছোট ও সূক্ষ্ম টেক্সচারযুক্ত থাকে এবং সামনের দিকের চুলগুলো ক্রমান্বয়ে কিছুটা লম্বা হয়ে আসে। মানে, দুই কানের পাশের চুলগুলো মাথার পেছনের অংশের চুলের তুলনায় পয়েন্ট আকারে লম্বা হয়ে নামে। এই কাট চুলে চমৎকার ভলিউম যোগ করে। যাঁরা ঘরে কিংবা কর্মক্ষেত্রে—উভয় ক্ষেত্রে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী, স্মার্ট এবং একই সঙ্গে বেশ পরিপাটি হিসেবে উপস্থাপন করতে চান, তাঁদের জন্য এই কাট হবে সেরা পছন্দ।
ডিসকানেক্টেড ফ্রিঞ্জ
যাঁরা একটু বোল্ড ও ব্যতিক্রম লুকে নিজেকে দেখতে চান, তাঁদের জন্য এই ডিসকানেক্টেড ফ্রিঞ্জ লুক। এই হেয়ারস্টাইলের মূল বিশেষত্ব হলো কপালের সামনের ছোট করে ছাঁটা চুলগুলো; যা বাকি চুলের সঙ্গে মিশে না গিয়ে কিছুটা আলাদা বা ‘ডিসকানেক্টেড’ অবস্থায় থাকে। এটি আপনার চেহারায় একটি আত্মবিশ্বাসী ও বোল্ড লুক নিয়ে আসবে।
সাইড ফ্রিঞ্জ
কোমল আর মায়াবী একটি লুকের জন্য সাইড ফ্রিঞ্জের আবেদন চিরন্তন। চুলের দৈর্ঘ্য যেমনই হোক, এক পাশে আলতো করে ঝুলে থাকা এই চুলগুলো চেহারায় একটি চমৎকার ‘ফেস-ফ্রেমিং’ ইফেক্ট তৈরি করে, যা মুখের গড়নকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। যাঁরা চুলে খুব বেশি কাটছাঁট না করে পরিবর্তন আনতে চান, এই স্টাইল তাঁদের জন্য।
প্রতিবছর বিভিন্ন হেয়ারকাট ট্রেন্ডে আসে। তবে ট্রেন্ডে থাকলে কিংবা ভালো লাগলেই যেকোনো হেয়ারকাট দেওয়াটা উচিত নয়। মুখের গড়ন ও চুলের ধরন বুঝে হেয়ারকাট বেছে নিতে হবে। না হলে পুরো লুকটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।–শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী
স্ক্যাল্পটেড কার্লস
যাঁদের চুল প্রাকৃতিকভাবেই কোঁকড়া, তাঁদের জন্য সুসংবাদ। আগামী বছরের ফ্যাশনে কৃত্রিমভাবে চুল সোজা করার চেয়ে চুলের স্বাভাবিক টেক্সচার বা গঠনই বেশি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট শেপ বা আকৃতিতে সাজানো এই ‘স্ক্যাল্পচারাল কার্লস’ আপনার পুরো লুকে যোগ করবে অনন্য এক মাত্রা। এটি চুলের স্বাভাবিক ভলিউম বজায় রেখে চুলে আনে প্রাণবন্ত ভাব। যাঁরা নিজের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে একটু ভালোভাবে তুলে ধরতে চান, তাঁদের জন্য এই স্টাইল হবে আগামী বছরের সেরা পছন্দ।

সফট কার্ভ বব
হলিউডের পুরোনো সিনেমা দেখতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা বেছে নিতে পারেন এই হেয়ারকাট। ঘাড় পর্যন্ত কাটা চুলের আগার অংশ সামান্য কার্ভ করা থাকে এই হেয়ারস্টাইলে। শুধু এক পাশে সিঁথি কেটে পরিপাটি করে আঁচড়ে নিলেই চুল নিয়ে আর কোনো ভাবনা নেই।

চুলে প্রাধান্য পাবে চকচকে রঙ
চুলের রঙের ক্ষেত্রে আগামী বছর রাজত্ব করতে চলেছে গাঢ় বাদামি বা ল্যাভিস ব্রুনেট শেডের নানা বৈচিত্র্য। ধারণা করা হচ্ছে, বিশেষ করে কফি মোকা বা এসপ্রেসোর মতো উজ্জ্বল ও চকচকে রংগুলো ফ্যাশন-সচেতনদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে। এই শেডগুলোর বিশেষত্ব হলো এদের অসাধারণ উজ্জ্বলতা ও গ্লসি ফিনিশ, যা চুলে একটি প্রাকৃতিক কিন্তু অত্যন্ত ‘লাক্সারিয়াস’ বা বিলাসবহুল ভাব ফুটিয়ে তোলে। সেই সঙ্গে এই রংগুলো বাংলাদেশি স্কিন টোনগুলোর সঙ্গে খুব ভালো মানায় এবং চুলে একটা স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভাব আনে।

২৪৪১১৩৯–এ ফোন করে বেলা বোসকে চাকরি পাওয়ার খবর দিতে চেয়েছিলেন অঞ্জন দত্ত। গানের বিষয়টা ছিল, সোনার হরিণের মতো চাকরি পেলেই হয়তো প্রেমিকার সঙ্গে সারাটা জীবন কাটানোর মতো রসদ মিলবে।
২৩ মে ২০২২
নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
৯ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না। বসের মুড আজ খিটখিটে হতে পারে, তাই অতিরিক্ত ক্রেডিট নিতে গিয়ে আবার অতিরিক্ত কাজ ঘাড়ে চাপিয়ে নেবেন না। কাজের ভান করাটাও একটা শিল্প, আজ সেটা রপ্ত করুন। রাস্তায় হাঁটার সময় ফোনের দিকে নয়, রাস্তার গর্তের দিকে তাকান।
বৃষ
আজ আপনার ‘রাজযোগ’ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা, তবে শর্ত হলো—বিছানা ছাড়তে হবে। আলস্য আজ আপনার প্রধান শত্রু। পুরোনো কোনো বন্ধুর হঠাৎ উদয় হতে পারে এবং ৯৯ পারসেন্ট সম্ভাবনা সে আপনার কাছে টাকা ধার চাইবে। টাকা দেওয়ার আগে আয়না দেখে ‘না’ বলার প্র্যাকটিস করে নিন। খাবার দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে মনে রাখবেন পকেট আপনারই। কাচ্চি বিরিয়ানির বদলে মৌসুমি সবজি খেয়ে পেটকে একটু শান্তি দিন।
মিথুন
আজ আপনার মুখে খই ফুটবে। যুক্তি দিয়ে বাড়ির লোকেদের এমনকি দেয়ালে টাঙানো ক্যালেন্ডারকেও হার মানিয়ে দেবেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার কথা শোনার চেয়ে সবাই আপনার টাইপিং মিসটেক ধরায় বেশি উৎসাহ দেখাবে। প্রেমজীবনে সামান্য ঝগড়ার যোগ আছে। কারণ, আপনি হয়তো সঙ্গীর নাম ভুল করে অন্য কারোর নামে ডেকে ফেলতে পারেন! কথা কম বলে কান খোলা রাখুন। ফোনের রিচার্জ শেষ হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় সব ঝগড়া মিটিয়ে নিন।
কর্কট
হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে—হতে পারে আলমারির পুরোনো কোটের পকেটে বা ধোয়া প্যান্টের ভেতর থেকে একটা কড়কড়ে নোট পেয়ে যাবেন! ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি ভালো, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মাথা খাটান, মন নয়। বাড়িতে হুটহাট অতিথির আগমনে পকেটে টান পড়তে পারে এবং প্রিয় খাবারটি তাদের পাতে চলে যেতে পারে। হাসিমুখে অতিথি বিদায় করাটাই আজকের প্রধান কাজ। মিষ্টি খাওয়ার আগে আপনার সুগার এবং প্যান্টের কোমরের মাপের কথা ভাবুন।
সিংহ
আজ নিজেকে বনের রাজা ভাবলেও বাড়িতে এসে দেখবেন আপনি বড়জোর ‘বিড়াল’। বাড়ির লোকের কাছে অকারণ ঝাড়ি খাওয়ার যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রে গাধার মতো পরিশ্রম করলেও ক্রেডিট নেওয়ার সময় দেখবেন অন্য কেউ ফিতা কাটছে। তবে বিকেলের দিকে প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো চমক অপেক্ষা করছে—হয়তো কোনো ব্লক হওয়া আইডি থেকে আনব্লক হতে পারেন! গর্জন না করে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করলে আজ শান্তি পাবেন। আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে বেশিক্ষণ হাসবেন না, লোকে পাগল ভাবতে পারে।
কন্যা
আজ আপনার সবকিছুতেই ‘পারফেকশন’ চাই। চায়ের কাপে এক ফোঁটা দাগ বা কার্পেটের এক কোণে সামান্য ধুলা দেখলে আপনার বিপি বেড়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতের চিন্তায় মগ্ন থেকে ডাল পুড়িয়ে ফেলার রেকর্ড আজ আপনি গড়তে পারেন। সমালোচনা করার স্বভাবটা আজ একটু কমানোর চেষ্টা করুন। ভুল ধরা বন্ধ করে নিজের ভুলগুলো একবার গুনুন। লজিক দিয়ে কথা বলুন, ম্যাজিক বা অতিপ্রাকৃত কিছু আশা করবেন না।
তুলা
আজ আপনার ভেতরকার ‘শপার’ বা ক্রেতা সত্তাটি জেগে উঠবে। পকেটে টাকা থাকুক বা না থাকুক, অনলাইন শপিং অ্যাপে উইশলিস্ট ভরিয়ে দেবেন। দামি জিনিস কিনতে গিয়ে সস্তা নকল জিনিস কিনে ঠকার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে মান-অভিমান চললে আজ একটা ডার্ক চকলেট দিয়েই সব মিটিয়ে নিতে পারেন। পকেটের ওজন বুঝেই পা ফেলুন, ক্রেডিট কার্ড আজ আপনার শত্রু। শপিং মলে ঢোকার আগে ফোনটা সাইলেন্ট করে দিন।
বৃশ্চিক
আজ আপনার মধ্যে ফেলুদা বা শার্লক হোমস জেগে উঠবে। কে কার সঙ্গে চ্যাট করছে আর কার স্ট্যাটাস হাইড করা—সব খবর আজ রাখতে চাইবেন। গোপন শত্রুরা পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আপনিও তো কম যান না! আজ পাল্টা হুল ফোটানোর জন্য আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত। গোয়েন্দাগিরি ব্যক্তিগত জীবনে না করে কাজে লাগান। অন্যের ফোনে উঁকি মারা স্বাস্থ্যের জন্য (বিশেষ করে ঘাড়ের জন্য) ক্ষতিকর।
ধনু
বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিনের আর্থিক বা সম্পত্তি-সংক্রান্ত ঝামেলা আজ এক কাপ চায়ের আড্ডায় মিটে যেতে পারে। বিকেলের দিকে আকাশকুসুম কল্পনা করবেন—গাড়ি কেনা বা বিদেশে সেটল হওয়া নিয়ে (ব্যাংকে ৫০০ টাকা ব্যালেন্স থাকলেও)। তবে জীবনসঙ্গীর আবদার মেটাতে গিয়ে আজ হাঁসফাঁস অবস্থা হতে পারে। স্বপ্ন দেখুন, কিন্তু বাস্তবের মাটিটা শক্ত করে ধরুন। বন্ধুদের পার্টি দেওয়ার চক্করে মাসের বাজেট শেষ করবেন না।
মকর
অফিসে কাজের চাপে আজ আপনার অবস্থা হতে পারে ‘ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন’ দেখার মতো। বসের ই-মেইল দেখলে মনে হতে পারে হিমালয়ে চলে যাই, কিন্তু পরক্ষণেই স্যালারির মেসেজটার কথা ভেবে কাজে মন দেবেন। আজ সহকর্মীদের সঙ্গে রাজনীতির বদলে কাজের আলোচনা করাই শ্রেয়। ধৈর্যই আজ আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। অফিসের ফ্রি চা-কফি বেশি খাবেন না, অ্যাসিডিটি হতে পারে।
কুম্ভ
আজ ভীষণ সমাজসেবী ও দায়িত্বশীল হয়ে উঠবেন। বাড়ির ঝুল ঝাড়া থেকে শুরু করে পাড়ার মোড়ে আড্ডা দেওয়া—সবতেই আপনার সক্রিয় উপস্থিতি। পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগবেন। শেয়ার বাজারে টাকা থাকলে আজ একটু নজর রাখুন, গ্রাফ আপনার দিকে ঘুরতেও পারে। দায়িত্ব পালন করুন কিন্তু সেটা যেন লোকদেখানো না হয়। আলস্য ত্যাগ করুন, তবে কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে যাবেন না।
মীন
যাঁরা সিঙ্গেল আছেন, আজ তাঁদের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসার শুভ যোগ আছে। আর যাঁরা বিবাহিত, তাঁরা সঙ্গীর সঙ্গে কোনো পুরোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে ঝগড়া মিটিয়ে নিন। ব্যবসায় অংশীদারের সঙ্গে আজ সামান্য কারণে কথা-কাটাকাটি হতে পারে, তাই মুখে কুলুপ আঁটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কল্পনা আর বাস্তবের মাঝে একটা সীমারেখা টানুন। মাছের মতো শুধু পানি না খেয়ে মাঝে মাঝে লেবু-জলও খান।

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না। বসের মুড আজ খিটখিটে হতে পারে, তাই অতিরিক্ত ক্রেডিট নিতে গিয়ে আবার অতিরিক্ত কাজ ঘাড়ে চাপিয়ে নেবেন না। কাজের ভান করাটাও একটা শিল্প, আজ সেটা রপ্ত করুন। রাস্তায় হাঁটার সময় ফোনের দিকে নয়, রাস্তার গর্তের দিকে তাকান।
বৃষ
আজ আপনার ‘রাজযোগ’ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা, তবে শর্ত হলো—বিছানা ছাড়তে হবে। আলস্য আজ আপনার প্রধান শত্রু। পুরোনো কোনো বন্ধুর হঠাৎ উদয় হতে পারে এবং ৯৯ পারসেন্ট সম্ভাবনা সে আপনার কাছে টাকা ধার চাইবে। টাকা দেওয়ার আগে আয়না দেখে ‘না’ বলার প্র্যাকটিস করে নিন। খাবার দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে মনে রাখবেন পকেট আপনারই। কাচ্চি বিরিয়ানির বদলে মৌসুমি সবজি খেয়ে পেটকে একটু শান্তি দিন।
মিথুন
আজ আপনার মুখে খই ফুটবে। যুক্তি দিয়ে বাড়ির লোকেদের এমনকি দেয়ালে টাঙানো ক্যালেন্ডারকেও হার মানিয়ে দেবেন। কর্মক্ষেত্রে আপনার কথা শোনার চেয়ে সবাই আপনার টাইপিং মিসটেক ধরায় বেশি উৎসাহ দেখাবে। প্রেমজীবনে সামান্য ঝগড়ার যোগ আছে। কারণ, আপনি হয়তো সঙ্গীর নাম ভুল করে অন্য কারোর নামে ডেকে ফেলতে পারেন! কথা কম বলে কান খোলা রাখুন। ফোনের রিচার্জ শেষ হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় সব ঝগড়া মিটিয়ে নিন।
কর্কট
হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে—হতে পারে আলমারির পুরোনো কোটের পকেটে বা ধোয়া প্যান্টের ভেতর থেকে একটা কড়কড়ে নোট পেয়ে যাবেন! ব্যবসায়ীদের জন্য দিনটি ভালো, তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মাথা খাটান, মন নয়। বাড়িতে হুটহাট অতিথির আগমনে পকেটে টান পড়তে পারে এবং প্রিয় খাবারটি তাদের পাতে চলে যেতে পারে। হাসিমুখে অতিথি বিদায় করাটাই আজকের প্রধান কাজ। মিষ্টি খাওয়ার আগে আপনার সুগার এবং প্যান্টের কোমরের মাপের কথা ভাবুন।
সিংহ
আজ নিজেকে বনের রাজা ভাবলেও বাড়িতে এসে দেখবেন আপনি বড়জোর ‘বিড়াল’। বাড়ির লোকের কাছে অকারণ ঝাড়ি খাওয়ার যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রে গাধার মতো পরিশ্রম করলেও ক্রেডিট নেওয়ার সময় দেখবেন অন্য কেউ ফিতা কাটছে। তবে বিকেলের দিকে প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো চমক অপেক্ষা করছে—হয়তো কোনো ব্লক হওয়া আইডি থেকে আনব্লক হতে পারেন! গর্জন না করে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করলে আজ শান্তি পাবেন। আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে বেশিক্ষণ হাসবেন না, লোকে পাগল ভাবতে পারে।
কন্যা
আজ আপনার সবকিছুতেই ‘পারফেকশন’ চাই। চায়ের কাপে এক ফোঁটা দাগ বা কার্পেটের এক কোণে সামান্য ধুলা দেখলে আপনার বিপি বেড়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতের চিন্তায় মগ্ন থেকে ডাল পুড়িয়ে ফেলার রেকর্ড আজ আপনি গড়তে পারেন। সমালোচনা করার স্বভাবটা আজ একটু কমানোর চেষ্টা করুন। ভুল ধরা বন্ধ করে নিজের ভুলগুলো একবার গুনুন। লজিক দিয়ে কথা বলুন, ম্যাজিক বা অতিপ্রাকৃত কিছু আশা করবেন না।
তুলা
আজ আপনার ভেতরকার ‘শপার’ বা ক্রেতা সত্তাটি জেগে উঠবে। পকেটে টাকা থাকুক বা না থাকুক, অনলাইন শপিং অ্যাপে উইশলিস্ট ভরিয়ে দেবেন। দামি জিনিস কিনতে গিয়ে সস্তা নকল জিনিস কিনে ঠকার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে মান-অভিমান চললে আজ একটা ডার্ক চকলেট দিয়েই সব মিটিয়ে নিতে পারেন। পকেটের ওজন বুঝেই পা ফেলুন, ক্রেডিট কার্ড আজ আপনার শত্রু। শপিং মলে ঢোকার আগে ফোনটা সাইলেন্ট করে দিন।
বৃশ্চিক
আজ আপনার মধ্যে ফেলুদা বা শার্লক হোমস জেগে উঠবে। কে কার সঙ্গে চ্যাট করছে আর কার স্ট্যাটাস হাইড করা—সব খবর আজ রাখতে চাইবেন। গোপন শত্রুরা পেছনে কাঠি করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আপনিও তো কম যান না! আজ পাল্টা হুল ফোটানোর জন্য আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত। গোয়েন্দাগিরি ব্যক্তিগত জীবনে না করে কাজে লাগান। অন্যের ফোনে উঁকি মারা স্বাস্থ্যের জন্য (বিশেষ করে ঘাড়ের জন্য) ক্ষতিকর।
ধনু
বাবার সঙ্গে দীর্ঘদিনের আর্থিক বা সম্পত্তি-সংক্রান্ত ঝামেলা আজ এক কাপ চায়ের আড্ডায় মিটে যেতে পারে। বিকেলের দিকে আকাশকুসুম কল্পনা করবেন—গাড়ি কেনা বা বিদেশে সেটল হওয়া নিয়ে (ব্যাংকে ৫০০ টাকা ব্যালেন্স থাকলেও)। তবে জীবনসঙ্গীর আবদার মেটাতে গিয়ে আজ হাঁসফাঁস অবস্থা হতে পারে। স্বপ্ন দেখুন, কিন্তু বাস্তবের মাটিটা শক্ত করে ধরুন। বন্ধুদের পার্টি দেওয়ার চক্করে মাসের বাজেট শেষ করবেন না।
মকর
অফিসে কাজের চাপে আজ আপনার অবস্থা হতে পারে ‘ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন’ দেখার মতো। বসের ই-মেইল দেখলে মনে হতে পারে হিমালয়ে চলে যাই, কিন্তু পরক্ষণেই স্যালারির মেসেজটার কথা ভেবে কাজে মন দেবেন। আজ সহকর্মীদের সঙ্গে রাজনীতির বদলে কাজের আলোচনা করাই শ্রেয়। ধৈর্যই আজ আপনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। অফিসের ফ্রি চা-কফি বেশি খাবেন না, অ্যাসিডিটি হতে পারে।
কুম্ভ
আজ ভীষণ সমাজসেবী ও দায়িত্বশীল হয়ে উঠবেন। বাড়ির ঝুল ঝাড়া থেকে শুরু করে পাড়ার মোড়ে আড্ডা দেওয়া—সবতেই আপনার সক্রিয় উপস্থিতি। পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগবেন। শেয়ার বাজারে টাকা থাকলে আজ একটু নজর রাখুন, গ্রাফ আপনার দিকে ঘুরতেও পারে। দায়িত্ব পালন করুন কিন্তু সেটা যেন লোকদেখানো না হয়। আলস্য ত্যাগ করুন, তবে কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে যাবেন না।
মীন
যাঁরা সিঙ্গেল আছেন, আজ তাঁদের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসার শুভ যোগ আছে। আর যাঁরা বিবাহিত, তাঁরা সঙ্গীর সঙ্গে কোনো পুরোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে ঝগড়া মিটিয়ে নিন। ব্যবসায় অংশীদারের সঙ্গে আজ সামান্য কারণে কথা-কাটাকাটি হতে পারে, তাই মুখে কুলুপ আঁটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কল্পনা আর বাস্তবের মাঝে একটা সীমারেখা টানুন। মাছের মতো শুধু পানি না খেয়ে মাঝে মাঝে লেবু-জলও খান।

২৪৪১১৩৯–এ ফোন করে বেলা বোসকে চাকরি পাওয়ার খবর দিতে চেয়েছিলেন অঞ্জন দত্ত। গানের বিষয়টা ছিল, সোনার হরিণের মতো চাকরি পেলেই হয়তো প্রেমিকার সঙ্গে সারাটা জীবন কাটানোর মতো রসদ মিলবে।
২৩ মে ২০২২
নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা; বিশেষ করে চুলের জন্য কী হতে চলেছে ট্রেন্ডি, তা নিয়ে ফ্যাশন-সচেতনদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। কানাঘুষা চলছে, চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস
১০ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত।
১৫ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত। খেয়াল করলে দেখবেন, প্রতিবছর বিয়ের পোশাক ও সাজে নতুন কিছু যোগ হয়েছে, আবার বাদ পড়েছে সাজের কিছু পুরোনো চল। ২০২৫ সালেও বিয়ের ট্রেন্ডে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহার সঙ্গে কথা বলে চলতি বছর বিয়ের সাজে কী কী বিষয় যোগ ও বিয়োগ হয়েছে, তা নিয়ে লিখেছেন ফারিয়া রহমান খান।
এবার বিয়ের ট্রেন্ডে যা কিছু যোগ হয়েছে
তাজা ফুলের আভিজাত্য
বিগত কয়েক বছরে চুল সাজাতে এবং হলুদের গয়না হিসেবে নারীরা আর্টিফিশিয়াল ফুল ব্যবহার করেছেন। শাড়ি বা লেহেঙ্গার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এসব গয়না ব্যবহারে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে নারীদের মধ্য়ে। কিন্তু এখন চুল ও গয়নায় তো বটেই, হলুদ বা মেহেদির অনুষ্ঠানে ফ্লোরাল ওড়নায়ও আর্টিফিশিয়াল ফুলের চেয়ে তাজা ফুল ব্যবহারে আগ্রহ দেখা গেছে। শোভন সাহা বলেন, ‘এ বছর বিয়ের ডেকোরেশনেও বড় জায়গা করে নিয়েছে বড় বড় ফুলের ঝাড়বাতি এবং ফুলের পাপড়ি বিছানো হাঁটার পথ সবার নজর কেড়েছে, যা আগামী বছরেও ট্রেন্ডে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
আভিজাত্যের ছোঁয়া
বিয়েতে রাজকীয় সাজের প্রতি বাঙালির টান চিরন্তন। ২০২৫ সালের মতো আগামী বছরেও ট্রেন্ডে থাকবে মীনাকারি কাজ, ঐতিহ্যবাহী বেনারসি, জামদানি, কাঞ্জিভরম ও মসলিন শাড়ি। সেই সঙ্গে বরের সাজে রাজকীয় ভাব আনতে ভারী কাজের শেরওয়ানি বা জারদৌসি কাজের পাঞ্জাবি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব বিয়ে
বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে। ফলে প্লাস্টিকমুক্ত সাজসজ্জা, স্থানীয় খাবারের মেনু এবং মাটিতে রোপণ করা এমন ‘প্লান্টেবল’ নিমন্ত্রণপত্র এখন ট্রেন্ডে ইন হয়েছে। বরের জন্য সুতির পাঞ্জাবি-পায়জামা ও কনের জন্য পরিবেশবান্ধব কাপড়ে তৈরি পোশাক, যা অন্যান্য সময়েও পরার উপযোগী—এমন সাজপোশাকেও আগ্রহ বাড়ছে বর্তমান সময়ের তরুণদের।
কাস্টমাইজেশন ইজ বেস্ট
একঘেয়ে গতানুগতিক বিয়ের বদলে এখন মানুষ নিজের পছন্দ ও আরামকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। বিয়েতে নিজস্ব ‘হ্যাশট্যাগ’ এবং নিজেদের পরিচয় কিংবা ভালোবাসার গল্প দিয়ে বানানো ছোট ভিডিও বা স্লাইড শো এখন বিয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকে বিয়ের সময়টাকে ছোট করায় আগ্রহী। ঘরোয়া চায়ের আড্ডাতেই সেরে নিচ্ছেন বিয়ের অনুষ্ঠান। এরপর বর-কনে মিলে বিকেলে বেরিয়ে পড়ছেন হানিমুন ট্রিপে। এতে খরচও কমছে, আনন্দও বাড়ছে।
রং ও উজ্জ্বলতা
এক রঙের পোশাকের দিন এখন শেষ। এবার বিয়েতে রঙের বৈচিত্র্য থাকবে তুঙ্গে। ফুশিয়া পিঙ্কের সঙ্গে পান্না সবুজ কিংবা হলুদ ও রাজকীয় বেগুনির সংমিশ্রণ পোশাকে যোগ করবে নতুন মাত্রা। এ ছাড়া কনের লেহেঙ্গা বা শাড়িতে সোনালি, রুপালি কিংবা ব্রোঞ্জ রঙের মেটালিক ছোঁয়া বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। তা ছাড়া বার্বি পিঙ্ক বা গোলাপি রঙের বিভিন্ন শেড এখন আবার ট্রেন্ড হিসেবে ফিরে আসছে।

সাজে মিলমিশ
বিয়ের সাজে এখন বিভিন্ন স্থানের সাজের মিলমিশ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেমন কনে হয়তো সাদা গাউন পরছেন, সঙ্গে হাতে পরছেন টকটকে লাল কাচের চুড়ি। আবার বাঙালি সাজের সঙ্গে মারাঠি সাজ ব্লেন্ড করেও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে দ্বিধা করছেন না কনেরা। এমনটাই জানান শোভন সাহা।
বাদ পড়েছে যেগুলো
অতিরিক্ত কারুকাজ ও ঝলকানি
একসময় বিয়েতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পাথরের কিংবা চুমকি-পুঁতির ভারী কাজের পোশাকের চল ছিল। কিন্তু বর্তমানে এসব ‘ওভার দ্য টপ’ সাজ একদমই ‘আউট’। তবে এখন সূক্ষ্ম সুতার কাজ অথবা মেশিন এমব্রয়ডারির চাহিদা অনেক বেশি। ডেকোরেশনের ক্ষেত্রেও সবকিছু একই রঙে করার দিন শেষ। ভিন্ন ভিন্ন রং ও টেক্সচারের ব্যবহারই এখন আধুনিকতা।
কনের ভারী ওড়না
২০২৫ বলছে, ভারী বিয়ের ওড়না এখন বাতিলের খাতায়। এর বদলে নেট, অরগাঞ্জা কিংবা হালকা লেসের কাজ করা লম্বা ওড়না একটা এলিগ্যান্ট লুক এনে দেয়।
বরের গতানুগতিক সাজ
বরের সেই ক্রিম রঙের শেরওয়ানি এখন একেবারেই সেকেলে। এখন বরদের পোশাকে গাঢ় রং ও প্রিন্টের কাপড় বেশি জনপ্রিয়। পাঞ্জাবির ওপর রঙিন বা ফ্লোরাল প্রিন্টের কটি বরের সাজে আভিজাত্য ও আধুনিকতা নিয়ে আসে।
ভারী গয়না
শোভন সাহা জানান, সেকেলে ভারী গয়নার বদলে এখন চিকন বা লেয়ারিং করা গয়নার ট্রেন্ড চলছে। কানে হালকা দুল, গলায় পাতলা হারের কয়েকটা লেয়ার আপনার সাজকে অনেক বেশি মার্জিত ও ফ্যাশনেবল করতে পারে। গয়নার ক্ষেত্রে এখন মূল ট্রেন্ডই হলো ‘লেস ইজ মোর।’
পরিশেষে বলা যায়, বিয়ে মানে শুধুই অন্যের চোখে সেরা হওয়া নয়, বরং নিজের ব্যক্তিত্ব ও রুচির প্রকাশ ঘটানো। ট্রেন্ড যা-ই হোক না কেন, স্বকীয়তা সব সময় বজায় রাখা দরকার। বিয়ে যেহেতু ‘ওয়ানস ইন আ লাইফটাইম’ একটা বিষয়, সেহেতু আনন্দ ও স্টাইলটাও হওয়া চাই একেবারেই অনন্য। তাই এই নতুন ধারাগুলো মাথায় রেখে আজই শুরু করে দিতে পারেন বিয়ের পরিকল্পনা।

ডিসেম্বর মানেই বিয়ের মৌসুম। আর বিয়ে মানেই সাজগোজ। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার এই মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে বর-কনে বিয়ের সাজ নিয়ে কতই-না পরিকল্পনা করেন! বিয়ের সাজের সবকিছু অর্থাৎ কনের লেহেঙ্গা কিংবা শাড়ি বা বরের শেরওয়ানি—সবকিছুই হতে হবে নিখুঁত। খেয়াল করলে দেখবেন, প্রতিবছর বিয়ের পোশাক ও সাজে নতুন কিছু যোগ হয়েছে, আবার বাদ পড়েছে সাজের কিছু পুরোনো চল। ২০২৫ সালেও বিয়ের ট্রেন্ডে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহার সঙ্গে কথা বলে চলতি বছর বিয়ের সাজে কী কী বিষয় যোগ ও বিয়োগ হয়েছে, তা নিয়ে লিখেছেন ফারিয়া রহমান খান।
এবার বিয়ের ট্রেন্ডে যা কিছু যোগ হয়েছে
তাজা ফুলের আভিজাত্য
বিগত কয়েক বছরে চুল সাজাতে এবং হলুদের গয়না হিসেবে নারীরা আর্টিফিশিয়াল ফুল ব্যবহার করেছেন। শাড়ি বা লেহেঙ্গার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এসব গয়না ব্যবহারে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে নারীদের মধ্য়ে। কিন্তু এখন চুল ও গয়নায় তো বটেই, হলুদ বা মেহেদির অনুষ্ঠানে ফ্লোরাল ওড়নায়ও আর্টিফিশিয়াল ফুলের চেয়ে তাজা ফুল ব্যবহারে আগ্রহ দেখা গেছে। শোভন সাহা বলেন, ‘এ বছর বিয়ের ডেকোরেশনেও বড় জায়গা করে নিয়েছে বড় বড় ফুলের ঝাড়বাতি এবং ফুলের পাপড়ি বিছানো হাঁটার পথ সবার নজর কেড়েছে, যা আগামী বছরেও ট্রেন্ডে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
আভিজাত্যের ছোঁয়া
বিয়েতে রাজকীয় সাজের প্রতি বাঙালির টান চিরন্তন। ২০২৫ সালের মতো আগামী বছরেও ট্রেন্ডে থাকবে মীনাকারি কাজ, ঐতিহ্যবাহী বেনারসি, জামদানি, কাঞ্জিভরম ও মসলিন শাড়ি। সেই সঙ্গে বরের সাজে রাজকীয় ভাব আনতে ভারী কাজের শেরওয়ানি বা জারদৌসি কাজের পাঞ্জাবি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
পরিবেশবান্ধব বিয়ে
বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা প্রবলভাবে দেখা যাচ্ছে। ফলে প্লাস্টিকমুক্ত সাজসজ্জা, স্থানীয় খাবারের মেনু এবং মাটিতে রোপণ করা এমন ‘প্লান্টেবল’ নিমন্ত্রণপত্র এখন ট্রেন্ডে ইন হয়েছে। বরের জন্য সুতির পাঞ্জাবি-পায়জামা ও কনের জন্য পরিবেশবান্ধব কাপড়ে তৈরি পোশাক, যা অন্যান্য সময়েও পরার উপযোগী—এমন সাজপোশাকেও আগ্রহ বাড়ছে বর্তমান সময়ের তরুণদের।
কাস্টমাইজেশন ইজ বেস্ট
একঘেয়ে গতানুগতিক বিয়ের বদলে এখন মানুষ নিজের পছন্দ ও আরামকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। বিয়েতে নিজস্ব ‘হ্যাশট্যাগ’ এবং নিজেদের পরিচয় কিংবা ভালোবাসার গল্প দিয়ে বানানো ছোট ভিডিও বা স্লাইড শো এখন বিয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকে বিয়ের সময়টাকে ছোট করায় আগ্রহী। ঘরোয়া চায়ের আড্ডাতেই সেরে নিচ্ছেন বিয়ের অনুষ্ঠান। এরপর বর-কনে মিলে বিকেলে বেরিয়ে পড়ছেন হানিমুন ট্রিপে। এতে খরচও কমছে, আনন্দও বাড়ছে।
রং ও উজ্জ্বলতা
এক রঙের পোশাকের দিন এখন শেষ। এবার বিয়েতে রঙের বৈচিত্র্য থাকবে তুঙ্গে। ফুশিয়া পিঙ্কের সঙ্গে পান্না সবুজ কিংবা হলুদ ও রাজকীয় বেগুনির সংমিশ্রণ পোশাকে যোগ করবে নতুন মাত্রা। এ ছাড়া কনের লেহেঙ্গা বা শাড়িতে সোনালি, রুপালি কিংবা ব্রোঞ্জ রঙের মেটালিক ছোঁয়া বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। তা ছাড়া বার্বি পিঙ্ক বা গোলাপি রঙের বিভিন্ন শেড এখন আবার ট্রেন্ড হিসেবে ফিরে আসছে।

সাজে মিলমিশ
বিয়ের সাজে এখন বিভিন্ন স্থানের সাজের মিলমিশ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেমন কনে হয়তো সাদা গাউন পরছেন, সঙ্গে হাতে পরছেন টকটকে লাল কাচের চুড়ি। আবার বাঙালি সাজের সঙ্গে মারাঠি সাজ ব্লেন্ড করেও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে দ্বিধা করছেন না কনেরা। এমনটাই জানান শোভন সাহা।
বাদ পড়েছে যেগুলো
অতিরিক্ত কারুকাজ ও ঝলকানি
একসময় বিয়েতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পাথরের কিংবা চুমকি-পুঁতির ভারী কাজের পোশাকের চল ছিল। কিন্তু বর্তমানে এসব ‘ওভার দ্য টপ’ সাজ একদমই ‘আউট’। তবে এখন সূক্ষ্ম সুতার কাজ অথবা মেশিন এমব্রয়ডারির চাহিদা অনেক বেশি। ডেকোরেশনের ক্ষেত্রেও সবকিছু একই রঙে করার দিন শেষ। ভিন্ন ভিন্ন রং ও টেক্সচারের ব্যবহারই এখন আধুনিকতা।
কনের ভারী ওড়না
২০২৫ বলছে, ভারী বিয়ের ওড়না এখন বাতিলের খাতায়। এর বদলে নেট, অরগাঞ্জা কিংবা হালকা লেসের কাজ করা লম্বা ওড়না একটা এলিগ্যান্ট লুক এনে দেয়।
বরের গতানুগতিক সাজ
বরের সেই ক্রিম রঙের শেরওয়ানি এখন একেবারেই সেকেলে। এখন বরদের পোশাকে গাঢ় রং ও প্রিন্টের কাপড় বেশি জনপ্রিয়। পাঞ্জাবির ওপর রঙিন বা ফ্লোরাল প্রিন্টের কটি বরের সাজে আভিজাত্য ও আধুনিকতা নিয়ে আসে।
ভারী গয়না
শোভন সাহা জানান, সেকেলে ভারী গয়নার বদলে এখন চিকন বা লেয়ারিং করা গয়নার ট্রেন্ড চলছে। কানে হালকা দুল, গলায় পাতলা হারের কয়েকটা লেয়ার আপনার সাজকে অনেক বেশি মার্জিত ও ফ্যাশনেবল করতে পারে। গয়নার ক্ষেত্রে এখন মূল ট্রেন্ডই হলো ‘লেস ইজ মোর।’
পরিশেষে বলা যায়, বিয়ে মানে শুধুই অন্যের চোখে সেরা হওয়া নয়, বরং নিজের ব্যক্তিত্ব ও রুচির প্রকাশ ঘটানো। ট্রেন্ড যা-ই হোক না কেন, স্বকীয়তা সব সময় বজায় রাখা দরকার। বিয়ে যেহেতু ‘ওয়ানস ইন আ লাইফটাইম’ একটা বিষয়, সেহেতু আনন্দ ও স্টাইলটাও হওয়া চাই একেবারেই অনন্য। তাই এই নতুন ধারাগুলো মাথায় রেখে আজই শুরু করে দিতে পারেন বিয়ের পরিকল্পনা।

২৪৪১১৩৯–এ ফোন করে বেলা বোসকে চাকরি পাওয়ার খবর দিতে চেয়েছিলেন অঞ্জন দত্ত। গানের বিষয়টা ছিল, সোনার হরিণের মতো চাকরি পেলেই হয়তো প্রেমিকার সঙ্গে সারাটা জীবন কাটানোর মতো রসদ মিলবে।
২৩ মে ২০২২
নীরবতা পালন, সময়ের আগে পৌঁছানো এবং নিজের আবর্জনা নিজে বহন করা—এগুলো জাপানের এমন কিছু সামাজিক শিষ্টাচার, যা অনেক বিদেশি পর্যটক অজান্তেই ভঙ্গ করে বসেন।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৬ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ড কী হতে চলেছে, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনাকল্পনা; বিশেষ করে চুলের জন্য কী হতে চলেছে ট্রেন্ডি, তা নিয়ে ফ্যাশন-সচেতনদের আগ্রহের যেন শেষ নেই। কানাঘুষা চলছে, চুলের ক্ষেত্রে ২০২৬ সাল হয়তো হবে ‘এফোর্টলেস
১০ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস বুর্জ খলিফার সমান উঁচুতে থাকবে। অফিসে বসের সামনে এমন ভাব করবেন যেন পুরো কোম্পানি আপনার বুদ্ধিতেই চলছে, অথচ আপনি হয়তো ই-মেইল পাসওয়ার্ডটাই মনে করতে পারছেন না।
১৩ ঘণ্টা আগে