Ajker Patrika

চারুচন্দ্র গুহ: ঢাকার এক বিস্মৃত ফটোওয়ালা

তারেক আজিজ
চারুচন্দ্র গুহ: ঢাকার এক বিস্মৃত ফটোওয়ালা

আলবার্ট হলের আলো-আঁধারি সিঁড়ি পেরিয়ে বন্ধু অমৃত দত্তের সঙ্গে সোমেন উঠে এলেন তিন তলার স্টুডিওতে। সোমেন ঢাকার ছেলে, বয়স মাত্র ১৮ বছর। এই বয়সেই গল্প লিখে বেশ নাম করেছেন। এই তো গত বছর ‘সাপ্তাহিক দেশ’ পত্রিকায় একটা গল্প ছাপা হয়েছে—‘শিশু তপন’। সেবার বড়দিনের ছুটিতে বেড়াতে এসেছেন কলকাতা। কলেজ স্ট্রিটের র‍্যালফ ফক্সের একটা বই খুঁজছিলেন। স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তোলার প্রস্তাব দিলেন অমৃত। প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রদের মুখে অমৃত অনেক শুনেছেন এই স্টুডিওর কথা, এর ফটোগ্রাফারের কথা। প্রস্তাবে সাড়া দিলেন সোমেন। ফটোগ্রাফারের নির্দেশমতো পরনের রংজ্বলা ধূসর উলের চাদরটা সরিয়ে রাখলেন সোমেন; বেত বোনা চেয়ারটার পেছন ভাগে হাত রেখে বসলেন। ওদিকে কালো কাপড়ে মাথা ঢেকে তেপায়া ক্যামেরার পেছন–ভাগে দাঁড়ালেন ফটোগ্রাফার। লেন্সের খাপটা খুলে নিয়ে আওড়ালেন ‘ওয়ান, টু, থ্রি…’। ১৯৩৮ সালে ডিসেম্বরের এক বিকেলে তোলা হলো সোমেন চন্দের জীবনের একমাত্র ছবি। এর তিন বছর পরই ঢাকার বুকে আততায়ীর আক্রমণে অমিত সম্ভাবনাময় এই সাহিত্যিকের জীবন প্রদীপ নিভে যায়। আঠারো বছরের সোমেনের মুখটি যার ক্যামেরায় অমর হয়ে রইল, তাঁর নাম চারুচন্দ্র গুহ (১৮৮৪–১৯৫৭)। স্টুডিও ব্যবসার প্রাথমিক যুগে যে ক’জন বাঙালি ফটোগ্রাফার দিশারি হয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের অন্যতম নাম চারু গুহ। নামটি আজকের ঢাকাবাসীর কাছে নতুন ঠেকলেও বুড়িগঙ্গার ওপারে তেঘরিয়ায় জন্ম নেওয়া চারু গুহর কর্মজীবনের শুরুটা কিন্তু হয়েছিল এই ঢাকাতেই।

চারু গুহর তোলা সোমেন চন্দের প্রতিকৃতিচারুর জন্ম ১৮৮৪ সালে। মাত্র দশ বছর বয়সে বাবাকে হারান তিনি। মা শরৎশশী পাঁচ ছেলেমেয়ে নিয়ে বিপদে পড়ে যান। চা বাগানের কিছু শেয়ার কেনা ছিল, সেগুলো বিক্রি করে সংসার চলতে থাকে। ১৬ বছর বয়সে চারু চলে যান কলকাতায় মামা সুরেন ঘোষের কাছে। সেখানে থেকেই পড়ালেখা চালাতে থাকেন, ভর্তি হন কলকাতার গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টে। ১৯০৫ সালে পাস করবার পরপর দার্জিলিঙে ছবি আঁকার একটা কাজ পেলেন চারু। এই দার্জিলিঙে গিয়ে তাঁর জীবনের গতিপথ বদলে যায়। চারুর সখ্য গড়ে ওঠে সেখানকার এক ইউরোপীয় ফটোগ্রাফারের সঙ্গে।

ভদ্রলোকের নিজস্ব স্টুডিও ছিল। তবে কিছুদিন পর তিনি স্টুডিও ব্যবসা গুটিয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে দীর্ঘদিনের আলাপচারিতায় চারুও ঝুঁকে পড়লেন ছবি তোলায়। ফটোগ্রাফারের ফেলে যাওয়া ব্যবসার ক্যামেরা, আর আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কিনে নিতে চাইলেন তিনি। টাকা চেয়ে পূর্ব বাংলায় মাকে চিঠি লিখলেন। সংসারের শত অভাব-অভিযোগের মধ্যেও চারুর চাপাচাপিতে শরৎশশী টাকার জোগাড় করলেন। ছবি তোলার কলাকৌশল শিখে ক্যামেরা, আর অন্যান্য যন্ত্রপাতিসহ চারু ফিরে এলেন তেঘরিয়ায়, মায়ের কাছে। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে তো আর স্টুডিও ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। ওদিকে ছোট ভাই পরেশও মেডিকেল স্কুল পাস করে ডাক্তার হয়েছেন। দুই ভাই মিলে বাসা ভাড়া করে মাকে নিয়ে সংসার পাতলেন ঢাকায়। আর সদরঘাটের কাছেই চারু খুললেন তাঁর স্বপ্নের নিজস্ব স্টুডিও।

চারুর ক্যামেরায় স্ত্রী সুধাংশু বালা ও সন্তানেরাচারু যে সময়ে ফটো স্টুডিওর ব্যবসা শুরু করেন, সে সময় ঢাকার মাত্র দুটি বাণিজ্যিক স্টুডিওর নাম জানা যায়—ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিও ও বেঙ্গল স্টুডিও। ওয়াইজঘাটের ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিওর ফটোগ্রাফার ছিলেন জার্মান নাগরিক ফ্রিৎজ ক্যাপ। ঢাকার নবাব আহসানউল্লাহর আর্থিক সহযোগিতায় বিশ শতকের শুরুতে ক্যাপ এই স্টুডিও চালু করেন। অন্যদিকে বেঙ্গল স্টুডিওর ফটোগ্রাফার ছিলেন পি মুখার্জি। চারু গুহ স্টুডিও চালুর পরের বছর নবাবপুর রোডে চালু হয় ‘আর সি দাস এন্ড সন্স’ নামে এক স্টুডিও। সেখানে ছবি তোলার পাশাপাশি ক্যামেরা, ছবি ছাপানোর কাগজ, রাসায়নিক—এসবও বিক্রি হতো। ক্রমে গড়ে ওঠে খাজা আফজালের স্টুডিও, খাজা সোলায়মান কাদেরের স্টুডিও ও টেকনিক্যাল আর্ট স্টুডিও। অনেক পরে ত্রিশের দশকে নবাবপুর রোডে চালু হয় ডস অ্যান্ড কোম্পানি। ছবি তোলাও কারও পেশা হতে পারে! বিষয়টি স্থানীয় ঢাকাবাসীর কাছে ছিল রীতিমতো অভিনব। তাঁরা পেশাটির চমৎকার এক নাম দেয় ‘ফটোওয়ালা’।

চারুর ব্যবহৃত ক্যামেরা১৯০১ সালে ঢাকাবাসী প্রথম বিদ্যুতের আলো দেখতে পেলেও প্রথম দু–তিন দশক তা সহজলভ্য ছিল না। অল্প কিছু আবাসিক ভবন, আর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু থাকত রাতের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। বিদ্যুতের অপ্রতুলতার কারণে বেশির ভাগ ব্যবসার মতো স্টুডিও ব্যবসাও ছিল সূর্যের আলোনির্ভর। এ ধরনের স্টুডিওকে বলা হতো ডে–লাইট স্টুডিও। চারুর স্টুডিওটি ছিল সেরকমই। স্টুডিওর নিচতলা ছিল ডার্ক রুম আর কাউন্টার। কখনো দোকানের সামনে, কখনো ওপরতলায় টিনের চাল বা বাঁশের বেড়ার সাহায্যে আলো নিয়ন্ত্রণ করে সফট লাইটে ছবি তোলা হতো। পেছনে ঝোলানো থাকত প্রয়োজনমতো নিজের ছবি আঁকা কাপড়ে তৈরি ব্যাকড্রপ। সাধারণের ছবি তোলার জন্য এই স্টুডিও খোলা থাকত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, এত স্বপ্ন আর উদ্যোগ নিয়ে চালু করার পরও চারুর স্টুডিও ব্যবসা লাভের মুখ দেখল না। স্টুডিও নিয়ে চারুর নিজের অতৃপ্তি ছিল। দার্জিলিঙে বিদ্যুতের সুবিধা ছিল, কৃত্রিম আলোকে নিয়ন্ত্রণ করে ফটোতে নানান শৈল্পিক মাত্রা যোগ করা যেত। আলোছায়ার খেলাকে ধারণ করবার সেই সুযোগ ঢাকায় সীমিত। এ সীমাবদ্ধতার সঙ্গে আয়ের বিষয়টিও যোগ হলো।

১৯২৯ সালে চারুর তোলা ছবিতে কবি সুফিয়া কামালফটোগ্রাফির প্রথম যুগে স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তোলা ছিল বাঙালির কাছে বিলাসিতা। ঢাকার প্রভাবশালী লোকজন আর এখানে অবস্থানরত ইউরোপীয়রা আগে থেকেই ক্যাপের স্টুডিওতে ছবি তুলতেন। এর পাশাপাশি অন্য বিত্তবানদেরও নানা প্রয়োজনে কলকাতা যাওয়া–আসা ছিল, সেখানকার প্রসিদ্ধ স্টুডিওতে ছবি তুলতে তাঁরা গর্ববোধ করতেন। তাই কোনো পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া স্টুডিও ব্যবসা নিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে ওঠে। এর মধ্যে ফটোওয়ালার সংসারও বড় হয়েছে। চারু বিয়ে করেছেন, জন্ম নিয়েছে সুধাংশু বালা ও চারুর প্রথম সন্তান। আট বছরের কিছু বেশি সময় চালানোর পর নানা প্রতিকূলতায় স্টুডিওটি বন্ধ হয়ে যায়। সেটা ১৯১৭ সালের কথা। এর পর পরিবার নিয়ে চারু চলে যান কলকাতা।

কলকাতায় পৌঁছে প্রথম শুরু করলেন ঘুরে ঘুরে ছবি তোলার কাজ। সারা দিন একটা ভারী ক্যামেরা নিয়ে ট্রামে চেপে আউটডোরে ছবি তুলতেন। বিকেলে ধর্মতলার এক স্টুডিওর ডার্ক রুমে বসে সেসব ডেভেলপ করতেন। নিজের সঞ্চয়ে একসময় হ্যারিসন রোডের (বর্তমান মহাত্মা গান্ধী রোড) যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেখানে নতুন করে স্টুডিও ব্যবসা চালু করেন। এবার প্রথমেই করলেন বিদ্যুতের ব্যবস্থা, হাজার ওয়াটের এক বাল্ব জুড়ে দিলেন স্টুডিওতে। স্টুডিওর নামও রাখলেন ‘ইলেক্ট্রো ফটো স্টুডিও’। হ্যারিসন রোডে ছবি তুলবার মানুষ পেতে চারুকে বেগ পেতে হলো না।

চারুর তোলা ছবিতে সাহিত্যিক শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, মনোজ বসু, কবি মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকাসহ আরও অনেকেশিয়ালদহ আর হাওড়া রেলস্টেশনে যাতায়াত করা মানুষেরা চারুর খ্যাতি ছড়িয়ে দিল। ব্যবসার পসারের সঙ্গে চারু চলে এলেন কলেজ স্ট্রিটের আলবার্ট হলের (বর্তমানে যে ভবনে ইন্ডিয়ান কফি হাউস) তিন তলায়। এ কালের মতো তখনো আলবার্ট হল ছিল সামাজিক, রাজনৈতিক নানা কর্মসূচির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। স্টুডিও পোর্ট্রেটের পাশাপাশি সেসব সভা-সমাবেশ ক্যামেরাবন্দী করার কাজটিও পেয়ে গেলেন চারু গুহ। সন্ধ্যার পর তাঁর স্টুডিও হয়ে উঠল সেকালের রথী-মহারথীদের মিলনমেলা। চারুর ক্যামেরায় অমর হয়ে রইলেন কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ আলী আকবর, গায়ক পঙ্কজ মল্লিকসহ বহু গুণীজন।

এক বিকেলে ‘সওগাত’ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন এলেন, সঙ্গে কবি সুফিয়া এন হোসেন (পরবর্তীকালে বেগম সুফিয়া কামাল)। সেটা ১৯২৯ সালের কথা। নাসিরউদ্দীন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ‘সওগাত’–এর একটি নারী সংখ্যা প্রকাশ করবেন, যেখানে লেখিকাদের ছবিসহ লেখা থাকবে। সেকালে মুসলিম নারীদের ছবি তোলার উদাহরণ বিরল। কবি সুফিয়া কামাল কখনো ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি। চারুও কোনো মুসলিম নারীর ছবি তোলেননি। এর সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে নাসিরুদ্দীনকে সতর্কও করেন চারু। কিন্তু নাসিরুদ্দীন তাঁর সিদ্ধান্তে অটল। প্রথম এক মুসলিম নারী কবির ছবি তোলার কোনো পারিশ্রমিক নিলেন না চারু। ছবিগুলো সযত্নে পাঠিয়ে দিলেন ‘সওগাত’ অফিসে। চারুর তোলা সেই ছবিসহ প্রথম নারী সংখ্যা ‘সওগাত’ প্রকাশ পায় সে বছরের সেপ্টেম্বরে। এ সংখ্যা প্রকাশের পর অনেক মুসলিম লেখিকা তাঁদের ছবি পত্রিকায় ছাপাতে সম্মত হন।

বোর্ডের কেন্দ্রে সোমেন চন্দের সেই ছবিকাজের উৎকর্ষের জন্য চারু সব সময় ছিলেন সচেষ্ট। ১৯৩১ সালে নিজ অর্থব্যয়ে জার্মানি গিয়ে শিখে আসেন ছবি তোলার আধুনিক সব কলাকৌশল। তাঁর সেসব কৌশল সেকালের বাঙালির জন্য ছিল অভিনব। কলেজ স্ট্রিটের আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের জন্যও ছবি তোলার গন্তব্য হয়ে ওঠে চারুর স্টুডিও। সেই কথা স্মরণ করেছেন ভাষাতত্ত্ববিদ সুকুমার সেন, ‘আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখন আলবার্ট হলের ওপরতলায় তাঁর স্টুডিওটি গ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের তীর্থস্থানের মতো ছিল। সেনেট হাউসে কনভোকেশনের পর স্নাতক ও স্নাতকোত্তরেরা দলে দলে তাঁর স্টুডিওতে গিয়ে গাউন হুড পরে ছবি তোলাতো।’

চারু গুহর জীবনাবসান হয় ১৯৫৭ সালে। মৃত্যুর পর বড় ছেলে চিত্তরঞ্জন চার দশক ধরে চালিয়ে নেন ছবি তোলার ব্যবসা। স্টুডিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার বেশ অনেক কাল পর চারুর উত্তরসূরিরা সেখানে গড়ে তোলেন এক প্রদর্শনীশালা। সাধারণ পেশাজীবী মানুষকে ছবি তোলায় আকৃষ্ট করার জন্য এক কালে চারু আলবার্ট হলের দেয়ালে জুড়ে দিয়েছিলেন, ‘Your mother, wife and Children-keep them nearby photograph’, ‘If you want a record, have it photographed’, ‘If you have beauty I will take it, if you have none, come, I will make it. ’ ইত্যাদি কত কত বিজ্ঞাপন! রং চটে যাওয়া মলিন সেসব বিজ্ঞাপনের কিছু আজও টিকে আছে। আর স্টুডিওতে ঢুকবার মুখে চারুর তোলা কিছু ছবি পিন দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। বড় বড় স্বপ্নভরা চোখ নিয়ে সোমেন চন্দ সেখানে দিব্যি তাকিয়ে আছেন, ঠিক যেমনটি ছিলেন চারুর লেন্সের সামনে, আজ থেকে আশি বছর আগে।

সহায়ক সূত্র:
১. চারু গুহ: জীবন ও আলোকচিত্র, বই-চিত্র, ২০০৭
২. বেগম, ৫০ বর্ষ পূর্তি সংখ্যা, ২০০০
৩. পুরান ঢাকার সাংস্কৃতিক প্রসঙ্গ, অনুপম হায়াৎ, বাংলা একাডেমি, ২০০১

তারেক আজিজ: অধ্যাপক, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এই ডিসেম্বরে যা কিছু করতে পারেন

ফারিয়া রহমান খান 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৯
ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।

উদ্দেশ্য স্থির করুন

নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।

ঘর সাজান

পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।

পিঠা-পার্বণের আমেজ ও আড্ডা

পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।

বই পড়ুন

ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।

নিজেকে সময় দিন

বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহায়তা করুন

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।

সহায়তার হাত বাড়ান

শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

বছরের প্রতিফলন

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।

পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন

পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।

সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতের রোদে ত্বক পুড়েছে? গোসলের সময় এই প্যাকগুলো ব্যবহারে মিলবে উপকার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস

বলতে দ্বিধা নেই, গরমের দিনে রোদ গায়ে লাগিয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার কথা ভুলে গেলেও শীতে যেন তা বেশি বেশি মনে পড়ে। হিম সকালে রোদ গায়ে মাখতে কারো মন্দ লাগে না। ফলে এই মৌসুমে গায়ে রোদ লাগানোও হয় বেশি। আর এতে অতিরিক্ত পাতলা ত্বকের মানুষেরা একটু ঝামেলায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।

লেবুর রস, মধু ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক

লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, যা শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় জরুরি। ১ চা-চামচ করে লেবুর রস, শসার রস, মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই প্যাক ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করুন।

দই, বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক

এই প্যাক একই সঙ্গে ট্যান দূর করতে, মৃত কোষ ঝরাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব ভালো কাজ করে। ২ চা-চামচ টক দই, ১ চা-চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদবাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এই প্যাক শরীরের অন্য অংশের রোদে পোড়া দাগের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।

লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ

ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূরে সহায়ক। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র‍্যাব করুন। ১৫ মিনিট আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবু মিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র‍্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।

আলুর রস ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক

আলুর রসে মৃদু ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সানট্যান হালকা করতে পারে। অন্যদিকে মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার করে। ২ চা-চামচ আলুর রস, ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি, অল্প পরিমাণে গোলাপজল বা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট বা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি ও স্ক্র‍্যাবার দিয়ে ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

নারকেলের দুধেও মিলবে উপকার

ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ছড়াবে।

শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ

শসা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকের রং হালকা করতে সহায়ক। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেই রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৫
আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

মেষ

আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।

বৃষ

আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।

মিথুন

মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।

কর্কট

কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।

সিংহ

সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।

কন্যা

আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।

তুলা

গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।

বৃশ্চিক

বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।

ধনু

ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।

মকর

মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।

কুম্ভ

কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।

মীন

মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতকালে কলা খাবেন কি না

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ২৭
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। ছবি: ফ্রিপিক
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। ছবি: ফ্রিপিক

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।

কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।

শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়

এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়, এ ধারণা ঠিক নয়। ছবি: ফ্রিপিক
শীতে কলার পুষ্টিগুণ বদলে যায়, এ ধারণা ঠিক নয়। ছবি: ফ্রিপিক

হজমে সমস্যা ও সর্দি-কাশি

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।

আয়ুর্বেদিক ধারণা

আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

বিশেষ পরিস্থিতিতে সতর্কতা

অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার ও ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে পরিচিত। ছবি: ফ্রিপিক
কলা কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার ও ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে পরিচিত। ছবি: ফ্রিপিক

শীতকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।

শীতকালে কলা খাওয়ার টিপস

রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।

শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

তথ্যসূত্র

  • ইউএসডিএ জাতীয় পুষ্টি ডেটাবেইস: কলার পুষ্টি উপাদানের প্রামাণিক তথ্য
  • জার্নাল অব মেডিকেল ফুড (২০১৬)
  • আয়ুর্বেদিক ফারমাকোপিয়া অব ইন্ডিয়া (ভোল.১)
  • অন্যান্য
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত