তারেক আজিজ

আলবার্ট হলের আলো-আঁধারি সিঁড়ি পেরিয়ে বন্ধু অমৃত দত্তের সঙ্গে সোমেন উঠে এলেন তিন তলার স্টুডিওতে। সোমেন ঢাকার ছেলে, বয়স মাত্র ১৮ বছর। এই বয়সেই গল্প লিখে বেশ নাম করেছেন। এই তো গত বছর ‘সাপ্তাহিক দেশ’ পত্রিকায় একটা গল্প ছাপা হয়েছে—‘শিশু তপন’। সেবার বড়দিনের ছুটিতে বেড়াতে এসেছেন কলকাতা। কলেজ স্ট্রিটের র্যালফ ফক্সের একটা বই খুঁজছিলেন। স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তোলার প্রস্তাব দিলেন অমৃত। প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রদের মুখে অমৃত অনেক শুনেছেন এই স্টুডিওর কথা, এর ফটোগ্রাফারের কথা। প্রস্তাবে সাড়া দিলেন সোমেন। ফটোগ্রাফারের নির্দেশমতো পরনের রংজ্বলা ধূসর উলের চাদরটা সরিয়ে রাখলেন সোমেন; বেত বোনা চেয়ারটার পেছন ভাগে হাত রেখে বসলেন। ওদিকে কালো কাপড়ে মাথা ঢেকে তেপায়া ক্যামেরার পেছন–ভাগে দাঁড়ালেন ফটোগ্রাফার। লেন্সের খাপটা খুলে নিয়ে আওড়ালেন ‘ওয়ান, টু, থ্রি…’। ১৯৩৮ সালে ডিসেম্বরের এক বিকেলে তোলা হলো সোমেন চন্দের জীবনের একমাত্র ছবি। এর তিন বছর পরই ঢাকার বুকে আততায়ীর আক্রমণে অমিত সম্ভাবনাময় এই সাহিত্যিকের জীবন প্রদীপ নিভে যায়। আঠারো বছরের সোমেনের মুখটি যার ক্যামেরায় অমর হয়ে রইল, তাঁর নাম চারুচন্দ্র গুহ (১৮৮৪–১৯৫৭)। স্টুডিও ব্যবসার প্রাথমিক যুগে যে ক’জন বাঙালি ফটোগ্রাফার দিশারি হয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের অন্যতম নাম চারু গুহ। নামটি আজকের ঢাকাবাসীর কাছে নতুন ঠেকলেও বুড়িগঙ্গার ওপারে তেঘরিয়ায় জন্ম নেওয়া চারু গুহর কর্মজীবনের শুরুটা কিন্তু হয়েছিল এই ঢাকাতেই।
চারুর জন্ম ১৮৮৪ সালে। মাত্র দশ বছর বয়সে বাবাকে হারান তিনি। মা শরৎশশী পাঁচ ছেলেমেয়ে নিয়ে বিপদে পড়ে যান। চা বাগানের কিছু শেয়ার কেনা ছিল, সেগুলো বিক্রি করে সংসার চলতে থাকে। ১৬ বছর বয়সে চারু চলে যান কলকাতায় মামা সুরেন ঘোষের কাছে। সেখানে থেকেই পড়ালেখা চালাতে থাকেন, ভর্তি হন কলকাতার গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টে। ১৯০৫ সালে পাস করবার পরপর দার্জিলিঙে ছবি আঁকার একটা কাজ পেলেন চারু। এই দার্জিলিঙে গিয়ে তাঁর জীবনের গতিপথ বদলে যায়। চারুর সখ্য গড়ে ওঠে সেখানকার এক ইউরোপীয় ফটোগ্রাফারের সঙ্গে।
ভদ্রলোকের নিজস্ব স্টুডিও ছিল। তবে কিছুদিন পর তিনি স্টুডিও ব্যবসা গুটিয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে দীর্ঘদিনের আলাপচারিতায় চারুও ঝুঁকে পড়লেন ছবি তোলায়। ফটোগ্রাফারের ফেলে যাওয়া ব্যবসার ক্যামেরা, আর আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কিনে নিতে চাইলেন তিনি। টাকা চেয়ে পূর্ব বাংলায় মাকে চিঠি লিখলেন। সংসারের শত অভাব-অভিযোগের মধ্যেও চারুর চাপাচাপিতে শরৎশশী টাকার জোগাড় করলেন। ছবি তোলার কলাকৌশল শিখে ক্যামেরা, আর অন্যান্য যন্ত্রপাতিসহ চারু ফিরে এলেন তেঘরিয়ায়, মায়ের কাছে। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে তো আর স্টুডিও ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। ওদিকে ছোট ভাই পরেশও মেডিকেল স্কুল পাস করে ডাক্তার হয়েছেন। দুই ভাই মিলে বাসা ভাড়া করে মাকে নিয়ে সংসার পাতলেন ঢাকায়। আর সদরঘাটের কাছেই চারু খুললেন তাঁর স্বপ্নের নিজস্ব স্টুডিও।
চারু যে সময়ে ফটো স্টুডিওর ব্যবসা শুরু করেন, সে সময় ঢাকার মাত্র দুটি বাণিজ্যিক স্টুডিওর নাম জানা যায়—ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিও ও বেঙ্গল স্টুডিও। ওয়াইজঘাটের ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিওর ফটোগ্রাফার ছিলেন জার্মান নাগরিক ফ্রিৎজ ক্যাপ। ঢাকার নবাব আহসানউল্লাহর আর্থিক সহযোগিতায় বিশ শতকের শুরুতে ক্যাপ এই স্টুডিও চালু করেন। অন্যদিকে বেঙ্গল স্টুডিওর ফটোগ্রাফার ছিলেন পি মুখার্জি। চারু গুহ স্টুডিও চালুর পরের বছর নবাবপুর রোডে চালু হয় ‘আর সি দাস এন্ড সন্স’ নামে এক স্টুডিও। সেখানে ছবি তোলার পাশাপাশি ক্যামেরা, ছবি ছাপানোর কাগজ, রাসায়নিক—এসবও বিক্রি হতো। ক্রমে গড়ে ওঠে খাজা আফজালের স্টুডিও, খাজা সোলায়মান কাদেরের স্টুডিও ও টেকনিক্যাল আর্ট স্টুডিও। অনেক পরে ত্রিশের দশকে নবাবপুর রোডে চালু হয় ডস অ্যান্ড কোম্পানি। ছবি তোলাও কারও পেশা হতে পারে! বিষয়টি স্থানীয় ঢাকাবাসীর কাছে ছিল রীতিমতো অভিনব। তাঁরা পেশাটির চমৎকার এক নাম দেয় ‘ফটোওয়ালা’।
১৯০১ সালে ঢাকাবাসী প্রথম বিদ্যুতের আলো দেখতে পেলেও প্রথম দু–তিন দশক তা সহজলভ্য ছিল না। অল্প কিছু আবাসিক ভবন, আর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু থাকত রাতের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। বিদ্যুতের অপ্রতুলতার কারণে বেশির ভাগ ব্যবসার মতো স্টুডিও ব্যবসাও ছিল সূর্যের আলোনির্ভর। এ ধরনের স্টুডিওকে বলা হতো ডে–লাইট স্টুডিও। চারুর স্টুডিওটি ছিল সেরকমই। স্টুডিওর নিচতলা ছিল ডার্ক রুম আর কাউন্টার। কখনো দোকানের সামনে, কখনো ওপরতলায় টিনের চাল বা বাঁশের বেড়ার সাহায্যে আলো নিয়ন্ত্রণ করে সফট লাইটে ছবি তোলা হতো। পেছনে ঝোলানো থাকত প্রয়োজনমতো নিজের ছবি আঁকা কাপড়ে তৈরি ব্যাকড্রপ। সাধারণের ছবি তোলার জন্য এই স্টুডিও খোলা থাকত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, এত স্বপ্ন আর উদ্যোগ নিয়ে চালু করার পরও চারুর স্টুডিও ব্যবসা লাভের মুখ দেখল না। স্টুডিও নিয়ে চারুর নিজের অতৃপ্তি ছিল। দার্জিলিঙে বিদ্যুতের সুবিধা ছিল, কৃত্রিম আলোকে নিয়ন্ত্রণ করে ফটোতে নানান শৈল্পিক মাত্রা যোগ করা যেত। আলোছায়ার খেলাকে ধারণ করবার সেই সুযোগ ঢাকায় সীমিত। এ সীমাবদ্ধতার সঙ্গে আয়ের বিষয়টিও যোগ হলো।
ফটোগ্রাফির প্রথম যুগে স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তোলা ছিল বাঙালির কাছে বিলাসিতা। ঢাকার প্রভাবশালী লোকজন আর এখানে অবস্থানরত ইউরোপীয়রা আগে থেকেই ক্যাপের স্টুডিওতে ছবি তুলতেন। এর পাশাপাশি অন্য বিত্তবানদেরও নানা প্রয়োজনে কলকাতা যাওয়া–আসা ছিল, সেখানকার প্রসিদ্ধ স্টুডিওতে ছবি তুলতে তাঁরা গর্ববোধ করতেন। তাই কোনো পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া স্টুডিও ব্যবসা নিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে ওঠে। এর মধ্যে ফটোওয়ালার সংসারও বড় হয়েছে। চারু বিয়ে করেছেন, জন্ম নিয়েছে সুধাংশু বালা ও চারুর প্রথম সন্তান। আট বছরের কিছু বেশি সময় চালানোর পর নানা প্রতিকূলতায় স্টুডিওটি বন্ধ হয়ে যায়। সেটা ১৯১৭ সালের কথা। এর পর পরিবার নিয়ে চারু চলে যান কলকাতা।
কলকাতায় পৌঁছে প্রথম শুরু করলেন ঘুরে ঘুরে ছবি তোলার কাজ। সারা দিন একটা ভারী ক্যামেরা নিয়ে ট্রামে চেপে আউটডোরে ছবি তুলতেন। বিকেলে ধর্মতলার এক স্টুডিওর ডার্ক রুমে বসে সেসব ডেভেলপ করতেন। নিজের সঞ্চয়ে একসময় হ্যারিসন রোডের (বর্তমান মহাত্মা গান্ধী রোড) যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেখানে নতুন করে স্টুডিও ব্যবসা চালু করেন। এবার প্রথমেই করলেন বিদ্যুতের ব্যবস্থা, হাজার ওয়াটের এক বাল্ব জুড়ে দিলেন স্টুডিওতে। স্টুডিওর নামও রাখলেন ‘ইলেক্ট্রো ফটো স্টুডিও’। হ্যারিসন রোডে ছবি তুলবার মানুষ পেতে চারুকে বেগ পেতে হলো না।
শিয়ালদহ আর হাওড়া রেলস্টেশনে যাতায়াত করা মানুষেরা চারুর খ্যাতি ছড়িয়ে দিল। ব্যবসার পসারের সঙ্গে চারু চলে এলেন কলেজ স্ট্রিটের আলবার্ট হলের (বর্তমানে যে ভবনে ইন্ডিয়ান কফি হাউস) তিন তলায়। এ কালের মতো তখনো আলবার্ট হল ছিল সামাজিক, রাজনৈতিক নানা কর্মসূচির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। স্টুডিও পোর্ট্রেটের পাশাপাশি সেসব সভা-সমাবেশ ক্যামেরাবন্দী করার কাজটিও পেয়ে গেলেন চারু গুহ। সন্ধ্যার পর তাঁর স্টুডিও হয়ে উঠল সেকালের রথী-মহারথীদের মিলনমেলা। চারুর ক্যামেরায় অমর হয়ে রইলেন কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ আলী আকবর, গায়ক পঙ্কজ মল্লিকসহ বহু গুণীজন।
এক বিকেলে ‘সওগাত’ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন এলেন, সঙ্গে কবি সুফিয়া এন হোসেন (পরবর্তীকালে বেগম সুফিয়া কামাল)। সেটা ১৯২৯ সালের কথা। নাসিরউদ্দীন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ‘সওগাত’–এর একটি নারী সংখ্যা প্রকাশ করবেন, যেখানে লেখিকাদের ছবিসহ লেখা থাকবে। সেকালে মুসলিম নারীদের ছবি তোলার উদাহরণ বিরল। কবি সুফিয়া কামাল কখনো ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি। চারুও কোনো মুসলিম নারীর ছবি তোলেননি। এর সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে নাসিরুদ্দীনকে সতর্কও করেন চারু। কিন্তু নাসিরুদ্দীন তাঁর সিদ্ধান্তে অটল। প্রথম এক মুসলিম নারী কবির ছবি তোলার কোনো পারিশ্রমিক নিলেন না চারু। ছবিগুলো সযত্নে পাঠিয়ে দিলেন ‘সওগাত’ অফিসে। চারুর তোলা সেই ছবিসহ প্রথম নারী সংখ্যা ‘সওগাত’ প্রকাশ পায় সে বছরের সেপ্টেম্বরে। এ সংখ্যা প্রকাশের পর অনেক মুসলিম লেখিকা তাঁদের ছবি পত্রিকায় ছাপাতে সম্মত হন।
কাজের উৎকর্ষের জন্য চারু সব সময় ছিলেন সচেষ্ট। ১৯৩১ সালে নিজ অর্থব্যয়ে জার্মানি গিয়ে শিখে আসেন ছবি তোলার আধুনিক সব কলাকৌশল। তাঁর সেসব কৌশল সেকালের বাঙালির জন্য ছিল অভিনব। কলেজ স্ট্রিটের আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের জন্যও ছবি তোলার গন্তব্য হয়ে ওঠে চারুর স্টুডিও। সেই কথা স্মরণ করেছেন ভাষাতত্ত্ববিদ সুকুমার সেন, ‘আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখন আলবার্ট হলের ওপরতলায় তাঁর স্টুডিওটি গ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের তীর্থস্থানের মতো ছিল। সেনেট হাউসে কনভোকেশনের পর স্নাতক ও স্নাতকোত্তরেরা দলে দলে তাঁর স্টুডিওতে গিয়ে গাউন হুড পরে ছবি তোলাতো।’
চারু গুহর জীবনাবসান হয় ১৯৫৭ সালে। মৃত্যুর পর বড় ছেলে চিত্তরঞ্জন চার দশক ধরে চালিয়ে নেন ছবি তোলার ব্যবসা। স্টুডিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার বেশ অনেক কাল পর চারুর উত্তরসূরিরা সেখানে গড়ে তোলেন এক প্রদর্শনীশালা। সাধারণ পেশাজীবী মানুষকে ছবি তোলায় আকৃষ্ট করার জন্য এক কালে চারু আলবার্ট হলের দেয়ালে জুড়ে দিয়েছিলেন, ‘Your mother, wife and Children-keep them nearby photograph’, ‘If you want a record, have it photographed’, ‘If you have beauty I will take it, if you have none, come, I will make it. ’ ইত্যাদি কত কত বিজ্ঞাপন! রং চটে যাওয়া মলিন সেসব বিজ্ঞাপনের কিছু আজও টিকে আছে। আর স্টুডিওতে ঢুকবার মুখে চারুর তোলা কিছু ছবি পিন দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। বড় বড় স্বপ্নভরা চোখ নিয়ে সোমেন চন্দ সেখানে দিব্যি তাকিয়ে আছেন, ঠিক যেমনটি ছিলেন চারুর লেন্সের সামনে, আজ থেকে আশি বছর আগে।
সহায়ক সূত্র:
১. চারু গুহ: জীবন ও আলোকচিত্র, বই-চিত্র, ২০০৭
২. বেগম, ৫০ বর্ষ পূর্তি সংখ্যা, ২০০০
৩. পুরান ঢাকার সাংস্কৃতিক প্রসঙ্গ, অনুপম হায়াৎ, বাংলা একাডেমি, ২০০১
তারেক আজিজ: অধ্যাপক, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

আলবার্ট হলের আলো-আঁধারি সিঁড়ি পেরিয়ে বন্ধু অমৃত দত্তের সঙ্গে সোমেন উঠে এলেন তিন তলার স্টুডিওতে। সোমেন ঢাকার ছেলে, বয়স মাত্র ১৮ বছর। এই বয়সেই গল্প লিখে বেশ নাম করেছেন। এই তো গত বছর ‘সাপ্তাহিক দেশ’ পত্রিকায় একটা গল্প ছাপা হয়েছে—‘শিশু তপন’। সেবার বড়দিনের ছুটিতে বেড়াতে এসেছেন কলকাতা। কলেজ স্ট্রিটের র্যালফ ফক্সের একটা বই খুঁজছিলেন। স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তোলার প্রস্তাব দিলেন অমৃত। প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রদের মুখে অমৃত অনেক শুনেছেন এই স্টুডিওর কথা, এর ফটোগ্রাফারের কথা। প্রস্তাবে সাড়া দিলেন সোমেন। ফটোগ্রাফারের নির্দেশমতো পরনের রংজ্বলা ধূসর উলের চাদরটা সরিয়ে রাখলেন সোমেন; বেত বোনা চেয়ারটার পেছন ভাগে হাত রেখে বসলেন। ওদিকে কালো কাপড়ে মাথা ঢেকে তেপায়া ক্যামেরার পেছন–ভাগে দাঁড়ালেন ফটোগ্রাফার। লেন্সের খাপটা খুলে নিয়ে আওড়ালেন ‘ওয়ান, টু, থ্রি…’। ১৯৩৮ সালে ডিসেম্বরের এক বিকেলে তোলা হলো সোমেন চন্দের জীবনের একমাত্র ছবি। এর তিন বছর পরই ঢাকার বুকে আততায়ীর আক্রমণে অমিত সম্ভাবনাময় এই সাহিত্যিকের জীবন প্রদীপ নিভে যায়। আঠারো বছরের সোমেনের মুখটি যার ক্যামেরায় অমর হয়ে রইল, তাঁর নাম চারুচন্দ্র গুহ (১৮৮৪–১৯৫৭)। স্টুডিও ব্যবসার প্রাথমিক যুগে যে ক’জন বাঙালি ফটোগ্রাফার দিশারি হয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের অন্যতম নাম চারু গুহ। নামটি আজকের ঢাকাবাসীর কাছে নতুন ঠেকলেও বুড়িগঙ্গার ওপারে তেঘরিয়ায় জন্ম নেওয়া চারু গুহর কর্মজীবনের শুরুটা কিন্তু হয়েছিল এই ঢাকাতেই।
চারুর জন্ম ১৮৮৪ সালে। মাত্র দশ বছর বয়সে বাবাকে হারান তিনি। মা শরৎশশী পাঁচ ছেলেমেয়ে নিয়ে বিপদে পড়ে যান। চা বাগানের কিছু শেয়ার কেনা ছিল, সেগুলো বিক্রি করে সংসার চলতে থাকে। ১৬ বছর বয়সে চারু চলে যান কলকাতায় মামা সুরেন ঘোষের কাছে। সেখানে থেকেই পড়ালেখা চালাতে থাকেন, ভর্তি হন কলকাতার গভর্নমেন্ট স্কুল অব আর্টে। ১৯০৫ সালে পাস করবার পরপর দার্জিলিঙে ছবি আঁকার একটা কাজ পেলেন চারু। এই দার্জিলিঙে গিয়ে তাঁর জীবনের গতিপথ বদলে যায়। চারুর সখ্য গড়ে ওঠে সেখানকার এক ইউরোপীয় ফটোগ্রাফারের সঙ্গে।
ভদ্রলোকের নিজস্ব স্টুডিও ছিল। তবে কিছুদিন পর তিনি স্টুডিও ব্যবসা গুটিয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে দীর্ঘদিনের আলাপচারিতায় চারুও ঝুঁকে পড়লেন ছবি তোলায়। ফটোগ্রাফারের ফেলে যাওয়া ব্যবসার ক্যামেরা, আর আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কিনে নিতে চাইলেন তিনি। টাকা চেয়ে পূর্ব বাংলায় মাকে চিঠি লিখলেন। সংসারের শত অভাব-অভিযোগের মধ্যেও চারুর চাপাচাপিতে শরৎশশী টাকার জোগাড় করলেন। ছবি তোলার কলাকৌশল শিখে ক্যামেরা, আর অন্যান্য যন্ত্রপাতিসহ চারু ফিরে এলেন তেঘরিয়ায়, মায়ের কাছে। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে তো আর স্টুডিও ব্যবসা চালানো সম্ভব নয়। ওদিকে ছোট ভাই পরেশও মেডিকেল স্কুল পাস করে ডাক্তার হয়েছেন। দুই ভাই মিলে বাসা ভাড়া করে মাকে নিয়ে সংসার পাতলেন ঢাকায়। আর সদরঘাটের কাছেই চারু খুললেন তাঁর স্বপ্নের নিজস্ব স্টুডিও।
চারু যে সময়ে ফটো স্টুডিওর ব্যবসা শুরু করেন, সে সময় ঢাকার মাত্র দুটি বাণিজ্যিক স্টুডিওর নাম জানা যায়—ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিও ও বেঙ্গল স্টুডিও। ওয়াইজঘাটের ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিওর ফটোগ্রাফার ছিলেন জার্মান নাগরিক ফ্রিৎজ ক্যাপ। ঢাকার নবাব আহসানউল্লাহর আর্থিক সহযোগিতায় বিশ শতকের শুরুতে ক্যাপ এই স্টুডিও চালু করেন। অন্যদিকে বেঙ্গল স্টুডিওর ফটোগ্রাফার ছিলেন পি মুখার্জি। চারু গুহ স্টুডিও চালুর পরের বছর নবাবপুর রোডে চালু হয় ‘আর সি দাস এন্ড সন্স’ নামে এক স্টুডিও। সেখানে ছবি তোলার পাশাপাশি ক্যামেরা, ছবি ছাপানোর কাগজ, রাসায়নিক—এসবও বিক্রি হতো। ক্রমে গড়ে ওঠে খাজা আফজালের স্টুডিও, খাজা সোলায়মান কাদেরের স্টুডিও ও টেকনিক্যাল আর্ট স্টুডিও। অনেক পরে ত্রিশের দশকে নবাবপুর রোডে চালু হয় ডস অ্যান্ড কোম্পানি। ছবি তোলাও কারও পেশা হতে পারে! বিষয়টি স্থানীয় ঢাকাবাসীর কাছে ছিল রীতিমতো অভিনব। তাঁরা পেশাটির চমৎকার এক নাম দেয় ‘ফটোওয়ালা’।
১৯০১ সালে ঢাকাবাসী প্রথম বিদ্যুতের আলো দেখতে পেলেও প্রথম দু–তিন দশক তা সহজলভ্য ছিল না। অল্প কিছু আবাসিক ভবন, আর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু থাকত রাতের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। বিদ্যুতের অপ্রতুলতার কারণে বেশির ভাগ ব্যবসার মতো স্টুডিও ব্যবসাও ছিল সূর্যের আলোনির্ভর। এ ধরনের স্টুডিওকে বলা হতো ডে–লাইট স্টুডিও। চারুর স্টুডিওটি ছিল সেরকমই। স্টুডিওর নিচতলা ছিল ডার্ক রুম আর কাউন্টার। কখনো দোকানের সামনে, কখনো ওপরতলায় টিনের চাল বা বাঁশের বেড়ার সাহায্যে আলো নিয়ন্ত্রণ করে সফট লাইটে ছবি তোলা হতো। পেছনে ঝোলানো থাকত প্রয়োজনমতো নিজের ছবি আঁকা কাপড়ে তৈরি ব্যাকড্রপ। সাধারণের ছবি তোলার জন্য এই স্টুডিও খোলা থাকত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, এত স্বপ্ন আর উদ্যোগ নিয়ে চালু করার পরও চারুর স্টুডিও ব্যবসা লাভের মুখ দেখল না। স্টুডিও নিয়ে চারুর নিজের অতৃপ্তি ছিল। দার্জিলিঙে বিদ্যুতের সুবিধা ছিল, কৃত্রিম আলোকে নিয়ন্ত্রণ করে ফটোতে নানান শৈল্পিক মাত্রা যোগ করা যেত। আলোছায়ার খেলাকে ধারণ করবার সেই সুযোগ ঢাকায় সীমিত। এ সীমাবদ্ধতার সঙ্গে আয়ের বিষয়টিও যোগ হলো।
ফটোগ্রাফির প্রথম যুগে স্টুডিওতে গিয়ে ছবি তোলা ছিল বাঙালির কাছে বিলাসিতা। ঢাকার প্রভাবশালী লোকজন আর এখানে অবস্থানরত ইউরোপীয়রা আগে থেকেই ক্যাপের স্টুডিওতে ছবি তুলতেন। এর পাশাপাশি অন্য বিত্তবানদেরও নানা প্রয়োজনে কলকাতা যাওয়া–আসা ছিল, সেখানকার প্রসিদ্ধ স্টুডিওতে ছবি তুলতে তাঁরা গর্ববোধ করতেন। তাই কোনো পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া স্টুডিও ব্যবসা নিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে ওঠে। এর মধ্যে ফটোওয়ালার সংসারও বড় হয়েছে। চারু বিয়ে করেছেন, জন্ম নিয়েছে সুধাংশু বালা ও চারুর প্রথম সন্তান। আট বছরের কিছু বেশি সময় চালানোর পর নানা প্রতিকূলতায় স্টুডিওটি বন্ধ হয়ে যায়। সেটা ১৯১৭ সালের কথা। এর পর পরিবার নিয়ে চারু চলে যান কলকাতা।
কলকাতায় পৌঁছে প্রথম শুরু করলেন ঘুরে ঘুরে ছবি তোলার কাজ। সারা দিন একটা ভারী ক্যামেরা নিয়ে ট্রামে চেপে আউটডোরে ছবি তুলতেন। বিকেলে ধর্মতলার এক স্টুডিওর ডার্ক রুমে বসে সেসব ডেভেলপ করতেন। নিজের সঞ্চয়ে একসময় হ্যারিসন রোডের (বর্তমান মহাত্মা গান্ধী রোড) যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেখানে নতুন করে স্টুডিও ব্যবসা চালু করেন। এবার প্রথমেই করলেন বিদ্যুতের ব্যবস্থা, হাজার ওয়াটের এক বাল্ব জুড়ে দিলেন স্টুডিওতে। স্টুডিওর নামও রাখলেন ‘ইলেক্ট্রো ফটো স্টুডিও’। হ্যারিসন রোডে ছবি তুলবার মানুষ পেতে চারুকে বেগ পেতে হলো না।
শিয়ালদহ আর হাওড়া রেলস্টেশনে যাতায়াত করা মানুষেরা চারুর খ্যাতি ছড়িয়ে দিল। ব্যবসার পসারের সঙ্গে চারু চলে এলেন কলেজ স্ট্রিটের আলবার্ট হলের (বর্তমানে যে ভবনে ইন্ডিয়ান কফি হাউস) তিন তলায়। এ কালের মতো তখনো আলবার্ট হল ছিল সামাজিক, রাজনৈতিক নানা কর্মসূচির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। স্টুডিও পোর্ট্রেটের পাশাপাশি সেসব সভা-সমাবেশ ক্যামেরাবন্দী করার কাজটিও পেয়ে গেলেন চারু গুহ। সন্ধ্যার পর তাঁর স্টুডিও হয়ে উঠল সেকালের রথী-মহারথীদের মিলনমেলা। চারুর ক্যামেরায় অমর হয়ে রইলেন কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ আলী আকবর, গায়ক পঙ্কজ মল্লিকসহ বহু গুণীজন।
এক বিকেলে ‘সওগাত’ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন এলেন, সঙ্গে কবি সুফিয়া এন হোসেন (পরবর্তীকালে বেগম সুফিয়া কামাল)। সেটা ১৯২৯ সালের কথা। নাসিরউদ্দীন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ‘সওগাত’–এর একটি নারী সংখ্যা প্রকাশ করবেন, যেখানে লেখিকাদের ছবিসহ লেখা থাকবে। সেকালে মুসলিম নারীদের ছবি তোলার উদাহরণ বিরল। কবি সুফিয়া কামাল কখনো ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি। চারুও কোনো মুসলিম নারীর ছবি তোলেননি। এর সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে নাসিরুদ্দীনকে সতর্কও করেন চারু। কিন্তু নাসিরুদ্দীন তাঁর সিদ্ধান্তে অটল। প্রথম এক মুসলিম নারী কবির ছবি তোলার কোনো পারিশ্রমিক নিলেন না চারু। ছবিগুলো সযত্নে পাঠিয়ে দিলেন ‘সওগাত’ অফিসে। চারুর তোলা সেই ছবিসহ প্রথম নারী সংখ্যা ‘সওগাত’ প্রকাশ পায় সে বছরের সেপ্টেম্বরে। এ সংখ্যা প্রকাশের পর অনেক মুসলিম লেখিকা তাঁদের ছবি পত্রিকায় ছাপাতে সম্মত হন।
কাজের উৎকর্ষের জন্য চারু সব সময় ছিলেন সচেষ্ট। ১৯৩১ সালে নিজ অর্থব্যয়ে জার্মানি গিয়ে শিখে আসেন ছবি তোলার আধুনিক সব কলাকৌশল। তাঁর সেসব কৌশল সেকালের বাঙালির জন্য ছিল অভিনব। কলেজ স্ট্রিটের আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের জন্যও ছবি তোলার গন্তব্য হয়ে ওঠে চারুর স্টুডিও। সেই কথা স্মরণ করেছেন ভাষাতত্ত্ববিদ সুকুমার সেন, ‘আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখন আলবার্ট হলের ওপরতলায় তাঁর স্টুডিওটি গ্র্যাজুয়েট ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের তীর্থস্থানের মতো ছিল। সেনেট হাউসে কনভোকেশনের পর স্নাতক ও স্নাতকোত্তরেরা দলে দলে তাঁর স্টুডিওতে গিয়ে গাউন হুড পরে ছবি তোলাতো।’
চারু গুহর জীবনাবসান হয় ১৯৫৭ সালে। মৃত্যুর পর বড় ছেলে চিত্তরঞ্জন চার দশক ধরে চালিয়ে নেন ছবি তোলার ব্যবসা। স্টুডিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার বেশ অনেক কাল পর চারুর উত্তরসূরিরা সেখানে গড়ে তোলেন এক প্রদর্শনীশালা। সাধারণ পেশাজীবী মানুষকে ছবি তোলায় আকৃষ্ট করার জন্য এক কালে চারু আলবার্ট হলের দেয়ালে জুড়ে দিয়েছিলেন, ‘Your mother, wife and Children-keep them nearby photograph’, ‘If you want a record, have it photographed’, ‘If you have beauty I will take it, if you have none, come, I will make it. ’ ইত্যাদি কত কত বিজ্ঞাপন! রং চটে যাওয়া মলিন সেসব বিজ্ঞাপনের কিছু আজও টিকে আছে। আর স্টুডিওতে ঢুকবার মুখে চারুর তোলা কিছু ছবি পিন দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। বড় বড় স্বপ্নভরা চোখ নিয়ে সোমেন চন্দ সেখানে দিব্যি তাকিয়ে আছেন, ঠিক যেমনটি ছিলেন চারুর লেন্সের সামনে, আজ থেকে আশি বছর আগে।
সহায়ক সূত্র:
১. চারু গুহ: জীবন ও আলোকচিত্র, বই-চিত্র, ২০০৭
২. বেগম, ৫০ বর্ষ পূর্তি সংখ্যা, ২০০০
৩. পুরান ঢাকার সাংস্কৃতিক প্রসঙ্গ, অনুপম হায়াৎ, বাংলা একাডেমি, ২০০১
তারেক আজিজ: অধ্যাপক, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।...
২ ঘণ্টা আগে
রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।...
৪ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পুরো দুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এই প্রজন্মের মানুষের একটা যোগাযোগ আছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের পতন নিশ্চিত করার ঘটনায় বেশ আলোচনায় আছে জেন-জি প্রজন্ম। এ জন্য এ প্রজন্মের মানুষের সাহসের প্রশংসা করেন অনেকেই। কিন্তু সে...
৬ ঘণ্টা আগে
অফিসে আজ কোনো এক সহকর্মী আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা নেবে। তারা এমন একটা আলতু-ফালতু মন্তব্য করবে, যা শুনে আপনার মনে হবে আপনি সাক্ষাৎ গজব! কিন্তু সাবধান, বসের দিকে তেড়ে যাওয়ার আগে ক্যালেন্ডারটা একবার দেখে নিন—মাস শেষ হতে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি।
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

২০২৬ সাল আমাদের দোরগোড়ায়। নতুন বছর মানেই নিজের উন্নতির জন্য নতুন সব পরিকল্পনা। কিন্তু এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।
বর্জ্য নিয়ে নতুন করে ভাবুন
আমাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট সমন্বয় বর্জ্য কমাতে বিশাল ভূমিকা রাখে।

যাতায়াতে আনুন পরিবর্তন

যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া কার্বন নিঃসরণের অন্যতম প্রধান কারণ। আপনি গাড়ি যত কম চালাবেন, পৃথিবী তত বেশি শ্বাস নিতে পারবে। বাস, ট্রেন বা সাবওয়ে ব্যবহার আপনার কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক কমিয়ে দেয়। ছোট যাত্রায় গাড়ির বদলে বিকল্প পথ বেছে নিলে বায়ুদূষণ কমে, যানজট হ্রাস পায় এবং আপনার ব্যক্তিগত কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক নিচে নেমে আসে। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। দূরে কোথাও যাওয়ার বদলে নিজের এলাকার আশপাশে ঘুরুন বা বন্ধুর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে কিংবা আপনার বাড়িতেই ছুটি কাটান। এই সময়ে দৈনন্দিন বিরক্তিকর কাজগুলো থেকে ছুটি নিয়ে নিজের এলাকার অচেনা জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন, স্থানীয় খাবার চেখে দেখুন। এতে একটি দীর্ঘ বিমানযাত্রা বা ক্লান্তিকর সফর থেকে পরিবেশ বেঁচে যাবে। এতে বিমান বা দীর্ঘ সফরের দূষণ কমবে।
খাদ্যাভ্যাসে আনুন টেকসই ধারা
আপনার খাবার প্লেটের সিদ্ধান্তই ঠিক করে দেয় পরিবেশের ভবিষ্যৎ। প্লেটে নিরামিষ বা প্ল্যান্টবেজড রেসিপি, যেমন মসুর ডাল বা কাজু-পান্তা মাংসের তুলনায় অনেক কম কার্বন নিঃসরণ করে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন বা দুই দিন মাংস ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করুন। সব সময় স্থানীয় খামারে উৎপাদিত এবং মৌসুমি ফল ও সবজি কেনার চেষ্টা করুন। প্লাস্টিকে মোড়ানো সবজি এড়িয়ে খোলা সবজি কিনুন। খাবারের অপচয় রোধে আগে থেকেই মিল প্ল্যানিং করুন। এটি আপনাকে বাইরের প্লাস্টিক মোড়ানো খাবারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাবে।

ঘরে শক্তি সাশ্রয় করুন
বিদ্যুৎ সাশ্রয় আপনার পকেটের পাশাপাশি পৃথিবীরও উপকার করে। অনেক সময় যন্ত্র বন্ধ থাকলেও প্লাগ লাগানো থাকলে বিদ্যুৎ খরচ হয়। কাজ শেষে প্লাগ খুলে রাখুন। হ্যালোজেন বাল্বের বদলে এলইডি ব্যবহার করুন। নতুন কোনো যন্ত্র কেনার আগে সেটির এনার্জি রেটিং দেখে নিন। পুরোনো যন্ত্র বদলে এনার্জি-এফিসিয়েন্ট ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিন কিনুন। স্মার্ট মিটার ব্যবহার করুন, যা আপনার বিদ্যুৎ খরচের ধরন বুঝতে এবং সাশ্রয় করতে সাহায্য করবে। বাড়িতে সোলার প্যানেল বা এয়ার সোর্স হিট পাম্প লাগানোর কথা ভাবতে পারেন।
পানি সংরক্ষণ ও বনায়ন
পানি জীবন হলেও আমাদের অপচয়ের কারণে এটি ক্রমেই দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। লো-ফ্লো ফাউসেট বা শাওয়ার ফিক্সচার ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় লোড পূর্ণ হলে তবেই মেশিন চালান। নিজের জানালার পাশে বা বারান্দায় টমেটো বা হার্বস চাষ শুরু করুন। ঘরোয়া উদ্ভিদের কাটিং থেকে নতুন চারা তৈরি করে বন্ধুদের উপহার দিন। বাড়িতে কম্পোস্টিং শুরু করলে তা আপনার গাছের পুষ্টি জোগাবে এবং বর্জ্য কমাবে।
একা লড়াই করার চেয়ে দলগত কাজ বেশি কার্যকর। আপনি চাইলে স্থানীয় কোনো ক্লাইমেট অ্যাকশন গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। তাদের সঙ্গে এলাকা পরিষ্কার করা বা পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রচারণায় অংশ নিন। ২০২৬ সাল হোক আমাদের সচেতনতার বছর। আপনার ছোট একটি পদক্ষেপই পারে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে। শুরুটা হোক আজ থেকেই!
সূত্র: ইকোমিনা, গুড এনার্জি

২০২৬ সাল আমাদের দোরগোড়ায়। নতুন বছর মানেই নিজের উন্নতির জন্য নতুন সব পরিকল্পনা। কিন্তু এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।
বর্জ্য নিয়ে নতুন করে ভাবুন
আমাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট সমন্বয় বর্জ্য কমাতে বিশাল ভূমিকা রাখে।

যাতায়াতে আনুন পরিবর্তন

যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া কার্বন নিঃসরণের অন্যতম প্রধান কারণ। আপনি গাড়ি যত কম চালাবেন, পৃথিবী তত বেশি শ্বাস নিতে পারবে। বাস, ট্রেন বা সাবওয়ে ব্যবহার আপনার কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক কমিয়ে দেয়। ছোট যাত্রায় গাড়ির বদলে বিকল্প পথ বেছে নিলে বায়ুদূষণ কমে, যানজট হ্রাস পায় এবং আপনার ব্যক্তিগত কার্বন ফুটপ্রিন্ট অনেক নিচে নেমে আসে। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। দূরে কোথাও যাওয়ার বদলে নিজের এলাকার আশপাশে ঘুরুন বা বন্ধুর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে কিংবা আপনার বাড়িতেই ছুটি কাটান। এই সময়ে দৈনন্দিন বিরক্তিকর কাজগুলো থেকে ছুটি নিয়ে নিজের এলাকার অচেনা জায়গাগুলো ঘুরে দেখুন, স্থানীয় খাবার চেখে দেখুন। এতে একটি দীর্ঘ বিমানযাত্রা বা ক্লান্তিকর সফর থেকে পরিবেশ বেঁচে যাবে। এতে বিমান বা দীর্ঘ সফরের দূষণ কমবে।
খাদ্যাভ্যাসে আনুন টেকসই ধারা
আপনার খাবার প্লেটের সিদ্ধান্তই ঠিক করে দেয় পরিবেশের ভবিষ্যৎ। প্লেটে নিরামিষ বা প্ল্যান্টবেজড রেসিপি, যেমন মসুর ডাল বা কাজু-পান্তা মাংসের তুলনায় অনেক কম কার্বন নিঃসরণ করে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন বা দুই দিন মাংস ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করুন। সব সময় স্থানীয় খামারে উৎপাদিত এবং মৌসুমি ফল ও সবজি কেনার চেষ্টা করুন। প্লাস্টিকে মোড়ানো সবজি এড়িয়ে খোলা সবজি কিনুন। খাবারের অপচয় রোধে আগে থেকেই মিল প্ল্যানিং করুন। এটি আপনাকে বাইরের প্লাস্টিক মোড়ানো খাবারের ওপর নির্ভরশীলতা কমাবে।

ঘরে শক্তি সাশ্রয় করুন
বিদ্যুৎ সাশ্রয় আপনার পকেটের পাশাপাশি পৃথিবীরও উপকার করে। অনেক সময় যন্ত্র বন্ধ থাকলেও প্লাগ লাগানো থাকলে বিদ্যুৎ খরচ হয়। কাজ শেষে প্লাগ খুলে রাখুন। হ্যালোজেন বাল্বের বদলে এলইডি ব্যবহার করুন। নতুন কোনো যন্ত্র কেনার আগে সেটির এনার্জি রেটিং দেখে নিন। পুরোনো যন্ত্র বদলে এনার্জি-এফিসিয়েন্ট ফ্রিজ বা ওয়াশিং মেশিন কিনুন। স্মার্ট মিটার ব্যবহার করুন, যা আপনার বিদ্যুৎ খরচের ধরন বুঝতে এবং সাশ্রয় করতে সাহায্য করবে। বাড়িতে সোলার প্যানেল বা এয়ার সোর্স হিট পাম্প লাগানোর কথা ভাবতে পারেন।
পানি সংরক্ষণ ও বনায়ন
পানি জীবন হলেও আমাদের অপচয়ের কারণে এটি ক্রমেই দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। লো-ফ্লো ফাউসেট বা শাওয়ার ফিক্সচার ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় লোড পূর্ণ হলে তবেই মেশিন চালান। নিজের জানালার পাশে বা বারান্দায় টমেটো বা হার্বস চাষ শুরু করুন। ঘরোয়া উদ্ভিদের কাটিং থেকে নতুন চারা তৈরি করে বন্ধুদের উপহার দিন। বাড়িতে কম্পোস্টিং শুরু করলে তা আপনার গাছের পুষ্টি জোগাবে এবং বর্জ্য কমাবে।
একা লড়াই করার চেয়ে দলগত কাজ বেশি কার্যকর। আপনি চাইলে স্থানীয় কোনো ক্লাইমেট অ্যাকশন গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। তাদের সঙ্গে এলাকা পরিষ্কার করা বা পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রচারণায় অংশ নিন। ২০২৬ সাল হোক আমাদের সচেতনতার বছর। আপনার ছোট একটি পদক্ষেপই পারে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে। শুরুটা হোক আজ থেকেই!
সূত্র: ইকোমিনা, গুড এনার্জি

চারু যে সময়ে ফটো স্টুডিওর ব্যবসা শুরু করেন, সে সময় ঢাকার মাত্র দুটি বাণিজ্যিক স্টুডিওর নাম জানা যায়—ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিও ও বেঙ্গল স্টুডিও। ওয়াইজঘাটের ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিওর ফটোগ্রাফার ছিলেন জার্মান নাগরিক ফ্রিৎজ ক্যাপ। ঢাকার নবাব আহসানউল্লাহর আর্থিক সহযোগিতায় বিশ শতকের শুরুতে ক্যাপ এই স্টুডিও চালু কর
১২ জুলাই ২০২১
রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।...
৪ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পুরো দুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এই প্রজন্মের মানুষের একটা যোগাযোগ আছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের পতন নিশ্চিত করার ঘটনায় বেশ আলোচনায় আছে জেন-জি প্রজন্ম। এ জন্য এ প্রজন্মের মানুষের সাহসের প্রশংসা করেন অনেকেই। কিন্তু সে...
৬ ঘণ্টা আগে
অফিসে আজ কোনো এক সহকর্মী আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা নেবে। তারা এমন একটা আলতু-ফালতু মন্তব্য করবে, যা শুনে আপনার মনে হবে আপনি সাক্ষাৎ গজব! কিন্তু সাবধান, বসের দিকে তেড়ে যাওয়ার আগে ক্যালেন্ডারটা একবার দেখে নিন—মাস শেষ হতে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি।
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্ক ভাব দূর করতে কত কীই-না করি আমরা। যতবার হাত ধোয়া হচ্ছে, ততবারই ময়শ্চারাইজার না মাখলে হাত খসখসে হয়ে উঠছে। ময়শ্চারাইজার মাখার পরও কিছুক্ষণ বাদে বাদে রিঅ্যাপ্লাই করতে হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ঠান্ডা নাকি আরও বাড়বে। ফলে শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের চিন্তায় এখনই কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে। রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।
শীতে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। বয়স যত বেশি, ত্বকের আর্দ্রতা তত কম থাকে এই ঋতুতে। এ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে কিছু খাবার। ঘি, আমলকী, বাদাম, টমেটো, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবার খেলে ত্বকের স্বাভাবিক তেল উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ে। ফলে ত্বক পরিপুষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জেল্লা ছড়ায়। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি যেসব খাবার খাবেন
খাঁটি ঘি
প্রতিদিন অন্তত এক চা-চামচ ঘি খান। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। এগুলো খেলে শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বকও পরিপুষ্ট হবে। ত্বকের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত ভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে ঘি। ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে না।
সালাদে টমেটো রাখুন
শীতে বাজারে যে টমেটো পাওয়া যায়, তাতে প্রচুর লাইকোপিন থাকে, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়। ফলে বলিরেখা পড়ে। এ ছাড়া এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সহায়তা করে।

আমলকী
ত্বক তারুণ্যদীপ্ত রাখে ভিটামিন সি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালে শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি একাই পূরণ করতে পারে আমলকী। এই ছোট্ট ফল নিয়মিত খেলে তা কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্র ভাব এবং টান টান ভাব বজায় রাখার জন্য এই কোলাজেন বেশি জরুরি।
তিল
এই শীতে তিলের নাড়ু, হালুয়া, ভর্তা তৈরি করে খেতে পারেন। এটি ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সহায়তা করে। এতে ত্বক থাকে কোমল ও উজ্জ্বল। তিলে থাকা জিংক ও স্বাস্থ্যকর চর্বি ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজড রাখে।
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ডি ত্বক কোমল ও হাড় মজবুত রাখে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন সামুদ্রিক মাছ খাওয়া দরকার। তবে এই মাছ রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার না করাই ভালো।
কাঠবাদাম ও আখরোট
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ৬টি ভেজানো কাঠবাদাম খান। এতে ত্বক সুন্দর থাকবে। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা ত্বকের কোষ ভালো রাখে। কাঠবাদাম ছাড়াও খেতে পারেন আখরোট। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড; যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে, টক্সিনকে ত্বকের ক্ষতি করতে দেয় না।
বিটরুট
বিটরুটের ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও সুপার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক পরিষ্কার রাখে, ত্বকের পোর বা ছিদ্রগুলো মেরামত করে। প্রতিদিন ৫০০ মিলি লিটার বিটরুটের জুস পান করলে বা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেলে ত্বক ভালো থাকে।
টক দই
ত্বকের জন্য যত ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে, সেগুলোর মধ্য়ে প্রোবায়োটিকস খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রোবায়োটিকস হিসেবে টক দই খুব ভালো ও সহজলভ্য একটি খাবার। এতে রয়েছে পেটের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা অন্ত্রে পৌঁছে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পেটের স্বাস্থ্যের প্রভাব পড়ে ত্বকে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় টক দই রাখলে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব বজায় থাকে। ফলে শীতকালে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা নিয়ে বাড়তি ভাবনা থাকে না।

শীতে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্ক ভাব দূর করতে কত কীই-না করি আমরা। যতবার হাত ধোয়া হচ্ছে, ততবারই ময়শ্চারাইজার না মাখলে হাত খসখসে হয়ে উঠছে। ময়শ্চারাইজার মাখার পরও কিছুক্ষণ বাদে বাদে রিঅ্যাপ্লাই করতে হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ঠান্ডা নাকি আরও বাড়বে। ফলে শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের চিন্তায় এখনই কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে। রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।
শীতে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। বয়স যত বেশি, ত্বকের আর্দ্রতা তত কম থাকে এই ঋতুতে। এ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে কিছু খাবার। ঘি, আমলকী, বাদাম, টমেটো, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাবার খেলে ত্বকের স্বাভাবিক তেল উৎপাদন অব্যাহত থাকে। কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ে। ফলে ত্বক পরিপুষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জেল্লা ছড়ায়। শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার
ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি যেসব খাবার খাবেন
খাঁটি ঘি
প্রতিদিন অন্তত এক চা-চামচ ঘি খান। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। এগুলো খেলে শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বকও পরিপুষ্ট হবে। ত্বকের প্রাকৃতিক তৈলাক্ত ভাব বজায় রাখতেও সাহায্য করে ঘি। ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে না।
সালাদে টমেটো রাখুন
শীতে বাজারে যে টমেটো পাওয়া যায়, তাতে প্রচুর লাইকোপিন থাকে, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়। ফলে বলিরেখা পড়ে। এ ছাড়া এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সহায়তা করে।

আমলকী
ত্বক তারুণ্যদীপ্ত রাখে ভিটামিন সি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শীতকালে শরীরে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি একাই পূরণ করতে পারে আমলকী। এই ছোট্ট ফল নিয়মিত খেলে তা কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্র ভাব এবং টান টান ভাব বজায় রাখার জন্য এই কোলাজেন বেশি জরুরি।
তিল
এই শীতে তিলের নাড়ু, হালুয়া, ভর্তা তৈরি করে খেতে পারেন। এটি ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সহায়তা করে। এতে ত্বক থাকে কোমল ও উজ্জ্বল। তিলে থাকা জিংক ও স্বাস্থ্যকর চর্বি ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ময়শ্চারাইজড রাখে।
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ডি ত্বক কোমল ও হাড় মজবুত রাখে। সপ্তাহে অন্তত দুদিন সামুদ্রিক মাছ খাওয়া দরকার। তবে এই মাছ রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার না করাই ভালো।
কাঠবাদাম ও আখরোট
ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ৬টি ভেজানো কাঠবাদাম খান। এতে ত্বক সুন্দর থাকবে। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা ত্বকের কোষ ভালো রাখে। কাঠবাদাম ছাড়াও খেতে পারেন আখরোট। এতে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড; যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে, টক্সিনকে ত্বকের ক্ষতি করতে দেয় না।
বিটরুট
বিটরুটের ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও সুপার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক পরিষ্কার রাখে, ত্বকের পোর বা ছিদ্রগুলো মেরামত করে। প্রতিদিন ৫০০ মিলি লিটার বিটরুটের জুস পান করলে বা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেলে ত্বক ভালো থাকে।
টক দই
ত্বকের জন্য যত ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে, সেগুলোর মধ্য়ে প্রোবায়োটিকস খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রোবায়োটিকস হিসেবে টক দই খুব ভালো ও সহজলভ্য একটি খাবার। এতে রয়েছে পেটের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা অন্ত্রে পৌঁছে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পেটের স্বাস্থ্যের প্রভাব পড়ে ত্বকে। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় টক দই রাখলে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব বজায় থাকে। ফলে শীতকালে ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা নিয়ে বাড়তি ভাবনা থাকে না।

চারু যে সময়ে ফটো স্টুডিওর ব্যবসা শুরু করেন, সে সময় ঢাকার মাত্র দুটি বাণিজ্যিক স্টুডিওর নাম জানা যায়—ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিও ও বেঙ্গল স্টুডিও। ওয়াইজঘাটের ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিওর ফটোগ্রাফার ছিলেন জার্মান নাগরিক ফ্রিৎজ ক্যাপ। ঢাকার নবাব আহসানউল্লাহর আর্থিক সহযোগিতায় বিশ শতকের শুরুতে ক্যাপ এই স্টুডিও চালু কর
১২ জুলাই ২০২১
এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।...
২ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পুরো দুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এই প্রজন্মের মানুষের একটা যোগাযোগ আছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের পতন নিশ্চিত করার ঘটনায় বেশ আলোচনায় আছে জেন-জি প্রজন্ম। এ জন্য এ প্রজন্মের মানুষের সাহসের প্রশংসা করেন অনেকেই। কিন্তু সে...
৬ ঘণ্টা আগে
অফিসে আজ কোনো এক সহকর্মী আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা নেবে। তারা এমন একটা আলতু-ফালতু মন্তব্য করবে, যা শুনে আপনার মনে হবে আপনি সাক্ষাৎ গজব! কিন্তু সাবধান, বসের দিকে তেড়ে যাওয়ার আগে ক্যালেন্ডারটা একবার দেখে নিন—মাস শেষ হতে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি।
৬ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

এখন যাদের বয়স ১৩ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে, একটা নির্দিষ্ট বয়সের ভাগে তারাই আসলে জেনারেশন জি প্রজন্মের মানুষ। এই প্রজন্ম নিয়ে পৃথিবীতে সম্ভবত বেশি গবেষণা হয়েছে। এর কারণও আছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পুরো দুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এই প্রজন্মের মানুষের একটা যোগাযোগ আছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের পতন নিশ্চিত করার ঘটনায় বেশ আলোচনায় আছে জেন-জি প্রজন্ম। এ জন্য এ প্রজন্মের মানুষের সাহসের প্রশংসা করেন অনেকেই। কিন্তু সে প্রশংসার আগুনে বরফ ঢেলে দিয়েছেন এক গবেষক! তাঁর নাম গ্যাব্রিয়েল রুবিন।
এখন ‘স্নোফ্লেক’ জেনারেশন শব্দটি প্রায়ই শোনা যায়। শব্দটি ‘কলিন্স ইংলিশ ডিকশনারি’তে সংযুক্ত হওয়া ২০১৬ সালের শব্দগুলোর মধ্যে একটি। একটি প্রজন্মকে তার আগের প্রজন্মের তুলনায় কম সহিষ্ণু এবং অপরাধপ্রবণ হিসেবে দেখা হয়, কলিন্স ডিকশনারিতে শব্দটিকে মূলত এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। নিউ জার্সির মন্টক্লেয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গ্যাব্রিয়েল রুবিন। তিনি ২০২৫ সালের ‘সোসাইটি ফর রিস্ক অ্যানালাইসিস’ কনফারেন্সে জেন-জি বা ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া তরুণদের বিষয়ে এক চাঞ্চল্যকর গবেষণাপত্র পেশ করেছেন। তাঁর দীর্ঘ গবেষণায় উঠে এসেছে এই প্রজন্মের গভীর উদ্বেগ, নিরাশা এবং পৃথিবীকে দেখার এক ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
গবেষণার তিনটি মূল দিক
অধ্যাপক রুবিন ১০৭ জন তরুণের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তিনটি বড় বিষয় চিহ্নিত করেছেন।
ভয়ংকর পৃথিবী: কোভিড-১৯ লকডাউন এবং বন্দুক হামলার মতো অভিজ্ঞতার কারণে এই প্রজন্ম পৃথিবীকে একটি অত্যন্ত অনিরাপদ স্থান মনে করে।
পরিবর্তনের ক্ষমতাহীনতা: তারা বিশ্বাস করে যে রাজনীতি বা আন্দোলনের মাধ্যমে পৃথিবী পরিবর্তনের ক্ষমতা তাদের নেই। যখন কোনো মানুষ পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়, তখন চারপাশের জগৎকে তার কাছে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়।
নেতিবাচক ভবিষ্যৎ: জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই বা অর্থনৈতিক সংকটের কোনো সহজ সমাধান না থাকায় তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম হতাশ ও বিষণ্ন।
ঝুঁকি দেখার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
গবেষণায় দেখা গেছে, জেন-জি প্রজন্ম যেকোনো ঝুঁকিকে দুটি বিষয়ের ওপর বিচার করে। বিষয়টিকে একেবারে সাদাকালো অর্থাৎ নিরাপদ অথবা বিপজ্জনক এই দুই মেরুতে তারা বিচার করে। তারা বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে যে ঝুঁকি একটি ধারাবাহিক বিষয়, যা সামলানো বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর ফলে তারা জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ঝুঁকি অনুভব করে।
নারী ও বর্তমান সমাজ
এই গবেষণায় তরুণীদের ওপর প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। প্রায় সব নারী মনে করে, বিশেষ করে প্রজননস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা তাদের অধিকার। এটি হুমকির মুখে। এই ভীতি অনেক ক্ষেত্রে তাদের আত্মহত্যা বা চরম বিষণ্নতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
কেন হচ্ছে এমন
অধ্যাপক রুবিন এর কারণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং তথ্যের প্রবল প্রবাহকে দায়ী করেছেন। মোবাইল ফোনের পুশ নোটিফিকেশন আর অবিরাম সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট তাদের সারাক্ষণ ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দেয়। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, জেন-জি সেন্সরি প্রসেসিং সেনসিটিভিটিতে ভুগছে। যার অর্থ তারা যেকোনো তথ্য বা পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি গভীর ও তীব্রভাবে অনুভব করে।
পরস্পরবিরোধী বাস্তবতা
মজার বিষয় হলো, পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত তিন বছর মানব ইতিহাসের অন্যতম নিরাপদ সময়। কিন্তু জেন-জি প্রজন্মের কাছে তাদের অভ্যন্তরীণ ভয়গুলো বাস্তব হুমকির চেয়েও বড়। তারা নিজেদের স্নোফ্লেক বা অধিকারপ্রত্যাশী ট্যাগ দেওয়াটা পছন্দ করে না। বরং এটি তাদের আরও বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়।
অধ্যাপক রুবিন মনে করেন, পুলিশ বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত এই তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা। পৃথিবী হয়তো বাইরে থেকে নিরাপদ। কিন্তু জেন-জি প্রজন্মের ভেতরে যে ভয়ের জগৎ তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে তাদের আরও শক্তিশালী এবং আশাবাদী করে তোলা জরুরি।
সূত্র: ডেইলি মেইল, ইউরেক অ্যালার্ট

এখন যাদের বয়স ১৩ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে, একটা নির্দিষ্ট বয়সের ভাগে তারাই আসলে জেনারেশন জি প্রজন্মের মানুষ। এই প্রজন্ম নিয়ে পৃথিবীতে সম্ভবত বেশি গবেষণা হয়েছে। এর কারণও আছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পুরো দুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এই প্রজন্মের মানুষের একটা যোগাযোগ আছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের পতন নিশ্চিত করার ঘটনায় বেশ আলোচনায় আছে জেন-জি প্রজন্ম। এ জন্য এ প্রজন্মের মানুষের সাহসের প্রশংসা করেন অনেকেই। কিন্তু সে প্রশংসার আগুনে বরফ ঢেলে দিয়েছেন এক গবেষক! তাঁর নাম গ্যাব্রিয়েল রুবিন।
এখন ‘স্নোফ্লেক’ জেনারেশন শব্দটি প্রায়ই শোনা যায়। শব্দটি ‘কলিন্স ইংলিশ ডিকশনারি’তে সংযুক্ত হওয়া ২০১৬ সালের শব্দগুলোর মধ্যে একটি। একটি প্রজন্মকে তার আগের প্রজন্মের তুলনায় কম সহিষ্ণু এবং অপরাধপ্রবণ হিসেবে দেখা হয়, কলিন্স ডিকশনারিতে শব্দটিকে মূলত এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। নিউ জার্সির মন্টক্লেয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গ্যাব্রিয়েল রুবিন। তিনি ২০২৫ সালের ‘সোসাইটি ফর রিস্ক অ্যানালাইসিস’ কনফারেন্সে জেন-জি বা ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া তরুণদের বিষয়ে এক চাঞ্চল্যকর গবেষণাপত্র পেশ করেছেন। তাঁর দীর্ঘ গবেষণায় উঠে এসেছে এই প্রজন্মের গভীর উদ্বেগ, নিরাশা এবং পৃথিবীকে দেখার এক ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।
গবেষণার তিনটি মূল দিক
অধ্যাপক রুবিন ১০৭ জন তরুণের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তিনটি বড় বিষয় চিহ্নিত করেছেন।
ভয়ংকর পৃথিবী: কোভিড-১৯ লকডাউন এবং বন্দুক হামলার মতো অভিজ্ঞতার কারণে এই প্রজন্ম পৃথিবীকে একটি অত্যন্ত অনিরাপদ স্থান মনে করে।
পরিবর্তনের ক্ষমতাহীনতা: তারা বিশ্বাস করে যে রাজনীতি বা আন্দোলনের মাধ্যমে পৃথিবী পরিবর্তনের ক্ষমতা তাদের নেই। যখন কোনো মানুষ পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়, তখন চারপাশের জগৎকে তার কাছে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়।
নেতিবাচক ভবিষ্যৎ: জলবায়ু পরিবর্তনের মতো অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই বা অর্থনৈতিক সংকটের কোনো সহজ সমাধান না থাকায় তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম হতাশ ও বিষণ্ন।
ঝুঁকি দেখার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
গবেষণায় দেখা গেছে, জেন-জি প্রজন্ম যেকোনো ঝুঁকিকে দুটি বিষয়ের ওপর বিচার করে। বিষয়টিকে একেবারে সাদাকালো অর্থাৎ নিরাপদ অথবা বিপজ্জনক এই দুই মেরুতে তারা বিচার করে। তারা বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে যে ঝুঁকি একটি ধারাবাহিক বিষয়, যা সামলানো বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এর ফলে তারা জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে ঝুঁকি অনুভব করে।
নারী ও বর্তমান সমাজ
এই গবেষণায় তরুণীদের ওপর প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। প্রায় সব নারী মনে করে, বিশেষ করে প্রজননস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা তাদের অধিকার। এটি হুমকির মুখে। এই ভীতি অনেক ক্ষেত্রে তাদের আত্মহত্যা বা চরম বিষণ্নতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
কেন হচ্ছে এমন
অধ্যাপক রুবিন এর কারণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং তথ্যের প্রবল প্রবাহকে দায়ী করেছেন। মোবাইল ফোনের পুশ নোটিফিকেশন আর অবিরাম সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট তাদের সারাক্ষণ ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দেয়। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, জেন-জি সেন্সরি প্রসেসিং সেনসিটিভিটিতে ভুগছে। যার অর্থ তারা যেকোনো তথ্য বা পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি গভীর ও তীব্রভাবে অনুভব করে।
পরস্পরবিরোধী বাস্তবতা
মজার বিষয় হলো, পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত তিন বছর মানব ইতিহাসের অন্যতম নিরাপদ সময়। কিন্তু জেন-জি প্রজন্মের কাছে তাদের অভ্যন্তরীণ ভয়গুলো বাস্তব হুমকির চেয়েও বড়। তারা নিজেদের স্নোফ্লেক বা অধিকারপ্রত্যাশী ট্যাগ দেওয়াটা পছন্দ করে না। বরং এটি তাদের আরও বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়।
অধ্যাপক রুবিন মনে করেন, পুলিশ বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত এই তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা। পৃথিবী হয়তো বাইরে থেকে নিরাপদ। কিন্তু জেন-জি প্রজন্মের ভেতরে যে ভয়ের জগৎ তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে তাদের আরও শক্তিশালী এবং আশাবাদী করে তোলা জরুরি।
সূত্র: ডেইলি মেইল, ইউরেক অ্যালার্ট

চারু যে সময়ে ফটো স্টুডিওর ব্যবসা শুরু করেন, সে সময় ঢাকার মাত্র দুটি বাণিজ্যিক স্টুডিওর নাম জানা যায়—ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিও ও বেঙ্গল স্টুডিও। ওয়াইজঘাটের ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিওর ফটোগ্রাফার ছিলেন জার্মান নাগরিক ফ্রিৎজ ক্যাপ। ঢাকার নবাব আহসানউল্লাহর আর্থিক সহযোগিতায় বিশ শতকের শুরুতে ক্যাপ এই স্টুডিও চালু কর
১২ জুলাই ২০২১
এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।...
২ ঘণ্টা আগে
রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।...
৪ ঘণ্টা আগে
অফিসে আজ কোনো এক সহকর্মী আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা নেবে। তারা এমন একটা আলতু-ফালতু মন্তব্য করবে, যা শুনে আপনার মনে হবে আপনি সাক্ষাৎ গজব! কিন্তু সাবধান, বসের দিকে তেড়ে যাওয়ার আগে ক্যালেন্ডারটা একবার দেখে নিন—মাস শেষ হতে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
অফিসে আজ কোনো এক সহকর্মী আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা নেবে। তারা এমন একটা আলতু-ফালতু মন্তব্য করবে, যা শুনে আপনার মনে হবে আপনি সাক্ষাৎ গজব! কিন্তু সাবধান, বসের দিকে তেড়ে যাওয়ার আগে ক্যালেন্ডারটা একবার দেখে নিন—মাস শেষ হতে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। এখন মেজাজ গরম করা মানেই মাসের শেষের পকেট মানি আর ইনক্রিমেন্ট দুটোই হারানো। নিজেকে বোঝান যে আপনি একজন সাধু ব্যক্তি, আর রাগটা ফ্রিজের একদম নিচের বরফ বাক্সে ঢুকিয়ে রাখুন। আজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অন্তত পাঁচ মিনিট নিজের প্রশংসা করুন। অন্য কেউ তো করবেই না, উল্টো বদনাম করতে পারে!
বৃষ
প্রেমের নীল সমুদ্রে আজ টাইটানিকের মতো হাবুডুবু খেতে পারেন। তবে রোমান্টিক হওয়ার আগে মনে রাখবেন, গ্রহরা বলছে আজ আপনার ইগো বা অহংকার একটু বেশিই চড়া থাকবে। প্রিয়জনের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে দিনটা মাটি করবেন না, না হলে কপালে ডিনারের বদলে শুধু বাসি শিঙাড়া জুটবে। যাঁরা ব্যবসা করছেন, তাঁরা অংশীদারদের অন্ধ বিশ্বাস করবেন না; সই করার আগে সব কাগজ অন্তত দুবার পড়ুন এবং তাঁদের টিফিন বক্সটাও চেক করে নিন—কী জানি কী লুকিয়ে রেখেছে! আজ যদি খুব লটারির টিকিট কাটার নেশা চাপে, তবে ওই টাকায় এক কাপ ভালো চা আর বিস্কুট খেয়ে সোজা বাড়ি চলে যান। লাভ বেশি হবে।
মিথুন
আজ আপনার জন্য যোগাযোগের দরজা খোলা। ইনবক্সে একগাদা ই-মেইল বা পুরোনো বন্ধুর মেসেজ আসার সম্ভাবনা প্রবল। তবে সব উত্তর দিতে গিয়ে ফোনের চার্জ আর রিচার্জ দুটোই শেষ করবেন না। শরীরের ওপর আজ একটু চাপ বাড়তে পারে, পিঠ বা ঘাড়ের ব্যথা জানান দেবে যে আপনি আর কুড়ি বছরের তরুণ নন। কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে লম্বা একটা হাই তুলুন আর হাত-পা ছড়িয়ে একটু আড়মোড়া ভেঙে নিন। নতুন কোনো সম্পর্কে পা দেওয়ার আগে ঠান্ডা মাথায় ভাবুন—সেই মানুষটি কি আপনার সব আজব আবদার আর মাঝরাতের খিদে সহ্য করতে পারবে?
কর্কট
বাড়ির লোকের আবেগঘন কথা আজ আপনাকে কাবু করতে পারে। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের কথায় একটু বেশি কান দিন, নতুবা রাতে পছন্দের তরকারিটা প্লেটে না-ও জুটতে পারে। হঠাৎ করে দূরে কোথাও পাহাড় বা সমুদ্রে ঘুরতে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগবে, কিন্তু ব্যাংকের ব্যালেন্স দেখা মাত্রই সেই ইচ্ছা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। অগত্যা ইউটিউবে অন্যের ট্রাভেল ভ্লগ দেখেই সাধ মেটাতে হবে। যাঁরা ছাত্রছাত্রী, তাঁদের জন্য পড়াশোনার চেয়ে আজ পড়ার টেবিল গোছানোটা বেশি জরুরি হতে পারে। টেবিল পরিষ্কার থাকলে অন্তত মনে হবে যে আপনি পড়ছেন!
সিংহ
আপনার রাজকীয় চালচলন আজ বজায় থাকবে। অনেক দিন ধরে ঝুলে থাকা কোনো একটা কাজ বিকেলের দিকে মিটে যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকুন, আজ কাছের মানুষ বা স্ত্রী এমন কোনো সত্য কথা তিরের মতো ছুড়ে দেবে, যা সরাসরি ইগোতে গিয়ে লাগবে। পাত্তা দেবেন না! নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, যদিও আপনার আত্মবিশ্বাস মাঝেমধ্যে হিমালয়ের চূড়া ছাড়িয়ে যায়। অফিসের বসকে আজ মহাজ্ঞানী মনে করুন। তিনি যা-ই বলুন না কেন, তর্কে না গিয়ে শুধু মুখটা ৩২ পাটি বের করে হাসুন আর বলুন, ‘হ্যাঁ স্যার, একদম ঠিক বলেছেন।’
কন্যা
আপনার খুঁতখুঁতে স্বভাব আজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। চায়ে চিনির দানা কয়টা আছে তা-ও হয়তো আপনি গুনে দেখতে চাইবেন। জীবনের বড় কোনো সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে বিয়ের কথা বা চাকরি বদলের চিন্তা আজ স্থগিত রাখাই ভালো। কারণ, আপনার বিচারবুদ্ধি আজ একটু বেশিই জটিল পথে হাঁটছে। হঠাৎ কোনো পুরোনো বন্ধু বা পাওনাদার সামনে উদয় হতে পারে—পকেট সামলান! আজ আপনার হাসিতে একটা অন্যরকম জাদু থাকবে। তাই দাঁত মাজার সময় একটু বেশি সময় দিন, যাতে সেই জাদুর আলোয় সবাই ভিরমি খায়!
তুলা
সারা দিন মনে হবে পৃথিবীটা যেন উল্টে যাচ্ছে। একটা অজানা হাহাকার বা অস্থিরতা তাড়া করবে। তবে ঘাবড়াবেন না, এটা কি সত্যিই কোনো গভীর আধ্যাত্মিক বিষয় নাকি দুপুরের তেল-চর্বিযুক্ত বিরিয়ানির ফলাফল, সেটা আগে এন্টাসিড খেয়ে নিশ্চিত করুন। পারিবারিক অশান্তিতে ঘি না ঢেলে যুক্তিবাদী হওয়ার চেষ্টা করুন। রাত জেগে অন্যের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল চেক করা বন্ধ করুন। নিজের চোখের নিচের কালি দূর করতে একটু শান্তিতে ঘুমানো জরুরি।
বৃশ্চিক
অর্থিক যোগ মন্দ নয়, পকেটে দু-চার টাকা আসার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সমস্যা হলো শত্রু বা যারা আপনাকে হিংসা করে, তারা ওত পেতে বসে আছে। ব্যাংক ব্যালেন্সের গল্প বা কেনাকাটার ফিরিস্তি আজ কাউকে শোনাবেন না। কোনো গোপন কথা আজ ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয় আছে, তাই মুখে কুলুপ আঁটুন। সন্ধ্যার পর মনের আকাশ থেকে পুরোনো মেঘ কেটে গিয়ে হালকা রোমান্টিক ঝিলিক দেখা দিতে পারে। উপভোগ করুন!
ধনু
আজ নিজেকে খুব বুদ্ধিমান মনে করবেন এবং পুরোনো কিছু সাফল্যের স্মৃতিচারণা করে খুশিতে ডগমগ করবেন। তবে গ্রহের ফেরে আজ বাড়ির কোনো ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অশান্তি হতে পারে। আপনার যুক্তি খুব প্রখর থাকবে, কিন্তু ঝগড়ার সময় সেই যুক্তি যেন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে না বদলে যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। মিষ্টি কথায় কাজ হাসিল করার চেষ্টা করুন। রাস্তাঘাটে চলবার সময় বড়দের সম্মান দিন। কে জানে, কোনো বয়স্ক আত্মীয়র মন জয় করতে পারলে পকেট থেকে দু-পাঁচ শ টাকার নোট আশীর্বাদ হিসেবে বেরিয়েও আসতে পারে!
মকর
কাউকে আজ উদার হয়ে টাকা ধার দিতে যাবেন না। নক্ষত্ররা বলছে, ওই টাকা ফেরত পাওয়া আর অমাবস্যার চাঁদ দেখা একই কথা। পার্টনার আজ খুব স্পর্শকাতর মুডে থাকবে, তাই ভুল করেও কোনো সেনসিটিভ কথা তুলবেন না। শান্তি বজায় রাখতে আজ নিজেকে ‘বোবা’ বানিয়ে রাখতে পারেন। দুনিয়াটা যদি আজ একঘেয়ে বা সাদাকালো মনে হয়, তবে একটা সস্তা রঙিন চশমা পরে নিন—সবকিছুই রঙিন আর রঙিন মনে হবে!
কুম্ভ
কথার জাদুতে আজ অসম্ভব কাজও সম্ভব হয়ে যাবে। অফিসে যে জট পাকিয়ে বসে ছিল, তা আপনার দুই মিনিটের লেকচারে খুলে যাবে। তবে সন্তানদের পড়াশোনা বা তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছুটা মানসিক চাপের সৃষ্টি হতে পারে। খরচ কমানোর পরিকল্পনা করবেন ঠিকই, কিন্তু অনলাইন শপিং অ্যাপের নোটিফিকেশন সেই পরিকল্পনার বারোটা বাজাতে পারে। আজ লড়াই বা তর্কে জেতার চেয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াটাই হবে আপনার সবচেয়ে বড় জয়।
মীন
আপনার কল্পনাশক্তি আজ আকাশছোঁয়া হবে। নতুন কিছু আঁকা, লেখা বা গান গাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনার কাণ্ডকারখানা দেখে চারপাশের মানুষ রীতিমতো চমকে উঠবে। তবে আপনার ঘরদোর আজ যা অগোছালো হয়ে আছে, তাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাটা প্রধান চ্যালেঞ্জ। সব কিছুর মধ্যে একটা অদ্ভুত ছন্দ খুঁজে পাবেন। আজ ভুলেও কাউকে অনুকরণ বা নকল করতে যাবেন না। আপনি যেমন অদ্ভুত, তেমনই থাকুন—তাতেই আপনার বিশেষত্ব!

মেষ
অফিসে আজ কোনো এক সহকর্মী আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা নেবে। তারা এমন একটা আলতু-ফালতু মন্তব্য করবে, যা শুনে আপনার মনে হবে আপনি সাক্ষাৎ গজব! কিন্তু সাবধান, বসের দিকে তেড়ে যাওয়ার আগে ক্যালেন্ডারটা একবার দেখে নিন—মাস শেষ হতে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। এখন মেজাজ গরম করা মানেই মাসের শেষের পকেট মানি আর ইনক্রিমেন্ট দুটোই হারানো। নিজেকে বোঝান যে আপনি একজন সাধু ব্যক্তি, আর রাগটা ফ্রিজের একদম নিচের বরফ বাক্সে ঢুকিয়ে রাখুন। আজ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অন্তত পাঁচ মিনিট নিজের প্রশংসা করুন। অন্য কেউ তো করবেই না, উল্টো বদনাম করতে পারে!
বৃষ
প্রেমের নীল সমুদ্রে আজ টাইটানিকের মতো হাবুডুবু খেতে পারেন। তবে রোমান্টিক হওয়ার আগে মনে রাখবেন, গ্রহরা বলছে আজ আপনার ইগো বা অহংকার একটু বেশিই চড়া থাকবে। প্রিয়জনের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে দিনটা মাটি করবেন না, না হলে কপালে ডিনারের বদলে শুধু বাসি শিঙাড়া জুটবে। যাঁরা ব্যবসা করছেন, তাঁরা অংশীদারদের অন্ধ বিশ্বাস করবেন না; সই করার আগে সব কাগজ অন্তত দুবার পড়ুন এবং তাঁদের টিফিন বক্সটাও চেক করে নিন—কী জানি কী লুকিয়ে রেখেছে! আজ যদি খুব লটারির টিকিট কাটার নেশা চাপে, তবে ওই টাকায় এক কাপ ভালো চা আর বিস্কুট খেয়ে সোজা বাড়ি চলে যান। লাভ বেশি হবে।
মিথুন
আজ আপনার জন্য যোগাযোগের দরজা খোলা। ইনবক্সে একগাদা ই-মেইল বা পুরোনো বন্ধুর মেসেজ আসার সম্ভাবনা প্রবল। তবে সব উত্তর দিতে গিয়ে ফোনের চার্জ আর রিচার্জ দুটোই শেষ করবেন না। শরীরের ওপর আজ একটু চাপ বাড়তে পারে, পিঠ বা ঘাড়ের ব্যথা জানান দেবে যে আপনি আর কুড়ি বছরের তরুণ নন। কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে লম্বা একটা হাই তুলুন আর হাত-পা ছড়িয়ে একটু আড়মোড়া ভেঙে নিন। নতুন কোনো সম্পর্কে পা দেওয়ার আগে ঠান্ডা মাথায় ভাবুন—সেই মানুষটি কি আপনার সব আজব আবদার আর মাঝরাতের খিদে সহ্য করতে পারবে?
কর্কট
বাড়ির লোকের আবেগঘন কথা আজ আপনাকে কাবু করতে পারে। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের কথায় একটু বেশি কান দিন, নতুবা রাতে পছন্দের তরকারিটা প্লেটে না-ও জুটতে পারে। হঠাৎ করে দূরে কোথাও পাহাড় বা সমুদ্রে ঘুরতে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগবে, কিন্তু ব্যাংকের ব্যালেন্স দেখা মাত্রই সেই ইচ্ছা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। অগত্যা ইউটিউবে অন্যের ট্রাভেল ভ্লগ দেখেই সাধ মেটাতে হবে। যাঁরা ছাত্রছাত্রী, তাঁদের জন্য পড়াশোনার চেয়ে আজ পড়ার টেবিল গোছানোটা বেশি জরুরি হতে পারে। টেবিল পরিষ্কার থাকলে অন্তত মনে হবে যে আপনি পড়ছেন!
সিংহ
আপনার রাজকীয় চালচলন আজ বজায় থাকবে। অনেক দিন ধরে ঝুলে থাকা কোনো একটা কাজ বিকেলের দিকে মিটে যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকুন, আজ কাছের মানুষ বা স্ত্রী এমন কোনো সত্য কথা তিরের মতো ছুড়ে দেবে, যা সরাসরি ইগোতে গিয়ে লাগবে। পাত্তা দেবেন না! নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন, যদিও আপনার আত্মবিশ্বাস মাঝেমধ্যে হিমালয়ের চূড়া ছাড়িয়ে যায়। অফিসের বসকে আজ মহাজ্ঞানী মনে করুন। তিনি যা-ই বলুন না কেন, তর্কে না গিয়ে শুধু মুখটা ৩২ পাটি বের করে হাসুন আর বলুন, ‘হ্যাঁ স্যার, একদম ঠিক বলেছেন।’
কন্যা
আপনার খুঁতখুঁতে স্বভাব আজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। চায়ে চিনির দানা কয়টা আছে তা-ও হয়তো আপনি গুনে দেখতে চাইবেন। জীবনের বড় কোনো সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে বিয়ের কথা বা চাকরি বদলের চিন্তা আজ স্থগিত রাখাই ভালো। কারণ, আপনার বিচারবুদ্ধি আজ একটু বেশিই জটিল পথে হাঁটছে। হঠাৎ কোনো পুরোনো বন্ধু বা পাওনাদার সামনে উদয় হতে পারে—পকেট সামলান! আজ আপনার হাসিতে একটা অন্যরকম জাদু থাকবে। তাই দাঁত মাজার সময় একটু বেশি সময় দিন, যাতে সেই জাদুর আলোয় সবাই ভিরমি খায়!
তুলা
সারা দিন মনে হবে পৃথিবীটা যেন উল্টে যাচ্ছে। একটা অজানা হাহাকার বা অস্থিরতা তাড়া করবে। তবে ঘাবড়াবেন না, এটা কি সত্যিই কোনো গভীর আধ্যাত্মিক বিষয় নাকি দুপুরের তেল-চর্বিযুক্ত বিরিয়ানির ফলাফল, সেটা আগে এন্টাসিড খেয়ে নিশ্চিত করুন। পারিবারিক অশান্তিতে ঘি না ঢেলে যুক্তিবাদী হওয়ার চেষ্টা করুন। রাত জেগে অন্যের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল চেক করা বন্ধ করুন। নিজের চোখের নিচের কালি দূর করতে একটু শান্তিতে ঘুমানো জরুরি।
বৃশ্চিক
অর্থিক যোগ মন্দ নয়, পকেটে দু-চার টাকা আসার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সমস্যা হলো শত্রু বা যারা আপনাকে হিংসা করে, তারা ওত পেতে বসে আছে। ব্যাংক ব্যালেন্সের গল্প বা কেনাকাটার ফিরিস্তি আজ কাউকে শোনাবেন না। কোনো গোপন কথা আজ ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয় আছে, তাই মুখে কুলুপ আঁটুন। সন্ধ্যার পর মনের আকাশ থেকে পুরোনো মেঘ কেটে গিয়ে হালকা রোমান্টিক ঝিলিক দেখা দিতে পারে। উপভোগ করুন!
ধনু
আজ নিজেকে খুব বুদ্ধিমান মনে করবেন এবং পুরোনো কিছু সাফল্যের স্মৃতিচারণা করে খুশিতে ডগমগ করবেন। তবে গ্রহের ফেরে আজ বাড়ির কোনো ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অশান্তি হতে পারে। আপনার যুক্তি খুব প্রখর থাকবে, কিন্তু ঝগড়ার সময় সেই যুক্তি যেন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে না বদলে যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। মিষ্টি কথায় কাজ হাসিল করার চেষ্টা করুন। রাস্তাঘাটে চলবার সময় বড়দের সম্মান দিন। কে জানে, কোনো বয়স্ক আত্মীয়র মন জয় করতে পারলে পকেট থেকে দু-পাঁচ শ টাকার নোট আশীর্বাদ হিসেবে বেরিয়েও আসতে পারে!
মকর
কাউকে আজ উদার হয়ে টাকা ধার দিতে যাবেন না। নক্ষত্ররা বলছে, ওই টাকা ফেরত পাওয়া আর অমাবস্যার চাঁদ দেখা একই কথা। পার্টনার আজ খুব স্পর্শকাতর মুডে থাকবে, তাই ভুল করেও কোনো সেনসিটিভ কথা তুলবেন না। শান্তি বজায় রাখতে আজ নিজেকে ‘বোবা’ বানিয়ে রাখতে পারেন। দুনিয়াটা যদি আজ একঘেয়ে বা সাদাকালো মনে হয়, তবে একটা সস্তা রঙিন চশমা পরে নিন—সবকিছুই রঙিন আর রঙিন মনে হবে!
কুম্ভ
কথার জাদুতে আজ অসম্ভব কাজও সম্ভব হয়ে যাবে। অফিসে যে জট পাকিয়ে বসে ছিল, তা আপনার দুই মিনিটের লেকচারে খুলে যাবে। তবে সন্তানদের পড়াশোনা বা তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছুটা মানসিক চাপের সৃষ্টি হতে পারে। খরচ কমানোর পরিকল্পনা করবেন ঠিকই, কিন্তু অনলাইন শপিং অ্যাপের নোটিফিকেশন সেই পরিকল্পনার বারোটা বাজাতে পারে। আজ লড়াই বা তর্কে জেতার চেয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াটাই হবে আপনার সবচেয়ে বড় জয়।
মীন
আপনার কল্পনাশক্তি আজ আকাশছোঁয়া হবে। নতুন কিছু আঁকা, লেখা বা গান গাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনার কাণ্ডকারখানা দেখে চারপাশের মানুষ রীতিমতো চমকে উঠবে। তবে আপনার ঘরদোর আজ যা অগোছালো হয়ে আছে, তাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাটা প্রধান চ্যালেঞ্জ। সব কিছুর মধ্যে একটা অদ্ভুত ছন্দ খুঁজে পাবেন। আজ ভুলেও কাউকে অনুকরণ বা নকল করতে যাবেন না। আপনি যেমন অদ্ভুত, তেমনই থাকুন—তাতেই আপনার বিশেষত্ব!

চারু যে সময়ে ফটো স্টুডিওর ব্যবসা শুরু করেন, সে সময় ঢাকার মাত্র দুটি বাণিজ্যিক স্টুডিওর নাম জানা যায়—ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিও ও বেঙ্গল স্টুডিও। ওয়াইজঘাটের ক্যাপ ফ্রিৎজ স্টুডিওর ফটোগ্রাফার ছিলেন জার্মান নাগরিক ফ্রিৎজ ক্যাপ। ঢাকার নবাব আহসানউল্লাহর আর্থিক সহযোগিতায় বিশ শতকের শুরুতে ক্যাপ এই স্টুডিও চালু কর
১২ জুলাই ২০২১
এই বছর ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পাশাপাশি আমাদের এই সুন্দর গ্রহটিকে সুস্থ করে তোলার দায়িত্বও কি আমাদের নয়? জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশদূষণের এই সময়ে আমাদের ছোট ছোট কিছু অভ্যাসই পারে বড় পরিবর্তন আনতে। ২০২৬ সালে একটি সবুজ ও বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে আপনি কিছু অভ্যাস নিজের জীবনে যোগ করতে পারেন।...
২ ঘণ্টা আগে
রূপবিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের শুষ্ক ও নির্জীব ভাব দূর করতে বাইরে থেকে যেমন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন, তেমনি নিয়মিত কয়েকটি খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে শীতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, নরম ও মসৃণ। পাশাপাশি ত্বকে বয়সের ছাপও পড়বে দেরিতে।...
৪ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া পুরো দুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এই প্রজন্মের মানুষের একটা যোগাযোগ আছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের পতন নিশ্চিত করার ঘটনায় বেশ আলোচনায় আছে জেন-জি প্রজন্ম। এ জন্য এ প্রজন্মের মানুষের সাহসের প্রশংসা করেন অনেকেই। কিন্তু সে...
৬ ঘণ্টা আগে