আমিনুল ইসলাম নাবিল

দিনের কর্মব্যস্ততার পর পুরো শহর যখন ক্লান্ত হয়ে একটু বিশ্রামে ব্যস্ত, তখনো অপলক জেগে থাকে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার। পুরোনো এলাকাগুলোকে ঐতিহাসিক না বলে ঐতিহ্যবাহী এলাকা বলার একটা চল আছে আমাদের মধ্যে। সেই সূত্রে নাজিরাবাজারও ঐতিহ্যবাহী এলাকা। শুধু পুরোনো বলেই নয়, এখানকার খাবার আসলেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো এ শহরের। সেই সূত্রে ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী দুটি শব্দই নাজিরাবাজারের জন্য প্রযোজ্য।
নাজিরাবাজারে দিনরাত সবই সমান। ২৪ ঘণ্টাই এখানকার খাবারের দোকানগুলো খোলা থাকে। বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষের আনাগোনায় সারাক্ষণ মুখর থাকে এলাকাটি। ভোজনরসিক মানুষের কাছে এলাকাটি এক ভালোবাসার নাম। দিনের যেকোনো সময় গেলেই সেখানে মেলে মুখরোচক বিভিন্ন খাবার।
কথিত আছে, ঢাকায় মোগল আমলে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নাজিরেরা সেখানে বসবাস করতেন। নাজিরদের বসবাসের এলাকায় বাজারটি গড়ে ওঠে বলে এর নাম হয় নাজিরাবাজার।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানের সামনে বঙ্গবাজার এলাকা। সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা পথ এগোলেই নাজিরাবাজার। এলাকাটিতে ঢুকেই মনে হবে শহরের সব সুখ যেন এখানে এসে জমা হয়েছে। রাত যত গভীর হয়, নাজিরাবাজারের আলোর রোশনাই ততই খুলতে থাকে। খাবারের দোকানগুলোর সামনে ততই বাড়তে থাকে ভিড়। শহরের মানুষ নিশ্চিন্তে এখানে খেতে আসে। মাঝরাতেও নাজিরাবাজারে গেলে মনে হবে এই বুঝি সন্ধ্যা নামল। নারী-পুরুষ-শিশু সবাই এখানে গরম গরম খাবার খেতে ছুটে আসে। সাধারণত ঢাকার রাজপথে নারীদের জন্য রাতের বেলায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও নাজিরাবাজার সেদিক থেকে ব্যতিক্রম। ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে নারীরাও এখানে আসেন নির্বিঘ্নে।
কথায় আছে, সকালে নেহারি, দুপুরে তেহারি, সন্ধ্যায় লাচ্ছি আর রাতে কাচ্চি—এই হচ্ছে পুরান ঢাকার ভোজনরসিক মানুষের খাবার। নাজিরাবাজার তার ব্যতিক্রম নয়। সেখানে লাল কাপড়ে মোড়ানো একেকটি বিরিয়ানির ডেক দেখলে স্বর্গের কথা মনে পড়বে। বিরিয়ানি, কাবাব, বোরহানি, হালিম, মোরগ পোলাও, গরুর কালা ভুনা থেকে শুরু করে কী নেই সেখানে? খাবারের সুঘ্রাণে অপার্থিব অনুভূতির ছোঁয়া পাওয়া যায়। ধোঁয়া ওঠা বিরিয়ানির প্লেট, এক টুকরো লেবু ও এক পিস কাঁচা মরিচ আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক ভুবনে। ভারী খাবার খাওয়ার পর কিছুটা মিষ্টিমুখ না করলে মিস হয়ে যাবে। তাই লাচ্ছি, ফালুদা, মিষ্টি পান খেয়ে খাওয়ার ষোলোকলা পূর্ণ করে নিতে হবে।
নাজিরাবাজারে খেতে যাওয়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত যত গভীরই হোক সেখানে গরম খাবার পাওয়া যাবে, সেটা নিশ্চিত। শুধু পুরান ঢাকার মানুষই নন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকেও ভোজনরসিক মানুষজন সেখানে ভিড় জমান।
একসময় পুরান ঢাকার বিউটি বোর্ডিং যেভাবে আড্ডা ও আনন্দের কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে উঠেছিল, আজকের নাজিরাবাজারকেও তার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। সেখানকার খাবারের আড্ডায় দেখা মিলবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ক্রীড়াজগৎ কিংবা শোবিজ অঙ্গনের তারকা থেকে শুরু করে সেখানে গেলে অনেক পরিচিত মুখেরই দেখা মেলে। কেউবা আরাম করে খেতে কেউবা সারা দিনের ক্লান্তি ভুলে আড্ডা দিতে উপস্থিত হন সেখানে; বিশেষ করে পেশাগত কারণে যাঁদের রাতে বাইরে অবস্থান করতে হয়, তাঁদের জন্য নাজিরাবাজার এক ভরসার জায়গা। এ যেন রথ দেখা আর কলা বেচার মতো অবস্থা—পুরান ঢাকায় বসে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারও খাওয়া হলো আবার ভালো একটা সময়ও কাটল।
নাজিরাবাজারের বিখ্যাত খাবারের স্বাদ নিতে বিদেশিরাও এখানে ছুটে যান। ২০১৯ সালে বিখ্যাত বিরিয়ানির স্বাদ নিতে নাজিরাবাজারে এসেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। তিনি সেখানকার বিরিয়ানি খেয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
হুট করে নতুন কেউ রাতের বেলা নাজিরাবাজার এলাকায় ঢুকে গেলে অবাক হবেন। গভীর রাতেও সেখানে মানুষের ভিড় দেখে নিজের ঘড়ি নষ্ট হয়ে গেছে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের প্রতিদিনের চিত্র এমনই। গভীর রাতে সেখানে গিয়ে দেখা যাবে রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে গাড়ি পার্ক করা আছে। সারিবদ্ধ গাড়িগুলো নাজিরাবাজার থেকে শুরু করে বংশাল পুরান চৌরাস্তা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। যত দিন যাচ্ছে, নাজিরাবাজারের এই সুখ্যাতি বেড়েই চলেছে।
পরিবারসহ কিংবা সবান্ধব পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে এসে এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন। এখানকার দোকানগুলোতে খাবারের দাম অন্যান্য এলাকার তুলনায় কম। সকালের নাশতা করার উদ্দেশ্যে যদি নাজিরাবাজারে আসেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নাশতা খাওয়ার আগে রাস্তার ধারে বসে থাকা দোকানিদের কাছ থেকে ছানা-মাঠা খেয়ে দেখতে পারেন। এটি পুরান ঢাকার মানুষের অন্যতম প্রিয় খাবার। এখনো পুরান ঢাকার অনেক মানুষ ছানা-মাঠা খেয়ে দিন শুরু করেন। বর্তমানে এক গ্লাস মাঠার দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর ছানার দামও একই।
ছানা-মাঠা পর্ব শেষ করে এবার নাশতার পালা শুরু। নাজিরা বাজারে সকালের নাশতার তালিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় নান রুটি দিয়ে নেহারি। এ ছাড়া নান অথবা পরোটা দিয়ে স্যুপ, খাসির পায়া, মগজ, কলিজা, গরুর কালা ভুনা, সবজি, হালুয়া ইত্যাদিও খেয়ে দেখতে পারেন। ৫-৬ জন মিলে গেলে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যেই নাশতার পর্ব শেষ করা যাবে। চাইলে দোকানে বসেই চায়ের স্বাদ নিতে পারেন কিংবা নাশতা খাওয়ার পর দোকান থেকে বের হয়ে বাইরের কোনো টি-স্টলে চা খেতে পারেন। টি-স্টলে চা খাওয়ার মজাটা আলাদা। টি-স্টলে চা খেলে খরচও কমে আসবে। এখানে মাত্র ৬ টাকায় রং চা ও ১০ টাকায় দুধ চা পাওয়া যায়।
দুপুরের ভারী খাবার খেতে যদি পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে আসতে চান, সে ক্ষেত্রে হাতে কিছুটা সময় নিয়ে আসতে হবে। কারণ পুরান ঢাকার সরু রাস্তায় যানের জট একটি বড় সমস্যা। তাই পেটে ছুঁচোয় ডন দেওয়া শুরুর আগেই পৌঁছাতে হাতে সময় নিয়ে বের হওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। দুপুরের খাবারের তালিকায় আছে কাচ্চি, বিরিয়ানি ও মোরগ পোলাও। এখানকার কাচ্চির দাম দোকানভেদে জনপ্রতি ২২০ থেকে ৩০০ টাকা। কাচ্চির ক্ষেত্রে অবশ্যই খাসির কাচ্চিই সবচেয়ে ভালো। এখানকার খাসির কাচ্চির স্বাদ অতুলনীয়। দোকানভেদে জনপ্রতি বিরিয়ানির দাম পড়বে ৮০ থেকে ২১০ টাকা। মোরগ পোলাওয়ের দাম ১১০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
এখানকার দোকানগুলোতে কাচ্চি, বিরিয়ানি ও মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি ভাত খাওয়ার সুব্যবস্থাও আছে। সাদা ভাতের সঙ্গে বিভিন্ন পদের ভর্তা ও গরুর কালা ভুনা দিয়ে ভাত খেতে জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৬০ টাকা খরচ হবে। তবে কয়েকজন মিলে গেলে খরচের পরিমাণ কিছুটা কমে আসবে।
পুরান ঢাকায় ডেজার্ট আইটেমেরও কমতি নেই। বোরহানি, টিকা, জর্দা, ফিরনি, লাচ্ছি, ফালুদা খেতে পারেন। বোরহানির দাম প্রতি গ্লাস ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, লাচ্ছি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও ফালুদা ৭০ থেকে ১১০ টাকা। কিছু দোকানে মাসের নির্দিষ্ট তারিখে এবং কিছু দোকানে রেগুলার প্যাকেজসহ ‘আস্ত’ মোরগ পোলাও পাওয়া যায়। দোকানভেদে খরচ ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।
সন্ধ্যা-রাতে যারা নাজিরাবাজারে আসবেন তাঁদের জন্য নাজিরাবাজারে আছে বিখ্যাত কাবাব, গ্রিল, হালিমসহ আরও অনেক মুখরোচক খাবার। কাবাবেরই বেশ কয়েক পদের আইটেম পাবেন এখানে। আছে বিফ বটি কাবাব, চিকেন চাপ, রেশমি কাবাব, ও চিকেন তন্দুরি। দোকানভেদে জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ভরপেট খাওয়া যাবে। নতুন করে সি ফুডের দোকানও নাজিরাবাজারে চালু হয়েছে। তবে সি ফুডের পদগুলোর দাম অন্যান্য আইটেমের তুলনায় কিছুটা বেশি।
বোরহানি, লাচ্ছি না খেতে চাইলে হাতের কাছেই পাবেন জুস। নাজিরাবাজারে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি জুসের দোকান। সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস পাওয়া যায়। ৩০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে জুস পাওয়া যাবে।
আর হালের জনপ্রিয় ‘ফায়ার পান’–এর স্বাদ না নিলে দিনটি পরিপূর্ণতা পাবে না। বেশ কয়েকটি পানের দোকান রয়েছে নাজিরা বাজারে। দাম মাত্র ১০ টাকা থেকে শুরু। ফায়ার পান, বানারসি পান, জাফরানি পান, চকলেট পান ও স্ট্রবেরি পান পাওয়া যাবে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।
নাজিরাবাজারে পুরোনো দোকানগুলোর মধ্যে অন্যতম হাজি বিরিয়ানি, হানিফ বিরিয়ানি ও বিসমিল্লাহ কাবাব। এ ছাড়া সেখানে খেতে আসা মানুষদের কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন অনেক দোকান খোলা হচ্ছে, আছে সি ফুডও। ফলে ঐতিহ্যবাহী খাবার থেকে শুরু করে বর্তমানের ট্রেন্ড সামুদ্রিক খাবার—সব পাওয়া যাবে নাজিরাবাজারে।
যাবেন নাকি একদিন ইয়ার বন্ধু কিংবা পরিবারের মানুষদের নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে? সময় ভালো কাটবে, জিব থাকবে সন্তুষ্ট। আবার হয়ে যাবে পারিবারিক আউটিং।

দিনের কর্মব্যস্ততার পর পুরো শহর যখন ক্লান্ত হয়ে একটু বিশ্রামে ব্যস্ত, তখনো অপলক জেগে থাকে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার। পুরোনো এলাকাগুলোকে ঐতিহাসিক না বলে ঐতিহ্যবাহী এলাকা বলার একটা চল আছে আমাদের মধ্যে। সেই সূত্রে নাজিরাবাজারও ঐতিহ্যবাহী এলাকা। শুধু পুরোনো বলেই নয়, এখানকার খাবার আসলেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো এ শহরের। সেই সূত্রে ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী দুটি শব্দই নাজিরাবাজারের জন্য প্রযোজ্য।
নাজিরাবাজারে দিনরাত সবই সমান। ২৪ ঘণ্টাই এখানকার খাবারের দোকানগুলো খোলা থাকে। বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষের আনাগোনায় সারাক্ষণ মুখর থাকে এলাকাটি। ভোজনরসিক মানুষের কাছে এলাকাটি এক ভালোবাসার নাম। দিনের যেকোনো সময় গেলেই সেখানে মেলে মুখরোচক বিভিন্ন খাবার।
কথিত আছে, ঢাকায় মোগল আমলে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নাজিরেরা সেখানে বসবাস করতেন। নাজিরদের বসবাসের এলাকায় বাজারটি গড়ে ওঠে বলে এর নাম হয় নাজিরাবাজার।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানের সামনে বঙ্গবাজার এলাকা। সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা পথ এগোলেই নাজিরাবাজার। এলাকাটিতে ঢুকেই মনে হবে শহরের সব সুখ যেন এখানে এসে জমা হয়েছে। রাত যত গভীর হয়, নাজিরাবাজারের আলোর রোশনাই ততই খুলতে থাকে। খাবারের দোকানগুলোর সামনে ততই বাড়তে থাকে ভিড়। শহরের মানুষ নিশ্চিন্তে এখানে খেতে আসে। মাঝরাতেও নাজিরাবাজারে গেলে মনে হবে এই বুঝি সন্ধ্যা নামল। নারী-পুরুষ-শিশু সবাই এখানে গরম গরম খাবার খেতে ছুটে আসে। সাধারণত ঢাকার রাজপথে নারীদের জন্য রাতের বেলায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও নাজিরাবাজার সেদিক থেকে ব্যতিক্রম। ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে নারীরাও এখানে আসেন নির্বিঘ্নে।
কথায় আছে, সকালে নেহারি, দুপুরে তেহারি, সন্ধ্যায় লাচ্ছি আর রাতে কাচ্চি—এই হচ্ছে পুরান ঢাকার ভোজনরসিক মানুষের খাবার। নাজিরাবাজার তার ব্যতিক্রম নয়। সেখানে লাল কাপড়ে মোড়ানো একেকটি বিরিয়ানির ডেক দেখলে স্বর্গের কথা মনে পড়বে। বিরিয়ানি, কাবাব, বোরহানি, হালিম, মোরগ পোলাও, গরুর কালা ভুনা থেকে শুরু করে কী নেই সেখানে? খাবারের সুঘ্রাণে অপার্থিব অনুভূতির ছোঁয়া পাওয়া যায়। ধোঁয়া ওঠা বিরিয়ানির প্লেট, এক টুকরো লেবু ও এক পিস কাঁচা মরিচ আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক ভুবনে। ভারী খাবার খাওয়ার পর কিছুটা মিষ্টিমুখ না করলে মিস হয়ে যাবে। তাই লাচ্ছি, ফালুদা, মিষ্টি পান খেয়ে খাওয়ার ষোলোকলা পূর্ণ করে নিতে হবে।
নাজিরাবাজারে খেতে যাওয়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত যত গভীরই হোক সেখানে গরম খাবার পাওয়া যাবে, সেটা নিশ্চিত। শুধু পুরান ঢাকার মানুষই নন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকেও ভোজনরসিক মানুষজন সেখানে ভিড় জমান।
একসময় পুরান ঢাকার বিউটি বোর্ডিং যেভাবে আড্ডা ও আনন্দের কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে উঠেছিল, আজকের নাজিরাবাজারকেও তার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। সেখানকার খাবারের আড্ডায় দেখা মিলবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ক্রীড়াজগৎ কিংবা শোবিজ অঙ্গনের তারকা থেকে শুরু করে সেখানে গেলে অনেক পরিচিত মুখেরই দেখা মেলে। কেউবা আরাম করে খেতে কেউবা সারা দিনের ক্লান্তি ভুলে আড্ডা দিতে উপস্থিত হন সেখানে; বিশেষ করে পেশাগত কারণে যাঁদের রাতে বাইরে অবস্থান করতে হয়, তাঁদের জন্য নাজিরাবাজার এক ভরসার জায়গা। এ যেন রথ দেখা আর কলা বেচার মতো অবস্থা—পুরান ঢাকায় বসে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারও খাওয়া হলো আবার ভালো একটা সময়ও কাটল।
নাজিরাবাজারের বিখ্যাত খাবারের স্বাদ নিতে বিদেশিরাও এখানে ছুটে যান। ২০১৯ সালে বিখ্যাত বিরিয়ানির স্বাদ নিতে নাজিরাবাজারে এসেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। তিনি সেখানকার বিরিয়ানি খেয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
হুট করে নতুন কেউ রাতের বেলা নাজিরাবাজার এলাকায় ঢুকে গেলে অবাক হবেন। গভীর রাতেও সেখানে মানুষের ভিড় দেখে নিজের ঘড়ি নষ্ট হয়ে গেছে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের প্রতিদিনের চিত্র এমনই। গভীর রাতে সেখানে গিয়ে দেখা যাবে রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে গাড়ি পার্ক করা আছে। সারিবদ্ধ গাড়িগুলো নাজিরাবাজার থেকে শুরু করে বংশাল পুরান চৌরাস্তা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। যত দিন যাচ্ছে, নাজিরাবাজারের এই সুখ্যাতি বেড়েই চলেছে।
পরিবারসহ কিংবা সবান্ধব পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে এসে এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন। এখানকার দোকানগুলোতে খাবারের দাম অন্যান্য এলাকার তুলনায় কম। সকালের নাশতা করার উদ্দেশ্যে যদি নাজিরাবাজারে আসেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নাশতা খাওয়ার আগে রাস্তার ধারে বসে থাকা দোকানিদের কাছ থেকে ছানা-মাঠা খেয়ে দেখতে পারেন। এটি পুরান ঢাকার মানুষের অন্যতম প্রিয় খাবার। এখনো পুরান ঢাকার অনেক মানুষ ছানা-মাঠা খেয়ে দিন শুরু করেন। বর্তমানে এক গ্লাস মাঠার দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর ছানার দামও একই।
ছানা-মাঠা পর্ব শেষ করে এবার নাশতার পালা শুরু। নাজিরা বাজারে সকালের নাশতার তালিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় নান রুটি দিয়ে নেহারি। এ ছাড়া নান অথবা পরোটা দিয়ে স্যুপ, খাসির পায়া, মগজ, কলিজা, গরুর কালা ভুনা, সবজি, হালুয়া ইত্যাদিও খেয়ে দেখতে পারেন। ৫-৬ জন মিলে গেলে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যেই নাশতার পর্ব শেষ করা যাবে। চাইলে দোকানে বসেই চায়ের স্বাদ নিতে পারেন কিংবা নাশতা খাওয়ার পর দোকান থেকে বের হয়ে বাইরের কোনো টি-স্টলে চা খেতে পারেন। টি-স্টলে চা খাওয়ার মজাটা আলাদা। টি-স্টলে চা খেলে খরচও কমে আসবে। এখানে মাত্র ৬ টাকায় রং চা ও ১০ টাকায় দুধ চা পাওয়া যায়।
দুপুরের ভারী খাবার খেতে যদি পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে আসতে চান, সে ক্ষেত্রে হাতে কিছুটা সময় নিয়ে আসতে হবে। কারণ পুরান ঢাকার সরু রাস্তায় যানের জট একটি বড় সমস্যা। তাই পেটে ছুঁচোয় ডন দেওয়া শুরুর আগেই পৌঁছাতে হাতে সময় নিয়ে বের হওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। দুপুরের খাবারের তালিকায় আছে কাচ্চি, বিরিয়ানি ও মোরগ পোলাও। এখানকার কাচ্চির দাম দোকানভেদে জনপ্রতি ২২০ থেকে ৩০০ টাকা। কাচ্চির ক্ষেত্রে অবশ্যই খাসির কাচ্চিই সবচেয়ে ভালো। এখানকার খাসির কাচ্চির স্বাদ অতুলনীয়। দোকানভেদে জনপ্রতি বিরিয়ানির দাম পড়বে ৮০ থেকে ২১০ টাকা। মোরগ পোলাওয়ের দাম ১১০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
এখানকার দোকানগুলোতে কাচ্চি, বিরিয়ানি ও মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি ভাত খাওয়ার সুব্যবস্থাও আছে। সাদা ভাতের সঙ্গে বিভিন্ন পদের ভর্তা ও গরুর কালা ভুনা দিয়ে ভাত খেতে জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৬০ টাকা খরচ হবে। তবে কয়েকজন মিলে গেলে খরচের পরিমাণ কিছুটা কমে আসবে।
পুরান ঢাকায় ডেজার্ট আইটেমেরও কমতি নেই। বোরহানি, টিকা, জর্দা, ফিরনি, লাচ্ছি, ফালুদা খেতে পারেন। বোরহানির দাম প্রতি গ্লাস ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, লাচ্ছি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও ফালুদা ৭০ থেকে ১১০ টাকা। কিছু দোকানে মাসের নির্দিষ্ট তারিখে এবং কিছু দোকানে রেগুলার প্যাকেজসহ ‘আস্ত’ মোরগ পোলাও পাওয়া যায়। দোকানভেদে খরচ ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।
সন্ধ্যা-রাতে যারা নাজিরাবাজারে আসবেন তাঁদের জন্য নাজিরাবাজারে আছে বিখ্যাত কাবাব, গ্রিল, হালিমসহ আরও অনেক মুখরোচক খাবার। কাবাবেরই বেশ কয়েক পদের আইটেম পাবেন এখানে। আছে বিফ বটি কাবাব, চিকেন চাপ, রেশমি কাবাব, ও চিকেন তন্দুরি। দোকানভেদে জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ভরপেট খাওয়া যাবে। নতুন করে সি ফুডের দোকানও নাজিরাবাজারে চালু হয়েছে। তবে সি ফুডের পদগুলোর দাম অন্যান্য আইটেমের তুলনায় কিছুটা বেশি।
বোরহানি, লাচ্ছি না খেতে চাইলে হাতের কাছেই পাবেন জুস। নাজিরাবাজারে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি জুসের দোকান। সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস পাওয়া যায়। ৩০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে জুস পাওয়া যাবে।
আর হালের জনপ্রিয় ‘ফায়ার পান’–এর স্বাদ না নিলে দিনটি পরিপূর্ণতা পাবে না। বেশ কয়েকটি পানের দোকান রয়েছে নাজিরা বাজারে। দাম মাত্র ১০ টাকা থেকে শুরু। ফায়ার পান, বানারসি পান, জাফরানি পান, চকলেট পান ও স্ট্রবেরি পান পাওয়া যাবে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।
নাজিরাবাজারে পুরোনো দোকানগুলোর মধ্যে অন্যতম হাজি বিরিয়ানি, হানিফ বিরিয়ানি ও বিসমিল্লাহ কাবাব। এ ছাড়া সেখানে খেতে আসা মানুষদের কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন অনেক দোকান খোলা হচ্ছে, আছে সি ফুডও। ফলে ঐতিহ্যবাহী খাবার থেকে শুরু করে বর্তমানের ট্রেন্ড সামুদ্রিক খাবার—সব পাওয়া যাবে নাজিরাবাজারে।
যাবেন নাকি একদিন ইয়ার বন্ধু কিংবা পরিবারের মানুষদের নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে? সময় ভালো কাটবে, জিব থাকবে সন্তুষ্ট। আবার হয়ে যাবে পারিবারিক আউটিং।
আমিনুল ইসলাম নাবিল

দিনের কর্মব্যস্ততার পর পুরো শহর যখন ক্লান্ত হয়ে একটু বিশ্রামে ব্যস্ত, তখনো অপলক জেগে থাকে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার। পুরোনো এলাকাগুলোকে ঐতিহাসিক না বলে ঐতিহ্যবাহী এলাকা বলার একটা চল আছে আমাদের মধ্যে। সেই সূত্রে নাজিরাবাজারও ঐতিহ্যবাহী এলাকা। শুধু পুরোনো বলেই নয়, এখানকার খাবার আসলেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো এ শহরের। সেই সূত্রে ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী দুটি শব্দই নাজিরাবাজারের জন্য প্রযোজ্য।
নাজিরাবাজারে দিনরাত সবই সমান। ২৪ ঘণ্টাই এখানকার খাবারের দোকানগুলো খোলা থাকে। বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষের আনাগোনায় সারাক্ষণ মুখর থাকে এলাকাটি। ভোজনরসিক মানুষের কাছে এলাকাটি এক ভালোবাসার নাম। দিনের যেকোনো সময় গেলেই সেখানে মেলে মুখরোচক বিভিন্ন খাবার।
কথিত আছে, ঢাকায় মোগল আমলে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নাজিরেরা সেখানে বসবাস করতেন। নাজিরদের বসবাসের এলাকায় বাজারটি গড়ে ওঠে বলে এর নাম হয় নাজিরাবাজার।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানের সামনে বঙ্গবাজার এলাকা। সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা পথ এগোলেই নাজিরাবাজার। এলাকাটিতে ঢুকেই মনে হবে শহরের সব সুখ যেন এখানে এসে জমা হয়েছে। রাত যত গভীর হয়, নাজিরাবাজারের আলোর রোশনাই ততই খুলতে থাকে। খাবারের দোকানগুলোর সামনে ততই বাড়তে থাকে ভিড়। শহরের মানুষ নিশ্চিন্তে এখানে খেতে আসে। মাঝরাতেও নাজিরাবাজারে গেলে মনে হবে এই বুঝি সন্ধ্যা নামল। নারী-পুরুষ-শিশু সবাই এখানে গরম গরম খাবার খেতে ছুটে আসে। সাধারণত ঢাকার রাজপথে নারীদের জন্য রাতের বেলায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও নাজিরাবাজার সেদিক থেকে ব্যতিক্রম। ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে নারীরাও এখানে আসেন নির্বিঘ্নে।
কথায় আছে, সকালে নেহারি, দুপুরে তেহারি, সন্ধ্যায় লাচ্ছি আর রাতে কাচ্চি—এই হচ্ছে পুরান ঢাকার ভোজনরসিক মানুষের খাবার। নাজিরাবাজার তার ব্যতিক্রম নয়। সেখানে লাল কাপড়ে মোড়ানো একেকটি বিরিয়ানির ডেক দেখলে স্বর্গের কথা মনে পড়বে। বিরিয়ানি, কাবাব, বোরহানি, হালিম, মোরগ পোলাও, গরুর কালা ভুনা থেকে শুরু করে কী নেই সেখানে? খাবারের সুঘ্রাণে অপার্থিব অনুভূতির ছোঁয়া পাওয়া যায়। ধোঁয়া ওঠা বিরিয়ানির প্লেট, এক টুকরো লেবু ও এক পিস কাঁচা মরিচ আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক ভুবনে। ভারী খাবার খাওয়ার পর কিছুটা মিষ্টিমুখ না করলে মিস হয়ে যাবে। তাই লাচ্ছি, ফালুদা, মিষ্টি পান খেয়ে খাওয়ার ষোলোকলা পূর্ণ করে নিতে হবে।
নাজিরাবাজারে খেতে যাওয়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত যত গভীরই হোক সেখানে গরম খাবার পাওয়া যাবে, সেটা নিশ্চিত। শুধু পুরান ঢাকার মানুষই নন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকেও ভোজনরসিক মানুষজন সেখানে ভিড় জমান।
একসময় পুরান ঢাকার বিউটি বোর্ডিং যেভাবে আড্ডা ও আনন্দের কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে উঠেছিল, আজকের নাজিরাবাজারকেও তার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। সেখানকার খাবারের আড্ডায় দেখা মিলবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ক্রীড়াজগৎ কিংবা শোবিজ অঙ্গনের তারকা থেকে শুরু করে সেখানে গেলে অনেক পরিচিত মুখেরই দেখা মেলে। কেউবা আরাম করে খেতে কেউবা সারা দিনের ক্লান্তি ভুলে আড্ডা দিতে উপস্থিত হন সেখানে; বিশেষ করে পেশাগত কারণে যাঁদের রাতে বাইরে অবস্থান করতে হয়, তাঁদের জন্য নাজিরাবাজার এক ভরসার জায়গা। এ যেন রথ দেখা আর কলা বেচার মতো অবস্থা—পুরান ঢাকায় বসে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারও খাওয়া হলো আবার ভালো একটা সময়ও কাটল।
নাজিরাবাজারের বিখ্যাত খাবারের স্বাদ নিতে বিদেশিরাও এখানে ছুটে যান। ২০১৯ সালে বিখ্যাত বিরিয়ানির স্বাদ নিতে নাজিরাবাজারে এসেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। তিনি সেখানকার বিরিয়ানি খেয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
হুট করে নতুন কেউ রাতের বেলা নাজিরাবাজার এলাকায় ঢুকে গেলে অবাক হবেন। গভীর রাতেও সেখানে মানুষের ভিড় দেখে নিজের ঘড়ি নষ্ট হয়ে গেছে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের প্রতিদিনের চিত্র এমনই। গভীর রাতে সেখানে গিয়ে দেখা যাবে রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে গাড়ি পার্ক করা আছে। সারিবদ্ধ গাড়িগুলো নাজিরাবাজার থেকে শুরু করে বংশাল পুরান চৌরাস্তা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। যত দিন যাচ্ছে, নাজিরাবাজারের এই সুখ্যাতি বেড়েই চলেছে।
পরিবারসহ কিংবা সবান্ধব পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে এসে এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন। এখানকার দোকানগুলোতে খাবারের দাম অন্যান্য এলাকার তুলনায় কম। সকালের নাশতা করার উদ্দেশ্যে যদি নাজিরাবাজারে আসেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নাশতা খাওয়ার আগে রাস্তার ধারে বসে থাকা দোকানিদের কাছ থেকে ছানা-মাঠা খেয়ে দেখতে পারেন। এটি পুরান ঢাকার মানুষের অন্যতম প্রিয় খাবার। এখনো পুরান ঢাকার অনেক মানুষ ছানা-মাঠা খেয়ে দিন শুরু করেন। বর্তমানে এক গ্লাস মাঠার দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর ছানার দামও একই।
ছানা-মাঠা পর্ব শেষ করে এবার নাশতার পালা শুরু। নাজিরা বাজারে সকালের নাশতার তালিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় নান রুটি দিয়ে নেহারি। এ ছাড়া নান অথবা পরোটা দিয়ে স্যুপ, খাসির পায়া, মগজ, কলিজা, গরুর কালা ভুনা, সবজি, হালুয়া ইত্যাদিও খেয়ে দেখতে পারেন। ৫-৬ জন মিলে গেলে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যেই নাশতার পর্ব শেষ করা যাবে। চাইলে দোকানে বসেই চায়ের স্বাদ নিতে পারেন কিংবা নাশতা খাওয়ার পর দোকান থেকে বের হয়ে বাইরের কোনো টি-স্টলে চা খেতে পারেন। টি-স্টলে চা খাওয়ার মজাটা আলাদা। টি-স্টলে চা খেলে খরচও কমে আসবে। এখানে মাত্র ৬ টাকায় রং চা ও ১০ টাকায় দুধ চা পাওয়া যায়।
দুপুরের ভারী খাবার খেতে যদি পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে আসতে চান, সে ক্ষেত্রে হাতে কিছুটা সময় নিয়ে আসতে হবে। কারণ পুরান ঢাকার সরু রাস্তায় যানের জট একটি বড় সমস্যা। তাই পেটে ছুঁচোয় ডন দেওয়া শুরুর আগেই পৌঁছাতে হাতে সময় নিয়ে বের হওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। দুপুরের খাবারের তালিকায় আছে কাচ্চি, বিরিয়ানি ও মোরগ পোলাও। এখানকার কাচ্চির দাম দোকানভেদে জনপ্রতি ২২০ থেকে ৩০০ টাকা। কাচ্চির ক্ষেত্রে অবশ্যই খাসির কাচ্চিই সবচেয়ে ভালো। এখানকার খাসির কাচ্চির স্বাদ অতুলনীয়। দোকানভেদে জনপ্রতি বিরিয়ানির দাম পড়বে ৮০ থেকে ২১০ টাকা। মোরগ পোলাওয়ের দাম ১১০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
এখানকার দোকানগুলোতে কাচ্চি, বিরিয়ানি ও মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি ভাত খাওয়ার সুব্যবস্থাও আছে। সাদা ভাতের সঙ্গে বিভিন্ন পদের ভর্তা ও গরুর কালা ভুনা দিয়ে ভাত খেতে জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৬০ টাকা খরচ হবে। তবে কয়েকজন মিলে গেলে খরচের পরিমাণ কিছুটা কমে আসবে।
পুরান ঢাকায় ডেজার্ট আইটেমেরও কমতি নেই। বোরহানি, টিকা, জর্দা, ফিরনি, লাচ্ছি, ফালুদা খেতে পারেন। বোরহানির দাম প্রতি গ্লাস ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, লাচ্ছি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও ফালুদা ৭০ থেকে ১১০ টাকা। কিছু দোকানে মাসের নির্দিষ্ট তারিখে এবং কিছু দোকানে রেগুলার প্যাকেজসহ ‘আস্ত’ মোরগ পোলাও পাওয়া যায়। দোকানভেদে খরচ ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।
সন্ধ্যা-রাতে যারা নাজিরাবাজারে আসবেন তাঁদের জন্য নাজিরাবাজারে আছে বিখ্যাত কাবাব, গ্রিল, হালিমসহ আরও অনেক মুখরোচক খাবার। কাবাবেরই বেশ কয়েক পদের আইটেম পাবেন এখানে। আছে বিফ বটি কাবাব, চিকেন চাপ, রেশমি কাবাব, ও চিকেন তন্দুরি। দোকানভেদে জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ভরপেট খাওয়া যাবে। নতুন করে সি ফুডের দোকানও নাজিরাবাজারে চালু হয়েছে। তবে সি ফুডের পদগুলোর দাম অন্যান্য আইটেমের তুলনায় কিছুটা বেশি।
বোরহানি, লাচ্ছি না খেতে চাইলে হাতের কাছেই পাবেন জুস। নাজিরাবাজারে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি জুসের দোকান। সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস পাওয়া যায়। ৩০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে জুস পাওয়া যাবে।
আর হালের জনপ্রিয় ‘ফায়ার পান’–এর স্বাদ না নিলে দিনটি পরিপূর্ণতা পাবে না। বেশ কয়েকটি পানের দোকান রয়েছে নাজিরা বাজারে। দাম মাত্র ১০ টাকা থেকে শুরু। ফায়ার পান, বানারসি পান, জাফরানি পান, চকলেট পান ও স্ট্রবেরি পান পাওয়া যাবে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।
নাজিরাবাজারে পুরোনো দোকানগুলোর মধ্যে অন্যতম হাজি বিরিয়ানি, হানিফ বিরিয়ানি ও বিসমিল্লাহ কাবাব। এ ছাড়া সেখানে খেতে আসা মানুষদের কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন অনেক দোকান খোলা হচ্ছে, আছে সি ফুডও। ফলে ঐতিহ্যবাহী খাবার থেকে শুরু করে বর্তমানের ট্রেন্ড সামুদ্রিক খাবার—সব পাওয়া যাবে নাজিরাবাজারে।
যাবেন নাকি একদিন ইয়ার বন্ধু কিংবা পরিবারের মানুষদের নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে? সময় ভালো কাটবে, জিব থাকবে সন্তুষ্ট। আবার হয়ে যাবে পারিবারিক আউটিং।

দিনের কর্মব্যস্ততার পর পুরো শহর যখন ক্লান্ত হয়ে একটু বিশ্রামে ব্যস্ত, তখনো অপলক জেগে থাকে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার। পুরোনো এলাকাগুলোকে ঐতিহাসিক না বলে ঐতিহ্যবাহী এলাকা বলার একটা চল আছে আমাদের মধ্যে। সেই সূত্রে নাজিরাবাজারও ঐতিহ্যবাহী এলাকা। শুধু পুরোনো বলেই নয়, এখানকার খাবার আসলেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো এ শহরের। সেই সূত্রে ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী দুটি শব্দই নাজিরাবাজারের জন্য প্রযোজ্য।
নাজিরাবাজারে দিনরাত সবই সমান। ২৪ ঘণ্টাই এখানকার খাবারের দোকানগুলো খোলা থাকে। বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষের আনাগোনায় সারাক্ষণ মুখর থাকে এলাকাটি। ভোজনরসিক মানুষের কাছে এলাকাটি এক ভালোবাসার নাম। দিনের যেকোনো সময় গেলেই সেখানে মেলে মুখরোচক বিভিন্ন খাবার।
কথিত আছে, ঢাকায় মোগল আমলে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নাজিরেরা সেখানে বসবাস করতেন। নাজিরদের বসবাসের এলাকায় বাজারটি গড়ে ওঠে বলে এর নাম হয় নাজিরাবাজার।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র গুলিস্তানের সামনে বঙ্গবাজার এলাকা। সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে কিছুটা পথ এগোলেই নাজিরাবাজার। এলাকাটিতে ঢুকেই মনে হবে শহরের সব সুখ যেন এখানে এসে জমা হয়েছে। রাত যত গভীর হয়, নাজিরাবাজারের আলোর রোশনাই ততই খুলতে থাকে। খাবারের দোকানগুলোর সামনে ততই বাড়তে থাকে ভিড়। শহরের মানুষ নিশ্চিন্তে এখানে খেতে আসে। মাঝরাতেও নাজিরাবাজারে গেলে মনে হবে এই বুঝি সন্ধ্যা নামল। নারী-পুরুষ-শিশু সবাই এখানে গরম গরম খাবার খেতে ছুটে আসে। সাধারণত ঢাকার রাজপথে নারীদের জন্য রাতের বেলায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও নাজিরাবাজার সেদিক থেকে ব্যতিক্রম। ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে নারীরাও এখানে আসেন নির্বিঘ্নে।
কথায় আছে, সকালে নেহারি, দুপুরে তেহারি, সন্ধ্যায় লাচ্ছি আর রাতে কাচ্চি—এই হচ্ছে পুরান ঢাকার ভোজনরসিক মানুষের খাবার। নাজিরাবাজার তার ব্যতিক্রম নয়। সেখানে লাল কাপড়ে মোড়ানো একেকটি বিরিয়ানির ডেক দেখলে স্বর্গের কথা মনে পড়বে। বিরিয়ানি, কাবাব, বোরহানি, হালিম, মোরগ পোলাও, গরুর কালা ভুনা থেকে শুরু করে কী নেই সেখানে? খাবারের সুঘ্রাণে অপার্থিব অনুভূতির ছোঁয়া পাওয়া যায়। ধোঁয়া ওঠা বিরিয়ানির প্লেট, এক টুকরো লেবু ও এক পিস কাঁচা মরিচ আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য এক ভুবনে। ভারী খাবার খাওয়ার পর কিছুটা মিষ্টিমুখ না করলে মিস হয়ে যাবে। তাই লাচ্ছি, ফালুদা, মিষ্টি পান খেয়ে খাওয়ার ষোলোকলা পূর্ণ করে নিতে হবে।
নাজিরাবাজারে খেতে যাওয়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত যত গভীরই হোক সেখানে গরম খাবার পাওয়া যাবে, সেটা নিশ্চিত। শুধু পুরান ঢাকার মানুষই নন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকেও ভোজনরসিক মানুষজন সেখানে ভিড় জমান।
একসময় পুরান ঢাকার বিউটি বোর্ডিং যেভাবে আড্ডা ও আনন্দের কেন্দ্রস্থল হিসেবে গড়ে উঠেছিল, আজকের নাজিরাবাজারকেও তার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। সেখানকার খাবারের আড্ডায় দেখা মিলবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ক্রীড়াজগৎ কিংবা শোবিজ অঙ্গনের তারকা থেকে শুরু করে সেখানে গেলে অনেক পরিচিত মুখেরই দেখা মেলে। কেউবা আরাম করে খেতে কেউবা সারা দিনের ক্লান্তি ভুলে আড্ডা দিতে উপস্থিত হন সেখানে; বিশেষ করে পেশাগত কারণে যাঁদের রাতে বাইরে অবস্থান করতে হয়, তাঁদের জন্য নাজিরাবাজার এক ভরসার জায়গা। এ যেন রথ দেখা আর কলা বেচার মতো অবস্থা—পুরান ঢাকায় বসে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারও খাওয়া হলো আবার ভালো একটা সময়ও কাটল।
নাজিরাবাজারের বিখ্যাত খাবারের স্বাদ নিতে বিদেশিরাও এখানে ছুটে যান। ২০১৯ সালে বিখ্যাত বিরিয়ানির স্বাদ নিতে নাজিরাবাজারে এসেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। তিনি সেখানকার বিরিয়ানি খেয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
হুট করে নতুন কেউ রাতের বেলা নাজিরাবাজার এলাকায় ঢুকে গেলে অবাক হবেন। গভীর রাতেও সেখানে মানুষের ভিড় দেখে নিজের ঘড়ি নষ্ট হয়ে গেছে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের প্রতিদিনের চিত্র এমনই। গভীর রাতে সেখানে গিয়ে দেখা যাবে রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে গাড়ি পার্ক করা আছে। সারিবদ্ধ গাড়িগুলো নাজিরাবাজার থেকে শুরু করে বংশাল পুরান চৌরাস্তা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। যত দিন যাচ্ছে, নাজিরাবাজারের এই সুখ্যাতি বেড়েই চলেছে।
পরিবারসহ কিংবা সবান্ধব পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে এসে এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন। এখানকার দোকানগুলোতে খাবারের দাম অন্যান্য এলাকার তুলনায় কম। সকালের নাশতা করার উদ্দেশ্যে যদি নাজিরাবাজারে আসেন, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নাশতা খাওয়ার আগে রাস্তার ধারে বসে থাকা দোকানিদের কাছ থেকে ছানা-মাঠা খেয়ে দেখতে পারেন। এটি পুরান ঢাকার মানুষের অন্যতম প্রিয় খাবার। এখনো পুরান ঢাকার অনেক মানুষ ছানা-মাঠা খেয়ে দিন শুরু করেন। বর্তমানে এক গ্লাস মাঠার দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর ছানার দামও একই।
ছানা-মাঠা পর্ব শেষ করে এবার নাশতার পালা শুরু। নাজিরা বাজারে সকালের নাশতার তালিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় নান রুটি দিয়ে নেহারি। এ ছাড়া নান অথবা পরোটা দিয়ে স্যুপ, খাসির পায়া, মগজ, কলিজা, গরুর কালা ভুনা, সবজি, হালুয়া ইত্যাদিও খেয়ে দেখতে পারেন। ৫-৬ জন মিলে গেলে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যেই নাশতার পর্ব শেষ করা যাবে। চাইলে দোকানে বসেই চায়ের স্বাদ নিতে পারেন কিংবা নাশতা খাওয়ার পর দোকান থেকে বের হয়ে বাইরের কোনো টি-স্টলে চা খেতে পারেন। টি-স্টলে চা খাওয়ার মজাটা আলাদা। টি-স্টলে চা খেলে খরচও কমে আসবে। এখানে মাত্র ৬ টাকায় রং চা ও ১০ টাকায় দুধ চা পাওয়া যায়।
দুপুরের ভারী খাবার খেতে যদি পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে আসতে চান, সে ক্ষেত্রে হাতে কিছুটা সময় নিয়ে আসতে হবে। কারণ পুরান ঢাকার সরু রাস্তায় যানের জট একটি বড় সমস্যা। তাই পেটে ছুঁচোয় ডন দেওয়া শুরুর আগেই পৌঁছাতে হাতে সময় নিয়ে বের হওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। দুপুরের খাবারের তালিকায় আছে কাচ্চি, বিরিয়ানি ও মোরগ পোলাও। এখানকার কাচ্চির দাম দোকানভেদে জনপ্রতি ২২০ থেকে ৩০০ টাকা। কাচ্চির ক্ষেত্রে অবশ্যই খাসির কাচ্চিই সবচেয়ে ভালো। এখানকার খাসির কাচ্চির স্বাদ অতুলনীয়। দোকানভেদে জনপ্রতি বিরিয়ানির দাম পড়বে ৮০ থেকে ২১০ টাকা। মোরগ পোলাওয়ের দাম ১১০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।
এখানকার দোকানগুলোতে কাচ্চি, বিরিয়ানি ও মোরগ পোলাওয়ের পাশাপাশি ভাত খাওয়ার সুব্যবস্থাও আছে। সাদা ভাতের সঙ্গে বিভিন্ন পদের ভর্তা ও গরুর কালা ভুনা দিয়ে ভাত খেতে জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৬০ টাকা খরচ হবে। তবে কয়েকজন মিলে গেলে খরচের পরিমাণ কিছুটা কমে আসবে।
পুরান ঢাকায় ডেজার্ট আইটেমেরও কমতি নেই। বোরহানি, টিকা, জর্দা, ফিরনি, লাচ্ছি, ফালুদা খেতে পারেন। বোরহানির দাম প্রতি গ্লাস ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, লাচ্ছি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও ফালুদা ৭০ থেকে ১১০ টাকা। কিছু দোকানে মাসের নির্দিষ্ট তারিখে এবং কিছু দোকানে রেগুলার প্যাকেজসহ ‘আস্ত’ মোরগ পোলাও পাওয়া যায়। দোকানভেদে খরচ ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।
সন্ধ্যা-রাতে যারা নাজিরাবাজারে আসবেন তাঁদের জন্য নাজিরাবাজারে আছে বিখ্যাত কাবাব, গ্রিল, হালিমসহ আরও অনেক মুখরোচক খাবার। কাবাবেরই বেশ কয়েক পদের আইটেম পাবেন এখানে। আছে বিফ বটি কাবাব, চিকেন চাপ, রেশমি কাবাব, ও চিকেন তন্দুরি। দোকানভেদে জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে ভরপেট খাওয়া যাবে। নতুন করে সি ফুডের দোকানও নাজিরাবাজারে চালু হয়েছে। তবে সি ফুডের পদগুলোর দাম অন্যান্য আইটেমের তুলনায় কিছুটা বেশি।
বোরহানি, লাচ্ছি না খেতে চাইলে হাতের কাছেই পাবেন জুস। নাজিরাবাজারে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি জুসের দোকান। সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস পাওয়া যায়। ৩০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে জুস পাওয়া যাবে।
আর হালের জনপ্রিয় ‘ফায়ার পান’–এর স্বাদ না নিলে দিনটি পরিপূর্ণতা পাবে না। বেশ কয়েকটি পানের দোকান রয়েছে নাজিরা বাজারে। দাম মাত্র ১০ টাকা থেকে শুরু। ফায়ার পান, বানারসি পান, জাফরানি পান, চকলেট পান ও স্ট্রবেরি পান পাওয়া যাবে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।
নাজিরাবাজারে পুরোনো দোকানগুলোর মধ্যে অন্যতম হাজি বিরিয়ানি, হানিফ বিরিয়ানি ও বিসমিল্লাহ কাবাব। এ ছাড়া সেখানে খেতে আসা মানুষদের কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন অনেক দোকান খোলা হচ্ছে, আছে সি ফুডও। ফলে ঐতিহ্যবাহী খাবার থেকে শুরু করে বর্তমানের ট্রেন্ড সামুদ্রিক খাবার—সব পাওয়া যাবে নাজিরাবাজারে।
যাবেন নাকি একদিন ইয়ার বন্ধু কিংবা পরিবারের মানুষদের নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে? সময় ভালো কাটবে, জিব থাকবে সন্তুষ্ট। আবার হয়ে যাবে পারিবারিক আউটিং।

আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা সাধারণত নেতিবাচক চোখে দেখা হয় বা এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কিন্তু আধুনিক গবেষণা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে এই অভ্যাসগুলোর সবই ক্ষতিকর নয়; বরং কিছু অভ্যাস সুস্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি ও সৃজনশীলতার জন্য অপরিহার্য। এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ‘ভুল’ ধারণা এবং
৪০ মিনিট আগে
বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির
৩ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন...
৪ ঘণ্টা আগে
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা সাধারণত নেতিবাচক চোখে দেখা হয় বা এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কিন্তু আধুনিক গবেষণা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে এই অভ্যাসগুলোর সবই ক্ষতিকর নয়; বরং কিছু অভ্যাস সুস্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি ও সৃজনশীলতার জন্য অপরিহার্য। এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ‘ভুল’ ধারণা এবং এর পেছনের উপকারী দিকগুলো।
ভিডিও গেম
ভিডিও গেম খেলাকে আমরা সমাজে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত পরিমাণে ভিডিও গেম খেললে জ্ঞানের ক্ষমতা এবং মনোযোগ উন্নত হতে পারে। এমনকি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার রয়েছে।
কফি পান করা
কফি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস। কফি পানকে অনেকে নেতিবাচক মনে করলেও, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এমনকি পার্কিনসন রোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। ২০১৭ সালে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনায় প্রায় ২০০ গবেষণা বিশ্লেষণ করে উপসংহারে পৌঁছানো হয়েছে যে গর্ভাবস্থা ছাড়া স্বাভাবিক মাত্রায় কফি পান নিরাপদ। পরিমাণ হতে হবে প্রতিদিন ৩-৪ কাপ। এমনকি এটি সামগ্রিক মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
অলসতা বা বিরক্তিবোধ
বিরক্তিবোধ করা; যাকে আমরা বোরনেস বলি, একে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। কিন্তু এটি মস্তিষ্ককে ঘুরে বেড়ানোর এবং বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেয়। যেখান থেকে মূলত সৃজনশীলতা এবং নতুন ধারণার জন্ম দেয়। মেয়ো ক্লিনিকের মতে, শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্য সামান্য বিরক্তি ভালো হতে পারে। এটি সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের উদ্দীপনা জোগায়, পাশাপাশি মস্তিষ্ককে রিচার্জের সময় দেয়।

আলু খাওয়া
আলু খাওয়াকে অনেকে খারাপ বলে মনে করেন। অথচ আলু পুষ্টি ও ফাইবারের ভান্ডার। আলু মূলত ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারে ভরপুর একটি সবজি; বিশেষ করে যখন খোসাসহ খাওয়া হয়। তবে হ্যাঁ, আলুর মূল সমস্যা এর রান্নার পদ্ধতিতে। আলু সাধারণত ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত পদ্ধতিতে রান্নার কারণে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু সেদ্ধ, সেঁকা বা বাষ্পে তৈরি আলু অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ইউসি ডেভিস হেলথ আমেরিকানদের বেশি বেশি আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
অস্থির আচরণ
স্কুলজীবনে অস্থির হয়ে নড়াচড়া করার জন্য হয়তো অনেক বকা খেতে হয়েছে। বাড়িতে শিক্ষকেরা কমপ্লেনও করেন, আপনার শিশুটি খুব বেশি চঞ্চল। কিন্তু গবেষণা বলছে এই অভ্যাস শরীরের জন্য ভালো হতে পারে! মেয়ো ক্লিনিকের জেমস লেভিনের গবেষণা অনুসারে, যাঁরা অস্থিরভাবে নড়াচড়া করেন, তাঁরা প্রতিদিন প্রায় ৩৫০ কিলোক্যালোরি পর্যন্ত ক্যালরি বার্ন করতে পারেন। অন্যান্য গবেষণায় দেখা যায়, এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে, মানসিক চাপ কমাতে এবং সম্ভবত দীর্ঘকাল বাঁচতে সাহায্য করতে পারে।

খারাপ মেজাজ ও কান্নাকাটি
সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নেতিবাচক আবেগসহ সব ধরনের অনুভূতিকে স্বীকৃতি দেওয়া ভালো মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নিয়ে যায়। যেমন কান্না পেলে কাঁদুন। কিংবা মেজাজ খারাপ হলে মনের কথা বলে ফেলুন। কান্না শুধু আবেগের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া নয়, এটি স্বাস্থ্যকরও বটে। গবেষণায় দেখা গেছে, কান্নার মাধ্যমে অক্সিটোসিন এবং এন্ডোরফিন নির্গত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক উভয় ব্যথা উপশম করতে পারে। তেমনই একাকিত্বকে নেতিবাচকভাবে দেখা হলেও, এটি মনোযোগ বৃদ্ধি করে, সৃজনশীলতা বাড়ায়, আত্ম-প্রতিফলন ঘটায় এবং সামাজিক শক্তিকে রিচার্জ করতে সাহায্য করে।
ফ্রিজে রাখা ফল ও সবজি
অনেকের ধারণা, টাটকা ফল ও সবজির চেয়ে ফ্রোজেন ফল ও সবজি কম পুষ্টিকর। কিন্তু এই ধারণা ভুল। ফল ও সবজিকে সর্বোচ্চ পরিপক্বতার সময়ে ‘ফ্ল্যাশ-ফ্রিজ’ করা হলে সেগুলোর প্রায় সব পুষ্টি উপাদান সংরক্ষিত থাকে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টারের গবেষণায় দেখা গেছে, তিনটির মধ্যে দুটির ক্ষেত্রে ফ্রোজেন উৎপাদনে ফ্রিজে রাখা সমপরিমাণ তাজা পণ্যের চেয়ে বেশি পুষ্টি ছিল।
সূর্যের আলো
অতিরিক্ত সূর্যালোকে থাকা ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ালেও, হাড়ের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অপরিহার্য ভিটামিন ডি উৎপাদন করতে নিয়মিত, পরিমিত সূর্যরশ্মি গ্রহণ প্রয়োজন। ওয়েবএমডির মতে, অবস্থানের ওপর নির্ভর করে প্রতিদিন সাধারণত ৫-৩০ মিনিট সূর্যের আলো শরীরে লাগানো উপকারী এবং নিরাপদ।
সূত্র: মেয়ো ক্লিনিক, শো বিজ ডেইলি

আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা সাধারণত নেতিবাচক চোখে দেখা হয় বা এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কিন্তু আধুনিক গবেষণা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে এই অভ্যাসগুলোর সবই ক্ষতিকর নয়; বরং কিছু অভ্যাস সুস্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি ও সৃজনশীলতার জন্য অপরিহার্য। এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ‘ভুল’ ধারণা এবং এর পেছনের উপকারী দিকগুলো।
ভিডিও গেম
ভিডিও গেম খেলাকে আমরা সমাজে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, পরিমিত পরিমাণে ভিডিও গেম খেললে জ্ঞানের ক্ষমতা এবং মনোযোগ উন্নত হতে পারে। এমনকি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার রয়েছে।
কফি পান করা
কফি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস। কফি পানকে অনেকে নেতিবাচক মনে করলেও, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এমনকি পার্কিনসন রোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। ২০১৭ সালে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনায় প্রায় ২০০ গবেষণা বিশ্লেষণ করে উপসংহারে পৌঁছানো হয়েছে যে গর্ভাবস্থা ছাড়া স্বাভাবিক মাত্রায় কফি পান নিরাপদ। পরিমাণ হতে হবে প্রতিদিন ৩-৪ কাপ। এমনকি এটি সামগ্রিক মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
অলসতা বা বিরক্তিবোধ
বিরক্তিবোধ করা; যাকে আমরা বোরনেস বলি, একে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। কিন্তু এটি মস্তিষ্ককে ঘুরে বেড়ানোর এবং বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দেয়। যেখান থেকে মূলত সৃজনশীলতা এবং নতুন ধারণার জন্ম দেয়। মেয়ো ক্লিনিকের মতে, শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্য সামান্য বিরক্তি ভালো হতে পারে। এটি সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের উদ্দীপনা জোগায়, পাশাপাশি মস্তিষ্ককে রিচার্জের সময় দেয়।

আলু খাওয়া
আলু খাওয়াকে অনেকে খারাপ বলে মনে করেন। অথচ আলু পুষ্টি ও ফাইবারের ভান্ডার। আলু মূলত ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবারে ভরপুর একটি সবজি; বিশেষ করে যখন খোসাসহ খাওয়া হয়। তবে হ্যাঁ, আলুর মূল সমস্যা এর রান্নার পদ্ধতিতে। আলু সাধারণত ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত পদ্ধতিতে রান্নার কারণে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু সেদ্ধ, সেঁকা বা বাষ্পে তৈরি আলু অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ইউসি ডেভিস হেলথ আমেরিকানদের বেশি বেশি আলু খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
অস্থির আচরণ
স্কুলজীবনে অস্থির হয়ে নড়াচড়া করার জন্য হয়তো অনেক বকা খেতে হয়েছে। বাড়িতে শিক্ষকেরা কমপ্লেনও করেন, আপনার শিশুটি খুব বেশি চঞ্চল। কিন্তু গবেষণা বলছে এই অভ্যাস শরীরের জন্য ভালো হতে পারে! মেয়ো ক্লিনিকের জেমস লেভিনের গবেষণা অনুসারে, যাঁরা অস্থিরভাবে নড়াচড়া করেন, তাঁরা প্রতিদিন প্রায় ৩৫০ কিলোক্যালোরি পর্যন্ত ক্যালরি বার্ন করতে পারেন। অন্যান্য গবেষণায় দেখা যায়, এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে, মানসিক চাপ কমাতে এবং সম্ভবত দীর্ঘকাল বাঁচতে সাহায্য করতে পারে।

খারাপ মেজাজ ও কান্নাকাটি
সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নেতিবাচক আবেগসহ সব ধরনের অনুভূতিকে স্বীকৃতি দেওয়া ভালো মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নিয়ে যায়। যেমন কান্না পেলে কাঁদুন। কিংবা মেজাজ খারাপ হলে মনের কথা বলে ফেলুন। কান্না শুধু আবেগের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া নয়, এটি স্বাস্থ্যকরও বটে। গবেষণায় দেখা গেছে, কান্নার মাধ্যমে অক্সিটোসিন এবং এন্ডোরফিন নির্গত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক উভয় ব্যথা উপশম করতে পারে। তেমনই একাকিত্বকে নেতিবাচকভাবে দেখা হলেও, এটি মনোযোগ বৃদ্ধি করে, সৃজনশীলতা বাড়ায়, আত্ম-প্রতিফলন ঘটায় এবং সামাজিক শক্তিকে রিচার্জ করতে সাহায্য করে।
ফ্রিজে রাখা ফল ও সবজি
অনেকের ধারণা, টাটকা ফল ও সবজির চেয়ে ফ্রোজেন ফল ও সবজি কম পুষ্টিকর। কিন্তু এই ধারণা ভুল। ফল ও সবজিকে সর্বোচ্চ পরিপক্বতার সময়ে ‘ফ্ল্যাশ-ফ্রিজ’ করা হলে সেগুলোর প্রায় সব পুষ্টি উপাদান সংরক্ষিত থাকে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টারের গবেষণায় দেখা গেছে, তিনটির মধ্যে দুটির ক্ষেত্রে ফ্রোজেন উৎপাদনে ফ্রিজে রাখা সমপরিমাণ তাজা পণ্যের চেয়ে বেশি পুষ্টি ছিল।
সূর্যের আলো
অতিরিক্ত সূর্যালোকে থাকা ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ালেও, হাড়ের স্বাস্থ্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অপরিহার্য ভিটামিন ডি উৎপাদন করতে নিয়মিত, পরিমিত সূর্যরশ্মি গ্রহণ প্রয়োজন। ওয়েবএমডির মতে, অবস্থানের ওপর নির্ভর করে প্রতিদিন সাধারণত ৫-৩০ মিনিট সূর্যের আলো শরীরে লাগানো উপকারী এবং নিরাপদ।
সূত্র: মেয়ো ক্লিনিক, শো বিজ ডেইলি

সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পর পুরো শহর যখন ক্লান্ত হয়ে একটু বিশ্রামে ব্যস্ত, তখনো অপলক জেগে থাকে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার। পুরোনো এলাকাগুলোকে ঐতিহাসিক না বলে ঐতিহ্যবাহী এলাকা বলার একটা চল আছে আমাদের মধ্যে। সেই সূত্রে নাজিরাবাজারও ঐতিহ্যবাহী এলাকা।
১০ ডিসেম্বর ২০২১
বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির
৩ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন...
৪ ঘণ্টা আগে
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির সঙ্গে ড্রেনে ফেলেন, সেগুলো সহজে পাইপ বন্ধ করে দিতে পারে আপনার অজান্তে।
বাড়তি রান্নার তেল
বড় ভুল হলো ব্যবহার শেষে গরম অবস্থায় অতিরিক্ত তেল সিংকে ঢেলে দেওয়া। গরম অবস্থায় তরল থাকলেও পাইপের ভেতরে ঠান্ডা পরিবেশে তেল দ্রুত শক্ত হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে এই স্তর মোটা হয় এবং এর সঙ্গে অন্য খাবারের কণা আটকে পাইপ পুরোপুরি জ্যাম হয়ে যায়। ব্যবহার শেষে তেল একটি বোতলে জমিয়ে রাখতে পারেন। পরবর্তী সময়ে তা বোতলসহ ময়লার ঝুরিতে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।
কফির গুঁড়া
অনেকেই ভাবেন কফির গুঁড়া এত সূক্ষ্ম যে সিংকে ফেললে কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু পানি লাগলে এটি দলা পাকিয়ে ঘন পুরু স্তর তৈরি করে, যা পাইপের বাঁক বা জোড়ায় গিয়ে আটকে যায়। ধীরে ধীরে এই স্তর শক্ত হয়ে ব্লক সৃষ্টি করে। কফির গুঁড়া ডাস্টবিনে ফেলাই ভালো অথবা সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
রাসায়নিক ড্রেন ক্লিনার
শোনা যায়, ব্লক খুলতে এগুলো খুব কার্যকর। কিন্তু একই সঙ্গে এগুলো পাইপের শত্রুও বটে। বেশির ভাগ ক্লিনারে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক থাকে, যা ব্লক খুললেও প্লাস্টিক বা ধাতব পাইপের আবরণের ক্ষতি করে। দীর্ঘ মেয়াদে লিক বা পাইপ ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। পরিবেশের জন্যও এগুলো ক্ষতিকর। প্রয়োজন হলে পাইপের ব্লক খুলতে বেকিং সোডা ও ভিনেগারের মতো প্রাকৃতিক মিশ্রণ নিরাপদ।
বিড়ালের লিটার
প্যাকেটে ‘ফ্লাশেবল’ লেখা থাকলেও এগুলো কখনোই টয়লেটে ফেলা উচিত নয়। বিড়ালের লিটার সাধারণত ক্লে, সিলিকা বা জেল জাতীয় উপাদানে তৈরি, যা পানি পেলেই ফুলে ওঠে এবং শক্ত দলা তৈরি করে। পাইপে ঢোকার পর এগুলো দ্রুত ব্লক সৃষ্টি করে। পাশাপাশি এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী পানির উৎসও দূষিত করতে পারে।
বাড়তি ওষুধ
পুরোনো বা বাড়তি ওষুধ টয়লেটে ফেললে সেগুলো ব্লক সৃষ্টি করে না বটে; কিন্তু সেটা না করলেও এগুলো পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। পানি শোধনাগারগুলো এ ধরনের রাসায়নিক ফিল্টার করতে পারে না। ফলে ওষুধের উপাদান নদী, হ্রদ এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে গিয়ে ক্ষতি করে। অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দেওয়া ভালো।
আঁশযুক্ত খাবার
ভাত, নুডলস, পাস্তা বা পাউরুটির মতো খাবার পানিতে ফুলে আঠালো মণ্ড তৈরি করে এবং পাইপে আটকে যায়। ভুট্টার খোসার মতো আঁশযুক্ত খাবার সহজে পচে না এবং পাইপের বাঁকে জট বেঁধে ব্লক সৃষ্টি করে।
ডিমের খোসা
ডিমের ভাঙা খোসা ভঙ্গুর হলেও পাইপে গিয়ে এগুলো বেশ সমস্যা সৃষ্টি করে। খোসার ভাঙা অংশ অনেকটা বালুর মতো এবং তেল বা খাবারের কণার সঙ্গে মিশে শক্ত সিমেন্টের মতো স্তর তৈরি করে।
রং
বাড়ির রঙে থাকা রাসায়নিক পাইপের ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি ড্রেনে গেলে এসব রাসায়নিক পানি দূষিত করে। তাই ব্যবহার শেষে রং কখনোই সিংক বা টয়লেটে ঢালবেন না। লেবেলে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলো ফেলা উচিত।
ফলের স্টিকার
ফলের গায়ে থাকা ছোট স্টিকারগুলো খুব শক্তভাবে লেগে থাকে। ড্রেনে গেলে এগুলো পানি শোধনাগারের ফিল্টারে আটকে থাকে ও পাইপে বাধা তৈরি করে। স্টিকারগুলো আলাদা করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।
ফল বা খাবারের শক্ত বিচি
পাইপ কোনোভাবেই ফলের শক্ত বিচি বা হাড়ের মতো শক্ত জিনিস সামলানোর মতো করে তৈরি নয়। এগুলো গারবেজ ডিস্পোজারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং পাইপের ভেতর মারাত্মক জ্যাম তৈরি করে।
বাড়ির পাইপলাইন সচল রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার ও সঠিক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। সামান্য সচেতনতা হাজার টাকার ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির সঙ্গে ড্রেনে ফেলেন, সেগুলো সহজে পাইপ বন্ধ করে দিতে পারে আপনার অজান্তে।
বাড়তি রান্নার তেল
বড় ভুল হলো ব্যবহার শেষে গরম অবস্থায় অতিরিক্ত তেল সিংকে ঢেলে দেওয়া। গরম অবস্থায় তরল থাকলেও পাইপের ভেতরে ঠান্ডা পরিবেশে তেল দ্রুত শক্ত হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে এই স্তর মোটা হয় এবং এর সঙ্গে অন্য খাবারের কণা আটকে পাইপ পুরোপুরি জ্যাম হয়ে যায়। ব্যবহার শেষে তেল একটি বোতলে জমিয়ে রাখতে পারেন। পরবর্তী সময়ে তা বোতলসহ ময়লার ঝুরিতে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।
কফির গুঁড়া
অনেকেই ভাবেন কফির গুঁড়া এত সূক্ষ্ম যে সিংকে ফেললে কোনো ক্ষতি হবে না। কিন্তু পানি লাগলে এটি দলা পাকিয়ে ঘন পুরু স্তর তৈরি করে, যা পাইপের বাঁক বা জোড়ায় গিয়ে আটকে যায়। ধীরে ধীরে এই স্তর শক্ত হয়ে ব্লক সৃষ্টি করে। কফির গুঁড়া ডাস্টবিনে ফেলাই ভালো অথবা সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
রাসায়নিক ড্রেন ক্লিনার
শোনা যায়, ব্লক খুলতে এগুলো খুব কার্যকর। কিন্তু একই সঙ্গে এগুলো পাইপের শত্রুও বটে। বেশির ভাগ ক্লিনারে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক থাকে, যা ব্লক খুললেও প্লাস্টিক বা ধাতব পাইপের আবরণের ক্ষতি করে। দীর্ঘ মেয়াদে লিক বা পাইপ ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। পরিবেশের জন্যও এগুলো ক্ষতিকর। প্রয়োজন হলে পাইপের ব্লক খুলতে বেকিং সোডা ও ভিনেগারের মতো প্রাকৃতিক মিশ্রণ নিরাপদ।
বিড়ালের লিটার
প্যাকেটে ‘ফ্লাশেবল’ লেখা থাকলেও এগুলো কখনোই টয়লেটে ফেলা উচিত নয়। বিড়ালের লিটার সাধারণত ক্লে, সিলিকা বা জেল জাতীয় উপাদানে তৈরি, যা পানি পেলেই ফুলে ওঠে এবং শক্ত দলা তৈরি করে। পাইপে ঢোকার পর এগুলো দ্রুত ব্লক সৃষ্টি করে। পাশাপাশি এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী পানির উৎসও দূষিত করতে পারে।
বাড়তি ওষুধ
পুরোনো বা বাড়তি ওষুধ টয়লেটে ফেললে সেগুলো ব্লক সৃষ্টি করে না বটে; কিন্তু সেটা না করলেও এগুলো পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক। পানি শোধনাগারগুলো এ ধরনের রাসায়নিক ফিল্টার করতে পারে না। ফলে ওষুধের উপাদান নদী, হ্রদ এবং ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে গিয়ে ক্ষতি করে। অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দেওয়া ভালো।
আঁশযুক্ত খাবার
ভাত, নুডলস, পাস্তা বা পাউরুটির মতো খাবার পানিতে ফুলে আঠালো মণ্ড তৈরি করে এবং পাইপে আটকে যায়। ভুট্টার খোসার মতো আঁশযুক্ত খাবার সহজে পচে না এবং পাইপের বাঁকে জট বেঁধে ব্লক সৃষ্টি করে।
ডিমের খোসা
ডিমের ভাঙা খোসা ভঙ্গুর হলেও পাইপে গিয়ে এগুলো বেশ সমস্যা সৃষ্টি করে। খোসার ভাঙা অংশ অনেকটা বালুর মতো এবং তেল বা খাবারের কণার সঙ্গে মিশে শক্ত সিমেন্টের মতো স্তর তৈরি করে।
রং
বাড়ির রঙে থাকা রাসায়নিক পাইপের ক্ষতি করতে পারে। পাশাপাশি ড্রেনে গেলে এসব রাসায়নিক পানি দূষিত করে। তাই ব্যবহার শেষে রং কখনোই সিংক বা টয়লেটে ঢালবেন না। লেবেলে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সেগুলো ফেলা উচিত।
ফলের স্টিকার
ফলের গায়ে থাকা ছোট স্টিকারগুলো খুব শক্তভাবে লেগে থাকে। ড্রেনে গেলে এগুলো পানি শোধনাগারের ফিল্টারে আটকে থাকে ও পাইপে বাধা তৈরি করে। স্টিকারগুলো আলাদা করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া নিরাপদ।
ফল বা খাবারের শক্ত বিচি
পাইপ কোনোভাবেই ফলের শক্ত বিচি বা হাড়ের মতো শক্ত জিনিস সামলানোর মতো করে তৈরি নয়। এগুলো গারবেজ ডিস্পোজারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং পাইপের ভেতর মারাত্মক জ্যাম তৈরি করে।
বাড়ির পাইপলাইন সচল রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার ও সঠিক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। সামান্য সচেতনতা হাজার টাকার ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পর পুরো শহর যখন ক্লান্ত হয়ে একটু বিশ্রামে ব্যস্ত, তখনো অপলক জেগে থাকে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার। পুরোনো এলাকাগুলোকে ঐতিহাসিক না বলে ঐতিহ্যবাহী এলাকা বলার একটা চল আছে আমাদের মধ্যে। সেই সূত্রে নাজিরাবাজারও ঐতিহ্যবাহী এলাকা।
১০ ডিসেম্বর ২০২১
আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা সাধারণত নেতিবাচক চোখে দেখা হয় বা এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কিন্তু আধুনিক গবেষণা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে এই অভ্যাসগুলোর সবই ক্ষতিকর নয়; বরং কিছু অভ্যাস সুস্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি ও সৃজনশীলতার জন্য অপরিহার্য। এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ‘ভুল’ ধারণা এবং
৪০ মিনিট আগে
ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন...
৪ ঘণ্টা আগে
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
৮ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন হওয়া জরুরি, যাতে পুরো লুকটা বিগড়ে না যায়।
লাল রঙের পোশাকের সঙ্গে যেভাবে মেকআপ করা যেতে পারে–
লাল পোশাকে ত্বকের খুঁত খুব সহজেই চোখে পড়ে, তাই নিখুঁত বেস তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ত্বকের রং ফরসা হলে ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজারই যথেষ্ট। তা না হলে ভালো ব্র্যান্ডের কালার কারেক্টর ও মানসম্মত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ত্বকের দাগ ও অন্যান্য খুঁত ঢেকে ফেলুন। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, স্বত্বাধিকারী, শোভন মেকওভার
ন্যুড গ্লো লুক
লাল পোশাক যেহেতু নিজেই উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়, তাই এর সঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ লুকের জন্য খুব হালকা মেকআপই ভালো মানায়। ভারী ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের সতেজ ও প্রাকৃতিক আভা বজায় থাকে। গালে হালকা ব্রোঞ্জিং পাউডার ও চোখে ন্যাচারাল আইশ্যাডো ও মাসকারা ব্যবহার করুন। লুকটি সম্পূর্ণ করতে ঠোঁটে দিন শিয়ার লিপজেল বা ন্যুড শেডের লিপস্টিক।
ক্ল্যাসিক রেড-অন-রেড
লাল পোশাকের সঙ্গে একই শেডের লাল লিপস্টিক একটি ক্ল্যাসিক কম্বিনেশন। দিনের সাজে হালকা মেকআপ, ব্রাউন পেনসিল লাইনার ও রোজি রেড ব্লাসন ব্যবহার করুন। রাতের সাজে ফাউন্ডেশন বেস, উইংড আইলাইনার ও ফলস ল্যাশ ব্যবহার করে লুকে আনুন আভিজাত্য।
ওল্ড-স্কুল-গ্ল্যামার লুক
এই লুকের জন্য কন্সিলার ও ফাউন্ডেশন দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের মেকআপে ন্যাচারাল টোনের আইশ্যাডো দিন, উইং-টিপড লাইনার তৈরি করে মাসকারা ব্যবহার করুন। ঠোঁটে দিন বোল্ড লাল লিপস্টিক বা শিয়ার রেড লিপ গ্লস।
স্মোকি আই
রাতের মেকআপে চোখকে প্রাধান্য দিতে মুখ ও ঠোঁটের সাজে ব্যবহার করুন ন্যুড শেড। বিবি ক্রিম বা টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের সাজে কন্সিলার, পেনসিল ও জেল লাইনারের পরে পাউডার শ্যাডো দিয়ে মেটালিক-স্মোকি একটা লুক তৈরি করুন।

ফান অ্যান্ড ফ্লার্টি লুক
ক্যাজুয়াল ও ফান লুক পেতে বেস হিসেবে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। চোখে ন্যুড শ্যাডো ও পেনসিল লাইনার দিন। চোখের মেকআপ ন্যূনতম রেখে ভল্যুমিনাস আইল্যাশ ব্যবহার করুন। গালে হালকা ব্লাসন দিন, তবে হাইলাইট করবেন না। ঠোঁটের জন্য টিন্টেড লিপ গ্লস বা শিয়ার পিংক লিপস্টিকই যথেষ্ট।
ঠোঁট ও নখ
খুব গ্ল্যামারাস লুক না চাইলে বা লুকে ভারসাম্য রাখতে ঠোঁটে সব সময় ন্যুড শেডের লিপস্টিক বা টিন্টেড লিপ গ্লস ব্যবহার করাই ভালো। সাজের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে নখের সাজে লাল রঙের নেইল পলিশ এড়িয়ে ন্যুড শেড বা ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর বেছে নিতে পারেন, যা একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক দেবে।
চুল
লাল পোশাকের সঙ্গে চুলের সাজ একেবারেই সাধারণ রাখুন। খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ খোঁপা বা টাইট কার্ল না করে হালকা কার্ল করা চুল বা খোলা চুল বেছে নিতে পারেন, যা আপনার মুখকে সুন্দরভাবে ফ্রেম করবে। খেয়াল রাখবেন, চুলের সাজ যেন আপনার সাজের মূল আকর্ষণ না হয় বা আপনার মুখমণ্ডল থেকে মনোযোগ সরিয়ে না দেয়। সাধারণ চুলের স্টাইলই আপনার পুরো সাজকে মার্জিত করে মেকআপকে হাইলাইট করবে।
চোখ বা ঠোঁট; যেকোনো একটিকে ফোকাল পয়েন্টে রাখুন
আকর্ষণীয় দেখাতে খুব ভারী মেকআপ বা গাঢ় রং ব্যবহার করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। সাধারণ নিয়ম হিসেবে মুখের সব ফোকাল পয়েন্ট না বেছে, শুধু একটি অংশ হাইলাইট করার কৌশল বেছে নিন। এই একটি ফোকাল পয়েন্ট হতে পারে আপনার চোখ অথবা ঠোঁট; কিন্তু কখনই দুটি একসঙ্গে নয়। এভাবে মেকআপ করলে সহজেই একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক পাবেন।

ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন হওয়া জরুরি, যাতে পুরো লুকটা বিগড়ে না যায়।
লাল রঙের পোশাকের সঙ্গে যেভাবে মেকআপ করা যেতে পারে–
লাল পোশাকে ত্বকের খুঁত খুব সহজেই চোখে পড়ে, তাই নিখুঁত বেস তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ত্বকের রং ফরসা হলে ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজারই যথেষ্ট। তা না হলে ভালো ব্র্যান্ডের কালার কারেক্টর ও মানসম্মত ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ত্বকের দাগ ও অন্যান্য খুঁত ঢেকে ফেলুন। শোভন সাহা, কসমেটোলজিস্ট, স্বত্বাধিকারী, শোভন মেকওভার
ন্যুড গ্লো লুক
লাল পোশাক যেহেতু নিজেই উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়, তাই এর সঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ লুকের জন্য খুব হালকা মেকআপই ভালো মানায়। ভারী ফাউন্ডেশনের বদলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বকের সতেজ ও প্রাকৃতিক আভা বজায় থাকে। গালে হালকা ব্রোঞ্জিং পাউডার ও চোখে ন্যাচারাল আইশ্যাডো ও মাসকারা ব্যবহার করুন। লুকটি সম্পূর্ণ করতে ঠোঁটে দিন শিয়ার লিপজেল বা ন্যুড শেডের লিপস্টিক।
ক্ল্যাসিক রেড-অন-রেড
লাল পোশাকের সঙ্গে একই শেডের লাল লিপস্টিক একটি ক্ল্যাসিক কম্বিনেশন। দিনের সাজে হালকা মেকআপ, ব্রাউন পেনসিল লাইনার ও রোজি রেড ব্লাসন ব্যবহার করুন। রাতের সাজে ফাউন্ডেশন বেস, উইংড আইলাইনার ও ফলস ল্যাশ ব্যবহার করে লুকে আনুন আভিজাত্য।
ওল্ড-স্কুল-গ্ল্যামার লুক
এই লুকের জন্য কন্সিলার ও ফাউন্ডেশন দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের মেকআপে ন্যাচারাল টোনের আইশ্যাডো দিন, উইং-টিপড লাইনার তৈরি করে মাসকারা ব্যবহার করুন। ঠোঁটে দিন বোল্ড লাল লিপস্টিক বা শিয়ার রেড লিপ গ্লস।
স্মোকি আই
রাতের মেকআপে চোখকে প্রাধান্য দিতে মুখ ও ঠোঁটের সাজে ব্যবহার করুন ন্যুড শেড। বিবি ক্রিম বা টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার দিয়ে বেস তৈরি করুন। চোখের সাজে কন্সিলার, পেনসিল ও জেল লাইনারের পরে পাউডার শ্যাডো দিয়ে মেটালিক-স্মোকি একটা লুক তৈরি করুন।

ফান অ্যান্ড ফ্লার্টি লুক
ক্যাজুয়াল ও ফান লুক পেতে বেস হিসেবে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। চোখে ন্যুড শ্যাডো ও পেনসিল লাইনার দিন। চোখের মেকআপ ন্যূনতম রেখে ভল্যুমিনাস আইল্যাশ ব্যবহার করুন। গালে হালকা ব্লাসন দিন, তবে হাইলাইট করবেন না। ঠোঁটের জন্য টিন্টেড লিপ গ্লস বা শিয়ার পিংক লিপস্টিকই যথেষ্ট।
ঠোঁট ও নখ
খুব গ্ল্যামারাস লুক না চাইলে বা লুকে ভারসাম্য রাখতে ঠোঁটে সব সময় ন্যুড শেডের লিপস্টিক বা টিন্টেড লিপ গ্লস ব্যবহার করাই ভালো। সাজের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে নখের সাজে লাল রঙের নেইল পলিশ এড়িয়ে ন্যুড শেড বা ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর বেছে নিতে পারেন, যা একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক দেবে।
চুল
লাল পোশাকের সঙ্গে চুলের সাজ একেবারেই সাধারণ রাখুন। খুব বেশি জাঁকজমকপূর্ণ খোঁপা বা টাইট কার্ল না করে হালকা কার্ল করা চুল বা খোলা চুল বেছে নিতে পারেন, যা আপনার মুখকে সুন্দরভাবে ফ্রেম করবে। খেয়াল রাখবেন, চুলের সাজ যেন আপনার সাজের মূল আকর্ষণ না হয় বা আপনার মুখমণ্ডল থেকে মনোযোগ সরিয়ে না দেয়। সাধারণ চুলের স্টাইলই আপনার পুরো সাজকে মার্জিত করে মেকআপকে হাইলাইট করবে।
চোখ বা ঠোঁট; যেকোনো একটিকে ফোকাল পয়েন্টে রাখুন
আকর্ষণীয় দেখাতে খুব ভারী মেকআপ বা গাঢ় রং ব্যবহার করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। সাধারণ নিয়ম হিসেবে মুখের সব ফোকাল পয়েন্ট না বেছে, শুধু একটি অংশ হাইলাইট করার কৌশল বেছে নিন। এই একটি ফোকাল পয়েন্ট হতে পারে আপনার চোখ অথবা ঠোঁট; কিন্তু কখনই দুটি একসঙ্গে নয়। এভাবে মেকআপ করলে সহজেই একটি ক্ল্যাসিক ও মার্জিত লুক পাবেন।

সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পর পুরো শহর যখন ক্লান্ত হয়ে একটু বিশ্রামে ব্যস্ত, তখনো অপলক জেগে থাকে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার। পুরোনো এলাকাগুলোকে ঐতিহাসিক না বলে ঐতিহ্যবাহী এলাকা বলার একটা চল আছে আমাদের মধ্যে। সেই সূত্রে নাজিরাবাজারও ঐতিহ্যবাহী এলাকা।
১০ ডিসেম্বর ২০২১
আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা সাধারণত নেতিবাচক চোখে দেখা হয় বা এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কিন্তু আধুনিক গবেষণা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে এই অভ্যাসগুলোর সবই ক্ষতিকর নয়; বরং কিছু অভ্যাস সুস্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি ও সৃজনশীলতার জন্য অপরিহার্য। এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ‘ভুল’ ধারণা এবং
৪০ মিনিট আগে
বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির
৩ ঘণ্টা আগে
দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক...
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এ সমস্যার বড় কারণ।
ভারতের ইয়েলো ফার্টিলিটির প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ঈশা নান্দাল জানিয়েছেন, পুরুষের খাবার, ঘুম, কাজের ধরন, শরীরচর্চা ও বিশ্রামের অভ্যাস সরাসরি প্রভাব ফেলে হরমোনের ভারসাম্য ও শুক্রাণু উৎপাদনে। তাঁর মতে, অনেক সময় ছোট ভুলগুলোই শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে দেয়। সুখবর হচ্ছে, এ ভুলগুলোর বেশির ভাগই পরিবর্তনযোগ্য।
প্রজনন বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭টি অভ্যাস পুরুষের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। এই হরমোনটি টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয় এবং শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত করে। যেহেতু একটি শুক্রাণু তৈরি হতে ৭০-৯০ দিন সময় লাগে, তাই কয়েক মাসের কাজের চাপ বা মানসিক অস্থিরতাও এটি তৈরির প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ধ্যান, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং শান্ত পরিবেশে সময় কাটানোর পরামর্শ দেন।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার শরীরের কোষের সুরক্ষা দেয় এবং পুরুষের প্রজননক্ষমতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বাদাম, আঙুর, শস্যদানা, সবুজ শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও ফল শুক্রাণুর গুণগত মান, ঘনত্ব ও গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এসব খাবারে থাকা ভিটামিন সি, ই, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পলিফেনল শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যাল কমিয়ে শুক্রাণুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে অতিরিক্ত কফি খাওয়া, নিয়মিত জাংকফুড, মিষ্টি নাশতা বা অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এসব খাবার শুক্রাণুর গতিশীলতা কমিয়ে দেয়, শক্তি কেড়ে নেয় এবং কখনো কখনো শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত তাপ ও অতিরিক্ত ব্যায়াম
শুক্রাণু তাপ সংবেদনশীল। কোলে ল্যাপটপ রাখা, খুব আঁটসাঁট পোশাক, গাড়ির গরম সিট, স্টিম বাথ টেস্টিকলের তাপমাত্রা বাড়িয়ে শুক্রাণু উৎপাদনে বাধা দেয়। আবার হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম উপকারী হলেও অতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরের স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয়, ফলে শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ধূমপান, অ্যালকোহল ও নেশাজাতীয় দ্রব্য
ডা. নান্দাল জানান, তামাক, অ্যালকোহল ও মাদকদ্রব্য শুক্রাণুর আকার, সংখ্যা ও গতিশীলতা নষ্ট করে। এমনকি মাঝেমধ্যে ব্যবহারেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব অভ্যাস কমানো বা সম্পূর্ণ বাদ দিলে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যেই শুক্রাণু তৈরির অবস্থা উন্নত হয়।
স্বাস্থ্য সমস্যা উপেক্ষা করা
ভ্যারিকোসিল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ ও থাইরয়েড সমস্যা থাকলে অনেক সময় লক্ষণ দেখা দেওয়া ছাড়াই পুরুষের শুক্রাণু কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। অনেক পুরুষ প্রকৃতিগত কারণেই এসব শারীরিক সমস্যাকে ছোট মনে করে বা দেরিতে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু এসব সমস্যার শুরুতে পরীক্ষা, দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা সন্তান গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
পরিবেশগত দূষণ ও রাসায়নিকের প্রভাব
কীটনাশক, ভারী ধাতু, প্লাস্টিকের রাসায়নিক, বায়ুদূষণ ও শিল্পকারখানার রাসায়নিক শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে। যদিও পুরোপুরি এড়ানো যায় না, তবে বিপিএ মুক্ত বোতল, জৈব খাবার বা কম রাসায়নিকযুক্ত বিকল্প ব্যবহার করলে এ ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
আগে থেকেই বীর্য পরীক্ষা না করানো
আগে বীর্য পরীক্ষা সাধারণত শেষ ধাপ হিসেবে ধরা হতো। এখন চিকিৎসকেরা পরিবার গঠনের পরিকল্পনা থাকলে পুরুষদের আগেই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। সহজ ও ব্যথামুক্ত এই পরীক্ষায় পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় এবং সমস্যা থাকলে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ, পরিবেশগত বিষাক্ততা কমানো এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা এসবই পুরুষদের উর্বরতা ভালো রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সন্তান নেওয়ার আগে পুরুষের স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব দিলে দীর্ঘমেয়াদি প্রজনন স্বাস্থ্য আরও শক্তিশালী হয়।
সূত্র: হেলথশট

দাম্পত্য জীবনে সন্তানের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হলে বেশির ভাগ সময় নজর যায় নারীর দিকে। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পুরুষের ভূমিকা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনযাপন, দূষণ, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এ সমস্যার বড় কারণ।
ভারতের ইয়েলো ফার্টিলিটির প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ঈশা নান্দাল জানিয়েছেন, পুরুষের খাবার, ঘুম, কাজের ধরন, শরীরচর্চা ও বিশ্রামের অভ্যাস সরাসরি প্রভাব ফেলে হরমোনের ভারসাম্য ও শুক্রাণু উৎপাদনে। তাঁর মতে, অনেক সময় ছোট ভুলগুলোই শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে দেয়। সুখবর হচ্ছে, এ ভুলগুলোর বেশির ভাগই পরিবর্তনযোগ্য।
প্রজনন বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭টি অভ্যাস পুরুষের উর্বরতা কমিয়ে দিতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বাড়ায়। এই হরমোনটি টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয় এবং শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত করে। যেহেতু একটি শুক্রাণু তৈরি হতে ৭০-৯০ দিন সময় লাগে, তাই কয়েক মাসের কাজের চাপ বা মানসিক অস্থিরতাও এটি তৈরির প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ধ্যান, গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং শান্ত পরিবেশে সময় কাটানোর পরামর্শ দেন।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার শরীরের কোষের সুরক্ষা দেয় এবং পুরুষের প্রজননক্ষমতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বাদাম, আঙুর, শস্যদানা, সবুজ শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও ফল শুক্রাণুর গুণগত মান, ঘনত্ব ও গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এসব খাবারে থাকা ভিটামিন সি, ই, জিংক, সেলেনিয়াম এবং পলিফেনল শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যাল কমিয়ে শুক্রাণুকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অন্যদিকে অতিরিক্ত কফি খাওয়া, নিয়মিত জাংকফুড, মিষ্টি নাশতা বা অত্যধিক চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এসব খাবার শুক্রাণুর গতিশীলতা কমিয়ে দেয়, শক্তি কেড়ে নেয় এবং কখনো কখনো শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত তাপ ও অতিরিক্ত ব্যায়াম
শুক্রাণু তাপ সংবেদনশীল। কোলে ল্যাপটপ রাখা, খুব আঁটসাঁট পোশাক, গাড়ির গরম সিট, স্টিম বাথ টেস্টিকলের তাপমাত্রা বাড়িয়ে শুক্রাণু উৎপাদনে বাধা দেয়। আবার হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম উপকারী হলেও অতিরিক্ত ব্যায়াম শরীরের স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন কমিয়ে দেয়, ফলে শুক্রাণু উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ধূমপান, অ্যালকোহল ও নেশাজাতীয় দ্রব্য
ডা. নান্দাল জানান, তামাক, অ্যালকোহল ও মাদকদ্রব্য শুক্রাণুর আকার, সংখ্যা ও গতিশীলতা নষ্ট করে। এমনকি মাঝেমধ্যে ব্যবহারেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব অভ্যাস কমানো বা সম্পূর্ণ বাদ দিলে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যেই শুক্রাণু তৈরির অবস্থা উন্নত হয়।
স্বাস্থ্য সমস্যা উপেক্ষা করা
ভ্যারিকোসিল, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ ও থাইরয়েড সমস্যা থাকলে অনেক সময় লক্ষণ দেখা দেওয়া ছাড়াই পুরুষের শুক্রাণু কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। অনেক পুরুষ প্রকৃতিগত কারণেই এসব শারীরিক সমস্যাকে ছোট মনে করে বা দেরিতে চিকিৎসা নেয়। কিন্তু এসব সমস্যার শুরুতে পরীক্ষা, দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা সন্তান গ্রহণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
পরিবেশগত দূষণ ও রাসায়নিকের প্রভাব
কীটনাশক, ভারী ধাতু, প্লাস্টিকের রাসায়নিক, বায়ুদূষণ ও শিল্পকারখানার রাসায়নিক শুক্রাণুর গুণগত মান নষ্ট করে। যদিও পুরোপুরি এড়ানো যায় না, তবে বিপিএ মুক্ত বোতল, জৈব খাবার বা কম রাসায়নিকযুক্ত বিকল্প ব্যবহার করলে এ ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
আগে থেকেই বীর্য পরীক্ষা না করানো
আগে বীর্য পরীক্ষা সাধারণত শেষ ধাপ হিসেবে ধরা হতো। এখন চিকিৎসকেরা পরিবার গঠনের পরিকল্পনা থাকলে পুরুষদের আগেই পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। সহজ ও ব্যথামুক্ত এই পরীক্ষায় পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় এবং সমস্যা থাকলে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো, ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ, পরিবেশগত বিষাক্ততা কমানো এবং সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা এসবই পুরুষদের উর্বরতা ভালো রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সন্তান নেওয়ার আগে পুরুষের স্বাস্থ্যকে সমান গুরুত্ব দিলে দীর্ঘমেয়াদি প্রজনন স্বাস্থ্য আরও শক্তিশালী হয়।
সূত্র: হেলথশট

সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পর পুরো শহর যখন ক্লান্ত হয়ে একটু বিশ্রামে ব্যস্ত, তখনো অপলক জেগে থাকে রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার। পুরোনো এলাকাগুলোকে ঐতিহাসিক না বলে ঐতিহ্যবাহী এলাকা বলার একটা চল আছে আমাদের মধ্যে। সেই সূত্রে নাজিরাবাজারও ঐতিহ্যবাহী এলাকা।
১০ ডিসেম্বর ২০২১
আমাদের সমাজে প্রচলিত এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা সাধারণত নেতিবাচক চোখে দেখা হয় বা এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কিন্তু আধুনিক গবেষণা এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে এই অভ্যাসগুলোর সবই ক্ষতিকর নয়; বরং কিছু অভ্যাস সুস্বাস্থ্য, মানসিক শান্তি ও সৃজনশীলতার জন্য অপরিহার্য। এবার জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ‘ভুল’ ধারণা এবং
৪০ মিনিট আগে
বাড়ির ভেতরের রান্নাঘর, বেসিন বা বাথরুমে পাইপলাইনে আমরা অনেক কিছুই ফেলি। ঝামেলা এড়ানোর জন্য মূলত এ কাজ করা হয়। কিন্তু এই অবহেলা থেকে পাইপ লিক বা ব্লক হলে মেরামতের খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝামেলাও দীর্ঘস্থায়ী। তাই ড্রেন বা সিংক আবর্জনা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। কিছু জিনিস যদি নিয়মিত পানির
৩ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বরের শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়ে, বড়দিন, বছর শেষের আয়োজন, বারবিকিউ পার্টিসহ যেকোনো অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার জন্য লাল রঙের পোশাক অনেকের কাছেই সেরা পছন্দ। লাল রং উৎসব, সাহস ও ভালোবাসার প্রতীক। এই রঙের পোশাক পরলে এমনিতেই উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই রঙের পোশাকের সঙ্গে মেকআপ এমন...
৪ ঘণ্টা আগে