Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

বিসিএসে একবার প্রিলি পাসেই দেওয়া যাবে একাধিকবার লিখিত পরীক্ষা

ড. মোবাশ্বের মোনেম

৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো বড় বদল হয়েছে পিএসসিতেও। পদত্যাগ করে চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশন। নতুন কমিশন দায়িত্ব নিয়ে গতি এনেছে কমিশনের কার্যক্রমে। একই সঙ্গে চিন্তাভাবনা চলছে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় বড় ধরনের সংস্কারের। এসব নিয়ে নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাহুল শর্মা

রাহুল শর্মা
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩: ১৮

কমিশনে নিজ কার্যালয়ে গতকাল সোমবার আলাপকালে চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেমের বক্তব্যে মিলেছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তনের আভাস। তার মধ্যে রয়েছে একবার বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তিনবার লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ, সিলেবাস যুগোপযোগী করা, তিন স্তরের মৌখিক পরীক্ষাপদ্ধতি ও লিখিত পরীক্ষায় লেখার ধরনে পরিবর্তন।

এক প্রিলিতেই একাধিক লিখিত পরীক্ষার সুযোগের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, কেউ যদি একবার বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পাস করে, তাকে পরবর্তী দুই থেকে তিনবার লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া। বিষয়টি অনেকটা আইইএলটিএস পরীক্ষার মেয়াদের মতো। ৪৮তম বিসিএস থেকে এটি বাস্তবায়ন করার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে।’

বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাসও পর্যালোচনা করা হবে—জানালেন পিএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘এখনকার যে সিলেবাস আছে, এটা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। তাই বর্তমান সিলেবাস যত শিগগির সম্ভব পর্যালোচনা করা হবে। পর্যালোচনা করে অংশীজন এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি কর্মশালার মাধ্যমে এটি চূড়ান্ত করা হবে।’

বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা তিন স্তরে করার পরিকল্পনা হচ্ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, মৌখিক পরীক্ষায় যেন কেউ কোনো ধরনের অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে না পারে, সে জন্য একটি মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে তিন স্তর রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে চাইলেও কাউকে প্রভাবিত করে অনৈতিক সুবিধা আদায় সম্ভব নয়।

নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতা কমাতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে—এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যানের বক্তব্য, ‘কোনো কোনো বিসিএসে তিন থেকে চার বছর লেগেছে, বিষয়টি দুঃখজনক। নিয়োগে সময় কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখায় দ্বিতীয় পরীক্ষক পদ্ধতি আছে, সেটাকে একজনে করা যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে। এ ছাড়া লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রে পৃষ্ঠা নির্দিষ্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে লেখার মান উন্নত হবে, একই সঙ্গে এটা স্কিল টেস্টও। প্রথমে এ পদ্ধতি নন-ক্যাডার নিয়োগ পরীক্ষায় বাস্তবায়ন করা হবে। যদি এটি ফলপ্রসূ হয়, তাহলে বিসিএসে বাস্তবায়ন করা হবে। আশা করছি, ৪৮তম বিসিএস থেকে এ পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হবে।’

সব নিয়োগে সময় কমিয়ে আনা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা বর্তমান কমিশনের মূল অগ্রাধিকার বলেও জানান পিএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই প্রতিটি নিয়োগপ্রক্রিয়ার সময় কমে আসবে। অচিরেই সবাই এর ফল দেখতে পাবে। এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএস শেষ করার টার্গেট রয়েছে আমাদের।’

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর সিটিএমটি (চেঞ্জ অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ম্যানেজমেন্ট টিম) নামে একটি বিশেষ কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি পিএসসি ভিশন ও কোর ভ্যালুজ ঠিক করেছে। আমরা পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনাও করেছি। প্রতি সপ্তাহের কাজের মনিটরিং করা হচ্ছে। আর এ মনিটরিং কার্যক্রম তিন মাস, ছয় মাস ও এক বছর মেয়াদি করা হবে।’

চলমান চারটি বিসিএস (৪৪, ৪৫, ৪৬ ও ৪৭) পরীক্ষার জট কাটানোর বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, প্রতিটি বিসিএসের জন্য ইতিমধ্যে সদস্যদের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। প্রতিটি বিসিএসের জন্য আলাদা রোডম্যাপ করা হচ্ছে। শিগগির এটি চূড়ান্ত হবে। এরপর সে অনুযায়ী ক্যালেন্ডারের মতো প্রতিটি বিসিএসের কার্যক্রম চলবে।

স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিটি কাজের স্বচ্ছতা প্রয়োজন। কারণ, স্বচ্ছতা না থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। যেসব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনা প্রয়োজন, সেসব ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। চাকরিপ্রার্থীদের কাছে পরীক্ষার যাবতীয় বিষয় উন্মুক্তের চেষ্টা করা হবে, যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। তিনি আরও বলেন, ‘চলতি বছর থেকে প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর জন্য আলাদা ইউনিক আইডি চালু হবে। এই আইডি দিয়ে প্রার্থী একাধিকবার বিসিএসে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।’

প্রশ্নপত্র ফাঁস, নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতাসহ নানা কারণে ইমেজ-সংকটে ভুগছে পিএসসি। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে—এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ইতিমধ্যে স্বচ্ছতা ‘নিশ্চিত’ করতে রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এর বাইরে বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে ১০০ করা, ৪৬তম প্রিলিমিনারির ফল নতুন করে প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। আর ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা আবার নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বিশেষ কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি কোন কোন জায়গায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ রয়েছে, তা চিহ্নিত করেছে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।

৪৭তম বিসিএস থেকে আবেদন ফি ২০০ টাকা করা হবে বলেও জানান পিএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন স্থগিত করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছিল, বিগত সরকার লিখিত পরীক্ষার পর প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয় বের করত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন চেয়ারম্যানের জবাব, ‘আমি জানি না করেছে কি না। যদি করা হয়ে থাকে, তা খুবই অন্যায় হয়েছে। যেকোনো পর্যায়ে রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাওয়া অন্যায়। প্রার্থী মেধাবী কি না, এটা আমরা যাচাই করব, অন্য কিছু নয়।’

সবশেষে চাকরিপ্রার্থীদের পড়ার টেবিলে সময় দেওয়ার আহ্বান জানান পিএসসির নতুন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি, আগে অনিয়ম হয়ে থাকলেও এখন কোনো অনিয়ম হবে না। এখানে মেধা যার চাকরি তার—এ নীতিতে সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

চাকরি ডেস্ক 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকলে হলে হতে হবে অনেক বেশি কৌশলী ও সচেতন। শেষ মুহূর্তে কৌশলী ও সচেতন হতে প্রার্থীদের দিকনির্দেশনা ও প্রস্তুতিমূলক পরামর্শ দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষা ক্যাডারে (৪৫তম) সুপারিশপ্রাপ্ত আরাফাত শাহীন।

মানবণ্টন

প্রথমেই আমরা সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত (এমসিকিউ টাইপ) পরীক্ষার মানবণ্টন সম্পর্কে জেনে নিই। উল্লেখ্য, গত নিয়োগ পরীক্ষা ৭৫ নম্বরের হলেও এবার পরীক্ষা হবে ৯০ নম্বরের। ৯০ মিনিটের এই পরীক্ষায় বাংলা ২৫, ইংরেজি ২৫, গণিত ও বিজ্ঞান ২০, সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক) ২০ নম্বরের অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

বাংলা

বাংলার দুটি অংশ ব্যাকরণ ও সাহিত্য। সাধারণত ব্যাকরণ অংশ থেকে বেশি প্রশ্ন হয়ে থাকে। ব্যাকরণে ভালো করতে হলে নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি পড়া জরুরি। এ ছাড়া যেসব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন সেগুলো হচ্ছে ধ্বনি ও ধ্বনি পরিবর্তন, শব্দ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, সন্ধি, সমাস, উপসর্গ, অনুসর্গ, বানান ও বাক্য শুদ্ধকরণ, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, বাগধারা। সাহিত্য অংশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো চর্যাপদ, মধ্যযুগের রোমান্টিক সাহিত্য, আধুনিক যুগের সাহিত্যকর্ম (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, পঞ্চপাণ্ডব, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ফররুখ আহমদ, আল মাহমুদ, জসীম উদ্‌দীন প্রমুখ), সাহিত্যবিষয়ক পত্রিকা ও সাময়িকী, সাহিত্যিকদের ছদ্মনাম ও উপাধি।

ইংরেজি

বাংলার মতো ইংরেজিতেও দুটি অংশ থাকে; একটি Grammar, অপরটি Literature. সাধারণত Grammar অংশ থেকেই বেশি প্রশ্ন হয়ে থাকে। Literature অংশ থেকে যে কয়েকটি প্রশ্ন আসে তা বিগত সালের বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন দেখে গেলেই কমন পাওয়া যাবে। Grammar অংশে ভালো করতে হলে Parts of Speech, Number, Gender, Article, Appropriate Preposition, Right form of Verb, Correction, Vocabulary (Spelling, Meaning, Synonyms, Antonyms) সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।

গণিত

গণিতে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে পাটিগণিত থেকে। এখান থেকে বাস্তব সংখ্যা, ল. সা. গু. , গ. সা. গু., ঐকিক নিয়ম, শতকরা, লাভ-ক্ষতি, মুনাফা, অনুপাত ও সমানুপাত অধ্যায়গুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। বীজগণিতের জন্য উৎপাদক, সূচক ও লগারিদম, বীজগণিতের সূত্রাবলি, সরল সমীকরণ ও অসমতা ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে। পাশাপাশি জ্যামিতি থেকে পরিমিতি ও ত্রিকোণমিতি, রেখা, কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, ক্ষেত্রফল ও বৃত্ত সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে।

সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ বিষয়াবলি)

ভালো নম্বর তোলার জন্য এই অংশটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ জ্ঞানে ভালো করতে হলে বিগত সালের বিসিএসসহ পিএসসি কর্তৃক নেওয়া সব পরীক্ষা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ও নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্নগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ অংশের জন্য যেসব অধ্যায় দেখা যেতে পারে: বাংলাদেশের ইতিহাস (১৯৪৭-১৯৭০), মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, নদ-নদী, অর্থনীতি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, খেলাধুলা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সাফল্য সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে।

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি

আন্তর্জাতিক অংশের জন্য ভৌগোলিক পরিচিতি, আন্তর্জাতিক সীমানা, নদ-নদী, প্রণালি, গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও সনদ, জাতিসংঘ ও এর অঙ্গসংগঠন, পরিবেশগত ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত পড়াশোনা করতে হবে।

এ ছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অংশের জন্য দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রযুক্তি, কম্পিউটার, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, সাধারণ রোগব্যাধি, পুষ্টি অধ্যায়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষ নির্দেশনা

পরীক্ষার জন্য খুব বেশি সময় হাতে নেই। এই অল্প সময়ে ভালো করতে হলে গোছালো প্রস্তুতির বিকল্প নেই। বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা বিগত সালের প্রশ্নগুলো ভালোমতো আয়ত্তে রাখতে হবে। নতুন করে আর তেমন কিছু না পড়াই উত্তম। পুরোনো পড়া বারবার ঝালাই করতে হবে। এই কদিন যেন শরীর ও মন সুস্থ থাকে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

অনুলিখন: জেলি খাতুন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম ওয়াসায় ১৪৪ জনের চাকরি, আবেদন শুরু

চাকরি ডেস্ক 
চট্টগ্রাম ওয়াসায় ১৪৪ জনের চাকরি, আবেদন শুরু

চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষে (চট্টগ্রাম ওয়াসা) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ২৪ ক্যাটাগরির পদে মোট ১৪৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পদের নাম ও সংখ্যা: গবেষণা কর্মকর্তা, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান বা বিজ্ঞান বিভাগের যেকোনো বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ বা জিপিএতে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: রাজস্ব কর্মকর্তা (বিলিং/হিসাব), ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: ক্রয় কর্মকর্তা, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: কানুনগো, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠান থেকে জরিপ বিষয়ে ডিপ্লোমা।

বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: রাজস্ব তত্ত্বাবধায়ক, ৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: কম্পিউটার অপারেটর, ৪টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: উচ্চমান সহকারী, ৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: হিসাব সহকারী, ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগ থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট, ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: নার্স, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডিপ্লোমা ইন নার্সিং অ্যান্ড মিড ওয়াইফারি ডিগ্রি থাকতে হবে।

বেতন: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: ড্রাফটসম্যান, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ১০টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। কম্পিউটার ব্যবহার-সংক্রান্ত ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডেটা এন্ট্রি ও টাইপিংয়ে দক্ষ হতে হবে।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: জুনিয়র হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ১১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: ক্যাশিয়ার, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগ থেকে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: মিটার পরিদর্শক, ৮টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগ এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: কার্য সহকারী, ৪টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: অপারেটর (পাম্প, ক্লোরিন, লাইম, ফিলটার), ৩৮টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: কেয়ার টেকার, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: ফটোকপি অপারেটর, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: মেকানিক, ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান, ৬টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী নিরাপত্তা পরিদর্শক, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: নিরাপত্তা প্রহরী, ৪০টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবুল খায়ের গ্রুপে চাকরি, ২২ বছরেই করা যাবে আবেদন

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আবুল খায়ের গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাস্ট্রা বিভাগের শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১১ ডিসেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: মার্কেটিং অফিসার, (অ্যাস্ট্রা)।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন: পূর্ণকালীন।

প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীর বয়স: ন্যূনতম ২২ বছর হতে হবে।

কর্মস্থল: দেশের যে কোনো স্থানে।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ-সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়াও বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেসকোতে বড় নিয়োগ, পদ ১৩৭

চাকরি ডেস্ক 
নেসকোতে বড় নিয়োগ, পদ ১৩৭

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসিতে (নেসকো) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ১২ ক্যাটাগরির শূন্য পদে মোট ১৩৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী প্রকৌশলী (বিজ্ঞান ও উন্নয়ন বা প্রকৌশল বা প্রকিউরমেন্ট বা বাণিজ্যিক পরিচালনা বা গ্রাহক পরিষেবা), ২০টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ইলেকট্রিক্যাল বা ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক বা মেকানিক্যাল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি।

বেতন: ৫১,০০০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বা জনসংযোগ বা কোম্পানি সচিবালয়), ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

বেতন: ৫১,০০০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: প্রধান শিক্ষক (মাধ্যমিক বিদ্যালয়), ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রিসহ কমপক্ষে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা বিএড ডিগ্রিসহ স্নাতক ডিগ্রি।

বেতন: ৫১,০০০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী ব্যবস্থাপক (অর্থ বা অডিট বা রাজস্ব নিশ্চয়তা), ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ফিন্যান্স বা অ্যাকাউন্টিংয়ে কমপক্ষে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা এমবিএ।

বেতন: ৫১,০০০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (প্রশাসন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বা কোম্পানি সচিবালয়), ৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।

বেতন: ৩৯,০০০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (আইনি ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স), ২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: আইনে কমপক্ষে স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি।

বেতন: ৩৯,০০০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফাইন্যান্স বা অডিট বা রেভিনিউ অ্যাসুরেন্স), ১২টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ফিন্যান্স বা অ্যাকাউন্টিংয়ে কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি অথবা বিবিএ।

বেতন: ৩৯,০০০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: সাবস্টেশন অ্যাটেনডেন্ট (এ), ৪০টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞানে কমপক্ষে এইচএসসি বা সমমান।

বেতন: ২৩,০০০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: টেকনিশিয়ান-জোনাল মেরামতের দোকান, ১৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞানে কমপক্ষে এইচএসসি বা সমমান।

বেতন: ৩৯,০০০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: স্টোরকিপার (এ), ১০টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি বা সমমানের সার্টিফিকেট।

বেতন: ১৮,০০০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: হেল্পার, ২৬টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে এসএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেট।

বেতন: ১৭,০০০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: স্টোর হেল্পার, ৬টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে এসএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেট।

বেতন: ১৫,০০০ টাকা।

আবেদন ফি: ১ থেকে ৭ নম্বর পদের জন্য ১ হাজার টাকা এবং ৮ থেকে ১২ পর্যন্ত ৫০০ টাকা আবেদন ফি জমা দিতে হবে।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত