এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি। পার্সিয়ান উদ্যান, শিরাজের গোলাপ বাগান এবং ইস্পাহানের ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলো যেন অতীত ও বর্তমানের সংযোগ স্থাপন করে। শানশওকতপূর্ণ দালানকোঠা, সোনালি সূর্যাস্ত আর শান্ত জলাশয়ে প্রতিফলিত আকাশের ছবি ইরানকে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে। ইরানের শৈল্পিক সৌন্দর্য, অমর সাহিত্য ও বিজ্ঞানী মনীষীদের ইতিহাস এখনো পুরো পৃথিবীকে এক অজানা জগতের পথে নিয়ে যায়। ইরান যেন এক অদেখা জগতের দরজা। হাজার বছরের ঐতিহ্যে মোড়ানো ইরানে নানা ধর্মের নানা মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন। আজকে জানব ইরানে জন্ম নেওয়া অসংখ্য মুসলিম মনীষীর মধ্য থেকে পাঁচজনকে। লিখেছেন তাসনিফ আবীদ
তাসনিফ আবীদ


ফারসি সাহিত্যের জনক রুদাকি
রুদাকির পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মদ আর-রুদাকি। তাঁকে আধুনিক ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে ডাকা হয় অ্যাডাম অব পোয়েট বা কবিতার জনক বলে। এ ছাড়া তিনি প্রথম আধুনিক ফারসি বর্ণমালায় কবিতা রচনা করায় তাঁকে শাস্ত্রীয় ফারসি সাহিত্যের জনকও বলা হয়। নবম শতাব্দীতে তাঁর মধ্যে কবিতা, গান, আবৃত্তি এবং কবি-লেখকসত্তার যে সংমিশ্রণ ঘটেছিল, সেটা তাঁর আগে আর কারও মধ্যে এভাবে পাওয়া যায়নি বলে ধারণা করা হয়। এসব গুণের কারণে তিনি রাজসভায় ছিলেন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তবে দুঃখের বিষয় হলো, তাঁর কাব্যসম্ভারের খুব অল্প অংশই এখন পাওয়া যায়। রুদাকি ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের খোরাসান শহরের রুদক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামেই তিনি ৯৪০ মতান্তরে ৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান।

হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি
ইরানের খোরাসানের অন্তর্গত তুস নগরীতে ১০৫৮ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৪৫০ হিজরি সনে জন্মগ্রহণ করেন হুজ্জাতুল ইসলাম আবু হামিদ মুহাম্মদ গাজালি। তবে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজালি হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ গাজালি। হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি মনে করতেন, ইসলামি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য মৃতপ্রায় হয়ে গেছে এবং মুসলমানদের প্রথম প্রজন্মের দ্বারা শেখানো আধ্যাত্মিক জ্ঞানও মানুষ ভুলতে বসেছে। এই বিশ্বাস তাঁকে ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন (ধর্মীয় জ্ঞানের পুনরুজ্জীবন) শিরোনামে তাঁর সেরা গ্রন্থ লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই বই ছাড়াও তাঁর চার শতাধিক গ্রন্থ রয়েছে। অধিকাংশ বইয়ে তিনি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও সুফিবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই মনীষী খ্রিষ্টাব্দ ১১১১ সন মোতাবেক ৫০৫ হিজরি সনে নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে সুস্থ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইরানের অমর কবি ফেরদৌসীর সমাধির পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

বুলবুল-ই-শিরাজ হাফিজ শিরাজি
মহাকবি খ্যাত হাফিজ শিরাজির আসল নাম শামসুদ্দিন মুহাম্মদ। তিনি চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। বুলবুল-ই-শিরাজ তাঁর উপাধি। এ ছাড়া তাঁকে লিসান-উল-গায়েব (অজ্ঞাতের বাণী), তর্জমান-উল-আসরার (রহস্যের মর্মসন্ধানী) বলেও সম্বোধন করা হয়। পবিত্র কোরআন তাঁর মুখস্থ ছিল। হাফিজের মৃত্যুর ১০০ বছরের মধ্যে তাঁর কোনো জীবনী রচিত হয়নি। তাই তাঁর জন্ম-মৃত্যুর দিন নিয়ে নানা মত রয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি ৭৯১ হিজরি বা ১৩৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

কবি ও জ্যোতির্বিদ ওমর খৈয়াম
ওমর খৈয়াম একাধারে কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তাঁর পুরো নাম গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইবরাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। তিনি ১০৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারে তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি তাঁর কবিতা সমগ্র ‘ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াত’ গ্রন্থের জন্য বিখ্যাত। কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তাঁর গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। ধারণা করা হয়, রনে দেকার্তের আগে তিনি বিশ্লেষণী জ্যামিতি আবিষ্কার করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গণিতের দ্বিপদী উপপাদ্য আবিষ্কার করেন। বীজগণিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান তিনিই প্রথম করেন। বহুমুখী প্রতিভার দৃষ্টান্ত দিতে বলা হলে বিশ্বসাহিত্য কিংবা ইতিহাসে যাঁদের নাম উপেক্ষা করা কঠিন, ওমর খৈয়াম তাঁদের মধ্যে অন্যতম ও শীর্ষস্থানীয়। ১১৩১ খ্রিষ্টাব্দে এই মনীষী জীবনের সফর শেষ করেন।

শব্দের কারিগর শেখ সাদি শিরাজি
পুরো নাম শেখ আবু মুহাম্মদ মুসলেহুদ্দিন সাদি ইবনে আবদুল্লাহ শিরাজি হলেও মানুষ তাঁকে শেখ সাদি শিরাজি বলেই বেশি চেনে। তিনি ৫৮৯ হিজরি মোতাবেক ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্তেকাল করেন ৬৯৪ হিজরি মোতাবেক ১২৯৪ খ্রিষ্টাব্দে। শেখ সাদি ছিলেন মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ ফারসি কবিদের একজন। ফারসিভাষী দেশের বাইরেও তিনি সমাদৃত। তাঁর লেখার মান এবং সামাজিক ও নৈতিক চিন্তার গভীরতার জন্য তাঁকে কদর করা হয়। ধ্রুপদি সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁকে একজন উঁচু মানের কবি ধরা হয়। তাঁর লেখা বুস্তা বইটি সর্বকালের সেরা ১০০ বইয়ের মাঝে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া মহানবী (সা.)-কে নিয়ে তাঁর লেখা, ‘বালাগাল উলা বিকামালিহি’ বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান নিয়মিত পাঠ করে থাকেন শ্রদ্ধার সঙ্গে।


ফারসি সাহিত্যের জনক রুদাকি
রুদাকির পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মদ আর-রুদাকি। তাঁকে আধুনিক ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে ডাকা হয় অ্যাডাম অব পোয়েট বা কবিতার জনক বলে। এ ছাড়া তিনি প্রথম আধুনিক ফারসি বর্ণমালায় কবিতা রচনা করায় তাঁকে শাস্ত্রীয় ফারসি সাহিত্যের জনকও বলা হয়। নবম শতাব্দীতে তাঁর মধ্যে কবিতা, গান, আবৃত্তি এবং কবি-লেখকসত্তার যে সংমিশ্রণ ঘটেছিল, সেটা তাঁর আগে আর কারও মধ্যে এভাবে পাওয়া যায়নি বলে ধারণা করা হয়। এসব গুণের কারণে তিনি রাজসভায় ছিলেন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তবে দুঃখের বিষয় হলো, তাঁর কাব্যসম্ভারের খুব অল্প অংশই এখন পাওয়া যায়। রুদাকি ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের খোরাসান শহরের রুদক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামেই তিনি ৯৪০ মতান্তরে ৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান।

হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি
ইরানের খোরাসানের অন্তর্গত তুস নগরীতে ১০৫৮ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৪৫০ হিজরি সনে জন্মগ্রহণ করেন হুজ্জাতুল ইসলাম আবু হামিদ মুহাম্মদ গাজালি। তবে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজালি হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ গাজালি। হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি মনে করতেন, ইসলামি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য মৃতপ্রায় হয়ে গেছে এবং মুসলমানদের প্রথম প্রজন্মের দ্বারা শেখানো আধ্যাত্মিক জ্ঞানও মানুষ ভুলতে বসেছে। এই বিশ্বাস তাঁকে ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন (ধর্মীয় জ্ঞানের পুনরুজ্জীবন) শিরোনামে তাঁর সেরা গ্রন্থ লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই বই ছাড়াও তাঁর চার শতাধিক গ্রন্থ রয়েছে। অধিকাংশ বইয়ে তিনি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও সুফিবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই মনীষী খ্রিষ্টাব্দ ১১১১ সন মোতাবেক ৫০৫ হিজরি সনে নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে সুস্থ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইরানের অমর কবি ফেরদৌসীর সমাধির পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

বুলবুল-ই-শিরাজ হাফিজ শিরাজি
মহাকবি খ্যাত হাফিজ শিরাজির আসল নাম শামসুদ্দিন মুহাম্মদ। তিনি চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। বুলবুল-ই-শিরাজ তাঁর উপাধি। এ ছাড়া তাঁকে লিসান-উল-গায়েব (অজ্ঞাতের বাণী), তর্জমান-উল-আসরার (রহস্যের মর্মসন্ধানী) বলেও সম্বোধন করা হয়। পবিত্র কোরআন তাঁর মুখস্থ ছিল। হাফিজের মৃত্যুর ১০০ বছরের মধ্যে তাঁর কোনো জীবনী রচিত হয়নি। তাই তাঁর জন্ম-মৃত্যুর দিন নিয়ে নানা মত রয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি ৭৯১ হিজরি বা ১৩৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

কবি ও জ্যোতির্বিদ ওমর খৈয়াম
ওমর খৈয়াম একাধারে কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তাঁর পুরো নাম গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইবরাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। তিনি ১০৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারে তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি তাঁর কবিতা সমগ্র ‘ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াত’ গ্রন্থের জন্য বিখ্যাত। কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তাঁর গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। ধারণা করা হয়, রনে দেকার্তের আগে তিনি বিশ্লেষণী জ্যামিতি আবিষ্কার করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গণিতের দ্বিপদী উপপাদ্য আবিষ্কার করেন। বীজগণিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান তিনিই প্রথম করেন। বহুমুখী প্রতিভার দৃষ্টান্ত দিতে বলা হলে বিশ্বসাহিত্য কিংবা ইতিহাসে যাঁদের নাম উপেক্ষা করা কঠিন, ওমর খৈয়াম তাঁদের মধ্যে অন্যতম ও শীর্ষস্থানীয়। ১১৩১ খ্রিষ্টাব্দে এই মনীষী জীবনের সফর শেষ করেন।

শব্দের কারিগর শেখ সাদি শিরাজি
পুরো নাম শেখ আবু মুহাম্মদ মুসলেহুদ্দিন সাদি ইবনে আবদুল্লাহ শিরাজি হলেও মানুষ তাঁকে শেখ সাদি শিরাজি বলেই বেশি চেনে। তিনি ৫৮৯ হিজরি মোতাবেক ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্তেকাল করেন ৬৯৪ হিজরি মোতাবেক ১২৯৪ খ্রিষ্টাব্দে। শেখ সাদি ছিলেন মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ ফারসি কবিদের একজন। ফারসিভাষী দেশের বাইরেও তিনি সমাদৃত। তাঁর লেখার মান এবং সামাজিক ও নৈতিক চিন্তার গভীরতার জন্য তাঁকে কদর করা হয়। ধ্রুপদি সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁকে একজন উঁচু মানের কবি ধরা হয়। তাঁর লেখা বুস্তা বইটি সর্বকালের সেরা ১০০ বইয়ের মাঝে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া মহানবী (সা.)-কে নিয়ে তাঁর লেখা, ‘বালাগাল উলা বিকামালিহি’ বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান নিয়মিত পাঠ করে থাকেন শ্রদ্ধার সঙ্গে।
এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি। পার্সিয়ান উদ্যান, শিরাজের গোলাপ বাগান এবং ইস্পাহানের ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলো যেন অতীত ও বর্তমানের সংযোগ স্থাপন করে। শানশওকতপূর্ণ দালানকোঠা, সোনালি সূর্যাস্ত আর শান্ত জলাশয়ে প্রতিফলিত আকাশের ছবি ইরানকে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে। ইরানের শৈল্পিক সৌন্দর্য, অমর সাহিত্য ও বিজ্ঞানী মনীষীদের ইতিহাস এখনো পুরো পৃথিবীকে এক অজানা জগতের পথে নিয়ে যায়। ইরান যেন এক অদেখা জগতের দরজা। হাজার বছরের ঐতিহ্যে মোড়ানো ইরানে নানা ধর্মের নানা মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন। আজকে জানব ইরানে জন্ম নেওয়া অসংখ্য মুসলিম মনীষীর মধ্য থেকে পাঁচজনকে। লিখেছেন তাসনিফ আবীদ
তাসনিফ আবীদ


ফারসি সাহিত্যের জনক রুদাকি
রুদাকির পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মদ আর-রুদাকি। তাঁকে আধুনিক ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে ডাকা হয় অ্যাডাম অব পোয়েট বা কবিতার জনক বলে। এ ছাড়া তিনি প্রথম আধুনিক ফারসি বর্ণমালায় কবিতা রচনা করায় তাঁকে শাস্ত্রীয় ফারসি সাহিত্যের জনকও বলা হয়। নবম শতাব্দীতে তাঁর মধ্যে কবিতা, গান, আবৃত্তি এবং কবি-লেখকসত্তার যে সংমিশ্রণ ঘটেছিল, সেটা তাঁর আগে আর কারও মধ্যে এভাবে পাওয়া যায়নি বলে ধারণা করা হয়। এসব গুণের কারণে তিনি রাজসভায় ছিলেন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তবে দুঃখের বিষয় হলো, তাঁর কাব্যসম্ভারের খুব অল্প অংশই এখন পাওয়া যায়। রুদাকি ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের খোরাসান শহরের রুদক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামেই তিনি ৯৪০ মতান্তরে ৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান।

হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি
ইরানের খোরাসানের অন্তর্গত তুস নগরীতে ১০৫৮ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৪৫০ হিজরি সনে জন্মগ্রহণ করেন হুজ্জাতুল ইসলাম আবু হামিদ মুহাম্মদ গাজালি। তবে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজালি হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ গাজালি। হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি মনে করতেন, ইসলামি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য মৃতপ্রায় হয়ে গেছে এবং মুসলমানদের প্রথম প্রজন্মের দ্বারা শেখানো আধ্যাত্মিক জ্ঞানও মানুষ ভুলতে বসেছে। এই বিশ্বাস তাঁকে ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন (ধর্মীয় জ্ঞানের পুনরুজ্জীবন) শিরোনামে তাঁর সেরা গ্রন্থ লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই বই ছাড়াও তাঁর চার শতাধিক গ্রন্থ রয়েছে। অধিকাংশ বইয়ে তিনি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও সুফিবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই মনীষী খ্রিষ্টাব্দ ১১১১ সন মোতাবেক ৫০৫ হিজরি সনে নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে সুস্থ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইরানের অমর কবি ফেরদৌসীর সমাধির পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

বুলবুল-ই-শিরাজ হাফিজ শিরাজি
মহাকবি খ্যাত হাফিজ শিরাজির আসল নাম শামসুদ্দিন মুহাম্মদ। তিনি চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। বুলবুল-ই-শিরাজ তাঁর উপাধি। এ ছাড়া তাঁকে লিসান-উল-গায়েব (অজ্ঞাতের বাণী), তর্জমান-উল-আসরার (রহস্যের মর্মসন্ধানী) বলেও সম্বোধন করা হয়। পবিত্র কোরআন তাঁর মুখস্থ ছিল। হাফিজের মৃত্যুর ১০০ বছরের মধ্যে তাঁর কোনো জীবনী রচিত হয়নি। তাই তাঁর জন্ম-মৃত্যুর দিন নিয়ে নানা মত রয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি ৭৯১ হিজরি বা ১৩৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

কবি ও জ্যোতির্বিদ ওমর খৈয়াম
ওমর খৈয়াম একাধারে কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তাঁর পুরো নাম গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইবরাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। তিনি ১০৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারে তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি তাঁর কবিতা সমগ্র ‘ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াত’ গ্রন্থের জন্য বিখ্যাত। কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তাঁর গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। ধারণা করা হয়, রনে দেকার্তের আগে তিনি বিশ্লেষণী জ্যামিতি আবিষ্কার করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গণিতের দ্বিপদী উপপাদ্য আবিষ্কার করেন। বীজগণিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান তিনিই প্রথম করেন। বহুমুখী প্রতিভার দৃষ্টান্ত দিতে বলা হলে বিশ্বসাহিত্য কিংবা ইতিহাসে যাঁদের নাম উপেক্ষা করা কঠিন, ওমর খৈয়াম তাঁদের মধ্যে অন্যতম ও শীর্ষস্থানীয়। ১১৩১ খ্রিষ্টাব্দে এই মনীষী জীবনের সফর শেষ করেন।

শব্দের কারিগর শেখ সাদি শিরাজি
পুরো নাম শেখ আবু মুহাম্মদ মুসলেহুদ্দিন সাদি ইবনে আবদুল্লাহ শিরাজি হলেও মানুষ তাঁকে শেখ সাদি শিরাজি বলেই বেশি চেনে। তিনি ৫৮৯ হিজরি মোতাবেক ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্তেকাল করেন ৬৯৪ হিজরি মোতাবেক ১২৯৪ খ্রিষ্টাব্দে। শেখ সাদি ছিলেন মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ ফারসি কবিদের একজন। ফারসিভাষী দেশের বাইরেও তিনি সমাদৃত। তাঁর লেখার মান এবং সামাজিক ও নৈতিক চিন্তার গভীরতার জন্য তাঁকে কদর করা হয়। ধ্রুপদি সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁকে একজন উঁচু মানের কবি ধরা হয়। তাঁর লেখা বুস্তা বইটি সর্বকালের সেরা ১০০ বইয়ের মাঝে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া মহানবী (সা.)-কে নিয়ে তাঁর লেখা, ‘বালাগাল উলা বিকামালিহি’ বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান নিয়মিত পাঠ করে থাকেন শ্রদ্ধার সঙ্গে।


ফারসি সাহিত্যের জনক রুদাকি
রুদাকির পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মদ আর-রুদাকি। তাঁকে আধুনিক ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে ডাকা হয় অ্যাডাম অব পোয়েট বা কবিতার জনক বলে। এ ছাড়া তিনি প্রথম আধুনিক ফারসি বর্ণমালায় কবিতা রচনা করায় তাঁকে শাস্ত্রীয় ফারসি সাহিত্যের জনকও বলা হয়। নবম শতাব্দীতে তাঁর মধ্যে কবিতা, গান, আবৃত্তি এবং কবি-লেখকসত্তার যে সংমিশ্রণ ঘটেছিল, সেটা তাঁর আগে আর কারও মধ্যে এভাবে পাওয়া যায়নি বলে ধারণা করা হয়। এসব গুণের কারণে তিনি রাজসভায় ছিলেন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তবে দুঃখের বিষয় হলো, তাঁর কাব্যসম্ভারের খুব অল্প অংশই এখন পাওয়া যায়। রুদাকি ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের খোরাসান শহরের রুদক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামেই তিনি ৯৪০ মতান্তরে ৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান।

হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি
ইরানের খোরাসানের অন্তর্গত তুস নগরীতে ১০৫৮ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৪৫০ হিজরি সনে জন্মগ্রহণ করেন হুজ্জাতুল ইসলাম আবু হামিদ মুহাম্মদ গাজালি। তবে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজালি হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ গাজালি। হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি মনে করতেন, ইসলামি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য মৃতপ্রায় হয়ে গেছে এবং মুসলমানদের প্রথম প্রজন্মের দ্বারা শেখানো আধ্যাত্মিক জ্ঞানও মানুষ ভুলতে বসেছে। এই বিশ্বাস তাঁকে ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন (ধর্মীয় জ্ঞানের পুনরুজ্জীবন) শিরোনামে তাঁর সেরা গ্রন্থ লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই বই ছাড়াও তাঁর চার শতাধিক গ্রন্থ রয়েছে। অধিকাংশ বইয়ে তিনি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও সুফিবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই মনীষী খ্রিষ্টাব্দ ১১১১ সন মোতাবেক ৫০৫ হিজরি সনে নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে সুস্থ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইরানের অমর কবি ফেরদৌসীর সমাধির পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

বুলবুল-ই-শিরাজ হাফিজ শিরাজি
মহাকবি খ্যাত হাফিজ শিরাজির আসল নাম শামসুদ্দিন মুহাম্মদ। তিনি চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। বুলবুল-ই-শিরাজ তাঁর উপাধি। এ ছাড়া তাঁকে লিসান-উল-গায়েব (অজ্ঞাতের বাণী), তর্জমান-উল-আসরার (রহস্যের মর্মসন্ধানী) বলেও সম্বোধন করা হয়। পবিত্র কোরআন তাঁর মুখস্থ ছিল। হাফিজের মৃত্যুর ১০০ বছরের মধ্যে তাঁর কোনো জীবনী রচিত হয়নি। তাই তাঁর জন্ম-মৃত্যুর দিন নিয়ে নানা মত রয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি ৭৯১ হিজরি বা ১৩৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

কবি ও জ্যোতির্বিদ ওমর খৈয়াম
ওমর খৈয়াম একাধারে কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তাঁর পুরো নাম গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইবরাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। তিনি ১০৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারে তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি তাঁর কবিতা সমগ্র ‘ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াত’ গ্রন্থের জন্য বিখ্যাত। কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তাঁর গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। ধারণা করা হয়, রনে দেকার্তের আগে তিনি বিশ্লেষণী জ্যামিতি আবিষ্কার করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গণিতের দ্বিপদী উপপাদ্য আবিষ্কার করেন। বীজগণিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান তিনিই প্রথম করেন। বহুমুখী প্রতিভার দৃষ্টান্ত দিতে বলা হলে বিশ্বসাহিত্য কিংবা ইতিহাসে যাঁদের নাম উপেক্ষা করা কঠিন, ওমর খৈয়াম তাঁদের মধ্যে অন্যতম ও শীর্ষস্থানীয়। ১১৩১ খ্রিষ্টাব্দে এই মনীষী জীবনের সফর শেষ করেন।

শব্দের কারিগর শেখ সাদি শিরাজি
পুরো নাম শেখ আবু মুহাম্মদ মুসলেহুদ্দিন সাদি ইবনে আবদুল্লাহ শিরাজি হলেও মানুষ তাঁকে শেখ সাদি শিরাজি বলেই বেশি চেনে। তিনি ৫৮৯ হিজরি মোতাবেক ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্তেকাল করেন ৬৯৪ হিজরি মোতাবেক ১২৯৪ খ্রিষ্টাব্দে। শেখ সাদি ছিলেন মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ ফারসি কবিদের একজন। ফারসিভাষী দেশের বাইরেও তিনি সমাদৃত। তাঁর লেখার মান এবং সামাজিক ও নৈতিক চিন্তার গভীরতার জন্য তাঁকে কদর করা হয়। ধ্রুপদি সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁকে একজন উঁচু মানের কবি ধরা হয়। তাঁর লেখা বুস্তা বইটি সর্বকালের সেরা ১০০ বইয়ের মাঝে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া মহানবী (সা.)-কে নিয়ে তাঁর লেখা, ‘বালাগাল উলা বিকামালিহি’ বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান নিয়মিত পাঠ করে থাকেন শ্রদ্ধার সঙ্গে।

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি; এটি রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর মাতৃভূমি মক্কাকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। যখন তিনি মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করছিলেন, তখন মক্কাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর আবেগপূর্ণ উক্তি ছিল, ‘মক্কা, তুমি কতই-না পবিত্র শহর! আমার প্রিয়তম শহর তুমি। আমার সম্প্রদায় যদি আমাকে তাড়িয়ে না দিত, তবে আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোথাও থাকতাম না।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৯)
মক্কা ত্যাগ করে মদিনাকে যখন তিনি নিজের স্থায়ী আবাসভূমি বানালেন, তখন তিনি মদিনার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতেন। মদিনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমার কাছে মক্কা যতটা প্রিয় ছিল, এর চেয়ে বেশি প্রিয় আমার কাছে মদিনাকে বানিয়ে দাও।’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬০০)
নবীজি (সা.) মদিনাকে নিজের দেশ বানানোর পর তাঁর এই মহব্বত ছিল দৃশ্যমান। হজরত হুমাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আনাস (রা.)-কে বলতে শুনেছেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর থেকে ফিরে যখন মদিনার উঁচু রাস্তাগুলো দেখতেন, তখন তিনি তাঁর উটনীকে মদিনার মহব্বতে দ্রুতগতিতে চালাতেন। তাঁর বাহন অন্য কোনো জন্তু হলে তিনি তাকে তাড়া দিতেন।’ (সহিহ বুখারি: ১৮০২, ১৬৮৫)
সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে নিজের মাতৃভূমি বা স্বীয় দেশকে মহব্বত করা, ভালোবাসা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা মানব মনের একটি স্বভাবজাত বিষয়, ইসলামও এতে উৎসাহিত করে। রাসুল (সা.) নিজের দেশকে ভালোবেসেছেন; তাই দেশপ্রেম একটি সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত চেতনা।

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি; এটি রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর মাতৃভূমি মক্কাকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। যখন তিনি মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করছিলেন, তখন মক্কাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর আবেগপূর্ণ উক্তি ছিল, ‘মক্কা, তুমি কতই-না পবিত্র শহর! আমার প্রিয়তম শহর তুমি। আমার সম্প্রদায় যদি আমাকে তাড়িয়ে না দিত, তবে আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোথাও থাকতাম না।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৯)
মক্কা ত্যাগ করে মদিনাকে যখন তিনি নিজের স্থায়ী আবাসভূমি বানালেন, তখন তিনি মদিনার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতেন। মদিনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমার কাছে মক্কা যতটা প্রিয় ছিল, এর চেয়ে বেশি প্রিয় আমার কাছে মদিনাকে বানিয়ে দাও।’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬০০)
নবীজি (সা.) মদিনাকে নিজের দেশ বানানোর পর তাঁর এই মহব্বত ছিল দৃশ্যমান। হজরত হুমাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আনাস (রা.)-কে বলতে শুনেছেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর থেকে ফিরে যখন মদিনার উঁচু রাস্তাগুলো দেখতেন, তখন তিনি তাঁর উটনীকে মদিনার মহব্বতে দ্রুতগতিতে চালাতেন। তাঁর বাহন অন্য কোনো জন্তু হলে তিনি তাকে তাড়া দিতেন।’ (সহিহ বুখারি: ১৮০২, ১৬৮৫)
সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে নিজের মাতৃভূমি বা স্বীয় দেশকে মহব্বত করা, ভালোবাসা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা মানব মনের একটি স্বভাবজাত বিষয়, ইসলামও এতে উৎসাহিত করে। রাসুল (সা.) নিজের দেশকে ভালোবেসেছেন; তাই দেশপ্রেম একটি সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত চেতনা।

এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২০ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২০ জুন ২০২৫
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
৪ ঘণ্টা আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২০ জুন ২০২৫
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২০ জুন ২০২৫
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
১ দিন আগে