এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি। পার্সিয়ান উদ্যান, শিরাজের গোলাপ বাগান এবং ইস্পাহানের ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলো যেন অতীত ও বর্তমানের সংযোগ স্থাপন করে। শানশওকতপূর্ণ দালানকোঠা, সোনালি সূর্যাস্ত আর শান্ত জলাশয়ে প্রতিফলিত আকাশের ছবি ইরানকে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে। ইরানের শৈল্পিক সৌন্দর্য, অমর সাহিত্য ও বিজ্ঞানী মনীষীদের ইতিহাস এখনো পুরো পৃথিবীকে এক অজানা জগতের পথে নিয়ে যায়। ইরান যেন এক অদেখা জগতের দরজা। হাজার বছরের ঐতিহ্যে মোড়ানো ইরানে নানা ধর্মের নানা মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন। আজকে জানব ইরানে জন্ম নেওয়া অসংখ্য মুসলিম মনীষীর মধ্য থেকে পাঁচজনকে। লিখেছেন তাসনিফ আবীদ
তাসনিফ আবীদ


ফারসি সাহিত্যের জনক রুদাকি
রুদাকির পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মদ আর-রুদাকি। তাঁকে আধুনিক ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে ডাকা হয় অ্যাডাম অব পোয়েট বা কবিতার জনক বলে। এ ছাড়া তিনি প্রথম আধুনিক ফারসি বর্ণমালায় কবিতা রচনা করায় তাঁকে শাস্ত্রীয় ফারসি সাহিত্যের জনকও বলা হয়। নবম শতাব্দীতে তাঁর মধ্যে কবিতা, গান, আবৃত্তি এবং কবি-লেখকসত্তার যে সংমিশ্রণ ঘটেছিল, সেটা তাঁর আগে আর কারও মধ্যে এভাবে পাওয়া যায়নি বলে ধারণা করা হয়। এসব গুণের কারণে তিনি রাজসভায় ছিলেন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তবে দুঃখের বিষয় হলো, তাঁর কাব্যসম্ভারের খুব অল্প অংশই এখন পাওয়া যায়। রুদাকি ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের খোরাসান শহরের রুদক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামেই তিনি ৯৪০ মতান্তরে ৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান।

হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি
ইরানের খোরাসানের অন্তর্গত তুস নগরীতে ১০৫৮ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৪৫০ হিজরি সনে জন্মগ্রহণ করেন হুজ্জাতুল ইসলাম আবু হামিদ মুহাম্মদ গাজালি। তবে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজালি হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ গাজালি। হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি মনে করতেন, ইসলামি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য মৃতপ্রায় হয়ে গেছে এবং মুসলমানদের প্রথম প্রজন্মের দ্বারা শেখানো আধ্যাত্মিক জ্ঞানও মানুষ ভুলতে বসেছে। এই বিশ্বাস তাঁকে ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন (ধর্মীয় জ্ঞানের পুনরুজ্জীবন) শিরোনামে তাঁর সেরা গ্রন্থ লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই বই ছাড়াও তাঁর চার শতাধিক গ্রন্থ রয়েছে। অধিকাংশ বইয়ে তিনি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও সুফিবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই মনীষী খ্রিষ্টাব্দ ১১১১ সন মোতাবেক ৫০৫ হিজরি সনে নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে সুস্থ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইরানের অমর কবি ফেরদৌসীর সমাধির পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

বুলবুল-ই-শিরাজ হাফিজ শিরাজি
মহাকবি খ্যাত হাফিজ শিরাজির আসল নাম শামসুদ্দিন মুহাম্মদ। তিনি চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। বুলবুল-ই-শিরাজ তাঁর উপাধি। এ ছাড়া তাঁকে লিসান-উল-গায়েব (অজ্ঞাতের বাণী), তর্জমান-উল-আসরার (রহস্যের মর্মসন্ধানী) বলেও সম্বোধন করা হয়। পবিত্র কোরআন তাঁর মুখস্থ ছিল। হাফিজের মৃত্যুর ১০০ বছরের মধ্যে তাঁর কোনো জীবনী রচিত হয়নি। তাই তাঁর জন্ম-মৃত্যুর দিন নিয়ে নানা মত রয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি ৭৯১ হিজরি বা ১৩৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

কবি ও জ্যোতির্বিদ ওমর খৈয়াম
ওমর খৈয়াম একাধারে কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তাঁর পুরো নাম গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইবরাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। তিনি ১০৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারে তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি তাঁর কবিতা সমগ্র ‘ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াত’ গ্রন্থের জন্য বিখ্যাত। কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তাঁর গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। ধারণা করা হয়, রনে দেকার্তের আগে তিনি বিশ্লেষণী জ্যামিতি আবিষ্কার করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গণিতের দ্বিপদী উপপাদ্য আবিষ্কার করেন। বীজগণিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান তিনিই প্রথম করেন। বহুমুখী প্রতিভার দৃষ্টান্ত দিতে বলা হলে বিশ্বসাহিত্য কিংবা ইতিহাসে যাঁদের নাম উপেক্ষা করা কঠিন, ওমর খৈয়াম তাঁদের মধ্যে অন্যতম ও শীর্ষস্থানীয়। ১১৩১ খ্রিষ্টাব্দে এই মনীষী জীবনের সফর শেষ করেন।

শব্দের কারিগর শেখ সাদি শিরাজি
পুরো নাম শেখ আবু মুহাম্মদ মুসলেহুদ্দিন সাদি ইবনে আবদুল্লাহ শিরাজি হলেও মানুষ তাঁকে শেখ সাদি শিরাজি বলেই বেশি চেনে। তিনি ৫৮৯ হিজরি মোতাবেক ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্তেকাল করেন ৬৯৪ হিজরি মোতাবেক ১২৯৪ খ্রিষ্টাব্দে। শেখ সাদি ছিলেন মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ ফারসি কবিদের একজন। ফারসিভাষী দেশের বাইরেও তিনি সমাদৃত। তাঁর লেখার মান এবং সামাজিক ও নৈতিক চিন্তার গভীরতার জন্য তাঁকে কদর করা হয়। ধ্রুপদি সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁকে একজন উঁচু মানের কবি ধরা হয়। তাঁর লেখা বুস্তা বইটি সর্বকালের সেরা ১০০ বইয়ের মাঝে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া মহানবী (সা.)-কে নিয়ে তাঁর লেখা, ‘বালাগাল উলা বিকামালিহি’ বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান নিয়মিত পাঠ করে থাকেন শ্রদ্ধার সঙ্গে।


ফারসি সাহিত্যের জনক রুদাকি
রুদাকির পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মদ আর-রুদাকি। তাঁকে আধুনিক ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে ডাকা হয় অ্যাডাম অব পোয়েট বা কবিতার জনক বলে। এ ছাড়া তিনি প্রথম আধুনিক ফারসি বর্ণমালায় কবিতা রচনা করায় তাঁকে শাস্ত্রীয় ফারসি সাহিত্যের জনকও বলা হয়। নবম শতাব্দীতে তাঁর মধ্যে কবিতা, গান, আবৃত্তি এবং কবি-লেখকসত্তার যে সংমিশ্রণ ঘটেছিল, সেটা তাঁর আগে আর কারও মধ্যে এভাবে পাওয়া যায়নি বলে ধারণা করা হয়। এসব গুণের কারণে তিনি রাজসভায় ছিলেন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তবে দুঃখের বিষয় হলো, তাঁর কাব্যসম্ভারের খুব অল্প অংশই এখন পাওয়া যায়। রুদাকি ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের খোরাসান শহরের রুদক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামেই তিনি ৯৪০ মতান্তরে ৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান।

হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি
ইরানের খোরাসানের অন্তর্গত তুস নগরীতে ১০৫৮ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৪৫০ হিজরি সনে জন্মগ্রহণ করেন হুজ্জাতুল ইসলাম আবু হামিদ মুহাম্মদ গাজালি। তবে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজালি হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ গাজালি। হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি মনে করতেন, ইসলামি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য মৃতপ্রায় হয়ে গেছে এবং মুসলমানদের প্রথম প্রজন্মের দ্বারা শেখানো আধ্যাত্মিক জ্ঞানও মানুষ ভুলতে বসেছে। এই বিশ্বাস তাঁকে ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন (ধর্মীয় জ্ঞানের পুনরুজ্জীবন) শিরোনামে তাঁর সেরা গ্রন্থ লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই বই ছাড়াও তাঁর চার শতাধিক গ্রন্থ রয়েছে। অধিকাংশ বইয়ে তিনি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও সুফিবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই মনীষী খ্রিষ্টাব্দ ১১১১ সন মোতাবেক ৫০৫ হিজরি সনে নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে সুস্থ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইরানের অমর কবি ফেরদৌসীর সমাধির পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

বুলবুল-ই-শিরাজ হাফিজ শিরাজি
মহাকবি খ্যাত হাফিজ শিরাজির আসল নাম শামসুদ্দিন মুহাম্মদ। তিনি চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। বুলবুল-ই-শিরাজ তাঁর উপাধি। এ ছাড়া তাঁকে লিসান-উল-গায়েব (অজ্ঞাতের বাণী), তর্জমান-উল-আসরার (রহস্যের মর্মসন্ধানী) বলেও সম্বোধন করা হয়। পবিত্র কোরআন তাঁর মুখস্থ ছিল। হাফিজের মৃত্যুর ১০০ বছরের মধ্যে তাঁর কোনো জীবনী রচিত হয়নি। তাই তাঁর জন্ম-মৃত্যুর দিন নিয়ে নানা মত রয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি ৭৯১ হিজরি বা ১৩৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

কবি ও জ্যোতির্বিদ ওমর খৈয়াম
ওমর খৈয়াম একাধারে কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তাঁর পুরো নাম গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইবরাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। তিনি ১০৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারে তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি তাঁর কবিতা সমগ্র ‘ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াত’ গ্রন্থের জন্য বিখ্যাত। কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তাঁর গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। ধারণা করা হয়, রনে দেকার্তের আগে তিনি বিশ্লেষণী জ্যামিতি আবিষ্কার করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গণিতের দ্বিপদী উপপাদ্য আবিষ্কার করেন। বীজগণিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান তিনিই প্রথম করেন। বহুমুখী প্রতিভার দৃষ্টান্ত দিতে বলা হলে বিশ্বসাহিত্য কিংবা ইতিহাসে যাঁদের নাম উপেক্ষা করা কঠিন, ওমর খৈয়াম তাঁদের মধ্যে অন্যতম ও শীর্ষস্থানীয়। ১১৩১ খ্রিষ্টাব্দে এই মনীষী জীবনের সফর শেষ করেন।

শব্দের কারিগর শেখ সাদি শিরাজি
পুরো নাম শেখ আবু মুহাম্মদ মুসলেহুদ্দিন সাদি ইবনে আবদুল্লাহ শিরাজি হলেও মানুষ তাঁকে শেখ সাদি শিরাজি বলেই বেশি চেনে। তিনি ৫৮৯ হিজরি মোতাবেক ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্তেকাল করেন ৬৯৪ হিজরি মোতাবেক ১২৯৪ খ্রিষ্টাব্দে। শেখ সাদি ছিলেন মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ ফারসি কবিদের একজন। ফারসিভাষী দেশের বাইরেও তিনি সমাদৃত। তাঁর লেখার মান এবং সামাজিক ও নৈতিক চিন্তার গভীরতার জন্য তাঁকে কদর করা হয়। ধ্রুপদি সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁকে একজন উঁচু মানের কবি ধরা হয়। তাঁর লেখা বুস্তা বইটি সর্বকালের সেরা ১০০ বইয়ের মাঝে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া মহানবী (সা.)-কে নিয়ে তাঁর লেখা, ‘বালাগাল উলা বিকামালিহি’ বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান নিয়মিত পাঠ করে থাকেন শ্রদ্ধার সঙ্গে।

সময়ের আবর্তনে আমাদের দোরগোড়ায় আবারও হাজির হয়েছে মহিমান্বিত আরবি মাস—রজব। হিজরি পঞ্জিকাবর্ষের সপ্তম এই মাসটি মুমিনের জীবনে এক পরম পুণ্যের বার্তা নিয়ে আসে। পরকালীন পাথেয় ও সওয়াব হাসিলের তরে রজব মাস এক বিশাল সুযোগের মোহনা, যা বিশেষভাবে সিয়াম সাধনার মাস রমজানের অগ্রিম আগমনী বার্তা ঘোষণা করে।
২৬ মিনিট আগে
হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-বঞ্চনার দীর্ঘ পথ পেরিয়ে মানুষ যখন নতুন বছরে প্রবেশ করে, তখন অনুভূতির ভেতর এক অদ্ভুত দ্বন্দ্ব কাজ করে। একদিকে নতুন সূচনার আনন্দ, অন্যদিকে জীবন থেকে আরেকটি বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার বেদনাবোধ। প্রতিটি অতিবাহিত বছর মানে নির্ধারিত হায়াতের একটি অংশ কমে যাওয়া।
২৯ মিনিট আগে
ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের আগমনী ইতিহাস সুদূর প্রাচীন ও বৈচিত্র্যময়। বিশেষত দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্য ইসলামের প্রাচীনতম স্থাপত্যের নিদর্শনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আরব সাগরের উপকূলবর্তী এই অঞ্চলে আরব বণিকদের নিয়মিত আগমনের সূত্রে ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটেছিল। সেই ঐতিহাসিক সময়ের স্মৃতিচিহ্ন...
৩২ মিনিট আগে
অনেক নারীর কাছেই নেলপলিশ সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ। মুসলিম নারীরাও এর ব্যতিক্রম নন। তবে ধর্মীয় কারণে মুসলিম নারীদের জন্য সব সময় সাধারণ নেলপলিশ ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। কারণ, সাধারণ নেলপলিশের প্রলেপ নখের ওপর একটি অভেদ্য স্তর তৈরি করে, যা অজুর সময় পানি নখ পর্যন্ত পৌঁছাতে বাধা দেয়।
১ ঘণ্টা আগেমুফতি এনায়েতুল্লাহ ফাহাদ

সময়ের আবর্তনে আমাদের দোরগোড়ায় আবারও হাজির হয়েছে মহিমান্বিত আরবি মাস—রজব। হিজরি পঞ্জিকাবর্ষের সপ্তম এই মাসটি মুমিনের জীবনে এক পরম পুণ্যের বার্তা নিয়ে আসে। পরকালীন পাথেয় ও সওয়াব হাসিলের তরে রজব মাস এক বিশাল সুযোগের মোহনা, যা বিশেষভাবে সিয়াম সাধনার মাস রমজানের অগ্রিম আগমনী বার্তা ঘোষণা করে। আধ্যাত্মিক পরিভাষায় এই রজব যেন আমলের বসন্ত; যে বসন্তের স্নিগ্ধ হাওয়ায় মুমিন হৃদয় হয়ে ওঠে সবুজ ও সজীব। জান্নাতি খুশবুর ঘ্রাণে মাতোয়ারা মুমিনের মন দুলতে থাকে রবের একান্ত প্রেমে। রজব যেন দিগন্তের আকাশে ভেসে বেড়ানো রহমতের মেঘমালা, যা আল্লাহর তৃষ্ণার্ত বান্দার হৃদয়কে মহান প্রভুর করুণার সুশীতল ছায়ায় পরম মমতায় ঢেকে দেয়। এভাবে প্রতিটি মুমিন হৃদয়ে রজব মাস হয়ে ওঠে ইবাদত ও আনুগত্যের এক অনন্য ঋতু।
রজব মাসের মাহাত্ম্য
রজব মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনস্বীকার্য। এর প্রধান কারণ হলো, এই মাসকে মহান আল্লাহ এবং তাঁর প্রিয় রাসুল (সা.) বিশেষভাবে সম্মানিত বলে ঘোষণা করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ‘আশহুরুল হুরুম’ বা সম্মানিত যে চারটি মাসের কথা উল্লেখ করেছেন, রজব তার মধ্যে অন্যতম। ইরশাদ হয়েছে—‘নিশ্চয় আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই মহান আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাসের সংখ্যা বারোটি। এর মধ্যে চার মাস সম্মানিত। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করে নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত কোরো না।’ (সুরা তাওবা: ৩৬)
হাদিস শরিফেও এই সম্মানিত মাসগুলোর বিবরণ চমৎকারভাবে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন—‘বছর হচ্ছে বারো মাস। এর মধ্যে চার মাস হারাম বা নিষিদ্ধ। তিনটি ধারাবাহিক: জিলকদ, জিলহজ ও মহররম; আর অন্যটি হলো (মুদার গোত্রের) রজব মাস, যা জুমাদাল উখরা ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী সময়ে অবস্থিত।’ (সহিহ বুখারি: ৪৬৬২, সহিহ মুসলিম: ১৬৭৯)
রজব: রমজানের প্রস্তুতির সুবর্ণ সময়
রজব মাস থেকেই মূলত আমাদের কাঙ্ক্ষিত রমজানের প্রস্তুতি শুরু হওয়া উচিত। কেননা রজবের পরেই আসবে শাবান, আর এই দুই মাসের প্রহরগুলো গড়ালেই শুরু হবে সিয়াম সাধনার পবিত্র মাস—রমজান। রমজানের সেই সুকঠিন ও মহান সাধনার গুরুত্ব বিবেচনা করে দুই মাস আগে রজব থেকেই এর মানসিক ও আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি গ্রহণের কথা হাদিসে গুরুত্বের সঙ্গে বলা হয়েছে। তাই তো রজব মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়াটি পাঠ করতেন—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’ অর্থাৎ: ‘হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত জীবিত রাখুন (রমজানে পৌঁছিয়ে দিন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
রমজানের পূর্ণ বরকত পেতে হলে প্রয়োজন শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক সুপরিকল্পিত প্রস্তুতি। রমজানে যেহেতু ইবাদত, আহার ও নিদ্রার সময়সূচিতে আমূল পরিবর্তন আসে, তাই আমাদের উচিত এ রজব মাস থেকেই নফল রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে অভ্যস্ত করে তোলা। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, নবীজি (সা.) রমজান ছাড়া সবচেয়ে বেশি নফল রোজা রাখতেন শাবান মাসে, আর এর প্রস্তুতি শুরু হতো রজব থেকে। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, ‘রজব মাস এলে আমরা নবীজি (সা.)-এর বিশেষ আমল ও ইবাদত দেখে তা অনুভব করতে পারতাম।’ (সহিহ মুসলিম: ১৪৪৩)
তিলাওয়াত ও আধ্যাত্মিক অনুশীলন
কেবল রোজা নয়, বরং পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও এর চর্চায় মনোযোগী হওয়া রজব মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কোরআন তিলাওয়াত শেখা, অশুদ্ধি সংশোধন করা, নামাজের প্রয়োজনীয় সুরা-কিরাত এবং দোয়া-দরুদগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করা এ সময়ে অত্যন্ত জরুরি। এতে করে রমজানের পবিত্র দিনগুলোতে আমল করা অনেক সহজ ও সাবলীল হয়ে ওঠে। বিখ্যাত তাফসিরগ্রন্থগুলোতে এসেছে যে এই সম্মানিত মাসগুলোর বিশেষত্ব হলো—এতে অধিক ইবাদত ও নেক আমলের অনুশীলন করলে বছরের বাকি মাসগুলোতেও ইবাদতের প্রতি একনিষ্ঠতা বজায় রাখা সহজ হয়ে যায়। (আহকামুল কোরআন: খণ্ড ২, পৃ. ১১১)
সতর্কতা ও বিশেষ আমল
আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন যে আইয়ামে বিজ (চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) এবং প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবারের নফল রোজা ব্যতীত রজব মাসে আলাদাভাবে বিশেষ কোনো তারিখ বা দিনে সুনির্দিষ্ট রোজার আমল নেই। তবে রমজানের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আমরা যেকোনো নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত নফল রোজা রাখতে পারি। যেহেতু রজব ‘আশহুরুল হুরুম’ বা সম্মানিত মাসের অন্তর্ভুক্ত, তাই এ সময়ে সম্পাদিত নেক আমলের বিপরীতে মহান আল্লাহর কাছে অধিক সওয়াবের আশা করা যায়। মুস্তাহাব আমল হিসেবে এই হারাম মাসগুলোতে রোজা রাখার সপক্ষে নবীজি (সা.)-এর একটি হাদিস পাওয়া যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সম্মানিত মাসগুলোতে রোজা রাখো এবং রোজা ভঙ্গও কোরো (অর্থাৎ বিরতি দিয়ে দিয়ে নফল রোজা রাখো)।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪২৪)
হাদিসের বর্ণনায় রজবের আরও একটি শ্রেষ্ঠ আমলের কথা এসেছে—তা হলো দোয়া। রাসুল (সা.)-এর ভাষ্য অনুযায়ী ‘দোয়া হলো ইবাদতের মগজ’। তাই আমলের এই বসন্তলগ্নে আমাদের উচিত অধিক পরিমাণে কায়মনোবাক্যে প্রভুর দরবারে রোনাজারি করা।
লেখক: খতিব, সোনার বাংলা জামে মসজিদ, কুষ্টিয়া

সময়ের আবর্তনে আমাদের দোরগোড়ায় আবারও হাজির হয়েছে মহিমান্বিত আরবি মাস—রজব। হিজরি পঞ্জিকাবর্ষের সপ্তম এই মাসটি মুমিনের জীবনে এক পরম পুণ্যের বার্তা নিয়ে আসে। পরকালীন পাথেয় ও সওয়াব হাসিলের তরে রজব মাস এক বিশাল সুযোগের মোহনা, যা বিশেষভাবে সিয়াম সাধনার মাস রমজানের অগ্রিম আগমনী বার্তা ঘোষণা করে। আধ্যাত্মিক পরিভাষায় এই রজব যেন আমলের বসন্ত; যে বসন্তের স্নিগ্ধ হাওয়ায় মুমিন হৃদয় হয়ে ওঠে সবুজ ও সজীব। জান্নাতি খুশবুর ঘ্রাণে মাতোয়ারা মুমিনের মন দুলতে থাকে রবের একান্ত প্রেমে। রজব যেন দিগন্তের আকাশে ভেসে বেড়ানো রহমতের মেঘমালা, যা আল্লাহর তৃষ্ণার্ত বান্দার হৃদয়কে মহান প্রভুর করুণার সুশীতল ছায়ায় পরম মমতায় ঢেকে দেয়। এভাবে প্রতিটি মুমিন হৃদয়ে রজব মাস হয়ে ওঠে ইবাদত ও আনুগত্যের এক অনন্য ঋতু।
রজব মাসের মাহাত্ম্য
রজব মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনস্বীকার্য। এর প্রধান কারণ হলো, এই মাসকে মহান আল্লাহ এবং তাঁর প্রিয় রাসুল (সা.) বিশেষভাবে সম্মানিত বলে ঘোষণা করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ‘আশহুরুল হুরুম’ বা সম্মানিত যে চারটি মাসের কথা উল্লেখ করেছেন, রজব তার মধ্যে অন্যতম। ইরশাদ হয়েছে—‘নিশ্চয় আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই মহান আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাসের সংখ্যা বারোটি। এর মধ্যে চার মাস সম্মানিত। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করে নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত কোরো না।’ (সুরা তাওবা: ৩৬)
হাদিস শরিফেও এই সম্মানিত মাসগুলোর বিবরণ চমৎকারভাবে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন—‘বছর হচ্ছে বারো মাস। এর মধ্যে চার মাস হারাম বা নিষিদ্ধ। তিনটি ধারাবাহিক: জিলকদ, জিলহজ ও মহররম; আর অন্যটি হলো (মুদার গোত্রের) রজব মাস, যা জুমাদাল উখরা ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী সময়ে অবস্থিত।’ (সহিহ বুখারি: ৪৬৬২, সহিহ মুসলিম: ১৬৭৯)
রজব: রমজানের প্রস্তুতির সুবর্ণ সময়
রজব মাস থেকেই মূলত আমাদের কাঙ্ক্ষিত রমজানের প্রস্তুতি শুরু হওয়া উচিত। কেননা রজবের পরেই আসবে শাবান, আর এই দুই মাসের প্রহরগুলো গড়ালেই শুরু হবে সিয়াম সাধনার পবিত্র মাস—রমজান। রমজানের সেই সুকঠিন ও মহান সাধনার গুরুত্ব বিবেচনা করে দুই মাস আগে রজব থেকেই এর মানসিক ও আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি গ্রহণের কথা হাদিসে গুরুত্বের সঙ্গে বলা হয়েছে। তাই তো রজব মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়াটি পাঠ করতেন—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’ অর্থাৎ: ‘হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত জীবিত রাখুন (রমজানে পৌঁছিয়ে দিন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
রমজানের পূর্ণ বরকত পেতে হলে প্রয়োজন শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক সুপরিকল্পিত প্রস্তুতি। রমজানে যেহেতু ইবাদত, আহার ও নিদ্রার সময়সূচিতে আমূল পরিবর্তন আসে, তাই আমাদের উচিত এ রজব মাস থেকেই নফল রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে অভ্যস্ত করে তোলা। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, নবীজি (সা.) রমজান ছাড়া সবচেয়ে বেশি নফল রোজা রাখতেন শাবান মাসে, আর এর প্রস্তুতি শুরু হতো রজব থেকে। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, ‘রজব মাস এলে আমরা নবীজি (সা.)-এর বিশেষ আমল ও ইবাদত দেখে তা অনুভব করতে পারতাম।’ (সহিহ মুসলিম: ১৪৪৩)
তিলাওয়াত ও আধ্যাত্মিক অনুশীলন
কেবল রোজা নয়, বরং পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও এর চর্চায় মনোযোগী হওয়া রজব মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কোরআন তিলাওয়াত শেখা, অশুদ্ধি সংশোধন করা, নামাজের প্রয়োজনীয় সুরা-কিরাত এবং দোয়া-দরুদগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করা এ সময়ে অত্যন্ত জরুরি। এতে করে রমজানের পবিত্র দিনগুলোতে আমল করা অনেক সহজ ও সাবলীল হয়ে ওঠে। বিখ্যাত তাফসিরগ্রন্থগুলোতে এসেছে যে এই সম্মানিত মাসগুলোর বিশেষত্ব হলো—এতে অধিক ইবাদত ও নেক আমলের অনুশীলন করলে বছরের বাকি মাসগুলোতেও ইবাদতের প্রতি একনিষ্ঠতা বজায় রাখা সহজ হয়ে যায়। (আহকামুল কোরআন: খণ্ড ২, পৃ. ১১১)
সতর্কতা ও বিশেষ আমল
আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন যে আইয়ামে বিজ (চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) এবং প্রতি সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবারের নফল রোজা ব্যতীত রজব মাসে আলাদাভাবে বিশেষ কোনো তারিখ বা দিনে সুনির্দিষ্ট রোজার আমল নেই। তবে রমজানের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আমরা যেকোনো নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত নফল রোজা রাখতে পারি। যেহেতু রজব ‘আশহুরুল হুরুম’ বা সম্মানিত মাসের অন্তর্ভুক্ত, তাই এ সময়ে সম্পাদিত নেক আমলের বিপরীতে মহান আল্লাহর কাছে অধিক সওয়াবের আশা করা যায়। মুস্তাহাব আমল হিসেবে এই হারাম মাসগুলোতে রোজা রাখার সপক্ষে নবীজি (সা.)-এর একটি হাদিস পাওয়া যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সম্মানিত মাসগুলোতে রোজা রাখো এবং রোজা ভঙ্গও কোরো (অর্থাৎ বিরতি দিয়ে দিয়ে নফল রোজা রাখো)।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪২৪)
হাদিসের বর্ণনায় রজবের আরও একটি শ্রেষ্ঠ আমলের কথা এসেছে—তা হলো দোয়া। রাসুল (সা.)-এর ভাষ্য অনুযায়ী ‘দোয়া হলো ইবাদতের মগজ’। তাই আমলের এই বসন্তলগ্নে আমাদের উচিত অধিক পরিমাণে কায়মনোবাক্যে প্রভুর দরবারে রোনাজারি করা।
লেখক: খতিব, সোনার বাংলা জামে মসজিদ, কুষ্টিয়া

এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২০ জুন ২০২৫
হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-বঞ্চনার দীর্ঘ পথ পেরিয়ে মানুষ যখন নতুন বছরে প্রবেশ করে, তখন অনুভূতির ভেতর এক অদ্ভুত দ্বন্দ্ব কাজ করে। একদিকে নতুন সূচনার আনন্দ, অন্যদিকে জীবন থেকে আরেকটি বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার বেদনাবোধ। প্রতিটি অতিবাহিত বছর মানে নির্ধারিত হায়াতের একটি অংশ কমে যাওয়া।
২৯ মিনিট আগে
ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের আগমনী ইতিহাস সুদূর প্রাচীন ও বৈচিত্র্যময়। বিশেষত দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্য ইসলামের প্রাচীনতম স্থাপত্যের নিদর্শনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আরব সাগরের উপকূলবর্তী এই অঞ্চলে আরব বণিকদের নিয়মিত আগমনের সূত্রে ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটেছিল। সেই ঐতিহাসিক সময়ের স্মৃতিচিহ্ন...
৩২ মিনিট আগে
অনেক নারীর কাছেই নেলপলিশ সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ। মুসলিম নারীরাও এর ব্যতিক্রম নন। তবে ধর্মীয় কারণে মুসলিম নারীদের জন্য সব সময় সাধারণ নেলপলিশ ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। কারণ, সাধারণ নেলপলিশের প্রলেপ নখের ওপর একটি অভেদ্য স্তর তৈরি করে, যা অজুর সময় পানি নখ পর্যন্ত পৌঁছাতে বাধা দেয়।
১ ঘণ্টা আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-বঞ্চনার দীর্ঘ পথ পেরিয়ে মানুষ যখন নতুন বছরে প্রবেশ করে, তখন অনুভূতির ভেতর এক অদ্ভুত দ্বন্দ্ব কাজ করে। একদিকে নতুন সূচনার আনন্দ, অন্যদিকে জীবন থেকে আরেকটি বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার বেদনাবোধ। প্রতিটি অতিবাহিত বছর মানে নির্ধারিত হায়াতের একটি অংশ কমে যাওয়া। নতুন বছর আগমনের এ সন্ধিক্ষণ মুমিনের জন্য ত্মসমালোচনা ও ভবিষ্যৎ-পরিকল্পনার সময়।
ইসলামের দৃষ্টিতে একজন ইমানদারের জন্য নতুন বছরের করণীয় মৌলিকভাবে দুটি—এক. অতীত জীবনের হিসাব নেওয়া। দুই. আগামীর পথচলা সুপরিকল্পিত করা।
মানুষের জীবন আল্লাহ তাআলার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ আমানত। এই আমানতের প্রতিটি মুহূর্ত কীভাবে ব্যয় করা হলো, আখিরাতে তার পূর্ণাঙ্গ জবাবদিহি করতে হবে। আল্লাহ তাআলার কোনো আদেশ অমান্য করা কিংবা সময়কে অলসতায় নষ্ট করা এই আমানতের খেয়ানতের শামিল। খেয়ানতের পরিণতি যে ভয়াবহ, তা কোরআন-হাদিসে বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত কোনো মানুষ আল্লাহর দরবার থেকে এক পা-ও নড়তে পারবে না। এক. তার জীবন সম্পর্কে, সে কীভাবে তা অতিবাহিত করেছে। দুই. তার যৌবনকাল সম্পর্কে, সে কোন কাজে তা ব্যয় করেছে। তিন. তার সম্পদ সম্পর্কে, কীভাবে সে তা উপার্জন করেছে। চার. এবং উপার্জিত সম্পদ কোথায় ব্যয় করেছে। পাঁচ. সে যে জ্ঞান অর্জন করেছিল, সে অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছে।’ (জামে তিরমিজি: ২৪১৬)। যেহেতু হিসাব অবশ্যম্ভাবী, তাই পরকালের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর আগে নিজের হিসাব নিজে করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
নতুন বছরের শুরুতে মুমিনের প্রথম কাজ হওয়া উচিত গত বছরের জীবনচিত্র পর্যালোচনা করা। যদি দেখা যায়, সময়ের একটি বড় অংশ আল্লাহর আনুগত্যে ব্যয় হয়েছে, তাহলে তার জন্য কৃতজ্ঞতা আদায় করা জরুরি। কারণ কৃতজ্ঞতা নিয়ামত বৃদ্ধির অন্যতম চাবিকাঠি। আর যদি গুনাহ, অবহেলা ও ত্রুটির হিসাব চোখে পড়ে, তবে বিলম্ব না করে ক্ষমা প্রার্থনা ও খাঁটি তওবা করে নেকির পথে ফিরে আসাই ইমানদারের কাজ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করো। আশা করা যায়, তোমাদের রব তোমাদের পাপ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদের প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতে, যার তলদেশে নহর প্রবাহিত।’ (সুরা তাহরিম: ৮)
তওবার পাশাপাশি নেক আমলে আত্মনিয়োগ করাও জরুরি। কেননা সৎকর্ম পাপের কালিমা মুছে দেয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই পুণ্যরাজি পাপরাশিকে মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ মানে, এটা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ।’ (সুরা হুদ: ১১৪)
নতুন বছরে মুমিনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো আগামীর জন্য সুদৃঢ় সুচিন্তিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা। যাতে অবশিষ্ট জীবন আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে ব্যয় হয়। অহেতুক ব্যস্ততা, অর্থহীন বিনোদন কিংবা অলসতায় যেন একটি মুহূর্তও নষ্ট না হয়।
এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হবে নিজের নফসকে সংযত রাখা এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। এ প্রসঙ্গে শাদ্দাদ ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বুদ্ধিমান হলো সে, যে নিজের কুপ্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য আমল করে। আর অক্ষম হলো সে, যে নিজের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে চলে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমার আশা পোষণ করে।’ (জামে তিরমিজি: ২৪৫৯)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-বঞ্চনার দীর্ঘ পথ পেরিয়ে মানুষ যখন নতুন বছরে প্রবেশ করে, তখন অনুভূতির ভেতর এক অদ্ভুত দ্বন্দ্ব কাজ করে। একদিকে নতুন সূচনার আনন্দ, অন্যদিকে জীবন থেকে আরেকটি বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার বেদনাবোধ। প্রতিটি অতিবাহিত বছর মানে নির্ধারিত হায়াতের একটি অংশ কমে যাওয়া। নতুন বছর আগমনের এ সন্ধিক্ষণ মুমিনের জন্য ত্মসমালোচনা ও ভবিষ্যৎ-পরিকল্পনার সময়।
ইসলামের দৃষ্টিতে একজন ইমানদারের জন্য নতুন বছরের করণীয় মৌলিকভাবে দুটি—এক. অতীত জীবনের হিসাব নেওয়া। দুই. আগামীর পথচলা সুপরিকল্পিত করা।
মানুষের জীবন আল্লাহ তাআলার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ আমানত। এই আমানতের প্রতিটি মুহূর্ত কীভাবে ব্যয় করা হলো, আখিরাতে তার পূর্ণাঙ্গ জবাবদিহি করতে হবে। আল্লাহ তাআলার কোনো আদেশ অমান্য করা কিংবা সময়কে অলসতায় নষ্ট করা এই আমানতের খেয়ানতের শামিল। খেয়ানতের পরিণতি যে ভয়াবহ, তা কোরআন-হাদিসে বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া পর্যন্ত কোনো মানুষ আল্লাহর দরবার থেকে এক পা-ও নড়তে পারবে না। এক. তার জীবন সম্পর্কে, সে কীভাবে তা অতিবাহিত করেছে। দুই. তার যৌবনকাল সম্পর্কে, সে কোন কাজে তা ব্যয় করেছে। তিন. তার সম্পদ সম্পর্কে, কীভাবে সে তা উপার্জন করেছে। চার. এবং উপার্জিত সম্পদ কোথায় ব্যয় করেছে। পাঁচ. সে যে জ্ঞান অর্জন করেছিল, সে অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছে।’ (জামে তিরমিজি: ২৪১৬)। যেহেতু হিসাব অবশ্যম্ভাবী, তাই পরকালের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর আগে নিজের হিসাব নিজে করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
নতুন বছরের শুরুতে মুমিনের প্রথম কাজ হওয়া উচিত গত বছরের জীবনচিত্র পর্যালোচনা করা। যদি দেখা যায়, সময়ের একটি বড় অংশ আল্লাহর আনুগত্যে ব্যয় হয়েছে, তাহলে তার জন্য কৃতজ্ঞতা আদায় করা জরুরি। কারণ কৃতজ্ঞতা নিয়ামত বৃদ্ধির অন্যতম চাবিকাঠি। আর যদি গুনাহ, অবহেলা ও ত্রুটির হিসাব চোখে পড়ে, তবে বিলম্ব না করে ক্ষমা প্রার্থনা ও খাঁটি তওবা করে নেকির পথে ফিরে আসাই ইমানদারের কাজ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করো। আশা করা যায়, তোমাদের রব তোমাদের পাপ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদের প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতে, যার তলদেশে নহর প্রবাহিত।’ (সুরা তাহরিম: ৮)
তওবার পাশাপাশি নেক আমলে আত্মনিয়োগ করাও জরুরি। কেননা সৎকর্ম পাপের কালিমা মুছে দেয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই পুণ্যরাজি পাপরাশিকে মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ মানে, এটা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ।’ (সুরা হুদ: ১১৪)
নতুন বছরে মুমিনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো আগামীর জন্য সুদৃঢ় সুচিন্তিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা। যাতে অবশিষ্ট জীবন আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে ব্যয় হয়। অহেতুক ব্যস্ততা, অর্থহীন বিনোদন কিংবা অলসতায় যেন একটি মুহূর্তও নষ্ট না হয়।
এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হবে নিজের নফসকে সংযত রাখা এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। এ প্রসঙ্গে শাদ্দাদ ইবনে আউস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বুদ্ধিমান হলো সে, যে নিজের কুপ্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য আমল করে। আর অক্ষম হলো সে, যে নিজের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে চলে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমার আশা পোষণ করে।’ (জামে তিরমিজি: ২৪৫৯)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২০ জুন ২০২৫
সময়ের আবর্তনে আমাদের দোরগোড়ায় আবারও হাজির হয়েছে মহিমান্বিত আরবি মাস—রজব। হিজরি পঞ্জিকাবর্ষের সপ্তম এই মাসটি মুমিনের জীবনে এক পরম পুণ্যের বার্তা নিয়ে আসে। পরকালীন পাথেয় ও সওয়াব হাসিলের তরে রজব মাস এক বিশাল সুযোগের মোহনা, যা বিশেষভাবে সিয়াম সাধনার মাস রমজানের অগ্রিম আগমনী বার্তা ঘোষণা করে।
২৬ মিনিট আগে
ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের আগমনী ইতিহাস সুদূর প্রাচীন ও বৈচিত্র্যময়। বিশেষত দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্য ইসলামের প্রাচীনতম স্থাপত্যের নিদর্শনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আরব সাগরের উপকূলবর্তী এই অঞ্চলে আরব বণিকদের নিয়মিত আগমনের সূত্রে ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটেছিল। সেই ঐতিহাসিক সময়ের স্মৃতিচিহ্ন...
৩২ মিনিট আগে
অনেক নারীর কাছেই নেলপলিশ সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ। মুসলিম নারীরাও এর ব্যতিক্রম নন। তবে ধর্মীয় কারণে মুসলিম নারীদের জন্য সব সময় সাধারণ নেলপলিশ ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। কারণ, সাধারণ নেলপলিশের প্রলেপ নখের ওপর একটি অভেদ্য স্তর তৈরি করে, যা অজুর সময় পানি নখ পর্যন্ত পৌঁছাতে বাধা দেয়।
১ ঘণ্টা আগেমোখতারুল ইসলাম মিলন

ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের আগমনী ইতিহাস সুদূর প্রাচীন ও বৈচিত্র্যময়। বিশেষত দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্য ইসলামের প্রাচীনতম স্থাপত্যের নিদর্শনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আরব সাগরের উপকূলবর্তী এই অঞ্চলে আরব বণিকদের নিয়মিত আগমনের সূত্রে ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটেছিল। সেই ঐতিহাসিক সময়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে আজও টিকে আছে কেরালার কয়েকটি প্রাচীন মসজিদ। এই প্রবন্ধে কেরালার তিনটি উল্লেখযোগ্য প্রাচীন মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
চেরামান জুমা মসজিদ
কেরালার থ্রিসুর জেলার কোডুঙ্গাল্লুর এলাকায় অবস্থিত চেরামান জুমা মসজিদকে ভারতের প্রাচীনতম মসজিদ হিসেবে গণ্য করা হয়। ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী, এই মসজিদ ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে অর্থাৎ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবদ্দশায়ই নির্মিত হয়েছিল। স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে, চেরা রাজবংশের রাজা চেরামান পেরুমাল চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে আরবে যান এবং সেখানে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন। মক্কা থেকে ফেরার পথে তিনি কয়েকজন সাহাবিকে সঙ্গে নিয়ে এসে কেরালায় এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও এই বর্ণনার ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবু এই মসজিদের প্রাচীনত্ব অনস্বীকার্য।
চেরামান জুমা মসজিদের স্থাপত্যশৈলী অনন্য। এটি কেরালার ঐতিহ্যবাহী হিন্দু মন্দিরের স্থাপত্যরীতির সঙ্গে ইসলামিক উপাদানের এক সমন্বয়। মসজিদের ভেতরে একটি তেল প্রদীপ রয়েছে। কথিত আছে, নবী (সা.)-এর যুগ থেকে এটি অবিরাম জ্বলছে। কাঠের স্তম্ভ, ঢালু ছাদ এবং উঠান—এগুলো স্থানীয় স্থাপত্যরীতির প্রতিফলন। এই মসজিদটি কেবল একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, বরং ভারতে ইসলামের প্রাচীন উপস্থিতির এক জীবন্ত প্রমাণ।

মসজিদে বিলাল
কেরালার মালাপ্পুরম জেলায় অবস্থিত মসজিদে বিলাল আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রাচীন মসজিদ।
এই মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হজরত বিলাল (রা.)-এর নাম অনুসারে। স্থানীয়ভাবে জনশ্রুতি আছে, হজরত বিলাল (রা.)-এর কোনো অনুসারী এই অঞ্চলে এসে ইসলামের প্রচার করেছিলেন। যদিও এই বর্ণনার সত্যতা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত নয়, তবু মসজিদটির প্রাচীনত্ব এবং ধর্মীয় গুরুত্ব অপরিসীম।
মসজিদে বিলালের স্থাপত্যশৈলী কেরালার অন্যান্য প্রাচীন মসজিদের মতোই। কাঠের তৈরি স্তম্ভ, ঐতিহ্যবাহী কেরালীয় ছাদ এবং সরল অলংকরণ এই মসজিদের বৈশিষ্ট্য। মসজিদের প্রাঙ্গণে একটি প্রাচীন কূপ রয়েছে, যার পানিকে স্থানীয়রা পবিত্র বলে বিশ্বাস করে। মসজিদটি স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সামাজিক কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

পালায়াম মসজিদ
কেরালার কোল্লাম জেলায় অবস্থিত পালায়াম মসজিদ আরেকটি প্রাচীন ইসলামি স্থাপনা।
ধারণা করা হয়, এই মসজিদটি নবম শতাব্দীতে আরব বণিকদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। সেই সময় মসলা বাণিজ্যের কারণে আরব বণিকেরা এই অঞ্চলে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন এবং অনেকেই কেরালায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে কেরালার মুসলিম সমাজ বা ‘মাপ্পিলা’ সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে।
পালায়াম মসজিদের স্থাপত্যেও কেরালার ঐতিহ্যবাহী নির্মাণশৈলীর ছাপ স্পষ্ট। মসজিদটি কাঠ ও ইট দিয়ে নির্মিত এবং এর ছাদ টালি দিয়ে আচ্ছাদিত। অভ্যন্তরে প্রাচীন আরবি ক্যালিগ্রাফি ও কারুকাজ দেখা যায়। মসজিদের পাশে একটি প্রাচীন কবরস্থান রয়েছে, যেখানে আরব বণিক ও প্রথম যুগের মুসলমানদের সমাধি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বর্তমানে মসজিদটি সংস্কার করা হলেও এর মূল কাঠামো এবং ঐতিহাসিক চরিত্র অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে।
লেখক: শিক্ষার্থী, শরীফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা

ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের আগমনী ইতিহাস সুদূর প্রাচীন ও বৈচিত্র্যময়। বিশেষত দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্য ইসলামের প্রাচীনতম স্থাপত্যের নিদর্শনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আরব সাগরের উপকূলবর্তী এই অঞ্চলে আরব বণিকদের নিয়মিত আগমনের সূত্রে ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটেছিল। সেই ঐতিহাসিক সময়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে আজও টিকে আছে কেরালার কয়েকটি প্রাচীন মসজিদ। এই প্রবন্ধে কেরালার তিনটি উল্লেখযোগ্য প্রাচীন মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
চেরামান জুমা মসজিদ
কেরালার থ্রিসুর জেলার কোডুঙ্গাল্লুর এলাকায় অবস্থিত চেরামান জুমা মসজিদকে ভারতের প্রাচীনতম মসজিদ হিসেবে গণ্য করা হয়। ঐতিহাসিক বর্ণনা অনুযায়ী, এই মসজিদ ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে অর্থাৎ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবদ্দশায়ই নির্মিত হয়েছিল। স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে, চেরা রাজবংশের রাজা চেরামান পেরুমাল চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে আরবে যান এবং সেখানে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন। মক্কা থেকে ফেরার পথে তিনি কয়েকজন সাহাবিকে সঙ্গে নিয়ে এসে কেরালায় এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও এই বর্ণনার ঐতিহাসিক সত্যতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবু এই মসজিদের প্রাচীনত্ব অনস্বীকার্য।
চেরামান জুমা মসজিদের স্থাপত্যশৈলী অনন্য। এটি কেরালার ঐতিহ্যবাহী হিন্দু মন্দিরের স্থাপত্যরীতির সঙ্গে ইসলামিক উপাদানের এক সমন্বয়। মসজিদের ভেতরে একটি তেল প্রদীপ রয়েছে। কথিত আছে, নবী (সা.)-এর যুগ থেকে এটি অবিরাম জ্বলছে। কাঠের স্তম্ভ, ঢালু ছাদ এবং উঠান—এগুলো স্থানীয় স্থাপত্যরীতির প্রতিফলন। এই মসজিদটি কেবল একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, বরং ভারতে ইসলামের প্রাচীন উপস্থিতির এক জীবন্ত প্রমাণ।

মসজিদে বিলাল
কেরালার মালাপ্পুরম জেলায় অবস্থিত মসজিদে বিলাল আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রাচীন মসজিদ।
এই মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হজরত বিলাল (রা.)-এর নাম অনুসারে। স্থানীয়ভাবে জনশ্রুতি আছে, হজরত বিলাল (রা.)-এর কোনো অনুসারী এই অঞ্চলে এসে ইসলামের প্রচার করেছিলেন। যদিও এই বর্ণনার সত্যতা নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত নয়, তবু মসজিদটির প্রাচীনত্ব এবং ধর্মীয় গুরুত্ব অপরিসীম।
মসজিদে বিলালের স্থাপত্যশৈলী কেরালার অন্যান্য প্রাচীন মসজিদের মতোই। কাঠের তৈরি স্তম্ভ, ঐতিহ্যবাহী কেরালীয় ছাদ এবং সরল অলংকরণ এই মসজিদের বৈশিষ্ট্য। মসজিদের প্রাঙ্গণে একটি প্রাচীন কূপ রয়েছে, যার পানিকে স্থানীয়রা পবিত্র বলে বিশ্বাস করে। মসজিদটি স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সামাজিক কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

পালায়াম মসজিদ
কেরালার কোল্লাম জেলায় অবস্থিত পালায়াম মসজিদ আরেকটি প্রাচীন ইসলামি স্থাপনা।
ধারণা করা হয়, এই মসজিদটি নবম শতাব্দীতে আরব বণিকদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। সেই সময় মসলা বাণিজ্যের কারণে আরব বণিকেরা এই অঞ্চলে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন এবং অনেকেই কেরালায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে কেরালার মুসলিম সমাজ বা ‘মাপ্পিলা’ সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে।
পালায়াম মসজিদের স্থাপত্যেও কেরালার ঐতিহ্যবাহী নির্মাণশৈলীর ছাপ স্পষ্ট। মসজিদটি কাঠ ও ইট দিয়ে নির্মিত এবং এর ছাদ টালি দিয়ে আচ্ছাদিত। অভ্যন্তরে প্রাচীন আরবি ক্যালিগ্রাফি ও কারুকাজ দেখা যায়। মসজিদের পাশে একটি প্রাচীন কবরস্থান রয়েছে, যেখানে আরব বণিক ও প্রথম যুগের মুসলমানদের সমাধি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বর্তমানে মসজিদটি সংস্কার করা হলেও এর মূল কাঠামো এবং ঐতিহাসিক চরিত্র অক্ষুণ্ন রাখা হয়েছে।
লেখক: শিক্ষার্থী, শরীফবাগ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা

এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২০ জুন ২০২৫
সময়ের আবর্তনে আমাদের দোরগোড়ায় আবারও হাজির হয়েছে মহিমান্বিত আরবি মাস—রজব। হিজরি পঞ্জিকাবর্ষের সপ্তম এই মাসটি মুমিনের জীবনে এক পরম পুণ্যের বার্তা নিয়ে আসে। পরকালীন পাথেয় ও সওয়াব হাসিলের তরে রজব মাস এক বিশাল সুযোগের মোহনা, যা বিশেষভাবে সিয়াম সাধনার মাস রমজানের অগ্রিম আগমনী বার্তা ঘোষণা করে।
২৬ মিনিট আগে
হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-বঞ্চনার দীর্ঘ পথ পেরিয়ে মানুষ যখন নতুন বছরে প্রবেশ করে, তখন অনুভূতির ভেতর এক অদ্ভুত দ্বন্দ্ব কাজ করে। একদিকে নতুন সূচনার আনন্দ, অন্যদিকে জীবন থেকে আরেকটি বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার বেদনাবোধ। প্রতিটি অতিবাহিত বছর মানে নির্ধারিত হায়াতের একটি অংশ কমে যাওয়া।
২৯ মিনিট আগে
অনেক নারীর কাছেই নেলপলিশ সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ। মুসলিম নারীরাও এর ব্যতিক্রম নন। তবে ধর্মীয় কারণে মুসলিম নারীদের জন্য সব সময় সাধারণ নেলপলিশ ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। কারণ, সাধারণ নেলপলিশের প্রলেপ নখের ওপর একটি অভেদ্য স্তর তৈরি করে, যা অজুর সময় পানি নখ পর্যন্ত পৌঁছাতে বাধা দেয়।
১ ঘণ্টা আগেআরওয়া তাসনিম

অনেক নারীর কাছেই নেলপলিশ সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ। মুসলিম নারীরাও এর ব্যতিক্রম নন। তবে ধর্মীয় কারণে মুসলিম নারীদের জন্য সব সময় সাধারণ নেলপলিশ ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। কারণ, সাধারণ নেলপলিশের প্রলেপ নখের ওপর একটি অভেদ্য স্তর তৈরি করে, যা অজুর সময় পানি নখ পর্যন্ত পৌঁছাতে বাধা দেয়।
এর সমাধান হিসেবে অনেক নারী নামাজ আদায়ের আগে নেলপলিশ তুলে ফেলেন অথবা পিরিয়ড চলাকালীন সময়টুকুতে নেলপলিশ ব্যবহার করেন। তবে এই সমস্যার আধুনিক সমাধান হিসেবে বিউটি ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে এসেছে হালাল নেলপলিশ। এই নেলপলিশগুলো ব্রিদেবল বা শ্বাসযোগ্য অর্থাৎ এর বিশেষ ফর্মুলা নখের ওপর দিয়ে অক্সিজেন ও পানি চলাচলে সাহায্য করে। ফলে অজু ও নামাজের ব্যাঘাত না ঘটিয়েই এটি প্রতিদিন ব্যবহার করা সম্ভব।
অরেলি
‘মুসলিম গার্লস’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অরেলি বাজারে এনেছে হালাল পেইন্ট নামক একটি সিরিজ, যা বিশেষভাবে মুসলিম নারীদের জন্য তৈরি। এটি একটি ‘অল-ইন-ওয়ান’ ফর্মুলা, যা নখকে দীর্ঘস্থায়ী, মজবুত এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে। হালাল হওয়ার পাশাপাশি এতে আছে আরগান অয়েল, প্রো-ভিটামিন বি-৫ এবং ভিটামিন-সি, যা নখকে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে।
ওলিসি
ওলিসি হলো একটি ওয়াটারবেসড নেলপলিশ, যা খুব সহজেই হাত দিয়ে টেনে তুলে ফেলা যায়। ফলে এটি তোলার জন্য আলাদা কোনো রিমুভারের প্রয়োজন হয় না। এটি ৬০ সেকেন্ডের মধ্যেই শুকিয়ে যায় এবং এতে কোনো কৃত্রিম আলোর প্রয়োজন হয় না। বেস ও টপ কোট হিসেবে ব্যবহারের জন্য এর প্রতিটি সেটে একটি স্বচ্ছ বোতল থাকে এবং একটি রঙিন বোতল থাকে।
টিউজডে ইন লাভ
কানাডিয়ান এই কোম্পানিটি বিশেষভাবে পানি চলাচলে সক্ষম নেলপলিশ এবং হালাল কসমেটিকস তৈরির জন্য বিখ্যাত। এটি ‘আইএসএনএ কানাডা’ দ্বারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত। এতে মাইক্রো-পোর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা অন্য যেকোনো হালাল নেলপলিশের চেয়ে দ্রুত পানি শোষণ করতে পারে। এতে কোনো প্রাণিজ উপাদান বা নিষিদ্ধ অ্যালকোহল নেই।
ভিভরে
ভিভরে কসমেটিকসের সমস্ত নেলপলিশ ফ্রান্সের ‘এসজিএস’ ল্যাব দ্বারা সার্টিফায়েড। এটি ভেগান এবং প্যারাবেনমুক্ত। এটি নখের ওপর দিয়ে বাতাস ও অক্সিজেন চলাচলে কোনো বাধা দেয় না, তাই নামাজের সময় এটি ব্যবহারে কোনো সংশয় থাকে না।
কার্মা
কার্মা অরগানিক নেলপলিশগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে পানি ও অক্সিজেনের অণুগুলো নখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। পরিবেশের সুরক্ষায় তারা প্লাস্টিকের বদলে কাচের বোতল এবং সয়াবিন কালি ব্যবহার করে। এটি গর্ভবতী নারী এবং শিশুদের জন্যও সম্পূর্ণ নিরাপদ।
৭৮৬ কসমেটিকস
এই ব্র্যান্ডটি ‘কেআইসি’ থেকে হালাল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। এটি ১১টি ক্ষতিকারক রাসায়নিক এবং প্রাণিজ উপাদান থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। এর শেডগুলোর নাম বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম শহরের নামানুসারে রাখা হয়েছে (যেমন: জয়পুর, দুবাই ইত্যাদি)। এটি নখকে হাইড্রেটেড এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
ল্যাভেন্ডার
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিটি ঘরে বসেই সেলুন-কোয়ালিটি জেল ফিনিশ দেওয়ার জন্য বিখ্যাত। তাদের জেলের উপাদানে বিষাক্ত রেজিন, ফর্মালডিহাইড বা টলুইন নেই। এটি নখের ওপর ২১ দিন পর্যন্ত স্থায়ী ও উজ্জ্বল থাকে এবং নখের কোনো ক্ষতি করে না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

অনেক নারীর কাছেই নেলপলিশ সৌন্দর্যের অন্যতম অনুষঙ্গ। মুসলিম নারীরাও এর ব্যতিক্রম নন। তবে ধর্মীয় কারণে মুসলিম নারীদের জন্য সব সময় সাধারণ নেলপলিশ ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। কারণ, সাধারণ নেলপলিশের প্রলেপ নখের ওপর একটি অভেদ্য স্তর তৈরি করে, যা অজুর সময় পানি নখ পর্যন্ত পৌঁছাতে বাধা দেয়।
এর সমাধান হিসেবে অনেক নারী নামাজ আদায়ের আগে নেলপলিশ তুলে ফেলেন অথবা পিরিয়ড চলাকালীন সময়টুকুতে নেলপলিশ ব্যবহার করেন। তবে এই সমস্যার আধুনিক সমাধান হিসেবে বিউটি ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে এসেছে হালাল নেলপলিশ। এই নেলপলিশগুলো ব্রিদেবল বা শ্বাসযোগ্য অর্থাৎ এর বিশেষ ফর্মুলা নখের ওপর দিয়ে অক্সিজেন ও পানি চলাচলে সাহায্য করে। ফলে অজু ও নামাজের ব্যাঘাত না ঘটিয়েই এটি প্রতিদিন ব্যবহার করা সম্ভব।
অরেলি
‘মুসলিম গার্লস’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অরেলি বাজারে এনেছে হালাল পেইন্ট নামক একটি সিরিজ, যা বিশেষভাবে মুসলিম নারীদের জন্য তৈরি। এটি একটি ‘অল-ইন-ওয়ান’ ফর্মুলা, যা নখকে দীর্ঘস্থায়ী, মজবুত এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে। হালাল হওয়ার পাশাপাশি এতে আছে আরগান অয়েল, প্রো-ভিটামিন বি-৫ এবং ভিটামিন-সি, যা নখকে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে।
ওলিসি
ওলিসি হলো একটি ওয়াটারবেসড নেলপলিশ, যা খুব সহজেই হাত দিয়ে টেনে তুলে ফেলা যায়। ফলে এটি তোলার জন্য আলাদা কোনো রিমুভারের প্রয়োজন হয় না। এটি ৬০ সেকেন্ডের মধ্যেই শুকিয়ে যায় এবং এতে কোনো কৃত্রিম আলোর প্রয়োজন হয় না। বেস ও টপ কোট হিসেবে ব্যবহারের জন্য এর প্রতিটি সেটে একটি স্বচ্ছ বোতল থাকে এবং একটি রঙিন বোতল থাকে।
টিউজডে ইন লাভ
কানাডিয়ান এই কোম্পানিটি বিশেষভাবে পানি চলাচলে সক্ষম নেলপলিশ এবং হালাল কসমেটিকস তৈরির জন্য বিখ্যাত। এটি ‘আইএসএনএ কানাডা’ দ্বারা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত। এতে মাইক্রো-পোর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা অন্য যেকোনো হালাল নেলপলিশের চেয়ে দ্রুত পানি শোষণ করতে পারে। এতে কোনো প্রাণিজ উপাদান বা নিষিদ্ধ অ্যালকোহল নেই।
ভিভরে
ভিভরে কসমেটিকসের সমস্ত নেলপলিশ ফ্রান্সের ‘এসজিএস’ ল্যাব দ্বারা সার্টিফায়েড। এটি ভেগান এবং প্যারাবেনমুক্ত। এটি নখের ওপর দিয়ে বাতাস ও অক্সিজেন চলাচলে কোনো বাধা দেয় না, তাই নামাজের সময় এটি ব্যবহারে কোনো সংশয় থাকে না।
কার্মা
কার্মা অরগানিক নেলপলিশগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে পানি ও অক্সিজেনের অণুগুলো নখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। পরিবেশের সুরক্ষায় তারা প্লাস্টিকের বদলে কাচের বোতল এবং সয়াবিন কালি ব্যবহার করে। এটি গর্ভবতী নারী এবং শিশুদের জন্যও সম্পূর্ণ নিরাপদ।
৭৮৬ কসমেটিকস
এই ব্র্যান্ডটি ‘কেআইসি’ থেকে হালাল সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। এটি ১১টি ক্ষতিকারক রাসায়নিক এবং প্রাণিজ উপাদান থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। এর শেডগুলোর নাম বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম শহরের নামানুসারে রাখা হয়েছে (যেমন: জয়পুর, দুবাই ইত্যাদি)। এটি নখকে হাইড্রেটেড এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
ল্যাভেন্ডার
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিটি ঘরে বসেই সেলুন-কোয়ালিটি জেল ফিনিশ দেওয়ার জন্য বিখ্যাত। তাদের জেলের উপাদানে বিষাক্ত রেজিন, ফর্মালডিহাইড বা টলুইন নেই। এটি নখের ওপর ২১ দিন পর্যন্ত স্থায়ী ও উজ্জ্বল থাকে এবং নখের কোনো ক্ষতি করে না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২০ জুন ২০২৫
সময়ের আবর্তনে আমাদের দোরগোড়ায় আবারও হাজির হয়েছে মহিমান্বিত আরবি মাস—রজব। হিজরি পঞ্জিকাবর্ষের সপ্তম এই মাসটি মুমিনের জীবনে এক পরম পুণ্যের বার্তা নিয়ে আসে। পরকালীন পাথেয় ও সওয়াব হাসিলের তরে রজব মাস এক বিশাল সুযোগের মোহনা, যা বিশেষভাবে সিয়াম সাধনার মাস রমজানের অগ্রিম আগমনী বার্তা ঘোষণা করে।
২৬ মিনিট আগে
হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-বঞ্চনার দীর্ঘ পথ পেরিয়ে মানুষ যখন নতুন বছরে প্রবেশ করে, তখন অনুভূতির ভেতর এক অদ্ভুত দ্বন্দ্ব কাজ করে। একদিকে নতুন সূচনার আনন্দ, অন্যদিকে জীবন থেকে আরেকটি বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার বেদনাবোধ। প্রতিটি অতিবাহিত বছর মানে নির্ধারিত হায়াতের একটি অংশ কমে যাওয়া।
২৯ মিনিট আগে
ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের আগমনী ইতিহাস সুদূর প্রাচীন ও বৈচিত্র্যময়। বিশেষত দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্য ইসলামের প্রাচীনতম স্থাপত্যের নিদর্শনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আরব সাগরের উপকূলবর্তী এই অঞ্চলে আরব বণিকদের নিয়মিত আগমনের সূত্রে ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটেছিল। সেই ঐতিহাসিক সময়ের স্মৃতিচিহ্ন...
৩২ মিনিট আগে