ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত্ব প্রাসঙ্গিক আলোচনাসহ তুলে ধরা হলো—
লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত্ব
পার্থিব জীবনের অতিপ্রয়োজনীয় একটি বিষয় হলো আর্থিক লেনদেন। লেনদেনের আরবি প্রতিশব্দ মুআমালাত। ইসলামে মুআমালাত তথা লেনদেনের গুরুত্ব অনেক বেশি। মহানবী (সা.)-এর জীবন ছিল পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও সংরক্ষিত। লেনদেনের ক্ষেত্রে পূর্ণ সততা ও স্বচ্ছতা তাঁকে ইসলামপূর্ব যুগে ‘আল-আমিন’ বা ‘বিশ্বস্ত’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
এ বিষয়ে কিয়ামতের ময়দানে দুটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ছাড়া কাউকে এক ধাপও সামনে যেতে দেওয়া হবে না। জিজ্ঞাসা করা হবে—‘কীভাবে উপার্জন করেছ এবং কোথায় খরচ করেছ?’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘পাঁচটি বিষয়ে জবাব না দেওয়া পর্যন্ত কোনো মানবসন্তানের পা ওঠাতে দেওয়া হবে না। এক. জীবন কীভাবে শেষ করেছ। দুই. যৌবন কীভাবে বিদায় করেছ। তিন. ধনসম্পদ কীভাবে উপার্জন করেছ। চার. কোন পথে তা ব্যয় করেছ। পাঁচ. অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছ।’ (তিরমিজি: ২৪১৬)
অস্বচ্ছতা দোয়া কবুলের অন্তরায়
লেনদেনে অসততা ও অস্বচ্ছতার কারণে দোয়া ও ইবাদত কবুল হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) একজন লোকের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে—সে দীর্ঘ পথ সফর করে এসেছে। চুলগুলো এলোমেলো ও শরীর ধুলোয় ধূসরিত। আকাশের দিকে হাত তুলে দোয়া করছে—হে আমার রব, হে আমার রব। অথচ তার খাদ্য-পানীয় হারাম, পোশাকপরিচ্ছদ হারাম; তাহলে কীভাবে তার দোয়া কবুল হবে?’ (মুসলিম: ১০১৫)
একইভাবে অবৈধ উপার্জনকারীর ইবাদতও কবুল হয় না। হাদিসে এসেছে, ‘অজু ছাড়া নামাজ কবুল হয় না আর আত্মসাৎ করা সম্পদের সদকাও কবুল হয় না।’ (মুসলিম: ২২৪)
অস্বচ্ছ ও হারাম সম্পদ দ্বারা গড়ে ওঠা শরীর জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম সম্পদ দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান’ (আহমাদ: ১৪৪৪১)
অস্বচ্ছতা ইবাদত নষ্ট করে
আর্থিক অস্বচ্ছতা ইবাদত-বন্দেগিতে প্রভাব ফেলে। পরকালীন জীবনে ইবাদতকে মূল্যহীন ও অন্তঃসারশূন্য করে তোলে। অর্থবিত্তসহ লেনদেনের সামগ্রিক অস্বচ্ছতা প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কি জানো, দরিদ্র কে?’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘আমাদের মধ্যে দরিদ্র ওই ব্যক্তি, যার কোনো অর্থ ও সম্পদ নেই।’ তিনি (রাসুল) বললেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে দরিদ্র ওই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোজা, জাকাত নিয়ে আসবে। সে আরও নিয়ে আসবে—অন্যকে এই পরিমাণ গালি দিয়েছে, এই পরিমাণ মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এই পরিমাণ সম্পদ খেয়েছে, এই পরিমাণ রক্ত প্রবাহিত করেছে, অন্যকে এই পরিমাণ প্রহার করেছে। তার নেকি থেকে সেই পরিমাণ (ক্ষতিগ্রস্তকে) প্রদান করা হবে। তার দায় শেষ হওয়ার আগেই যদি তার নেকি শেষ হয়ে যায়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাপ পাওনা অনুসারে ওই ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে। ফলে সে এই পাপের বোঝা নিয়ে জাহান্নামে যাবে।’ (মুসলিম: ২৫৮১)
অসততার পথ খোলে যেভাবে
বিভিন্নভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা নষ্ট হয়। যেমন অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ গ্রাস করা, জোরপূর্বক অন্যের সম্পদ দখল করা, এতিমের মাল ভক্ষণ করা, ঋণ পরিশোধ না করা, অন্যের প্রাপ্ত অধিকার প্রদান না করা, চুরি বা সন্ত্রাসী করে অন্যের সম্পদ ভোগ করা ইত্যাদি। কোনো প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব ঠিক না রাখা, খাতওয়ারি অর্থ খরচ না করা এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যয়ের ক্ষেত্রে হেরফের করাও আর্থিক অসততার অন্তর্ভুক্ত। সর্বোপরি যেকোনো পদ্ধতিতে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে নিজের দখলে নেওয়াই আর্থিক অসততা।
আর্থিক অসততা থেকে বেঁচে থাকতে কোরআন-সুন্নাহতে বেশ জোর দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’(সুরা বাকারা: ১৮৮)
আবু হুররাহ আর-রক্কাশি (রহ.) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সাবধান! কারও ওপর জুলুম করবে না। সাবধান, কারও মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারও জন্য হালাল হবে না।’ (মিশকাত: ২৯৪৬)
পরিশেষে বলা যায়, আল্লাহ মানুষকে পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীল করে সৃষ্টি করেছেন। কোনো মানুষের পক্ষে জীবনের প্রয়োজনীয় সবকিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। এ জন্য পরস্পরের সঙ্গে লেনদেন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সততা ও পরিচ্ছন্নতা জরুরি। স্বচ্ছতা না থাকলে নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতের মতো ইবাদত-বন্দেগিও কোনো কাজে আসে না। কাজেই আর্থিক স্বচ্ছতাই ইবাদতের রক্ষাকবচ।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত্ব প্রাসঙ্গিক আলোচনাসহ তুলে ধরা হলো—
লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত্ব
পার্থিব জীবনের অতিপ্রয়োজনীয় একটি বিষয় হলো আর্থিক লেনদেন। লেনদেনের আরবি প্রতিশব্দ মুআমালাত। ইসলামে মুআমালাত তথা লেনদেনের গুরুত্ব অনেক বেশি। মহানবী (সা.)-এর জীবন ছিল পবিত্র, পরিচ্ছন্ন ও সংরক্ষিত। লেনদেনের ক্ষেত্রে পূর্ণ সততা ও স্বচ্ছতা তাঁকে ইসলামপূর্ব যুগে ‘আল-আমিন’ বা ‘বিশ্বস্ত’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল।
এ বিষয়ে কিয়ামতের ময়দানে দুটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ছাড়া কাউকে এক ধাপও সামনে যেতে দেওয়া হবে না। জিজ্ঞাসা করা হবে—‘কীভাবে উপার্জন করেছ এবং কোথায় খরচ করেছ?’ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘পাঁচটি বিষয়ে জবাব না দেওয়া পর্যন্ত কোনো মানবসন্তানের পা ওঠাতে দেওয়া হবে না। এক. জীবন কীভাবে শেষ করেছ। দুই. যৌবন কীভাবে বিদায় করেছ। তিন. ধনসম্পদ কীভাবে উপার্জন করেছ। চার. কোন পথে তা ব্যয় করেছ। পাঁচ. অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছ।’ (তিরমিজি: ২৪১৬)
অস্বচ্ছতা দোয়া কবুলের অন্তরায়
লেনদেনে অসততা ও অস্বচ্ছতার কারণে দোয়া ও ইবাদত কবুল হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) একজন লোকের বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে—সে দীর্ঘ পথ সফর করে এসেছে। চুলগুলো এলোমেলো ও শরীর ধুলোয় ধূসরিত। আকাশের দিকে হাত তুলে দোয়া করছে—হে আমার রব, হে আমার রব। অথচ তার খাদ্য-পানীয় হারাম, পোশাকপরিচ্ছদ হারাম; তাহলে কীভাবে তার দোয়া কবুল হবে?’ (মুসলিম: ১০১৫)
একইভাবে অবৈধ উপার্জনকারীর ইবাদতও কবুল হয় না। হাদিসে এসেছে, ‘অজু ছাড়া নামাজ কবুল হয় না আর আত্মসাৎ করা সম্পদের সদকাও কবুল হয় না।’ (মুসলিম: ২২৪)
অস্বচ্ছ ও হারাম সম্পদ দ্বারা গড়ে ওঠা শরীর জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম সম্পদ দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান’ (আহমাদ: ১৪৪৪১)
অস্বচ্ছতা ইবাদত নষ্ট করে
আর্থিক অস্বচ্ছতা ইবাদত-বন্দেগিতে প্রভাব ফেলে। পরকালীন জীবনে ইবাদতকে মূল্যহীন ও অন্তঃসারশূন্য করে তোলে। অর্থবিত্তসহ লেনদেনের সামগ্রিক অস্বচ্ছতা প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কি জানো, দরিদ্র কে?’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘আমাদের মধ্যে দরিদ্র ওই ব্যক্তি, যার কোনো অর্থ ও সম্পদ নেই।’ তিনি (রাসুল) বললেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে দরিদ্র ওই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোজা, জাকাত নিয়ে আসবে। সে আরও নিয়ে আসবে—অন্যকে এই পরিমাণ গালি দিয়েছে, এই পরিমাণ মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এই পরিমাণ সম্পদ খেয়েছে, এই পরিমাণ রক্ত প্রবাহিত করেছে, অন্যকে এই পরিমাণ প্রহার করেছে। তার নেকি থেকে সেই পরিমাণ (ক্ষতিগ্রস্তকে) প্রদান করা হবে। তার দায় শেষ হওয়ার আগেই যদি তার নেকি শেষ হয়ে যায়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্তদের পাপ পাওনা অনুসারে ওই ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে। ফলে সে এই পাপের বোঝা নিয়ে জাহান্নামে যাবে।’ (মুসলিম: ২৫৮১)
অসততার পথ খোলে যেভাবে
বিভিন্নভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা নষ্ট হয়। যেমন অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ গ্রাস করা, জোরপূর্বক অন্যের সম্পদ দখল করা, এতিমের মাল ভক্ষণ করা, ঋণ পরিশোধ না করা, অন্যের প্রাপ্ত অধিকার প্রদান না করা, চুরি বা সন্ত্রাসী করে অন্যের সম্পদ ভোগ করা ইত্যাদি। কোনো প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব ঠিক না রাখা, খাতওয়ারি অর্থ খরচ না করা এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যয়ের ক্ষেত্রে হেরফের করাও আর্থিক অসততার অন্তর্ভুক্ত। সর্বোপরি যেকোনো পদ্ধতিতে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে নিজের দখলে নেওয়াই আর্থিক অসততা।
আর্থিক অসততা থেকে বেঁচে থাকতে কোরআন-সুন্নাহতে বেশ জোর দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না।’(সুরা বাকারা: ১৮৮)
আবু হুররাহ আর-রক্কাশি (রহ.) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সাবধান! কারও ওপর জুলুম করবে না। সাবধান, কারও মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারও জন্য হালাল হবে না।’ (মিশকাত: ২৯৪৬)
পরিশেষে বলা যায়, আল্লাহ মানুষকে পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীল করে সৃষ্টি করেছেন। কোনো মানুষের পক্ষে জীবনের প্রয়োজনীয় সবকিছু অর্জন করা সম্ভব নয়। এ জন্য পরস্পরের সঙ্গে লেনদেন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সততা ও পরিচ্ছন্নতা জরুরি। স্বচ্ছতা না থাকলে নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতের মতো ইবাদত-বন্দেগিও কোনো কাজে আসে না। কাজেই আর্থিক স্বচ্ছতাই ইবাদতের রক্ষাকবচ।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৮ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত
২৫ আগস্ট ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৮ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত
২৫ আগস্ট ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৮ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত
২৫ আগস্ট ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

নিখুঁত ইমান ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাত বিষয়ে কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী যথাযথ বিশ্বাস পোষণ না করলে ইবাদত-বন্দেগি আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না। অন্যদিকে ইবাদত-বন্দেগিকে সুরক্ষিত করে পরকালীন জীবনে প্রতিদান লাভের উপযোগী করার জন্য লেনদেনে স্বচ্ছতা অপরিহার্য। এই লেখায় লেনদেনে স্বচ্ছতার গুরুত
২৫ আগস্ট ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৮ ঘণ্টা আগে