আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

প্রশ্ন: ফিতরা কী দিয়ে দিতে হয়? নির্দিষ্ট খাদ্য দেওয়া কি জরুরি? টাকা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে কি? জানতে চাই। হামিদ আল কাউসার, চট্টগ্রাম
উত্তর: মূলত হাদিসে ছয়টি খাবারের যেকোনো একটি দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ (৩.৩ কেজি প্রায়) খাদ্য (ভুট্টা), যব, খেজুর, পনির অথবা কিশমিশ দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতাম। অন্য হাদিসে অর্ধ সা (১.৬৫ কেজি প্রায়) গমের কথা বর্ণিত হয়েছে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
উল্লিখিত খাবারগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি দিয়ে বর্ণিত পরিমাণ অনুযায়ী দান করলে সর্বসম্মতিক্রমে ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। তবে সরাসরি খাদ্য না দিয়ে তার বাজারমূল্য দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম মালিক, শাফিয়ি ও আহমদ (রহ.)-এর মতে, মূল্য দেওয়া যাবে না, সরাসরি খাদ্যপণ্য দিতে হবে। (আল মুগনি, কিতাবুল ফুরু)
তবে ইমাম আবু হানিফাসহ হানাফি মাজহাবের সব ফকিহ, হাসান বসরি, ওমর ইবনে আবদুল আজিজ, সুফইয়ান সাওরি, ইমাম বুখারি (রহ.)সহ অসংখ্য ইমামের মতে, হাদিসে বর্ণিত খাদ্যদ্রব্যসমূহের মূল্য দিয়েও সদাকাতুল ফিতর আদায় করা যাবে, বরং পরিস্থিতি বিবেচনায় তা উত্তম। (ফিকহুল ইবাদাত আলাল মাজহাবিল হানাফিয়ি)
আরেক দল আলিম বলেন, সাধারণ অবস্থায় খাদ্যদ্রব্য দিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু গরিবদের যদি খাদ্যদ্রব্যের চেয়ে নগদ টাকাপয়সার জরুরত বেশি হয়, তখন টাকা দিয়ে আদায় করা জায়েজ। এটাই ইবনে তাইমিয়া (রহ.)-এর মত। (হুকমু ইখরাজি জাকাতিল ফিতরি নকদান)
বোঝা গেল, অনেক আলিমের মতে, টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় সঠিক। এ বিষয়ে তাঁরা কয়েকটি প্রমাণ পেশ করে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
সহিহ বুখারির শিরোনামে এসেছে, মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) ইয়ামেনবাসীদের বললেন, ‘তোমরা যব ও ভুট্টার পরিবর্তে চাদর বা পরিধেয় বস্ত্র আমার কাছে সদাকাস্বরূপ নিয়ে আসো। এটা তোমাদের পক্ষেও সহজ এবং মদিনায় নবী (সা.)-এর সাহাবিগণের জন্যও উত্তম।’ এ কথার ব্যাখ্যায় বদরুদ্দিন আইনি (রহ.) বলেন, ‘মূল্য দিয়ে জাকাত ও সদাকাতুল ফিতর দেওয়া জায়েজ হওয়ার পক্ষে এই বর্ণনা আমাদের ইমামগণের দলিল। এ জন্যই ইবনে রুশাইদ (রহ.) বলেন, হানাফি মাজহাবের সঙ্গে অনেক মাসআলায় ইমাম বুখারির মতানৈক্য থাকলেও দলিলের দিক থেকে শক্তিশালী হওয়ায় এই মাসআলায় তিনি হানাফি মাজহাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।’ (উমদাতুল কারি)
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস কুররা (রহ.) বলেন, ‘আমাদের কাছে ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.)-এর ফরমান পৌঁছেছে যে সদাকাতুল ফিতর হচ্ছে প্রত্যেক (সামর্থ্যবান) ব্যক্তির পক্ষ থেকে অর্ধ সা গম কিংবা তার মূল্য হিসাবে অর্ধ দিরহাম প্রদান করা।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
বিশিষ্ট তাবেয়ি আবু ইসহাক (রহ.), যিনি ৩০-এরও অধিক সাহাবি থেকে সরাসরি হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (সাহাবা-তাবেয়িগণকে) খাবারের মূল্য দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতে দেখেছি।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
উল্লিখিত প্রমাণসমূহ এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় হানাফি মাজহাবের বাইরেরও অনেক গবেষক আলিম টাকা দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় হওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের মধ্যে ড. ইউসুফ কারজাবি, ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

প্রশ্ন: ফিতরা কী দিয়ে দিতে হয়? নির্দিষ্ট খাদ্য দেওয়া কি জরুরি? টাকা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে কি? জানতে চাই। হামিদ আল কাউসার, চট্টগ্রাম
উত্তর: মূলত হাদিসে ছয়টি খাবারের যেকোনো একটি দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ (৩.৩ কেজি প্রায়) খাদ্য (ভুট্টা), যব, খেজুর, পনির অথবা কিশমিশ দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতাম। অন্য হাদিসে অর্ধ সা (১.৬৫ কেজি প্রায়) গমের কথা বর্ণিত হয়েছে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
উল্লিখিত খাবারগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি দিয়ে বর্ণিত পরিমাণ অনুযায়ী দান করলে সর্বসম্মতিক্রমে ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। তবে সরাসরি খাদ্য না দিয়ে তার বাজারমূল্য দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম মালিক, শাফিয়ি ও আহমদ (রহ.)-এর মতে, মূল্য দেওয়া যাবে না, সরাসরি খাদ্যপণ্য দিতে হবে। (আল মুগনি, কিতাবুল ফুরু)
তবে ইমাম আবু হানিফাসহ হানাফি মাজহাবের সব ফকিহ, হাসান বসরি, ওমর ইবনে আবদুল আজিজ, সুফইয়ান সাওরি, ইমাম বুখারি (রহ.)সহ অসংখ্য ইমামের মতে, হাদিসে বর্ণিত খাদ্যদ্রব্যসমূহের মূল্য দিয়েও সদাকাতুল ফিতর আদায় করা যাবে, বরং পরিস্থিতি বিবেচনায় তা উত্তম। (ফিকহুল ইবাদাত আলাল মাজহাবিল হানাফিয়ি)
আরেক দল আলিম বলেন, সাধারণ অবস্থায় খাদ্যদ্রব্য দিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু গরিবদের যদি খাদ্যদ্রব্যের চেয়ে নগদ টাকাপয়সার জরুরত বেশি হয়, তখন টাকা দিয়ে আদায় করা জায়েজ। এটাই ইবনে তাইমিয়া (রহ.)-এর মত। (হুকমু ইখরাজি জাকাতিল ফিতরি নকদান)
বোঝা গেল, অনেক আলিমের মতে, টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় সঠিক। এ বিষয়ে তাঁরা কয়েকটি প্রমাণ পেশ করে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
সহিহ বুখারির শিরোনামে এসেছে, মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) ইয়ামেনবাসীদের বললেন, ‘তোমরা যব ও ভুট্টার পরিবর্তে চাদর বা পরিধেয় বস্ত্র আমার কাছে সদাকাস্বরূপ নিয়ে আসো। এটা তোমাদের পক্ষেও সহজ এবং মদিনায় নবী (সা.)-এর সাহাবিগণের জন্যও উত্তম।’ এ কথার ব্যাখ্যায় বদরুদ্দিন আইনি (রহ.) বলেন, ‘মূল্য দিয়ে জাকাত ও সদাকাতুল ফিতর দেওয়া জায়েজ হওয়ার পক্ষে এই বর্ণনা আমাদের ইমামগণের দলিল। এ জন্যই ইবনে রুশাইদ (রহ.) বলেন, হানাফি মাজহাবের সঙ্গে অনেক মাসআলায় ইমাম বুখারির মতানৈক্য থাকলেও দলিলের দিক থেকে শক্তিশালী হওয়ায় এই মাসআলায় তিনি হানাফি মাজহাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।’ (উমদাতুল কারি)
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস কুররা (রহ.) বলেন, ‘আমাদের কাছে ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.)-এর ফরমান পৌঁছেছে যে সদাকাতুল ফিতর হচ্ছে প্রত্যেক (সামর্থ্যবান) ব্যক্তির পক্ষ থেকে অর্ধ সা গম কিংবা তার মূল্য হিসাবে অর্ধ দিরহাম প্রদান করা।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
বিশিষ্ট তাবেয়ি আবু ইসহাক (রহ.), যিনি ৩০-এরও অধিক সাহাবি থেকে সরাসরি হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (সাহাবা-তাবেয়িগণকে) খাবারের মূল্য দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতে দেখেছি।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
উল্লিখিত প্রমাণসমূহ এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় হানাফি মাজহাবের বাইরেরও অনেক গবেষক আলিম টাকা দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় হওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের মধ্যে ড. ইউসুফ কারজাবি, ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

প্রশ্ন: ফিতরা কী দিয়ে দিতে হয়? নির্দিষ্ট খাদ্য দেওয়া কি জরুরি? টাকা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে কি? জানতে চাই। হামিদ আল কাউসার, চট্টগ্রাম
উত্তর: মূলত হাদিসে ছয়টি খাবারের যেকোনো একটি দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ (৩.৩ কেজি প্রায়) খাদ্য (ভুট্টা), যব, খেজুর, পনির অথবা কিশমিশ দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতাম। অন্য হাদিসে অর্ধ সা (১.৬৫ কেজি প্রায়) গমের কথা বর্ণিত হয়েছে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
উল্লিখিত খাবারগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি দিয়ে বর্ণিত পরিমাণ অনুযায়ী দান করলে সর্বসম্মতিক্রমে ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। তবে সরাসরি খাদ্য না দিয়ে তার বাজারমূল্য দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম মালিক, শাফিয়ি ও আহমদ (রহ.)-এর মতে, মূল্য দেওয়া যাবে না, সরাসরি খাদ্যপণ্য দিতে হবে। (আল মুগনি, কিতাবুল ফুরু)
তবে ইমাম আবু হানিফাসহ হানাফি মাজহাবের সব ফকিহ, হাসান বসরি, ওমর ইবনে আবদুল আজিজ, সুফইয়ান সাওরি, ইমাম বুখারি (রহ.)সহ অসংখ্য ইমামের মতে, হাদিসে বর্ণিত খাদ্যদ্রব্যসমূহের মূল্য দিয়েও সদাকাতুল ফিতর আদায় করা যাবে, বরং পরিস্থিতি বিবেচনায় তা উত্তম। (ফিকহুল ইবাদাত আলাল মাজহাবিল হানাফিয়ি)
আরেক দল আলিম বলেন, সাধারণ অবস্থায় খাদ্যদ্রব্য দিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু গরিবদের যদি খাদ্যদ্রব্যের চেয়ে নগদ টাকাপয়সার জরুরত বেশি হয়, তখন টাকা দিয়ে আদায় করা জায়েজ। এটাই ইবনে তাইমিয়া (রহ.)-এর মত। (হুকমু ইখরাজি জাকাতিল ফিতরি নকদান)
বোঝা গেল, অনেক আলিমের মতে, টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় সঠিক। এ বিষয়ে তাঁরা কয়েকটি প্রমাণ পেশ করে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
সহিহ বুখারির শিরোনামে এসেছে, মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) ইয়ামেনবাসীদের বললেন, ‘তোমরা যব ও ভুট্টার পরিবর্তে চাদর বা পরিধেয় বস্ত্র আমার কাছে সদাকাস্বরূপ নিয়ে আসো। এটা তোমাদের পক্ষেও সহজ এবং মদিনায় নবী (সা.)-এর সাহাবিগণের জন্যও উত্তম।’ এ কথার ব্যাখ্যায় বদরুদ্দিন আইনি (রহ.) বলেন, ‘মূল্য দিয়ে জাকাত ও সদাকাতুল ফিতর দেওয়া জায়েজ হওয়ার পক্ষে এই বর্ণনা আমাদের ইমামগণের দলিল। এ জন্যই ইবনে রুশাইদ (রহ.) বলেন, হানাফি মাজহাবের সঙ্গে অনেক মাসআলায় ইমাম বুখারির মতানৈক্য থাকলেও দলিলের দিক থেকে শক্তিশালী হওয়ায় এই মাসআলায় তিনি হানাফি মাজহাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।’ (উমদাতুল কারি)
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস কুররা (রহ.) বলেন, ‘আমাদের কাছে ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.)-এর ফরমান পৌঁছেছে যে সদাকাতুল ফিতর হচ্ছে প্রত্যেক (সামর্থ্যবান) ব্যক্তির পক্ষ থেকে অর্ধ সা গম কিংবা তার মূল্য হিসাবে অর্ধ দিরহাম প্রদান করা।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
বিশিষ্ট তাবেয়ি আবু ইসহাক (রহ.), যিনি ৩০-এরও অধিক সাহাবি থেকে সরাসরি হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (সাহাবা-তাবেয়িগণকে) খাবারের মূল্য দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতে দেখেছি।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
উল্লিখিত প্রমাণসমূহ এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় হানাফি মাজহাবের বাইরেরও অনেক গবেষক আলিম টাকা দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় হওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের মধ্যে ড. ইউসুফ কারজাবি, ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

প্রশ্ন: ফিতরা কী দিয়ে দিতে হয়? নির্দিষ্ট খাদ্য দেওয়া কি জরুরি? টাকা দিয়ে দিলে তা আদায় হবে কি? জানতে চাই। হামিদ আল কাউসার, চট্টগ্রাম
উত্তর: মূলত হাদিসে ছয়টি খাবারের যেকোনো একটি দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ (৩.৩ কেজি প্রায়) খাদ্য (ভুট্টা), যব, খেজুর, পনির অথবা কিশমিশ দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতাম। অন্য হাদিসে অর্ধ সা (১.৬৫ কেজি প্রায়) গমের কথা বর্ণিত হয়েছে। (বুখারি, মুসলিম ও আবু দাউদ)
উল্লিখিত খাবারগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো একটি দিয়ে বর্ণিত পরিমাণ অনুযায়ী দান করলে সর্বসম্মতিক্রমে ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। তবে সরাসরি খাদ্য না দিয়ে তার বাজারমূল্য দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। ইমাম মালিক, শাফিয়ি ও আহমদ (রহ.)-এর মতে, মূল্য দেওয়া যাবে না, সরাসরি খাদ্যপণ্য দিতে হবে। (আল মুগনি, কিতাবুল ফুরু)
তবে ইমাম আবু হানিফাসহ হানাফি মাজহাবের সব ফকিহ, হাসান বসরি, ওমর ইবনে আবদুল আজিজ, সুফইয়ান সাওরি, ইমাম বুখারি (রহ.)সহ অসংখ্য ইমামের মতে, হাদিসে বর্ণিত খাদ্যদ্রব্যসমূহের মূল্য দিয়েও সদাকাতুল ফিতর আদায় করা যাবে, বরং পরিস্থিতি বিবেচনায় তা উত্তম। (ফিকহুল ইবাদাত আলাল মাজহাবিল হানাফিয়ি)
আরেক দল আলিম বলেন, সাধারণ অবস্থায় খাদ্যদ্রব্য দিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু গরিবদের যদি খাদ্যদ্রব্যের চেয়ে নগদ টাকাপয়সার জরুরত বেশি হয়, তখন টাকা দিয়ে আদায় করা জায়েজ। এটাই ইবনে তাইমিয়া (রহ.)-এর মত। (হুকমু ইখরাজি জাকাতিল ফিতরি নকদান)
বোঝা গেল, অনেক আলিমের মতে, টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় সঠিক। এ বিষয়ে তাঁরা কয়েকটি প্রমাণ পেশ করে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—
সহিহ বুখারির শিরোনামে এসেছে, মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) ইয়ামেনবাসীদের বললেন, ‘তোমরা যব ও ভুট্টার পরিবর্তে চাদর বা পরিধেয় বস্ত্র আমার কাছে সদাকাস্বরূপ নিয়ে আসো। এটা তোমাদের পক্ষেও সহজ এবং মদিনায় নবী (সা.)-এর সাহাবিগণের জন্যও উত্তম।’ এ কথার ব্যাখ্যায় বদরুদ্দিন আইনি (রহ.) বলেন, ‘মূল্য দিয়ে জাকাত ও সদাকাতুল ফিতর দেওয়া জায়েজ হওয়ার পক্ষে এই বর্ণনা আমাদের ইমামগণের দলিল। এ জন্যই ইবনে রুশাইদ (রহ.) বলেন, হানাফি মাজহাবের সঙ্গে অনেক মাসআলায় ইমাম বুখারির মতানৈক্য থাকলেও দলিলের দিক থেকে শক্তিশালী হওয়ায় এই মাসআলায় তিনি হানাফি মাজহাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।’ (উমদাতুল কারি)
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস কুররা (রহ.) বলেন, ‘আমাদের কাছে ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.)-এর ফরমান পৌঁছেছে যে সদাকাতুল ফিতর হচ্ছে প্রত্যেক (সামর্থ্যবান) ব্যক্তির পক্ষ থেকে অর্ধ সা গম কিংবা তার মূল্য হিসাবে অর্ধ দিরহাম প্রদান করা।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
বিশিষ্ট তাবেয়ি আবু ইসহাক (রহ.), যিনি ৩০-এরও অধিক সাহাবি থেকে সরাসরি হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (সাহাবা-তাবেয়িগণকে) খাবারের মূল্য দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতে দেখেছি।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
উল্লিখিত প্রমাণসমূহ এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় হানাফি মাজহাবের বাইরেরও অনেক গবেষক আলিম টাকা দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় হওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের মধ্যে ড. ইউসুফ কারজাবি, ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

মূলত হাদিসে ছয়টি খাবারের যেকোনো একটি দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ (৩.৩ কেজি প্রায়) খাদ্য (ভুট্টা), যব, খেজুর, পনির অথবা কিশমিশ দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতাম। অন্য হাদিসে অর্ধ সা (১.৬৫ কেজি প্রায়) গমের কথা বর্ণিত হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৫
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৭ ঘণ্টা আগেআবরার নাঈম

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

মূলত হাদিসে ছয়টি খাবারের যেকোনো একটি দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ (৩.৩ কেজি প্রায়) খাদ্য (ভুট্টা), যব, খেজুর, পনির অথবা কিশমিশ দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতাম। অন্য হাদিসে অর্ধ সা (১.৬৫ কেজি প্রায়) গমের কথা বর্ণিত হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৫
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

মূলত হাদিসে ছয়টি খাবারের যেকোনো একটি দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ (৩.৩ কেজি প্রায়) খাদ্য (ভুট্টা), যব, খেজুর, পনির অথবা কিশমিশ দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতাম। অন্য হাদিসে অর্ধ সা (১.৬৫ কেজি প্রায়) গমের কথা বর্ণিত হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৫
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।
রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।
রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

মূলত হাদিসে ছয়টি খাবারের যেকোনো একটি দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করার কথা এসেছে। আবু সাইদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ (৩.৩ কেজি প্রায়) খাদ্য (ভুট্টা), যব, খেজুর, পনির অথবা কিশমিশ দিয়ে সদাকাতুল ফিতর আদায় করতাম। অন্য হাদিসে অর্ধ সা (১.৬৫ কেজি প্রায়) গমের কথা বর্ণিত হয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৫
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৫ ঘণ্টা আগে