Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

দেশ-জাতির উন্নয়নে সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য অটুট রাখতে হবে

ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ফাইল ছবি

দায়িত্ব গ্রহণের ৯০ দিন পর আজকের পত্রিকার মুখোমুখি হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। হজ-ওমরাহর ব্যবস্থাপনা, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আধুনিকায়ন, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন-ভাতা, অন্য ধর্মাবলম্বীদের অধিকার বাস্তবায়ন, ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাসহ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইজাজুল হক

ইজাজুল হক
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮: ৪৮

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্যদের জন্য সরকারি খরচে হজে গমন বন্ধ করা এবং হজের খরচ কমানোর বিষয়টি প্রশংসিত হয়েছে। গত বছরের চেয়ে রিয়ালের দাম প্রায় ৩ টাকা করে বাড়ার পরও কীভাবে হজের খরচ কমালেন?

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন: হজের খরচের খাতগুলো হলো—বিমানভাড়া, হোটেল বা আবাসন ব্যয়, খাবার খরচ, মিনা-আরাফায় তাঁবুভাড়া ও সেখানে অবস্থানকালীন খাবার খরচ, স্বাস্থ্যবিমা, বৈদ্যুতিক চার্জ, জমজমের পানি, ভিসা ফি, হজ গাইড, প্রশিক্ষণ, হাজিকল্যাণ তহবিল ইত্যাদি। এখানে বিমানভাড়া ও হোটেলভাড়া ছাড়া অন্য খাতগুলোতে খরচ কমানোর সুযোগ নেই বললেই চলে। তাই আমরা বিমানভাড়া ও হোটেলভাড়া কমানোর দিকেই বেশি গুরুত্ব দিই। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে দুই দফা আলোচনার পর বিমানভাড়া ২৬ হাজার ৯৮০ টাকা কমানো হয়েছে। মক্কায় হারাম শরিফ থেকে হোটেলের দূরত্ব ও হোটেলের মানের তারতম্য অনুসারে হোটেলভাড়ার তারতম্য হয়ে থাকে। আমরা হারাম শরিফ থেকে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে সাধারণ হজ প্যাকেজ-১ নামে একটি প্যাকেজ এবং দেড় কিলোমিটারের মধ্যে সাধারণ হজ প্যাকেজ-২ নামে আরেকটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। ফলে রিয়ালের দাম বাড়ার পরও হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়েছে।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উন্নয়নে বড় ধরনের কোনো পরিকল্পনা আছে কি?

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন: বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদকে ঘিরে আমার বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। জাতীয় মসজিদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও সার্বিক পরিবেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের বিষয়ে মুসল্লিদের দাবি আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবেও তাঁদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করি। আমরা শিগগিরই ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আশা করি, এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় মসজিদের সার্বিক পরিবেশের উন্নতি ঘটবে।

গুটিকয়েক মসজিদ ছাড়া দেশের প্রায় সব মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পান না। তাঁদের জন্য সরকার কি কোনো ন্যূনতম পে-স্কেল গঠন করতে পারে, যা নিয়োগদাতারা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য থাকবেন?

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন: বাংলাদেশে সাড়ে ৩ লাখের মতো মসজিদ আছে। এ মসজিদগুলো কমিউনিটির মানুষের সহায়তায় গড়ে উঠেছে এবং কমিউনিটির মানুষের কন্ট্রিবিউশনেই ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন-ভাতা বা সম্মানীর ব্যবস্থা হয়ে থাকে। এটিই এ দেশের রেওয়াজ বা ঐতিহ্য। তবে সব মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা যাতে মোটামুটি সম্মানজনক বেতন-ভাতা পেতে পারেন, সে বিষয়ে সরকারিভাবে বেতনকাঠামো নির্ধারণ করে সেটা বাস্তবায়নের জন্য স্ব স্ব মসজিদ কমিটিকে অনুরোধ করার বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। যেসব মসজিদের আর্থিক অবস্থা ভালো, সেসব মসজিদ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বেতনকাঠামো বাস্তবায়ন করতে পারেন।

আইকনিক মসজিদ ও অ্যারাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটসহ সৌদি সরকার বাংলাদেশে বেশ কিছু প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত। এ বিষয়ে আপনার মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী?

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন: সৌদি সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে ৮টি এবং কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় আরেকটি মোট ৯টি আইকনিক মসজিদ এবং ঢাকায় একটি অ্যারাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইতিপূর্বে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। মসজিদ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। তবে অ্যারাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

সম্প্রতি হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি জানিয়ে সভা-সমাবেশ করে আসছে। তাদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে সরকার কী ভাবছে?

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন: বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সব নাগরিকের অধিকার সমান। হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন যে ৮ দফা দাবিতে সভা-সমাবেশ করছে, তাদের দাবিগুলো সরকারের উচ্চপর্যায়ে বিবেচনাধীন রয়েছে।

ডোনাল ট্রাম্প সম্প্রতি এক টুইটে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য কী?

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন: ডোনাল ট্রাম্পের এই অভিযোগ অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। সম্ভবত তিনি নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার কৌশল হিসেবে এমন অভিযোগ করেছিলেন। জুলাই বিপ্লবের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কিছু ঘটনা ঘটেছে—এটা সত্য; তবে এ সময়ে মুসলমানদের বাড়িঘরেও হামলা-নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এক শ্রেণির দুষ্কৃতকারী এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রকম ঘটনা ঘটেছে ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে। এটা কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সংকট হিসেবে চিত্রিত করার সুযোগ নেই। সরকার এ দেশের সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। একই সঙ্গে যেসব দুর্বৃত্ত এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রচলিত আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢেলে সাজানোর কথা বলেছেন আপনি। এ জন্য কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন: ইসলামিক ফাউন্ডেশন একটি বড় প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিনের কিছু সংকট রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে পেশাদারত্বের চরম অভাব রয়েছে। অনেকেই রাজনৈতিক পরিচয়ে দলবাজি করতে অতি উৎসাহী। ইসলামিক ফাউন্ডেশন যাতে প্রকৃত অর্থেই ইসলাম ধর্মের প্রচার-প্রসারে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। ইতিমধ্যেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছু রদবদল করা হয়েছে। অনেকের দপ্তর পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এখানে জনবলেরও বেশ সংকট রয়েছে। এ ছাড়া পদোন্নতিসংক্রান্ত জটিলতাও আছে, আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি।

আপনি সম্প্রতি এক বক্তৃতায় আলেমদের সংসদে পাঠানোর কথা বলেছেন। আলেমরা জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য কী কী করতে পারেন?

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন: বাংলাদেশের আলেমরা জনসম্পৃক্ত। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি পবিত্র জুমার নামাজে এ দেশের অসংখ্য মুসলমানের সঙ্গে আলেমদের যোগসূত্র তৈরি হয়। সংসদে জনপ্রতিনিধিত্ব করতে হলে আলেমদের ধর্মীয় সচেতনতার পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবেও সচেতন হতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণের ন্যায্য দাবিদাওয়ার বিষয়ে আলেমদের সম্পৃক্ত হতে হবে।

কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির বাস্তবায়ন কীভাবে সম্ভব বলে মনে করেন?

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন: এ বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। আমি ইতিমধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। বেফাক নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আশা করি ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।

বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে সহাবস্থান ও সহিষ্ণুতা বাড়াতে এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন কমাতে নাগরিকদের করণীয় কী?

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন: সুপ্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশের জনগণ অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে আমাদের এই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য অটুট রাখতে হবে। প্রত্যেক নাগরিক নিজের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে যেমন সচেতন থাকবেন, অন্য নাগরিকের অধিকার সম্পর্কেও সচেতন ও শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। দেশের প্রচলিত আইনকানুন মেনে চলতে হবে। ঠিক একইভাবে ধর্মীয় অনুশাসনের আলোকে সবার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মীয় কিছু বিষয়ে ভিন্নমত থেকেই অনেক সময় মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়। এসব মতানৈক্য থাকার পরও মুসলমানেরাও কাছাকাছি আসতে পারে। কারণ ইসলামের মৌলিক বিষয়ে কোনো মতবিরোধ নেই।

অধ্যাপনা ও ধর্মপ্রচারের মঞ্চ থেকে হঠাৎ রাষ্ট্রপরিচালনার মঞ্চে এলেন। এই স্বল্প মেয়াদের সরকারের প্রতি ছাত্র-জনতার প্রত্যাশাও অসীম। সব ধর্মের বিষয়গুলো আপনাকে দেখতে হচ্ছে। কেমন চাপ অনুভব করছেন সব মিলিয়ে?

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। আমার কর্মক্ষেত্র যেমন পরিবর্তন হয়েছে, তেমনি কর্মের পরিধিও পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ঘিরে মানুষের প্রত্যাশা পর্বতসম। বর্তমান বাস্তবতায় কিছু চ্যালেঞ্জও আছে। সবটা মিলিয়েই চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি মহান আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাব, ইনশা আল্লাহ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১১ মিনিট
ফজর০৫: ১২ মিনিট০৬: ৩১ মিনিট
জোহর১১: ৫৪ মিনিট০৩: ৩৭ মিনিট
আসর০৩: ৩৮ মিনিট০৫: ১২ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৪ মিনিট০৬: ৩৩ মিনিট
এশা০৬: ৩৪ মিনিট০৫: ১১ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যেভাবে অন্যদের ভুল শুধরে দিতেন নবীজি

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।

ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।

মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।

রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১০ মিনিট
ফজর০৫: ১১ মিনিট০৬: ৩০ মিনিট
জোহর১১: ৫৩ মিনিট০৩: ৩৬ মিনিট
আসর০৩: ৩৭ মিনিট০৫: ১২ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৪ মিনিট০৬: ৩৩ মিনিট
এশা০৬: ৩৪ মিনিট০৫: ১০ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মিসরে কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাসকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা

ইসলাম ডেস্ক 
৭০টি দেশকে হারিয়ে বাংলাদেশি হাফেজ আনাসের বিশ্বজয়। ছবি: সংগৃহীত
৭০টি দেশকে হারিয়ে বাংলাদেশি হাফেজ আনাসের বিশ্বজয়। ছবি: সংগৃহীত

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিমানবন্দরে সংবর্ধনায় অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস।
বিমানবন্দরে সংবর্ধনায় অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’

হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

হাফেজ আনাস ও তার ওস্তাদ শায়েখ নেছার আহমদ আন নাছিরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
হাফেজ আনাস ও তার ওস্তাদ শায়েখ নেছার আহমদ আন নাছিরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।

নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।

প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত