সাইফুদ্দীন বিন মোজাফফর

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন স্বভাবতই দর্শনার্থীদের এই অঞ্চলের তৎকালীন মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, আগ্রহ ও জীবনাচরণ বুঝতে সহায়তা করে। পাঠককে আমের রাজধানীখ্যাত এই জেলাকে ভিন্ন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দিতে আলোচ্য নিবন্ধে ওই অঞ্চলে এখনো অবশিষ্ট ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শনাবলির বিবরণ তুলে ধরা হলো।
ছোট সোনামসজিদ
বড় সোনামসজিদ ভারতের গৌড়ে আর ছোট সোনামসজিদ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে জানা যায়, মসজিদটি সুলতান আলাউদ্দীন শাহের রাজত্বকালে (১৪৯৪-১৫১৯) অলি মুহাম্মদ বিন আলী কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। পুরো মসজিদটি অলংকরণে যে টেরাকোটা ও টাইলসগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে সুলতানি আমলের নির্মাণশৈলীর পরিচয় ফুটে ওঠে। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৮২ ফুট ও প্রস্থ ৫২.৫ ফুট। মসজিদটিতে ১৫টি গম্বুজ রয়েছে, যা সুলতানি আমলে নির্মিত স্থাপত্যের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। এটি ভারতে অবস্থিত সোনামসজিদের চেয়ে আকারে ছোট এবং মসজিদের বাইরে অথবা শুধু গম্বুজগুলোতে একসময় সোনালি আস্তরণ ছিল; আর সে কারণেই স্থানীয় লোকজন কর্তৃক মসজিদটি ছোট সোনামসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের সমাধি এই মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।

দারাসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা
১৯৭০-এর দশকে কোনো এক কৃষকের লাঙলের নিচে প্রাচীন ইটের দেখা মেলে। তৈরি হয় রহস্য। রহস্যময় সেখান থেকে পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আবিষ্কৃত হয় এক প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়—দারাসবাড়ি মাদ্রাসার ধ্বংসাবশেষ। ‘দারাস’ আরবি শব্দ, যার অর্থ ‘পাঠ’। বাংলায় সুলতানি আমলে বর্তমান শিবগঞ্জের শাহবাজপুর ইউনিয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। দারাসবাড়ি মাদ্রাসাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় মনে করা হয়। মাদ্রাসাটির সুনাম তৎকালীন পুরো ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পাঠ নিতে আসতেন।
মাদ্রাসার পশ্চিমে রয়েছে এক বিশাল দিঘি। আর দিঘির পশ্চিম পাড়ে রয়েছে আরেক প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন, যা দারাসবাড়ি মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। মসজিদটির ছাদ এখন ভেঙে পড়ে আছে। সুলতানি আমলের এই মসজিদে মুসলিম মহিলাদের জন্যও নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা ছিল।

খঞ্জন দিঘির মসজিদ
প্রাচীন খনিয়া দিঘির পূর্ব পাশের তীর ঘেঁষে অবস্থিত পনেরো শতকের এই মসজিদটি দীর্ঘকাল জঙ্গলের ভেতর চাপা পড়ে ছিল। পরে জঙ্গল কমে গেলে মসজিদের ধ্বংসাবশেষ মানুষের চোখে পড়ে। একটি বড় গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি ‘রাজ বিবির মসজিদ’ নামেও পরিচিত। বর্তমানে মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। এখানে এখন স্থানীয় মুসল্লিগণ নিয়মিত নামাজ আদায় করেন।

তহখানা কমপ্লেক্স, তিন গম্বুজ মসজিদ ও শাহ নিয়ামতউল্লাহর মাজার
‘তহ’ ও ‘খানা’ ফারসি শব্দ। ‘তহ’ অর্থ ঠান্ডা। আর ‘খানা’ অর্থ ঘর। ‘তহখানা’ অর্থ ঠান্ডাঘর। মোগল সম্রাট শাহ সুজা (১৬১৬-৬১) তাঁর মুর্শিদ শাহ নিয়ামতউল্লাহকে ধর্ম প্রচারের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে স্থায়ী আস্তানা হিসেবে একটি ভবন নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। ভবনটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল—গ্রীষ্মকালেও ভবনের ভেতরে মোটামুটি শীতল থাকত। সেখানে থেকে তিনি দীর্ঘকাল ধর্ম প্রচার করেছেন। মুরিদদের জন্য সেখানে খাবারদাবার রান্না করা হতো। এখনো সেখানে বড় বড় উনুনের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। সম্রাট শাহ সুজা মাঝে মাঝে তাঁর মুর্শিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে তহখানায় থেকে যেতেন। শাহ নিয়ামতউল্লাহর অনেক কেরামতির জনশ্রুতি আজও লোকমুখে শোনা যায়।
শাহ নিয়ামতউল্লাহ ১০৮০ হিজরি সনে মৃত্যুবরণ করলে ঐতিহ্যবাহী তহখানা কমপ্লেক্স আঙিনায় তিন গম্বুজ মসজিদের উত্তর পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

ধনিয়াচক মসজিদ
বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যকীর্তির আরেক চমৎকার নিদর্শন ধনিয়াচক মসজিদ। মসজিদটি সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদের সামনে তিনটি, উত্তর ও দক্ষিণে দুটি করে আরও চারটি প্রবেশ পথ রয়েছে। মসজিদের স্থাপত্যশৈলী ও অসাধারণ টেরাকোটা চোখে পড়ার মতো।
এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাঁপাই জামে মসজিদ, হজরত বুলন শাহ মাজার, মহারাজপুর জামে মসজিদ, মাঝপাড়া জামে মসজিদসহ আরও অনেক স্থাপত্য নিদর্শন মুসলিম ঐতিহ্য বহন করে। এসব স্থাপত্য নিদর্শন থেকে আমরা বুঝতে পারি, ঐতিহাসিক কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সুলতানি আমল থেকে ইসলামি শিক্ষা-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ছিল।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন স্বভাবতই দর্শনার্থীদের এই অঞ্চলের তৎকালীন মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, আগ্রহ ও জীবনাচরণ বুঝতে সহায়তা করে। পাঠককে আমের রাজধানীখ্যাত এই জেলাকে ভিন্ন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দিতে আলোচ্য নিবন্ধে ওই অঞ্চলে এখনো অবশিষ্ট ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শনাবলির বিবরণ তুলে ধরা হলো।
ছোট সোনামসজিদ
বড় সোনামসজিদ ভারতের গৌড়ে আর ছোট সোনামসজিদ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে জানা যায়, মসজিদটি সুলতান আলাউদ্দীন শাহের রাজত্বকালে (১৪৯৪-১৫১৯) অলি মুহাম্মদ বিন আলী কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। পুরো মসজিদটি অলংকরণে যে টেরাকোটা ও টাইলসগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে সুলতানি আমলের নির্মাণশৈলীর পরিচয় ফুটে ওঠে। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৮২ ফুট ও প্রস্থ ৫২.৫ ফুট। মসজিদটিতে ১৫টি গম্বুজ রয়েছে, যা সুলতানি আমলে নির্মিত স্থাপত্যের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। এটি ভারতে অবস্থিত সোনামসজিদের চেয়ে আকারে ছোট এবং মসজিদের বাইরে অথবা শুধু গম্বুজগুলোতে একসময় সোনালি আস্তরণ ছিল; আর সে কারণেই স্থানীয় লোকজন কর্তৃক মসজিদটি ছোট সোনামসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের সমাধি এই মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।

দারাসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা
১৯৭০-এর দশকে কোনো এক কৃষকের লাঙলের নিচে প্রাচীন ইটের দেখা মেলে। তৈরি হয় রহস্য। রহস্যময় সেখান থেকে পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আবিষ্কৃত হয় এক প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়—দারাসবাড়ি মাদ্রাসার ধ্বংসাবশেষ। ‘দারাস’ আরবি শব্দ, যার অর্থ ‘পাঠ’। বাংলায় সুলতানি আমলে বর্তমান শিবগঞ্জের শাহবাজপুর ইউনিয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। দারাসবাড়ি মাদ্রাসাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় মনে করা হয়। মাদ্রাসাটির সুনাম তৎকালীন পুরো ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পাঠ নিতে আসতেন।
মাদ্রাসার পশ্চিমে রয়েছে এক বিশাল দিঘি। আর দিঘির পশ্চিম পাড়ে রয়েছে আরেক প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন, যা দারাসবাড়ি মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। মসজিদটির ছাদ এখন ভেঙে পড়ে আছে। সুলতানি আমলের এই মসজিদে মুসলিম মহিলাদের জন্যও নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা ছিল।

খঞ্জন দিঘির মসজিদ
প্রাচীন খনিয়া দিঘির পূর্ব পাশের তীর ঘেঁষে অবস্থিত পনেরো শতকের এই মসজিদটি দীর্ঘকাল জঙ্গলের ভেতর চাপা পড়ে ছিল। পরে জঙ্গল কমে গেলে মসজিদের ধ্বংসাবশেষ মানুষের চোখে পড়ে। একটি বড় গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি ‘রাজ বিবির মসজিদ’ নামেও পরিচিত। বর্তমানে মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। এখানে এখন স্থানীয় মুসল্লিগণ নিয়মিত নামাজ আদায় করেন।

তহখানা কমপ্লেক্স, তিন গম্বুজ মসজিদ ও শাহ নিয়ামতউল্লাহর মাজার
‘তহ’ ও ‘খানা’ ফারসি শব্দ। ‘তহ’ অর্থ ঠান্ডা। আর ‘খানা’ অর্থ ঘর। ‘তহখানা’ অর্থ ঠান্ডাঘর। মোগল সম্রাট শাহ সুজা (১৬১৬-৬১) তাঁর মুর্শিদ শাহ নিয়ামতউল্লাহকে ধর্ম প্রচারের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে স্থায়ী আস্তানা হিসেবে একটি ভবন নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। ভবনটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল—গ্রীষ্মকালেও ভবনের ভেতরে মোটামুটি শীতল থাকত। সেখানে থেকে তিনি দীর্ঘকাল ধর্ম প্রচার করেছেন। মুরিদদের জন্য সেখানে খাবারদাবার রান্না করা হতো। এখনো সেখানে বড় বড় উনুনের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। সম্রাট শাহ সুজা মাঝে মাঝে তাঁর মুর্শিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে তহখানায় থেকে যেতেন। শাহ নিয়ামতউল্লাহর অনেক কেরামতির জনশ্রুতি আজও লোকমুখে শোনা যায়।
শাহ নিয়ামতউল্লাহ ১০৮০ হিজরি সনে মৃত্যুবরণ করলে ঐতিহ্যবাহী তহখানা কমপ্লেক্স আঙিনায় তিন গম্বুজ মসজিদের উত্তর পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

ধনিয়াচক মসজিদ
বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যকীর্তির আরেক চমৎকার নিদর্শন ধনিয়াচক মসজিদ। মসজিদটি সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদের সামনে তিনটি, উত্তর ও দক্ষিণে দুটি করে আরও চারটি প্রবেশ পথ রয়েছে। মসজিদের স্থাপত্যশৈলী ও অসাধারণ টেরাকোটা চোখে পড়ার মতো।
এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাঁপাই জামে মসজিদ, হজরত বুলন শাহ মাজার, মহারাজপুর জামে মসজিদ, মাঝপাড়া জামে মসজিদসহ আরও অনেক স্থাপত্য নিদর্শন মুসলিম ঐতিহ্য বহন করে। এসব স্থাপত্য নিদর্শন থেকে আমরা বুঝতে পারি, ঐতিহাসিক কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সুলতানি আমল থেকে ইসলামি শিক্ষা-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ছিল।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়।
১৩ জুন ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়।
১৩ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়।
১৩ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়।
১৩ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১১ ঘণ্টা আগে