Ajker Patrika

১০ হাজার নারী মুহাদ্দিসের জীবনী সংকলনের গল্প

ইজাজুল হক
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৪, ০৮: ৫০
১০ হাজার নারী মুহাদ্দিসের জীবনী সংকলনের গল্প

প্রখ্যাত মুসলিম পণ্ডিত ড. মুহাম্মাদ আকরাম নদভি ১০ হাজার মুসলিম নারী স্কলারের জীবনকর্ম নিয়ে বিশাল এক বিশ্বকোষ রচনা করেন। জেদ্দার দারুল মিনহাজ থেকে প্রকাশিত আরবি ভাষায় রচিত ৪৩ খণ্ডের এ রচনা মুসলিম নারীদের জ্ঞানচর্চার এক সমৃদ্ধ অতীতকে আলোকিত করে তুলেছে। এই মহান কর্মযজ্ঞের পেছনের গল্প লিখেছেন ইজাজুল হক

ড. মুহাম্মাদ আকরাম নদভির জন্ম ও বেড়ে ওঠা ভারতে। শিক্ষাজীবন কেটেছে ভারতের দারুল উলুম নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ, লক্ষ্ণৌ বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরবের কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা করেন হাদিস, ফিকহ, আরবি ভাষা ও অর্থনীতি নিয়ে। বর্তমানে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক কলেজের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আরবি, উর্দু ও ইংরেজি মিলিয়ে তাঁর ৩০টির বেশি গবেষণাগ্রন্থ রয়েছে।

৪৩ খণ্ডের এই বিশ্বকোষের আরবি নাম ‘আল-ওয়াফা বি-আসমা আন-নিসা’। এতে স্থান পেয়েছে ইসলামের ইতিহাসের ১০ হাজার মুসলিম নারী হাদিসবিশারদের জীবন-কর্ম-অবদানের কথা। দীর্ঘ ১৫ বছর পুরো দুনিয়ার সমৃদ্ধ সব লাইব্রেরি চষে বেড়িয়ে লেখক এই সংকলন দাঁড় করিয়েছেন। কিন্তু কী এমন ঘটনা ঘটেছিল, যা তাঁকে এত বড় কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল? সম্প্রতি ভারতের ইংরেজি সাময়িকী অওরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেখক নিজেই তা খোলাসা করেছেন।

ড. আকরাম নদভি জানান, ১৯৯৪ সালের দিকে যুক্তরাজ্যের কয়েকটি সংবাদপত্রে মুসলিম নারী নিয়ে কিছু নেতিবাচক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তাতে মুসলিম বিশ্বে নারীদের শোচনীয় অবস্থার জন্য ইসলামকেই দোষারোপ করা হয়। প্রবন্ধগুলো পড়ে তিনি খুবই আহত হন। আকরাম নদভি মনে করেন, মুসলিম নারীদের এসব দুর্দশার জন্য ইসলাম মোটেও দায়ী নয়, যদিও যুগ যুগ ধরে মুসলিম নারীদের বিভিন্নভাবে বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। হাদিস নিয়ে গবেষণার সুবাদে তাঁর ভালো করেই জানা ছিল, ইসলামের প্রথম কয়েক যুগে নারীরা জ্ঞানচর্চায় অনেক বেশি এগিয়ে ছিলেন। হাদিসের বড় বড় পণ্ডিতের তালিকায় অনেক নারীর নাম রয়েছে। ড. নদভি ভাবলেন, সেসব মহীয়সী নারীর জীবনী পৃথিবীর সামনে তুলে ধরলে ইসলামের বিরুদ্ধে এসব অপবাদের একটি মোক্ষম জবাব হবে।

ড. আকরাম নদভি মনে করেন, বইটি রচনা করলে পশ্চিমের অমুসলিমরা যেমন মুসলিম নারীদের জ্ঞানচর্চার ধারা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানবে, তেমনি তা বর্তমান বিশ্বের পিছিয়ে পড়া মুসলিম নারীদের এগিয়ে যাওয়ারও বড় প্রেরণা হবে। এ ছাড়া নারীদের বিষয়ে অতিরক্ষণশীল আচরণকারী আলেমেরা জানতে পারবেন, আমাদের হারানো অতীতে নারীরা কত বেশি এগিয়ে ছিলেন। এসব কারণেই ড. নদভি এ বিশাল প্রকল্প হাতে নেন।

 ড. মুহাম্মাদ আকরাম নদভিড. নদভি আরও জানান, বিশ্বের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এ গবেষণাকাজে কোনো ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা করেনি। পুরো কাজটি একান্তই তিনি নিজে সম্পন্ন করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসেবে কাজ করার সময় থেকেই তিনি এই বিশ্বকোষ রচনার কাজ শুরু করেন। এরপর পুরো মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে পুরোনো পাণ্ডুলিপিগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার নারী স্কলারের জীবনী সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এত বেশি নারী মুহাদ্দিসের তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল, যা পরে ১০ হাজারে উন্নীত হয়।

ড. নদভি এই বিশ্বকোষে স্রেফ আরবি, উর্দু ও ইংরেজি ভাষার পাণ্ডুলিপি থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। ফারসি জানলেও ফারসি ভাষাসহ মধ্য এশিয়ার অন্যান্য ভাষা, উজবেক কিংবা তুর্কি সোর্স থেকে তথ্য নেন। ফলে তিনি মনে করেন, এ ক্ষেত্রে আরও কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

৪৩ খণ্ডের প্রথম খণ্ডটি মূলত বিশ্বকোষের ভূমিকা। এটি আরবি ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলায়ও ‘আল-মুহাদ্দিসাত’ নামে এটি বাংলা 
ভাষায়ও প্রকাশিত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৮ মিনিট
ফজর০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৯ মিনিট
জোহর১২: ০২ মিনিট০৩: ৪৫ মিনিট
আসর০৩: ৪৬ মিনিট০৫: ২১ মিনিট
মাগরিব০৫: ২৩ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মক্কা-মদিনায় এক মাসে প্রায় ৭ কোটি মুসল্লির সমাগম

ইসলাম ডেস্ক 
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।

কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের সতর্কবার্তা

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।

পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।

পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৮ মিনিট
ফজর০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৯ মিনিট
জোহর১২: ০১ মিনিট০৩: ৪৪ মিনিট
আসর০৩: ৪৫ মিনিট০৫: ২০ মিনিট
মাগরিব০৫: ২২ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত