Ajker Patrika

বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান

ইসলাম ডেস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান

প্রায় ৩০ হাজার একর জায়গা নিয়ে গঠিত আল-আহসা খেজুর মরূদ্যান। আরবের বিস্তীর্ণ মরুর বুকে এক সুবিশাল সবুজের সমারোহ। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান। প্রায় ৩০ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে এখানে।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্বাঞ্চলের কাসিম প্রদেশের আল-আহসা জেলায় এই বাগানের অবস্থান। এই বিশাল বাগানের কারণে আল-আহসা জেলাটি দেশের সবচেয়ে সবুজ ও উর্বর এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আল-আহসার ইতিহাস
আরবি ‘আহসা’ শব্দটি মূলত ‘হাসা’ শব্দের বহুবচন। আরবিতে প্রবহমান ঝরনার কলকল শব্দকেই হাসা বলা হয়। এই অঞ্চলে পানির ব্যাপক উপস্থিতির কারণেই জায়গাটির নাম আল-আহসা হয়েছে। মরুর বুকে স্বাদু পানির উপস্থিতির কারণে আল-আহসা প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের পদচারণায় মুখর। এ কারণে দেখা যায়, আল-আহসা মরূদ্যান আরব উপদ্বীপের সবচেয়ে প্রাচীন জনবসতিগুলোর একটি। ইসলামের আবির্ভাবের অনেক আগেই এই অঞ্চলের সঙ্গে প্রাচীন লেভান্ত (সিরিয়া, ইসরায়েল, জর্ডান, লেবানন, ফিলিস্তিন, তুরস্ক, গ্রিস এবং লিবিয়ার কিছু অংশ), মিসরীয় এবং মেসোপটেমিয়া সভ্যতার যোগাযোগ ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেমিষ্টি পানির প্রাচুর্যের কারণে আল-আহসার আশপাশে কৃষিভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন থেকে জানা যায়, এ অঞ্চলের মানুষ খাল খনন এবং সেচের ব্যবস্থা করে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করতে শিখেছিল। পুরো আরব উপদ্বীপের মধ্যে আল-আহসাই একমাত্র স্থান, যেখানে চাল উৎপন্ন হতো। 

প্রাচীনকাল থেকেই বণিকেরা আল-আহসাকে যাত্রাপথের বিরতি হিসেবে ব্যবহার করত। মরিচ, ধূপসহ নানাবিধ পণ্যবাহী কাফেলাগুলোর নিয়মিত যাত্রাপথ ছিল এই স্থানটি। ফলে আল-আহসা নগরী ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে শুরু করে। এখানকার মানুষেরা কৃষিকাজ ছাড়াও কাপড় বোনা, সেলাইসহ বিভিন্ন হস্তশিল্পে দক্ষ ছিল। ধারণা করা হয়, ১০০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি আল-আহসার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। এটি ছিল তৎকালীন বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর। 

যা আছে আল-আহসায়
৩০ লাখ খেজুর গাছ ছাড়াও আল-আহসায় আছে নানা জাতের শস্য এবং ফলমূলের বৃক্ষ। খেজুর বাগান থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫ টন খেজুর উৎপাদন করা হয়। খালাসা খেজুরসহ বিশ্বের সবচেয়ে সুস্বাদু এবং বিখ্যাত জাতের কিছু খেজুরের উৎপত্তিস্থল হিসেবে আল-আহসা বিখ্যাত। কৃষিকাজের জন্য আল-আহসার জনগণ নির্ভর করে এর অনেকগুলো প্রাকৃতিক ঝরনার ওপর। আহসা মরূদ্যানে এ রকম ঝরনার সংখ্যা অন্তত ৬৫টি। এর মধ্যে শুধু স্বাদু পানির ঝরনাই না, আছে উষ্ণ পানির প্রস্রবণও, যেগুলোর কয়েকটির তাপমাত্রা কখনো কখনো ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়। 

২০১৮ সালে ইউনেসকো আল-আহসাকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেআল-আহসার অধিকাংশ স্থানেই ভূ-গর্ভের ৫০০ থেকে ৬০০ ফুট গভীরে পানি পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু স্থানে ঝরনাগুলো ভূ-পৃষ্ঠের ৪০-৫০ ফুট গভীরতার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হয়, যেখান থেকে সহজেই যন্ত্রের সাহায্যে পানি উত্তোলন করে ব্যবহার করা যায়। আহসার সর্ববৃহৎ ঝরনাগুলোতে গড়ে প্রতি মিনিটে ২০ হাজার গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়। সবগুলো ঝরনা দ্বারা একত্রে প্রতি মিনিটে প্রায় দেড় লাখ গ্যালন পানি প্রবাহিত হয়। 

বেশ কিছু স্থানে পানি ভূ-পৃষ্ঠে উঠে এসে ঝরনা এবং হ্রদের সৃষ্টি করে। এই হ্রদগুলো দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদেরও আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র। মানুষ এখানে বনভোজন করার জন্য বা গোসল করার জন্য, কিংবা নিছক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্যও বেড়াতে আসে। এসব হ্রদের এবং ঝরনার পাশে বিভিন্ন স্থানে নারীদের জন্যও স্নানঘরের ব্যবস্থা রাখা আছে। 

সৌদি আরবের অন্যতম বাণিজ্য নগরী
শুধু পর্যটন কেন্দ্রই নয়, আল-আহসা একই সঙ্গে সৌদি আরবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও বাণিজ্য নগরী। ত্রিশের দশকে নিকটবর্তী দাম্মাম শহরে খনিজ তেল আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই আহসা জেলাটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে শুরু করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আল-গাওয়ার অয়েল ফিল্ডের অবস্থান এই আহসা জেলাতেই। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় পৌনে ৪০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।

পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত হওয়ায় আল-আহসা দীর্ঘদিন পর্যন্ত ‘আরবের প্রবেশপথ’ নামে পরিচিত ছিল। ইসলামের শুরুর দিকে আরবের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত অঞ্চলগুলো থেকে আগত হজযাত্রীদের প্রতিটি কাফেলা আল-আহসার ওপর দিয়েই মক্কার দিকে অগ্রসর হতো। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এটি ছিল ইয়েমেন এবং ইরাকে যাতায়াতের মধ্যে প্রধান ট্রানজিট। এখনো পর্যন্ত এই এলাকাটি সৌদি আরব থেকে পার্শ্ববর্তী আরব আমিরাত, কাতার এবং ওমানে যাওয়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মক্কা-মদিনায় এক মাসে প্রায় ৭ কোটি মুসল্লির সমাগম

ইসলাম ডেস্ক 
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।

কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের সতর্কবার্তা

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।

পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।

পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৮ মিনিট
ফজর০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৯ মিনিট
জোহর১২: ০১ মিনিট০৩: ৪৪ মিনিট
আসর০৩: ৪৫ মিনিট০৫: ২০ মিনিট
মাগরিব০৫: ২২ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় ৫০০ কোরআনের হাফেজকে রাজকীয় সংবর্ধনা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্‌যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।

আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।

তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।

রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।

অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।

সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত