ইজাজুল হক, ঢাকা

নশ্বর পৃথিবীতে বিরামহীন বয়ে চলে সময়। দিন যায়, রাত আসে। সপ্তাহ-মাস পেরিয়ে এক সময় ফুরিয়ে যায় বছরও। পৃথিবীর সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত এ নিয়মেই ঘুরছে সময়ের চাকা। মহান আল্লাহ চাঁদ-সূর্যের গতির সঙ্গে জুড়ে দেন সময়ের হিসাব। পৃথিবী যত দিন টিকে থাকবে, চাঁদ-সূর্যের নিয়মিত পথচলাও থামবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনিই সূর্যকে উজ্জ্বল আলোময় ও চাঁদকে স্নিগ্ধ আলোময় করেছেন এবং তাদের গতিপথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যেন তোমরা বছর গুনতে পারো এবং সময়ের হিসাব করতে পারো।’ (সুরা ইউনুস: ৫)
সময়ের এই অমোঘ নিয়ম লঙ্ঘিত হওয়ার নয়। তবে কখনো-কখনো মহান আল্লাহ তাঁর অসীম ক্ষমতার প্রকাশ ঘটাতে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন বলে কোরআন-হাদিসের ভাষ্য থেকে জানা যায়। সেসব ঘটনার একটি উজাইর (আ.)-এর ঘটনা। তিনি ছিলেন এমন এক মহান ব্যক্তি, যাঁর জন্য সময় এক শ বছর থেমে গিয়েছিল। এক শ বছর পর্যন্ত সময়ের কোনো প্রভাব তাঁকে স্পর্শ করেনি। এই ঘটনা ঘটেছে ইসা (আ.)–এর জন্মের বেশ আগে কোনো এক সময়ে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা পরকালে বিশ্বাসের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে কয়েকটি ঘটনা বয়ান করেছেন—উজাইর (আ.)-এর এ ঘটনা সেগুলোর একটি।
কোরআনের বর্ণনায় উজাইর (আ.)-এর ঘটনা
পরকাল সম্পর্কে মানুষের কৌতূহল নতুন নয়। এমনকি নবীদের অনেকেই পরকাল সম্পর্কে মহান আল্লাহকে জিজ্ঞেস করেছেন। যা মরে যায়, পচে-গলে মাটির সঙ্গে মিশে যায় এবং পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তা কীভাবে ফের হুবহু আগের মতো করে হাশরের ময়দানে জীবিত করা হবে, তা নিয়ে মানুষের সংশয়, কৌতূহল ও অবিশ্বাসের অন্ত নেই। তবে মানুষের এই সংশয় দূর করতে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন আঙ্গিকে যুক্তি তুলে ধরেছেন। তুলে এনেছেন অতীতের অনেক ঘটনাও।
তেমনি একটি ঘটনার অবতারণা করে আল্লাহ তাআলা বলেন— অথবা সেই ব্যক্তির মতো, যে বাড়িঘর ভেঙে ছাদের ওপর বিধ্বস্ত হয়ে থাকা এক জনপদ হয়ে যাচ্ছিল। সে বলল, ‘মরে যাওয়ার পর আল্লাহ একে কীভাবে জীবিত করবেন?’ এরপর আল্লাহ তাঁকে এক শ বছর মৃত রাখলেন। এরপর ফের জীবিত করলেন এবং বললেন, ‘তুমি কত দিন এভাবে ছিলে?’ সে বলল, ‘একদিন বা একদিনেরও কিছু কম সময়।’ তিনি বললেন, ‘বরং তুমি এক শ বছর এভাবে ছিলে। তোমার পানাহারের উপকরণগুলো দেখো, পচেনি। আর তোমার গাধাকে দেখো, আর আমি যেন তোমাকে মানুষের জন্য উদাহরণ বানাতে পারি, হাড়গুলো দেখো, কীভাবে আমি তা জুড়ে দেই এবং তাতে মাংসের আবরণ পরিয়ে দেই।’ পরে যখন তার কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হলো, তখন সে বলল, ‘আমি জানি, আল্লাহ সবকিছুই করার ক্ষমতা রাখেন।’ (সুরা বাকারা: ২৫৯)
ইবনে কাসির (রহ.) আয়াতের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন
আয়াতে উজাইর (আ.)-এর কথা উল্লেখ না থাকলেও প্রসিদ্ধ মতে তাঁর সম্পর্কেই এ আয়াত নাজিল হয়েছে। বুখতানাসসার নামের এক জালিম শাসক ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাসে গণহত্যা চালান এবং পুরো বসতি ধ্বংস করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। একজন মানুষও জীবিত ছাড়েননি। সেই বিরান জেরুজালেম হয়েই যাচ্ছিলেন উজাইর (আ.)। তখন জনশূন্য বসতির এই ধ্বংসস্তূপ দেখে তাঁর মনে কৌতূহল জেগেছিল, এমন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া জনপদকে কেমন করে মহান আল্লাহ হাশরের ময়দানে ফের জীবিত করবেন। তখন আল্লাহ তাঁকেই মৃত্যু দেন এবং সেই স্থানে রেখে দেন।
এরপর কেটে যায় এক শ বছর। শহরটি আবার নতুন প্রাণে সজীব হয়ে ওঠে। বনি ইসরাইল শহরে ফিরে এসে নতুনভাবে বাঁচতে শুরু করে। তখন আল্লাহ তাআলা উজাইর (আ.)-কে ফের জীবিত করেন। প্রথমে তাঁর দুই চোখে প্রাণ ফিরিয়ে দেন, যাতে দেহের বাকি অংশ কীভাবে ফের প্রাণ ফিরে পাচ্ছে, তা দেখে তিনি শিখতে পারেন।
পুরো দেহে প্রাণ ফিরলে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতার মাধ্যমে তাঁকে প্রশ্ন শুরু করেন—কত দিন এভাবে ছিলে। যেহেতু দিনের শুরুতেই মারা গিয়েছিলেন এবং এখনো দিনের কিছু অংশ বাকি আছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁর উত্তর ছিল—একদিন বা তারও কম সময়। কিন্তু আল্লাহ তাঁর দাবি নাকচ করে দিয়ে বললেন—এক শ বছর পর তোমাকে জীবিত করেছি। সুতরাং পরকালেও এভাবেই জীবিত করা হবে।
উজাইর (আ.)-এর চোখ বিস্ময়ে ছানাবড়া হওয়ার আগেই আল্লাহ দলিল উপস্থাপন করে দিলেন। বললেন, দেখো, তোমার দেহের মতো এখানে যে আঙুর, তীনফল ও শরবত ছিল, তা হুবহুই রেখে দিয়েছি, এগুলোর স্বাদ-গন্ধে কোনো পরিবর্তন আনিনি, তবে তোমার যে গাধাটি ছিল, তা দেখো পচে-গলে একাকার হয়ে গেছে এবং কীভাবে তা আমি ফের জীবিত করছি; দেখো, কীভাবে হাড়গুলো জোড়া লাগিয়ে মাংসের প্রলেপ দিয়ে দিচ্ছি। চোখের সামনে এমন আশ্চর্য ঘটনা দেখে উজাইর (আ.)-এর কাছে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যায় যে, আল্লাহ সবকিছুই পারেন। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ১ / ৬৮৭-৬৮৯)
উজাইর (আ.) কি নবী ছিলেন
উজাইর (আ.) একজন আল্লাহর প্রিয় বান্দা ছিলেন এটুকুতে কারও দ্বিমত নেই। নবী ছিলেন কি না তা নিয়ে মুফাসসিরদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। প্রসিদ্ধ মতে, তিনি নবী ছিলেন। ইবনে কাসির (রহ.) এই মত গ্রহণ করেছেন। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)
তবে অনেকের মতে, তিনি যে নবী ছিলেন, এর পক্ষে কোরআন-হাদিসে কোনো দলিল পাওয়া যায় না। বরং হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আমি জানি না তুব্বা বাদশাহ অভিশপ্ত, নাকি নয়। আমি জানি না উজাইর নবী; নাকি নয়।’ তাই তাঁকে নবী বলা উচিত হবে না। তবে এই হাদিসের সনদ অনেকেই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। যাই হোক, এ ঘটনার শিক্ষার সঙ্গে তাঁর নবী হওয়া-না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
ঘটনার শিক্ষা হলো, সময়ের নিয়ন্ত্রণ আল্লাহরই হাতে। তিনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। পরকালে তিনি সব সৃষ্টিকে ফের জীবিত করে কর্মফল দেবেন। তাই সময় থাকতে পরকালের প্রস্তুতি নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। একটি বছর ফুরিয়ে নতুন বছরের যাত্রা শুরু হলো, এই বছরটিও একদিন ফুরিয়ে যাবে। এভাবেই আমরা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই মৃত্যুর পরের জীবনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এখনই। আল্লাহ বলেন, ‘যেদিন চোখ স্থির হয়ে যাবে, চাঁদ আলো হারাবে, সূর্য ও চাঁদকে এক জায়গায় করা হবে, সেদিন মানুষ বলবে—পালাব কোথায়?’ (সুরা কিয়ামা: ৭-১০)

নশ্বর পৃথিবীতে বিরামহীন বয়ে চলে সময়। দিন যায়, রাত আসে। সপ্তাহ-মাস পেরিয়ে এক সময় ফুরিয়ে যায় বছরও। পৃথিবীর সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত এ নিয়মেই ঘুরছে সময়ের চাকা। মহান আল্লাহ চাঁদ-সূর্যের গতির সঙ্গে জুড়ে দেন সময়ের হিসাব। পৃথিবী যত দিন টিকে থাকবে, চাঁদ-সূর্যের নিয়মিত পথচলাও থামবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনিই সূর্যকে উজ্জ্বল আলোময় ও চাঁদকে স্নিগ্ধ আলোময় করেছেন এবং তাদের গতিপথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যেন তোমরা বছর গুনতে পারো এবং সময়ের হিসাব করতে পারো।’ (সুরা ইউনুস: ৫)
সময়ের এই অমোঘ নিয়ম লঙ্ঘিত হওয়ার নয়। তবে কখনো-কখনো মহান আল্লাহ তাঁর অসীম ক্ষমতার প্রকাশ ঘটাতে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন বলে কোরআন-হাদিসের ভাষ্য থেকে জানা যায়। সেসব ঘটনার একটি উজাইর (আ.)-এর ঘটনা। তিনি ছিলেন এমন এক মহান ব্যক্তি, যাঁর জন্য সময় এক শ বছর থেমে গিয়েছিল। এক শ বছর পর্যন্ত সময়ের কোনো প্রভাব তাঁকে স্পর্শ করেনি। এই ঘটনা ঘটেছে ইসা (আ.)–এর জন্মের বেশ আগে কোনো এক সময়ে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা পরকালে বিশ্বাসের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে কয়েকটি ঘটনা বয়ান করেছেন—উজাইর (আ.)-এর এ ঘটনা সেগুলোর একটি।
কোরআনের বর্ণনায় উজাইর (আ.)-এর ঘটনা
পরকাল সম্পর্কে মানুষের কৌতূহল নতুন নয়। এমনকি নবীদের অনেকেই পরকাল সম্পর্কে মহান আল্লাহকে জিজ্ঞেস করেছেন। যা মরে যায়, পচে-গলে মাটির সঙ্গে মিশে যায় এবং পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তা কীভাবে ফের হুবহু আগের মতো করে হাশরের ময়দানে জীবিত করা হবে, তা নিয়ে মানুষের সংশয়, কৌতূহল ও অবিশ্বাসের অন্ত নেই। তবে মানুষের এই সংশয় দূর করতে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন আঙ্গিকে যুক্তি তুলে ধরেছেন। তুলে এনেছেন অতীতের অনেক ঘটনাও।
তেমনি একটি ঘটনার অবতারণা করে আল্লাহ তাআলা বলেন— অথবা সেই ব্যক্তির মতো, যে বাড়িঘর ভেঙে ছাদের ওপর বিধ্বস্ত হয়ে থাকা এক জনপদ হয়ে যাচ্ছিল। সে বলল, ‘মরে যাওয়ার পর আল্লাহ একে কীভাবে জীবিত করবেন?’ এরপর আল্লাহ তাঁকে এক শ বছর মৃত রাখলেন। এরপর ফের জীবিত করলেন এবং বললেন, ‘তুমি কত দিন এভাবে ছিলে?’ সে বলল, ‘একদিন বা একদিনেরও কিছু কম সময়।’ তিনি বললেন, ‘বরং তুমি এক শ বছর এভাবে ছিলে। তোমার পানাহারের উপকরণগুলো দেখো, পচেনি। আর তোমার গাধাকে দেখো, আর আমি যেন তোমাকে মানুষের জন্য উদাহরণ বানাতে পারি, হাড়গুলো দেখো, কীভাবে আমি তা জুড়ে দেই এবং তাতে মাংসের আবরণ পরিয়ে দেই।’ পরে যখন তার কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হলো, তখন সে বলল, ‘আমি জানি, আল্লাহ সবকিছুই করার ক্ষমতা রাখেন।’ (সুরা বাকারা: ২৫৯)
ইবনে কাসির (রহ.) আয়াতের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন
আয়াতে উজাইর (আ.)-এর কথা উল্লেখ না থাকলেও প্রসিদ্ধ মতে তাঁর সম্পর্কেই এ আয়াত নাজিল হয়েছে। বুখতানাসসার নামের এক জালিম শাসক ফিলিস্তিনের বায়তুল মোকাদ্দাসে গণহত্যা চালান এবং পুরো বসতি ধ্বংস করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। একজন মানুষও জীবিত ছাড়েননি। সেই বিরান জেরুজালেম হয়েই যাচ্ছিলেন উজাইর (আ.)। তখন জনশূন্য বসতির এই ধ্বংসস্তূপ দেখে তাঁর মনে কৌতূহল জেগেছিল, এমন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া জনপদকে কেমন করে মহান আল্লাহ হাশরের ময়দানে ফের জীবিত করবেন। তখন আল্লাহ তাঁকেই মৃত্যু দেন এবং সেই স্থানে রেখে দেন।
এরপর কেটে যায় এক শ বছর। শহরটি আবার নতুন প্রাণে সজীব হয়ে ওঠে। বনি ইসরাইল শহরে ফিরে এসে নতুনভাবে বাঁচতে শুরু করে। তখন আল্লাহ তাআলা উজাইর (আ.)-কে ফের জীবিত করেন। প্রথমে তাঁর দুই চোখে প্রাণ ফিরিয়ে দেন, যাতে দেহের বাকি অংশ কীভাবে ফের প্রাণ ফিরে পাচ্ছে, তা দেখে তিনি শিখতে পারেন।
পুরো দেহে প্রাণ ফিরলে আল্লাহ তাআলা ফেরেশতার মাধ্যমে তাঁকে প্রশ্ন শুরু করেন—কত দিন এভাবে ছিলে। যেহেতু দিনের শুরুতেই মারা গিয়েছিলেন এবং এখনো দিনের কিছু অংশ বাকি আছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁর উত্তর ছিল—একদিন বা তারও কম সময়। কিন্তু আল্লাহ তাঁর দাবি নাকচ করে দিয়ে বললেন—এক শ বছর পর তোমাকে জীবিত করেছি। সুতরাং পরকালেও এভাবেই জীবিত করা হবে।
উজাইর (আ.)-এর চোখ বিস্ময়ে ছানাবড়া হওয়ার আগেই আল্লাহ দলিল উপস্থাপন করে দিলেন। বললেন, দেখো, তোমার দেহের মতো এখানে যে আঙুর, তীনফল ও শরবত ছিল, তা হুবহুই রেখে দিয়েছি, এগুলোর স্বাদ-গন্ধে কোনো পরিবর্তন আনিনি, তবে তোমার যে গাধাটি ছিল, তা দেখো পচে-গলে একাকার হয়ে গেছে এবং কীভাবে তা আমি ফের জীবিত করছি; দেখো, কীভাবে হাড়গুলো জোড়া লাগিয়ে মাংসের প্রলেপ দিয়ে দিচ্ছি। চোখের সামনে এমন আশ্চর্য ঘটনা দেখে উজাইর (আ.)-এর কাছে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যায় যে, আল্লাহ সবকিছুই পারেন। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ১ / ৬৮৭-৬৮৯)
উজাইর (আ.) কি নবী ছিলেন
উজাইর (আ.) একজন আল্লাহর প্রিয় বান্দা ছিলেন এটুকুতে কারও দ্বিমত নেই। নবী ছিলেন কি না তা নিয়ে মুফাসসিরদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। প্রসিদ্ধ মতে, তিনি নবী ছিলেন। ইবনে কাসির (রহ.) এই মত গ্রহণ করেছেন। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)
তবে অনেকের মতে, তিনি যে নবী ছিলেন, এর পক্ষে কোরআন-হাদিসে কোনো দলিল পাওয়া যায় না। বরং হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আমি জানি না তুব্বা বাদশাহ অভিশপ্ত, নাকি নয়। আমি জানি না উজাইর নবী; নাকি নয়।’ তাই তাঁকে নবী বলা উচিত হবে না। তবে এই হাদিসের সনদ অনেকেই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। যাই হোক, এ ঘটনার শিক্ষার সঙ্গে তাঁর নবী হওয়া-না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
ঘটনার শিক্ষা হলো, সময়ের নিয়ন্ত্রণ আল্লাহরই হাতে। তিনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। পরকালে তিনি সব সৃষ্টিকে ফের জীবিত করে কর্মফল দেবেন। তাই সময় থাকতে পরকালের প্রস্তুতি নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। একটি বছর ফুরিয়ে নতুন বছরের যাত্রা শুরু হলো, এই বছরটিও একদিন ফুরিয়ে যাবে। এভাবেই আমরা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই মৃত্যুর পরের জীবনের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এখনই। আল্লাহ বলেন, ‘যেদিন চোখ স্থির হয়ে যাবে, চাঁদ আলো হারাবে, সূর্য ও চাঁদকে এক জায়গায় করা হবে, সেদিন মানুষ বলবে—পালাব কোথায়?’ (সুরা কিয়ামা: ৭-১০)

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

পৃথিবীর সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত এ নিয়মেই ঘুরছে সময়ের চাকা। মহান আল্লাহ চাঁদ-সূর্যের গতির সঙ্গে জুড়ে দেন সময়ের হিসাব। পৃথিবী যত দিন টিকে থাকবে, চাঁদ-সূর্যের নিয়মিত পথচলাও থামবে না।
০১ জানুয়ারি ২০২৩
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

পৃথিবীর সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত এ নিয়মেই ঘুরছে সময়ের চাকা। মহান আল্লাহ চাঁদ-সূর্যের গতির সঙ্গে জুড়ে দেন সময়ের হিসাব। পৃথিবী যত দিন টিকে থাকবে, চাঁদ-সূর্যের নিয়মিত পথচলাও থামবে না।
০১ জানুয়ারি ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

পৃথিবীর সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত এ নিয়মেই ঘুরছে সময়ের চাকা। মহান আল্লাহ চাঁদ-সূর্যের গতির সঙ্গে জুড়ে দেন সময়ের হিসাব। পৃথিবী যত দিন টিকে থাকবে, চাঁদ-সূর্যের নিয়মিত পথচলাও থামবে না।
০১ জানুয়ারি ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

পৃথিবীর সূচনা থেকে আজ পর্যন্ত এ নিয়মেই ঘুরছে সময়ের চাকা। মহান আল্লাহ চাঁদ-সূর্যের গতির সঙ্গে জুড়ে দেন সময়ের হিসাব। পৃথিবী যত দিন টিকে থাকবে, চাঁদ-সূর্যের নিয়মিত পথচলাও থামবে না।
০১ জানুয়ারি ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৮ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১২ ঘণ্টা আগে