Ajker Patrika

জান্নাতের সুখবরপ্রাপ্ত ১০ সাহাবি

ড. এ. এন. এম. মাসউদুর রহমান
জান্নাতের সুখবরপ্রাপ্ত ১০ সাহাবি

পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-এর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সব সাহাবির প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টি প্রকাশের কথা এসেছে। তাই ইসলামি বিশ্বাসমতে, সাহাবিরা সবাই জান্নাতি। তবে তাঁদের মধ্যে এমন কিছু মর্যাদাবান সাহাবি রয়েছেন, যাঁদের বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মহানবী (সা.) দুনিয়ায় থাকতেই তাঁদের জান্নাতি বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। হাদিসের পরিভাষায় তাঁদের ‘আশারা মুবাশ্শারা’ বা ‘সুখবরপ্রাপ্ত ১০ সাহাবি’ বলা হয়। বিশুদ্ধ হাদিসগ্রন্থে তাঁদের আলোচনা এসেছে। এখানে তাঁদের নাম-পরিচয় তুলে ধরা হলো।

আবু বকর সিদ্দিক (রা.): প্রকৃত নাম আব্দুল্লাহ ইবনে ওসমান ইবনে আবু কুহাফা আমর। উপাধি আতিক ও সিদ্দিক। পুরুষদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁর হাতে হজরত উসমান, যুবাইর, তালহা, আব্দুর রহমান ইবনে আউফসহ অনেক বড় বড় সাহাবি ইসলাম গ্রহণ করেন। মহানবী (সা.)-এর হিজরতের সাথি ছিলেন। ইসলামের প্রথম খলিফা ছিলেন এবং ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। মহানবী তাঁর মেয়ে আয়েশা (রা.)-কে বিয়ে করেছিলেন।

ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.): ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ছিলেন এবং প্রায় ১১ বছর খেলাফত পরিচালনা করেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর হাতে ইসলামকে শক্তিশালী করেন। মহানবী (সা.) তাঁর কন্যা হাফসাকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি মুসলিম খেলাফতকে বিভিন্নভাবে সংস্কার করেন এবং নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী গঠন করেন। তাঁর খেলাফতকাল সব যুগের অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে পরিগণিত।

ওসমান ইবনে আফফান (রা.): ইসলামের তৃতীয় খলিফা ছিলেন এবং তাঁর খেলাফতকাল ছিল প্রায় ১২ বছর। তাঁর উপাধি ছিল যুন্নুরাইন বা দুই আলোর অধিকারী। তিনি সম্পর্কের দিক থেকে মহানবী (সা.)-এর জামাতা ছিলেন। মহানবী (সা.) প্রথমে তাঁর সঙ্গে এক কন্যার বিয়ে দেন। এরপর তিনি ইন্তেকাল করলে আরেক কন্যার সঙ্গে বিয়ে হয় এ জন্য তাঁকে যুন্নুরাইন বলা হয়।

আলী ইবনে আবি তালিব (রা.): মহানবী (সা.)-এর চাচাতো ভাই এবং কনিষ্ঠ জামাতা ছিলেন। মাত্র সাত বছর বয়সে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তাবুক ছাড়া ইসলামের সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মহানবী (সা.)-এর মেয়ে ফাতেমা (রা.)-এর স্বামী ছিলেন। ইসলামের চতুর্থ খলিফা ছিলেন।

তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ (রা.): উহুদ যুদ্ধে মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে খুবই দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছিলেন। শরীরের ২৪টি স্থানে কাফির কর্তৃক আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় মহানবী (সা.) তাঁর নাম রেখেছিলেন ‘তালহাতুল খায়র’ বা কল্যাণকামী তালহা। তিনি উষ্ট্রের যুদ্ধে শাহাদাতবরণ করেন।

জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.): ইসলামের সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং হাবশায় হিজরত করেছিলেন। তিনি সর্বপ্রথম আল্লাহর রাস্তায় তরবারি চালিয়েছিলেন। তাঁর আকৃতিতে ফেরেশতারা বদর যুদ্ধে অবতরণ করেছিলেন। তিনি উষ্ট্রের যুদ্ধে শাহাদাতবরণ করেন।

আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রা.): মহানবী (সা.)-এর নির্দেশে হাবশায় হিজরত করেছিলেন এবং ইসলামের সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর হাতে অনেক বিধর্মী ইসলাম কবুল করেন।

সাআদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.): প্রথম আল্লাহর রাস্তায় তির নিক্ষেপ করেন। ইসলামের সব যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন। তিনি ইসলাম প্রচারের নিমিত্তে বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেন। তাঁর নেতৃত্বে মুসলমানেরা বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েন।

সাঈদ ইবন জায়েদ (রা.): বদর ছাড়া ইসলামের সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মদিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় মহানবী (সা.)-কে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন।

আবু ওবায়দাহ আল-জাররাহ (রা.): ইসলামের সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি উহুদ যুদ্ধে মহানবী (সা.)-এর চোয়ালে বিঁধে যাওয়া লৌহবর্ম দাঁত দিয়ে বের করেছিলেন। ফলে তাঁর সামনের দুই দাঁত পড়ে গিয়েছিল। ইসলামে তাঁর অবদান অপরিসীম। 

লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রস্রাবের চাপ নিয়ে নামাজ আদায়ের বিধান

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৭
নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। ছবি: সংগৃহীত
নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। ছবি: সংগৃহীত

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—

চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।

হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)

নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৫ মিনিট
ফজর০৫: ১৬ মিনিট০৬: ৩৬ মিনিট
জোহর১১: ৫৮ মিনিট০৩: ৪০ মিনিট
আসর০৩: ৪১ মিনিট০৫: ১৬ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৮ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
এশা০৬: ৩৮ মিনিট০৫: ১৫ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১১
ছবি: বাসস
ছবি: বাসস

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতকালে মুমিনের আত্মিক শিক্ষা ও নৈতিক দায়িত্ব

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭: ৫০
শীতকালে মুমিনের আত্মিক শিক্ষা ও নৈতিক দায়িত্ব

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)

ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।

শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।

শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।

শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত