মুহাম্মাদ রাহাতুল ইসলাম

বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদ (১৯১৮-৭৪) এক স্বতন্ত্র ও উজ্জ্বল প্রতিভার নাম। তাঁকে তাঁর কাব্যিক মিশনের কারণে সাধারণত ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর কাব্যচেতনা ছিল মূলত একটি সামাজিক ও আত্মিক পুনর্জাগরণের ডাক, যেখানে ইসলামি আদর্শ ও বাঙালি মুসলিমের আত্মপরিচয় নির্মাণের আকাঙ্ক্ষা এক শিল্পিত রূপ লাভ করেছিল।
এটি ছিল গভীর মননশীল সাহিত্য-আন্দোলন, যা আত্মবিস্মৃত জাতিকে তার স্বকীয়তা পুনরুদ্ধারে অনুপ্রাণিত করে।
ফররুখ আহমদের আবির্ভাবকাল ছিল বাংলার মুসলিম সমাজের জন্য এক ঘোর সংকটকাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, পঞ্চাশের মন্বন্তর, ঔপনিবেশিক শোষণ ও মুসলিম সমাজের অভ্যন্তরীণ আত্মবিস্মৃতি—এই চতুর্মুখী অন্ধকারে কবি অনুভব করেছিলেন জাতির গভীর নিস্তব্ধতা। এই জরাগ্রস্ত ও হতাশাজনক বাস্তবতা তাঁকে স্থির থাকতে দেয়নি। তাঁর কবিতায় তিনি এই ঐতিহাসিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবী দামামা বাজিয়েছেন।
কবির দৃষ্টিতে, মুসলিমদের অতীত ইতিহাস ছিল শৌর্য, বীরত্ব ও মানবতার। সেই ঐতিহ্য ভেঙে যাওয়ায় জাতির যে অধঃপতন, তা কবিকে ব্যথিত ও উদ্বেলিত করে তোলে।
তিনি উপলব্ধি করেন, এই জাতিকে জাগাতে হলে শুধু রোমান্টিকতা নয়, চাই এমন এক ‘পাঞ্জেরি’ (দিকনির্দেশক), যে অন্ধকার পেরিয়ে মঞ্জিলে পৌঁছানোর পথ দেখাবে। তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ (১৯৪৪)-এর কালজয়ী কবিতা ‘পাঞ্জেরি’তে এই আর্তিই ধ্বনিত হয়:
‘রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?
সেতারা, হেলার এখনো ওঠেনি জেগে?’
এই ‘পাঞ্জেরি’ কবিতা কেবল একটি আশার বাণী নয়, বরং তা একটি জাতীয় আত্মসচেতনতার প্রতীক—যা বাঙালি মুসলিম সমাজকে তার সমৃদ্ধ অতীত ও ইসলামি সভ্যতা-সংস্কৃতির দিকে ফিরে তাকিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শেখায়। এটি ছিল অস্তিত্ব রক্ষার এক তীব্র ব্যাকুলতা।
রেনেসাঁর দার্শনিক ভিত্তি: ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন
ফররুখ আহমদের রেনেসাঁ চেতনা কেবল অতীত রোমন্থন ছিল না, বরং তা ছিল প্রাচীনকে ধ্বংস না করে পুরোনো ঐতিহ্যের ভিত্তির ওপর নতুন আদর্শ সৃষ্টি করার এক তাত্ত্বিক প্রয়াস। তাঁর চিন্তা ছিল আল্লামা ইকবালের মতো, যিনি পতনোন্মুখ মুসলিমদের মধ্যে আত্মমর্যাদা ও নতুন জীবনবোধ সঞ্চার করতে চেয়েছিলেন। ফররুখ বিশ্বাস করতেন, ইসলামের আদর্শই মানবমুক্তি, স্বাধীনতা ও চিন্তার মুক্তির প্রথম উদ্যোক্তা।
তাঁর এই বিশ্বাস কবিকে মানবতাবাদের প্রেরণা জুগিয়েছে, যা তাঁকে তৎকালীন ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার নির্মম শোষণ ও অমানবিকতার বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হতে সাহায্য করেছে। ‘লাশ’ কবিতায় তিনি যে অমানবিকতার চিত্র এঁকেছেন, তা প্রমাণ করে তাঁর কাব্য শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক মুক্তির জন্যও নিবেদিত ছিল। তিনি লেখেন:
‘আজ এই উৎপীড়িত মৃত্যু-দীর্ণ নিখিলের অভিশাপ বও
ধ্বংস হও, তুমি ধ্বংস হও।’
তাঁর কাব্যচেতনা ছিল একটি বিশ্বজনীন আদর্শের প্রতিচ্ছবি, যা নিম্নোক্ত দুটি ধারায় প্রস্ফুটিত হয়েছে—
ফররুখ আহমদের কাব্যচেতনার একটি মৌলিক দিক হলো—তাঁর কাব্যভাষা নির্মাণে স্বাতন্ত্র্যবাদী অবস্থান। তিনি সচেতনভাবে বাংলা ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দের প্রয়োগে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। এই শব্দভান্ডার কেবল ভাষার অলংকার ছিল না, বরং তা ছিল তাঁর সংস্কৃতি ও তাহজিব-তামাদ্দুনের প্রতি গভীর আস্থার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বিশ্বাস করতেন, একটি জাতির স্বকীয় সাহিত্য নির্মাণের জন্য তার নিজস্ব শব্দভান্ডার ও ঐতিহ্যের মিশ্রণ অপরিহার্য। এই প্রয়াস ছিল কাজী নজরুল ইসলামের হাতে শুরু হওয়া বাংলা কাব্যের সেই ধারার সম্প্রসারণ, যেখানে আরবি-ফারসি মিশ্রিত একটি প্রাণের ভাষা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছিল।
সবশেষে বলা যায়, কবি ফররুখ আহমদের কাব্যচেতনা ছিল বস্তুত এক বৈপ্লবিক প্রত্যয় ও শৈল্পিক সংগ্রাম। তাঁর সাহিত্যকর্ম সেই সময়ের বাঙালি মুসলিম সমাজকে আত্ম-অনুসন্ধান ও আত্ম-প্রত্যয়ের পথে চালিত করেছিল। একদিকে তিনি ছিলেন ইসলামি আদর্শ ও ঐতিহ্যের প্রতি দ্বিধাহীনভাবে অনুরক্ত, অন্যদিকে ছিলেন আধুনিক কাব্যশৈলী ও মানবিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় আপসহীন। এই দুই আপাত-বিপরীতমুখী চিন্তাধারার শৈল্পিক ও দার্শনিক সমন্বয়ের ফলেই ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যে ‘মুসলিম রেনেসাঁর কণ্ঠস্বর’ হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর কবিতা প্রমাণ করে—আত্মপরিচয় ও আধুনিকতা একে অপরের পরিপূরক হতে পারে, যা একটি জাতির জাগরণের পথ দেখায়।
লেখক: রিসার্চ ফেলো, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট

বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদ (১৯১৮-৭৪) এক স্বতন্ত্র ও উজ্জ্বল প্রতিভার নাম। তাঁকে তাঁর কাব্যিক মিশনের কারণে সাধারণত ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর কাব্যচেতনা ছিল মূলত একটি সামাজিক ও আত্মিক পুনর্জাগরণের ডাক, যেখানে ইসলামি আদর্শ ও বাঙালি মুসলিমের আত্মপরিচয় নির্মাণের আকাঙ্ক্ষা এক শিল্পিত রূপ লাভ করেছিল।
এটি ছিল গভীর মননশীল সাহিত্য-আন্দোলন, যা আত্মবিস্মৃত জাতিকে তার স্বকীয়তা পুনরুদ্ধারে অনুপ্রাণিত করে।
ফররুখ আহমদের আবির্ভাবকাল ছিল বাংলার মুসলিম সমাজের জন্য এক ঘোর সংকটকাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, পঞ্চাশের মন্বন্তর, ঔপনিবেশিক শোষণ ও মুসলিম সমাজের অভ্যন্তরীণ আত্মবিস্মৃতি—এই চতুর্মুখী অন্ধকারে কবি অনুভব করেছিলেন জাতির গভীর নিস্তব্ধতা। এই জরাগ্রস্ত ও হতাশাজনক বাস্তবতা তাঁকে স্থির থাকতে দেয়নি। তাঁর কবিতায় তিনি এই ঐতিহাসিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবী দামামা বাজিয়েছেন।
কবির দৃষ্টিতে, মুসলিমদের অতীত ইতিহাস ছিল শৌর্য, বীরত্ব ও মানবতার। সেই ঐতিহ্য ভেঙে যাওয়ায় জাতির যে অধঃপতন, তা কবিকে ব্যথিত ও উদ্বেলিত করে তোলে।
তিনি উপলব্ধি করেন, এই জাতিকে জাগাতে হলে শুধু রোমান্টিকতা নয়, চাই এমন এক ‘পাঞ্জেরি’ (দিকনির্দেশক), যে অন্ধকার পেরিয়ে মঞ্জিলে পৌঁছানোর পথ দেখাবে। তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ (১৯৪৪)-এর কালজয়ী কবিতা ‘পাঞ্জেরি’তে এই আর্তিই ধ্বনিত হয়:
‘রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি?
এখনো তোমার আসমান ভরা মেঘে?
সেতারা, হেলার এখনো ওঠেনি জেগে?’
এই ‘পাঞ্জেরি’ কবিতা কেবল একটি আশার বাণী নয়, বরং তা একটি জাতীয় আত্মসচেতনতার প্রতীক—যা বাঙালি মুসলিম সমাজকে তার সমৃদ্ধ অতীত ও ইসলামি সভ্যতা-সংস্কৃতির দিকে ফিরে তাকিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শেখায়। এটি ছিল অস্তিত্ব রক্ষার এক তীব্র ব্যাকুলতা।
রেনেসাঁর দার্শনিক ভিত্তি: ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন
ফররুখ আহমদের রেনেসাঁ চেতনা কেবল অতীত রোমন্থন ছিল না, বরং তা ছিল প্রাচীনকে ধ্বংস না করে পুরোনো ঐতিহ্যের ভিত্তির ওপর নতুন আদর্শ সৃষ্টি করার এক তাত্ত্বিক প্রয়াস। তাঁর চিন্তা ছিল আল্লামা ইকবালের মতো, যিনি পতনোন্মুখ মুসলিমদের মধ্যে আত্মমর্যাদা ও নতুন জীবনবোধ সঞ্চার করতে চেয়েছিলেন। ফররুখ বিশ্বাস করতেন, ইসলামের আদর্শই মানবমুক্তি, স্বাধীনতা ও চিন্তার মুক্তির প্রথম উদ্যোক্তা।
তাঁর এই বিশ্বাস কবিকে মানবতাবাদের প্রেরণা জুগিয়েছে, যা তাঁকে তৎকালীন ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার নির্মম শোষণ ও অমানবিকতার বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হতে সাহায্য করেছে। ‘লাশ’ কবিতায় তিনি যে অমানবিকতার চিত্র এঁকেছেন, তা প্রমাণ করে তাঁর কাব্য শুধু ধর্মীয় নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক মুক্তির জন্যও নিবেদিত ছিল। তিনি লেখেন:
‘আজ এই উৎপীড়িত মৃত্যু-দীর্ণ নিখিলের অভিশাপ বও
ধ্বংস হও, তুমি ধ্বংস হও।’
তাঁর কাব্যচেতনা ছিল একটি বিশ্বজনীন আদর্শের প্রতিচ্ছবি, যা নিম্নোক্ত দুটি ধারায় প্রস্ফুটিত হয়েছে—
ফররুখ আহমদের কাব্যচেতনার একটি মৌলিক দিক হলো—তাঁর কাব্যভাষা নির্মাণে স্বাতন্ত্র্যবাদী অবস্থান। তিনি সচেতনভাবে বাংলা ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দের প্রয়োগে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। এই শব্দভান্ডার কেবল ভাষার অলংকার ছিল না, বরং তা ছিল তাঁর সংস্কৃতি ও তাহজিব-তামাদ্দুনের প্রতি গভীর আস্থার বহিঃপ্রকাশ। তিনি বিশ্বাস করতেন, একটি জাতির স্বকীয় সাহিত্য নির্মাণের জন্য তার নিজস্ব শব্দভান্ডার ও ঐতিহ্যের মিশ্রণ অপরিহার্য। এই প্রয়াস ছিল কাজী নজরুল ইসলামের হাতে শুরু হওয়া বাংলা কাব্যের সেই ধারার সম্প্রসারণ, যেখানে আরবি-ফারসি মিশ্রিত একটি প্রাণের ভাষা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছিল।
সবশেষে বলা যায়, কবি ফররুখ আহমদের কাব্যচেতনা ছিল বস্তুত এক বৈপ্লবিক প্রত্যয় ও শৈল্পিক সংগ্রাম। তাঁর সাহিত্যকর্ম সেই সময়ের বাঙালি মুসলিম সমাজকে আত্ম-অনুসন্ধান ও আত্ম-প্রত্যয়ের পথে চালিত করেছিল। একদিকে তিনি ছিলেন ইসলামি আদর্শ ও ঐতিহ্যের প্রতি দ্বিধাহীনভাবে অনুরক্ত, অন্যদিকে ছিলেন আধুনিক কাব্যশৈলী ও মানবিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় আপসহীন। এই দুই আপাত-বিপরীতমুখী চিন্তাধারার শৈল্পিক ও দার্শনিক সমন্বয়ের ফলেই ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যে ‘মুসলিম রেনেসাঁর কণ্ঠস্বর’ হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর কবিতা প্রমাণ করে—আত্মপরিচয় ও আধুনিকতা একে অপরের পরিপূরক হতে পারে, যা একটি জাতির জাগরণের পথ দেখায়।
লেখক: রিসার্চ ফেলো, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট

মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিরদের অংশগ্রহণে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২ ঘণ্টা আগে
মহাকাশ থেকে তোলা নাসার নভোচারী ডন পেটিটের একটি চমকপ্রদ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নেট দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উঁচুতে মহাকাশের কক্ষপথ (অরবিট) থেকে রাতের বেলা তোলা এ ছবিতে পবিত্র মক্কা নগরীকে দেখা যাচ্ছে ঝলমলে।
৫ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনে আত্মীয়তার বন্ধন অমূল্য এক সম্পর্ক। জীবনের প্রতিকূলতায় আত্মীয়রা প্রেরণা এবং শক্তির উৎস হয়ে থাকে। এ সম্পর্ক আমাদের মধ্যে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার বিকল্প নেই।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিরদের অংশগ্রহণে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বিশ্বমানের এই বার্ষিক প্রতিযোগিতাকে সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ বিচারক প্যানেলে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য আলেম, কারি ও গবেষক হাফেজ মাওলানা ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান।
বাংলাদেশ, মিসরসহ ৯টি দেশের বিচারকেরা এই প্রতিযোগিতায় দায়িত্ব পালন করছেন। মিসরের ধর্মমন্ত্রীর আমন্ত্রণ এবং বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টার মনোনয়নে ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান বিচারকার্য পরিচালনা করছেন।
৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিসরের উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালেদ আবদেল গাফফার, ওয়াক্ফমন্ত্রী ওসামা আল আজহারি, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আশরাফ সাবহি, শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ গেবরান, কায়রোর গভর্নর ইব্রাহিম সাবের, আল আজহারের ডেপুটি মুহাম্মদ আল-দুওয়াইনি, গ্র্যান্ড মুফতি নাজির মুহাম্মদ আইয়াদসহ দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

আগামী বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হবে। আসন্ন পবিত্র রমজানের লাইলাতুল কদরে দেশটির রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারস্বরূপ সম্মাননা, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেবেন।

মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিরদের অংশগ্রহণে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বিশ্বমানের এই বার্ষিক প্রতিযোগিতাকে সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ বিচারক প্যানেলে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য আলেম, কারি ও গবেষক হাফেজ মাওলানা ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান।
বাংলাদেশ, মিসরসহ ৯টি দেশের বিচারকেরা এই প্রতিযোগিতায় দায়িত্ব পালন করছেন। মিসরের ধর্মমন্ত্রীর আমন্ত্রণ এবং বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টার মনোনয়নে ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান বিচারকার্য পরিচালনা করছেন।
৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিসরের উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালেদ আবদেল গাফফার, ওয়াক্ফমন্ত্রী ওসামা আল আজহারি, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আশরাফ সাবহি, শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ গেবরান, কায়রোর গভর্নর ইব্রাহিম সাবের, আল আজহারের ডেপুটি মুহাম্মদ আল-দুওয়াইনি, গ্র্যান্ড মুফতি নাজির মুহাম্মদ আইয়াদসহ দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

আগামী বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হবে। আসন্ন পবিত্র রমজানের লাইলাতুল কদরে দেশটির রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারস্বরূপ সম্মাননা, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেবেন।

বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদ (১৯১৮-৭৪) এক স্বতন্ত্র ও উজ্জ্বল প্রতিভার নাম। তাঁকে তাঁর কাব্যিক মিশনের কারণে সাধারণত ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর কাব্যচেতনা ছিল মূলত একটি সামাজিক ও আত্মিক পুনর্জাগরণের ডাক, যেখানে ইসলামি আদর্শ ও বাঙালি মুসলিমের আত্মপরিচয় নির্মাণের...
২৩ অক্টোবর ২০২৫
মহাকাশ থেকে তোলা নাসার নভোচারী ডন পেটিটের একটি চমকপ্রদ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নেট দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উঁচুতে মহাকাশের কক্ষপথ (অরবিট) থেকে রাতের বেলা তোলা এ ছবিতে পবিত্র মক্কা নগরীকে দেখা যাচ্ছে ঝলমলে।
৫ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনে আত্মীয়তার বন্ধন অমূল্য এক সম্পর্ক। জীবনের প্রতিকূলতায় আত্মীয়রা প্রেরণা এবং শক্তির উৎস হয়ে থাকে। এ সম্পর্ক আমাদের মধ্যে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার বিকল্প নেই।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মহাকাশ থেকে তোলা নাসার নভোচারী ডন পেটিটের একটি চমকপ্রদ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নেট দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উঁচুতে মহাকাশের কক্ষপথ (অরবিট) থেকে রাতের বেলা তোলা এ ছবিতে পবিত্র মক্কা নগরীকে দেখা যাচ্ছে ঝলমলে।
নভোচারী ডন পেটিট তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে ছবিটি পোস্ট করে নিশ্চিত করেছেন, মাঝখানের এই উজ্জ্বল ছোট্ট এলাকাটিই হলো ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র স্থান পবিত্র কাবা শরিফ, যা মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান হচ্ছে।
ছবি ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘সৌদি আরবের মক্কার কক্ষপথীয় দৃশ্য (মহাকাশ থেকে নেওয়া)। মাঝখানে যে উজ্জ্বল বিন্দুটি দেখা যাচ্ছে, সেটি হলো কাবা—ইসলামের পবিত্রতম স্থান, যা মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান।’
২ ডিসেম্বর ছবিটি পোস্ট করার পর থেকেই এর দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। ছবিতে মক্কা নগরীর বিস্তীর্ণ অঞ্চল দেখা যাচ্ছে, যেখানে পাহাড়ি উপত্যকায় অবস্থিত মক্কার কেন্দ্রে রয়েছে গ্র্যান্ড মসজিদ বা মসজিদুল হারাম। লাখ লাখ এলইডি এবং সোডিয়াম লাইটের কারণে রাতের বেলা মহাকাশ থেকে মক্কা নগরীটিকে এক ঝলমলে দৃশ্যে দেখা যায়। এ দৃশ্য দেখে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা গভীর মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

পেটিট একজন দক্ষ অ্যাস্ট্রো ফটোগ্রাফার এবং রসায়ন প্রকৌশলী হিসেবে পরিচিত। মহাকাশ থেকে ছবি তোলার প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জকে শৈল্পিক রূপ দেওয়ার জন্য তাঁর জগৎজোড়া খ্যাতি রয়েছে।

মহাকাশ থেকে তোলা নাসার নভোচারী ডন পেটিটের একটি চমকপ্রদ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নেট দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উঁচুতে মহাকাশের কক্ষপথ (অরবিট) থেকে রাতের বেলা তোলা এ ছবিতে পবিত্র মক্কা নগরীকে দেখা যাচ্ছে ঝলমলে।
নভোচারী ডন পেটিট তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে ছবিটি পোস্ট করে নিশ্চিত করেছেন, মাঝখানের এই উজ্জ্বল ছোট্ট এলাকাটিই হলো ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র স্থান পবিত্র কাবা শরিফ, যা মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান হচ্ছে।
ছবি ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘সৌদি আরবের মক্কার কক্ষপথীয় দৃশ্য (মহাকাশ থেকে নেওয়া)। মাঝখানে যে উজ্জ্বল বিন্দুটি দেখা যাচ্ছে, সেটি হলো কাবা—ইসলামের পবিত্রতম স্থান, যা মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান।’
২ ডিসেম্বর ছবিটি পোস্ট করার পর থেকেই এর দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। ছবিতে মক্কা নগরীর বিস্তীর্ণ অঞ্চল দেখা যাচ্ছে, যেখানে পাহাড়ি উপত্যকায় অবস্থিত মক্কার কেন্দ্রে রয়েছে গ্র্যান্ড মসজিদ বা মসজিদুল হারাম। লাখ লাখ এলইডি এবং সোডিয়াম লাইটের কারণে রাতের বেলা মহাকাশ থেকে মক্কা নগরীটিকে এক ঝলমলে দৃশ্যে দেখা যায়। এ দৃশ্য দেখে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা গভীর মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।

পেটিট একজন দক্ষ অ্যাস্ট্রো ফটোগ্রাফার এবং রসায়ন প্রকৌশলী হিসেবে পরিচিত। মহাকাশ থেকে ছবি তোলার প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জকে শৈল্পিক রূপ দেওয়ার জন্য তাঁর জগৎজোড়া খ্যাতি রয়েছে।

বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদ (১৯১৮-৭৪) এক স্বতন্ত্র ও উজ্জ্বল প্রতিভার নাম। তাঁকে তাঁর কাব্যিক মিশনের কারণে সাধারণত ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর কাব্যচেতনা ছিল মূলত একটি সামাজিক ও আত্মিক পুনর্জাগরণের ডাক, যেখানে ইসলামি আদর্শ ও বাঙালি মুসলিমের আত্মপরিচয় নির্মাণের...
২৩ অক্টোবর ২০২৫
মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিরদের অংশগ্রহণে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনে আত্মীয়তার বন্ধন অমূল্য এক সম্পর্ক। জীবনের প্রতিকূলতায় আত্মীয়রা প্রেরণা এবং শক্তির উৎস হয়ে থাকে। এ সম্পর্ক আমাদের মধ্যে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার বিকল্প নেই।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগেশাব্বির আহমদ

মানবজীবনে আত্মীয়তার বন্ধন অমূল্য এক সম্পর্ক। জীবনের প্রতিকূলতায় আত্মীয়রা প্রেরণা এবং শক্তির উৎস হয়ে থাকে। এ সম্পর্ক আমাদের মধ্যে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার বিকল্প নেই।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিনটি গুণ এমন রয়েছে—যার ভেতরে গুণগুলো থাকবে, পরকালে তার হিসাব-নিকাশ সহজ হবে এবং আল্লাহ নিজ দয়ায় তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, গুণগুলো কেমন?’
রাসুল (সা.) বলেন, ‘গুণগুলো হলো, এক. যে তোমাকে বঞ্চিত করে, তুমি তাকে দান করো। দুই. যে তোমার প্রতি জুলুম করে, তুমি তাকে ক্ষমা করো। তিন. যে তোমার সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করতে চায়, তুমি তার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখো।’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘এই গুণগুলো থাকলে আমি কী পাব?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন ‘বিচার দিবসে হিসাব সহজ করা হবে এবং আল্লাহ তাআলা নিজ দয়ায় তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসতাদরাকে হাকেম: ৩৯১২)
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখলে মন ভালো থাকে, আর্থিক সচ্ছলতা আসে এবং আয়ু বাড়ে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যাকে এ বিষয়টি আনন্দিত করে যে—তার রিজিক (জীবিকায়) সচ্ছলতা দেওয়া হোক এবং তার অবদান আলোচিত হোক (দীর্ঘায়ু দেওয়া হোক) সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখে। (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৮৫, সহিহ্ মুসলিম: ৬২৯২)
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া, সুসম্পর্ক বজায় রাখা, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করা, সামর্থ্য অনুযায়ী বিপদাপদে সাহায্য-সহযোগিতা করা। বর্তমান সমাজে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার বিষয়টি খুব অবহেলিত। ব্যক্তিজীবনে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলা অনেক ব্যক্তিও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষায় তেমন গুরুত্বারোপ করে না। এটাকে অনেকটা ঐচ্ছিক বিষয় মনে করে থাকে। অথচ ইসলামে এর গুরুত্ব অপরিসীম এবং তা রক্ষা না করা গুনাহ।

মানবজীবনে আত্মীয়তার বন্ধন অমূল্য এক সম্পর্ক। জীবনের প্রতিকূলতায় আত্মীয়রা প্রেরণা এবং শক্তির উৎস হয়ে থাকে। এ সম্পর্ক আমাদের মধ্যে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার বিকল্প নেই।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিনটি গুণ এমন রয়েছে—যার ভেতরে গুণগুলো থাকবে, পরকালে তার হিসাব-নিকাশ সহজ হবে এবং আল্লাহ নিজ দয়ায় তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, গুণগুলো কেমন?’
রাসুল (সা.) বলেন, ‘গুণগুলো হলো, এক. যে তোমাকে বঞ্চিত করে, তুমি তাকে দান করো। দুই. যে তোমার প্রতি জুলুম করে, তুমি তাকে ক্ষমা করো। তিন. যে তোমার সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করতে চায়, তুমি তার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখো।’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘এই গুণগুলো থাকলে আমি কী পাব?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন ‘বিচার দিবসে হিসাব সহজ করা হবে এবং আল্লাহ তাআলা নিজ দয়ায় তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসতাদরাকে হাকেম: ৩৯১২)
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখলে মন ভালো থাকে, আর্থিক সচ্ছলতা আসে এবং আয়ু বাড়ে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যাকে এ বিষয়টি আনন্দিত করে যে—তার রিজিক (জীবিকায়) সচ্ছলতা দেওয়া হোক এবং তার অবদান আলোচিত হোক (দীর্ঘায়ু দেওয়া হোক) সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখে। (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৮৫, সহিহ্ মুসলিম: ৬২৯২)
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া, সুসম্পর্ক বজায় রাখা, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করা, সামর্থ্য অনুযায়ী বিপদাপদে সাহায্য-সহযোগিতা করা। বর্তমান সমাজে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার বিষয়টি খুব অবহেলিত। ব্যক্তিজীবনে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলা অনেক ব্যক্তিও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষায় তেমন গুরুত্বারোপ করে না। এটাকে অনেকটা ঐচ্ছিক বিষয় মনে করে থাকে। অথচ ইসলামে এর গুরুত্ব অপরিসীম এবং তা রক্ষা না করা গুনাহ।

বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদ (১৯১৮-৭৪) এক স্বতন্ত্র ও উজ্জ্বল প্রতিভার নাম। তাঁকে তাঁর কাব্যিক মিশনের কারণে সাধারণত ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর কাব্যচেতনা ছিল মূলত একটি সামাজিক ও আত্মিক পুনর্জাগরণের ডাক, যেখানে ইসলামি আদর্শ ও বাঙালি মুসলিমের আত্মপরিচয় নির্মাণের...
২৩ অক্টোবর ২০২৫
মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিরদের অংশগ্রহণে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২ ঘণ্টা আগে
মহাকাশ থেকে তোলা নাসার নভোচারী ডন পেটিটের একটি চমকপ্রদ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নেট দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উঁচুতে মহাকাশের কক্ষপথ (অরবিট) থেকে রাতের বেলা তোলা এ ছবিতে পবিত্র মক্কা নগরীকে দেখা যাচ্ছে ঝলমলে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৮ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদ (১৯১৮-৭৪) এক স্বতন্ত্র ও উজ্জ্বল প্রতিভার নাম। তাঁকে তাঁর কাব্যিক মিশনের কারণে সাধারণত ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তাঁর কাব্যচেতনা ছিল মূলত একটি সামাজিক ও আত্মিক পুনর্জাগরণের ডাক, যেখানে ইসলামি আদর্শ ও বাঙালি মুসলিমের আত্মপরিচয় নির্মাণের...
২৩ অক্টোবর ২০২৫
মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিরদের অংশগ্রহণে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২ ঘণ্টা আগে
মহাকাশ থেকে তোলা নাসার নভোচারী ডন পেটিটের একটি চমকপ্রদ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নেট দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উঁচুতে মহাকাশের কক্ষপথ (অরবিট) থেকে রাতের বেলা তোলা এ ছবিতে পবিত্র মক্কা নগরীকে দেখা যাচ্ছে ঝলমলে।
৫ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনে আত্মীয়তার বন্ধন অমূল্য এক সম্পর্ক। জীবনের প্রতিকূলতায় আত্মীয়রা প্রেরণা এবং শক্তির উৎস হয়ে থাকে। এ সম্পর্ক আমাদের মধ্যে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার বিকল্প নেই।
১০ ঘণ্টা আগে