ইসলাম ডেস্ক

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইয়েমেনের এক ক্ষমতাধর নারীর গল্প বলেছেন। বিলকিস নামের এই নারী আল্লাহর নবী হজরত সোলায়মান (আ.)-এর যুগে ইয়েমেন ও আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শাসন করতেন।
আল্লাহ তাআলা বিলকিসের সাম্রাজ্যের কথা সোলায়মান (আ.)-এর অগোচরে রেখেছিলেন। পরে তাঁর গোয়েন্দা পাখি হুদহুদের মাধ্যমে যখন জানলেন, আল্লাহর অবাধ্য এক সম্রাজ্ঞী পৃথিবীর একটি বড় অঞ্চল শাসন করছেন—তখন তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন। পবিত্র কোরআনের সুরা নামলের ২৪টি আয়াতে আল্লাহ তাআলা সেই ঘটনা তুলে ধরেছেন। চলুন, কোরআনের ভাষ্যেই ঘটনাটির বিস্তারিত জানা যাক—
যেভাবে খোঁজ মেলে বিলকিসের সাম্রাজ্যের
জিন, পশুপাখি, মানুষসহ সব সৃষ্টিকেই আল্লাহ তাআলা হজরত সোলায়মান (আ.)-এর অনুগত করে দিয়েছিলেন। একদিন তিনি বিশাল বাহিনী নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল সোলায়মান (আ.)-এর গোয়েন্দার কাজ আঞ্জাম দেওয়া হুদহুদ পাখিও। পথে সোলায়মান (আ.) পাখিদের খোঁজ নিতে গেলে হুদহুদকে অনুপস্থিত দেখলেন। অন্যদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, হুদহুদকে দেখছি না, নাকি সে নাই?’
অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকা অপরাধের অন্তর্ভুক্ত। তাই সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘তাকে কঠিনতম শাস্তি দেব অথবা তাকে হত্যাই করব অথবা সে অবশ্যই আমাকে (অনুপস্থিতির) উপযুক্ত কারণ দেখাবে।’
একটু পরেই হুদহুদ ফিরে এল। এসে বলল, ‘আমি এমন কিছু তথ্য পেয়েছি, যা আপনার কাছে নেই। (ইয়েমেনের) সাবা থেকে আমি নিশ্চিত খবর নিয়ে এসেছি। সেখানে দেখলাম—এক নারী রাজত্ব করছেন এবং তাঁকে সবই দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরাট সিংহাসন রয়েছে।’
হুদহুদ আরও বলে, ‘এটুকুই নয়, আরও দেখলাম, তিনি ও তাঁর প্রজারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে সূর্যকে সেজদা করছেন। শয়তান এ কাজকে তাদের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে এবং হেদায়েতের পথ থেকে বিরত রেখেছে। ফলে তারা হেদায়েত পায়নি।’
এমন তথ্য শুনে সোলায়মান (আ.) বিস্মিত হলেন এবং বললেন, ‘দেখি, তুমি সত্য বলেছ, না মিথ্যা বলছ।’
রানি বিলকিসকে আল্লাহর বিধানের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে সোলায়মান (আ.) একটি চিঠি লিখলেন।
চিঠি পাওয়ার পর বিলকিসের প্রতিক্রিয়া
হুদহুদকে সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘আমার এই চিঠি নিয়ে গিয়ে তাদের দাও। এরপর তাদের কাছ থেকে একটু দূরে সরে দেখো—তাদের প্রতিক্রিয়া কী?’
হুদহুদ গিয়ে তা–ই করল। চিঠি পেয়ে বিলকিস মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন এবং চিঠির ভাষ্য তাঁদের সামনে তুলে ধরলেন। বললেন, ‘সভাসদগণ, এই দেখেন, আমাকে সোলায়মানের পক্ষ থেকে মোহরাঙ্কিত পত্র দেওয়া হয়েছে। (তাতে লেখা আছে) অসীম দাতা অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। আমার প্রতি উদ্ধত হইও না, অনুগত হয়ে আমার কাছে হাজির হও।’
মন্ত্রীদের কাছে পরামর্শ চেয়ে বিলকিস বললেন, ‘হে সভাসদগণ, আমার কর্তব্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দিন। আপনাদের ছাড়া আমি কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিইনি।’
মন্ত্রীরা বললেন, ‘আমাদের শক্তি আছে এবং আমরা কঠোর যোদ্ধাও; তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আপনারই। কাজেই আপনি কী আদেশ করবেন, ভেবে দেখুন।’
বিলকিস হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে বললেন, ‘রাজারা যখন কোনো জনপদে ঢোকে, তখন বিপর্যয় ডেকে আনে এবং সেখানকার সম্মানিত ব্যক্তিদের অপমান করে ছাড়ে। এরাও তাই করবে।’
শান্তিচুক্তি করে আত্মসমর্পণ এড়ানোর ফন্দি আঁটেন বিলকিস। সোলায়মান (আ.)-এর কাছে উপহার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। মন্ত্রীদের বললেন, ‘আমি তাঁর কাছে উপহার পাঠাচ্ছি। দেখি, দূতেরা কী জবাব নিয়ে আসে।’
বিলকিসের সিংহাসন তুলে আনার বিস্ময়কর ঘটনা
বিলকিসের প্রতিনিধি দল সোলায়মান (আ.)-এর দরবারে এলে তিনি বললেন, ‘তোমরা কি আমাকে অর্থ-সম্পদ দিয়ে সাহায্য করতে এসেছ? আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন, তা তোমাদের যা দিয়েছেন তার চেয়ে উত্তম। তোমরা বরং তোমাদের উপহার নিয়েই আনন্দ করো।’
কঠিন এক ধমক দিয়ে সোলায়মান (আ.) তাদের বললেন, ‘নিজ দেশে ফিরে যাও। আমি তাদের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য এক সেনাবাহিনী নিয়ে আসব। তাদের অপমানিত করে সেখান থেকে বের করে দেব। তারা লাঞ্ছিত হবেই।’
তারা ফিরে গেল এবং সোলায়মান (আ.) অহির মাধ্যমে জানতে পারলেন, হুঁশিয়ারি শুনে বিলকিস শিগগিরই তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। তাই তিনি যখন আসবেন, তখন তাঁকে আল্লাহর দেওয়া ক্ষমতা দেখানোর জন্য সোলায়মান (আ.) একটি পরিকল্পনা করলেন। সভাসদকে ডেকে বললেন, ‘হে সভাসদগণ, তারা আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে আসার আগেই তোমাদের কে তার সিংহাসন আমার কাছে নিয়ে আসবে?’
এক শক্তিশালী জিন বললেন, ‘আপনি আপনার জায়গা থেকে ওঠার আগেই আমি তা আপনার কাছে এনে দেব। এ কাজে আমি অবশ্যই ক্ষমতার অধিকারী ও আস্থাভাজন।’
ঐশী জ্ঞানের অধিকারী এক আলেম বললেন, ‘আপনার পলক ফেলার আগেই তা আপনার কাছে এনে দেব।’
যেই কথা সেই কাজ, মুহূর্তেই তিনি বিলকিসের বিরাট সিংহাসন সোলায়মান (আ.)-এর সামনে হাজির করে দিলেন এবং আল্লাহর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানালেন।
বিলকিস যেভাবে আত্মসমর্পণ করেন
নিজের সিংহাসন সোলায়মান (আ.)-এর দরবারে দেখে বিলকিস নিশ্চয়ই অবাক হবেন এবং আল্লাহপ্রদত্ত ক্ষমতা দেখে তাঁকে নবী হিসেবে মেনে নিয়ে আনুগত্য করবেন, তাই তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য সোলায়মান (আ.) কিছু নির্দেশনা দিলেন। বললেন, ‘তাঁর সিংহাসনের ধরন পাল্টে দাও। এরপর দেখি, সে সত্য পথের দিশা পায়, নাকি যারা পথের দিশা পায় না তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়।’
বিলকিস আত্মসমর্পণের জন্যই এলেন। তাঁকে সিংহাসনটি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এটি কি আপনার সিংহাসন?’ তিনি বললেন, ‘তাই তো মনে হয়। আপনার সম্পর্কে আগেই আমাদের জানানো হয়েছে এবং আমরা আত্মসমর্পণ করতেই এসেছি।’
রানি বিলকিসকে প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানিয়ে সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘প্রাসাদে প্রবেশ করুন।’
প্রাসাদের মেঝে দেখে তিনি সেটিকে স্বচ্ছ পানির হ্রদ মনে করলেন। ফলে বিভ্রান্ত হয়ে পায়ের গোছা থেকে কাপড় উঁচু করেন। তখন সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘এ স্বচ্ছ কাচের প্রাসাদ।’
রানি বিলকিস এসব পরীক্ষার মুখে পড়ে সোলায়মান (আ.)-এর অলৌকিক ক্ষমতা উপলব্ধি করলেন এবং আল্লাহর দরবারে চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ করার ঘোষণা দিলেন। বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি অবশ্যই নিজের প্রতি জুলুম করেছি। আমি সোলায়মানের সঙ্গে বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করছি।’
গল্পের শিক্ষা
এ গল্পের মূল শিক্ষা হলো, পৃথিবীতে আপনি যত ক্ষমতাধরই হোন, মহান আল্লাহর দরবারে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণই পারে আপনার পরকালীন সাফল্য নিশ্চিত করতে। সাবার রানি বিলকিস সোলায়মান (আ.)-এর হাত ধরে মহাবিশ্বের মহান অধিপতি আল্লাহ তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করে পরিণামদর্শী সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। ক্ষমতার অহংকারের ফাঁদে পড়ে পরকালীন সাফল্যের কথা তিনি ভুলে যাননি। এ ছাড়া গল্পে রয়েছে শেখার অনেক উপকরণ।
সূত্র: পবিত্র কোরআনের সুরা নামলের ২০ থেকে ৪৪ নম্বর আয়াত অবলম্বনে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইয়েমেনের এক ক্ষমতাধর নারীর গল্প বলেছেন। বিলকিস নামের এই নারী আল্লাহর নবী হজরত সোলায়মান (আ.)-এর যুগে ইয়েমেন ও আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শাসন করতেন।
আল্লাহ তাআলা বিলকিসের সাম্রাজ্যের কথা সোলায়মান (আ.)-এর অগোচরে রেখেছিলেন। পরে তাঁর গোয়েন্দা পাখি হুদহুদের মাধ্যমে যখন জানলেন, আল্লাহর অবাধ্য এক সম্রাজ্ঞী পৃথিবীর একটি বড় অঞ্চল শাসন করছেন—তখন তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন। পবিত্র কোরআনের সুরা নামলের ২৪টি আয়াতে আল্লাহ তাআলা সেই ঘটনা তুলে ধরেছেন। চলুন, কোরআনের ভাষ্যেই ঘটনাটির বিস্তারিত জানা যাক—
যেভাবে খোঁজ মেলে বিলকিসের সাম্রাজ্যের
জিন, পশুপাখি, মানুষসহ সব সৃষ্টিকেই আল্লাহ তাআলা হজরত সোলায়মান (আ.)-এর অনুগত করে দিয়েছিলেন। একদিন তিনি বিশাল বাহিনী নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল সোলায়মান (আ.)-এর গোয়েন্দার কাজ আঞ্জাম দেওয়া হুদহুদ পাখিও। পথে সোলায়মান (আ.) পাখিদের খোঁজ নিতে গেলে হুদহুদকে অনুপস্থিত দেখলেন। অন্যদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, হুদহুদকে দেখছি না, নাকি সে নাই?’
অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকা অপরাধের অন্তর্ভুক্ত। তাই সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘তাকে কঠিনতম শাস্তি দেব অথবা তাকে হত্যাই করব অথবা সে অবশ্যই আমাকে (অনুপস্থিতির) উপযুক্ত কারণ দেখাবে।’
একটু পরেই হুদহুদ ফিরে এল। এসে বলল, ‘আমি এমন কিছু তথ্য পেয়েছি, যা আপনার কাছে নেই। (ইয়েমেনের) সাবা থেকে আমি নিশ্চিত খবর নিয়ে এসেছি। সেখানে দেখলাম—এক নারী রাজত্ব করছেন এবং তাঁকে সবই দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরাট সিংহাসন রয়েছে।’
হুদহুদ আরও বলে, ‘এটুকুই নয়, আরও দেখলাম, তিনি ও তাঁর প্রজারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে সূর্যকে সেজদা করছেন। শয়তান এ কাজকে তাদের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে এবং হেদায়েতের পথ থেকে বিরত রেখেছে। ফলে তারা হেদায়েত পায়নি।’
এমন তথ্য শুনে সোলায়মান (আ.) বিস্মিত হলেন এবং বললেন, ‘দেখি, তুমি সত্য বলেছ, না মিথ্যা বলছ।’
রানি বিলকিসকে আল্লাহর বিধানের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে সোলায়মান (আ.) একটি চিঠি লিখলেন।
চিঠি পাওয়ার পর বিলকিসের প্রতিক্রিয়া
হুদহুদকে সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘আমার এই চিঠি নিয়ে গিয়ে তাদের দাও। এরপর তাদের কাছ থেকে একটু দূরে সরে দেখো—তাদের প্রতিক্রিয়া কী?’
হুদহুদ গিয়ে তা–ই করল। চিঠি পেয়ে বিলকিস মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন এবং চিঠির ভাষ্য তাঁদের সামনে তুলে ধরলেন। বললেন, ‘সভাসদগণ, এই দেখেন, আমাকে সোলায়মানের পক্ষ থেকে মোহরাঙ্কিত পত্র দেওয়া হয়েছে। (তাতে লেখা আছে) অসীম দাতা অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। আমার প্রতি উদ্ধত হইও না, অনুগত হয়ে আমার কাছে হাজির হও।’
মন্ত্রীদের কাছে পরামর্শ চেয়ে বিলকিস বললেন, ‘হে সভাসদগণ, আমার কর্তব্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দিন। আপনাদের ছাড়া আমি কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিইনি।’
মন্ত্রীরা বললেন, ‘আমাদের শক্তি আছে এবং আমরা কঠোর যোদ্ধাও; তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আপনারই। কাজেই আপনি কী আদেশ করবেন, ভেবে দেখুন।’
বিলকিস হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে বললেন, ‘রাজারা যখন কোনো জনপদে ঢোকে, তখন বিপর্যয় ডেকে আনে এবং সেখানকার সম্মানিত ব্যক্তিদের অপমান করে ছাড়ে। এরাও তাই করবে।’
শান্তিচুক্তি করে আত্মসমর্পণ এড়ানোর ফন্দি আঁটেন বিলকিস। সোলায়মান (আ.)-এর কাছে উপহার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। মন্ত্রীদের বললেন, ‘আমি তাঁর কাছে উপহার পাঠাচ্ছি। দেখি, দূতেরা কী জবাব নিয়ে আসে।’
বিলকিসের সিংহাসন তুলে আনার বিস্ময়কর ঘটনা
বিলকিসের প্রতিনিধি দল সোলায়মান (আ.)-এর দরবারে এলে তিনি বললেন, ‘তোমরা কি আমাকে অর্থ-সম্পদ দিয়ে সাহায্য করতে এসেছ? আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন, তা তোমাদের যা দিয়েছেন তার চেয়ে উত্তম। তোমরা বরং তোমাদের উপহার নিয়েই আনন্দ করো।’
কঠিন এক ধমক দিয়ে সোলায়মান (আ.) তাদের বললেন, ‘নিজ দেশে ফিরে যাও। আমি তাদের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য এক সেনাবাহিনী নিয়ে আসব। তাদের অপমানিত করে সেখান থেকে বের করে দেব। তারা লাঞ্ছিত হবেই।’
তারা ফিরে গেল এবং সোলায়মান (আ.) অহির মাধ্যমে জানতে পারলেন, হুঁশিয়ারি শুনে বিলকিস শিগগিরই তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। তাই তিনি যখন আসবেন, তখন তাঁকে আল্লাহর দেওয়া ক্ষমতা দেখানোর জন্য সোলায়মান (আ.) একটি পরিকল্পনা করলেন। সভাসদকে ডেকে বললেন, ‘হে সভাসদগণ, তারা আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে আসার আগেই তোমাদের কে তার সিংহাসন আমার কাছে নিয়ে আসবে?’
এক শক্তিশালী জিন বললেন, ‘আপনি আপনার জায়গা থেকে ওঠার আগেই আমি তা আপনার কাছে এনে দেব। এ কাজে আমি অবশ্যই ক্ষমতার অধিকারী ও আস্থাভাজন।’
ঐশী জ্ঞানের অধিকারী এক আলেম বললেন, ‘আপনার পলক ফেলার আগেই তা আপনার কাছে এনে দেব।’
যেই কথা সেই কাজ, মুহূর্তেই তিনি বিলকিসের বিরাট সিংহাসন সোলায়মান (আ.)-এর সামনে হাজির করে দিলেন এবং আল্লাহর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানালেন।
বিলকিস যেভাবে আত্মসমর্পণ করেন
নিজের সিংহাসন সোলায়মান (আ.)-এর দরবারে দেখে বিলকিস নিশ্চয়ই অবাক হবেন এবং আল্লাহপ্রদত্ত ক্ষমতা দেখে তাঁকে নবী হিসেবে মেনে নিয়ে আনুগত্য করবেন, তাই তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য সোলায়মান (আ.) কিছু নির্দেশনা দিলেন। বললেন, ‘তাঁর সিংহাসনের ধরন পাল্টে দাও। এরপর দেখি, সে সত্য পথের দিশা পায়, নাকি যারা পথের দিশা পায় না তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়।’
বিলকিস আত্মসমর্পণের জন্যই এলেন। তাঁকে সিংহাসনটি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এটি কি আপনার সিংহাসন?’ তিনি বললেন, ‘তাই তো মনে হয়। আপনার সম্পর্কে আগেই আমাদের জানানো হয়েছে এবং আমরা আত্মসমর্পণ করতেই এসেছি।’
রানি বিলকিসকে প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানিয়ে সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘প্রাসাদে প্রবেশ করুন।’
প্রাসাদের মেঝে দেখে তিনি সেটিকে স্বচ্ছ পানির হ্রদ মনে করলেন। ফলে বিভ্রান্ত হয়ে পায়ের গোছা থেকে কাপড় উঁচু করেন। তখন সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘এ স্বচ্ছ কাচের প্রাসাদ।’
রানি বিলকিস এসব পরীক্ষার মুখে পড়ে সোলায়মান (আ.)-এর অলৌকিক ক্ষমতা উপলব্ধি করলেন এবং আল্লাহর দরবারে চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ করার ঘোষণা দিলেন। বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি অবশ্যই নিজের প্রতি জুলুম করেছি। আমি সোলায়মানের সঙ্গে বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করছি।’
গল্পের শিক্ষা
এ গল্পের মূল শিক্ষা হলো, পৃথিবীতে আপনি যত ক্ষমতাধরই হোন, মহান আল্লাহর দরবারে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণই পারে আপনার পরকালীন সাফল্য নিশ্চিত করতে। সাবার রানি বিলকিস সোলায়মান (আ.)-এর হাত ধরে মহাবিশ্বের মহান অধিপতি আল্লাহ তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করে পরিণামদর্শী সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। ক্ষমতার অহংকারের ফাঁদে পড়ে পরকালীন সাফল্যের কথা তিনি ভুলে যাননি। এ ছাড়া গল্পে রয়েছে শেখার অনেক উপকরণ।
সূত্র: পবিত্র কোরআনের সুরা নামলের ২০ থেকে ৪৪ নম্বর আয়াত অবলম্বনে।
ইসলাম ডেস্ক

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইয়েমেনের এক ক্ষমতাধর নারীর গল্প বলেছেন। বিলকিস নামের এই নারী আল্লাহর নবী হজরত সোলায়মান (আ.)-এর যুগে ইয়েমেন ও আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শাসন করতেন।
আল্লাহ তাআলা বিলকিসের সাম্রাজ্যের কথা সোলায়মান (আ.)-এর অগোচরে রেখেছিলেন। পরে তাঁর গোয়েন্দা পাখি হুদহুদের মাধ্যমে যখন জানলেন, আল্লাহর অবাধ্য এক সম্রাজ্ঞী পৃথিবীর একটি বড় অঞ্চল শাসন করছেন—তখন তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন। পবিত্র কোরআনের সুরা নামলের ২৪টি আয়াতে আল্লাহ তাআলা সেই ঘটনা তুলে ধরেছেন। চলুন, কোরআনের ভাষ্যেই ঘটনাটির বিস্তারিত জানা যাক—
যেভাবে খোঁজ মেলে বিলকিসের সাম্রাজ্যের
জিন, পশুপাখি, মানুষসহ সব সৃষ্টিকেই আল্লাহ তাআলা হজরত সোলায়মান (আ.)-এর অনুগত করে দিয়েছিলেন। একদিন তিনি বিশাল বাহিনী নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল সোলায়মান (আ.)-এর গোয়েন্দার কাজ আঞ্জাম দেওয়া হুদহুদ পাখিও। পথে সোলায়মান (আ.) পাখিদের খোঁজ নিতে গেলে হুদহুদকে অনুপস্থিত দেখলেন। অন্যদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, হুদহুদকে দেখছি না, নাকি সে নাই?’
অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকা অপরাধের অন্তর্ভুক্ত। তাই সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘তাকে কঠিনতম শাস্তি দেব অথবা তাকে হত্যাই করব অথবা সে অবশ্যই আমাকে (অনুপস্থিতির) উপযুক্ত কারণ দেখাবে।’
একটু পরেই হুদহুদ ফিরে এল। এসে বলল, ‘আমি এমন কিছু তথ্য পেয়েছি, যা আপনার কাছে নেই। (ইয়েমেনের) সাবা থেকে আমি নিশ্চিত খবর নিয়ে এসেছি। সেখানে দেখলাম—এক নারী রাজত্ব করছেন এবং তাঁকে সবই দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরাট সিংহাসন রয়েছে।’
হুদহুদ আরও বলে, ‘এটুকুই নয়, আরও দেখলাম, তিনি ও তাঁর প্রজারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে সূর্যকে সেজদা করছেন। শয়তান এ কাজকে তাদের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে এবং হেদায়েতের পথ থেকে বিরত রেখেছে। ফলে তারা হেদায়েত পায়নি।’
এমন তথ্য শুনে সোলায়মান (আ.) বিস্মিত হলেন এবং বললেন, ‘দেখি, তুমি সত্য বলেছ, না মিথ্যা বলছ।’
রানি বিলকিসকে আল্লাহর বিধানের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে সোলায়মান (আ.) একটি চিঠি লিখলেন।
চিঠি পাওয়ার পর বিলকিসের প্রতিক্রিয়া
হুদহুদকে সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘আমার এই চিঠি নিয়ে গিয়ে তাদের দাও। এরপর তাদের কাছ থেকে একটু দূরে সরে দেখো—তাদের প্রতিক্রিয়া কী?’
হুদহুদ গিয়ে তা–ই করল। চিঠি পেয়ে বিলকিস মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন এবং চিঠির ভাষ্য তাঁদের সামনে তুলে ধরলেন। বললেন, ‘সভাসদগণ, এই দেখেন, আমাকে সোলায়মানের পক্ষ থেকে মোহরাঙ্কিত পত্র দেওয়া হয়েছে। (তাতে লেখা আছে) অসীম দাতা অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। আমার প্রতি উদ্ধত হইও না, অনুগত হয়ে আমার কাছে হাজির হও।’
মন্ত্রীদের কাছে পরামর্শ চেয়ে বিলকিস বললেন, ‘হে সভাসদগণ, আমার কর্তব্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দিন। আপনাদের ছাড়া আমি কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিইনি।’
মন্ত্রীরা বললেন, ‘আমাদের শক্তি আছে এবং আমরা কঠোর যোদ্ধাও; তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আপনারই। কাজেই আপনি কী আদেশ করবেন, ভেবে দেখুন।’
বিলকিস হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে বললেন, ‘রাজারা যখন কোনো জনপদে ঢোকে, তখন বিপর্যয় ডেকে আনে এবং সেখানকার সম্মানিত ব্যক্তিদের অপমান করে ছাড়ে। এরাও তাই করবে।’
শান্তিচুক্তি করে আত্মসমর্পণ এড়ানোর ফন্দি আঁটেন বিলকিস। সোলায়মান (আ.)-এর কাছে উপহার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। মন্ত্রীদের বললেন, ‘আমি তাঁর কাছে উপহার পাঠাচ্ছি। দেখি, দূতেরা কী জবাব নিয়ে আসে।’
বিলকিসের সিংহাসন তুলে আনার বিস্ময়কর ঘটনা
বিলকিসের প্রতিনিধি দল সোলায়মান (আ.)-এর দরবারে এলে তিনি বললেন, ‘তোমরা কি আমাকে অর্থ-সম্পদ দিয়ে সাহায্য করতে এসেছ? আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন, তা তোমাদের যা দিয়েছেন তার চেয়ে উত্তম। তোমরা বরং তোমাদের উপহার নিয়েই আনন্দ করো।’
কঠিন এক ধমক দিয়ে সোলায়মান (আ.) তাদের বললেন, ‘নিজ দেশে ফিরে যাও। আমি তাদের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য এক সেনাবাহিনী নিয়ে আসব। তাদের অপমানিত করে সেখান থেকে বের করে দেব। তারা লাঞ্ছিত হবেই।’
তারা ফিরে গেল এবং সোলায়মান (আ.) অহির মাধ্যমে জানতে পারলেন, হুঁশিয়ারি শুনে বিলকিস শিগগিরই তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। তাই তিনি যখন আসবেন, তখন তাঁকে আল্লাহর দেওয়া ক্ষমতা দেখানোর জন্য সোলায়মান (আ.) একটি পরিকল্পনা করলেন। সভাসদকে ডেকে বললেন, ‘হে সভাসদগণ, তারা আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে আসার আগেই তোমাদের কে তার সিংহাসন আমার কাছে নিয়ে আসবে?’
এক শক্তিশালী জিন বললেন, ‘আপনি আপনার জায়গা থেকে ওঠার আগেই আমি তা আপনার কাছে এনে দেব। এ কাজে আমি অবশ্যই ক্ষমতার অধিকারী ও আস্থাভাজন।’
ঐশী জ্ঞানের অধিকারী এক আলেম বললেন, ‘আপনার পলক ফেলার আগেই তা আপনার কাছে এনে দেব।’
যেই কথা সেই কাজ, মুহূর্তেই তিনি বিলকিসের বিরাট সিংহাসন সোলায়মান (আ.)-এর সামনে হাজির করে দিলেন এবং আল্লাহর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানালেন।
বিলকিস যেভাবে আত্মসমর্পণ করেন
নিজের সিংহাসন সোলায়মান (আ.)-এর দরবারে দেখে বিলকিস নিশ্চয়ই অবাক হবেন এবং আল্লাহপ্রদত্ত ক্ষমতা দেখে তাঁকে নবী হিসেবে মেনে নিয়ে আনুগত্য করবেন, তাই তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য সোলায়মান (আ.) কিছু নির্দেশনা দিলেন। বললেন, ‘তাঁর সিংহাসনের ধরন পাল্টে দাও। এরপর দেখি, সে সত্য পথের দিশা পায়, নাকি যারা পথের দিশা পায় না তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়।’
বিলকিস আত্মসমর্পণের জন্যই এলেন। তাঁকে সিংহাসনটি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এটি কি আপনার সিংহাসন?’ তিনি বললেন, ‘তাই তো মনে হয়। আপনার সম্পর্কে আগেই আমাদের জানানো হয়েছে এবং আমরা আত্মসমর্পণ করতেই এসেছি।’
রানি বিলকিসকে প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানিয়ে সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘প্রাসাদে প্রবেশ করুন।’
প্রাসাদের মেঝে দেখে তিনি সেটিকে স্বচ্ছ পানির হ্রদ মনে করলেন। ফলে বিভ্রান্ত হয়ে পায়ের গোছা থেকে কাপড় উঁচু করেন। তখন সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘এ স্বচ্ছ কাচের প্রাসাদ।’
রানি বিলকিস এসব পরীক্ষার মুখে পড়ে সোলায়মান (আ.)-এর অলৌকিক ক্ষমতা উপলব্ধি করলেন এবং আল্লাহর দরবারে চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ করার ঘোষণা দিলেন। বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি অবশ্যই নিজের প্রতি জুলুম করেছি। আমি সোলায়মানের সঙ্গে বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করছি।’
গল্পের শিক্ষা
এ গল্পের মূল শিক্ষা হলো, পৃথিবীতে আপনি যত ক্ষমতাধরই হোন, মহান আল্লাহর দরবারে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণই পারে আপনার পরকালীন সাফল্য নিশ্চিত করতে। সাবার রানি বিলকিস সোলায়মান (আ.)-এর হাত ধরে মহাবিশ্বের মহান অধিপতি আল্লাহ তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করে পরিণামদর্শী সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। ক্ষমতার অহংকারের ফাঁদে পড়ে পরকালীন সাফল্যের কথা তিনি ভুলে যাননি। এ ছাড়া গল্পে রয়েছে শেখার অনেক উপকরণ।
সূত্র: পবিত্র কোরআনের সুরা নামলের ২০ থেকে ৪৪ নম্বর আয়াত অবলম্বনে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইয়েমেনের এক ক্ষমতাধর নারীর গল্প বলেছেন। বিলকিস নামের এই নারী আল্লাহর নবী হজরত সোলায়মান (আ.)-এর যুগে ইয়েমেন ও আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শাসন করতেন।
আল্লাহ তাআলা বিলকিসের সাম্রাজ্যের কথা সোলায়মান (আ.)-এর অগোচরে রেখেছিলেন। পরে তাঁর গোয়েন্দা পাখি হুদহুদের মাধ্যমে যখন জানলেন, আল্লাহর অবাধ্য এক সম্রাজ্ঞী পৃথিবীর একটি বড় অঞ্চল শাসন করছেন—তখন তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন। পবিত্র কোরআনের সুরা নামলের ২৪টি আয়াতে আল্লাহ তাআলা সেই ঘটনা তুলে ধরেছেন। চলুন, কোরআনের ভাষ্যেই ঘটনাটির বিস্তারিত জানা যাক—
যেভাবে খোঁজ মেলে বিলকিসের সাম্রাজ্যের
জিন, পশুপাখি, মানুষসহ সব সৃষ্টিকেই আল্লাহ তাআলা হজরত সোলায়মান (আ.)-এর অনুগত করে দিয়েছিলেন। একদিন তিনি বিশাল বাহিনী নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিল সোলায়মান (আ.)-এর গোয়েন্দার কাজ আঞ্জাম দেওয়া হুদহুদ পাখিও। পথে সোলায়মান (আ.) পাখিদের খোঁজ নিতে গেলে হুদহুদকে অনুপস্থিত দেখলেন। অন্যদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, হুদহুদকে দেখছি না, নাকি সে নাই?’
অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকা অপরাধের অন্তর্ভুক্ত। তাই সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘তাকে কঠিনতম শাস্তি দেব অথবা তাকে হত্যাই করব অথবা সে অবশ্যই আমাকে (অনুপস্থিতির) উপযুক্ত কারণ দেখাবে।’
একটু পরেই হুদহুদ ফিরে এল। এসে বলল, ‘আমি এমন কিছু তথ্য পেয়েছি, যা আপনার কাছে নেই। (ইয়েমেনের) সাবা থেকে আমি নিশ্চিত খবর নিয়ে এসেছি। সেখানে দেখলাম—এক নারী রাজত্ব করছেন এবং তাঁকে সবই দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরাট সিংহাসন রয়েছে।’
হুদহুদ আরও বলে, ‘এটুকুই নয়, আরও দেখলাম, তিনি ও তাঁর প্রজারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে সূর্যকে সেজদা করছেন। শয়তান এ কাজকে তাদের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে এবং হেদায়েতের পথ থেকে বিরত রেখেছে। ফলে তারা হেদায়েত পায়নি।’
এমন তথ্য শুনে সোলায়মান (আ.) বিস্মিত হলেন এবং বললেন, ‘দেখি, তুমি সত্য বলেছ, না মিথ্যা বলছ।’
রানি বিলকিসকে আল্লাহর বিধানের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে সোলায়মান (আ.) একটি চিঠি লিখলেন।
চিঠি পাওয়ার পর বিলকিসের প্রতিক্রিয়া
হুদহুদকে সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘আমার এই চিঠি নিয়ে গিয়ে তাদের দাও। এরপর তাদের কাছ থেকে একটু দূরে সরে দেখো—তাদের প্রতিক্রিয়া কী?’
হুদহুদ গিয়ে তা–ই করল। চিঠি পেয়ে বিলকিস মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন এবং চিঠির ভাষ্য তাঁদের সামনে তুলে ধরলেন। বললেন, ‘সভাসদগণ, এই দেখেন, আমাকে সোলায়মানের পক্ষ থেকে মোহরাঙ্কিত পত্র দেওয়া হয়েছে। (তাতে লেখা আছে) অসীম দাতা অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। আমার প্রতি উদ্ধত হইও না, অনুগত হয়ে আমার কাছে হাজির হও।’
মন্ত্রীদের কাছে পরামর্শ চেয়ে বিলকিস বললেন, ‘হে সভাসদগণ, আমার কর্তব্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দিন। আপনাদের ছাড়া আমি কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিইনি।’
মন্ত্রীরা বললেন, ‘আমাদের শক্তি আছে এবং আমরা কঠোর যোদ্ধাও; তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আপনারই। কাজেই আপনি কী আদেশ করবেন, ভেবে দেখুন।’
বিলকিস হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে বললেন, ‘রাজারা যখন কোনো জনপদে ঢোকে, তখন বিপর্যয় ডেকে আনে এবং সেখানকার সম্মানিত ব্যক্তিদের অপমান করে ছাড়ে। এরাও তাই করবে।’
শান্তিচুক্তি করে আত্মসমর্পণ এড়ানোর ফন্দি আঁটেন বিলকিস। সোলায়মান (আ.)-এর কাছে উপহার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। মন্ত্রীদের বললেন, ‘আমি তাঁর কাছে উপহার পাঠাচ্ছি। দেখি, দূতেরা কী জবাব নিয়ে আসে।’
বিলকিসের সিংহাসন তুলে আনার বিস্ময়কর ঘটনা
বিলকিসের প্রতিনিধি দল সোলায়মান (আ.)-এর দরবারে এলে তিনি বললেন, ‘তোমরা কি আমাকে অর্থ-সম্পদ দিয়ে সাহায্য করতে এসেছ? আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন, তা তোমাদের যা দিয়েছেন তার চেয়ে উত্তম। তোমরা বরং তোমাদের উপহার নিয়েই আনন্দ করো।’
কঠিন এক ধমক দিয়ে সোলায়মান (আ.) তাদের বললেন, ‘নিজ দেশে ফিরে যাও। আমি তাদের বিরুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য এক সেনাবাহিনী নিয়ে আসব। তাদের অপমানিত করে সেখান থেকে বের করে দেব। তারা লাঞ্ছিত হবেই।’
তারা ফিরে গেল এবং সোলায়মান (আ.) অহির মাধ্যমে জানতে পারলেন, হুঁশিয়ারি শুনে বিলকিস শিগগিরই তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। তাই তিনি যখন আসবেন, তখন তাঁকে আল্লাহর দেওয়া ক্ষমতা দেখানোর জন্য সোলায়মান (আ.) একটি পরিকল্পনা করলেন। সভাসদকে ডেকে বললেন, ‘হে সভাসদগণ, তারা আমার কাছে আত্মসমর্পণ করে আসার আগেই তোমাদের কে তার সিংহাসন আমার কাছে নিয়ে আসবে?’
এক শক্তিশালী জিন বললেন, ‘আপনি আপনার জায়গা থেকে ওঠার আগেই আমি তা আপনার কাছে এনে দেব। এ কাজে আমি অবশ্যই ক্ষমতার অধিকারী ও আস্থাভাজন।’
ঐশী জ্ঞানের অধিকারী এক আলেম বললেন, ‘আপনার পলক ফেলার আগেই তা আপনার কাছে এনে দেব।’
যেই কথা সেই কাজ, মুহূর্তেই তিনি বিলকিসের বিরাট সিংহাসন সোলায়মান (আ.)-এর সামনে হাজির করে দিলেন এবং আল্লাহর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানালেন।
বিলকিস যেভাবে আত্মসমর্পণ করেন
নিজের সিংহাসন সোলায়মান (আ.)-এর দরবারে দেখে বিলকিস নিশ্চয়ই অবাক হবেন এবং আল্লাহপ্রদত্ত ক্ষমতা দেখে তাঁকে নবী হিসেবে মেনে নিয়ে আনুগত্য করবেন, তাই তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য সোলায়মান (আ.) কিছু নির্দেশনা দিলেন। বললেন, ‘তাঁর সিংহাসনের ধরন পাল্টে দাও। এরপর দেখি, সে সত্য পথের দিশা পায়, নাকি যারা পথের দিশা পায় না তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়।’
বিলকিস আত্মসমর্পণের জন্যই এলেন। তাঁকে সিংহাসনটি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এটি কি আপনার সিংহাসন?’ তিনি বললেন, ‘তাই তো মনে হয়। আপনার সম্পর্কে আগেই আমাদের জানানো হয়েছে এবং আমরা আত্মসমর্পণ করতেই এসেছি।’
রানি বিলকিসকে প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানিয়ে সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘প্রাসাদে প্রবেশ করুন।’
প্রাসাদের মেঝে দেখে তিনি সেটিকে স্বচ্ছ পানির হ্রদ মনে করলেন। ফলে বিভ্রান্ত হয়ে পায়ের গোছা থেকে কাপড় উঁচু করেন। তখন সোলায়মান (আ.) বললেন, ‘এ স্বচ্ছ কাচের প্রাসাদ।’
রানি বিলকিস এসব পরীক্ষার মুখে পড়ে সোলায়মান (আ.)-এর অলৌকিক ক্ষমতা উপলব্ধি করলেন এবং আল্লাহর দরবারে চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ করার ঘোষণা দিলেন। বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি অবশ্যই নিজের প্রতি জুলুম করেছি। আমি সোলায়মানের সঙ্গে বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করছি।’
গল্পের শিক্ষা
এ গল্পের মূল শিক্ষা হলো, পৃথিবীতে আপনি যত ক্ষমতাধরই হোন, মহান আল্লাহর দরবারে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণই পারে আপনার পরকালীন সাফল্য নিশ্চিত করতে। সাবার রানি বিলকিস সোলায়মান (আ.)-এর হাত ধরে মহাবিশ্বের মহান অধিপতি আল্লাহ তাআলার কাছে আত্মসমর্পণ করে পরিণামদর্শী সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। ক্ষমতার অহংকারের ফাঁদে পড়ে পরকালীন সাফল্যের কথা তিনি ভুলে যাননি। এ ছাড়া গল্পে রয়েছে শেখার অনেক উপকরণ।
সূত্র: পবিত্র কোরআনের সুরা নামলের ২০ থেকে ৪৪ নম্বর আয়াত অবলম্বনে।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩৮ মিনিট আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

আল্লাহ তাআলা বিলকিসের সাম্রাজ্যের কথা সোলায়মান (আ.)-এর অগোচরে রেখেছিলেন। পরে তাঁর গোয়েন্দা পাখি হুদহুদের মাধ্যমে যখন জানলেন, আল্লাহর অবাধ্য এক সম্রাজ্ঞী পৃথিবীর একটি বড় অঞ্চল শাসন করছেন—তখন তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন।
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

আল্লাহ তাআলা বিলকিসের সাম্রাজ্যের কথা সোলায়মান (আ.)-এর অগোচরে রেখেছিলেন। পরে তাঁর গোয়েন্দা পাখি হুদহুদের মাধ্যমে যখন জানলেন, আল্লাহর অবাধ্য এক সম্রাজ্ঞী পৃথিবীর একটি বড় অঞ্চল শাসন করছেন—তখন তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন।
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩৮ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল্লাহ তাআলা বিলকিসের সাম্রাজ্যের কথা সোলায়মান (আ.)-এর অগোচরে রেখেছিলেন। পরে তাঁর গোয়েন্দা পাখি হুদহুদের মাধ্যমে যখন জানলেন, আল্লাহর অবাধ্য এক সম্রাজ্ঞী পৃথিবীর একটি বড় অঞ্চল শাসন করছেন—তখন তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন।
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩৮ মিনিট আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

আল্লাহ তাআলা বিলকিসের সাম্রাজ্যের কথা সোলায়মান (আ.)-এর অগোচরে রেখেছিলেন। পরে তাঁর গোয়েন্দা পাখি হুদহুদের মাধ্যমে যখন জানলেন, আল্লাহর অবাধ্য এক সম্রাজ্ঞী পৃথিবীর একটি বড় অঞ্চল শাসন করছেন—তখন তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন।
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩৮ মিনিট আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে