Ajker Patrika

সদকাতুল ফিতরের মৌলিক বিধান

আবদুল আযীয কাসেমি
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪, ১৮: ০২
সদকাতুল ফিতরের মৌলিক বিধান

সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির যুগ থেকে আজ পর্যন্ত অন্যান্য মৌলিক ইবাদতের মতো সদকাতুল ফিতরও মুসলমানেরা আদায় করে আসছেন।

সদকাতুল ফিতরের গুরুত্ব
পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট শব্দে সদকাতুল ফিতরের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সাফল্য অর্জন করবে সে, যে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করবে ও সালাত আদায় করবে।’ (সুরা আলা: ১৪-১৫) 

সাহাবি ও তাবেয়িদের একটি উল্লেখযোগ্য দল মনে করেন, এ আয়াতে পবিত্রতা বলতে সদকাতুল ফিতর বোঝানো হয়েছে। অবশ্য অনেক আলিমের মতে, এখানে জাকাত উদ্দেশ্য। আবার কেউ নিজেদের আমলের মাধ্যমে মনের পবিত্রতার কথা বুঝিয়েছেন। মোটকথা, সদকাতুল ফিতরের ব্যাপারে আয়াতটি দ্ব্যর্থহীন না হলেও ইঙ্গিতবহ। 
 
এ প্রসঙ্গে হাদিসের বক্তব্য একেবারে দ্ব্যর্থহীন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের ওপর রমজানে সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন—প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীনের ওপর এক সা খেজুর বা এক সা যব।’ (সহিহ্ বুখারি) উল্লেখ্য, এক সা সমান ৩ কেজি ২৭০ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়। 

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) একজন ঘোষক প্রেরণ করলেন, সে যেন মক্কার পথে পথে এ ঘোষণা দেয়—ভালো করে শোনো, প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীন, ছোট-বড় সকলের ওপর সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য। দুই মুদ তথা আধা সা গম অথবা অন্য কোনো খাদ্যদ্রব্য থেকে এক সা। (তিরমিজি) উল্লেখ্য, আধা সা সমান ১ কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়। 

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ
ওপরের মূলনীতির আলোকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ফিতরা দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রামের বাজারমূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ৪০০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৪৭৫ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ১৪৫ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে। 

সদকাতুল ফিতর কেন দিতে হয়
সদকাতুল ফিতরের মূলকথা হলো, এটি একটি বিশুদ্ধ ইবাদত, যা আদায়ের জন্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সদকাতুল ফিতরের আরও দুটি তাৎপর্যের কথা একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন; অর্থহীন, অশালীন কথা ও কাজের কারণে রোজার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণের জন্য এবং নিঃস্ব লোকদের আহার জোগানোর জন্য। (আবু দাউদ) 

সদকাতুল ফিতর কখন ওয়াজিব হয়
সদকাতুল ফিতর একজন মুসলিমের ওপর নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই ওয়াজিব হয়ে যায়। নিসাব পরিমাণ মানে হলো—সোনা, রুপা, ব্যবসায়িক পণ্য, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্রের মূল্য ও নগদ ক্যাশ—এ পাঁচ ধরনের সম্পদ মিলে বা এর কোনো একটিও যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে তাদের ওপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়ে যায়। এখানে লক্ষণীয় হলো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বলতে উদ্দেশ্য হলো—যা বছরে সাধারণত একবারও ব্যবহার হয় না। যেমন—
-অতিরিক্ত কাপড়চোপড়, যা বছরে একবারও ব্যবহার হয় না। 
-টেলিভিশন, অবৈধ মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ইত্যাদি
-শৌখিন আসবাবপত্র—তা ব্যবহৃত হোক বা না হোক। যেমন মাছের এ্যকুরিয়াম, পোষা পাখি ইত্যাদি। 
-অতিরিক্ত ডেগ-পাতিল যেগুলো বছরে একবারও ব্যবহার হয় না। 
-প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি, যা বছরে খোরাকির জন্য প্রয়োজন হয় না। 
-খালি পড়ে আছে এমন ঘরবাড়ি। 
এসব বিষয় যদিও জাকাতের নিসাবে ধর্তব্য নয়, কিন্তু জাকাতের অনুপযুক্ত হওয়া, সদকাতুল ফিতর ও কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ধর্তব্য হবে। 

বিবিধ মাসায়েল
ক. সদকাতুল ফিতর ব্যয়ের খাত তা-ই, যা জাকাতের খাত। তবে গরিব-মিসকিনকে দেওয়াই সর্বোত্তম। 
খ. যে ব্যক্তি যেখানে বসবাস করছে সেখানকার হিসেবেই সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। 
গ. নাবালক ও পাগলের সম্পদে জাকাত না আসলেও সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। তাদের পক্ষে তাদের অভিভাবক তা আদায় করবেন।
ঘ. সদকাতুল ফিতর গ্রহীতাকে যা দেওয়া হবে তার মালিকানা সত্ত্ব প্রদান করতে হবে। 

লেখক: শিক্ষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৮ মিনিট
ফজর০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৯ মিনিট
জোহর১২: ০২ মিনিট০৩: ৪৫ মিনিট
আসর০৩: ৪৬ মিনিট০৫: ২১ মিনিট
মাগরিব০৫: ২৩ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মক্কা-মদিনায় এক মাসে প্রায় ৭ কোটি মুসল্লির সমাগম

ইসলাম ডেস্ক 
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।

কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের সতর্কবার্তা

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।

পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।

পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৮ মিনিট
ফজর০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৯ মিনিট
জোহর১২: ০১ মিনিট০৩: ৪৪ মিনিট
আসর০৩: ৪৫ মিনিট০৫: ২০ মিনিট
মাগরিব০৫: ২২ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত