আবদুল আযীয কাসেমি

সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির যুগ থেকে আজ পর্যন্ত অন্যান্য মৌলিক ইবাদতের মতো সদকাতুল ফিতরও মুসলমানেরা আদায় করে আসছেন।
সদকাতুল ফিতরের গুরুত্ব
পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট শব্দে সদকাতুল ফিতরের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সাফল্য অর্জন করবে সে, যে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করবে ও সালাত আদায় করবে।’ (সুরা আলা: ১৪-১৫)
সাহাবি ও তাবেয়িদের একটি উল্লেখযোগ্য দল মনে করেন, এ আয়াতে পবিত্রতা বলতে সদকাতুল ফিতর বোঝানো হয়েছে। অবশ্য অনেক আলিমের মতে, এখানে জাকাত উদ্দেশ্য। আবার কেউ নিজেদের আমলের মাধ্যমে মনের পবিত্রতার কথা বুঝিয়েছেন। মোটকথা, সদকাতুল ফিতরের ব্যাপারে আয়াতটি দ্ব্যর্থহীন না হলেও ইঙ্গিতবহ।
এ প্রসঙ্গে হাদিসের বক্তব্য একেবারে দ্ব্যর্থহীন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের ওপর রমজানে সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন—প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীনের ওপর এক সা খেজুর বা এক সা যব।’ (সহিহ্ বুখারি) উল্লেখ্য, এক সা সমান ৩ কেজি ২৭০ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) একজন ঘোষক প্রেরণ করলেন, সে যেন মক্কার পথে পথে এ ঘোষণা দেয়—ভালো করে শোনো, প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীন, ছোট-বড় সকলের ওপর সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য। দুই মুদ তথা আধা সা গম অথবা অন্য কোনো খাদ্যদ্রব্য থেকে এক সা। (তিরমিজি) উল্লেখ্য, আধা সা সমান ১ কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ
ওপরের মূলনীতির আলোকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ফিতরা দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রামের বাজারমূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ৪০০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৪৭৫ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ১৪৫ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
সদকাতুল ফিতর কেন দিতে হয়
সদকাতুল ফিতরের মূলকথা হলো, এটি একটি বিশুদ্ধ ইবাদত, যা আদায়ের জন্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সদকাতুল ফিতরের আরও দুটি তাৎপর্যের কথা একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন; অর্থহীন, অশালীন কথা ও কাজের কারণে রোজার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণের জন্য এবং নিঃস্ব লোকদের আহার জোগানোর জন্য। (আবু দাউদ)
সদকাতুল ফিতর কখন ওয়াজিব হয়
সদকাতুল ফিতর একজন মুসলিমের ওপর নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই ওয়াজিব হয়ে যায়। নিসাব পরিমাণ মানে হলো—সোনা, রুপা, ব্যবসায়িক পণ্য, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্রের মূল্য ও নগদ ক্যাশ—এ পাঁচ ধরনের সম্পদ মিলে বা এর কোনো একটিও যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে তাদের ওপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়ে যায়। এখানে লক্ষণীয় হলো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বলতে উদ্দেশ্য হলো—যা বছরে সাধারণত একবারও ব্যবহার হয় না। যেমন—
-অতিরিক্ত কাপড়চোপড়, যা বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-টেলিভিশন, অবৈধ মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ইত্যাদি
-শৌখিন আসবাবপত্র—তা ব্যবহৃত হোক বা না হোক। যেমন মাছের এ্যকুরিয়াম, পোষা পাখি ইত্যাদি।
-অতিরিক্ত ডেগ-পাতিল যেগুলো বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি, যা বছরে খোরাকির জন্য প্রয়োজন হয় না।
-খালি পড়ে আছে এমন ঘরবাড়ি।
এসব বিষয় যদিও জাকাতের নিসাবে ধর্তব্য নয়, কিন্তু জাকাতের অনুপযুক্ত হওয়া, সদকাতুল ফিতর ও কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ধর্তব্য হবে।
বিবিধ মাসায়েল
ক. সদকাতুল ফিতর ব্যয়ের খাত তা-ই, যা জাকাতের খাত। তবে গরিব-মিসকিনকে দেওয়াই সর্বোত্তম।
খ. যে ব্যক্তি যেখানে বসবাস করছে সেখানকার হিসেবেই সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে।
গ. নাবালক ও পাগলের সম্পদে জাকাত না আসলেও সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। তাদের পক্ষে তাদের অভিভাবক তা আদায় করবেন।
ঘ. সদকাতুল ফিতর গ্রহীতাকে যা দেওয়া হবে তার মালিকানা সত্ত্ব প্রদান করতে হবে।
লেখক: শিক্ষক

সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির যুগ থেকে আজ পর্যন্ত অন্যান্য মৌলিক ইবাদতের মতো সদকাতুল ফিতরও মুসলমানেরা আদায় করে আসছেন।
সদকাতুল ফিতরের গুরুত্ব
পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট শব্দে সদকাতুল ফিতরের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সাফল্য অর্জন করবে সে, যে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করবে ও সালাত আদায় করবে।’ (সুরা আলা: ১৪-১৫)
সাহাবি ও তাবেয়িদের একটি উল্লেখযোগ্য দল মনে করেন, এ আয়াতে পবিত্রতা বলতে সদকাতুল ফিতর বোঝানো হয়েছে। অবশ্য অনেক আলিমের মতে, এখানে জাকাত উদ্দেশ্য। আবার কেউ নিজেদের আমলের মাধ্যমে মনের পবিত্রতার কথা বুঝিয়েছেন। মোটকথা, সদকাতুল ফিতরের ব্যাপারে আয়াতটি দ্ব্যর্থহীন না হলেও ইঙ্গিতবহ।
এ প্রসঙ্গে হাদিসের বক্তব্য একেবারে দ্ব্যর্থহীন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের ওপর রমজানে সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন—প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীনের ওপর এক সা খেজুর বা এক সা যব।’ (সহিহ্ বুখারি) উল্লেখ্য, এক সা সমান ৩ কেজি ২৭০ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) একজন ঘোষক প্রেরণ করলেন, সে যেন মক্কার পথে পথে এ ঘোষণা দেয়—ভালো করে শোনো, প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীন, ছোট-বড় সকলের ওপর সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য। দুই মুদ তথা আধা সা গম অথবা অন্য কোনো খাদ্যদ্রব্য থেকে এক সা। (তিরমিজি) উল্লেখ্য, আধা সা সমান ১ কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ
ওপরের মূলনীতির আলোকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ফিতরা দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রামের বাজারমূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ৪০০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৪৭৫ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ১৪৫ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
সদকাতুল ফিতর কেন দিতে হয়
সদকাতুল ফিতরের মূলকথা হলো, এটি একটি বিশুদ্ধ ইবাদত, যা আদায়ের জন্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সদকাতুল ফিতরের আরও দুটি তাৎপর্যের কথা একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন; অর্থহীন, অশালীন কথা ও কাজের কারণে রোজার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণের জন্য এবং নিঃস্ব লোকদের আহার জোগানোর জন্য। (আবু দাউদ)
সদকাতুল ফিতর কখন ওয়াজিব হয়
সদকাতুল ফিতর একজন মুসলিমের ওপর নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই ওয়াজিব হয়ে যায়। নিসাব পরিমাণ মানে হলো—সোনা, রুপা, ব্যবসায়িক পণ্য, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্রের মূল্য ও নগদ ক্যাশ—এ পাঁচ ধরনের সম্পদ মিলে বা এর কোনো একটিও যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে তাদের ওপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়ে যায়। এখানে লক্ষণীয় হলো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বলতে উদ্দেশ্য হলো—যা বছরে সাধারণত একবারও ব্যবহার হয় না। যেমন—
-অতিরিক্ত কাপড়চোপড়, যা বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-টেলিভিশন, অবৈধ মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ইত্যাদি
-শৌখিন আসবাবপত্র—তা ব্যবহৃত হোক বা না হোক। যেমন মাছের এ্যকুরিয়াম, পোষা পাখি ইত্যাদি।
-অতিরিক্ত ডেগ-পাতিল যেগুলো বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি, যা বছরে খোরাকির জন্য প্রয়োজন হয় না।
-খালি পড়ে আছে এমন ঘরবাড়ি।
এসব বিষয় যদিও জাকাতের নিসাবে ধর্তব্য নয়, কিন্তু জাকাতের অনুপযুক্ত হওয়া, সদকাতুল ফিতর ও কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ধর্তব্য হবে।
বিবিধ মাসায়েল
ক. সদকাতুল ফিতর ব্যয়ের খাত তা-ই, যা জাকাতের খাত। তবে গরিব-মিসকিনকে দেওয়াই সর্বোত্তম।
খ. যে ব্যক্তি যেখানে বসবাস করছে সেখানকার হিসেবেই সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে।
গ. নাবালক ও পাগলের সম্পদে জাকাত না আসলেও সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। তাদের পক্ষে তাদের অভিভাবক তা আদায় করবেন।
ঘ. সদকাতুল ফিতর গ্রহীতাকে যা দেওয়া হবে তার মালিকানা সত্ত্ব প্রদান করতে হবে।
লেখক: শিক্ষক
আবদুল আযীয কাসেমি

সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির যুগ থেকে আজ পর্যন্ত অন্যান্য মৌলিক ইবাদতের মতো সদকাতুল ফিতরও মুসলমানেরা আদায় করে আসছেন।
সদকাতুল ফিতরের গুরুত্ব
পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট শব্দে সদকাতুল ফিতরের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সাফল্য অর্জন করবে সে, যে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করবে ও সালাত আদায় করবে।’ (সুরা আলা: ১৪-১৫)
সাহাবি ও তাবেয়িদের একটি উল্লেখযোগ্য দল মনে করেন, এ আয়াতে পবিত্রতা বলতে সদকাতুল ফিতর বোঝানো হয়েছে। অবশ্য অনেক আলিমের মতে, এখানে জাকাত উদ্দেশ্য। আবার কেউ নিজেদের আমলের মাধ্যমে মনের পবিত্রতার কথা বুঝিয়েছেন। মোটকথা, সদকাতুল ফিতরের ব্যাপারে আয়াতটি দ্ব্যর্থহীন না হলেও ইঙ্গিতবহ।
এ প্রসঙ্গে হাদিসের বক্তব্য একেবারে দ্ব্যর্থহীন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের ওপর রমজানে সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন—প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীনের ওপর এক সা খেজুর বা এক সা যব।’ (সহিহ্ বুখারি) উল্লেখ্য, এক সা সমান ৩ কেজি ২৭০ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) একজন ঘোষক প্রেরণ করলেন, সে যেন মক্কার পথে পথে এ ঘোষণা দেয়—ভালো করে শোনো, প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীন, ছোট-বড় সকলের ওপর সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য। দুই মুদ তথা আধা সা গম অথবা অন্য কোনো খাদ্যদ্রব্য থেকে এক সা। (তিরমিজি) উল্লেখ্য, আধা সা সমান ১ কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ
ওপরের মূলনীতির আলোকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ফিতরা দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রামের বাজারমূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ৪০০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৪৭৫ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ১৪৫ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
সদকাতুল ফিতর কেন দিতে হয়
সদকাতুল ফিতরের মূলকথা হলো, এটি একটি বিশুদ্ধ ইবাদত, যা আদায়ের জন্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সদকাতুল ফিতরের আরও দুটি তাৎপর্যের কথা একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন; অর্থহীন, অশালীন কথা ও কাজের কারণে রোজার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণের জন্য এবং নিঃস্ব লোকদের আহার জোগানোর জন্য। (আবু দাউদ)
সদকাতুল ফিতর কখন ওয়াজিব হয়
সদকাতুল ফিতর একজন মুসলিমের ওপর নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই ওয়াজিব হয়ে যায়। নিসাব পরিমাণ মানে হলো—সোনা, রুপা, ব্যবসায়িক পণ্য, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্রের মূল্য ও নগদ ক্যাশ—এ পাঁচ ধরনের সম্পদ মিলে বা এর কোনো একটিও যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে তাদের ওপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়ে যায়। এখানে লক্ষণীয় হলো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বলতে উদ্দেশ্য হলো—যা বছরে সাধারণত একবারও ব্যবহার হয় না। যেমন—
-অতিরিক্ত কাপড়চোপড়, যা বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-টেলিভিশন, অবৈধ মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ইত্যাদি
-শৌখিন আসবাবপত্র—তা ব্যবহৃত হোক বা না হোক। যেমন মাছের এ্যকুরিয়াম, পোষা পাখি ইত্যাদি।
-অতিরিক্ত ডেগ-পাতিল যেগুলো বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি, যা বছরে খোরাকির জন্য প্রয়োজন হয় না।
-খালি পড়ে আছে এমন ঘরবাড়ি।
এসব বিষয় যদিও জাকাতের নিসাবে ধর্তব্য নয়, কিন্তু জাকাতের অনুপযুক্ত হওয়া, সদকাতুল ফিতর ও কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ধর্তব্য হবে।
বিবিধ মাসায়েল
ক. সদকাতুল ফিতর ব্যয়ের খাত তা-ই, যা জাকাতের খাত। তবে গরিব-মিসকিনকে দেওয়াই সর্বোত্তম।
খ. যে ব্যক্তি যেখানে বসবাস করছে সেখানকার হিসেবেই সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে।
গ. নাবালক ও পাগলের সম্পদে জাকাত না আসলেও সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। তাদের পক্ষে তাদের অভিভাবক তা আদায় করবেন।
ঘ. সদকাতুল ফিতর গ্রহীতাকে যা দেওয়া হবে তার মালিকানা সত্ত্ব প্রদান করতে হবে।
লেখক: শিক্ষক

সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির যুগ থেকে আজ পর্যন্ত অন্যান্য মৌলিক ইবাদতের মতো সদকাতুল ফিতরও মুসলমানেরা আদায় করে আসছেন।
সদকাতুল ফিতরের গুরুত্ব
পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট শব্দে সদকাতুল ফিতরের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সাফল্য অর্জন করবে সে, যে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং তার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করবে ও সালাত আদায় করবে।’ (সুরা আলা: ১৪-১৫)
সাহাবি ও তাবেয়িদের একটি উল্লেখযোগ্য দল মনে করেন, এ আয়াতে পবিত্রতা বলতে সদকাতুল ফিতর বোঝানো হয়েছে। অবশ্য অনেক আলিমের মতে, এখানে জাকাত উদ্দেশ্য। আবার কেউ নিজেদের আমলের মাধ্যমে মনের পবিত্রতার কথা বুঝিয়েছেন। মোটকথা, সদকাতুল ফিতরের ব্যাপারে আয়াতটি দ্ব্যর্থহীন না হলেও ইঙ্গিতবহ।
এ প্রসঙ্গে হাদিসের বক্তব্য একেবারে দ্ব্যর্থহীন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষের ওপর রমজানে সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন—প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীনের ওপর এক সা খেজুর বা এক সা যব।’ (সহিহ্ বুখারি) উল্লেখ্য, এক সা সমান ৩ কেজি ২৭০ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) একজন ঘোষক প্রেরণ করলেন, সে যেন মক্কার পথে পথে এ ঘোষণা দেয়—ভালো করে শোনো, প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, গোলাম-স্বাধীন, ছোট-বড় সকলের ওপর সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য। দুই মুদ তথা আধা সা গম অথবা অন্য কোনো খাদ্যদ্রব্য থেকে এক সা। (তিরমিজি) উল্লেখ্য, আধা সা সমান ১ কেজি ৬৩৫ গ্রামের কিছু বেশি। তবে সদকাতুল ফিতর হিসাব করার সময় ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম ধরে সাধারণত হিসাব করা হয়।
সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ
ওপরের মূলনীতির আলোকেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ফিতরা দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রামের বাজারমূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ৪০০ টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৪৭৫ টাকা, কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ১৪৫ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজারমূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
সদকাতুল ফিতর কেন দিতে হয়
সদকাতুল ফিতরের মূলকথা হলো, এটি একটি বিশুদ্ধ ইবাদত, যা আদায়ের জন্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সদকাতুল ফিতরের আরও দুটি তাৎপর্যের কথা একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) সদকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন; অর্থহীন, অশালীন কথা ও কাজের কারণে রোজার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণের জন্য এবং নিঃস্ব লোকদের আহার জোগানোর জন্য। (আবু দাউদ)
সদকাতুল ফিতর কখন ওয়াজিব হয়
সদকাতুল ফিতর একজন মুসলিমের ওপর নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই ওয়াজিব হয়ে যায়। নিসাব পরিমাণ মানে হলো—সোনা, রুপা, ব্যবসায়িক পণ্য, প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্রের মূল্য ও নগদ ক্যাশ—এ পাঁচ ধরনের সম্পদ মিলে বা এর কোনো একটিও যদি সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলে তাদের ওপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়ে যায়। এখানে লক্ষণীয় হলো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বলতে উদ্দেশ্য হলো—যা বছরে সাধারণত একবারও ব্যবহার হয় না। যেমন—
-অতিরিক্ত কাপড়চোপড়, যা বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-টেলিভিশন, অবৈধ মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ইত্যাদি
-শৌখিন আসবাবপত্র—তা ব্যবহৃত হোক বা না হোক। যেমন মাছের এ্যকুরিয়াম, পোষা পাখি ইত্যাদি।
-অতিরিক্ত ডেগ-পাতিল যেগুলো বছরে একবারও ব্যবহার হয় না।
-প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি, যা বছরে খোরাকির জন্য প্রয়োজন হয় না।
-খালি পড়ে আছে এমন ঘরবাড়ি।
এসব বিষয় যদিও জাকাতের নিসাবে ধর্তব্য নয়, কিন্তু জাকাতের অনুপযুক্ত হওয়া, সদকাতুল ফিতর ও কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ধর্তব্য হবে।
বিবিধ মাসায়েল
ক. সদকাতুল ফিতর ব্যয়ের খাত তা-ই, যা জাকাতের খাত। তবে গরিব-মিসকিনকে দেওয়াই সর্বোত্তম।
খ. যে ব্যক্তি যেখানে বসবাস করছে সেখানকার হিসেবেই সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে।
গ. নাবালক ও পাগলের সম্পদে জাকাত না আসলেও সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে। তাদের পক্ষে তাদের অভিভাবক তা আদায় করবেন।
ঘ. সদকাতুল ফিতর গ্রহীতাকে যা দেওয়া হবে তার মালিকানা সত্ত্ব প্রদান করতে হবে।
লেখক: শিক্ষক

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২৯ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৭ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৯ ঘণ্টা আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির
২৩ মার্চ ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৭ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির
২৩ মার্চ ২০২৪
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২৯ মিনিট আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৭ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির
২৩ মার্চ ২০২৪
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২৯ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার স্বনামধন্য শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-২ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৩ বছর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন।
আজ জোহরের নামাজের পর তাঁর কর্মস্থল জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে পিরোজপুরের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী ১৯৬৪ সালে পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানার নলবুনিয়া গ্রামে এক দ্বীনি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মাওলানা শামসুল হক এবং দাদা ছিলেন মৌলভি নাজেম আলী হাওলাদার।
শৈশবেই নিজ এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর তিনি দ্বীনি শিক্ষার পথে অগ্রসর হন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম বাদুরা মাদ্রাসায় উর্দু, ফারসি ও মিজান জামাত সম্পন্ন করেন। এরপর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজুলিয়া মাদ্রাসায় নাহবেমির ও হেদায়াতুন্নাহু জামাত শেষ করেন। ১৯৭৮ সালে গওহরডাঙ্গা দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে কাফিয়া জামাত সমাপ্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় শরহে জামি, শরহে বেকায়া ও হেদায়া জামাত সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে জালালাইন, মেশকাত, তাকমিলে দাওরা ও তাকমিলে আদব সম্পন্ন করেন। মেশকাত জামাতে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮৭ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু সাহিত্যে মাস্টার্স সমমানের কামেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন করেন এবং বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সময়ে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে খোশখাত বা ক্যালিগ্রাফিতে বিশেষ সনদও অর্জন করেন।
শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় ভারতের রাজস্থানের জামিয়া লতিফিয়ায়। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে তিনি বুখারি শরিফ, তিরমিজি, মুসলিম ও মিশকাত শরিফের দরস প্রদান করেন। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত জামিয়া রহমাতুল্লাহ আমলাপাড়া মাদ্রাসায় এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জামিয়া আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ২০০০ সালে জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ায় দাওরায়ে হাদিস চালু হলে তিনি সেখানে বুখারি ও তিরমিজি শরিফের দরস শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি এখানে শিক্ষাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন এবং আমৃত্যু জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি লালমাটিয়া মাদ্রাসার পাশাপাশি লালবাগ জামিয়া শায়েখিয়া, জামিয়া আবরারিয়া কামরাঙ্গীরচরসহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় বুখারি শরিফের দরস প্রদান করেন। ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক কেল্লা শাহী মসজিদে নিয়মিত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন।
ইসলাহি ও তাসাউফের ক্ষেত্রে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়নকালেই মাওলানা মছিহুল্লাহ খান জালালাবাদী (রহ.)-এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে শাহ আবরারুল হক (রহ.) এবং এরপর আল্লামা কমরুদ্দীনের হাতে রুজু ও বাইআত গ্রহণ করে খেলাফত লাভ করেন।
মরহুম মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে সফর করে দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ, ছাত্রবৃন্দ ও ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সদকাতুল ফিতর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করতে হয়। এটি জাকাতেরই একটি প্রকার। একে জাকাতুল ফিতর এবং ফিতরাও বলা হয়। পবিত্র কোরআনে এর প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। এ ছাড়া হাদিসে এটি আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ বর্ণিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখানো হয়েছে এর নিয়মনীতি। ফলে নবীজির
২৩ মার্চ ২০২৪
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
২৯ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১৭ ঘণ্টা আগে