আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল পুণ্যের বসন্তকাল মাহে রমজান। রমজান এমনই এক বরকতময় মাস, যার কোনো তুলনাই হয় না। একটি নেক আমল করলে সত্তরের অধিক প্রতিদান আর কোন মাসে পাওয়া যায়? এ জন্যই মাহে রমজানের বিয়োগব্যথায় মুমিনের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ চলছে। চোখের কোণ থেকে গড়িয়ে পড়ছে তপ্ত বারি। অনুশোচনার বীণায় সুর ওঠে—আহা! চোখের পলকেই কেটে গেল পবিত্র রমজান।
মাহে রমজানের সংযম সাধনার মাধ্যমে যাঁরা নিজেদের গুনাহগুলো ক্ষমা করাতে পেরেছেন, তাঁদের উপমা সদ্য ভূমিষ্ঠ নিষ্পাপ শিশুর মতো। রমজানের মাধ্যমে যে শুভ্র-সফেদ আত্মার অধিকারী হয়েছেন, তা যেন গুনাহর কালো দাগে জর্জরিত না হয়, সে জন্য রমজানের আমলগুলো আজীবন ধরে রাখতে হবে। মনে রাখবেন নেক কাজের প্রতিদান হলো, নেক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। আর পাপ কাজের অভিশাপ হলো, অব্যাহতভাবে পাপ কাজ করে যাওয়া।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনগণ, যারা তাদের নামাজে বিনীত এবং যারা অহেতুক বিষয় থেকে বিরত থাকে।’ (সুরা মুমিনুন: ১-৩) হাদিসে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তির সুন্দর মুসলিম হওয়ার এক নিদর্শন, অর্থহীন কাজ ত্যাগ করা।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস: ২৩১৭)
এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে পাপমুক্তির যে সনদ অর্জিত হয়েছে, তার সংরক্ষণেই যাবতীয় পাপ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। উদাসীন জীবনযাপন করা যাবে না। একইভাবে ইবাদতে গুরুত্ব না দেওয়া, বেচাকেনায় লোক ঠকানো, অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা, অশালীন চলাফেরা ইত্যাদি কাজে জড়ালে রমজানে যে নিষ্পাপ চরিত্রের সনদ অর্জিত হয়েছে, তার পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই সেই সনদ অক্ষুণ্ন রাখতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এখানে তেমনই কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
গুনাহমুক্ত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা
গুনাহ করলে রোজা নষ্ট হয়ে যায়, রোজা যেন নষ্ট না হয়, তার জন্য আমরা গুনাহ থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছি। এমনিভাবে পুরো জীবন গুনাহমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। মুমিনের অভ্যাস হলো গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। গুনাহর প্রতি মনোভাব মানুষকে কুফরিতে নিয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের সংশোধনের দায়িত্ব তোমাদের নিজেদেরই ওপর। তোমরা যদি সঠিক পথ অবলম্বন করো, তাহলে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে, সে তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহর কাছেই তোমাদের সবার ফিরে আসা। এরপর তিনি সে সম্পর্কে জানাবেন, যা তোমরা করতে।’ (সুরা মায়েদা: ১০৫)
গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর শরণ
আল্লাহ তাআলার সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এ জন্য চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ তাআলার কাছে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। শয়তানের প্ররোচনা থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। হাদিসে চমৎকার একটি দোয়ার কথা বলা হয়েছে। দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাওরি বাদাল কাওফুর।’ অর্থ, হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে ভালোর পর মন্দে পতিত হওয়া থেকে পানাহ চাই। (তিরমিজি: ৩৪৩৯)
আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক সংস্কারেও আমাদের নজর দিতে হবে। একইভাবে অনাথ, অসুস্থদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এক মাস রোজা রেখে আমরা ক্ষুধার জ্বালা অনুধাবন করেছি। তাই রোজার পরেও অভুক্তদের মুখে আহার তুলে দেওয়াই হবে রোজা থেকে কিছু শিখতে পারার নিদর্শন।
তাহাজ্জুদ নামাজের অভ্যাস
দিনে রোজা আর রাতে তারাবি ও তাহাজ্জুদ ছিল মাহে রমজানের আমল। রমজানের পরে তারাবি না থাকলেও তাহাজ্জুদের আমল জারি রাখতে হবে। ভুলে গেলে হবে না, প্রবৃত্তির তাড়না মানুষকে গুনাহের দিকে ধাবিত করে। ফলে মানুষ কামনা-বাসনার বশবর্তী হয়ে গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায়। সেই তাড়নার প্রতিবন্ধক তাহাজ্জুদ। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তাহাজ্জুদের সালাত তোমাদের ওপর বিধিবদ্ধ করে নাও। কারণ, তা নেক বান্দাদের অভ্যাস ও ঐতিহ্য। তোমাদের প্রভুর নৈকট্য লাভের উপায়, গুনাহগুলোর কাফফারা এবং পাপ কাজের প্রতিবন্ধক।’ (তিরমিজি: ৩০৮০)
সত্যবাদিতা অবলম্বন
রমজানে আমরা মিথ্যা বলিনি। মিথ্যা বললে রোজার প্রাণ নষ্ট হয়ে যায়। এখন কি মিথ্যা বলা যাবে? কখনোই নয়। রমজান মূলত মানুষকে সত্যবাদী হওয়ার শিক্ষা দেয়। সত্যবাদিতা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন, মাগফিরাত ও জান্নাতের পথে পরিচালিত করে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সত্যবাদিতা পুণ্য ও নেক আমলের পথ দেখায়, আর নেক আমল জান্নাতের পথ দেখায়। সত্য বলতে বলতে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সিদ্দিক বা নিরেট সত্যবাদী হিসেবে পরিগণিত হয়। আর মিথ্যা পাপের পথ দেখায়। পাপ পাপীকে জাহান্নামে নিয়ে ফেলে এবং মিথ্যা বলতে বলতে ব্যক্তি আল্লাহর খাতায় কাযযাব বা চরম মিথ্যুক বলে পরিচিত হয়।’ (বুখারি: ৬০৯৪)
গুনাহ হয়ে গেলে তওবাই সমাধান
অভিশপ্ত শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে কোনো গুনাহে জড়িয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে নিতে হবে। কেননা গুনাহ মাফের একমাত্র ওষুধ হলো তওবা। এ জন্য আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দাকে তওবা করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘হে মুমিনেরা, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো,
নিশ্চয়ই তোমরা সফলকাম হবে।’
(সুরা আন নুর: ৩১)
লেখক: প্রাবন্ধিক ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল পুণ্যের বসন্তকাল মাহে রমজান। রমজান এমনই এক বরকতময় মাস, যার কোনো তুলনাই হয় না। একটি নেক আমল করলে সত্তরের অধিক প্রতিদান আর কোন মাসে পাওয়া যায়? এ জন্যই মাহে রমজানের বিয়োগব্যথায় মুমিনের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ চলছে। চোখের কোণ থেকে গড়িয়ে পড়ছে তপ্ত বারি। অনুশোচনার বীণায় সুর ওঠে—আহা! চোখের পলকেই কেটে গেল পবিত্র রমজান।
মাহে রমজানের সংযম সাধনার মাধ্যমে যাঁরা নিজেদের গুনাহগুলো ক্ষমা করাতে পেরেছেন, তাঁদের উপমা সদ্য ভূমিষ্ঠ নিষ্পাপ শিশুর মতো। রমজানের মাধ্যমে যে শুভ্র-সফেদ আত্মার অধিকারী হয়েছেন, তা যেন গুনাহর কালো দাগে জর্জরিত না হয়, সে জন্য রমজানের আমলগুলো আজীবন ধরে রাখতে হবে। মনে রাখবেন নেক কাজের প্রতিদান হলো, নেক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। আর পাপ কাজের অভিশাপ হলো, অব্যাহতভাবে পাপ কাজ করে যাওয়া।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনগণ, যারা তাদের নামাজে বিনীত এবং যারা অহেতুক বিষয় থেকে বিরত থাকে।’ (সুরা মুমিনুন: ১-৩) হাদিসে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তির সুন্দর মুসলিম হওয়ার এক নিদর্শন, অর্থহীন কাজ ত্যাগ করা।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস: ২৩১৭)
এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে পাপমুক্তির যে সনদ অর্জিত হয়েছে, তার সংরক্ষণেই যাবতীয় পাপ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। উদাসীন জীবনযাপন করা যাবে না। একইভাবে ইবাদতে গুরুত্ব না দেওয়া, বেচাকেনায় লোক ঠকানো, অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা, অশালীন চলাফেরা ইত্যাদি কাজে জড়ালে রমজানে যে নিষ্পাপ চরিত্রের সনদ অর্জিত হয়েছে, তার পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই সেই সনদ অক্ষুণ্ন রাখতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এখানে তেমনই কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
গুনাহমুক্ত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা
গুনাহ করলে রোজা নষ্ট হয়ে যায়, রোজা যেন নষ্ট না হয়, তার জন্য আমরা গুনাহ থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছি। এমনিভাবে পুরো জীবন গুনাহমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। মুমিনের অভ্যাস হলো গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। গুনাহর প্রতি মনোভাব মানুষকে কুফরিতে নিয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের সংশোধনের দায়িত্ব তোমাদের নিজেদেরই ওপর। তোমরা যদি সঠিক পথ অবলম্বন করো, তাহলে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে, সে তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহর কাছেই তোমাদের সবার ফিরে আসা। এরপর তিনি সে সম্পর্কে জানাবেন, যা তোমরা করতে।’ (সুরা মায়েদা: ১০৫)
গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর শরণ
আল্লাহ তাআলার সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এ জন্য চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ তাআলার কাছে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। শয়তানের প্ররোচনা থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। হাদিসে চমৎকার একটি দোয়ার কথা বলা হয়েছে। দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাওরি বাদাল কাওফুর।’ অর্থ, হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে ভালোর পর মন্দে পতিত হওয়া থেকে পানাহ চাই। (তিরমিজি: ৩৪৩৯)
আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক সংস্কারেও আমাদের নজর দিতে হবে। একইভাবে অনাথ, অসুস্থদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এক মাস রোজা রেখে আমরা ক্ষুধার জ্বালা অনুধাবন করেছি। তাই রোজার পরেও অভুক্তদের মুখে আহার তুলে দেওয়াই হবে রোজা থেকে কিছু শিখতে পারার নিদর্শন।
তাহাজ্জুদ নামাজের অভ্যাস
দিনে রোজা আর রাতে তারাবি ও তাহাজ্জুদ ছিল মাহে রমজানের আমল। রমজানের পরে তারাবি না থাকলেও তাহাজ্জুদের আমল জারি রাখতে হবে। ভুলে গেলে হবে না, প্রবৃত্তির তাড়না মানুষকে গুনাহের দিকে ধাবিত করে। ফলে মানুষ কামনা-বাসনার বশবর্তী হয়ে গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায়। সেই তাড়নার প্রতিবন্ধক তাহাজ্জুদ। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তাহাজ্জুদের সালাত তোমাদের ওপর বিধিবদ্ধ করে নাও। কারণ, তা নেক বান্দাদের অভ্যাস ও ঐতিহ্য। তোমাদের প্রভুর নৈকট্য লাভের উপায়, গুনাহগুলোর কাফফারা এবং পাপ কাজের প্রতিবন্ধক।’ (তিরমিজি: ৩০৮০)
সত্যবাদিতা অবলম্বন
রমজানে আমরা মিথ্যা বলিনি। মিথ্যা বললে রোজার প্রাণ নষ্ট হয়ে যায়। এখন কি মিথ্যা বলা যাবে? কখনোই নয়। রমজান মূলত মানুষকে সত্যবাদী হওয়ার শিক্ষা দেয়। সত্যবাদিতা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন, মাগফিরাত ও জান্নাতের পথে পরিচালিত করে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সত্যবাদিতা পুণ্য ও নেক আমলের পথ দেখায়, আর নেক আমল জান্নাতের পথ দেখায়। সত্য বলতে বলতে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সিদ্দিক বা নিরেট সত্যবাদী হিসেবে পরিগণিত হয়। আর মিথ্যা পাপের পথ দেখায়। পাপ পাপীকে জাহান্নামে নিয়ে ফেলে এবং মিথ্যা বলতে বলতে ব্যক্তি আল্লাহর খাতায় কাযযাব বা চরম মিথ্যুক বলে পরিচিত হয়।’ (বুখারি: ৬০৯৪)
গুনাহ হয়ে গেলে তওবাই সমাধান
অভিশপ্ত শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে কোনো গুনাহে জড়িয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে নিতে হবে। কেননা গুনাহ মাফের একমাত্র ওষুধ হলো তওবা। এ জন্য আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দাকে তওবা করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘হে মুমিনেরা, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো,
নিশ্চয়ই তোমরা সফলকাম হবে।’
(সুরা আন নুর: ৩১)
লেখক: প্রাবন্ধিক ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল পুণ্যের বসন্তকাল মাহে রমজান। রমজান এমনই এক বরকতময় মাস, যার কোনো তুলনাই হয় না। একটি নেক আমল করলে সত্তরের অধিক প্রতিদান আর কোন মাসে পাওয়া যায়? এ জন্যই মাহে রমজানের বিয়োগব্যথায় মুমিনের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ চলছে। চোখের কোণ থেকে গড়িয়ে পড়ছে তপ্ত বারি। অনুশোচনার বীণায় সুর ওঠে—আহা! চোখের পলকেই কেটে গেল পবিত্র রমজান।
মাহে রমজানের সংযম সাধনার মাধ্যমে যাঁরা নিজেদের গুনাহগুলো ক্ষমা করাতে পেরেছেন, তাঁদের উপমা সদ্য ভূমিষ্ঠ নিষ্পাপ শিশুর মতো। রমজানের মাধ্যমে যে শুভ্র-সফেদ আত্মার অধিকারী হয়েছেন, তা যেন গুনাহর কালো দাগে জর্জরিত না হয়, সে জন্য রমজানের আমলগুলো আজীবন ধরে রাখতে হবে। মনে রাখবেন নেক কাজের প্রতিদান হলো, নেক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। আর পাপ কাজের অভিশাপ হলো, অব্যাহতভাবে পাপ কাজ করে যাওয়া।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনগণ, যারা তাদের নামাজে বিনীত এবং যারা অহেতুক বিষয় থেকে বিরত থাকে।’ (সুরা মুমিনুন: ১-৩) হাদিসে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তির সুন্দর মুসলিম হওয়ার এক নিদর্শন, অর্থহীন কাজ ত্যাগ করা।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস: ২৩১৭)
এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে পাপমুক্তির যে সনদ অর্জিত হয়েছে, তার সংরক্ষণেই যাবতীয় পাপ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। উদাসীন জীবনযাপন করা যাবে না। একইভাবে ইবাদতে গুরুত্ব না দেওয়া, বেচাকেনায় লোক ঠকানো, অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা, অশালীন চলাফেরা ইত্যাদি কাজে জড়ালে রমজানে যে নিষ্পাপ চরিত্রের সনদ অর্জিত হয়েছে, তার পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই সেই সনদ অক্ষুণ্ন রাখতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এখানে তেমনই কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
গুনাহমুক্ত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা
গুনাহ করলে রোজা নষ্ট হয়ে যায়, রোজা যেন নষ্ট না হয়, তার জন্য আমরা গুনাহ থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছি। এমনিভাবে পুরো জীবন গুনাহমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। মুমিনের অভ্যাস হলো গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। গুনাহর প্রতি মনোভাব মানুষকে কুফরিতে নিয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের সংশোধনের দায়িত্ব তোমাদের নিজেদেরই ওপর। তোমরা যদি সঠিক পথ অবলম্বন করো, তাহলে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে, সে তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহর কাছেই তোমাদের সবার ফিরে আসা। এরপর তিনি সে সম্পর্কে জানাবেন, যা তোমরা করতে।’ (সুরা মায়েদা: ১০৫)
গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর শরণ
আল্লাহ তাআলার সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এ জন্য চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ তাআলার কাছে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। শয়তানের প্ররোচনা থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। হাদিসে চমৎকার একটি দোয়ার কথা বলা হয়েছে। দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাওরি বাদাল কাওফুর।’ অর্থ, হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে ভালোর পর মন্দে পতিত হওয়া থেকে পানাহ চাই। (তিরমিজি: ৩৪৩৯)
আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক সংস্কারেও আমাদের নজর দিতে হবে। একইভাবে অনাথ, অসুস্থদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এক মাস রোজা রেখে আমরা ক্ষুধার জ্বালা অনুধাবন করেছি। তাই রোজার পরেও অভুক্তদের মুখে আহার তুলে দেওয়াই হবে রোজা থেকে কিছু শিখতে পারার নিদর্শন।
তাহাজ্জুদ নামাজের অভ্যাস
দিনে রোজা আর রাতে তারাবি ও তাহাজ্জুদ ছিল মাহে রমজানের আমল। রমজানের পরে তারাবি না থাকলেও তাহাজ্জুদের আমল জারি রাখতে হবে। ভুলে গেলে হবে না, প্রবৃত্তির তাড়না মানুষকে গুনাহের দিকে ধাবিত করে। ফলে মানুষ কামনা-বাসনার বশবর্তী হয়ে গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায়। সেই তাড়নার প্রতিবন্ধক তাহাজ্জুদ। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তাহাজ্জুদের সালাত তোমাদের ওপর বিধিবদ্ধ করে নাও। কারণ, তা নেক বান্দাদের অভ্যাস ও ঐতিহ্য। তোমাদের প্রভুর নৈকট্য লাভের উপায়, গুনাহগুলোর কাফফারা এবং পাপ কাজের প্রতিবন্ধক।’ (তিরমিজি: ৩০৮০)
সত্যবাদিতা অবলম্বন
রমজানে আমরা মিথ্যা বলিনি। মিথ্যা বললে রোজার প্রাণ নষ্ট হয়ে যায়। এখন কি মিথ্যা বলা যাবে? কখনোই নয়। রমজান মূলত মানুষকে সত্যবাদী হওয়ার শিক্ষা দেয়। সত্যবাদিতা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন, মাগফিরাত ও জান্নাতের পথে পরিচালিত করে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সত্যবাদিতা পুণ্য ও নেক আমলের পথ দেখায়, আর নেক আমল জান্নাতের পথ দেখায়। সত্য বলতে বলতে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সিদ্দিক বা নিরেট সত্যবাদী হিসেবে পরিগণিত হয়। আর মিথ্যা পাপের পথ দেখায়। পাপ পাপীকে জাহান্নামে নিয়ে ফেলে এবং মিথ্যা বলতে বলতে ব্যক্তি আল্লাহর খাতায় কাযযাব বা চরম মিথ্যুক বলে পরিচিত হয়।’ (বুখারি: ৬০৯৪)
গুনাহ হয়ে গেলে তওবাই সমাধান
অভিশপ্ত শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে কোনো গুনাহে জড়িয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে নিতে হবে। কেননা গুনাহ মাফের একমাত্র ওষুধ হলো তওবা। এ জন্য আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দাকে তওবা করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘হে মুমিনেরা, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো,
নিশ্চয়ই তোমরা সফলকাম হবে।’
(সুরা আন নুর: ৩১)
লেখক: প্রাবন্ধিক ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল পুণ্যের বসন্তকাল মাহে রমজান। রমজান এমনই এক বরকতময় মাস, যার কোনো তুলনাই হয় না। একটি নেক আমল করলে সত্তরের অধিক প্রতিদান আর কোন মাসে পাওয়া যায়? এ জন্যই মাহে রমজানের বিয়োগব্যথায় মুমিনের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ চলছে। চোখের কোণ থেকে গড়িয়ে পড়ছে তপ্ত বারি। অনুশোচনার বীণায় সুর ওঠে—আহা! চোখের পলকেই কেটে গেল পবিত্র রমজান।
মাহে রমজানের সংযম সাধনার মাধ্যমে যাঁরা নিজেদের গুনাহগুলো ক্ষমা করাতে পেরেছেন, তাঁদের উপমা সদ্য ভূমিষ্ঠ নিষ্পাপ শিশুর মতো। রমজানের মাধ্যমে যে শুভ্র-সফেদ আত্মার অধিকারী হয়েছেন, তা যেন গুনাহর কালো দাগে জর্জরিত না হয়, সে জন্য রমজানের আমলগুলো আজীবন ধরে রাখতে হবে। মনে রাখবেন নেক কাজের প্রতিদান হলো, নেক কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। আর পাপ কাজের অভিশাপ হলো, অব্যাহতভাবে পাপ কাজ করে যাওয়া।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনগণ, যারা তাদের নামাজে বিনীত এবং যারা অহেতুক বিষয় থেকে বিরত থাকে।’ (সুরা মুমিনুন: ১-৩) হাদিসে বলা হয়েছে, ‘ব্যক্তির সুন্দর মুসলিম হওয়ার এক নিদর্শন, অর্থহীন কাজ ত্যাগ করা।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস: ২৩১৭)
এক মাস সিয়াম সাধনার মাধ্যমে পাপমুক্তির যে সনদ অর্জিত হয়েছে, তার সংরক্ষণেই যাবতীয় পাপ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। উদাসীন জীবনযাপন করা যাবে না। একইভাবে ইবাদতে গুরুত্ব না দেওয়া, বেচাকেনায় লোক ঠকানো, অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা, অশালীন চলাফেরা ইত্যাদি কাজে জড়ালে রমজানে যে নিষ্পাপ চরিত্রের সনদ অর্জিত হয়েছে, তার পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই সেই সনদ অক্ষুণ্ন রাখতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এখানে তেমনই কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
গুনাহমুক্ত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা
গুনাহ করলে রোজা নষ্ট হয়ে যায়, রোজা যেন নষ্ট না হয়, তার জন্য আমরা গুনাহ থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছি। এমনিভাবে পুরো জীবন গুনাহমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। মুমিনের অভ্যাস হলো গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। গুনাহর প্রতি মনোভাব মানুষকে কুফরিতে নিয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের সংশোধনের দায়িত্ব তোমাদের নিজেদেরই ওপর। তোমরা যদি সঠিক পথ অবলম্বন করো, তাহলে যে পথভ্রষ্ট হয়েছে, সে তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহর কাছেই তোমাদের সবার ফিরে আসা। এরপর তিনি সে সম্পর্কে জানাবেন, যা তোমরা করতে।’ (সুরা মায়েদা: ১০৫)
গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর শরণ
আল্লাহ তাআলার সাহায্য ছাড়া গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এ জন্য চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ তাআলার কাছে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। শয়তানের প্ররোচনা থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। হাদিসে চমৎকার একটি দোয়ার কথা বলা হয়েছে। দোয়াটি হলো, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাওরি বাদাল কাওফুর।’ অর্থ, হে আল্লাহ! আমরা আপনার কাছে ভালোর পর মন্দে পতিত হওয়া থেকে পানাহ চাই। (তিরমিজি: ৩৪৩৯)
আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক সংস্কারেও আমাদের নজর দিতে হবে। একইভাবে অনাথ, অসুস্থদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এক মাস রোজা রেখে আমরা ক্ষুধার জ্বালা অনুধাবন করেছি। তাই রোজার পরেও অভুক্তদের মুখে আহার তুলে দেওয়াই হবে রোজা থেকে কিছু শিখতে পারার নিদর্শন।
তাহাজ্জুদ নামাজের অভ্যাস
দিনে রোজা আর রাতে তারাবি ও তাহাজ্জুদ ছিল মাহে রমজানের আমল। রমজানের পরে তারাবি না থাকলেও তাহাজ্জুদের আমল জারি রাখতে হবে। ভুলে গেলে হবে না, প্রবৃত্তির তাড়না মানুষকে গুনাহের দিকে ধাবিত করে। ফলে মানুষ কামনা-বাসনার বশবর্তী হয়ে গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায়। সেই তাড়নার প্রতিবন্ধক তাহাজ্জুদ। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তাহাজ্জুদের সালাত তোমাদের ওপর বিধিবদ্ধ করে নাও। কারণ, তা নেক বান্দাদের অভ্যাস ও ঐতিহ্য। তোমাদের প্রভুর নৈকট্য লাভের উপায়, গুনাহগুলোর কাফফারা এবং পাপ কাজের প্রতিবন্ধক।’ (তিরমিজি: ৩০৮০)
সত্যবাদিতা অবলম্বন
রমজানে আমরা মিথ্যা বলিনি। মিথ্যা বললে রোজার প্রাণ নষ্ট হয়ে যায়। এখন কি মিথ্যা বলা যাবে? কখনোই নয়। রমজান মূলত মানুষকে সত্যবাদী হওয়ার শিক্ষা দেয়। সত্যবাদিতা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন, মাগফিরাত ও জান্নাতের পথে পরিচালিত করে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সত্যবাদিতা পুণ্য ও নেক আমলের পথ দেখায়, আর নেক আমল জান্নাতের পথ দেখায়। সত্য বলতে বলতে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সিদ্দিক বা নিরেট সত্যবাদী হিসেবে পরিগণিত হয়। আর মিথ্যা পাপের পথ দেখায়। পাপ পাপীকে জাহান্নামে নিয়ে ফেলে এবং মিথ্যা বলতে বলতে ব্যক্তি আল্লাহর খাতায় কাযযাব বা চরম মিথ্যুক বলে পরিচিত হয়।’ (বুখারি: ৬০৯৪)
গুনাহ হয়ে গেলে তওবাই সমাধান
অভিশপ্ত শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে কোনো গুনাহে জড়িয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে নিতে হবে। কেননা গুনাহ মাফের একমাত্র ওষুধ হলো তওবা। এ জন্য আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দাকে তওবা করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘হে মুমিনেরা, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো,
নিশ্চয়ই তোমরা সফলকাম হবে।’
(সুরা আন নুর: ৩১)
লেখক: প্রাবন্ধিক ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
২৪ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল পুণ্যের বসন্তকাল মাহে রমজান। রমজান এমনই এক বরকতময় মাস, যার কোনো তুলনাই হয় না। একটি নেক আমল করলে সত্তরের অধিক প্রতিদান আর কোন মাসে পাওয়া যায়? এ জন্যই মাহে রমজানের বিয়োগব্যথায় মুমিনের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ চলছে। চোখের কোণ থেকে গড়িয়ে পড়ছে তপ্ত বারি। অনুশোচনার বীণায় সুর ওঠে—আহা! চোখের
২৮ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল পুণ্যের বসন্তকাল মাহে রমজান। রমজান এমনই এক বরকতময় মাস, যার কোনো তুলনাই হয় না। একটি নেক আমল করলে সত্তরের অধিক প্রতিদান আর কোন মাসে পাওয়া যায়? এ জন্যই মাহে রমজানের বিয়োগব্যথায় মুমিনের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ চলছে। চোখের কোণ থেকে গড়িয়ে পড়ছে তপ্ত বারি। অনুশোচনার বীণায় সুর ওঠে—আহা! চোখের
২৮ এপ্রিল ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
২৪ মিনিট আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল পুণ্যের বসন্তকাল মাহে রমজান। রমজান এমনই এক বরকতময় মাস, যার কোনো তুলনাই হয় না। একটি নেক আমল করলে সত্তরের অধিক প্রতিদান আর কোন মাসে পাওয়া যায়? এ জন্যই মাহে রমজানের বিয়োগব্যথায় মুমিনের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ চলছে। চোখের কোণ থেকে গড়িয়ে পড়ছে তপ্ত বারি। অনুশোচনার বীণায় সুর ওঠে—আহা! চোখের
২৮ এপ্রিল ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
২৪ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল পুণ্যের বসন্তকাল মাহে রমজান। রমজান এমনই এক বরকতময় মাস, যার কোনো তুলনাই হয় না। একটি নেক আমল করলে সত্তরের অধিক প্রতিদান আর কোন মাসে পাওয়া যায়? এ জন্যই মাহে রমজানের বিয়োগব্যথায় মুমিনের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ চলছে। চোখের কোণ থেকে গড়িয়ে পড়ছে তপ্ত বারি। অনুশোচনার বীণায় সুর ওঠে—আহা! চোখের
২৮ এপ্রিল ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
২৪ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে