আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

মানুষ আগমনের বহু আগ থেকেই করুণাময় আল্লাহ তাঁর অনুপম নেয়ামতধারায় এই পৃথিবীকে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন, তাঁর সবকিছুই এই নিখিল জাহানের পরতে পরতে বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। যে মহান রব এত এত নেয়ামতে সিক্ত করলেন, মানুষ সে রবেরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করল। তাই রাব্বুল আলামিন সুরা রহমানে জানতে চান, ‘তোমরা উভয়ে কোন নেয়ামত অস্বীকার করবে?’
এখানে ‘উভয়ে’ বলতে ‘মানুষ’ ও ‘জিন’ জাতিকে বোঝানো হয়েছে। কেননা এই দুই জাতির কল্যাণার্থেই আল্লাহ তাআলা আলো–ছায়া, সাগর-নদী, পাহাড়-পর্বত, ঝরণাধারা ও নির্মল বাতাস যেমন সৃজন করেছেন, তেমনি ফুল-ফসল পত্র-পল্লবে প্রকৃতিকে করেছেন নয়নাভিরাম। আর সুপথে চলার জন্য দিয়েছেন পবিত্র কোরআন। তার এই অগণিত নেয়ামতের কিঞ্চিৎ তুলে ধরা হয়েছে সুরা রহমানে। এরশাদ হয়েছে, ‘পরম করুণাময়। তিনি শিখিয়েছেন কোরআন।’ (সুরা রহমান: ১-২)
কোরআন বড় নেয়ামত
রাব্বুল আলামিন দয়াপরবশ হয়ে মানুষকে কোরআন শিখিয়েছেন। জীবনে চলার পথে ছোট-বড় সব সমস্যার সমাধান যেমন এই কোরআন থেকে সহজেই পাওয়া যায়, তেমনি পৃথিবী ও মহাবিশ্বের নানা রহস্য উন্মোচনে আহরণ করা যায় তথ্য-উপাত্ত। কোরআন সন্ধান দেয় নতুন দিগন্তের। আল্লাহ তাআলা এই রত্নভান্ডার আমাদের হাতের মুঠোয় দিয়ে বলেন, ‘আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্য। অতএব, কোনো চিন্তাশীল আছে কি।’ (সুরা ক্বামার: ১৭)
ভাষাই মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ
আল্লাহ তাআলা কোরআন যেমন শিখিয়েছেন, তেমনি শিখিয়েছেন ভাষা। মানবজীবনকে পূর্ণতা দান ও শ্রেষ্ঠ জাতিতে উন্নীত করার জন্য ভাষার বিকল্প নেই। যার মুখে ভাষা নেই, সেই কেবল ভাষার প্রকৃত গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে। ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে জীবন্ত ভাষা আছে ৬ হাজারেরও অধিক। পৃথিবীতে এই যে এতো ভাষা, এই ভাষার উচ্চারণগত ভিন্নতাও অসংখ্য রকমের। বৈচিত্র্যময় এ ভাষা মানুষের জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ ও গতিশীল করে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তাঁর আরও এক নিদর্শন হচ্ছে—ভাষা ও বর্ণের বিচিত্রতা। নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে নিদর্শনাবলি।’ (সুরা রুম: ২২)
কোরআন ও ভাষার মতো এমন বিস্ময়কর নেয়ামত পেয়েও যারা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না, তাঁর একাত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন করে না, সেই অবিশ্বাসীদের চারপাশের নেয়ামতরাজির প্রতি ইঙ্গিত করে মহান রব জানতে চান, ‘এই নেয়ামতসমূহ তাদের কে দিয়েছেন?’
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘সূর্য ও চাঁদ (নির্ধারিত) হিসাব অনুযায়ী চলে। আর তারকা ও গাছপালা সিজদা করে।’ (সুরা রহমান: ৫-৬)
চাঁদ-সূর্য নেয়ামত
আল্লাহ তাআলা মানুষ ও জিনের প্রয়োজনেই চন্দ্র ও সূর্য সৃষ্টি করেছেন। যেন তা দিয়ে তারা দিনের বেলায় নিজেদের কাজ-কর্ম সহজ ও নির্বিঘ্নে করতে পারে। ভাবুন তো, যদি না থাকত এই রুপালি চাঁদটা, তাহলে আমাদের চারপাশের পরিবেশ কেমন হতো? ২৪ ঘণ্টার দিন শেষ হয়ে যেত মাত্র ৬ ঘণ্টায়। সমুদ্রে থাকত না জোয়ার-ভাটা। জমিতে ফলত না সোনার ফসল। আল্লাহ তাআলা আরও অনেক প্রয়োজনে এই চাঁদ-সূর্য সৃষ্টি করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘মহিমাময় সেই রব, যিনি আকাশে কক্ষপথ বানিয়েছেন এবং তাতে এক উজ্জ্বল প্রদীপ ও আলোকিত চাঁদ সৃষ্টি করেছেন সেই ব্যক্তির জন্য, যে উপদেশ গ্রহণের ইচ্ছা রাখে কিংবা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে চায়।’ (সুরা ফুরকান: ২৫-৬১)
আকাশে নেয়ামতের মেলা
আবার রাতের অন্ধকারে মানুষ যেন পথ না ভোলে, তার জন্য আকাশে বসালেন তারার মেলা। মানুষ অন্তত এই সুদৃশ্য আকাশ দেখে আল্লাহ তাআলার তারিফ করতে পারত। কিন্তু তা না করে উল্টো এই চন্দ্র-সূর্য, তারকারাজিকে ‘রব’ বলে ডাকতে শুরু করল। সুরা রহমানে আল্লাহ তাআলা তাঁর আরেক নেয়ামত ‘আকাশ’–এর কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ‘আর তিনি আকাশকে সমুন্নত করেছেন এবং দাঁড়িপাল্লা (ন্যায়নীতি) স্থাপন করেছেন।’ (সুরা রহমান: ০৭)
মহান আল্লাহর অজস্র সৃষ্টিকর্মের মধ্যে এক রহস্যময় সৃষ্টির নাম হলো আকাশ। বিশাল এই আকাশের নান্দনিকতা, নিপুণতা, সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করলে মনের পর্দায় ভেসে ওঠে আল্লাহ তাআলার অসীম কুদরতের অসংখ্য নিদর্শন। এরশাদ হয়েছে, ‘আমি নির্মাণ করেছি তোমাদের ওপর মজবুত সপ্ত আকাশ।’ (সুরা নাবা: ১২)
বৃক্ষ, ফল, ফুল—আরও কত কী!
সুরা রহমানে আল্লাহ তাআলা আকাশ, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্রের মতো নেয়ামতের বর্ণনা যেমন দিয়েছেন, তেমনি জমিন, গাছপালা, সুগন্ধি ফুল, ফলমূল ও খোসাযুক্ত খেজুরের কথা বলেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আর জমিনকে বিছিয়ে দিয়েছেন সৃষ্ট জীবের জন্য। তাতে রয়েছে ফলমূল ও খেজুরগাছ। যার খেজুর আবরণযুক্ত। আর আছে খোসাযুক্ত দানা (শস্য) ও সুগন্ধিযুক্ত ফুল।’ (সুরা রহমান: ১১, ১২ ও ১৩)
নেয়ামতের ভান্ডার সাগর
আল্লাহর নেয়ামতের মধ্যে সাগর অন্যতম। সাগর যেন এক রহস্যপুরী। এ রহস্যপুরীর তলদেশে রক্ষিত গ্যাস, কয়লা, মনোমুগ্ধকর প্রবাল ও মণিমুক্তার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে সুরা রহমানে। তিনি বলেছেন, ‘উভয় সমুদ্র থেকে উৎপন্ন হয় মণিমুক্তা ও প্রবাল।’ (সুরা রহমান: ২২)
সাগরের আরেক রহস্য তুলে ধরা হয়েছে এই সুরায়। এরশাদ হয়েছে, ‘তিনি দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেন, যারা পরস্পর মিলিত হয়। উভয়ের মধ্যে রয়েছে এক আড়াল। যা তারা অতিক্রম করতে পারে না।’ (সুরা রহমান: ১৯-২০)
পর্বতসম জলযান আল্লাহর নেয়ামত
সুরা রহমানে আল্লাহ তাআলা পাহাড়সম জাহাজের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘সমুদ্রে বিচরণশীল পর্বতসম জাহাজগুলো তাঁরই নিয়ন্ত্রণাধীন।’ (সুরা রহমান: ২৪)
নেয়ামত পূর্ণতা পাবে জান্নাতে
জান্নাতের অনুপম সৌন্দর্যের চিত্রও তুলে ধরেছেন আল্লাহ তাআলা। যেখানে ‘তাসনিম’ ও ‘সালসাবিল’ নামের দুটি ঝরণাধারা থাকবে। দুই ঝরণার চারপাশে চমৎকার ও সুস্বাদু ফুল-ফলের বৃক্ষ থাকবে। যেখানে জান্নাতিরা রেশমের বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে, তাদের নাগালেই ঝুলবে জান্নাতি ফল। আর থাকবে তিলোত্তমা হুর।
যে মহান আল্লাহ আমাদের এত সব নেয়ামতে সিক্ত করলেন, আমরা কী করে তাঁর প্রতি অকৃতজ্ঞ হই, অবাধ্য হই, লঙ্ঘন করি তাঁর দেওয়া বিধান! আমাদের উচিত—তওবা করে তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করা। তাঁর অগণিত নেয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করা। তাহলে আল্লাহ তাআলা নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা আমার নিয়ামতপ্রাপ্তির শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, তবে তোমাদের নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে, আর অকৃতজ্ঞ হলে কঠিন আজাবে নিপতিত করা হবে।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
লেখক: ইমাম ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

মানুষ আগমনের বহু আগ থেকেই করুণাময় আল্লাহ তাঁর অনুপম নেয়ামতধারায় এই পৃথিবীকে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন, তাঁর সবকিছুই এই নিখিল জাহানের পরতে পরতে বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। যে মহান রব এত এত নেয়ামতে সিক্ত করলেন, মানুষ সে রবেরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করল। তাই রাব্বুল আলামিন সুরা রহমানে জানতে চান, ‘তোমরা উভয়ে কোন নেয়ামত অস্বীকার করবে?’
এখানে ‘উভয়ে’ বলতে ‘মানুষ’ ও ‘জিন’ জাতিকে বোঝানো হয়েছে। কেননা এই দুই জাতির কল্যাণার্থেই আল্লাহ তাআলা আলো–ছায়া, সাগর-নদী, পাহাড়-পর্বত, ঝরণাধারা ও নির্মল বাতাস যেমন সৃজন করেছেন, তেমনি ফুল-ফসল পত্র-পল্লবে প্রকৃতিকে করেছেন নয়নাভিরাম। আর সুপথে চলার জন্য দিয়েছেন পবিত্র কোরআন। তার এই অগণিত নেয়ামতের কিঞ্চিৎ তুলে ধরা হয়েছে সুরা রহমানে। এরশাদ হয়েছে, ‘পরম করুণাময়। তিনি শিখিয়েছেন কোরআন।’ (সুরা রহমান: ১-২)
কোরআন বড় নেয়ামত
রাব্বুল আলামিন দয়াপরবশ হয়ে মানুষকে কোরআন শিখিয়েছেন। জীবনে চলার পথে ছোট-বড় সব সমস্যার সমাধান যেমন এই কোরআন থেকে সহজেই পাওয়া যায়, তেমনি পৃথিবী ও মহাবিশ্বের নানা রহস্য উন্মোচনে আহরণ করা যায় তথ্য-উপাত্ত। কোরআন সন্ধান দেয় নতুন দিগন্তের। আল্লাহ তাআলা এই রত্নভান্ডার আমাদের হাতের মুঠোয় দিয়ে বলেন, ‘আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্য। অতএব, কোনো চিন্তাশীল আছে কি।’ (সুরা ক্বামার: ১৭)
ভাষাই মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ
আল্লাহ তাআলা কোরআন যেমন শিখিয়েছেন, তেমনি শিখিয়েছেন ভাষা। মানবজীবনকে পূর্ণতা দান ও শ্রেষ্ঠ জাতিতে উন্নীত করার জন্য ভাষার বিকল্প নেই। যার মুখে ভাষা নেই, সেই কেবল ভাষার প্রকৃত গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে। ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে জীবন্ত ভাষা আছে ৬ হাজারেরও অধিক। পৃথিবীতে এই যে এতো ভাষা, এই ভাষার উচ্চারণগত ভিন্নতাও অসংখ্য রকমের। বৈচিত্র্যময় এ ভাষা মানুষের জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ ও গতিশীল করে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর তাঁর আরও এক নিদর্শন হচ্ছে—ভাষা ও বর্ণের বিচিত্রতা। নিশ্চয়ই এতে জ্ঞানীদের জন্য রয়েছে নিদর্শনাবলি।’ (সুরা রুম: ২২)
কোরআন ও ভাষার মতো এমন বিস্ময়কর নেয়ামত পেয়েও যারা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না, তাঁর একাত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন করে না, সেই অবিশ্বাসীদের চারপাশের নেয়ামতরাজির প্রতি ইঙ্গিত করে মহান রব জানতে চান, ‘এই নেয়ামতসমূহ তাদের কে দিয়েছেন?’
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘সূর্য ও চাঁদ (নির্ধারিত) হিসাব অনুযায়ী চলে। আর তারকা ও গাছপালা সিজদা করে।’ (সুরা রহমান: ৫-৬)
চাঁদ-সূর্য নেয়ামত
আল্লাহ তাআলা মানুষ ও জিনের প্রয়োজনেই চন্দ্র ও সূর্য সৃষ্টি করেছেন। যেন তা দিয়ে তারা দিনের বেলায় নিজেদের কাজ-কর্ম সহজ ও নির্বিঘ্নে করতে পারে। ভাবুন তো, যদি না থাকত এই রুপালি চাঁদটা, তাহলে আমাদের চারপাশের পরিবেশ কেমন হতো? ২৪ ঘণ্টার দিন শেষ হয়ে যেত মাত্র ৬ ঘণ্টায়। সমুদ্রে থাকত না জোয়ার-ভাটা। জমিতে ফলত না সোনার ফসল। আল্লাহ তাআলা আরও অনেক প্রয়োজনে এই চাঁদ-সূর্য সৃষ্টি করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘মহিমাময় সেই রব, যিনি আকাশে কক্ষপথ বানিয়েছেন এবং তাতে এক উজ্জ্বল প্রদীপ ও আলোকিত চাঁদ সৃষ্টি করেছেন সেই ব্যক্তির জন্য, যে উপদেশ গ্রহণের ইচ্ছা রাখে কিংবা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে চায়।’ (সুরা ফুরকান: ২৫-৬১)
আকাশে নেয়ামতের মেলা
আবার রাতের অন্ধকারে মানুষ যেন পথ না ভোলে, তার জন্য আকাশে বসালেন তারার মেলা। মানুষ অন্তত এই সুদৃশ্য আকাশ দেখে আল্লাহ তাআলার তারিফ করতে পারত। কিন্তু তা না করে উল্টো এই চন্দ্র-সূর্য, তারকারাজিকে ‘রব’ বলে ডাকতে শুরু করল। সুরা রহমানে আল্লাহ তাআলা তাঁর আরেক নেয়ামত ‘আকাশ’–এর কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, ‘আর তিনি আকাশকে সমুন্নত করেছেন এবং দাঁড়িপাল্লা (ন্যায়নীতি) স্থাপন করেছেন।’ (সুরা রহমান: ০৭)
মহান আল্লাহর অজস্র সৃষ্টিকর্মের মধ্যে এক রহস্যময় সৃষ্টির নাম হলো আকাশ। বিশাল এই আকাশের নান্দনিকতা, নিপুণতা, সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করলে মনের পর্দায় ভেসে ওঠে আল্লাহ তাআলার অসীম কুদরতের অসংখ্য নিদর্শন। এরশাদ হয়েছে, ‘আমি নির্মাণ করেছি তোমাদের ওপর মজবুত সপ্ত আকাশ।’ (সুরা নাবা: ১২)
বৃক্ষ, ফল, ফুল—আরও কত কী!
সুরা রহমানে আল্লাহ তাআলা আকাশ, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্রের মতো নেয়ামতের বর্ণনা যেমন দিয়েছেন, তেমনি জমিন, গাছপালা, সুগন্ধি ফুল, ফলমূল ও খোসাযুক্ত খেজুরের কথা বলেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘আর জমিনকে বিছিয়ে দিয়েছেন সৃষ্ট জীবের জন্য। তাতে রয়েছে ফলমূল ও খেজুরগাছ। যার খেজুর আবরণযুক্ত। আর আছে খোসাযুক্ত দানা (শস্য) ও সুগন্ধিযুক্ত ফুল।’ (সুরা রহমান: ১১, ১২ ও ১৩)
নেয়ামতের ভান্ডার সাগর
আল্লাহর নেয়ামতের মধ্যে সাগর অন্যতম। সাগর যেন এক রহস্যপুরী। এ রহস্যপুরীর তলদেশে রক্ষিত গ্যাস, কয়লা, মনোমুগ্ধকর প্রবাল ও মণিমুক্তার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে সুরা রহমানে। তিনি বলেছেন, ‘উভয় সমুদ্র থেকে উৎপন্ন হয় মণিমুক্তা ও প্রবাল।’ (সুরা রহমান: ২২)
সাগরের আরেক রহস্য তুলে ধরা হয়েছে এই সুরায়। এরশাদ হয়েছে, ‘তিনি দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেন, যারা পরস্পর মিলিত হয়। উভয়ের মধ্যে রয়েছে এক আড়াল। যা তারা অতিক্রম করতে পারে না।’ (সুরা রহমান: ১৯-২০)
পর্বতসম জলযান আল্লাহর নেয়ামত
সুরা রহমানে আল্লাহ তাআলা পাহাড়সম জাহাজের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘সমুদ্রে বিচরণশীল পর্বতসম জাহাজগুলো তাঁরই নিয়ন্ত্রণাধীন।’ (সুরা রহমান: ২৪)
নেয়ামত পূর্ণতা পাবে জান্নাতে
জান্নাতের অনুপম সৌন্দর্যের চিত্রও তুলে ধরেছেন আল্লাহ তাআলা। যেখানে ‘তাসনিম’ ও ‘সালসাবিল’ নামের দুটি ঝরণাধারা থাকবে। দুই ঝরণার চারপাশে চমৎকার ও সুস্বাদু ফুল-ফলের বৃক্ষ থাকবে। যেখানে জান্নাতিরা রেশমের বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে, তাদের নাগালেই ঝুলবে জান্নাতি ফল। আর থাকবে তিলোত্তমা হুর।
যে মহান আল্লাহ আমাদের এত সব নেয়ামতে সিক্ত করলেন, আমরা কী করে তাঁর প্রতি অকৃতজ্ঞ হই, অবাধ্য হই, লঙ্ঘন করি তাঁর দেওয়া বিধান! আমাদের উচিত—তওবা করে তাঁর কাছে আত্মসমর্পণ করা। তাঁর অগণিত নেয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করা। তাহলে আল্লাহ তাআলা নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেবেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা আমার নিয়ামতপ্রাপ্তির শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, তবে তোমাদের নেয়ামত আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে, আর অকৃতজ্ঞ হলে কঠিন আজাবে নিপতিত করা হবে।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
লেখক: ইমাম ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

মানুষ আগমনের বহু আগ থেকেই করুণাময় আল্লাহ তাঁর অনুপম নেয়ামতধারায় এই পৃথিবীকে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন, তাঁর সবকিছুই এই নিখিল জাহানের পরতে পরতে বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। যে মহান রব এত এত নেয়ামতে সিক্ত করলেন, মানুষ সে রবেরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করল।
৩০ মার্চ ২০২৩
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

মানুষ আগমনের বহু আগ থেকেই করুণাময় আল্লাহ তাঁর অনুপম নেয়ামতধারায় এই পৃথিবীকে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন, তাঁর সবকিছুই এই নিখিল জাহানের পরতে পরতে বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। যে মহান রব এত এত নেয়ামতে সিক্ত করলেন, মানুষ সে রবেরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করল।
৩০ মার্চ ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

মানুষ আগমনের বহু আগ থেকেই করুণাময় আল্লাহ তাঁর অনুপম নেয়ামতধারায় এই পৃথিবীকে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন, তাঁর সবকিছুই এই নিখিল জাহানের পরতে পরতে বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। যে মহান রব এত এত নেয়ামতে সিক্ত করলেন, মানুষ সে রবেরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করল।
৩০ মার্চ ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষ আগমনের বহু আগ থেকেই করুণাময় আল্লাহ তাঁর অনুপম নেয়ামতধারায় এই পৃথিবীকে সুসজ্জিত করে রেখেছেন। মানুষের বাসযোগ্য করার জন্য যা কিছুর প্রয়োজন, তাঁর সবকিছুই এই নিখিল জাহানের পরতে পরতে বিছিয়ে রেখেছেন। কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। যে মহান রব এত এত নেয়ামতে সিক্ত করলেন, মানুষ সে রবেরই বিরুদ্ধাচরণ শুরু করল।
৩০ মার্চ ২০২৩
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে