ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

নিজের জীবনই মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। সেই জীবন নিজ হাতে স্বেচ্ছায় বিসর্জন দেওয়াকে আত্মহত্যা বলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে এবং অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আত্মহত্যার কারণে শুধু একটি জীবনই শেষ হয় না; বরং একটি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা আত্মহত্যার পেছনে বিভিন্ন কারণের কথা বলে থাকেন। তাঁদের মতে, ১৯ থেকে ৩৬ বছর বয়সের নারী-পুরুষ যেসব কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, এর মধ্যে অন্যতম হলো—হতাশা, দাম্পত্য কলহ, আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট, বেকারত্ব, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অসচেতনতা ইত্যাদি। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রধান কারণ, পারিবারিক কলহ, লোকলজ্জা, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, ব্যর্থতা ইত্যাদি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উল্লিখিত কারণগুলো থেকে উত্তরণের মাধ্যমেই কেবল আত্মহত্যার হার কমিয়ে আনা বা তা বন্ধ করা সম্ভব। তবে আদৌ কি সমাজ থেকে এসব কারণ নির্মূল করা সম্ভব? পৃথিবীর সূচনা থেকে মানুষ হতাশামুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছে। পারিবারিক ও সামাজিক দ্বন্দ্ব থেকে বাঁচতে চেয়েছে। লোকলজ্জা ও নিরাপত্তাহীনতা মানুষের জীবনে লেগেই আছে। স্বল্প কর্মসম্পন্ন রাষ্ট্র হওয়ায় বেকারত্ব আমাদের দেশে থাকবেই। এসব সমস্যা কোনোভাবেই একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে আত্মহত্যার প্রবণতা বন্ধ করতে হলে বস্তুকেন্দ্রিক সমাধানের বাইরে আধ্যাত্মিক উপায়েও বিষয়টি ভাবতে হবে। সে হিসেবে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে আত্মহত্যার প্রধান কারণ হলো—আত্মহত্যার শাস্তির ব্যাপারে অজ্ঞতা, পরকালে জবাবদিহির প্রতি অনাস্থা, অধৈর্য আচরণ, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসনের অভাব ইত্যাদি।
জীবনের মূল্য, আত্মহত্যার পরিণাম ও তা থেকে বেঁচে থাকতে কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা এখানে তুলে ধরা হলো:
জীবন আল্লাহর আমানত
জীবন মহান আল্লাহ তাআলার দেওয়া আমানত। তা ইচ্ছেমতো পরিচালিত করার অনুমতি দেয় না ইসলাম। নিজেকে সামান্য কষ্ট দেওয়ার ইসলাম অনুমতি দেয় না। দেহের কোনো অঙ্গ বিকৃতি, বিক্রি বা নষ্ট করার অধিকার দেয় না। একই কারণে প্রাণ নষ্ট করার অধিকারও মানুষকে দেওয়া হয়নি। এ কারণে ইসলামে আত্মহত্যা হারাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিজ হাতে নিজেদের ধ্বংসে নিক্ষেপ কোরো না। আর সুকর্ম করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুকর্মকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫)
ইসলাম মৃত্যু কামনা করাকেও নিরুৎসাহিত করেছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন দুঃখ-কষ্টে নিপতিত হওয়ার ভয়ে মৃত্যু কামনা না করে। যদি কেউ এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে যায়, তবে সে যে বলে—হে আল্লাহ, যত দিন আমাকে জীবিত রাখা আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তত দিন আমাকে জীবিত রাখুন এবং যখন আমার মৃত্যু কল্যাণকর হয়, তখন আমাকে মৃত্যু দিন।’ (বুখারি: ৫৬৭১)।
পরকালে আত্মহত্যাকারীর শাস্তি
যারা আত্মহত্যা করে, তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে পরম দয়ালু। যে ওই কাজ (আত্মহত্যা) করবে সীমা লঙ্ঘন ও অন্যায়ভাবে, আমি অচিরেই তাকে আগুনে প্রবেশ করাব। আর তা করা আল্লাহর জন্য সহজ।’ (সুরা নিসা: ২৯-৩০)
অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘এক ব্যক্তির দেহে একটি জখম হয়েছিল। সে অধৈর্য হয়ে আত্মহত্যা করেছিল। তখন আল্লাহ বললেন, ‘আমার বান্দা তার জীবনের ব্যাপারে আমার সঙ্গে তাড়াহুড়ো করল, আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।’ (বুখারি: ১৩৬৪)
অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে নিজেকে ফাঁস লাগাতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি বর্শার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে নিজেকে বর্শাবিদ্ধ করতে থাকবে।’ (বুখারি: ১৩৬৫)
আত্মহত্যা থেকে বাঁচতে হলে
আত্মহত্যার প্রবণতা কমিয়ে আনা অথবা আত্মহত্যা বন্ধ করার জন্য সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং এ-সম্পর্কিত ইসলামি নির্দেশনা জানতে হবে। এখানে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হলো:
নৈতিকতা ও মূল্যবোধ: পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিখতে পারে। পরিবারের প্রতিটি অনুজ সদস্য অগ্রজ সদস্যদের আচার-আচরণ দেখে বাস্তব জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে পরিবার থেকেই যদি কোনো শিশু সেই শিক্ষা না পায়, তবে কৈশোর বা যৌবনে গিয়ে তার পথভ্রষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সৃষ্টিতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে; বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের অনৈতিক সম্পর্ক থেকে দূরে রাখার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা এটা পছন্দ করে যে মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জানো না।’ (সুরা নুর: ১৯)
ধর্মীয় জ্ঞান ও অনুশাসন: আত্মহত্যার পরিণাম সম্পর্কে আমরা ধর্মীয় নির্দেশনা আলোচনা করেছি। তাই কোনো ব্যক্তি যদি ধর্মের বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি মান্য করে, তবে সে কখনো আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে না। জীবনে সুখ, দুঃখ, হতাশা বা দুশ্চিন্তা থাকবেই। তাই বলে নিজেকে শেষ করে ফেলার চিন্তা কোনোভাবেই করা উচিত নয়; বরং এসব কঠিন মুহূর্তে আল্লাহর ওপর ভরসা করাই মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো, হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজেদের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা যুমার: ৫৩)
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘সুতরাং কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি। নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫-৬)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নিজের জীবনই মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। সেই জীবন নিজ হাতে স্বেচ্ছায় বিসর্জন দেওয়াকে আত্মহত্যা বলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে এবং অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আত্মহত্যার কারণে শুধু একটি জীবনই শেষ হয় না; বরং একটি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা আত্মহত্যার পেছনে বিভিন্ন কারণের কথা বলে থাকেন। তাঁদের মতে, ১৯ থেকে ৩৬ বছর বয়সের নারী-পুরুষ যেসব কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, এর মধ্যে অন্যতম হলো—হতাশা, দাম্পত্য কলহ, আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট, বেকারত্ব, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অসচেতনতা ইত্যাদি। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রধান কারণ, পারিবারিক কলহ, লোকলজ্জা, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, ব্যর্থতা ইত্যাদি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উল্লিখিত কারণগুলো থেকে উত্তরণের মাধ্যমেই কেবল আত্মহত্যার হার কমিয়ে আনা বা তা বন্ধ করা সম্ভব। তবে আদৌ কি সমাজ থেকে এসব কারণ নির্মূল করা সম্ভব? পৃথিবীর সূচনা থেকে মানুষ হতাশামুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছে। পারিবারিক ও সামাজিক দ্বন্দ্ব থেকে বাঁচতে চেয়েছে। লোকলজ্জা ও নিরাপত্তাহীনতা মানুষের জীবনে লেগেই আছে। স্বল্প কর্মসম্পন্ন রাষ্ট্র হওয়ায় বেকারত্ব আমাদের দেশে থাকবেই। এসব সমস্যা কোনোভাবেই একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে আত্মহত্যার প্রবণতা বন্ধ করতে হলে বস্তুকেন্দ্রিক সমাধানের বাইরে আধ্যাত্মিক উপায়েও বিষয়টি ভাবতে হবে। সে হিসেবে ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে আত্মহত্যার প্রধান কারণ হলো—আত্মহত্যার শাস্তির ব্যাপারে অজ্ঞতা, পরকালে জবাবদিহির প্রতি অনাস্থা, অধৈর্য আচরণ, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসনের অভাব ইত্যাদি।
জীবনের মূল্য, আত্মহত্যার পরিণাম ও তা থেকে বেঁচে থাকতে কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা এখানে তুলে ধরা হলো:
জীবন আল্লাহর আমানত
জীবন মহান আল্লাহ তাআলার দেওয়া আমানত। তা ইচ্ছেমতো পরিচালিত করার অনুমতি দেয় না ইসলাম। নিজেকে সামান্য কষ্ট দেওয়ার ইসলাম অনুমতি দেয় না। দেহের কোনো অঙ্গ বিকৃতি, বিক্রি বা নষ্ট করার অধিকার দেয় না। একই কারণে প্রাণ নষ্ট করার অধিকারও মানুষকে দেওয়া হয়নি। এ কারণে ইসলামে আত্মহত্যা হারাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিজ হাতে নিজেদের ধ্বংসে নিক্ষেপ কোরো না। আর সুকর্ম করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুকর্মকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫)
ইসলাম মৃত্যু কামনা করাকেও নিরুৎসাহিত করেছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন দুঃখ-কষ্টে নিপতিত হওয়ার ভয়ে মৃত্যু কামনা না করে। যদি কেউ এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে যায়, তবে সে যে বলে—হে আল্লাহ, যত দিন আমাকে জীবিত রাখা আমার জন্য কল্যাণকর হয়, তত দিন আমাকে জীবিত রাখুন এবং যখন আমার মৃত্যু কল্যাণকর হয়, তখন আমাকে মৃত্যু দিন।’ (বুখারি: ৫৬৭১)।
পরকালে আত্মহত্যাকারীর শাস্তি
যারা আত্মহত্যা করে, তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে পরম দয়ালু। যে ওই কাজ (আত্মহত্যা) করবে সীমা লঙ্ঘন ও অন্যায়ভাবে, আমি অচিরেই তাকে আগুনে প্রবেশ করাব। আর তা করা আল্লাহর জন্য সহজ।’ (সুরা নিসা: ২৯-৩০)
অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘এক ব্যক্তির দেহে একটি জখম হয়েছিল। সে অধৈর্য হয়ে আত্মহত্যা করেছিল। তখন আল্লাহ বললেন, ‘আমার বান্দা তার জীবনের ব্যাপারে আমার সঙ্গে তাড়াহুড়ো করল, আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।’ (বুখারি: ১৩৬৪)
অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে নিজেকে ফাঁস লাগাতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি বর্শার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামে নিজেকে বর্শাবিদ্ধ করতে থাকবে।’ (বুখারি: ১৩৬৫)
আত্মহত্যা থেকে বাঁচতে হলে
আত্মহত্যার প্রবণতা কমিয়ে আনা অথবা আত্মহত্যা বন্ধ করার জন্য সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং এ-সম্পর্কিত ইসলামি নির্দেশনা জানতে হবে। এখানে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হলো:
নৈতিকতা ও মূল্যবোধ: পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শিখতে পারে। পরিবারের প্রতিটি অনুজ সদস্য অগ্রজ সদস্যদের আচার-আচরণ দেখে বাস্তব জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে পরিবার থেকেই যদি কোনো শিশু সেই শিক্ষা না পায়, তবে কৈশোর বা যৌবনে গিয়ে তার পথভ্রষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সৃষ্টিতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে; বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের অনৈতিক সম্পর্ক থেকে দূরে রাখার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা এটা পছন্দ করে যে মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জানো না।’ (সুরা নুর: ১৯)
ধর্মীয় জ্ঞান ও অনুশাসন: আত্মহত্যার পরিণাম সম্পর্কে আমরা ধর্মীয় নির্দেশনা আলোচনা করেছি। তাই কোনো ব্যক্তি যদি ধর্মের বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি মান্য করে, তবে সে কখনো আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে না। জীবনে সুখ, দুঃখ, হতাশা বা দুশ্চিন্তা থাকবেই। তাই বলে নিজেকে শেষ করে ফেলার চিন্তা কোনোভাবেই করা উচিত নয়; বরং এসব কঠিন মুহূর্তে আল্লাহর ওপর ভরসা করাই মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বলো, হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজেদের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা যুমার: ৫৩)
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘সুতরাং কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি। নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি।’ (সুরা ইনশিরাহ: ৫-৬)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৭ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

নিজের জীবনই মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। সেই জীবন নিজ হাতে স্বেচ্ছায় বিসর্জন দেওয়াকে আত্মহত্যা বলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে এবং অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আত্মহত্যার কারণে শুধু একটি জীবনই শেষ হয়
২৬ মে ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

নিজের জীবনই মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। সেই জীবন নিজ হাতে স্বেচ্ছায় বিসর্জন দেওয়াকে আত্মহত্যা বলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে এবং অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আত্মহত্যার কারণে শুধু একটি জীবনই শেষ হয়
২৬ মে ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

নিজের জীবনই মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। সেই জীবন নিজ হাতে স্বেচ্ছায় বিসর্জন দেওয়াকে আত্মহত্যা বলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে এবং অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আত্মহত্যার কারণে শুধু একটি জীবনই শেষ হয়
২৬ মে ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৭ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

নিজের জীবনই মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। সেই জীবন নিজ হাতে স্বেচ্ছায় বিসর্জন দেওয়াকে আত্মহত্যা বলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে এবং অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আত্মহত্যার কারণে শুধু একটি জীবনই শেষ হয়
২৬ মে ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৭ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে