ইজাজুল হক

ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্থাপত্যশৈলীতে মসজিদটির স্থপতিদের কর্মকুশলতা ও দক্ষতার ছাপ স্পষ্ট। এই বৈপ্লবিক স্থাপত্য নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের লেকচারার টিম উইন্টার। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি আবদুল হাকিম মুরাদ নাম গ্রহণ করেছিলেন। এই নামেই এখন তিনি যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে পরিচিত। শায়খ মুরাদ যুক্তরাজ্য, মিসর ও সৌদি আরবে ইসলাম বিষয়ে বিস্তর পড়াশোনা করেন। মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ ব্যক্তির একজন তিনি।
কেমব্রিজে ৮ হাজারের বেশি মুসলমান বসবাস করলেও কোনো স্থায়ী মসজিদ ছিল না। এই অভাব পূরণে শায়খ মুরাদ ২০০৮ সালে কেমব্রিজ মসজিদ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন এবং বড় পরিসরে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেন। শায়খ মুরাদের লক্ষ্য ছিল একটি পরিবেশবান্ধব আধুনিক ইসলামি স্থাপত্য গড়ে তোলা। এর জন্য এক একর জমি কেনা হয় এবং আন্তর্জাতিক মানের নকশা পেতে একটি প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। এতে প্রখ্যাত ব্রিটিশ স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান মার্কস বারফিল্ডের নকশাটি নির্বাচিত হয়।
মসজিদের প্রবেশপথের দুপাশে সবুজ বাগান এবং মাঝখানে তুর্কি মার্বেল পাথর বসানো জ্যামিতিক নকশার উঠোন। উঠোনের মাঝখানে একটি ঝরনা। দুপাশে কাঠের চেয়ার পাতানো। বাইরে থেকেই দেখা যায় বাঁকা কাঠের সমন্বয়ে গঠিত মসজিদের স্তম্ভগুলো। ছাদ থেকে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস আসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। রয়েছে পূর্ণাঙ্গ সৌর বিদ্যুতায়িত ব্যবস্থা।
মসজিদে রয়েছে ১ হাজার মুসল্লি ধারণক্ষমতার হলরুম। নারীদের নামাজের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রয়েছে একটি করে রেস্তোরাঁ, ক্লাসরুম, সামাজিক অনুষ্ঠানকক্ষ, প্রদর্শনীকক্ষ, ইমামের কক্ষ এবং চার বেডের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট। এ ছাড়া শিশুদের খেলার স্থান এবং কবরের জন্যও আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে।
মজবুত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান লার্চ কাঠ দিয়ে কাঠের স্তম্ভগুলো তৈরি করা হয়েছে। ছাদে রয়েছে হিটিং সিস্টেম এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা। অজুর পানির পুনর্ব্যবহার হবে বাগানে এবং টয়লেট পরিষ্কার করার কাজে। ছাদে রয়েছে সেডাম মোস নামের উদ্ভিদ, যা পোকামাকড় ও পাখিদের বসবাসের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করে। রয়েছে স্বয়ংক্রিয় গরম পানির ব্যবস্থা। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে হিট পাম্পিং সিস্টেম। পুরো কমপ্লেক্সে আটটি বাক্সও রয়েছে, যা ব্রিটেনের বিপন্ন প্রজাতির পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল।
এই মসজিদ নির্মাণে ২৬০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। এতে মুসলিম বিশ্বের বড় বড় ধনকুবেরসহ সাধারণ মুসলমানগণ অংশ নিয়েছেন। কেমব্রিজের সাধারণ লোকজন এই প্রকল্পের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও আর্থিক সহায়তা করলেও কিছু ডানপন্থী সংগঠন বিরোধিতা করেছিল। তবে তাদের বিরোধিতা ধোপে টেকেনি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এটি নির্মাণ করা হয়।
মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ মুরাদ জানান, শিয়া-সুন্নি বিরোধ এই মসজিদে গৌণ। সবাই এক কাতারে নামাজ পড়েন। এখানে সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের কোনো স্থান নেই। ইমাম নির্বাচন করা হয় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই, এটি এমন এক জায়গা হোক, যেখানে সব ধর্মের মানুষ একত্র হবে। কারণ এই মসজিদ শুধু কেমব্রিজের মুসলমানদের নয়, যেকোনো দেশের, যেকোনো ধর্মের, যেকোনো মানুষের প্রিয় ঠিকানা হবে।’
সূত্র: আরব নিউজ

ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্থাপত্যশৈলীতে মসজিদটির স্থপতিদের কর্মকুশলতা ও দক্ষতার ছাপ স্পষ্ট। এই বৈপ্লবিক স্থাপত্য নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের লেকচারার টিম উইন্টার। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি আবদুল হাকিম মুরাদ নাম গ্রহণ করেছিলেন। এই নামেই এখন তিনি যুক্তরাজ্যসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে পরিচিত। শায়খ মুরাদ যুক্তরাজ্য, মিসর ও সৌদি আরবে ইসলাম বিষয়ে বিস্তর পড়াশোনা করেন। মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০০ ব্যক্তির একজন তিনি।
কেমব্রিজে ৮ হাজারের বেশি মুসলমান বসবাস করলেও কোনো স্থায়ী মসজিদ ছিল না। এই অভাব পূরণে শায়খ মুরাদ ২০০৮ সালে কেমব্রিজ মসজিদ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন এবং বড় পরিসরে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেন। শায়খ মুরাদের লক্ষ্য ছিল একটি পরিবেশবান্ধব আধুনিক ইসলামি স্থাপত্য গড়ে তোলা। এর জন্য এক একর জমি কেনা হয় এবং আন্তর্জাতিক মানের নকশা পেতে একটি প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। এতে প্রখ্যাত ব্রিটিশ স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান মার্কস বারফিল্ডের নকশাটি নির্বাচিত হয়।
মসজিদের প্রবেশপথের দুপাশে সবুজ বাগান এবং মাঝখানে তুর্কি মার্বেল পাথর বসানো জ্যামিতিক নকশার উঠোন। উঠোনের মাঝখানে একটি ঝরনা। দুপাশে কাঠের চেয়ার পাতানো। বাইরে থেকেই দেখা যায় বাঁকা কাঠের সমন্বয়ে গঠিত মসজিদের স্তম্ভগুলো। ছাদ থেকে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস আসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। রয়েছে পূর্ণাঙ্গ সৌর বিদ্যুতায়িত ব্যবস্থা।
মসজিদে রয়েছে ১ হাজার মুসল্লি ধারণক্ষমতার হলরুম। নারীদের নামাজের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রয়েছে একটি করে রেস্তোরাঁ, ক্লাসরুম, সামাজিক অনুষ্ঠানকক্ষ, প্রদর্শনীকক্ষ, ইমামের কক্ষ এবং চার বেডের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট। এ ছাড়া শিশুদের খেলার স্থান এবং কবরের জন্যও আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে।
মজবুত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান লার্চ কাঠ দিয়ে কাঠের স্তম্ভগুলো তৈরি করা হয়েছে। ছাদে রয়েছে হিটিং সিস্টেম এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা। অজুর পানির পুনর্ব্যবহার হবে বাগানে এবং টয়লেট পরিষ্কার করার কাজে। ছাদে রয়েছে সেডাম মোস নামের উদ্ভিদ, যা পোকামাকড় ও পাখিদের বসবাসের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করে। রয়েছে স্বয়ংক্রিয় গরম পানির ব্যবস্থা। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে হিট পাম্পিং সিস্টেম। পুরো কমপ্লেক্সে আটটি বাক্সও রয়েছে, যা ব্রিটেনের বিপন্ন প্রজাতির পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল।
এই মসজিদ নির্মাণে ২৬০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। এতে মুসলিম বিশ্বের বড় বড় ধনকুবেরসহ সাধারণ মুসলমানগণ অংশ নিয়েছেন। কেমব্রিজের সাধারণ লোকজন এই প্রকল্পের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও আর্থিক সহায়তা করলেও কিছু ডানপন্থী সংগঠন বিরোধিতা করেছিল। তবে তাদের বিরোধিতা ধোপে টেকেনি। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এটি নির্মাণ করা হয়।
মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ মুরাদ জানান, শিয়া-সুন্নি বিরোধ এই মসজিদে গৌণ। সবাই এক কাতারে নামাজ পড়েন। এখানে সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের কোনো স্থান নেই। ইমাম নির্বাচন করা হয় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই, এটি এমন এক জায়গা হোক, যেখানে সব ধর্মের মানুষ একত্র হবে। কারণ এই মসজিদ শুধু কেমব্রিজের মুসলমানদের নয়, যেকোনো দেশের, যেকোনো ধর্মের, যেকোনো মানুষের প্রিয় ঠিকানা হবে।’
সূত্র: আরব নিউজ

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
১৮ আগস্ট ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
১৮ আগস্ট ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
১৮ আগস্ট ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

ইসলামে সবুজ রঙের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এটি পরিবেশ এবং টেকসই জীবনেরও প্রতীক। এ দুটি বিষয় একাকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজে নির্মিত ইউরোপের প্রথম ইকো-মসজিদে। ২০০৮ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে তা শেষ হয়।
১৮ আগস্ট ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে