পবিত্র কোরআনের ২৪টি সুরায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অসংখ্যবার আল্লাহ তাআলা হজরত লুত (আ.)-এর প্রসঙ্গ টেনেছেন। তাঁর জাতি যে ঘৃণ্য অপরাধের মাধ্যমে চূড়ান্ত অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছিল, তা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। এখানে ঐতিহাসিক বিভিন্ন বর্ণনা এড়িয়ে কেবল পবিত্র কোরআনের আলোকে কওমে লুতের পরিণতির কথা সংক্ষেপে তুলে এনেছেন ইজাজুল হক।
ইজাজুল হক

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
পবিত্র কোরআনের ২৪টি সুরায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অসংখ্যবার আল্লাহ তাআলা হজরত লুত (আ.)-এর প্রসঙ্গ টেনেছেন। তাঁর জাতি যে ঘৃণ্য অপরাধের মাধ্যমে চূড়ান্ত অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছিল, তা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। এখানে ঐতিহাসিক বিভিন্ন বর্ণনা এড়িয়ে কেবল পবিত্র কোরআনের আলোকে কওমে লুতের পরিণতির কথা সংক্ষেপে তুলে এনেছেন ইজাজুল হক।
ইজাজুল হক

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতা
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতা
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতা
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতা
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে