পবিত্র কোরআনের ২৪টি সুরায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অসংখ্যবার আল্লাহ তাআলা হজরত লুত (আ.)-এর প্রসঙ্গ টেনেছেন। তাঁর জাতি যে ঘৃণ্য অপরাধের মাধ্যমে চূড়ান্ত অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছিল, তা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। এখানে ঐতিহাসিক বিভিন্ন বর্ণনা এড়িয়ে কেবল পবিত্র কোরআনের আলোকে কওমে লুতের পরিণতির কথা সংক্ষেপে তুলে এনেছেন ইজাজুল হক।
ইজাজুল হক

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
পবিত্র কোরআনের ২৪টি সুরায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অসংখ্যবার আল্লাহ তাআলা হজরত লুত (আ.)-এর প্রসঙ্গ টেনেছেন। তাঁর জাতি যে ঘৃণ্য অপরাধের মাধ্যমে চূড়ান্ত অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছিল, তা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। এখানে ঐতিহাসিক বিভিন্ন বর্ণনা এড়িয়ে কেবল পবিত্র কোরআনের আলোকে কওমে লুতের পরিণতির কথা সংক্ষেপে তুলে এনেছেন ইজাজুল হক।
ইজাজুল হক

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতা
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতা
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতা
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতা
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে