মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
১. অজু
অজু করলে গুনাহ মাফ হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন আমলের ব্যাপারে বলব না, যা পালন করলে আল্লাহ তাআলা গুনাহ ক্ষমা করেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘তা হচ্ছে, কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে অজু করা, অধিক হারে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম)
আরেক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে, তার দেহ থেকে পাপসমূহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার নখের ভেতর থেকেও গুনাহ বের হয়ে যায়।’ (মুসলিম)
২. ফরজ নামাজ
নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে গুনাহ মাফ হয়। উসমান ইবনে আফফান (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে মুসলমান ফরজ নামাজের সময় হলে উত্তমরূপে অজু করে, বিনয় ও একাগ্রতা সহকারে রুকু-সিজদা ঠিকভাবে আদায় করে নামাজ পড়ে, সে নামাজ তার অতীতের গুনাহসমূহের প্রায়শ্চিত্ত হয়, যদি না সে কবিরা গুনাহ করে থাকে।’ (মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের কারও বাড়ির সামনে যদি একটি নদী থাকে আর সে ওই নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তার শরীরে কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে কি?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘জি না, তার শরীরে কোনো ময়লা থাকবে না।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অবস্থা ঠিক এমনই। এর মাধ্যমে আল্লাহ পাপসমূহ মিটিয়ে দেন।’ (বুখারি)
৩. নামাজে আমিন বলা
নামাজে সুরা ফাতিহার শেষে আমিন বললে গুনাহ ক্ষমা করা হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ (সুরা ফাতিহা শেষে) যখন ইমাম আমিন বলেন, তখন তোমরাও আমিন বলবে। কেননা, যার আমিন বলা ফেরেশতাদের আমিন বলার সঙ্গে মিলে যায়, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৪. রমজানের রোজা ও তারাবি
রমজানের রোজা রাখলে ও তারাবি পড়লে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় রোজা পালন করে, তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় রমজানের রাতে (তারাবি, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি) ইবাদত করে, তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি)
৫. শবে কদরের ইবাদত
শবে কদরে ইবাদত করলে গুনাহ মাফ হয়। শবে কদর বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। পবিত্র কোরআনে যাকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে। হাদিসের ভাষ্য অনুসারে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতসমূহের যেকোনো একটি রাত শবে কদর হয়। এ রাতে ইবাদত করা প্রসঙ্গে মহানবী সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় কদরের রাতে ইবাদত করে, তার অতীতের পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৬. আশুরা ও আরাফাতের দিনে রোজা
আশুরা ও আরাফাতের দিনে রোজা রাখলে গুনাহ মাফ হয়। ১০ মহররমকে আশুরা এবং ৯ জিলহজকে আরাফাতের দিন বলা হয়। এ দুই দিনে রোজা রাখতে উৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আরাফাতের দিনে কেউ রোজা রাখলে, আল্লাহর কাছে আমি প্রত্যাশা রাখি যে, এর বিনিময়ে তিনি বিগত এক বছর এবং অনাগত এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। আর আশুরার দিনে কেউ রোজা রাখলে, আল্লাহর কাছে আমি প্রত্যাশা রাখি যে, তিনি বিগত এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম)
৭. হজ ও ওমরাহ
হজ ও ওমরাহর কারণে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ পালন করল এবং তাতে কোনো অশ্লীল কাজ করল না ও পাপাচারে জড়াল না, সে ব্যক্তি ঠিক ওই দিনের মতো (নিষ্পাপ হয়ে) বাড়ি ফিরবে, যে দিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে বলেন, ‘ওমরাহর পর আরেক ওমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারা স্বরূপ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
দোয়া পড়া
খাবার গ্রহণ ও কাপড় পরার পর দোয়া পড়লে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কাপড় পরার পর নিচের দোয়াটি পড়ে, তার আগের-পরের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। দোয়াটি হলো—
الحمدُ لله الذي كساني هذا ورَزَقَنيه من غيرِ حَولٍ مِنِّي ولا قوةٍ
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি কাসানি হাযা ও রাযাকানিয়াহু মিন গাইরি হাওলিন মিন্নি ওয়ালা কুওয়াতিন।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এ খাবার খাইয়েছেন এবং আমার কৌশল ও শক্তি প্রয়োগ ব্যতীত রিজিক দান করেছেন। (আবু দাউদ)
এ ছাড়াও নিয়মিত জুমা আদায় করা, সদকা করা, রোগ-শোক ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করা, পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া, অন্যের অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া ইত্যাদি আমলের বিনিময়ে অতীতের গুনাহ ক্ষমা হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে।
অবশ্য এসব আমলের মাধ্যমে শুধু সগিরা গুনাহ বা ছোট পাপ ক্ষমা করা হয়। কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ ক্ষমা চাওয়ার জন্য তওবা করা আবশ্যক। এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সংখ্যাগরিষ্ঠ আলিমগণের অভিমত। (শরহুল মুসলিম লিন-নববি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
১. অজু
অজু করলে গুনাহ মাফ হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন আমলের ব্যাপারে বলব না, যা পালন করলে আল্লাহ তাআলা গুনাহ ক্ষমা করেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘তা হচ্ছে, কষ্টকর হওয়া সত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে অজু করা, অধিক হারে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম)
আরেক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে, তার দেহ থেকে পাপসমূহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার নখের ভেতর থেকেও গুনাহ বের হয়ে যায়।’ (মুসলিম)
২. ফরজ নামাজ
নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে গুনাহ মাফ হয়। উসমান ইবনে আফফান (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে মুসলমান ফরজ নামাজের সময় হলে উত্তমরূপে অজু করে, বিনয় ও একাগ্রতা সহকারে রুকু-সিজদা ঠিকভাবে আদায় করে নামাজ পড়ে, সে নামাজ তার অতীতের গুনাহসমূহের প্রায়শ্চিত্ত হয়, যদি না সে কবিরা গুনাহ করে থাকে।’ (মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের কারও বাড়ির সামনে যদি একটি নদী থাকে আর সে ওই নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তার শরীরে কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে কি?’ সাহাবিগণ বললেন, ‘জি না, তার শরীরে কোনো ময়লা থাকবে না।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অবস্থা ঠিক এমনই। এর মাধ্যমে আল্লাহ পাপসমূহ মিটিয়ে দেন।’ (বুখারি)
৩. নামাজে আমিন বলা
নামাজে সুরা ফাতিহার শেষে আমিন বললে গুনাহ ক্ষমা করা হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ (সুরা ফাতিহা শেষে) যখন ইমাম আমিন বলেন, তখন তোমরাও আমিন বলবে। কেননা, যার আমিন বলা ফেরেশতাদের আমিন বলার সঙ্গে মিলে যায়, তার অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৪. রমজানের রোজা ও তারাবি
রমজানের রোজা রাখলে ও তারাবি পড়লে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় রোজা পালন করে, তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় রমজানের রাতে (তারাবি, তাহাজ্জুদ ইত্যাদি) ইবাদত করে, তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি)
৫. শবে কদরের ইবাদত
শবে কদরে ইবাদত করলে গুনাহ মাফ হয়। শবে কদর বছরের শ্রেষ্ঠ রাত। পবিত্র কোরআনে যাকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে। হাদিসের ভাষ্য অনুসারে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতসমূহের যেকোনো একটি রাত শবে কদর হয়। এ রাতে ইবাদত করা প্রসঙ্গে মহানবী সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সহিত পুণ্যের আশায় কদরের রাতে ইবাদত করে, তার অতীতের পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৬. আশুরা ও আরাফাতের দিনে রোজা
আশুরা ও আরাফাতের দিনে রোজা রাখলে গুনাহ মাফ হয়। ১০ মহররমকে আশুরা এবং ৯ জিলহজকে আরাফাতের দিন বলা হয়। এ দুই দিনে রোজা রাখতে উৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আরাফাতের দিনে কেউ রোজা রাখলে, আল্লাহর কাছে আমি প্রত্যাশা রাখি যে, এর বিনিময়ে তিনি বিগত এক বছর এবং অনাগত এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। আর আশুরার দিনে কেউ রোজা রাখলে, আল্লাহর কাছে আমি প্রত্যাশা রাখি যে, তিনি বিগত এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম)
৭. হজ ও ওমরাহ
হজ ও ওমরাহর কারণে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হজ পালন করল এবং তাতে কোনো অশ্লীল কাজ করল না ও পাপাচারে জড়াল না, সে ব্যক্তি ঠিক ওই দিনের মতো (নিষ্পাপ হয়ে) বাড়ি ফিরবে, যে দিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে বলেন, ‘ওমরাহর পর আরেক ওমরাহ উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহের কাফফারা স্বরূপ।’ (বুখারি ও মুসলিম)
দোয়া পড়া
খাবার গ্রহণ ও কাপড় পরার পর দোয়া পড়লে গুনাহ মাফ হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কাপড় পরার পর নিচের দোয়াটি পড়ে, তার আগের-পরের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। দোয়াটি হলো—
الحمدُ لله الذي كساني هذا ورَزَقَنيه من غيرِ حَولٍ مِنِّي ولا قوةٍ
উচ্চারণ: আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি কাসানি হাযা ও রাযাকানিয়াহু মিন গাইরি হাওলিন মিন্নি ওয়ালা কুওয়াতিন।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এ খাবার খাইয়েছেন এবং আমার কৌশল ও শক্তি প্রয়োগ ব্যতীত রিজিক দান করেছেন। (আবু দাউদ)
এ ছাড়াও নিয়মিত জুমা আদায় করা, সদকা করা, রোগ-শোক ও বিপদে ধৈর্য ধারণ করা, পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া, অন্যের অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া ইত্যাদি আমলের বিনিময়ে অতীতের গুনাহ ক্ষমা হওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে।
অবশ্য এসব আমলের মাধ্যমে শুধু সগিরা গুনাহ বা ছোট পাপ ক্ষমা করা হয়। কবিরা গুনাহ বা মহাপাপ ক্ষমা চাওয়ার জন্য তওবা করা আবশ্যক। এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের সংখ্যাগরিষ্ঠ আলিমগণের অভিমত। (শরহুল মুসলিম লিন-নববি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
০৬ এপ্রিল ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
০৬ এপ্রিল ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
০৬ এপ্রিল ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

আল্লাহ তাআলা বান্দাদের পাপ ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। এ জন্যই অনেক আমলের বিনিময়ে তিনি বান্দাদের পাপ ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখানে এ ধরনের কয়েকটি আমলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
০৬ এপ্রিল ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে