ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক
ছবি আঁকার ব্যাপারে আলেমগণ বলেছেন, প্রাণীর ছবি আঁকা জায়েজ নয়। তবে প্রাণহীন বস্তুর ছবি আঁকতে কোনো বাধা নেই। তো গ্রাফিতি এই মূলনীতির আলোকে হলে আঁকতে কোনো বাধা নেই। তবে গ্রাফিতি হলো বিনা অনুমতিতে জনসাধারণের অভিমতকে শৈল্পিক উপায়ে অন্যের দেয়ালে লেখা বা আঁকার মাধ্যমে তুলে ধরা। গ্রাফিতির উদ্দেশ্য হলো, মানুষকে সমাজের বিভিন্ন অসংগতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সচেতন করা। জুলাই বিপ্লব-উত্তর গ্রাফিতি কেবল শিল্পকর্ম নয়; বরং গণ-অভ্যুত্থানের প্রতীক। কেউ কেউ ‘দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২’-এর প্রসঙ্গ টেনে বলছেন, অনুমতি ছাড়া দেয়াললিখন বা পোস্টার সাঁটানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া প্রশ্ন এসেছে, ইসলামি ফিকহও এমন কাজকে বৈধ বলে কি না?
আইন বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে করা গ্রাফিতি এবং সাধারণভাবে অন্যের দেয়ালে লেখালেখি বা আঁকাআঁকি করার প্রেক্ষিত এক নয়। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের যে ইচ্ছা ও অভিপ্রায় ব্যক্ত হয়েছে, তার প্রকাশ গ্রাফিতি। এ ধরনের তৎপরতা জনগণের অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। গণ-অধিকার প্রশ্নে ব্যক্তি অধিকারের ব্যত্যয় হলেও তাও আইনসিদ্ধ।
ফিকহি দৃষ্টিকোণেও বিষয়টি বৈধ। কারণ ব্যক্তিগত দেয়ালের বৈধ ব্যবহার ও তা থেকে কল্যাণ লাভের অনুমতি প্রদান করে ইসলাম। নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন তার দেয়ালের পাশে তার প্রতিবেশীকে খুঁটি গাড়তে নিষেধ না করে।’ (বুখারি, হাদিস: ২৩৩১; মুসলিম, হাদিস: ৪২১৫)
হাদিসে যেখানে প্রতিবেশীকে দেয়ালে কাঠ স্থাপন করে আবাস বা কোনো সুবিধা নিতে বাধা না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেখানে দেয়ালে গ্রাফিতি করতে বাধা না দেওয়াই সংগত। এ ছাড়া ইসলামি ফিকহে মাসলাহা বা জনকল্যাণ নীতি অনুযায়ী সামষ্টিক কল্যাণের ক্ষেত্রে ব্যক্তির ক্ষতি মেনে নেওয়ার নীতি রয়েছে। ব্যক্তিগত অধিকারের চেয়ে শরিয়তও গণ-অধিকারকে প্রাধান্য দেয়।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি আঁকার ব্যাপারে আলেমগণ বলেছেন, প্রাণীর ছবি আঁকা জায়েজ নয়। তবে প্রাণহীন বস্তুর ছবি আঁকতে কোনো বাধা নেই। তো গ্রাফিতি এই মূলনীতির আলোকে হলে আঁকতে কোনো বাধা নেই। তবে গ্রাফিতি হলো বিনা অনুমতিতে জনসাধারণের অভিমতকে শৈল্পিক উপায়ে অন্যের দেয়ালে লেখা বা আঁকার মাধ্যমে তুলে ধরা। গ্রাফিতির উদ্দেশ্য হলো, মানুষকে সমাজের বিভিন্ন অসংগতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সচেতন করা। জুলাই বিপ্লব-উত্তর গ্রাফিতি কেবল শিল্পকর্ম নয়; বরং গণ-অভ্যুত্থানের প্রতীক। কেউ কেউ ‘দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২’-এর প্রসঙ্গ টেনে বলছেন, অনুমতি ছাড়া দেয়াললিখন বা পোস্টার সাঁটানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া প্রশ্ন এসেছে, ইসলামি ফিকহও এমন কাজকে বৈধ বলে কি না?
আইন বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিতে করা গ্রাফিতি এবং সাধারণভাবে অন্যের দেয়ালে লেখালেখি বা আঁকাআঁকি করার প্রেক্ষিত এক নয়। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের যে ইচ্ছা ও অভিপ্রায় ব্যক্ত হয়েছে, তার প্রকাশ গ্রাফিতি। এ ধরনের তৎপরতা জনগণের অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। গণ-অধিকার প্রশ্নে ব্যক্তি অধিকারের ব্যত্যয় হলেও তাও আইনসিদ্ধ।
ফিকহি দৃষ্টিকোণেও বিষয়টি বৈধ। কারণ ব্যক্তিগত দেয়ালের বৈধ ব্যবহার ও তা থেকে কল্যাণ লাভের অনুমতি প্রদান করে ইসলাম। নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন তার দেয়ালের পাশে তার প্রতিবেশীকে খুঁটি গাড়তে নিষেধ না করে।’ (বুখারি, হাদিস: ২৩৩১; মুসলিম, হাদিস: ৪২১৫)
হাদিসে যেখানে প্রতিবেশীকে দেয়ালে কাঠ স্থাপন করে আবাস বা কোনো সুবিধা নিতে বাধা না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেখানে দেয়ালে গ্রাফিতি করতে বাধা না দেওয়াই সংগত। এ ছাড়া ইসলামি ফিকহে মাসলাহা বা জনকল্যাণ নীতি অনুযায়ী সামষ্টিক কল্যাণের ক্ষেত্রে ব্যক্তির ক্ষতি মেনে নেওয়ার নীতি রয়েছে। ব্যক্তিগত অধিকারের চেয়ে শরিয়তও গণ-অধিকারকে প্রাধান্য দেয়।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
প্রত্যেক মুমিনই রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে ভালোবাসেন। ভালোবাসা উচিতও। তবে এ ভালোবাসা হবে তাঁরই বাতলে দেওয়া পদ্ধতিতে। নবীজি আমাদের যে দায়িত্বগুলো দিয়েছেন, তা পালন করাই তাঁর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের সেরা মাধ্যম। দায়িত্বগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—
৬ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলা কর্তৃক জীবনবিধানে যা হালাল, তা সুন্দর ও গ্রহণীয়। আর যা হারাম, তা অসুন্দর ও পরিত্যাজ্য। মানুষকে হালাল উপার্জনের জন্য যেকোনো বৈধ পেশা গ্রহণ করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ইমানদার পেশাজীবী বান্দাকে পছন্দ করেন।’ (আল-মুজামুল আওসাত: ৮৯৩৪) অন্য হাদিসে তিনি এরশাদ...
১ দিন আগেশবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত অর্থ মুক্তির রাত। একে হাদিসে লাইতুন নিসফি মিন শাবান বা মধ্য শাবানের রাতও বলা হয়েছে। হাদিসে এ রাতের ফজিলত ও বরকতের কথা এসেছে। এখানে শবে রবাত সম্পর্কে হাদিসের বার্তা তুলে ধরা হলো।
৩ দিন আগেআজ পবিত্র শবে বরাত। হিজরি সনের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে সৌভাগ্যের রাত হিসেবে পরিচিত। শবে বরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। শাবান মাসের পরে আসে রমজান মাস।
৩ দিন আগে