ইজাজুল হক

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আমার ওপর ও আমার ভাইয়ের ওপর ছাড়া আমি কোনো ক্ষমতা রাখি না। অতএব আপনি আমাদের ও অবাধ্য জাতির মধ্যে ফায়সালা করে দিন।’ (সুরা মায়িদা: ২৫)
আল্লাহ তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করেছিলেন। বনি ইসরাইলকে ৪০ বছর পর্যন্ত একটি খোলা ময়দানে অবরুদ্ধ করে রাখার শাস্তি দিলেন। আল্লাহ তাআলা বললেন, ‘এ দেশটি (ফিলিস্তিন ও শাম) চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। এই সময়ে তারা পৃথিবীতে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরবে। অতএব তুমি অবাধ্য জাতির জন্য দুঃখ করো না।’ (সুরা মায়িদা: ২৬)
সেই খোলা ময়দানের নাম তিহ। আরবি তিহ শব্দের অর্থ পথ হারিয়ে ঘোরাফেরা করা। এই ঘটনা থেকেই মূলত এই ময়দানের নাম হয়েছে তিহ। এই ময়দানে কোনো সীমানা প্রাচীর ছিল না। ছিল না কোনো নিরাপত্তারক্ষী। বনি ইসরাইলের লোকেরা প্রতিদিন সকালে উঠে মিসরের দিকে রওনা হতো। সারা দিন চলার পর রাতে আগের জায়গায় ফিরে আসত তারা। ৪০ বছর পর্যন্ত কোনোভাবেই তারা এই ময়দানের বাইরে যেতে পারেনি। এই ছিল আল্লাহর শাস্তি।
অবাধ্যতার কারণে আল্লাহর আজাবে বনি ইসরাইলের ধ্বংস হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। তবে আল্লাহ তাদের আরও সুযোগ দেন। এই ৪০ বছরে তাদের আরও কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এখানে কয়েকটির কথা তুলে ধরা হলো—
মেঘের ছায়া
তিহের ছায়াশূন্য ময়দানে বনি ইসরাইল সম্প্রদায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যায় এবং মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে যে, আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য ছায়ার আবেদন করুন। মুসা (আ.) দয়াপরবশ হয়ে তাদের জন্য দোয়া করলেন। আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য ছায়া পাঠালেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সেই অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘স্মরণ করো সেই কথা, যখন আমরা তোমাদের মেঘমালার মাধ্যমে ছায়া দিয়েছিলাম।’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
১২টি ঝরনা
ছায়া তো পাওয়া গেল। কিন্তু ময়দানে তিহে পানির জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছিল বনি ইসরাইল। তখন তারা পানির জন্য মুসা (আ.)-এর কাছে আবেদন করলে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তখন আল্লাহ বনি ইসরাইলের ১২টি গোত্রের জন্য ১২টি ঝরনা প্রবাহিত করে দিলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মুসা যখন তার জাতির জন্য পানি চাইল, তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দিয়ে পাথরে আঘাত করো। এরপর তা থেকে বেরিয়ে এল ১২টি ঝরনা। তাদের সব গোত্রই চিনে নিল নিজ নিজ ঘাট। (আমি বললাম) তোমরা আল্লাহর দেওয়া রিজিক খাও এবং পান করো। খবরদার! পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িয়ো না।’ (সুরা বাকারা: ৬০)
জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া
ময়দানে তিহে কয়েক দিনের মধ্যেই বনি ইসরাইলের খাদ্য শেষ হয়ে যায়। তখন তারা মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে। মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন এবং তাদের জন্য জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া পাঠান। মান্না এক প্রকার খাবার, যা দুধের চেয়ে সাদা এবং মধুর চেয়ে মিষ্টি। আর সালওলা হলো এক প্রকারের পাখি। (ইবনে কাসির)
রুটির বদলে মান্না এবং মাংসের বদলে সালওয়া পাঠিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের জন্য মান্না-সালওয়া খাবার হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (আমি বললাম) এসব পবিত্র বস্তু খাও। …’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
তবে বনি ইসরাইল মান্না-সালওয়া বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা বললে, হে মুসা, আমরা একই ধরনের খাদ্যে কখনোই ধৈর্য ধরতে পারব না। আপনি আপনার রবের কাছে আমাদের হয়ে দোয়া করুন, তিনি যেন আমাদের এমন খাদ্য-শস্য দান করেন, যা জমিতে উৎপন্ন হয়; যেমন, তরি-তরকারি, কাঁকুড় (ধুন্দল জাতীয় সবজি), গম, রসুন, ডাল, পেঁয়াজ ইত্যাদি। মুসা বললেন, তোমরা উত্তম খাদ্যের বদলে নিম্নমানের খাদ্য পেতে চাও? তাহলে তোমরা অন্য কোনো শহরে চলে যাও। সেখানে তোমরা তোমাদের চাহিদা মোতাবেক সবকিছু পাবে।’ (সুরা বাকারা: ৬১)
পাশের জনপদে
মান্না-সালওয়ার বদলে তরি-তরকারি খেতে চাওয়ায় আল্লাহ তাদের পাশে জনপদে যেতে বলেন। ওখানে প্রবেশের সময় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনেরও নির্দেশ দেন। তবে তারা তাঁর আদেশ শোনেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন আমরা বললাম, এই নগরে প্রবেশ করো। এতে যেখানে খুশি খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করো এবং নগরের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢোকার সময় সিজদা করো এবং বলতে থাকো—হিত্তাতুন তথা আমাদের ক্ষমা করে দিন, তাহলে আমি তোমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সৎকর্মশীলদের সত্বর অতিরিক্ত দান করব।’ (সুরা বাকারা: ৫৮)
তারা আল্লাহর নির্দেশিত বাক্য ‘হিত্তাতুন’ না বলে ‘হিনতাতুন’ তথা গম গম বলে ডাকতে লাগল এবং মাথা নিচু করে প্রবেশও করল না। (বুখারি: ৩৪০৩)
এভাবেই অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে ময়দানে তিহ-এ বনি ইসরাইলের চল্লিশ বছরের দুর্বিষহ জীবনের ইতি ঘটল। ঐতিহাসিকেরা বলেন, এই চল্লিশ বছরে হারুন (আ.)-এর মৃত্যু হয়, এর তিন বছর পর মুসা (আ.)-এরও মৃত্যু হয়। শাস্তির মেয়াদ শেষে আল্লাহর নবী ইউশা ইবনে নুন (আ.)-এর নেতৃত্বে বনি ইসরাইল বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করেছিল।
ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের ‘নবীদের কাহিনী’ অবলম্বনে

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আমার ওপর ও আমার ভাইয়ের ওপর ছাড়া আমি কোনো ক্ষমতা রাখি না। অতএব আপনি আমাদের ও অবাধ্য জাতির মধ্যে ফায়সালা করে দিন।’ (সুরা মায়িদা: ২৫)
আল্লাহ তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করেছিলেন। বনি ইসরাইলকে ৪০ বছর পর্যন্ত একটি খোলা ময়দানে অবরুদ্ধ করে রাখার শাস্তি দিলেন। আল্লাহ তাআলা বললেন, ‘এ দেশটি (ফিলিস্তিন ও শাম) চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। এই সময়ে তারা পৃথিবীতে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরবে। অতএব তুমি অবাধ্য জাতির জন্য দুঃখ করো না।’ (সুরা মায়িদা: ২৬)
সেই খোলা ময়দানের নাম তিহ। আরবি তিহ শব্দের অর্থ পথ হারিয়ে ঘোরাফেরা করা। এই ঘটনা থেকেই মূলত এই ময়দানের নাম হয়েছে তিহ। এই ময়দানে কোনো সীমানা প্রাচীর ছিল না। ছিল না কোনো নিরাপত্তারক্ষী। বনি ইসরাইলের লোকেরা প্রতিদিন সকালে উঠে মিসরের দিকে রওনা হতো। সারা দিন চলার পর রাতে আগের জায়গায় ফিরে আসত তারা। ৪০ বছর পর্যন্ত কোনোভাবেই তারা এই ময়দানের বাইরে যেতে পারেনি। এই ছিল আল্লাহর শাস্তি।
অবাধ্যতার কারণে আল্লাহর আজাবে বনি ইসরাইলের ধ্বংস হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। তবে আল্লাহ তাদের আরও সুযোগ দেন। এই ৪০ বছরে তাদের আরও কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এখানে কয়েকটির কথা তুলে ধরা হলো—
মেঘের ছায়া
তিহের ছায়াশূন্য ময়দানে বনি ইসরাইল সম্প্রদায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যায় এবং মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে যে, আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য ছায়ার আবেদন করুন। মুসা (আ.) দয়াপরবশ হয়ে তাদের জন্য দোয়া করলেন। আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য ছায়া পাঠালেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সেই অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘স্মরণ করো সেই কথা, যখন আমরা তোমাদের মেঘমালার মাধ্যমে ছায়া দিয়েছিলাম।’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
১২টি ঝরনা
ছায়া তো পাওয়া গেল। কিন্তু ময়দানে তিহে পানির জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছিল বনি ইসরাইল। তখন তারা পানির জন্য মুসা (আ.)-এর কাছে আবেদন করলে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তখন আল্লাহ বনি ইসরাইলের ১২টি গোত্রের জন্য ১২টি ঝরনা প্রবাহিত করে দিলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মুসা যখন তার জাতির জন্য পানি চাইল, তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দিয়ে পাথরে আঘাত করো। এরপর তা থেকে বেরিয়ে এল ১২টি ঝরনা। তাদের সব গোত্রই চিনে নিল নিজ নিজ ঘাট। (আমি বললাম) তোমরা আল্লাহর দেওয়া রিজিক খাও এবং পান করো। খবরদার! পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িয়ো না।’ (সুরা বাকারা: ৬০)
জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া
ময়দানে তিহে কয়েক দিনের মধ্যেই বনি ইসরাইলের খাদ্য শেষ হয়ে যায়। তখন তারা মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে। মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন এবং তাদের জন্য জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া পাঠান। মান্না এক প্রকার খাবার, যা দুধের চেয়ে সাদা এবং মধুর চেয়ে মিষ্টি। আর সালওলা হলো এক প্রকারের পাখি। (ইবনে কাসির)
রুটির বদলে মান্না এবং মাংসের বদলে সালওয়া পাঠিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের জন্য মান্না-সালওয়া খাবার হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (আমি বললাম) এসব পবিত্র বস্তু খাও। …’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
তবে বনি ইসরাইল মান্না-সালওয়া বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা বললে, হে মুসা, আমরা একই ধরনের খাদ্যে কখনোই ধৈর্য ধরতে পারব না। আপনি আপনার রবের কাছে আমাদের হয়ে দোয়া করুন, তিনি যেন আমাদের এমন খাদ্য-শস্য দান করেন, যা জমিতে উৎপন্ন হয়; যেমন, তরি-তরকারি, কাঁকুড় (ধুন্দল জাতীয় সবজি), গম, রসুন, ডাল, পেঁয়াজ ইত্যাদি। মুসা বললেন, তোমরা উত্তম খাদ্যের বদলে নিম্নমানের খাদ্য পেতে চাও? তাহলে তোমরা অন্য কোনো শহরে চলে যাও। সেখানে তোমরা তোমাদের চাহিদা মোতাবেক সবকিছু পাবে।’ (সুরা বাকারা: ৬১)
পাশের জনপদে
মান্না-সালওয়ার বদলে তরি-তরকারি খেতে চাওয়ায় আল্লাহ তাদের পাশে জনপদে যেতে বলেন। ওখানে প্রবেশের সময় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনেরও নির্দেশ দেন। তবে তারা তাঁর আদেশ শোনেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন আমরা বললাম, এই নগরে প্রবেশ করো। এতে যেখানে খুশি খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করো এবং নগরের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢোকার সময় সিজদা করো এবং বলতে থাকো—হিত্তাতুন তথা আমাদের ক্ষমা করে দিন, তাহলে আমি তোমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সৎকর্মশীলদের সত্বর অতিরিক্ত দান করব।’ (সুরা বাকারা: ৫৮)
তারা আল্লাহর নির্দেশিত বাক্য ‘হিত্তাতুন’ না বলে ‘হিনতাতুন’ তথা গম গম বলে ডাকতে লাগল এবং মাথা নিচু করে প্রবেশও করল না। (বুখারি: ৩৪০৩)
এভাবেই অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে ময়দানে তিহ-এ বনি ইসরাইলের চল্লিশ বছরের দুর্বিষহ জীবনের ইতি ঘটল। ঐতিহাসিকেরা বলেন, এই চল্লিশ বছরে হারুন (আ.)-এর মৃত্যু হয়, এর তিন বছর পর মুসা (আ.)-এরও মৃত্যু হয়। শাস্তির মেয়াদ শেষে আল্লাহর নবী ইউশা ইবনে নুন (আ.)-এর নেতৃত্বে বনি ইসরাইল বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করেছিল।
ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের ‘নবীদের কাহিনী’ অবলম্বনে
ইজাজুল হক

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আমার ওপর ও আমার ভাইয়ের ওপর ছাড়া আমি কোনো ক্ষমতা রাখি না। অতএব আপনি আমাদের ও অবাধ্য জাতির মধ্যে ফায়সালা করে দিন।’ (সুরা মায়িদা: ২৫)
আল্লাহ তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করেছিলেন। বনি ইসরাইলকে ৪০ বছর পর্যন্ত একটি খোলা ময়দানে অবরুদ্ধ করে রাখার শাস্তি দিলেন। আল্লাহ তাআলা বললেন, ‘এ দেশটি (ফিলিস্তিন ও শাম) চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। এই সময়ে তারা পৃথিবীতে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরবে। অতএব তুমি অবাধ্য জাতির জন্য দুঃখ করো না।’ (সুরা মায়িদা: ২৬)
সেই খোলা ময়দানের নাম তিহ। আরবি তিহ শব্দের অর্থ পথ হারিয়ে ঘোরাফেরা করা। এই ঘটনা থেকেই মূলত এই ময়দানের নাম হয়েছে তিহ। এই ময়দানে কোনো সীমানা প্রাচীর ছিল না। ছিল না কোনো নিরাপত্তারক্ষী। বনি ইসরাইলের লোকেরা প্রতিদিন সকালে উঠে মিসরের দিকে রওনা হতো। সারা দিন চলার পর রাতে আগের জায়গায় ফিরে আসত তারা। ৪০ বছর পর্যন্ত কোনোভাবেই তারা এই ময়দানের বাইরে যেতে পারেনি। এই ছিল আল্লাহর শাস্তি।
অবাধ্যতার কারণে আল্লাহর আজাবে বনি ইসরাইলের ধ্বংস হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। তবে আল্লাহ তাদের আরও সুযোগ দেন। এই ৪০ বছরে তাদের আরও কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এখানে কয়েকটির কথা তুলে ধরা হলো—
মেঘের ছায়া
তিহের ছায়াশূন্য ময়দানে বনি ইসরাইল সম্প্রদায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যায় এবং মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে যে, আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য ছায়ার আবেদন করুন। মুসা (আ.) দয়াপরবশ হয়ে তাদের জন্য দোয়া করলেন। আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য ছায়া পাঠালেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সেই অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘স্মরণ করো সেই কথা, যখন আমরা তোমাদের মেঘমালার মাধ্যমে ছায়া দিয়েছিলাম।’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
১২টি ঝরনা
ছায়া তো পাওয়া গেল। কিন্তু ময়দানে তিহে পানির জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছিল বনি ইসরাইল। তখন তারা পানির জন্য মুসা (আ.)-এর কাছে আবেদন করলে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তখন আল্লাহ বনি ইসরাইলের ১২টি গোত্রের জন্য ১২টি ঝরনা প্রবাহিত করে দিলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মুসা যখন তার জাতির জন্য পানি চাইল, তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দিয়ে পাথরে আঘাত করো। এরপর তা থেকে বেরিয়ে এল ১২টি ঝরনা। তাদের সব গোত্রই চিনে নিল নিজ নিজ ঘাট। (আমি বললাম) তোমরা আল্লাহর দেওয়া রিজিক খাও এবং পান করো। খবরদার! পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িয়ো না।’ (সুরা বাকারা: ৬০)
জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া
ময়দানে তিহে কয়েক দিনের মধ্যেই বনি ইসরাইলের খাদ্য শেষ হয়ে যায়। তখন তারা মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে। মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন এবং তাদের জন্য জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া পাঠান। মান্না এক প্রকার খাবার, যা দুধের চেয়ে সাদা এবং মধুর চেয়ে মিষ্টি। আর সালওলা হলো এক প্রকারের পাখি। (ইবনে কাসির)
রুটির বদলে মান্না এবং মাংসের বদলে সালওয়া পাঠিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের জন্য মান্না-সালওয়া খাবার হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (আমি বললাম) এসব পবিত্র বস্তু খাও। …’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
তবে বনি ইসরাইল মান্না-সালওয়া বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা বললে, হে মুসা, আমরা একই ধরনের খাদ্যে কখনোই ধৈর্য ধরতে পারব না। আপনি আপনার রবের কাছে আমাদের হয়ে দোয়া করুন, তিনি যেন আমাদের এমন খাদ্য-শস্য দান করেন, যা জমিতে উৎপন্ন হয়; যেমন, তরি-তরকারি, কাঁকুড় (ধুন্দল জাতীয় সবজি), গম, রসুন, ডাল, পেঁয়াজ ইত্যাদি। মুসা বললেন, তোমরা উত্তম খাদ্যের বদলে নিম্নমানের খাদ্য পেতে চাও? তাহলে তোমরা অন্য কোনো শহরে চলে যাও। সেখানে তোমরা তোমাদের চাহিদা মোতাবেক সবকিছু পাবে।’ (সুরা বাকারা: ৬১)
পাশের জনপদে
মান্না-সালওয়ার বদলে তরি-তরকারি খেতে চাওয়ায় আল্লাহ তাদের পাশে জনপদে যেতে বলেন। ওখানে প্রবেশের সময় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনেরও নির্দেশ দেন। তবে তারা তাঁর আদেশ শোনেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন আমরা বললাম, এই নগরে প্রবেশ করো। এতে যেখানে খুশি খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করো এবং নগরের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢোকার সময় সিজদা করো এবং বলতে থাকো—হিত্তাতুন তথা আমাদের ক্ষমা করে দিন, তাহলে আমি তোমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সৎকর্মশীলদের সত্বর অতিরিক্ত দান করব।’ (সুরা বাকারা: ৫৮)
তারা আল্লাহর নির্দেশিত বাক্য ‘হিত্তাতুন’ না বলে ‘হিনতাতুন’ তথা গম গম বলে ডাকতে লাগল এবং মাথা নিচু করে প্রবেশও করল না। (বুখারি: ৩৪০৩)
এভাবেই অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে ময়দানে তিহ-এ বনি ইসরাইলের চল্লিশ বছরের দুর্বিষহ জীবনের ইতি ঘটল। ঐতিহাসিকেরা বলেন, এই চল্লিশ বছরে হারুন (আ.)-এর মৃত্যু হয়, এর তিন বছর পর মুসা (আ.)-এরও মৃত্যু হয়। শাস্তির মেয়াদ শেষে আল্লাহর নবী ইউশা ইবনে নুন (আ.)-এর নেতৃত্বে বনি ইসরাইল বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করেছিল।
ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের ‘নবীদের কাহিনী’ অবলম্বনে

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আমার ওপর ও আমার ভাইয়ের ওপর ছাড়া আমি কোনো ক্ষমতা রাখি না। অতএব আপনি আমাদের ও অবাধ্য জাতির মধ্যে ফায়সালা করে দিন।’ (সুরা মায়িদা: ২৫)
আল্লাহ তাআলা তাঁর দোয়া কবুল করেছিলেন। বনি ইসরাইলকে ৪০ বছর পর্যন্ত একটি খোলা ময়দানে অবরুদ্ধ করে রাখার শাস্তি দিলেন। আল্লাহ তাআলা বললেন, ‘এ দেশটি (ফিলিস্তিন ও শাম) চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। এই সময়ে তারা পৃথিবীতে উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরবে। অতএব তুমি অবাধ্য জাতির জন্য দুঃখ করো না।’ (সুরা মায়িদা: ২৬)
সেই খোলা ময়দানের নাম তিহ। আরবি তিহ শব্দের অর্থ পথ হারিয়ে ঘোরাফেরা করা। এই ঘটনা থেকেই মূলত এই ময়দানের নাম হয়েছে তিহ। এই ময়দানে কোনো সীমানা প্রাচীর ছিল না। ছিল না কোনো নিরাপত্তারক্ষী। বনি ইসরাইলের লোকেরা প্রতিদিন সকালে উঠে মিসরের দিকে রওনা হতো। সারা দিন চলার পর রাতে আগের জায়গায় ফিরে আসত তারা। ৪০ বছর পর্যন্ত কোনোভাবেই তারা এই ময়দানের বাইরে যেতে পারেনি। এই ছিল আল্লাহর শাস্তি।
অবাধ্যতার কারণে আল্লাহর আজাবে বনি ইসরাইলের ধ্বংস হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকত না। তবে আল্লাহ তাদের আরও সুযোগ দেন। এই ৪০ বছরে তাদের আরও কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এখানে কয়েকটির কথা তুলে ধরা হলো—
মেঘের ছায়া
তিহের ছায়াশূন্য ময়দানে বনি ইসরাইল সম্প্রদায় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যায় এবং মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে যে, আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য ছায়ার আবেদন করুন। মুসা (আ.) দয়াপরবশ হয়ে তাদের জন্য দোয়া করলেন। আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য ছায়া পাঠালেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সেই অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘স্মরণ করো সেই কথা, যখন আমরা তোমাদের মেঘমালার মাধ্যমে ছায়া দিয়েছিলাম।’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
১২টি ঝরনা
ছায়া তো পাওয়া গেল। কিন্তু ময়দানে তিহে পানির জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছিল বনি ইসরাইল। তখন তারা পানির জন্য মুসা (আ.)-এর কাছে আবেদন করলে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তখন আল্লাহ বনি ইসরাইলের ১২টি গোত্রের জন্য ১২টি ঝরনা প্রবাহিত করে দিলেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর মুসা যখন তার জাতির জন্য পানি চাইল, তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দিয়ে পাথরে আঘাত করো। এরপর তা থেকে বেরিয়ে এল ১২টি ঝরনা। তাদের সব গোত্রই চিনে নিল নিজ নিজ ঘাট। (আমি বললাম) তোমরা আল্লাহর দেওয়া রিজিক খাও এবং পান করো। খবরদার! পৃথিবীতে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়িয়ো না।’ (সুরা বাকারা: ৬০)
জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া
ময়দানে তিহে কয়েক দিনের মধ্যেই বনি ইসরাইলের খাদ্য শেষ হয়ে যায়। তখন তারা মুসা (আ.)-এর কাছে আরজি পেশ করে। মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন এবং তাদের জন্য জান্নাতি খাবার মান্না-সালওয়া পাঠান। মান্না এক প্রকার খাবার, যা দুধের চেয়ে সাদা এবং মধুর চেয়ে মিষ্টি। আর সালওলা হলো এক প্রকারের পাখি। (ইবনে কাসির)
রুটির বদলে মান্না এবং মাংসের বদলে সালওয়া পাঠিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের জন্য মান্না-সালওয়া খাবার হিসেবে পাঠিয়েছি।’ (আমি বললাম) এসব পবিত্র বস্তু খাও। …’ (সুরা বাকারা: ৫৭)
তবে বনি ইসরাইল মান্না-সালওয়া বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা বললে, হে মুসা, আমরা একই ধরনের খাদ্যে কখনোই ধৈর্য ধরতে পারব না। আপনি আপনার রবের কাছে আমাদের হয়ে দোয়া করুন, তিনি যেন আমাদের এমন খাদ্য-শস্য দান করেন, যা জমিতে উৎপন্ন হয়; যেমন, তরি-তরকারি, কাঁকুড় (ধুন্দল জাতীয় সবজি), গম, রসুন, ডাল, পেঁয়াজ ইত্যাদি। মুসা বললেন, তোমরা উত্তম খাদ্যের বদলে নিম্নমানের খাদ্য পেতে চাও? তাহলে তোমরা অন্য কোনো শহরে চলে যাও। সেখানে তোমরা তোমাদের চাহিদা মোতাবেক সবকিছু পাবে।’ (সুরা বাকারা: ৬১)
পাশের জনপদে
মান্না-সালওয়ার বদলে তরি-তরকারি খেতে চাওয়ায় আল্লাহ তাদের পাশে জনপদে যেতে বলেন। ওখানে প্রবেশের সময় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনেরও নির্দেশ দেন। তবে তারা তাঁর আদেশ শোনেনি। এরশাদ হয়েছে, ‘আর যখন আমরা বললাম, এই নগরে প্রবেশ করো। এতে যেখানে খুশি খেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করো এবং নগরের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢোকার সময় সিজদা করো এবং বলতে থাকো—হিত্তাতুন তথা আমাদের ক্ষমা করে দিন, তাহলে আমি তোমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করে দেব এবং সৎকর্মশীলদের সত্বর অতিরিক্ত দান করব।’ (সুরা বাকারা: ৫৮)
তারা আল্লাহর নির্দেশিত বাক্য ‘হিত্তাতুন’ না বলে ‘হিনতাতুন’ তথা গম গম বলে ডাকতে লাগল এবং মাথা নিচু করে প্রবেশও করল না। (বুখারি: ৩৪০৩)
এভাবেই অবাধ্যতার মধ্য দিয়ে ময়দানে তিহ-এ বনি ইসরাইলের চল্লিশ বছরের দুর্বিষহ জীবনের ইতি ঘটল। ঐতিহাসিকেরা বলেন, এই চল্লিশ বছরে হারুন (আ.)-এর মৃত্যু হয়, এর তিন বছর পর মুসা (আ.)-এরও মৃত্যু হয়। শাস্তির মেয়াদ শেষে আল্লাহর নবী ইউশা ইবনে নুন (আ.)-এর নেতৃত্বে বনি ইসরাইল বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করেছিল।
ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের ‘নবীদের কাহিনী’ অবলম্বনে

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১০ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আম
১৫ জুন ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আম
১৫ জুন ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আম
১৫ জুন ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১০ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

ফিলিস্তিন ও শাম অঞ্চলের শক্তিশালী জাতি আমালিকার সঙ্গে যুদ্ধ করে বনি ইসরাইলকে বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করার আদেশ দিয়েছিলেন আল্লাহ তাআলা। তখন বনি ইসরাইলিরা মুসা (আ.)–কে বলেছিল, ‘আপনি ও আপনার রব গিয়ে যুদ্ধ করুন। আমরা এখানে বসে থাকব।’ তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘হে আমার রব, কেবল আম
১৫ জুন ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১০ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে