মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। মানবপ্রেম, সহনশীলতা ও পরোপকারিতার মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছেন। তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি ও অসামান্য নৈতিকতার কারণে তিনি ‘গরিবে নেওয়াজ’ (গরিবদের বন্ধু) উপাধিতে ভূষিত হন।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (রহ.) ১১৪১ খ্রিষ্টাব্দে (৫৩৬ হিজরি) ইরানের সিস্তান প্রদেশের সিজিস্তান অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন এবং মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহে নুর। তিনি ছিলেন মহান সাহাবি হজরত আলি (রা.)–এর বংশধর। শৈশবে খাজা মইনুদ্দিন পারিবারিক স্নেহ-মমতার মধ্যে বেড়ে উঠলেও মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতা–মাতাকে হারান। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ফলের বাগান ও একটি বাতচক্র ছিল তাঁর জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। কিন্তু এই পার্থিব সম্পদ তাঁকে আধ্যাত্মিক তৃষ্ণা থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি।
আধ্যাত্মিকতার দুনিয়ায় আগমন
একদিন তিনি তাঁর বাগানে কাজ করছিলেন। তখন এক সুফি দরবেশ, হজরত ইব্রাহিম কুন্দুজি (রহ.) সেখানে আসেন। খাজা মইনুদ্দিন তাঁর সঙ্গ পেয়ে এক নতুন আধ্যাত্মিক দিগন্তের সন্ধান পান। দরবেশের পরামর্শে তিনি তাঁর সম্পদ দান করে দেন এবং জ্ঞানার্জনের উদ্দেশে বুখারায় যাত্রা করেন। বুখারা ও সমরখন্দের মতো জ্ঞানকেন্দ্রে তিনি কোরআন, হাদিস, তাফসির, ফিকহ, যুক্তিবিদ্যা ও অন্যান্য ইসলামি শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিশাপুরে গিয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক হজরত উসমান হারুনির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এই সময় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গুরুর সঙ্গে থেকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও কঠোর ইবাদতের মাধ্যমে সুফি মারেফাতে গভীর দক্ষতা অর্জন করেন খাজা মইনুদ্দিন।
ভারতে আগমন ও ইসলাম প্রচার
মদিনায় অবস্থানকালে তিনি স্বপ্নে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে দেখতে পান, যিনি তাঁকে হিন্দুস্তানে ইসলামের দাওয়াত প্রচারের নির্দেশ দেন। মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, খাজা মইনুদ্দিন চিশতি ভারতবর্ষে আগমন করেন। তিনি প্রথমে লাহোর, পরে দিল্লি হয়ে আজমিরে পৌঁছান। আজমির তখন ছিল অত্যাচারী রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের অধীনে। তাঁর আগমনে শাসক শ্রেণি অসন্তুষ্ট হলেও, সাধারণ জনগণ তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি, মানবিকতা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে ইসলামের দিকে ধাবিত হয়। তিনি ধনীদের থেকে দূরে থেকে গরিব-দুঃখীদের সেবা করতেন, তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। তাঁর দরবারে অসংখ্য হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে মানুষের ভিড় জমত, কারণ তিনি সব ধর্মের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করতেন। তিনি ভোগবিলাস, বৈষয়িক সম্পদের প্রতি আসক্তি এবং ক্ষমতার মোহ থেকে মুক্ত থাকার শিক্ষা দিতেন।
তাঁর বিখ্যাত শিষ্যদের মধ্যে রয়েছেন, হজরত কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি (রহ.), হজরত বাবা ফরিদ গঞ্জে শকর (রহ.), হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) প্রমুখ।
তাঁর মানবপ্রেমের অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। একটি শিক্ষণীয় ঘটনা হলো—একদিন এক দরিদ্র লোক তাঁর দরবারে এসে বলল, ‘হুজুর, আমি ক্ষুধার্ত।’ খাজা মইনুদ্দিন (রহ.) তখন নিজের ঘরে কিছুই পাননি, তাই তিনি নিজের একমাত্র জামাটি খুলে দিয়ে বললেন, ‘এটি বিক্রি করে যা পাও, তা দিয়ে খেয়ে নাও।’ এই ঘটনার মাধ্যমে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন, প্রকৃত সুফির কাছে ধন-সম্পদ নয়, বরং মানবসেবা ও আত্মত্যাগই সবচেয়ে মূল্যবান।
খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন এক মহৎপ্রাণ সুফি, যিনি প্রেম, সহানুভূতি ও মানবতার বার্তা প্রচার করেছেন। তাঁর দরবার আজমির শরিফে অবস্থিত এবং লাখ লাখ মানুষ সেখানে তাঁর বরকত লাভের আশায় সমবেত হয়। তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা হলো—মানবপ্রেম, বিনয়, এবং আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ। তিনি আমাদের শেখান, প্রকৃত ইসলাম ভালোবাসা, করুণা এবং অন্যের কল্যাণে আত্মনিবেদন করা।
তথ্যসূত্র
১. তাজকিরাতুল আওলিয়া, শেখ ফরিদুদ্দিন আত্তার।
২. সিয়ারুল আওলিয়া, নিজামুদ্দিন আউলিয়া।
৩. গরীবে নেওয়াজ: খাজা মইনুদ্দিন চিশতির জীবন ও শিক্ষাসমূহ, ড. জাকারিয়া আনসারি
৪. অন্যান্য।

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। মানবপ্রেম, সহনশীলতা ও পরোপকারিতার মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছেন। তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি ও অসামান্য নৈতিকতার কারণে তিনি ‘গরিবে নেওয়াজ’ (গরিবদের বন্ধু) উপাধিতে ভূষিত হন।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (রহ.) ১১৪১ খ্রিষ্টাব্দে (৫৩৬ হিজরি) ইরানের সিস্তান প্রদেশের সিজিস্তান অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন এবং মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহে নুর। তিনি ছিলেন মহান সাহাবি হজরত আলি (রা.)–এর বংশধর। শৈশবে খাজা মইনুদ্দিন পারিবারিক স্নেহ-মমতার মধ্যে বেড়ে উঠলেও মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতা–মাতাকে হারান। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ফলের বাগান ও একটি বাতচক্র ছিল তাঁর জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। কিন্তু এই পার্থিব সম্পদ তাঁকে আধ্যাত্মিক তৃষ্ণা থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি।
আধ্যাত্মিকতার দুনিয়ায় আগমন
একদিন তিনি তাঁর বাগানে কাজ করছিলেন। তখন এক সুফি দরবেশ, হজরত ইব্রাহিম কুন্দুজি (রহ.) সেখানে আসেন। খাজা মইনুদ্দিন তাঁর সঙ্গ পেয়ে এক নতুন আধ্যাত্মিক দিগন্তের সন্ধান পান। দরবেশের পরামর্শে তিনি তাঁর সম্পদ দান করে দেন এবং জ্ঞানার্জনের উদ্দেশে বুখারায় যাত্রা করেন। বুখারা ও সমরখন্দের মতো জ্ঞানকেন্দ্রে তিনি কোরআন, হাদিস, তাফসির, ফিকহ, যুক্তিবিদ্যা ও অন্যান্য ইসলামি শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিশাপুরে গিয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক হজরত উসমান হারুনির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এই সময় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গুরুর সঙ্গে থেকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও কঠোর ইবাদতের মাধ্যমে সুফি মারেফাতে গভীর দক্ষতা অর্জন করেন খাজা মইনুদ্দিন।
ভারতে আগমন ও ইসলাম প্রচার
মদিনায় অবস্থানকালে তিনি স্বপ্নে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে দেখতে পান, যিনি তাঁকে হিন্দুস্তানে ইসলামের দাওয়াত প্রচারের নির্দেশ দেন। মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, খাজা মইনুদ্দিন চিশতি ভারতবর্ষে আগমন করেন। তিনি প্রথমে লাহোর, পরে দিল্লি হয়ে আজমিরে পৌঁছান। আজমির তখন ছিল অত্যাচারী রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের অধীনে। তাঁর আগমনে শাসক শ্রেণি অসন্তুষ্ট হলেও, সাধারণ জনগণ তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি, মানবিকতা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে ইসলামের দিকে ধাবিত হয়। তিনি ধনীদের থেকে দূরে থেকে গরিব-দুঃখীদের সেবা করতেন, তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। তাঁর দরবারে অসংখ্য হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে মানুষের ভিড় জমত, কারণ তিনি সব ধর্মের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করতেন। তিনি ভোগবিলাস, বৈষয়িক সম্পদের প্রতি আসক্তি এবং ক্ষমতার মোহ থেকে মুক্ত থাকার শিক্ষা দিতেন।
তাঁর বিখ্যাত শিষ্যদের মধ্যে রয়েছেন, হজরত কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি (রহ.), হজরত বাবা ফরিদ গঞ্জে শকর (রহ.), হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) প্রমুখ।
তাঁর মানবপ্রেমের অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। একটি শিক্ষণীয় ঘটনা হলো—একদিন এক দরিদ্র লোক তাঁর দরবারে এসে বলল, ‘হুজুর, আমি ক্ষুধার্ত।’ খাজা মইনুদ্দিন (রহ.) তখন নিজের ঘরে কিছুই পাননি, তাই তিনি নিজের একমাত্র জামাটি খুলে দিয়ে বললেন, ‘এটি বিক্রি করে যা পাও, তা দিয়ে খেয়ে নাও।’ এই ঘটনার মাধ্যমে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন, প্রকৃত সুফির কাছে ধন-সম্পদ নয়, বরং মানবসেবা ও আত্মত্যাগই সবচেয়ে মূল্যবান।
খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন এক মহৎপ্রাণ সুফি, যিনি প্রেম, সহানুভূতি ও মানবতার বার্তা প্রচার করেছেন। তাঁর দরবার আজমির শরিফে অবস্থিত এবং লাখ লাখ মানুষ সেখানে তাঁর বরকত লাভের আশায় সমবেত হয়। তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা হলো—মানবপ্রেম, বিনয়, এবং আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ। তিনি আমাদের শেখান, প্রকৃত ইসলাম ভালোবাসা, করুণা এবং অন্যের কল্যাণে আত্মনিবেদন করা।
তথ্যসূত্র
১. তাজকিরাতুল আওলিয়া, শেখ ফরিদুদ্দিন আত্তার।
২. সিয়ারুল আওলিয়া, নিজামুদ্দিন আউলিয়া।
৩. গরীবে নেওয়াজ: খাজা মইনুদ্দিন চিশতির জীবন ও শিক্ষাসমূহ, ড. জাকারিয়া আনসারি
৪. অন্যান্য।
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। মানবপ্রেম, সহনশীলতা ও পরোপকারিতার মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছেন। তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি ও অসামান্য নৈতিকতার কারণে তিনি ‘গরিবে নেওয়াজ’ (গরিবদের বন্ধু) উপাধিতে ভূষিত হন।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (রহ.) ১১৪১ খ্রিষ্টাব্দে (৫৩৬ হিজরি) ইরানের সিস্তান প্রদেশের সিজিস্তান অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন এবং মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহে নুর। তিনি ছিলেন মহান সাহাবি হজরত আলি (রা.)–এর বংশধর। শৈশবে খাজা মইনুদ্দিন পারিবারিক স্নেহ-মমতার মধ্যে বেড়ে উঠলেও মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতা–মাতাকে হারান। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ফলের বাগান ও একটি বাতচক্র ছিল তাঁর জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। কিন্তু এই পার্থিব সম্পদ তাঁকে আধ্যাত্মিক তৃষ্ণা থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি।
আধ্যাত্মিকতার দুনিয়ায় আগমন
একদিন তিনি তাঁর বাগানে কাজ করছিলেন। তখন এক সুফি দরবেশ, হজরত ইব্রাহিম কুন্দুজি (রহ.) সেখানে আসেন। খাজা মইনুদ্দিন তাঁর সঙ্গ পেয়ে এক নতুন আধ্যাত্মিক দিগন্তের সন্ধান পান। দরবেশের পরামর্শে তিনি তাঁর সম্পদ দান করে দেন এবং জ্ঞানার্জনের উদ্দেশে বুখারায় যাত্রা করেন। বুখারা ও সমরখন্দের মতো জ্ঞানকেন্দ্রে তিনি কোরআন, হাদিস, তাফসির, ফিকহ, যুক্তিবিদ্যা ও অন্যান্য ইসলামি শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিশাপুরে গিয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক হজরত উসমান হারুনির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এই সময় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গুরুর সঙ্গে থেকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও কঠোর ইবাদতের মাধ্যমে সুফি মারেফাতে গভীর দক্ষতা অর্জন করেন খাজা মইনুদ্দিন।
ভারতে আগমন ও ইসলাম প্রচার
মদিনায় অবস্থানকালে তিনি স্বপ্নে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে দেখতে পান, যিনি তাঁকে হিন্দুস্তানে ইসলামের দাওয়াত প্রচারের নির্দেশ দেন। মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, খাজা মইনুদ্দিন চিশতি ভারতবর্ষে আগমন করেন। তিনি প্রথমে লাহোর, পরে দিল্লি হয়ে আজমিরে পৌঁছান। আজমির তখন ছিল অত্যাচারী রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের অধীনে। তাঁর আগমনে শাসক শ্রেণি অসন্তুষ্ট হলেও, সাধারণ জনগণ তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি, মানবিকতা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে ইসলামের দিকে ধাবিত হয়। তিনি ধনীদের থেকে দূরে থেকে গরিব-দুঃখীদের সেবা করতেন, তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। তাঁর দরবারে অসংখ্য হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে মানুষের ভিড় জমত, কারণ তিনি সব ধর্মের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করতেন। তিনি ভোগবিলাস, বৈষয়িক সম্পদের প্রতি আসক্তি এবং ক্ষমতার মোহ থেকে মুক্ত থাকার শিক্ষা দিতেন।
তাঁর বিখ্যাত শিষ্যদের মধ্যে রয়েছেন, হজরত কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি (রহ.), হজরত বাবা ফরিদ গঞ্জে শকর (রহ.), হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) প্রমুখ।
তাঁর মানবপ্রেমের অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। একটি শিক্ষণীয় ঘটনা হলো—একদিন এক দরিদ্র লোক তাঁর দরবারে এসে বলল, ‘হুজুর, আমি ক্ষুধার্ত।’ খাজা মইনুদ্দিন (রহ.) তখন নিজের ঘরে কিছুই পাননি, তাই তিনি নিজের একমাত্র জামাটি খুলে দিয়ে বললেন, ‘এটি বিক্রি করে যা পাও, তা দিয়ে খেয়ে নাও।’ এই ঘটনার মাধ্যমে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন, প্রকৃত সুফির কাছে ধন-সম্পদ নয়, বরং মানবসেবা ও আত্মত্যাগই সবচেয়ে মূল্যবান।
খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন এক মহৎপ্রাণ সুফি, যিনি প্রেম, সহানুভূতি ও মানবতার বার্তা প্রচার করেছেন। তাঁর দরবার আজমির শরিফে অবস্থিত এবং লাখ লাখ মানুষ সেখানে তাঁর বরকত লাভের আশায় সমবেত হয়। তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা হলো—মানবপ্রেম, বিনয়, এবং আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ। তিনি আমাদের শেখান, প্রকৃত ইসলাম ভালোবাসা, করুণা এবং অন্যের কল্যাণে আত্মনিবেদন করা।
তথ্যসূত্র
১. তাজকিরাতুল আওলিয়া, শেখ ফরিদুদ্দিন আত্তার।
২. সিয়ারুল আওলিয়া, নিজামুদ্দিন আউলিয়া।
৩. গরীবে নেওয়াজ: খাজা মইনুদ্দিন চিশতির জীবন ও শিক্ষাসমূহ, ড. জাকারিয়া আনসারি
৪. অন্যান্য।

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে। মানবপ্রেম, সহনশীলতা ও পরোপকারিতার মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় দিয়েছেন। তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি ও অসামান্য নৈতিকতার কারণে তিনি ‘গরিবে নেওয়াজ’ (গরিবদের বন্ধু) উপাধিতে ভূষিত হন।
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
খাজা মইনুদ্দিন চিশতি (রহ.) ১১৪১ খ্রিষ্টাব্দে (৫৩৬ হিজরি) ইরানের সিস্তান প্রদেশের সিজিস্তান অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন এবং মাতার নাম সৈয়দা উম্মুল ওয়ারা মাহে নুর। তিনি ছিলেন মহান সাহাবি হজরত আলি (রা.)–এর বংশধর। শৈশবে খাজা মইনুদ্দিন পারিবারিক স্নেহ-মমতার মধ্যে বেড়ে উঠলেও মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিতা–মাতাকে হারান। উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ফলের বাগান ও একটি বাতচক্র ছিল তাঁর জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম। কিন্তু এই পার্থিব সম্পদ তাঁকে আধ্যাত্মিক তৃষ্ণা থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি।
আধ্যাত্মিকতার দুনিয়ায় আগমন
একদিন তিনি তাঁর বাগানে কাজ করছিলেন। তখন এক সুফি দরবেশ, হজরত ইব্রাহিম কুন্দুজি (রহ.) সেখানে আসেন। খাজা মইনুদ্দিন তাঁর সঙ্গ পেয়ে এক নতুন আধ্যাত্মিক দিগন্তের সন্ধান পান। দরবেশের পরামর্শে তিনি তাঁর সম্পদ দান করে দেন এবং জ্ঞানার্জনের উদ্দেশে বুখারায় যাত্রা করেন। বুখারা ও সমরখন্দের মতো জ্ঞানকেন্দ্রে তিনি কোরআন, হাদিস, তাফসির, ফিকহ, যুক্তিবিদ্যা ও অন্যান্য ইসলামি শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিশাপুরে গিয়ে বিখ্যাত সুফি সাধক হজরত উসমান হারুনির শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এই সময় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গুরুর সঙ্গে থেকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও কঠোর ইবাদতের মাধ্যমে সুফি মারেফাতে গভীর দক্ষতা অর্জন করেন খাজা মইনুদ্দিন।
ভারতে আগমন ও ইসলাম প্রচার
মদিনায় অবস্থানকালে তিনি স্বপ্নে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে দেখতে পান, যিনি তাঁকে হিন্দুস্তানে ইসলামের দাওয়াত প্রচারের নির্দেশ দেন। মহানবী (সা.)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, খাজা মইনুদ্দিন চিশতি ভারতবর্ষে আগমন করেন। তিনি প্রথমে লাহোর, পরে দিল্লি হয়ে আজমিরে পৌঁছান। আজমির তখন ছিল অত্যাচারী রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের অধীনে। তাঁর আগমনে শাসক শ্রেণি অসন্তুষ্ট হলেও, সাধারণ জনগণ তাঁর আধ্যাত্মিক শক্তি, মানবিকতা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে ইসলামের দিকে ধাবিত হয়। তিনি ধনীদের থেকে দূরে থেকে গরিব-দুঃখীদের সেবা করতেন, তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। তাঁর দরবারে অসংখ্য হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে মানুষের ভিড় জমত, কারণ তিনি সব ধর্মের মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করতেন। তিনি ভোগবিলাস, বৈষয়িক সম্পদের প্রতি আসক্তি এবং ক্ষমতার মোহ থেকে মুক্ত থাকার শিক্ষা দিতেন।
তাঁর বিখ্যাত শিষ্যদের মধ্যে রয়েছেন, হজরত কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি (রহ.), হজরত বাবা ফরিদ গঞ্জে শকর (রহ.), হজরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ.) প্রমুখ।
তাঁর মানবপ্রেমের অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। একটি শিক্ষণীয় ঘটনা হলো—একদিন এক দরিদ্র লোক তাঁর দরবারে এসে বলল, ‘হুজুর, আমি ক্ষুধার্ত।’ খাজা মইনুদ্দিন (রহ.) তখন নিজের ঘরে কিছুই পাননি, তাই তিনি নিজের একমাত্র জামাটি খুলে দিয়ে বললেন, ‘এটি বিক্রি করে যা পাও, তা দিয়ে খেয়ে নাও।’ এই ঘটনার মাধ্যমে তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন, প্রকৃত সুফির কাছে ধন-সম্পদ নয়, বরং মানবসেবা ও আত্মত্যাগই সবচেয়ে মূল্যবান।
খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন এক মহৎপ্রাণ সুফি, যিনি প্রেম, সহানুভূতি ও মানবতার বার্তা প্রচার করেছেন। তাঁর দরবার আজমির শরিফে অবস্থিত এবং লাখ লাখ মানুষ সেখানে তাঁর বরকত লাভের আশায় সমবেত হয়। তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা হলো—মানবপ্রেম, বিনয়, এবং আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ। তিনি আমাদের শেখান, প্রকৃত ইসলাম ভালোবাসা, করুণা এবং অন্যের কল্যাণে আত্মনিবেদন করা।
তথ্যসূত্র
১. তাজকিরাতুল আওলিয়া, শেখ ফরিদুদ্দিন আত্তার।
২. সিয়ারুল আওলিয়া, নিজামুদ্দিন আউলিয়া।
৩. গরীবে নেওয়াজ: খাজা মইনুদ্দিন চিশতির জীবন ও শিক্ষাসমূহ, ড. জাকারিয়া আনসারি
৪. অন্যান্য।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে।
১৮ মার্চ ২০২৫
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে।
১৮ মার্চ ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে।
১৮ মার্চ ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

হজরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ.) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান সুফি সাধক ও ইসলামের এক নিবেদিতপ্রাণ দাঈ। তাঁর প্রচারিত চিশতিয়া তরিকা শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র বিশ্বের সুফি চিন্তাধারায় গভীর প্রভাব ফেলেছে।
১৮ মার্চ ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে