আদিয়াত উল্লাহ

প্রত্যেক মানুষের জীবনে তার সঙ্গী ও বন্ধু এক গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। বন্ধুর সংস্পর্শে মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে। এ জন্য মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রায়ই বিচার করা হয় তার বন্ধুদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির ওপর ভিত্তি করে।
ভালো মানুষের সঙ্গ একজন মানুষের চারিত্রিক গুণাবলিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। অন্যদিকে খারাপ মানুষের সঙ্গ একজন ভালো মানুষকেও খারাপ মানুষে পরিণত করে। এ জন্য মুসলমানের বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলাম কিছু বিষয়কে মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে এবং তা মেনে বন্ধু নির্বাচনের নির্দেশ প্রদান করেছে। আজকের আলোচনায় সেসব দিকই তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
একজন মুসলমানের জীবনে বন্ধু বা সঙ্গীর অবদান অনস্বীকার্য। খারাপ বন্ধু একজন ব্যক্তির জীবন ধ্বংসের অন্যতম কারণ। এমতাবস্থায় বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলাম এমন কিছু নির্দেশনাবলি দিয়েছে, যা একজন মুসলমানের মেনে চলা অবশ্য কর্তব্য। কোরআন ও হাদিসের আলোকে নিম্নে সেসব মানদণ্ডের বর্ণনা উল্লেখ করা হলো—
মুসলমানের সঙ্গে মুসলমানের বন্ধুত্ব
একজন মুসলমানের জন্য একজন মুসলমান বন্ধুই প্রয়োজনীয়। কেননা সে তাকে নামাজের সময় নামাজের দিকে ডাকবে, দৈনিক ইবাদতের বিষয়ে খোঁজখবর নেবে, সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করবে, তার অবস্থার খোঁজখবর রাখবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তার কল্যাণ কামনা করবে এবং তার সংস্পর্শে সে সহজে তার দ্বীন ও ইমান রক্ষা করতে পারবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, সে তাদের মধ্যে গণ্য হবে। নিশ্চয় আল্লাহ জালিমদের সৎ পথ প্রদর্শন করেন না।’ (সুরা মায়িদা: ৫১)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘ইমানদারগণ যেন ইমানদার ব্যতীত কাফেরদের বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। আর যে ব্যক্তি তা করবে, আল্লাহর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৮)
মোমিনদের একমাত্র বন্ধু হবেন আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও ইমানদারগণ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের একমাত্র বন্ধু হলেন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং ইমানদারগণ—যারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে ও রুকু করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, (সে অবশ্যই দেখতে পাবে যে) আল্লাহর দলই বিজয়ী।’ (সুরা মায়িদা: ৫৫–৫৬)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ ও ইমানদার নারী একে অপরের বন্ধু। তারা সৎকাজের আদেশ দেবে, অসৎকাজ হতে নিষেধ করবে, সালাত কায়েম করবে, জাকাত আদায় করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করবে। এরাই সেসব মানুষ, যাদের ওপর আল্লাহ শিগগিরই দয়া করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী ও কুশলী।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
সত্যবাদীদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করা
মুসলমানদের উচিত সত্যবাদীদের বন্ধু হওয়া ও তাদের সাহচর্য লাভের চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও সত্যবাদীদের সঙ্গে থাক।’ (সুরা তাওবা: ১১৯)
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বন্ধুত্ব
বন্ধুত্বের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। কেননা সত্যবাদিতা ইমানদারদের চরিত্রের ভূষণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসে, আল্লাহর জন্য কাউকে ঘৃণা করে, আল্লাহর জন্য কাউকে দান করে ও আল্লাহর জন্য কাউকে দান করা থেকে বিরত থাকে, সে পূর্ণাঙ্গ ইমানের অধিকারী।’ (আবু দাউদ: ৩৯১০)
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের স্বাদ পেতে পছন্দ করে, সে ব্যক্তি কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যেই অপরকে ভালোবাসুক।’ (সহিহুল জামে: ৫৯৫৮)
বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা
মুসলমানদের উচিত বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করা। কেননা বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক না হলে তা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠে। সুতরাং তোমাদের প্রত্যেকের বিবেচনা করা উচিত যে, সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে।’ (জামে তিরমিজি: ২৩৭৮)
হাশরের ময়দানে এ বন্ধুত্বই স্থায়ী হবে, যখন অন্য সব ধরনের বন্ধুত্ব বিনষ্ট হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সেদিন পরহেজগার ব্যতীত সকল বন্ধুই পরস্পরের শত্রু হয়ে পড়বে।’ (সুরা যুখরুফ: ৬৭)
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রত্যেক মানুষের জীবনে তার সঙ্গী ও বন্ধু এক গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। বন্ধুর সংস্পর্শে মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে। এ জন্য মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রায়ই বিচার করা হয় তার বন্ধুদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির ওপর ভিত্তি করে।
ভালো মানুষের সঙ্গ একজন মানুষের চারিত্রিক গুণাবলিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। অন্যদিকে খারাপ মানুষের সঙ্গ একজন ভালো মানুষকেও খারাপ মানুষে পরিণত করে। এ জন্য মুসলমানের বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলাম কিছু বিষয়কে মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে এবং তা মেনে বন্ধু নির্বাচনের নির্দেশ প্রদান করেছে। আজকের আলোচনায় সেসব দিকই তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
একজন মুসলমানের জীবনে বন্ধু বা সঙ্গীর অবদান অনস্বীকার্য। খারাপ বন্ধু একজন ব্যক্তির জীবন ধ্বংসের অন্যতম কারণ। এমতাবস্থায় বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলাম এমন কিছু নির্দেশনাবলি দিয়েছে, যা একজন মুসলমানের মেনে চলা অবশ্য কর্তব্য। কোরআন ও হাদিসের আলোকে নিম্নে সেসব মানদণ্ডের বর্ণনা উল্লেখ করা হলো—
মুসলমানের সঙ্গে মুসলমানের বন্ধুত্ব
একজন মুসলমানের জন্য একজন মুসলমান বন্ধুই প্রয়োজনীয়। কেননা সে তাকে নামাজের সময় নামাজের দিকে ডাকবে, দৈনিক ইবাদতের বিষয়ে খোঁজখবর নেবে, সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করবে, তার অবস্থার খোঁজখবর রাখবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তার কল্যাণ কামনা করবে এবং তার সংস্পর্শে সে সহজে তার দ্বীন ও ইমান রক্ষা করতে পারবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, সে তাদের মধ্যে গণ্য হবে। নিশ্চয় আল্লাহ জালিমদের সৎ পথ প্রদর্শন করেন না।’ (সুরা মায়িদা: ৫১)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘ইমানদারগণ যেন ইমানদার ব্যতীত কাফেরদের বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। আর যে ব্যক্তি তা করবে, আল্লাহর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৮)
মোমিনদের একমাত্র বন্ধু হবেন আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও ইমানদারগণ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের একমাত্র বন্ধু হলেন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং ইমানদারগণ—যারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত আদায় করে ও রুকু করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, (সে অবশ্যই দেখতে পাবে যে) আল্লাহর দলই বিজয়ী।’ (সুরা মায়িদা: ৫৫–৫৬)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ ও ইমানদার নারী একে অপরের বন্ধু। তারা সৎকাজের আদেশ দেবে, অসৎকাজ হতে নিষেধ করবে, সালাত কায়েম করবে, জাকাত আদায় করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করবে। এরাই সেসব মানুষ, যাদের ওপর আল্লাহ শিগগিরই দয়া করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী ও কুশলী।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
সত্যবাদীদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করা
মুসলমানদের উচিত সত্যবাদীদের বন্ধু হওয়া ও তাদের সাহচর্য লাভের চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও সত্যবাদীদের সঙ্গে থাক।’ (সুরা তাওবা: ১১৯)
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বন্ধুত্ব
বন্ধুত্বের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। কেননা সত্যবাদিতা ইমানদারদের চরিত্রের ভূষণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসে, আল্লাহর জন্য কাউকে ঘৃণা করে, আল্লাহর জন্য কাউকে দান করে ও আল্লাহর জন্য কাউকে দান করা থেকে বিরত থাকে, সে পূর্ণাঙ্গ ইমানের অধিকারী।’ (আবু দাউদ: ৩৯১০)
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের স্বাদ পেতে পছন্দ করে, সে ব্যক্তি কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যেই অপরকে ভালোবাসুক।’ (সহিহুল জামে: ৫৯৫৮)
বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা
মুসলমানদের উচিত বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করা। কেননা বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক না হলে তা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠে। সুতরাং তোমাদের প্রত্যেকের বিবেচনা করা উচিত যে, সে কার সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে।’ (জামে তিরমিজি: ২৩৭৮)
হাশরের ময়দানে এ বন্ধুত্বই স্থায়ী হবে, যখন অন্য সব ধরনের বন্ধুত্ব বিনষ্ট হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সেদিন পরহেজগার ব্যতীত সকল বন্ধুই পরস্পরের শত্রু হয়ে পড়বে।’ (সুরা যুখরুফ: ৬৭)
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

প্রত্যেক মানুষের জীবনে তার সঙ্গী ও বন্ধু এক গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। বন্ধুর সংস্পর্শে মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে। এ জন্য মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রায়ই বিচার করা হয় তার বন্ধুদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির ওপর ভিত্তি করে।
১৭ জুন ২০২৫
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

প্রত্যেক মানুষের জীবনে তার সঙ্গী ও বন্ধু এক গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। বন্ধুর সংস্পর্শে মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে। এ জন্য মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রায়ই বিচার করা হয় তার বন্ধুদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির ওপর ভিত্তি করে।
১৭ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

প্রত্যেক মানুষের জীবনে তার সঙ্গী ও বন্ধু এক গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। বন্ধুর সংস্পর্শে মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে। এ জন্য মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রায়ই বিচার করা হয় তার বন্ধুদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির ওপর ভিত্তি করে।
১৭ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

প্রত্যেক মানুষের জীবনে তার সঙ্গী ও বন্ধু এক গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। বন্ধুর সংস্পর্শে মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটে। এ জন্য মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রায়ই বিচার করা হয় তার বন্ধুদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির ওপর ভিত্তি করে।
১৭ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৬ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে