তাসলিমা জাহান

ফিলিস্তিনের জেরুজালেম শহরে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস। এই মসজিদ ইতিহাস-ঐতিহ্যের দিক থেকে অনেক গুরুত্ব বহন করে। এ ছাড়া মসজিদটির স্থাপত্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। এর প্রাচীন গম্বুজ, সুউচ্চ মিনার এবং শিলাবদ্ধ দেয়ালগুলো আজও শান্তি, সহিষ্ণুতা ও ঐক্যের এক অমূল্য প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিক এই মসজিদের বিস্ময়কর কিছু তাৎপর্য তুলে ধরেছেন তাসলিমা জাহান—
ইসলামের প্রাথমিক সময়ের কিবলা
মসজিদুল আকসা ছিল মুসলমানদের একসময়ের কিবলা। ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহর আদেশে মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের। তাই তিনি মক্কায় থাকাকালীন এমন সমান্তরালভাবে নামাজে দাঁড়াতেন—যেন কাবা ও মসজিদুল আকসা সামনে থাকে।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কায় কাবা সামনে রেখে বায়তুল মাকদিসের দিকে ফিরে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পরও ১৬ মাস বায়তুল মাকদিসের দিকে ফিরেই নামাজ আদায় করেছেন। অতঃপর কিবলা কাবার দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। (মুসনাদে আহমাদ: ২৯৯১)
দ্বিতীয় প্রাচীনতম মসজিদ
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় প্রাচীন মসজিদ। মসজিদুল হারামের পরেই এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আবু জর গিফারি (রা.) একবার নবী করিম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদ তৈরি করা হয়? নবীজি (সা.) বললেন, মসজিদুল হারাম। সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, মসজিদুল আকসা। আবু জর (রা.) পুনরায় জানতে চাইলেন, উভয় মসজিদ নির্মাণের মাঝে কত সময়ের ব্যবধান ছিল? মহানবী (সা.) বললেন, ৪০ বছর। (সহিহ্ বুখারি: ৩৩৬৬, সহিহ্ মুসলিম: ৫২০)
তৃতীয় মর্যাদাপূর্ণ স্থাপনা
ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্থাপনা মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারাম। এর পরের অবস্থানে রয়েছে মদিনার মসজিদে নববি। এ দুই মসজিদের পরেই তৃতীয় পবিত্রতম স্থাপনা হলো ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অবস্থিত মসজিদুল আকসা। আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই তিন মসজিদের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মসজিদুল আকসাকে তৃতীয় অবস্থানে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘সফর করলে তিনটি মসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করা উচিত। মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি এবং মসজিদুল আকসা।’ (সহিহ্ বুখারি: ১১৮৯)। অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, মসজিদুল হারামের নামাজ ১ লাখ নামাজের সমতুল্য। আমার মসজিদের (মসজিদে নববি) নামাজ ১ হাজার নামাজের সমতুল্য। আর বায়তুল মাকদিসের নামাজ ৫০০ নামাজের সমতুল্য। (সুনানে বায়হাকি: ৩৮৪৫)
এ ছাড়া নবীজি (সা.) মসজিদুল আকসার মর্যাদার কথা তুলে ধরেন এভাবে, ‘যে বায়তুল মাকদিস থেকে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করবে, তার গোনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩০০১)
নবী-রাসুলের স্মৃতিবিজড়িত স্থান
মহান আল্লাহ মসজিদুল আকসা ও তার আশপাশে যত নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন, অন্য কোনো অঞ্চলে এত নবী-রাসুল পাঠাননি। মসজিদুল আকসার আশপাশে রয়েছে অসংখ্য নবী-রাসুলের কবর। তাঁদের পায়ের ধুলার বরকত মিশে আছে এই অঞ্চলে। এ ছাড়া মহানবী (সা.) মিরাজের রাতে ঊর্ধ্বজগতে সফর শুরুর আগে প্রথমে এই মসজিদে গিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার নিদর্শনসমূহ দেখিয়ে দিই। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সুরা ইসরা: ১)।
এ সময় তিনি মসজিদুল আকসায় নামাজের ইমামতি করেছেন। সব নবী তাঁর পেছনে নামাজ আদায় করেছেন। (সুনানে নাসায়ি: ৪৪৯)
কিয়ামতের আলামত ও হাশরের ময়দান
কিয়ামতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটবে মসজিদুল আকসা ও তার আশপাশের ভূমিতে। হক-বাতিলের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণী লড়াই হবে বায়তুল মাকদিস অঞ্চলে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কিয়ামত কায়েম হবে না, যতক্ষণ না মুসলিমরা ইহুদিদের সঙ্গে লড়াই করবে আর মুসলিমরা তাদের হত্যা করবে। এমনকি ইহুদিরা যে পাথর বা গাছের পেছনেই আত্মগোপন করবে, সেই পাথর বা গাছই বলে উঠবে, হে মুসলিম, হে আল্লাহর বান্দা, এই যে আমার পেছনে ইহুদি আছে। তাকে হত্যা করো। তবে গারকাদগাছ কিছু বলবে না; কারণ এটা ইহুদিদের গাছ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৯২২)
কিয়ামতের আগে ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব ঘটবে। তারা ধ্বংস হবে মসজিদুল আকসার পাশের একটি পাহাড়ে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘...এরপর তারা (ইয়াজুজ-মাজুজ) অগ্রসর হতে থাকবে। তারা জাবালে খামার নামক এক পাহাড়ে গিয়ে পৌঁছাবে। জাবালে খামার হলো বায়তুল মাকদিসের একটি পাহাড়। ...অতঃপর ঈসা (আ.) ও তাঁর সঙ্গীরা আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের (ইয়াজুজ-মাজুজ) ঘাড়ে এক প্রকার কীট সৃষ্টি করে দেবেন, যার শিকার হয়ে একসঙ্গে তারা সবাই মারা যাবে। (সহিহ্ মুসলিম: ২৯৩৭)
এ ছাড়া হাদিস থেকে বোঝা যায়, কিয়ামতের দিন এটাই হবে হাশরের ময়দান। মাইমুনা (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, বায়তুল মাকদিস সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন। নবীজি (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন এটা হবে হাশরের ময়দান। এখান থেকে মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে যাবে। তোমরা এখানে আসো এবং নামাজ আদায় করো...। (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৭০৮৮)

ফিলিস্তিনের জেরুজালেম শহরে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মুকাদ্দাস। এই মসজিদ ইতিহাস-ঐতিহ্যের দিক থেকে অনেক গুরুত্ব বহন করে। এ ছাড়া মসজিদটির স্থাপত্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। এর প্রাচীন গম্বুজ, সুউচ্চ মিনার এবং শিলাবদ্ধ দেয়ালগুলো আজও শান্তি, সহিষ্ণুতা ও ঐক্যের এক অমূল্য প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিক এই মসজিদের বিস্ময়কর কিছু তাৎপর্য তুলে ধরেছেন তাসলিমা জাহান—
ইসলামের প্রাথমিক সময়ের কিবলা
মসজিদুল আকসা ছিল মুসলমানদের একসময়ের কিবলা। ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহর আদেশে মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের। তাই তিনি মক্কায় থাকাকালীন এমন সমান্তরালভাবে নামাজে দাঁড়াতেন—যেন কাবা ও মসজিদুল আকসা সামনে থাকে।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কায় কাবা সামনে রেখে বায়তুল মাকদিসের দিকে ফিরে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পরও ১৬ মাস বায়তুল মাকদিসের দিকে ফিরেই নামাজ আদায় করেছেন। অতঃপর কিবলা কাবার দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। (মুসনাদে আহমাদ: ২৯৯১)
দ্বিতীয় প্রাচীনতম মসজিদ
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয় প্রাচীন মসজিদ। মসজিদুল হারামের পরেই এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আবু জর গিফারি (রা.) একবার নবী করিম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদ তৈরি করা হয়? নবীজি (সা.) বললেন, মসজিদুল হারাম। সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, মসজিদুল আকসা। আবু জর (রা.) পুনরায় জানতে চাইলেন, উভয় মসজিদ নির্মাণের মাঝে কত সময়ের ব্যবধান ছিল? মহানবী (সা.) বললেন, ৪০ বছর। (সহিহ্ বুখারি: ৩৩৬৬, সহিহ্ মুসলিম: ৫২০)
তৃতীয় মর্যাদাপূর্ণ স্থাপনা
ইসলামের দৃষ্টিতে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্থাপনা মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারাম। এর পরের অবস্থানে রয়েছে মদিনার মসজিদে নববি। এ দুই মসজিদের পরেই তৃতীয় পবিত্রতম স্থাপনা হলো ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অবস্থিত মসজিদুল আকসা। আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই তিন মসজিদের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে মসজিদুল আকসাকে তৃতীয় অবস্থানে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘সফর করলে তিনটি মসজিদের উদ্দেশ্যে সফর করা উচিত। মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি এবং মসজিদুল আকসা।’ (সহিহ্ বুখারি: ১১৮৯)। অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, মসজিদুল হারামের নামাজ ১ লাখ নামাজের সমতুল্য। আমার মসজিদের (মসজিদে নববি) নামাজ ১ হাজার নামাজের সমতুল্য। আর বায়তুল মাকদিসের নামাজ ৫০০ নামাজের সমতুল্য। (সুনানে বায়হাকি: ৩৮৪৫)
এ ছাড়া নবীজি (সা.) মসজিদুল আকসার মর্যাদার কথা তুলে ধরেন এভাবে, ‘যে বায়তুল মাকদিস থেকে ইহরাম বেঁধে ওমরাহ করবে, তার গোনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩০০১)
নবী-রাসুলের স্মৃতিবিজড়িত স্থান
মহান আল্লাহ মসজিদুল আকসা ও তার আশপাশে যত নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন, অন্য কোনো অঞ্চলে এত নবী-রাসুল পাঠাননি। মসজিদুল আকসার আশপাশে রয়েছে অসংখ্য নবী-রাসুলের কবর। তাঁদের পায়ের ধুলার বরকত মিশে আছে এই অঞ্চলে। এ ছাড়া মহানবী (সা.) মিরাজের রাতে ঊর্ধ্বজগতে সফর শুরুর আগে প্রথমে এই মসজিদে গিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার নিদর্শনসমূহ দেখিয়ে দিই। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সুরা ইসরা: ১)।
এ সময় তিনি মসজিদুল আকসায় নামাজের ইমামতি করেছেন। সব নবী তাঁর পেছনে নামাজ আদায় করেছেন। (সুনানে নাসায়ি: ৪৪৯)
কিয়ামতের আলামত ও হাশরের ময়দান
কিয়ামতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটবে মসজিদুল আকসা ও তার আশপাশের ভূমিতে। হক-বাতিলের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণী লড়াই হবে বায়তুল মাকদিস অঞ্চলে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কিয়ামত কায়েম হবে না, যতক্ষণ না মুসলিমরা ইহুদিদের সঙ্গে লড়াই করবে আর মুসলিমরা তাদের হত্যা করবে। এমনকি ইহুদিরা যে পাথর বা গাছের পেছনেই আত্মগোপন করবে, সেই পাথর বা গাছই বলে উঠবে, হে মুসলিম, হে আল্লাহর বান্দা, এই যে আমার পেছনে ইহুদি আছে। তাকে হত্যা করো। তবে গারকাদগাছ কিছু বলবে না; কারণ এটা ইহুদিদের গাছ।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৯২২)
কিয়ামতের আগে ইয়াজুজ-মাজুজের আবির্ভাব ঘটবে। তারা ধ্বংস হবে মসজিদুল আকসার পাশের একটি পাহাড়ে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘...এরপর তারা (ইয়াজুজ-মাজুজ) অগ্রসর হতে থাকবে। তারা জাবালে খামার নামক এক পাহাড়ে গিয়ে পৌঁছাবে। জাবালে খামার হলো বায়তুল মাকদিসের একটি পাহাড়। ...অতঃপর ঈসা (আ.) ও তাঁর সঙ্গীরা আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন। ফলে আল্লাহ তাআলা তাদের (ইয়াজুজ-মাজুজ) ঘাড়ে এক প্রকার কীট সৃষ্টি করে দেবেন, যার শিকার হয়ে একসঙ্গে তারা সবাই মারা যাবে। (সহিহ্ মুসলিম: ২৯৩৭)
এ ছাড়া হাদিস থেকে বোঝা যায়, কিয়ামতের দিন এটাই হবে হাশরের ময়দান। মাইমুনা (রা.) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, বায়তুল মাকদিস সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন। নবীজি (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন এটা হবে হাশরের ময়দান। এখান থেকে মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে যাবে। তোমরা এখানে আসো এবং নামাজ আদায় করো...। (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৭০৮৮)

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

মসজিদুল আকসা ছিল মুসলমানদের একসময়ের কিবলা। ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহর আদেশে মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের। তাই তিনি মক্কায় থাকাকালীন এমন সমান্তরালভাবে নামাজে দাঁড়াতেন—যেন কাবা ও মসজিদুল আকসা সামনে থাকে।
১১ এপ্রিল ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মসজিদুল আকসা ছিল মুসলমানদের একসময়ের কিবলা। ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহর আদেশে মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের। তাই তিনি মক্কায় থাকাকালীন এমন সমান্তরালভাবে নামাজে দাঁড়াতেন—যেন কাবা ও মসজিদুল আকসা সামনে থাকে।
১১ এপ্রিল ২০২৫
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৩ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

মসজিদুল আকসা ছিল মুসলমানদের একসময়ের কিবলা। ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহর আদেশে মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের। তাই তিনি মক্কায় থাকাকালীন এমন সমান্তরালভাবে নামাজে দাঁড়াতেন—যেন কাবা ও মসজিদুল আকসা সামনে থাকে।
১১ এপ্রিল ২০২৫
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মসজিদুল আকসা ছিল মুসলমানদের একসময়ের কিবলা। ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহর আদেশে মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের। তাই তিনি মক্কায় থাকাকালীন এমন সমান্তরালভাবে নামাজে দাঁড়াতেন—যেন কাবা ও মসজিদুল আকসা সামনে থাকে।
১১ এপ্রিল ২০২৫
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
১ দিন আগে