মুফতি আবু দারদা

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে, যাকে একসময় শাম বলা হতো। এখানে মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কোরআনের কথা তুলে ধরা হলো—
মসজিদুল আকসার মর্যাদা
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। হাদিসে মহানবী (সা.) এই মসজিদকে পৃথিবীর ইতিহাসের দ্বিতীয় মসজিদ আখ্যা দিয়েছেন। হজরত আবু জর গিফারির এক বর্ণনায় এসেছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘মসজিদুল হারাম’। ফের তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি’? বললেন, ‘এরপর মসজিদুল আকসা’। এরপর জানতে চাইলাম, ‘উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের’? বললেন, ‘চল্লিশ বছরের’। (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় ইবাদত করার অনেক সওয়াব রয়েছে। ইসলামে কেবল তিনটি মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। তৃতীয়টি মসজিদুল আকসা। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো মসজিদে বিশেষ সওয়াবের উদ্দেশ্যে সফর কোরো না। মসজিদ তিনটি হলো—মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি ও মসজিদুল আকসা।’ (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করার সওয়াব প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদুল হারামে হজ-ওমরাহ পালনে যাবে, তার আগের-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে বা তার জন্য জান্নাত আবশ্যক হয়ে যাবে।’
(আবু দাউদ)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.)
মিরাজের রাতে মহান আল্লাহ বিশেষ বাহন বোরাকে করে নবীজিকে প্রথমে মক্কা থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে যান। পবিত্র কোরআনে সেই বিরল সুযোগপ্রাপ্তির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার শক্তির কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা ইসরা: ১)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.) সব নবী-রাসুলের সামনে নামাজের ইমামতি করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। তিনি বলেছেন, ‘এরপর আমি মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। পরিশেষে সেখান থেকে আমাকে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।’ (মুসলিম)
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি। সুরা ইসরা: ১
ইসলামের প্রথম কিবলা
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) মক্কায় থাকাকালে কাবাঘরকে সামনে রেখে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পর ১৬ মাস পর্যন্ত মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছেন। তাই বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসলামের প্রথম কিবলা বলা হয়। পরে মহানবী (সা.)-এর ইচ্ছায় আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরিয়ে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
পবিত্র কোরআনে সেই ঘটনার উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে বারবার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব অবশ্যই আমি তোমাকে সেই কিবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব, যাকে তুমি পছন্দ করো। এখন তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ করো এবং তোমরা যেখানেই থাকো, সেদিকেই মুখ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
পবিত্র ও বরকতময় ভূমি ফিলিস্তিন
পবিত্র কোরআনে কেবল মসজিদুল আকসার আলোচনাই আসেনি, ফিলিস্তিনের আলোচনাও এসেছে। তবে ফিলিস্তিন শব্দ কোরআনে নেই। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা এই ভূমিকে বরকতময় ও পবিত্র বলেছেন। মুসা (আ.)-এর যুগে বনি ইসরাইলকে ফিলিস্তিনে প্রবেশের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। মুসা (আ.) তাদের বলেছিলেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন কোরো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সুরা মায়িদা: ২১) অবশ্য, বনি ইসরাইল তখন এ আদেশ অমান্য করে এবং মুসা (আ.)-কে বলে যে ‘আপনি ও আপনার রব যুদ্ধ
করুন; আমরা এখানে বসে থাকব।’
আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম ও লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনে হিজরতের কথা বলেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে সে দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ রেখেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৭১)
অন্য আয়াতে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়ও ফিলিস্তিনকে বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রবল বায়ুকে সোলায়মানের অধীনে করে দিয়েছিলাম; তা তার আদেশে প্রবাহিত হতো ওই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত দান করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮১)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, তাদেরও আমি উত্তরাধিকার দান করেছি এ ভূখণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের, যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি। আর বনি ইসরাইলের ধৈর্যধারণের দরুন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তোমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত কল্যাণ। (সুরা আরাফ: ১৩৭)
এসব আয়াতে বরকতময় স্থান ও পবিত্র ভূমি বলতে ইবনু আব্বাসসহ অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে ফিলিস্তিন ও এর আশপাশের এলাকাকে বোঝানো হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে, যাকে একসময় শাম বলা হতো। এখানে মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কোরআনের কথা তুলে ধরা হলো—
মসজিদুল আকসার মর্যাদা
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। হাদিসে মহানবী (সা.) এই মসজিদকে পৃথিবীর ইতিহাসের দ্বিতীয় মসজিদ আখ্যা দিয়েছেন। হজরত আবু জর গিফারির এক বর্ণনায় এসেছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘মসজিদুল হারাম’। ফের তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি’? বললেন, ‘এরপর মসজিদুল আকসা’। এরপর জানতে চাইলাম, ‘উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের’? বললেন, ‘চল্লিশ বছরের’। (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় ইবাদত করার অনেক সওয়াব রয়েছে। ইসলামে কেবল তিনটি মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। তৃতীয়টি মসজিদুল আকসা। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো মসজিদে বিশেষ সওয়াবের উদ্দেশ্যে সফর কোরো না। মসজিদ তিনটি হলো—মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি ও মসজিদুল আকসা।’ (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করার সওয়াব প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদুল হারামে হজ-ওমরাহ পালনে যাবে, তার আগের-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে বা তার জন্য জান্নাত আবশ্যক হয়ে যাবে।’
(আবু দাউদ)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.)
মিরাজের রাতে মহান আল্লাহ বিশেষ বাহন বোরাকে করে নবীজিকে প্রথমে মক্কা থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে যান। পবিত্র কোরআনে সেই বিরল সুযোগপ্রাপ্তির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার শক্তির কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা ইসরা: ১)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.) সব নবী-রাসুলের সামনে নামাজের ইমামতি করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। তিনি বলেছেন, ‘এরপর আমি মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। পরিশেষে সেখান থেকে আমাকে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।’ (মুসলিম)
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি। সুরা ইসরা: ১
ইসলামের প্রথম কিবলা
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) মক্কায় থাকাকালে কাবাঘরকে সামনে রেখে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পর ১৬ মাস পর্যন্ত মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছেন। তাই বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসলামের প্রথম কিবলা বলা হয়। পরে মহানবী (সা.)-এর ইচ্ছায় আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরিয়ে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
পবিত্র কোরআনে সেই ঘটনার উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে বারবার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব অবশ্যই আমি তোমাকে সেই কিবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব, যাকে তুমি পছন্দ করো। এখন তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ করো এবং তোমরা যেখানেই থাকো, সেদিকেই মুখ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
পবিত্র ও বরকতময় ভূমি ফিলিস্তিন
পবিত্র কোরআনে কেবল মসজিদুল আকসার আলোচনাই আসেনি, ফিলিস্তিনের আলোচনাও এসেছে। তবে ফিলিস্তিন শব্দ কোরআনে নেই। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা এই ভূমিকে বরকতময় ও পবিত্র বলেছেন। মুসা (আ.)-এর যুগে বনি ইসরাইলকে ফিলিস্তিনে প্রবেশের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। মুসা (আ.) তাদের বলেছিলেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন কোরো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সুরা মায়িদা: ২১) অবশ্য, বনি ইসরাইল তখন এ আদেশ অমান্য করে এবং মুসা (আ.)-কে বলে যে ‘আপনি ও আপনার রব যুদ্ধ
করুন; আমরা এখানে বসে থাকব।’
আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম ও লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনে হিজরতের কথা বলেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে সে দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ রেখেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৭১)
অন্য আয়াতে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়ও ফিলিস্তিনকে বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রবল বায়ুকে সোলায়মানের অধীনে করে দিয়েছিলাম; তা তার আদেশে প্রবাহিত হতো ওই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত দান করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮১)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, তাদেরও আমি উত্তরাধিকার দান করেছি এ ভূখণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের, যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি। আর বনি ইসরাইলের ধৈর্যধারণের দরুন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তোমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত কল্যাণ। (সুরা আরাফ: ১৩৭)
এসব আয়াতে বরকতময় স্থান ও পবিত্র ভূমি বলতে ইবনু আব্বাসসহ অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে ফিলিস্তিন ও এর আশপাশের এলাকাকে বোঝানো হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মুফতি আবু দারদা

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে, যাকে একসময় শাম বলা হতো। এখানে মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কোরআনের কথা তুলে ধরা হলো—
মসজিদুল আকসার মর্যাদা
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। হাদিসে মহানবী (সা.) এই মসজিদকে পৃথিবীর ইতিহাসের দ্বিতীয় মসজিদ আখ্যা দিয়েছেন। হজরত আবু জর গিফারির এক বর্ণনায় এসেছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘মসজিদুল হারাম’। ফের তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি’? বললেন, ‘এরপর মসজিদুল আকসা’। এরপর জানতে চাইলাম, ‘উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের’? বললেন, ‘চল্লিশ বছরের’। (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় ইবাদত করার অনেক সওয়াব রয়েছে। ইসলামে কেবল তিনটি মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। তৃতীয়টি মসজিদুল আকসা। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো মসজিদে বিশেষ সওয়াবের উদ্দেশ্যে সফর কোরো না। মসজিদ তিনটি হলো—মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি ও মসজিদুল আকসা।’ (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করার সওয়াব প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদুল হারামে হজ-ওমরাহ পালনে যাবে, তার আগের-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে বা তার জন্য জান্নাত আবশ্যক হয়ে যাবে।’
(আবু দাউদ)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.)
মিরাজের রাতে মহান আল্লাহ বিশেষ বাহন বোরাকে করে নবীজিকে প্রথমে মক্কা থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে যান। পবিত্র কোরআনে সেই বিরল সুযোগপ্রাপ্তির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার শক্তির কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা ইসরা: ১)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.) সব নবী-রাসুলের সামনে নামাজের ইমামতি করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। তিনি বলেছেন, ‘এরপর আমি মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। পরিশেষে সেখান থেকে আমাকে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।’ (মুসলিম)
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি। সুরা ইসরা: ১
ইসলামের প্রথম কিবলা
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) মক্কায় থাকাকালে কাবাঘরকে সামনে রেখে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পর ১৬ মাস পর্যন্ত মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছেন। তাই বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসলামের প্রথম কিবলা বলা হয়। পরে মহানবী (সা.)-এর ইচ্ছায় আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরিয়ে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
পবিত্র কোরআনে সেই ঘটনার উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে বারবার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব অবশ্যই আমি তোমাকে সেই কিবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব, যাকে তুমি পছন্দ করো। এখন তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ করো এবং তোমরা যেখানেই থাকো, সেদিকেই মুখ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
পবিত্র ও বরকতময় ভূমি ফিলিস্তিন
পবিত্র কোরআনে কেবল মসজিদুল আকসার আলোচনাই আসেনি, ফিলিস্তিনের আলোচনাও এসেছে। তবে ফিলিস্তিন শব্দ কোরআনে নেই। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা এই ভূমিকে বরকতময় ও পবিত্র বলেছেন। মুসা (আ.)-এর যুগে বনি ইসরাইলকে ফিলিস্তিনে প্রবেশের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। মুসা (আ.) তাদের বলেছিলেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন কোরো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সুরা মায়িদা: ২১) অবশ্য, বনি ইসরাইল তখন এ আদেশ অমান্য করে এবং মুসা (আ.)-কে বলে যে ‘আপনি ও আপনার রব যুদ্ধ
করুন; আমরা এখানে বসে থাকব।’
আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম ও লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনে হিজরতের কথা বলেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে সে দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ রেখেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৭১)
অন্য আয়াতে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়ও ফিলিস্তিনকে বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রবল বায়ুকে সোলায়মানের অধীনে করে দিয়েছিলাম; তা তার আদেশে প্রবাহিত হতো ওই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত দান করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮১)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, তাদেরও আমি উত্তরাধিকার দান করেছি এ ভূখণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের, যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি। আর বনি ইসরাইলের ধৈর্যধারণের দরুন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তোমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত কল্যাণ। (সুরা আরাফ: ১৩৭)
এসব আয়াতে বরকতময় স্থান ও পবিত্র ভূমি বলতে ইবনু আব্বাসসহ অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে ফিলিস্তিন ও এর আশপাশের এলাকাকে বোঝানো হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপাশের অঞ্চলকে বোঝানো হয়েছে, যাকে একসময় শাম বলা হতো। এখানে মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কোরআনের কথা তুলে ধরা হলো—
মসজিদুল আকসার মর্যাদা
মসজিদুল আকসা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। হাদিসে মহানবী (সা.) এই মসজিদকে পৃথিবীর ইতিহাসের দ্বিতীয় মসজিদ আখ্যা দিয়েছেন। হজরত আবু জর গিফারির এক বর্ণনায় এসেছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, পৃথিবীতে প্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছে?’ তিনি বললেন, ‘মসজিদুল হারাম’। ফের তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি’? বললেন, ‘এরপর মসজিদুল আকসা’। এরপর জানতে চাইলাম, ‘উভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত বছরের’? বললেন, ‘চল্লিশ বছরের’। (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় ইবাদত করার অনেক সওয়াব রয়েছে। ইসলামে কেবল তিনটি মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের অনুমতি রয়েছে। তৃতীয়টি মসজিদুল আকসা। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোনো মসজিদে বিশেষ সওয়াবের উদ্দেশ্যে সফর কোরো না। মসজিদ তিনটি হলো—মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববি ও মসজিদুল আকসা।’ (বুখারি)
মসজিদুল আকসায় নামাজ আদায় করার সওয়াব প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মসজিদুল আকসা থেকে মসজিদুল হারামে হজ-ওমরাহ পালনে যাবে, তার আগের-পরের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে বা তার জন্য জান্নাত আবশ্যক হয়ে যাবে।’
(আবু দাউদ)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.)
মিরাজের রাতে মহান আল্লাহ বিশেষ বাহন বোরাকে করে নবীজিকে প্রথমে মক্কা থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে যান। পবিত্র কোরআনে সেই বিরল সুযোগপ্রাপ্তির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি, যাতে আমি তাকে আমার শক্তির কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা ইসরা: ১)
মসজিদুল আকসায় মহানবী (সা.) সব নবী-রাসুলের সামনে নামাজের ইমামতি করার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেন। তিনি বলেছেন, ‘এরপর আমি মসজিদুল আকসায় প্রবেশ করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। পরিশেষে সেখান থেকে আমাকে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়।’ (মুসলিম)
পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, যিনি নিজ বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করিয়েছেন, যার চারদিকে আমি বরকত দান করেছি। সুরা ইসরা: ১
ইসলামের প্রথম কিবলা
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) মক্কায় থাকাকালে কাবাঘরকে সামনে রেখে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। মদিনায় হিজরতের পর ১৬ মাস পর্যন্ত মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করেছেন। তাই বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইসলামের প্রথম কিবলা বলা হয়। পরে মহানবী (সা.)-এর ইচ্ছায় আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের কিবলা পবিত্র কাবাঘরের দিকে ফিরিয়ে দেন।’ (মুসনাদে আহমদ)
পবিত্র কোরআনে সেই ঘটনার উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে বারবার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব অবশ্যই আমি তোমাকে সেই কিবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব, যাকে তুমি পছন্দ করো। এখন তুমি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ করো এবং তোমরা যেখানেই থাকো, সেদিকেই মুখ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৪৪)
পবিত্র ও বরকতময় ভূমি ফিলিস্তিন
পবিত্র কোরআনে কেবল মসজিদুল আকসার আলোচনাই আসেনি, ফিলিস্তিনের আলোচনাও এসেছে। তবে ফিলিস্তিন শব্দ কোরআনে নেই। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা এই ভূমিকে বরকতময় ও পবিত্র বলেছেন। মুসা (আ.)-এর যুগে বনি ইসরাইলকে ফিলিস্তিনে প্রবেশের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। মুসা (আ.) তাদের বলেছিলেন, ‘হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং তোমরা পৃষ্ঠপ্রদর্শন কোরো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সুরা মায়িদা: ২১) অবশ্য, বনি ইসরাইল তখন এ আদেশ অমান্য করে এবং মুসা (আ.)-কে বলে যে ‘আপনি ও আপনার রব যুদ্ধ
করুন; আমরা এখানে বসে থাকব।’
আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম ও লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ফিলিস্তিনে হিজরতের কথা বলেছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে সে দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ রেখেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৭১)
অন্য আয়াতে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়ও ফিলিস্তিনকে বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আমি প্রবল বায়ুকে সোলায়মানের অধীনে করে দিয়েছিলাম; তা তার আদেশে প্রবাহিত হতো ওই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত দান করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮১)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, তাদেরও আমি উত্তরাধিকার দান করেছি এ ভূখণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের, যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি। আর বনি ইসরাইলের ধৈর্যধারণের দরুন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তোমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত কল্যাণ। (সুরা আরাফ: ১৩৭)
এসব আয়াতে বরকতময় স্থান ও পবিত্র ভূমি বলতে ইবনু আব্বাসসহ অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে ফিলিস্তিন ও এর আশপাশের এলাকাকে বোঝানো হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপ
১৩ অক্টোবর ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপ
১৩ অক্টোবর ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপ
১৩ অক্টোবর ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

ইসলামের পবিত্র তিন মসজিদের একটি ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা। ফিলিস্তিন এমন পবিত্র ভূমি, যেখানে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। মহানবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা মিরাজের রাতে তিনি মসজিদুল আকসায় অলৌকিকভাবে সব নবী-রাসুলকে নিয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র কোরআনে পবিত্র ভূমি বলে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও এর আশপ
১৩ অক্টোবর ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে