মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

বৃষ্টি পৃথিবীবাসীর জন্য মহান আল্লাহর রহমত। বৃষ্টি হয় বলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। বৃষ্টি একদিকে মৃত জমিতে প্রাণ সঞ্চারিত করে শস্য উৎপাদনের উপযোগী করে তোলে, যা খেয়ে বেঁচে থাকে মানুষ ও জীবজন্তু, আরেক দিকে তা ভূগর্ভে জমা হয়ে পৃথিবীবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে। এই সত্যের দিকে নির্দেশ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ সেই সত্তা, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, এরপর তা মেঘ সঞ্চারিত করে, এরপর আমি তা চালিয়ে নিয়ে যাই এমন ভূখণ্ডের দিকে, যা (খরার কারণে) নির্জীব হয়ে গেছে। তারপর আমি তা দিয়ে ভূমিকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় সঞ্জীবিত করি।’ (সুরা ফাতির: ৯)
অনেক সময় মানুষের পাপের কারণে অথবা মহান প্রভুর অন্য কোনো হিকমতের কারণে পৃথিবীতে অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। বৃষ্টির মৌসুমেও বৃষ্টি হয় না। জমি শুকিয়ে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গাছপালা মরে যায়। ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যায়। এভাবে খাদ্য ও পানির অভাবে চরম দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়। তখন পৃথিবীবাসী নিজ নিজ বিশ্বাস ও রীতি অনুসারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে। আর মুমিনরা বৃষ্টির একমাত্র মালিক আল্লাহ তাআলার কাছে কৃত পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে এবং বিনয়াবনত হয়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে। এটাকেই বলা হয় ইসতিসকা বা বৃষ্টির প্রার্থনা।
পূর্ববর্তী নবীদের বৃষ্টি প্রার্থনা
রাসুল (সা.)-এর আগেও নবী-রাসুল ও মুমিনগণ আল্লাহর কাছে পানির জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, যার বিবরণ কোরআন ও হাদিসে এসেছে। যেমন নুহ (আ.)-এর কওমের ক্রমাগত আল্লাহর নাফরমানির শাস্তিস্বরূপ যখন আল্লাহ বৃষ্টি বন্ধ করে দিলেন, তখন নুহ (আ.) তাদের বৃষ্টি প্রার্থনার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে গুনাহ ক্ষমা চাও; নিশ্চয়ই তিনি মহা ক্ষমাশীল। তখন তিনি আকাশ থেকে তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।’ (তাফসিরে কুরতুবি, সুরা নুহ: ১০-১১)
বনি ইসরাইল যখন পানিসংকটে পড়ল, তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে পানির জন্য প্রার্থনা করলেন। পবিত্র কোরআনে তা এভাবে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর যখন মুসা তার জাতির জন্য পানি প্রার্থনা করল, তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দিয়ে পাথরটিকে আঘাত করো। তখনই সে পাথর থেকে ১২টি পানির ধারা জারি হয়ে গেল।’ (সুরা বাকারা: ৬০)
একইভাবে একদিন সোলায়মান (আ.) লোকজন নিয়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করার জন্য বের হলেন। তখন তিনি দেখলেন, একটি পিঁপড়া চিৎ হয়ে শুয়ে দোয়া করছে, ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার অন্যতম মাখলুক। তোমার বৃষ্টি ও রিজিকের আমার খুব প্রয়োজন। সুতরাং হয় বৃষ্টি বর্ষণ করুন, নয়তো আমাকে মৃত্যু দান করুন।’ এটা শুনে সোলায়মান (আ.) লোকজনকে বললেন, ‘ফিরে যাও। অন্য মাখলুকের দোয়ার বরকতে বৃষ্টি বর্ষিত হবে।’ (দারাকুতনি, ইবনে আসাকির)
মহানবী (সা.)-এর যুগে বৃষ্টিপ্রার্থনা
এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর সাহাবিগণ প্রয়োজনের সময় আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। সাধারণ দোয়া-ইসতিগফার ও বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা)—এ দুই পদ্ধতিতে বৃষ্টিপ্রার্থনা করার কথা বর্ণিত আছে তাঁদের থেকে।
দোয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা
আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, জুমার দিন রাসুল (সা.) খুতবা দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে বললেন, ‘ (অনাবৃষ্টির কারণে) মাল-সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জীবিকার পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অতএব আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আমাদের বৃষ্টি দান করেন। রাসুল (সা.) দুই হাত উঠিয়ে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ, আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করুন, আমাদের বৃষ্টি দান করুন।’ আনাস (রা.) বলেন, দোয়ার পরপরই আকাশে মেঘ ছেয়ে গেল এবং অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামল। (বুখারি ও মুসলিম)
নামাজের মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা
খরা দেখা দিলে রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম খোলা ময়দানে গিয়ে ঈদের নামাজের মতো দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। এরপর কিবলামুখী হয়ে আকাশের দিকে হাত তুলে কান্নাকাটি করে দোয়া করতেন। একেই সালাতুল ইসতিসকা বলা হয়। বিশিষ্ট ফকিহ ইবনে আবদুল বার বলেন, সব আলিম এ বিষয়ে একমত যে অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষের সময় সালাতুল ইসতিসকা পড়া সুন্নত। (আত তামহিদ)
রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম সালাতুল ইসতিসকা পড়েছেন—এমন অসংখ্য বর্ণনা এসেছে হাদিসের কিতাবগুলোতে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন রাসুল (সা.) বৃষ্টি প্রার্থনার উদ্দেশ্যে বের হলেন। এরপর আমাদের নিয়ে আজান-ইকামত ছাড়া দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন। নামাজের পর খুতবা দিলেন এবং কিবলার দিকে ফিরে হাত তুলে দোয়া করলেন। এরপর চাদরের ডানের অংশ বাঁয়ে এবং বাঁয়ের অংশ ডানে পরিবর্তন করে দিলেন। (আহমদ, ইবনে মাজাহ)
সাহাবিদের যুগে বৃষ্টি প্রার্থনা
সাবিত আল বুনানি বর্ণনা করেন, আনাস (রা.)-এর জমির তত্ত্বাবধায়ক এসে বললেন, অনাবৃষ্টির কারণে আপনার জমি তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েছে। তখন আনাস (রা.) চাদর জড়িয়ে খোলা ময়দানে গেলেন এবং নামাজ আদায় করে দোয়া করলেন। সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি নেমে এল। (সিয়ারু আলামিন নুবালা)
শাবি বর্ণনা করেন, একদিন ওমর (রা.) বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করার উদ্দেশ্যে বের হলেন। কিন্তু শুধু অধিকহারে ইসতিগফার (গুনাহ ক্ষমা চাওয়া) ছাড়া আর কিছুই করলেন না। লোকেরা বলল, ‘আপনি ইসতিসকা (বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা) করলেন না যে?’ তিনি বললেন, ‘যে বস্তু আকাশ থেকে বৃষ্টি নামিয়ে আনে (অর্থাৎ ইসতিগফার), আমি তার মাধ্যমে বৃষ্টি চেয়েছি।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক)

বৃষ্টি পৃথিবীবাসীর জন্য মহান আল্লাহর রহমত। বৃষ্টি হয় বলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। বৃষ্টি একদিকে মৃত জমিতে প্রাণ সঞ্চারিত করে শস্য উৎপাদনের উপযোগী করে তোলে, যা খেয়ে বেঁচে থাকে মানুষ ও জীবজন্তু, আরেক দিকে তা ভূগর্ভে জমা হয়ে পৃথিবীবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে। এই সত্যের দিকে নির্দেশ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ সেই সত্তা, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, এরপর তা মেঘ সঞ্চারিত করে, এরপর আমি তা চালিয়ে নিয়ে যাই এমন ভূখণ্ডের দিকে, যা (খরার কারণে) নির্জীব হয়ে গেছে। তারপর আমি তা দিয়ে ভূমিকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় সঞ্জীবিত করি।’ (সুরা ফাতির: ৯)
অনেক সময় মানুষের পাপের কারণে অথবা মহান প্রভুর অন্য কোনো হিকমতের কারণে পৃথিবীতে অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। বৃষ্টির মৌসুমেও বৃষ্টি হয় না। জমি শুকিয়ে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গাছপালা মরে যায়। ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যায়। এভাবে খাদ্য ও পানির অভাবে চরম দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়। তখন পৃথিবীবাসী নিজ নিজ বিশ্বাস ও রীতি অনুসারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে। আর মুমিনরা বৃষ্টির একমাত্র মালিক আল্লাহ তাআলার কাছে কৃত পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে এবং বিনয়াবনত হয়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে। এটাকেই বলা হয় ইসতিসকা বা বৃষ্টির প্রার্থনা।
পূর্ববর্তী নবীদের বৃষ্টি প্রার্থনা
রাসুল (সা.)-এর আগেও নবী-রাসুল ও মুমিনগণ আল্লাহর কাছে পানির জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, যার বিবরণ কোরআন ও হাদিসে এসেছে। যেমন নুহ (আ.)-এর কওমের ক্রমাগত আল্লাহর নাফরমানির শাস্তিস্বরূপ যখন আল্লাহ বৃষ্টি বন্ধ করে দিলেন, তখন নুহ (আ.) তাদের বৃষ্টি প্রার্থনার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে গুনাহ ক্ষমা চাও; নিশ্চয়ই তিনি মহা ক্ষমাশীল। তখন তিনি আকাশ থেকে তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।’ (তাফসিরে কুরতুবি, সুরা নুহ: ১০-১১)
বনি ইসরাইল যখন পানিসংকটে পড়ল, তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে পানির জন্য প্রার্থনা করলেন। পবিত্র কোরআনে তা এভাবে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর যখন মুসা তার জাতির জন্য পানি প্রার্থনা করল, তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দিয়ে পাথরটিকে আঘাত করো। তখনই সে পাথর থেকে ১২টি পানির ধারা জারি হয়ে গেল।’ (সুরা বাকারা: ৬০)
একইভাবে একদিন সোলায়মান (আ.) লোকজন নিয়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করার জন্য বের হলেন। তখন তিনি দেখলেন, একটি পিঁপড়া চিৎ হয়ে শুয়ে দোয়া করছে, ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার অন্যতম মাখলুক। তোমার বৃষ্টি ও রিজিকের আমার খুব প্রয়োজন। সুতরাং হয় বৃষ্টি বর্ষণ করুন, নয়তো আমাকে মৃত্যু দান করুন।’ এটা শুনে সোলায়মান (আ.) লোকজনকে বললেন, ‘ফিরে যাও। অন্য মাখলুকের দোয়ার বরকতে বৃষ্টি বর্ষিত হবে।’ (দারাকুতনি, ইবনে আসাকির)
মহানবী (সা.)-এর যুগে বৃষ্টিপ্রার্থনা
এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর সাহাবিগণ প্রয়োজনের সময় আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। সাধারণ দোয়া-ইসতিগফার ও বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা)—এ দুই পদ্ধতিতে বৃষ্টিপ্রার্থনা করার কথা বর্ণিত আছে তাঁদের থেকে।
দোয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা
আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, জুমার দিন রাসুল (সা.) খুতবা দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে বললেন, ‘ (অনাবৃষ্টির কারণে) মাল-সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জীবিকার পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অতএব আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আমাদের বৃষ্টি দান করেন। রাসুল (সা.) দুই হাত উঠিয়ে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ, আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করুন, আমাদের বৃষ্টি দান করুন।’ আনাস (রা.) বলেন, দোয়ার পরপরই আকাশে মেঘ ছেয়ে গেল এবং অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামল। (বুখারি ও মুসলিম)
নামাজের মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা
খরা দেখা দিলে রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম খোলা ময়দানে গিয়ে ঈদের নামাজের মতো দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। এরপর কিবলামুখী হয়ে আকাশের দিকে হাত তুলে কান্নাকাটি করে দোয়া করতেন। একেই সালাতুল ইসতিসকা বলা হয়। বিশিষ্ট ফকিহ ইবনে আবদুল বার বলেন, সব আলিম এ বিষয়ে একমত যে অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষের সময় সালাতুল ইসতিসকা পড়া সুন্নত। (আত তামহিদ)
রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম সালাতুল ইসতিসকা পড়েছেন—এমন অসংখ্য বর্ণনা এসেছে হাদিসের কিতাবগুলোতে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন রাসুল (সা.) বৃষ্টি প্রার্থনার উদ্দেশ্যে বের হলেন। এরপর আমাদের নিয়ে আজান-ইকামত ছাড়া দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন। নামাজের পর খুতবা দিলেন এবং কিবলার দিকে ফিরে হাত তুলে দোয়া করলেন। এরপর চাদরের ডানের অংশ বাঁয়ে এবং বাঁয়ের অংশ ডানে পরিবর্তন করে দিলেন। (আহমদ, ইবনে মাজাহ)
সাহাবিদের যুগে বৃষ্টি প্রার্থনা
সাবিত আল বুনানি বর্ণনা করেন, আনাস (রা.)-এর জমির তত্ত্বাবধায়ক এসে বললেন, অনাবৃষ্টির কারণে আপনার জমি তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েছে। তখন আনাস (রা.) চাদর জড়িয়ে খোলা ময়দানে গেলেন এবং নামাজ আদায় করে দোয়া করলেন। সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি নেমে এল। (সিয়ারু আলামিন নুবালা)
শাবি বর্ণনা করেন, একদিন ওমর (রা.) বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করার উদ্দেশ্যে বের হলেন। কিন্তু শুধু অধিকহারে ইসতিগফার (গুনাহ ক্ষমা চাওয়া) ছাড়া আর কিছুই করলেন না। লোকেরা বলল, ‘আপনি ইসতিসকা (বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা) করলেন না যে?’ তিনি বললেন, ‘যে বস্তু আকাশ থেকে বৃষ্টি নামিয়ে আনে (অর্থাৎ ইসতিগফার), আমি তার মাধ্যমে বৃষ্টি চেয়েছি।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক)

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৬ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

বৃষ্টি পৃথিবীবাসীর জন্য মহান আল্লাহর রহমত। বৃষ্টি হয় বলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। বৃষ্টি একদিকে মৃত জমিতে প্রাণ সঞ্চারিত করে শস্য উৎপাদনের উপযোগী করে তোলে, যা খেয়ে বেঁচে থাকে মানুষ ও জীবজন্তু, আরেক দিকে তা ভূগর্ভে জমা হয়ে পৃথিবীবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে। এই সত্যের দিকে নির্দেশ করে
২৬ এপ্রিল ২০২৪
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৬ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

বৃষ্টি পৃথিবীবাসীর জন্য মহান আল্লাহর রহমত। বৃষ্টি হয় বলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। বৃষ্টি একদিকে মৃত জমিতে প্রাণ সঞ্চারিত করে শস্য উৎপাদনের উপযোগী করে তোলে, যা খেয়ে বেঁচে থাকে মানুষ ও জীবজন্তু, আরেক দিকে তা ভূগর্ভে জমা হয়ে পৃথিবীবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে। এই সত্যের দিকে নির্দেশ করে
২৬ এপ্রিল ২০২৪
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৫ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

বৃষ্টি পৃথিবীবাসীর জন্য মহান আল্লাহর রহমত। বৃষ্টি হয় বলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। বৃষ্টি একদিকে মৃত জমিতে প্রাণ সঞ্চারিত করে শস্য উৎপাদনের উপযোগী করে তোলে, যা খেয়ে বেঁচে থাকে মানুষ ও জীবজন্তু, আরেক দিকে তা ভূগর্ভে জমা হয়ে পৃথিবীবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে। এই সত্যের দিকে নির্দেশ করে
২৬ এপ্রিল ২০২৪
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৬ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

বৃষ্টি পৃথিবীবাসীর জন্য মহান আল্লাহর রহমত। বৃষ্টি হয় বলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। বৃষ্টি একদিকে মৃত জমিতে প্রাণ সঞ্চারিত করে শস্য উৎপাদনের উপযোগী করে তোলে, যা খেয়ে বেঁচে থাকে মানুষ ও জীবজন্তু, আরেক দিকে তা ভূগর্ভে জমা হয়ে পৃথিবীবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে। এই সত্যের দিকে নির্দেশ করে
২৬ এপ্রিল ২০২৪
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৬ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৭ ঘণ্টা আগে