মাহমুদ হাসান ফাহিম

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে।
এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোরবানির (পশুর) গোশত এবং রক্তের কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করেছেন, যেন তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর, তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন বলে। সুতরাং যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে, তাদের সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ: ৩৭)
গোটা মুসলিম জাহানে কোরবানির ইতিহাস জানে না এমন কেউ নেই। কোরবানি আল্লাহ তাআলার বিধান। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত। হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) সূত্রে বর্ণিত, কয়েকজন সাহাবি প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোরবানি কী?’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা বললেন, ‘এতে আমাদের জন্য কী প্রতিদান রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধি দিয়েছেন বেশ কিছু বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর। তিনি স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর রাহে কোরবানি করতে আদিষ্ট হয়েছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা সাফফাতে এর বিষদ বিবরণ এসেছে।
তিনি কোরবানির যে পরীক্ষা দিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তা নজির বিহীন। তার সেই আদর্শকে মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণে রেখেছে। সে ধারাবাহিকতা রক্ষার তাগিদে কোরবানি করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর হুকুম পালনে পূর্ণ ইমানের পরিচয় দিই।
এই কোরবানি মানুষের মাঝে গড়ে তুলে ঐশী ভালোবাসার সেতুবন্ধ। কোরবানি নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়, বরং এটি খোদা প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আত্মত্যাগের মহা উৎসব এই কোরবানি। যেহেতু এই কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা উৎসর্গ ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ধর্মীয় কর্তব্য পালন করে, তাই একে আমরা আত্মত্যাগের উৎসব বলি।
আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ-আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে আত্মোৎসর্গ করা। আল্লাহর পথে আত্মোৎসর্গ করতে পারা মোমিন-মুসলমানের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির বিষয়।
শরিয়তে কোরবানির বিধান
ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং পশু জবাই কর।’ (সুরা কাউসার: ২)
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আদেশসূচক ক্রিয়া ব্যবহার করেছেন। আর আল্লাহর নির্দেশ পালন সাধারণত ফরজ বা ওয়াজিব হয়ে থাকে। যদি কারও কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা এর সমমূল্যের অন্য যে কোনো সম্পদ ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত তার মালিকানায় থাকে, তাহলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়া শামি: ৯/৪৫৪-৪৫৮, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬/২২৬)
কোরবানিতে ধন-সম্পদের মোহ ও মনের পাশবিকতা দূর করার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি করণীয়—
লৌকিকতা পরিহার
কোরবানির উদ্দেশ্য মানুষের পশুবৃত্তিকে জবাই করে অন্তরে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা জাগ্রত করা। এখানে লৌকিকতার স্থান নেই। কারও নিয়তে যদি এ ধরনের বিষয় থাকে, তাহলে সে কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে বঞ্চিত। এ প্রতিযোগিতার কোরবানি কখনো আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই দাম হাঁকিয়ে, লোক দেখিয়ে, মানুষের বাহবা কুড়ানোর জন্য যা করা হয়, তা আর যাই হোক ইবাদত হবে না। এটি প্রাচীন জাহেলি যুগের অজ্ঞতা।
বিশুদ্ধ নিয়ত
পশু ক্রয় করার আগে কোরবানির নিয়ত করা। গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটাতাজা পশু কিনলে পশু কেনা হবে এবং গোশতও খাওয়া যাবে কিন্তু কোরবানি হবে না।
কোরবানির শরিক নির্বাচন
একাধিক লোক মিলে কোরবানি করলে অবশ্যই শরিকদের ভেতরগত অবস্থা জেনে নেওয়া। কারণ শরিকদের কোনো একজনের টাকা হারাম হলে তারসহ সকলের কোরবানি বাতিল হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করে কোরবানি করার চেষ্টা করা। হালাল উপার্জনকারী না পাওয়া গেল বড় পশুতে শরিক না হয়ে বকরি বা ছাগল কোরবানি দেওয়া।
কোরবানির গোশত বণ্টন
কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখা। আরেক ভাগ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিতরণ করা। আর অন্য ভাগ গরিব, মিসকিন ও অভাবীদের মাঝে বণ্টন করা উত্তম।
প্রয়োজন হলে কোরবানির গোশত পুরোটাই নিজে খাওয়া যায়, কিন্তু কোরবানি যেহেতু নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়—তাই তা ফ্রিজে জমিয়ে না রেখে প্রয়োজন অতিরিক্তটুকু প্রতিবেশী ও অসহায়দের মাঝে বণ্টন করে দেওয়ার মনমানসিকতা লালন করা চাই।
লেখক: শিক্ষক বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী, গাজীপুর

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে।
এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোরবানির (পশুর) গোশত এবং রক্তের কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করেছেন, যেন তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর, তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন বলে। সুতরাং যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে, তাদের সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ: ৩৭)
গোটা মুসলিম জাহানে কোরবানির ইতিহাস জানে না এমন কেউ নেই। কোরবানি আল্লাহ তাআলার বিধান। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত। হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) সূত্রে বর্ণিত, কয়েকজন সাহাবি প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোরবানি কী?’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা বললেন, ‘এতে আমাদের জন্য কী প্রতিদান রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধি দিয়েছেন বেশ কিছু বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর। তিনি স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর রাহে কোরবানি করতে আদিষ্ট হয়েছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা সাফফাতে এর বিষদ বিবরণ এসেছে।
তিনি কোরবানির যে পরীক্ষা দিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তা নজির বিহীন। তার সেই আদর্শকে মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণে রেখেছে। সে ধারাবাহিকতা রক্ষার তাগিদে কোরবানি করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর হুকুম পালনে পূর্ণ ইমানের পরিচয় দিই।
এই কোরবানি মানুষের মাঝে গড়ে তুলে ঐশী ভালোবাসার সেতুবন্ধ। কোরবানি নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়, বরং এটি খোদা প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আত্মত্যাগের মহা উৎসব এই কোরবানি। যেহেতু এই কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা উৎসর্গ ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ধর্মীয় কর্তব্য পালন করে, তাই একে আমরা আত্মত্যাগের উৎসব বলি।
আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ-আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে আত্মোৎসর্গ করা। আল্লাহর পথে আত্মোৎসর্গ করতে পারা মোমিন-মুসলমানের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির বিষয়।
শরিয়তে কোরবানির বিধান
ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং পশু জবাই কর।’ (সুরা কাউসার: ২)
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আদেশসূচক ক্রিয়া ব্যবহার করেছেন। আর আল্লাহর নির্দেশ পালন সাধারণত ফরজ বা ওয়াজিব হয়ে থাকে। যদি কারও কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা এর সমমূল্যের অন্য যে কোনো সম্পদ ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত তার মালিকানায় থাকে, তাহলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়া শামি: ৯/৪৫৪-৪৫৮, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬/২২৬)
কোরবানিতে ধন-সম্পদের মোহ ও মনের পাশবিকতা দূর করার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি করণীয়—
লৌকিকতা পরিহার
কোরবানির উদ্দেশ্য মানুষের পশুবৃত্তিকে জবাই করে অন্তরে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা জাগ্রত করা। এখানে লৌকিকতার স্থান নেই। কারও নিয়তে যদি এ ধরনের বিষয় থাকে, তাহলে সে কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে বঞ্চিত। এ প্রতিযোগিতার কোরবানি কখনো আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই দাম হাঁকিয়ে, লোক দেখিয়ে, মানুষের বাহবা কুড়ানোর জন্য যা করা হয়, তা আর যাই হোক ইবাদত হবে না। এটি প্রাচীন জাহেলি যুগের অজ্ঞতা।
বিশুদ্ধ নিয়ত
পশু ক্রয় করার আগে কোরবানির নিয়ত করা। গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটাতাজা পশু কিনলে পশু কেনা হবে এবং গোশতও খাওয়া যাবে কিন্তু কোরবানি হবে না।
কোরবানির শরিক নির্বাচন
একাধিক লোক মিলে কোরবানি করলে অবশ্যই শরিকদের ভেতরগত অবস্থা জেনে নেওয়া। কারণ শরিকদের কোনো একজনের টাকা হারাম হলে তারসহ সকলের কোরবানি বাতিল হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করে কোরবানি করার চেষ্টা করা। হালাল উপার্জনকারী না পাওয়া গেল বড় পশুতে শরিক না হয়ে বকরি বা ছাগল কোরবানি দেওয়া।
কোরবানির গোশত বণ্টন
কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখা। আরেক ভাগ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিতরণ করা। আর অন্য ভাগ গরিব, মিসকিন ও অভাবীদের মাঝে বণ্টন করা উত্তম।
প্রয়োজন হলে কোরবানির গোশত পুরোটাই নিজে খাওয়া যায়, কিন্তু কোরবানি যেহেতু নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়—তাই তা ফ্রিজে জমিয়ে না রেখে প্রয়োজন অতিরিক্তটুকু প্রতিবেশী ও অসহায়দের মাঝে বণ্টন করে দেওয়ার মনমানসিকতা লালন করা চাই।
লেখক: শিক্ষক বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী, গাজীপুর
মাহমুদ হাসান ফাহিম

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে।
এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোরবানির (পশুর) গোশত এবং রক্তের কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করেছেন, যেন তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর, তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন বলে। সুতরাং যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে, তাদের সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ: ৩৭)
গোটা মুসলিম জাহানে কোরবানির ইতিহাস জানে না এমন কেউ নেই। কোরবানি আল্লাহ তাআলার বিধান। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত। হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) সূত্রে বর্ণিত, কয়েকজন সাহাবি প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোরবানি কী?’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা বললেন, ‘এতে আমাদের জন্য কী প্রতিদান রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধি দিয়েছেন বেশ কিছু বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর। তিনি স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর রাহে কোরবানি করতে আদিষ্ট হয়েছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা সাফফাতে এর বিষদ বিবরণ এসেছে।
তিনি কোরবানির যে পরীক্ষা দিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তা নজির বিহীন। তার সেই আদর্শকে মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণে রেখেছে। সে ধারাবাহিকতা রক্ষার তাগিদে কোরবানি করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর হুকুম পালনে পূর্ণ ইমানের পরিচয় দিই।
এই কোরবানি মানুষের মাঝে গড়ে তুলে ঐশী ভালোবাসার সেতুবন্ধ। কোরবানি নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়, বরং এটি খোদা প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আত্মত্যাগের মহা উৎসব এই কোরবানি। যেহেতু এই কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা উৎসর্গ ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ধর্মীয় কর্তব্য পালন করে, তাই একে আমরা আত্মত্যাগের উৎসব বলি।
আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ-আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে আত্মোৎসর্গ করা। আল্লাহর পথে আত্মোৎসর্গ করতে পারা মোমিন-মুসলমানের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির বিষয়।
শরিয়তে কোরবানির বিধান
ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং পশু জবাই কর।’ (সুরা কাউসার: ২)
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আদেশসূচক ক্রিয়া ব্যবহার করেছেন। আর আল্লাহর নির্দেশ পালন সাধারণত ফরজ বা ওয়াজিব হয়ে থাকে। যদি কারও কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা এর সমমূল্যের অন্য যে কোনো সম্পদ ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত তার মালিকানায় থাকে, তাহলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়া শামি: ৯/৪৫৪-৪৫৮, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬/২২৬)
কোরবানিতে ধন-সম্পদের মোহ ও মনের পাশবিকতা দূর করার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি করণীয়—
লৌকিকতা পরিহার
কোরবানির উদ্দেশ্য মানুষের পশুবৃত্তিকে জবাই করে অন্তরে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা জাগ্রত করা। এখানে লৌকিকতার স্থান নেই। কারও নিয়তে যদি এ ধরনের বিষয় থাকে, তাহলে সে কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে বঞ্চিত। এ প্রতিযোগিতার কোরবানি কখনো আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই দাম হাঁকিয়ে, লোক দেখিয়ে, মানুষের বাহবা কুড়ানোর জন্য যা করা হয়, তা আর যাই হোক ইবাদত হবে না। এটি প্রাচীন জাহেলি যুগের অজ্ঞতা।
বিশুদ্ধ নিয়ত
পশু ক্রয় করার আগে কোরবানির নিয়ত করা। গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটাতাজা পশু কিনলে পশু কেনা হবে এবং গোশতও খাওয়া যাবে কিন্তু কোরবানি হবে না।
কোরবানির শরিক নির্বাচন
একাধিক লোক মিলে কোরবানি করলে অবশ্যই শরিকদের ভেতরগত অবস্থা জেনে নেওয়া। কারণ শরিকদের কোনো একজনের টাকা হারাম হলে তারসহ সকলের কোরবানি বাতিল হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করে কোরবানি করার চেষ্টা করা। হালাল উপার্জনকারী না পাওয়া গেল বড় পশুতে শরিক না হয়ে বকরি বা ছাগল কোরবানি দেওয়া।
কোরবানির গোশত বণ্টন
কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখা। আরেক ভাগ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিতরণ করা। আর অন্য ভাগ গরিব, মিসকিন ও অভাবীদের মাঝে বণ্টন করা উত্তম।
প্রয়োজন হলে কোরবানির গোশত পুরোটাই নিজে খাওয়া যায়, কিন্তু কোরবানি যেহেতু নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়—তাই তা ফ্রিজে জমিয়ে না রেখে প্রয়োজন অতিরিক্তটুকু প্রতিবেশী ও অসহায়দের মাঝে বণ্টন করে দেওয়ার মনমানসিকতা লালন করা চাই।
লেখক: শিক্ষক বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী, গাজীপুর

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে।
এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোরবানির (পশুর) গোশত এবং রক্তের কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করেছেন, যেন তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর, তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন বলে। সুতরাং যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে, তাদের সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ: ৩৭)
গোটা মুসলিম জাহানে কোরবানির ইতিহাস জানে না এমন কেউ নেই। কোরবানি আল্লাহ তাআলার বিধান। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত। হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) সূত্রে বর্ণিত, কয়েকজন সাহাবি প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোরবানি কী?’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা বললেন, ‘এতে আমাদের জন্য কী প্রতিদান রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধি দিয়েছেন বেশ কিছু বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর। তিনি স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর রাহে কোরবানি করতে আদিষ্ট হয়েছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা সাফফাতে এর বিষদ বিবরণ এসেছে।
তিনি কোরবানির যে পরীক্ষা দিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তা নজির বিহীন। তার সেই আদর্শকে মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণে রেখেছে। সে ধারাবাহিকতা রক্ষার তাগিদে কোরবানি করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর হুকুম পালনে পূর্ণ ইমানের পরিচয় দিই।
এই কোরবানি মানুষের মাঝে গড়ে তুলে ঐশী ভালোবাসার সেতুবন্ধ। কোরবানি নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়, বরং এটি খোদা প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আত্মত্যাগের মহা উৎসব এই কোরবানি। যেহেতু এই কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা উৎসর্গ ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ধর্মীয় কর্তব্য পালন করে, তাই একে আমরা আত্মত্যাগের উৎসব বলি।
আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ-আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে আত্মোৎসর্গ করা। আল্লাহর পথে আত্মোৎসর্গ করতে পারা মোমিন-মুসলমানের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির বিষয়।
শরিয়তে কোরবানির বিধান
ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং পশু জবাই কর।’ (সুরা কাউসার: ২)
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আদেশসূচক ক্রিয়া ব্যবহার করেছেন। আর আল্লাহর নির্দেশ পালন সাধারণত ফরজ বা ওয়াজিব হয়ে থাকে। যদি কারও কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা এর সমমূল্যের অন্য যে কোনো সম্পদ ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত তার মালিকানায় থাকে, তাহলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়া শামি: ৯/৪৫৪-৪৫৮, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬/২২৬)
কোরবানিতে ধন-সম্পদের মোহ ও মনের পাশবিকতা দূর করার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি করণীয়—
লৌকিকতা পরিহার
কোরবানির উদ্দেশ্য মানুষের পশুবৃত্তিকে জবাই করে অন্তরে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা জাগ্রত করা। এখানে লৌকিকতার স্থান নেই। কারও নিয়তে যদি এ ধরনের বিষয় থাকে, তাহলে সে কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে বঞ্চিত। এ প্রতিযোগিতার কোরবানি কখনো আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই দাম হাঁকিয়ে, লোক দেখিয়ে, মানুষের বাহবা কুড়ানোর জন্য যা করা হয়, তা আর যাই হোক ইবাদত হবে না। এটি প্রাচীন জাহেলি যুগের অজ্ঞতা।
বিশুদ্ধ নিয়ত
পশু ক্রয় করার আগে কোরবানির নিয়ত করা। গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটাতাজা পশু কিনলে পশু কেনা হবে এবং গোশতও খাওয়া যাবে কিন্তু কোরবানি হবে না।
কোরবানির শরিক নির্বাচন
একাধিক লোক মিলে কোরবানি করলে অবশ্যই শরিকদের ভেতরগত অবস্থা জেনে নেওয়া। কারণ শরিকদের কোনো একজনের টাকা হারাম হলে তারসহ সকলের কোরবানি বাতিল হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করে কোরবানি করার চেষ্টা করা। হালাল উপার্জনকারী না পাওয়া গেল বড় পশুতে শরিক না হয়ে বকরি বা ছাগল কোরবানি দেওয়া।
কোরবানির গোশত বণ্টন
কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখা। আরেক ভাগ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিতরণ করা। আর অন্য ভাগ গরিব, মিসকিন ও অভাবীদের মাঝে বণ্টন করা উত্তম।
প্রয়োজন হলে কোরবানির গোশত পুরোটাই নিজে খাওয়া যায়, কিন্তু কোরবানি যেহেতু নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়—তাই তা ফ্রিজে জমিয়ে না রেখে প্রয়োজন অতিরিক্তটুকু প্রতিবেশী ও অসহায়দের মাঝে বণ্টন করে দেওয়ার মনমানসিকতা লালন করা চাই।
লেখক: শিক্ষক বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী, গাজীপুর

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিজনেস ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক দেশবরেণ্য ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেধাবী কিশোর-কিশোরী হাফেজদের জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা এবং তাদের মূল্যায়ন করার উদ্দেশ্যে পুষ্টি পবিত্র কোরআন চর্চার যে যাত্রা শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের বিশ্বাস, দ্বিতীয় এই আসরে পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, টি কে গ্রুপের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে ইসলামের খেদমতে এই আয়োজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে টি কে গ্রুপের পরিচালক (এইচআর) আলমাস রাইসুল গনিও বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি এবং ‘পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট’-এর প্রধান বিচারক শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আজহারী। তিনি বলেন, ‘কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকে পবিত্র কোরআনের প্রতি অনুরাগী করতে এই আয়োজন প্রশংসার দাবিদার। সমাজে ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় টি কে গ্রুপের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।’
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুদে প্রতিভাবান হাফেজগণ প্রাথমিক অডিশন রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। অভিজ্ঞ বিচারক এবং আলেমগণের বিবেচনায় সেরা প্রতিযোগীরা মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে। রিজিওনাল অডিশনে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীরা পুষ্টির পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় উপহার পাবে।
২২ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী অডিশন পর্ব শুরু হবে। চূড়ান্ত পর্ব পবিত্র রমজান মাসজুড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫টা হতে মাগরিবের আজানের আগে দেশের অন্যতম চ্যানেল ‘নাইন’-এ প্রচারিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিজয়ীরা পাবেন লক্ষাধিক টাকাসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সংবাদ সম্মেলনে টি কে গ্রুপের বিভিন্ন ইউনিটের হেড অব সেলস, হেড অব বিজনেসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা।
০৪ জুন ২০২৫
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা।
০৪ জুন ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা।
০৪ জুন ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা।
০৪ জুন ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা পুষ্টি ভার্সেস অব লাইট সিজন-২ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টি কে গ্রুপ’-এর উদ্যোগে এই ‘ইসলামিক রিয়্যালিটি শো’টি দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
১২ ঘণ্টা আগে