মাহমুদ হাসান ফাহিম

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে।
এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোরবানির (পশুর) গোশত এবং রক্তের কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করেছেন, যেন তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর, তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন বলে। সুতরাং যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে, তাদের সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ: ৩৭)
গোটা মুসলিম জাহানে কোরবানির ইতিহাস জানে না এমন কেউ নেই। কোরবানি আল্লাহ তাআলার বিধান। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত। হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) সূত্রে বর্ণিত, কয়েকজন সাহাবি প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোরবানি কী?’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা বললেন, ‘এতে আমাদের জন্য কী প্রতিদান রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধি দিয়েছেন বেশ কিছু বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর। তিনি স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর রাহে কোরবানি করতে আদিষ্ট হয়েছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা সাফফাতে এর বিষদ বিবরণ এসেছে।
তিনি কোরবানির যে পরীক্ষা দিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তা নজির বিহীন। তার সেই আদর্শকে মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণে রেখেছে। সে ধারাবাহিকতা রক্ষার তাগিদে কোরবানি করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর হুকুম পালনে পূর্ণ ইমানের পরিচয় দিই।
এই কোরবানি মানুষের মাঝে গড়ে তুলে ঐশী ভালোবাসার সেতুবন্ধ। কোরবানি নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়, বরং এটি খোদা প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আত্মত্যাগের মহা উৎসব এই কোরবানি। যেহেতু এই কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা উৎসর্গ ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ধর্মীয় কর্তব্য পালন করে, তাই একে আমরা আত্মত্যাগের উৎসব বলি।
আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ-আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে আত্মোৎসর্গ করা। আল্লাহর পথে আত্মোৎসর্গ করতে পারা মোমিন-মুসলমানের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির বিষয়।
শরিয়তে কোরবানির বিধান
ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং পশু জবাই কর।’ (সুরা কাউসার: ২)
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আদেশসূচক ক্রিয়া ব্যবহার করেছেন। আর আল্লাহর নির্দেশ পালন সাধারণত ফরজ বা ওয়াজিব হয়ে থাকে। যদি কারও কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা এর সমমূল্যের অন্য যে কোনো সম্পদ ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত তার মালিকানায় থাকে, তাহলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়া শামি: ৯/৪৫৪-৪৫৮, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬/২২৬)
কোরবানিতে ধন-সম্পদের মোহ ও মনের পাশবিকতা দূর করার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি করণীয়—
লৌকিকতা পরিহার
কোরবানির উদ্দেশ্য মানুষের পশুবৃত্তিকে জবাই করে অন্তরে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা জাগ্রত করা। এখানে লৌকিকতার স্থান নেই। কারও নিয়তে যদি এ ধরনের বিষয় থাকে, তাহলে সে কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে বঞ্চিত। এ প্রতিযোগিতার কোরবানি কখনো আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই দাম হাঁকিয়ে, লোক দেখিয়ে, মানুষের বাহবা কুড়ানোর জন্য যা করা হয়, তা আর যাই হোক ইবাদত হবে না। এটি প্রাচীন জাহেলি যুগের অজ্ঞতা।
বিশুদ্ধ নিয়ত
পশু ক্রয় করার আগে কোরবানির নিয়ত করা। গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটাতাজা পশু কিনলে পশু কেনা হবে এবং গোশতও খাওয়া যাবে কিন্তু কোরবানি হবে না।
কোরবানির শরিক নির্বাচন
একাধিক লোক মিলে কোরবানি করলে অবশ্যই শরিকদের ভেতরগত অবস্থা জেনে নেওয়া। কারণ শরিকদের কোনো একজনের টাকা হারাম হলে তারসহ সকলের কোরবানি বাতিল হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করে কোরবানি করার চেষ্টা করা। হালাল উপার্জনকারী না পাওয়া গেল বড় পশুতে শরিক না হয়ে বকরি বা ছাগল কোরবানি দেওয়া।
কোরবানির গোশত বণ্টন
কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখা। আরেক ভাগ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিতরণ করা। আর অন্য ভাগ গরিব, মিসকিন ও অভাবীদের মাঝে বণ্টন করা উত্তম।
প্রয়োজন হলে কোরবানির গোশত পুরোটাই নিজে খাওয়া যায়, কিন্তু কোরবানি যেহেতু নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়—তাই তা ফ্রিজে জমিয়ে না রেখে প্রয়োজন অতিরিক্তটুকু প্রতিবেশী ও অসহায়দের মাঝে বণ্টন করে দেওয়ার মনমানসিকতা লালন করা চাই।
লেখক: শিক্ষক বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী, গাজীপুর

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে।
এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা। যেমনটি পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কোরবানির (পশুর) গোশত এবং রক্তের কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এসব পশুকে তোমাদের বশীভূত করেছেন, যেন তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর, তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন বলে। সুতরাং যারা সুচারুরূপে সৎকর্ম করে, তাদের সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ: ৩৭)
গোটা মুসলিম জাহানে কোরবানির ইতিহাস জানে না এমন কেউ নেই। কোরবানি আল্লাহ তাআলার বিধান। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত। হজরত জায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) সূত্রে বর্ণিত, কয়েকজন সাহাবি প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, কোরবানি কী?’
রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নত।’ সাহাবিরা বললেন, ‘এতে আমাদের জন্য কী প্রতিদান রয়েছে?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকি।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩১২৭)
হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা ‘খলিলুল্লাহ’ উপাধি দিয়েছেন বেশ কিছু বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পর। তিনি স্নেহের পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)-কে আল্লাহর রাহে কোরবানি করতে আদিষ্ট হয়েছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা সাফফাতে এর বিষদ বিবরণ এসেছে।
তিনি কোরবানির যে পরীক্ষা দিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তা নজির বিহীন। তার সেই আদর্শকে মানুষ যুগ যুগ ধরে স্মরণে রেখেছে। সে ধারাবাহিকতা রক্ষার তাগিদে কোরবানি করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর হুকুম পালনে পূর্ণ ইমানের পরিচয় দিই।
এই কোরবানি মানুষের মাঝে গড়ে তুলে ঐশী ভালোবাসার সেতুবন্ধ। কোরবানি নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়, বরং এটি খোদা প্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আত্মত্যাগের মহা উৎসব এই কোরবানি। যেহেতু এই কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা উৎসর্গ ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে ধর্মীয় কর্তব্য পালন করে, তাই একে আমরা আত্মত্যাগের উৎসব বলি।
আরবি কোরবানি শব্দটি কুরবুন শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ-আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে আত্মোৎসর্গ করা। আল্লাহর পথে আত্মোৎসর্গ করতে পারা মোমিন-মুসলমানের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির বিষয়।
শরিয়তে কোরবানির বিধান
ইসলামি শরিয়তের বিধানমতে কোরবানি করা ওয়াজিব। কোরবানির নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং পশু জবাই কর।’ (সুরা কাউসার: ২)
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা আদেশসূচক ক্রিয়া ব্যবহার করেছেন। আর আল্লাহর নির্দেশ পালন সাধারণত ফরজ বা ওয়াজিব হয়ে থাকে। যদি কারও কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা অথবা সাড়ে সাত ভরি সোনা কিংবা এর সমমূল্যের অন্য যে কোনো সম্পদ ১০ জিলহজ সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত তার মালিকানায় থাকে, তাহলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়া শামি: ৯/৪৫৪-৪৫৮, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া: ২৬/২২৬)
কোরবানিতে ধন-সম্পদের মোহ ও মনের পাশবিকতা দূর করার ক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি করণীয়—
লৌকিকতা পরিহার
কোরবানির উদ্দেশ্য মানুষের পশুবৃত্তিকে জবাই করে অন্তরে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা জাগ্রত করা। এখানে লৌকিকতার স্থান নেই। কারও নিয়তে যদি এ ধরনের বিষয় থাকে, তাহলে সে কোরবানির প্রকৃত উদ্দেশ্য থেকে বঞ্চিত। এ প্রতিযোগিতার কোরবানি কখনো আল্লাহ তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই দাম হাঁকিয়ে, লোক দেখিয়ে, মানুষের বাহবা কুড়ানোর জন্য যা করা হয়, তা আর যাই হোক ইবাদত হবে না। এটি প্রাচীন জাহেলি যুগের অজ্ঞতা।
বিশুদ্ধ নিয়ত
পশু ক্রয় করার আগে কোরবানির নিয়ত করা। গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোটাতাজা পশু কিনলে পশু কেনা হবে এবং গোশতও খাওয়া যাবে কিন্তু কোরবানি হবে না।
কোরবানির শরিক নির্বাচন
একাধিক লোক মিলে কোরবানি করলে অবশ্যই শরিকদের ভেতরগত অবস্থা জেনে নেওয়া। কারণ শরিকদের কোনো একজনের টাকা হারাম হলে তারসহ সকলের কোরবানি বাতিল হয়ে যাবে। তাই যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করে কোরবানি করার চেষ্টা করা। হালাল উপার্জনকারী না পাওয়া গেল বড় পশুতে শরিক না হয়ে বকরি বা ছাগল কোরবানি দেওয়া।
কোরবানির গোশত বণ্টন
কোরবানির গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখা। আরেক ভাগ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের মাঝে বিতরণ করা। আর অন্য ভাগ গরিব, মিসকিন ও অভাবীদের মাঝে বণ্টন করা উত্তম।
প্রয়োজন হলে কোরবানির গোশত পুরোটাই নিজে খাওয়া যায়, কিন্তু কোরবানি যেহেতু নিছক গোশত খাওয়ার কোনো উৎসব নয়—তাই তা ফ্রিজে জমিয়ে না রেখে প্রয়োজন অতিরিক্তটুকু প্রতিবেশী ও অসহায়দের মাঝে বণ্টন করে দেওয়ার মনমানসিকতা লালন করা চাই।
লেখক: শিক্ষক বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী, গাজীপুর

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৯ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা।
০৪ জুন ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৯ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা।
০৪ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২৪ মিনিট আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা।
০৪ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৯ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

কোরবানি হচ্ছে নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করা। এটি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের অন্যতম উপায়। গোটা মুসলিম জাতি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ একযোগে শরিয়তের এ বিধানটি পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাচাই করেন বান্দার তাকওয়া ও তার অন্তরের অবস্থা এবং তাঁর হুকুম পালনে একনিষ্ঠতা।
০৪ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২৪ মিনিট আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৯ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১২ ঘণ্টা আগে