ইসলাম ডেস্ক

সন্তানের আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে কেউ কেউ ক্ষোভের বশে ত্যাজ্য করে দেন। সন্তানকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করতে বাকি সন্তানদের নামে পুরো সম্পদ লিখে দেন। আবার অনেকে সন্তানকে সম্পদ না দেওয়ার কসমও করে বসেন। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী—এখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
সন্তান ত্যাজ্য করা যায় কি
ইসলামে সন্তান ত্যাজ্য করার কোনো বিধান নেই। এমনটি করলে বাবা-মা সন্তানের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার গুনাহে লিপ্ত হবেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (বুখারি: ৫৯৮৪; মুসলিম: ২৫৫৬)
তাই কেউ সন্তানকে ত্যাজ্য করলে, মৌখিক হোক বা লিখিত, তা বাস্তবায়িত হবে না। ফলে তাঁর মৃত্যুর পর সম্পদের অধিকার পেতে ত্যাজ্য সন্তানের সামনে কোনো বাধা থাকবে না। তিনি যথানিয়মে সম্পদের ওয়ারিশ হবেন।
এ ক্ষেত্রে বাবার কোনো কথা বা লিখিত দলিল ধর্তব্য হবে না। কারণ মিরাস বা সম্পদের উত্তরাধিকার কে কতখানি পাবে, তা আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ১১ থেকে ১৩ নম্বর আয়াতে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন। তাই কারও কথার কারণে আল্লাহর বিধান পরিবর্তিত হবে না। বাবার মৃত্যুর পর সন্তান ও অন্য ওয়ারিশেরা আপনাআপনিই তাঁর সম্পদের নির্ধারিত অংশের মালিক হয়ে যাবেন। (তিরমিজি: ২১২১; আলবাহরুর রায়েক: ৭ / ২৮৮; মওসুওয়্যাহ ফিকহিয়্যাহ: ৩৬ / ১৬৭; ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৪ / ৩৬৪; ফাতাওয়া উসমানি: ২ / ২৮৪)
এখানে উল্লেখ করা দরকার, বাবা-মায়ের অবাধ্যতা অনেক বড় গুনাহ। তবে সন্তান অবাধ্য হলে ত্যাজ্য করা ইসলামের সমাধান নয়। বরং বাবা-মায়ের উচিত, ছোট থেকে সন্তানকে ইসলামি অনুশাসনে গড়ে তোলা, ভালোবাসা ও শাসনের মাধ্যমে সন্তানের সংশোধনের চেষ্টা করা, তাকে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত অবাধ্যতার পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করা এবং আল্লাহর কাছে সন্তানের সংশোধন কামনা করে দোয়া করা।
সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার বিধান
অবাধ্যতার কারণে সন্তানকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে মৃত্যুর আগে পুরো সম্পদ অন্য কারও নামে লিখে দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ নয়। কারণ, সম্ভাব্য কোনো ওয়ারিশকে বঞ্চিত করার কৌশল অবলম্বন করা ইসলাম সমর্থন করে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৩১৬৮৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া: ৪ / ৪০০; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া: ৬ / ২৩৭)
একইভাবে এক সন্তানকে বঞ্চিত করার জন্য অন্য সন্তানের নামে সব সম্পদ বা বেশির ভাগ সম্পদ লিখে দেওয়াও ইসলামসম্মত নয়। মহানবী (সা.) এমনটি করতে নিষেধ করেছেন।
নোমান ইবনে বশির নিজের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘একবার আমার বাবা আমার মায়ের অনুরোধে আমাকে কিছু সম্পদের মালিক বানিয়ে দিতে চাইলেন। তখন মা বললেন, “আমার ছেলেকে দেওয়া সম্পদের ব্যাপারে আমি রাসুল (সা.)-কে সাক্ষী রাখতে চাই। ” বাবা আমার হাত ধরে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে নিয়ে গেলেন, আমি তখন ছোট বালক। বাবা বললেন, “হে আল্লাহর রাসুল, তার মা তাকে দেওয়া সম্পদের জন্য আপনাকে সাক্ষী রাখতে চাচ্ছেন। ” রাসুল (সা.) বললেন, “হে বশির, এ ছাড়া কি তোমার আরও সন্তান আছে? ” তিনি বললেন, “হ্যাঁ”। নবী (সা.) বললেন, “তাদের সবাইকে কি তুমি এ পরিমাণ সম্পদ দিয়েছ? ” বললেন, “না”। রাসুল (সা.) বললেন, “তাহলে এ ক্ষেত্রে আমাকে সাক্ষী রেখো না। আমি এমন জুলুমের সাক্ষী হতে চাই না।’ ” (মুসলিম: ১২৪৩)
তবে সন্তান যদি হারাম পথে সম্পদ অপচয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে বাবা-মা তাকে প্রয়োজনের (মৌলিক চাহিদা) অতিরিক্ত অর্থ দেবে না। মৃত্যুর আগে প্রয়োজন মতো (মৌলিক চাহিদা মেটাতে যতটুকু লাগে) সম্পদ রেখে বাকি সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান বা জনকল্যাণে ব্যয় করে দিতে পারেন। কারণ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে সম্পদ আল্লাহ তোমাদের জীবিকা বানিয়েছেন, তা নির্বোধদের হাতে তুলে দিয়ো না। বরং তা থেকে তাদের খাওয়াও, পরাও এবং তাদের সঙ্গে ন্যায়সংগত কথা বলো।’ (সুরা নিসা: ৫)
ত্যাজ্য করার কসম করলে
কোনো বাবা সন্তানকে ত্যাজ্য করার কসম করলে কসম ভেঙে তাকে ফিরিয়ে নিতে হবে এবং কাফফারা আদায় করতে হবে। কারণ কসম ভঙ্গ করা সম্পর্ক ছিন্ন করার চেয়ে ছোট গুনাহ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি নিজের পরিবারের ব্যাপারে কসম করে এবং আল্লাহর ফরজ আদায় না করে নিজের কসমের ওপর অটল থাকে, তাহলে সে আল্লাহর কাছে গুনাহগার সাব্যস্ত হবে।’ (বুখারি: ৬৬২৫; মুসলিম: ১৬৫০)
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিষয়ে কসম করে, পরে অন্যটিকে তা থেকে উত্তম মনে করে, সে যেন তা করে এবং নিজের কসমের কাফফারা দেয়।’ (মুসলিম: ১৬৫০)
উল্লেখ্য, কসম ভঙ্গের কাফফারা হলো, দশজন মিসকিনকে মধ্যম মানের খাবার পেট পুরে খাওয়ানো অথবা পোশাক দেওয়া বা একটি দাস মুক্ত করা। এগুলোর কোনো একটি করার সামর্থ্য না থাকলে তিন দিন রোজা রাখা। (সুরা মায়েদাহ: ৮৯)

সন্তানের আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে কেউ কেউ ক্ষোভের বশে ত্যাজ্য করে দেন। সন্তানকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করতে বাকি সন্তানদের নামে পুরো সম্পদ লিখে দেন। আবার অনেকে সন্তানকে সম্পদ না দেওয়ার কসমও করে বসেন। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী—এখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
সন্তান ত্যাজ্য করা যায় কি
ইসলামে সন্তান ত্যাজ্য করার কোনো বিধান নেই। এমনটি করলে বাবা-মা সন্তানের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার গুনাহে লিপ্ত হবেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (বুখারি: ৫৯৮৪; মুসলিম: ২৫৫৬)
তাই কেউ সন্তানকে ত্যাজ্য করলে, মৌখিক হোক বা লিখিত, তা বাস্তবায়িত হবে না। ফলে তাঁর মৃত্যুর পর সম্পদের অধিকার পেতে ত্যাজ্য সন্তানের সামনে কোনো বাধা থাকবে না। তিনি যথানিয়মে সম্পদের ওয়ারিশ হবেন।
এ ক্ষেত্রে বাবার কোনো কথা বা লিখিত দলিল ধর্তব্য হবে না। কারণ মিরাস বা সম্পদের উত্তরাধিকার কে কতখানি পাবে, তা আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ১১ থেকে ১৩ নম্বর আয়াতে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন। তাই কারও কথার কারণে আল্লাহর বিধান পরিবর্তিত হবে না। বাবার মৃত্যুর পর সন্তান ও অন্য ওয়ারিশেরা আপনাআপনিই তাঁর সম্পদের নির্ধারিত অংশের মালিক হয়ে যাবেন। (তিরমিজি: ২১২১; আলবাহরুর রায়েক: ৭ / ২৮৮; মওসুওয়্যাহ ফিকহিয়্যাহ: ৩৬ / ১৬৭; ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৪ / ৩৬৪; ফাতাওয়া উসমানি: ২ / ২৮৪)
এখানে উল্লেখ করা দরকার, বাবা-মায়ের অবাধ্যতা অনেক বড় গুনাহ। তবে সন্তান অবাধ্য হলে ত্যাজ্য করা ইসলামের সমাধান নয়। বরং বাবা-মায়ের উচিত, ছোট থেকে সন্তানকে ইসলামি অনুশাসনে গড়ে তোলা, ভালোবাসা ও শাসনের মাধ্যমে সন্তানের সংশোধনের চেষ্টা করা, তাকে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত অবাধ্যতার পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করা এবং আল্লাহর কাছে সন্তানের সংশোধন কামনা করে দোয়া করা।
সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার বিধান
অবাধ্যতার কারণে সন্তানকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে মৃত্যুর আগে পুরো সম্পদ অন্য কারও নামে লিখে দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ নয়। কারণ, সম্ভাব্য কোনো ওয়ারিশকে বঞ্চিত করার কৌশল অবলম্বন করা ইসলাম সমর্থন করে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৩১৬৮৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া: ৪ / ৪০০; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া: ৬ / ২৩৭)
একইভাবে এক সন্তানকে বঞ্চিত করার জন্য অন্য সন্তানের নামে সব সম্পদ বা বেশির ভাগ সম্পদ লিখে দেওয়াও ইসলামসম্মত নয়। মহানবী (সা.) এমনটি করতে নিষেধ করেছেন।
নোমান ইবনে বশির নিজের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘একবার আমার বাবা আমার মায়ের অনুরোধে আমাকে কিছু সম্পদের মালিক বানিয়ে দিতে চাইলেন। তখন মা বললেন, “আমার ছেলেকে দেওয়া সম্পদের ব্যাপারে আমি রাসুল (সা.)-কে সাক্ষী রাখতে চাই। ” বাবা আমার হাত ধরে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে নিয়ে গেলেন, আমি তখন ছোট বালক। বাবা বললেন, “হে আল্লাহর রাসুল, তার মা তাকে দেওয়া সম্পদের জন্য আপনাকে সাক্ষী রাখতে চাচ্ছেন। ” রাসুল (সা.) বললেন, “হে বশির, এ ছাড়া কি তোমার আরও সন্তান আছে? ” তিনি বললেন, “হ্যাঁ”। নবী (সা.) বললেন, “তাদের সবাইকে কি তুমি এ পরিমাণ সম্পদ দিয়েছ? ” বললেন, “না”। রাসুল (সা.) বললেন, “তাহলে এ ক্ষেত্রে আমাকে সাক্ষী রেখো না। আমি এমন জুলুমের সাক্ষী হতে চাই না।’ ” (মুসলিম: ১২৪৩)
তবে সন্তান যদি হারাম পথে সম্পদ অপচয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে বাবা-মা তাকে প্রয়োজনের (মৌলিক চাহিদা) অতিরিক্ত অর্থ দেবে না। মৃত্যুর আগে প্রয়োজন মতো (মৌলিক চাহিদা মেটাতে যতটুকু লাগে) সম্পদ রেখে বাকি সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান বা জনকল্যাণে ব্যয় করে দিতে পারেন। কারণ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে সম্পদ আল্লাহ তোমাদের জীবিকা বানিয়েছেন, তা নির্বোধদের হাতে তুলে দিয়ো না। বরং তা থেকে তাদের খাওয়াও, পরাও এবং তাদের সঙ্গে ন্যায়সংগত কথা বলো।’ (সুরা নিসা: ৫)
ত্যাজ্য করার কসম করলে
কোনো বাবা সন্তানকে ত্যাজ্য করার কসম করলে কসম ভেঙে তাকে ফিরিয়ে নিতে হবে এবং কাফফারা আদায় করতে হবে। কারণ কসম ভঙ্গ করা সম্পর্ক ছিন্ন করার চেয়ে ছোট গুনাহ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি নিজের পরিবারের ব্যাপারে কসম করে এবং আল্লাহর ফরজ আদায় না করে নিজের কসমের ওপর অটল থাকে, তাহলে সে আল্লাহর কাছে গুনাহগার সাব্যস্ত হবে।’ (বুখারি: ৬৬২৫; মুসলিম: ১৬৫০)
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিষয়ে কসম করে, পরে অন্যটিকে তা থেকে উত্তম মনে করে, সে যেন তা করে এবং নিজের কসমের কাফফারা দেয়।’ (মুসলিম: ১৬৫০)
উল্লেখ্য, কসম ভঙ্গের কাফফারা হলো, দশজন মিসকিনকে মধ্যম মানের খাবার পেট পুরে খাওয়ানো অথবা পোশাক দেওয়া বা একটি দাস মুক্ত করা। এগুলোর কোনো একটি করার সামর্থ্য না থাকলে তিন দিন রোজা রাখা। (সুরা মায়েদাহ: ৮৯)
ইসলাম ডেস্ক

সন্তানের আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে কেউ কেউ ক্ষোভের বশে ত্যাজ্য করে দেন। সন্তানকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করতে বাকি সন্তানদের নামে পুরো সম্পদ লিখে দেন। আবার অনেকে সন্তানকে সম্পদ না দেওয়ার কসমও করে বসেন। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী—এখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
সন্তান ত্যাজ্য করা যায় কি
ইসলামে সন্তান ত্যাজ্য করার কোনো বিধান নেই। এমনটি করলে বাবা-মা সন্তানের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার গুনাহে লিপ্ত হবেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (বুখারি: ৫৯৮৪; মুসলিম: ২৫৫৬)
তাই কেউ সন্তানকে ত্যাজ্য করলে, মৌখিক হোক বা লিখিত, তা বাস্তবায়িত হবে না। ফলে তাঁর মৃত্যুর পর সম্পদের অধিকার পেতে ত্যাজ্য সন্তানের সামনে কোনো বাধা থাকবে না। তিনি যথানিয়মে সম্পদের ওয়ারিশ হবেন।
এ ক্ষেত্রে বাবার কোনো কথা বা লিখিত দলিল ধর্তব্য হবে না। কারণ মিরাস বা সম্পদের উত্তরাধিকার কে কতখানি পাবে, তা আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ১১ থেকে ১৩ নম্বর আয়াতে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন। তাই কারও কথার কারণে আল্লাহর বিধান পরিবর্তিত হবে না। বাবার মৃত্যুর পর সন্তান ও অন্য ওয়ারিশেরা আপনাআপনিই তাঁর সম্পদের নির্ধারিত অংশের মালিক হয়ে যাবেন। (তিরমিজি: ২১২১; আলবাহরুর রায়েক: ৭ / ২৮৮; মওসুওয়্যাহ ফিকহিয়্যাহ: ৩৬ / ১৬৭; ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৪ / ৩৬৪; ফাতাওয়া উসমানি: ২ / ২৮৪)
এখানে উল্লেখ করা দরকার, বাবা-মায়ের অবাধ্যতা অনেক বড় গুনাহ। তবে সন্তান অবাধ্য হলে ত্যাজ্য করা ইসলামের সমাধান নয়। বরং বাবা-মায়ের উচিত, ছোট থেকে সন্তানকে ইসলামি অনুশাসনে গড়ে তোলা, ভালোবাসা ও শাসনের মাধ্যমে সন্তানের সংশোধনের চেষ্টা করা, তাকে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত অবাধ্যতার পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করা এবং আল্লাহর কাছে সন্তানের সংশোধন কামনা করে দোয়া করা।
সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার বিধান
অবাধ্যতার কারণে সন্তানকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে মৃত্যুর আগে পুরো সম্পদ অন্য কারও নামে লিখে দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ নয়। কারণ, সম্ভাব্য কোনো ওয়ারিশকে বঞ্চিত করার কৌশল অবলম্বন করা ইসলাম সমর্থন করে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৩১৬৮৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া: ৪ / ৪০০; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া: ৬ / ২৩৭)
একইভাবে এক সন্তানকে বঞ্চিত করার জন্য অন্য সন্তানের নামে সব সম্পদ বা বেশির ভাগ সম্পদ লিখে দেওয়াও ইসলামসম্মত নয়। মহানবী (সা.) এমনটি করতে নিষেধ করেছেন।
নোমান ইবনে বশির নিজের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘একবার আমার বাবা আমার মায়ের অনুরোধে আমাকে কিছু সম্পদের মালিক বানিয়ে দিতে চাইলেন। তখন মা বললেন, “আমার ছেলেকে দেওয়া সম্পদের ব্যাপারে আমি রাসুল (সা.)-কে সাক্ষী রাখতে চাই। ” বাবা আমার হাত ধরে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে নিয়ে গেলেন, আমি তখন ছোট বালক। বাবা বললেন, “হে আল্লাহর রাসুল, তার মা তাকে দেওয়া সম্পদের জন্য আপনাকে সাক্ষী রাখতে চাচ্ছেন। ” রাসুল (সা.) বললেন, “হে বশির, এ ছাড়া কি তোমার আরও সন্তান আছে? ” তিনি বললেন, “হ্যাঁ”। নবী (সা.) বললেন, “তাদের সবাইকে কি তুমি এ পরিমাণ সম্পদ দিয়েছ? ” বললেন, “না”। রাসুল (সা.) বললেন, “তাহলে এ ক্ষেত্রে আমাকে সাক্ষী রেখো না। আমি এমন জুলুমের সাক্ষী হতে চাই না।’ ” (মুসলিম: ১২৪৩)
তবে সন্তান যদি হারাম পথে সম্পদ অপচয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে বাবা-মা তাকে প্রয়োজনের (মৌলিক চাহিদা) অতিরিক্ত অর্থ দেবে না। মৃত্যুর আগে প্রয়োজন মতো (মৌলিক চাহিদা মেটাতে যতটুকু লাগে) সম্পদ রেখে বাকি সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান বা জনকল্যাণে ব্যয় করে দিতে পারেন। কারণ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে সম্পদ আল্লাহ তোমাদের জীবিকা বানিয়েছেন, তা নির্বোধদের হাতে তুলে দিয়ো না। বরং তা থেকে তাদের খাওয়াও, পরাও এবং তাদের সঙ্গে ন্যায়সংগত কথা বলো।’ (সুরা নিসা: ৫)
ত্যাজ্য করার কসম করলে
কোনো বাবা সন্তানকে ত্যাজ্য করার কসম করলে কসম ভেঙে তাকে ফিরিয়ে নিতে হবে এবং কাফফারা আদায় করতে হবে। কারণ কসম ভঙ্গ করা সম্পর্ক ছিন্ন করার চেয়ে ছোট গুনাহ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি নিজের পরিবারের ব্যাপারে কসম করে এবং আল্লাহর ফরজ আদায় না করে নিজের কসমের ওপর অটল থাকে, তাহলে সে আল্লাহর কাছে গুনাহগার সাব্যস্ত হবে।’ (বুখারি: ৬৬২৫; মুসলিম: ১৬৫০)
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিষয়ে কসম করে, পরে অন্যটিকে তা থেকে উত্তম মনে করে, সে যেন তা করে এবং নিজের কসমের কাফফারা দেয়।’ (মুসলিম: ১৬৫০)
উল্লেখ্য, কসম ভঙ্গের কাফফারা হলো, দশজন মিসকিনকে মধ্যম মানের খাবার পেট পুরে খাওয়ানো অথবা পোশাক দেওয়া বা একটি দাস মুক্ত করা। এগুলোর কোনো একটি করার সামর্থ্য না থাকলে তিন দিন রোজা রাখা। (সুরা মায়েদাহ: ৮৯)

সন্তানের আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে কেউ কেউ ক্ষোভের বশে ত্যাজ্য করে দেন। সন্তানকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করতে বাকি সন্তানদের নামে পুরো সম্পদ লিখে দেন। আবার অনেকে সন্তানকে সম্পদ না দেওয়ার কসমও করে বসেন। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী—এখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
সন্তান ত্যাজ্য করা যায় কি
ইসলামে সন্তান ত্যাজ্য করার কোনো বিধান নেই। এমনটি করলে বাবা-মা সন্তানের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার গুনাহে লিপ্ত হবেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (বুখারি: ৫৯৮৪; মুসলিম: ২৫৫৬)
তাই কেউ সন্তানকে ত্যাজ্য করলে, মৌখিক হোক বা লিখিত, তা বাস্তবায়িত হবে না। ফলে তাঁর মৃত্যুর পর সম্পদের অধিকার পেতে ত্যাজ্য সন্তানের সামনে কোনো বাধা থাকবে না। তিনি যথানিয়মে সম্পদের ওয়ারিশ হবেন।
এ ক্ষেত্রে বাবার কোনো কথা বা লিখিত দলিল ধর্তব্য হবে না। কারণ মিরাস বা সম্পদের উত্তরাধিকার কে কতখানি পাবে, তা আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ১১ থেকে ১৩ নম্বর আয়াতে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন। তাই কারও কথার কারণে আল্লাহর বিধান পরিবর্তিত হবে না। বাবার মৃত্যুর পর সন্তান ও অন্য ওয়ারিশেরা আপনাআপনিই তাঁর সম্পদের নির্ধারিত অংশের মালিক হয়ে যাবেন। (তিরমিজি: ২১২১; আলবাহরুর রায়েক: ৭ / ২৮৮; মওসুওয়্যাহ ফিকহিয়্যাহ: ৩৬ / ১৬৭; ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৪ / ৩৬৪; ফাতাওয়া উসমানি: ২ / ২৮৪)
এখানে উল্লেখ করা দরকার, বাবা-মায়ের অবাধ্যতা অনেক বড় গুনাহ। তবে সন্তান অবাধ্য হলে ত্যাজ্য করা ইসলামের সমাধান নয়। বরং বাবা-মায়ের উচিত, ছোট থেকে সন্তানকে ইসলামি অনুশাসনে গড়ে তোলা, ভালোবাসা ও শাসনের মাধ্যমে সন্তানের সংশোধনের চেষ্টা করা, তাকে কোরআন-হাদিসে বর্ণিত অবাধ্যতার পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করা এবং আল্লাহর কাছে সন্তানের সংশোধন কামনা করে দোয়া করা।
সম্পদ থেকে বঞ্চিত করার বিধান
অবাধ্যতার কারণে সন্তানকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে মৃত্যুর আগে পুরো সম্পদ অন্য কারও নামে লিখে দেওয়া ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ নয়। কারণ, সম্ভাব্য কোনো ওয়ারিশকে বঞ্চিত করার কৌশল অবলম্বন করা ইসলাম সমর্থন করে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৩১৬৮৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া: ৪ / ৪০০; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া: ৬ / ২৩৭)
একইভাবে এক সন্তানকে বঞ্চিত করার জন্য অন্য সন্তানের নামে সব সম্পদ বা বেশির ভাগ সম্পদ লিখে দেওয়াও ইসলামসম্মত নয়। মহানবী (সা.) এমনটি করতে নিষেধ করেছেন।
নোমান ইবনে বশির নিজের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘একবার আমার বাবা আমার মায়ের অনুরোধে আমাকে কিছু সম্পদের মালিক বানিয়ে দিতে চাইলেন। তখন মা বললেন, “আমার ছেলেকে দেওয়া সম্পদের ব্যাপারে আমি রাসুল (সা.)-কে সাক্ষী রাখতে চাই। ” বাবা আমার হাত ধরে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে নিয়ে গেলেন, আমি তখন ছোট বালক। বাবা বললেন, “হে আল্লাহর রাসুল, তার মা তাকে দেওয়া সম্পদের জন্য আপনাকে সাক্ষী রাখতে চাচ্ছেন। ” রাসুল (সা.) বললেন, “হে বশির, এ ছাড়া কি তোমার আরও সন্তান আছে? ” তিনি বললেন, “হ্যাঁ”। নবী (সা.) বললেন, “তাদের সবাইকে কি তুমি এ পরিমাণ সম্পদ দিয়েছ? ” বললেন, “না”। রাসুল (সা.) বললেন, “তাহলে এ ক্ষেত্রে আমাকে সাক্ষী রেখো না। আমি এমন জুলুমের সাক্ষী হতে চাই না।’ ” (মুসলিম: ১২৪৩)
তবে সন্তান যদি হারাম পথে সম্পদ অপচয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলে বাবা-মা তাকে প্রয়োজনের (মৌলিক চাহিদা) অতিরিক্ত অর্থ দেবে না। মৃত্যুর আগে প্রয়োজন মতো (মৌলিক চাহিদা মেটাতে যতটুকু লাগে) সম্পদ রেখে বাকি সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান বা জনকল্যাণে ব্যয় করে দিতে পারেন। কারণ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে সম্পদ আল্লাহ তোমাদের জীবিকা বানিয়েছেন, তা নির্বোধদের হাতে তুলে দিয়ো না। বরং তা থেকে তাদের খাওয়াও, পরাও এবং তাদের সঙ্গে ন্যায়সংগত কথা বলো।’ (সুরা নিসা: ৫)
ত্যাজ্য করার কসম করলে
কোনো বাবা সন্তানকে ত্যাজ্য করার কসম করলে কসম ভেঙে তাকে ফিরিয়ে নিতে হবে এবং কাফফারা আদায় করতে হবে। কারণ কসম ভঙ্গ করা সম্পর্ক ছিন্ন করার চেয়ে ছোট গুনাহ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যদি নিজের পরিবারের ব্যাপারে কসম করে এবং আল্লাহর ফরজ আদায় না করে নিজের কসমের ওপর অটল থাকে, তাহলে সে আল্লাহর কাছে গুনাহগার সাব্যস্ত হবে।’ (বুখারি: ৬৬২৫; মুসলিম: ১৬৫০)
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিষয়ে কসম করে, পরে অন্যটিকে তা থেকে উত্তম মনে করে, সে যেন তা করে এবং নিজের কসমের কাফফারা দেয়।’ (মুসলিম: ১৬৫০)
উল্লেখ্য, কসম ভঙ্গের কাফফারা হলো, দশজন মিসকিনকে মধ্যম মানের খাবার পেট পুরে খাওয়ানো অথবা পোশাক দেওয়া বা একটি দাস মুক্ত করা। এগুলোর কোনো একটি করার সামর্থ্য না থাকলে তিন দিন রোজা রাখা। (সুরা মায়েদাহ: ৮৯)

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

সন্তানের আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে কেউ কেউ ক্ষোভের বশে ত্যাজ্য করে দেন। সন্তানকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করতে বাকি সন্তানদের নামে পুরো সম্পদ লিখে দেন। আবার অনেকে সন্তানকে সম্পদ না দেওয়ার কসমও করে বসেন। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী—এখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সন্তানের আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে কেউ কেউ ক্ষোভের বশে ত্যাজ্য করে দেন। সন্তানকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করতে বাকি সন্তানদের নামে পুরো সম্পদ লিখে দেন। আবার অনেকে সন্তানকে সম্পদ না দেওয়ার কসমও করে বসেন। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী—এখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

সন্তানের আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে কেউ কেউ ক্ষোভের বশে ত্যাজ্য করে দেন। সন্তানকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করতে বাকি সন্তানদের নামে পুরো সম্পদ লিখে দেন। আবার অনেকে সন্তানকে সম্পদ না দেওয়ার কসমও করে বসেন। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী—এখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

সন্তানের আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে কেউ কেউ ক্ষোভের বশে ত্যাজ্য করে দেন। সন্তানকে সম্পদ থেকে বঞ্চিত করতে বাকি সন্তানদের নামে পুরো সম্পদ লিখে দেন। আবার অনেকে সন্তানকে সম্পদ না দেওয়ার কসমও করে বসেন। এ বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী—এখানে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১৬ ঘণ্টা আগে