আবু আবদুল্লাহ আহমদ

আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে পারা বান্দার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। খুশির ব্যাপার হলো, কী কী আমল করলে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যাবে—পবিত্র কোরআনে তিনি নিজেই তা বলে দিয়েছেন। এখানে তেমনই কয়েকটি আমলের কথা লিখেছেন মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ।
ইহসান: শরিয়তের পরিভাষায় ইহসানের দুটি অর্থ আছে। এক. যথাযথভাবে আল্লাহর ইবাদত করা এবং দুই. অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। প্রথম অর্থ সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘ইহসান হলো, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে যেন তাঁকে দেখতে পাচ্ছ, তা সম্ভব না হলে এমন অনুভূতি নিয়ে ইবাদত করবে যেন তিনি তোমাকে দেখছেন।’ (বুখারি ও মুসলিম) দ্বিতীয় অর্থে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘অনুগ্রহ করো, যেমন আল্লাহ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন।’ (সুরা কাসাস: ৭৭) উল্লিখিত উভয় অর্থে ইহসান অবলম্বনকারীদের ভালোবাসার ঘোষণা দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ইহসান অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫, সুরা আলে ইমরান: ১৩৪ ও ১৪৮ এবং সুরা মায়িদা: ১৩ ও ৯৩)
তাকওয়া: তালক ইবনে হাবিব (রহ.) বলেন, ‘তাকওয়া হলো, সওয়াবের আশায় আল্লাহর নির্দেশিত পথে তাঁর আনুগত্য করা এবং তাঁর শাস্তির ভয়ে তাঁর নিষেধ করা বিষয় থেকে বিরত থাকা।’ (কিতাবুত তাকওয়া) পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকওয়াবানদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৭৬ এবং সুরা তাওবা: ৪ ও ৭)
ইনসাফ: বিচার-আচারে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে যথাযথ ফয়সালা দেওয়া, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান কিংবা পরিবার পরিচালনায় অধীনদের মধ্যে সমতা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মায়িদা: ৪২, সুরা হুজুরাত: ৯ এবং সুরা মুমতাহিনা: ৮)
তওবা: তওবা হলো, কৃত গুনাহের প্রতি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না করার দৃঢ় সংকল্প করা। তওবা মানুষকে পাপের পঙ্কিলতা থেকে পরিচ্ছন্ন করে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন।’
(সুরা বাকারা: ২২২)
পবিত্রতা: অন্তরকে হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার ইত্যাদি আত্মিক পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত রাখা এবং শরীর, কাপড়চোপড়, বাড়িঘর, কর্মস্থল ইত্যাদি যাবতীয় বাহ্যিক ময়লা থেকে পরিচ্ছন্ন রাখার নাম পবিত্রতা। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তাওবা: ১০৮)
সবর: সাধারণত সবর বলতে আমরা কেবল বিপদে ধৈর্য ধরাকেই বুঝি। তবে ইসলামে এর অর্থ আরও ব্যাপক। ইসলামে সবর বলতে ইবাদতের ওপর অবিচল থাকা, গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং বিপদ-আপদে অস্থির না হওয়াকে বোঝায়। (আস-সবর, সালিহ আল মুনাজ্জিদ) এই ব্যাপক অর্থে যাঁরা সবর করেন, আল্লাহ তাঁদের ভালোবাসেন।
(সুরা আলে ইমরান: ১৪৬)
তাওয়াক্কুল: বাহ্যিক উপায় অবলম্বন করার পর বিপদ দূর করা ও কল্যাণ লাভের ব্যাপারে আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রাখার নাম তাওয়াক্কুল। বাহ্যিক উপায় অবলম্বন না করে কেবল আল্লাহর ওপর ভরসা করার নাম তাওয়াক্কুল নয়। এক সাহাবি দূর থেকে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি নিজের বাহন কোথাও না বেঁধে রাসুলের কাছে এলেন। রাসুল (সা.) তাঁকে বাহনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ‘আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে ছেড়ে এসেছি।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘বরং তুমি সেটি কোনো কিছুর সঙ্গে বেঁধে রেখো। তারপর আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করো।’ (ইবনে হিব্বান) পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওয়াক্কুল অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
সত্য ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে সারিবদ্ধভাবে সুদৃঢ় প্রাচীরের মতো লড়াই-সংগ্রাম করে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।’ (সুরা সফ: ৪)
লেখক: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে পারা বান্দার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। খুশির ব্যাপার হলো, কী কী আমল করলে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যাবে—পবিত্র কোরআনে তিনি নিজেই তা বলে দিয়েছেন। এখানে তেমনই কয়েকটি আমলের কথা লিখেছেন মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ।
ইহসান: শরিয়তের পরিভাষায় ইহসানের দুটি অর্থ আছে। এক. যথাযথভাবে আল্লাহর ইবাদত করা এবং দুই. অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। প্রথম অর্থ সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘ইহসান হলো, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে যেন তাঁকে দেখতে পাচ্ছ, তা সম্ভব না হলে এমন অনুভূতি নিয়ে ইবাদত করবে যেন তিনি তোমাকে দেখছেন।’ (বুখারি ও মুসলিম) দ্বিতীয় অর্থে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘অনুগ্রহ করো, যেমন আল্লাহ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন।’ (সুরা কাসাস: ৭৭) উল্লিখিত উভয় অর্থে ইহসান অবলম্বনকারীদের ভালোবাসার ঘোষণা দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ইহসান অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫, সুরা আলে ইমরান: ১৩৪ ও ১৪৮ এবং সুরা মায়িদা: ১৩ ও ৯৩)
তাকওয়া: তালক ইবনে হাবিব (রহ.) বলেন, ‘তাকওয়া হলো, সওয়াবের আশায় আল্লাহর নির্দেশিত পথে তাঁর আনুগত্য করা এবং তাঁর শাস্তির ভয়ে তাঁর নিষেধ করা বিষয় থেকে বিরত থাকা।’ (কিতাবুত তাকওয়া) পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকওয়াবানদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৭৬ এবং সুরা তাওবা: ৪ ও ৭)
ইনসাফ: বিচার-আচারে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে যথাযথ ফয়সালা দেওয়া, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান কিংবা পরিবার পরিচালনায় অধীনদের মধ্যে সমতা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মায়িদা: ৪২, সুরা হুজুরাত: ৯ এবং সুরা মুমতাহিনা: ৮)
তওবা: তওবা হলো, কৃত গুনাহের প্রতি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না করার দৃঢ় সংকল্প করা। তওবা মানুষকে পাপের পঙ্কিলতা থেকে পরিচ্ছন্ন করে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন।’
(সুরা বাকারা: ২২২)
পবিত্রতা: অন্তরকে হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার ইত্যাদি আত্মিক পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত রাখা এবং শরীর, কাপড়চোপড়, বাড়িঘর, কর্মস্থল ইত্যাদি যাবতীয় বাহ্যিক ময়লা থেকে পরিচ্ছন্ন রাখার নাম পবিত্রতা। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তাওবা: ১০৮)
সবর: সাধারণত সবর বলতে আমরা কেবল বিপদে ধৈর্য ধরাকেই বুঝি। তবে ইসলামে এর অর্থ আরও ব্যাপক। ইসলামে সবর বলতে ইবাদতের ওপর অবিচল থাকা, গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং বিপদ-আপদে অস্থির না হওয়াকে বোঝায়। (আস-সবর, সালিহ আল মুনাজ্জিদ) এই ব্যাপক অর্থে যাঁরা সবর করেন, আল্লাহ তাঁদের ভালোবাসেন।
(সুরা আলে ইমরান: ১৪৬)
তাওয়াক্কুল: বাহ্যিক উপায় অবলম্বন করার পর বিপদ দূর করা ও কল্যাণ লাভের ব্যাপারে আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রাখার নাম তাওয়াক্কুল। বাহ্যিক উপায় অবলম্বন না করে কেবল আল্লাহর ওপর ভরসা করার নাম তাওয়াক্কুল নয়। এক সাহাবি দূর থেকে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি নিজের বাহন কোথাও না বেঁধে রাসুলের কাছে এলেন। রাসুল (সা.) তাঁকে বাহনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ‘আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে ছেড়ে এসেছি।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘বরং তুমি সেটি কোনো কিছুর সঙ্গে বেঁধে রেখো। তারপর আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করো।’ (ইবনে হিব্বান) পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওয়াক্কুল অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
সত্য ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে সারিবদ্ধভাবে সুদৃঢ় প্রাচীরের মতো লড়াই-সংগ্রাম করে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।’ (সুরা সফ: ৪)
লেখক: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
আবু আবদুল্লাহ আহমদ

আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে পারা বান্দার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। খুশির ব্যাপার হলো, কী কী আমল করলে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যাবে—পবিত্র কোরআনে তিনি নিজেই তা বলে দিয়েছেন। এখানে তেমনই কয়েকটি আমলের কথা লিখেছেন মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ।
ইহসান: শরিয়তের পরিভাষায় ইহসানের দুটি অর্থ আছে। এক. যথাযথভাবে আল্লাহর ইবাদত করা এবং দুই. অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। প্রথম অর্থ সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘ইহসান হলো, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে যেন তাঁকে দেখতে পাচ্ছ, তা সম্ভব না হলে এমন অনুভূতি নিয়ে ইবাদত করবে যেন তিনি তোমাকে দেখছেন।’ (বুখারি ও মুসলিম) দ্বিতীয় অর্থে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘অনুগ্রহ করো, যেমন আল্লাহ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন।’ (সুরা কাসাস: ৭৭) উল্লিখিত উভয় অর্থে ইহসান অবলম্বনকারীদের ভালোবাসার ঘোষণা দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ইহসান অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫, সুরা আলে ইমরান: ১৩৪ ও ১৪৮ এবং সুরা মায়িদা: ১৩ ও ৯৩)
তাকওয়া: তালক ইবনে হাবিব (রহ.) বলেন, ‘তাকওয়া হলো, সওয়াবের আশায় আল্লাহর নির্দেশিত পথে তাঁর আনুগত্য করা এবং তাঁর শাস্তির ভয়ে তাঁর নিষেধ করা বিষয় থেকে বিরত থাকা।’ (কিতাবুত তাকওয়া) পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকওয়াবানদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৭৬ এবং সুরা তাওবা: ৪ ও ৭)
ইনসাফ: বিচার-আচারে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে যথাযথ ফয়সালা দেওয়া, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান কিংবা পরিবার পরিচালনায় অধীনদের মধ্যে সমতা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মায়িদা: ৪২, সুরা হুজুরাত: ৯ এবং সুরা মুমতাহিনা: ৮)
তওবা: তওবা হলো, কৃত গুনাহের প্রতি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না করার দৃঢ় সংকল্প করা। তওবা মানুষকে পাপের পঙ্কিলতা থেকে পরিচ্ছন্ন করে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন।’
(সুরা বাকারা: ২২২)
পবিত্রতা: অন্তরকে হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার ইত্যাদি আত্মিক পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত রাখা এবং শরীর, কাপড়চোপড়, বাড়িঘর, কর্মস্থল ইত্যাদি যাবতীয় বাহ্যিক ময়লা থেকে পরিচ্ছন্ন রাখার নাম পবিত্রতা। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তাওবা: ১০৮)
সবর: সাধারণত সবর বলতে আমরা কেবল বিপদে ধৈর্য ধরাকেই বুঝি। তবে ইসলামে এর অর্থ আরও ব্যাপক। ইসলামে সবর বলতে ইবাদতের ওপর অবিচল থাকা, গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং বিপদ-আপদে অস্থির না হওয়াকে বোঝায়। (আস-সবর, সালিহ আল মুনাজ্জিদ) এই ব্যাপক অর্থে যাঁরা সবর করেন, আল্লাহ তাঁদের ভালোবাসেন।
(সুরা আলে ইমরান: ১৪৬)
তাওয়াক্কুল: বাহ্যিক উপায় অবলম্বন করার পর বিপদ দূর করা ও কল্যাণ লাভের ব্যাপারে আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রাখার নাম তাওয়াক্কুল। বাহ্যিক উপায় অবলম্বন না করে কেবল আল্লাহর ওপর ভরসা করার নাম তাওয়াক্কুল নয়। এক সাহাবি দূর থেকে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি নিজের বাহন কোথাও না বেঁধে রাসুলের কাছে এলেন। রাসুল (সা.) তাঁকে বাহনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ‘আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে ছেড়ে এসেছি।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘বরং তুমি সেটি কোনো কিছুর সঙ্গে বেঁধে রেখো। তারপর আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করো।’ (ইবনে হিব্বান) পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওয়াক্কুল অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
সত্য ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে সারিবদ্ধভাবে সুদৃঢ় প্রাচীরের মতো লড়াই-সংগ্রাম করে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।’ (সুরা সফ: ৪)
লেখক: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে পারা বান্দার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। খুশির ব্যাপার হলো, কী কী আমল করলে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যাবে—পবিত্র কোরআনে তিনি নিজেই তা বলে দিয়েছেন। এখানে তেমনই কয়েকটি আমলের কথা লিখেছেন মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ।
ইহসান: শরিয়তের পরিভাষায় ইহসানের দুটি অর্থ আছে। এক. যথাযথভাবে আল্লাহর ইবাদত করা এবং দুই. অন্যের প্রতি অনুগ্রহ করা। প্রথম অর্থ সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘ইহসান হলো, তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে যেন তাঁকে দেখতে পাচ্ছ, তা সম্ভব না হলে এমন অনুভূতি নিয়ে ইবাদত করবে যেন তিনি তোমাকে দেখছেন।’ (বুখারি ও মুসলিম) দ্বিতীয় অর্থে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘অনুগ্রহ করো, যেমন আল্লাহ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন।’ (সুরা কাসাস: ৭৭) উল্লিখিত উভয় অর্থে ইহসান অবলম্বনকারীদের ভালোবাসার ঘোষণা দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ইহসান অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা: ১৯৫, সুরা আলে ইমরান: ১৩৪ ও ১৪৮ এবং সুরা মায়িদা: ১৩ ও ৯৩)
তাকওয়া: তালক ইবনে হাবিব (রহ.) বলেন, ‘তাকওয়া হলো, সওয়াবের আশায় আল্লাহর নির্দেশিত পথে তাঁর আনুগত্য করা এবং তাঁর শাস্তির ভয়ে তাঁর নিষেধ করা বিষয় থেকে বিরত থাকা।’ (কিতাবুত তাকওয়া) পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকওয়াবানদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৭৬ এবং সুরা তাওবা: ৪ ও ৭)
ইনসাফ: বিচার-আচারে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে যথাযথ ফয়সালা দেওয়া, রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান কিংবা পরিবার পরিচালনায় অধীনদের মধ্যে সমতা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা মায়িদা: ৪২, সুরা হুজুরাত: ৯ এবং সুরা মুমতাহিনা: ৮)
তওবা: তওবা হলো, কৃত গুনাহের প্রতি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না করার দৃঢ় সংকল্প করা। তওবা মানুষকে পাপের পঙ্কিলতা থেকে পরিচ্ছন্ন করে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন।’
(সুরা বাকারা: ২২২)
পবিত্রতা: অন্তরকে হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার ইত্যাদি আত্মিক পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত রাখা এবং শরীর, কাপড়চোপড়, বাড়িঘর, কর্মস্থল ইত্যাদি যাবতীয় বাহ্যিক ময়লা থেকে পরিচ্ছন্ন রাখার নাম পবিত্রতা। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তাওবা: ১০৮)
সবর: সাধারণত সবর বলতে আমরা কেবল বিপদে ধৈর্য ধরাকেই বুঝি। তবে ইসলামে এর অর্থ আরও ব্যাপক। ইসলামে সবর বলতে ইবাদতের ওপর অবিচল থাকা, গুনাহ থেকে বিরত থাকা এবং বিপদ-আপদে অস্থির না হওয়াকে বোঝায়। (আস-সবর, সালিহ আল মুনাজ্জিদ) এই ব্যাপক অর্থে যাঁরা সবর করেন, আল্লাহ তাঁদের ভালোবাসেন।
(সুরা আলে ইমরান: ১৪৬)
তাওয়াক্কুল: বাহ্যিক উপায় অবলম্বন করার পর বিপদ দূর করা ও কল্যাণ লাভের ব্যাপারে আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রাখার নাম তাওয়াক্কুল। বাহ্যিক উপায় অবলম্বন না করে কেবল আল্লাহর ওপর ভরসা করার নাম তাওয়াক্কুল নয়। এক সাহাবি দূর থেকে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি নিজের বাহন কোথাও না বেঁধে রাসুলের কাছে এলেন। রাসুল (সা.) তাঁকে বাহনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ‘আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে ছেড়ে এসেছি।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘বরং তুমি সেটি কোনো কিছুর সঙ্গে বেঁধে রেখো। তারপর আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করো।’ (ইবনে হিব্বান) পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওয়াক্কুল অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৫৯)
সত্য ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর পথে সারিবদ্ধভাবে সুদৃঢ় প্রাচীরের মতো লড়াই-সংগ্রাম করে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।’ (সুরা সফ: ৪)
লেখক: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১১ মিনিট আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
হাবিবুল্লাহ রায়হান মরহুমের কর্মজীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘হাজি সেলিম সাহেব দীর্ঘকাল ধরে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে একটি বিশেষ জামাতের খেদমতে তাঁর অবদান ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য, যা সংশ্লিষ্টদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, মরহুম হাজি সেলিমের জানাজা আজ জোহরের নামাজের পর মান্দাইল-জিনজিরা ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর ইন্তেকালে দাওয়াত ও তাবলিগের অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাবলিগের সাথি ভাই ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেছেন—তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন, তাঁর কবরকে প্রশস্ত করেন, জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দান করেন।

আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে পারা বান্দার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। খুশির ব্যাপার হলো, কী কী আমল করলে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যাবে—পবিত্র কোরআনে তিনি নিজেই তা বলে দিয়েছেন। এখানে তেমনই কয়েকটি আমলের
১১ আগস্ট ২০২৩
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জনগণের প্রতি ন্যায়পরায়ণ হতে এবং জনগণকে বলা হয়েছে শাসকের ভালো কাজের আনুগত্য করতে।
শাসনক্ষমতা মূলত আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই ক্ষমতা দান করেন, আবার যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ, তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও; যাকে ইচ্ছা তুমি সম্মানিত করো আর যাকে ইচ্ছা তুমি হীন করো। কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)
একজন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো ন্যায়পরায়ণতা। জনগণের অধিকার রক্ষা করা এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শাসকের মৌলিক কর্তব্য। ইসলামে ন্যায়বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইনসাফ ও দয়া প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়স্বজনকে (তাদের হক) প্রদানের হুকুম দেন আর অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নাহল: ৯০)
ন্যায়পরায়ণ শাসককে পরকালে এক বিশাল পুরস্কারের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন কোনো আশ্রয় থাকবে না, তখন ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহর আরশের ছায়ায় আশ্রয় পাবেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (শাসক)।’ (বুখারি: ১৪২৩)
সুতরাং, ইসলামে শাসনক্ষমতাকে একটি আমানত হিসেবে গণ্য করা হয়, যার সঠিক ব্যবহার শাসককে ইহকাল ও পরকালে সফল করে তোলে।

আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে পারা বান্দার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। খুশির ব্যাপার হলো, কী কী আমল করলে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যাবে—পবিত্র কোরআনে তিনি নিজেই তা বলে দিয়েছেন। এখানে তেমনই কয়েকটি আমলের
১১ আগস্ট ২০২৩
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১১ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে পারা বান্দার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। খুশির ব্যাপার হলো, কী কী আমল করলে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যাবে—পবিত্র কোরআনে তিনি নিজেই তা বলে দিয়েছেন। এখানে তেমনই কয়েকটি আমলের
১১ আগস্ট ২০২৩
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১১ মিনিট আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোর কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। কওমি সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) ও বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার পূর্বঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। এ ছাড়া ২০২৬ সালের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)।
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।
আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস ব্যবস্থাপক মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ৬৬ নম্বর সভার সিদ্ধান্ত ও ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মনিটরিং সেলের সভার সিদ্ধান্তক্রমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। টানা ১০ দিন পরীক্ষা চলার পর ৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা শেষ হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং শেষ হবে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। অবশিষ্ট ৯ দিন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং শেষ হবে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।
প্রথম দিন তিরমিজি শরিফ প্রথম খণ্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর শেষ দিন পরীক্ষা হবে মুওয়াত্তায়ে ইমাম মালিক ও মুওয়াত্তায়ে ইমাম মুহাম্মদ কিতাবের।
এ ছাড়া কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের প্রধান পরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী জানান, বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৭ জানুয়ারী (শনিবার)। শুক্রবারসহ চলবে ২৪ জানুয়ারি (শনিবার) পর্যন্ত।

আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করতে পারা বান্দার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। খুশির ব্যাপার হলো, কী কী আমল করলে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া যাবে—পবিত্র কোরআনে তিনি নিজেই তা বলে দিয়েছেন। এখানে তেমনই কয়েকটি আমলের
১১ আগস্ট ২০২৩
তাবলিগ জামাতের প্রবীণ ও বিশিষ্ট মুরব্বি হাজি সেলিম আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি কেরানীগঞ্জের নিজ বাসভবনে ফজরের নামাজের আগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১১ মিনিট আগে
আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিভিন্ন স্তরে বিন্যস্ত করেছেন। কাউকে শাসক বানিয়েছেন এবং কাউকে শাসিত। এই বিন্যাস মানবসমাজকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। ইসলামে শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে