আবরার নাঈম

ঈদ, বিয়ে, ওলিমা, আকিকা, আত্মীয়স্বজনের পুনর্মিলনী কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিটি পরিবারে বছরের নানা সময়ে ভোজ অনুষ্ঠান চলে। অনুষ্ঠানের দাওয়াত যায় এক আত্মীয় থেকে আরেক আত্মীয়ের বাড়িতে।
দাওয়াত পাওয়ার পর ভোজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু ইসলামি শিষ্টাচার। যেমন, নিজের সঙ্গে অতিরিক্ত লোক না নেওয়া।
আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত একটা বদ রীতি হলো, একজনকে দাওয়াত দিলে সঙ্গে যায় আরও কয়েকজন। এটা অভদ্রতা। এতে মেজবানের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়।
ইসলাম বলে, কেউ দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করা সুন্নত। বিনা কারণে দাওয়াত অগ্রাহ্য করা অনুচিত। আবার বিনা দাওয়াতে কারও ভোজ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াও অনুচিত। বিনা দাওয়াতে ভোজে অংশ নেওয়া ব্যক্তিকে চোর ও লুটেরার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে হাদিসে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যাকে দাওয়াত দেওয়ার পরও সে তা কবুল করল না, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নাফরমানি করল। আর যে দাওয়াত ছাড়াই উপস্থিত হলো, সে চোর হয়ে ঢুকল এবং লুটেরা হয়ে বের হলো। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৪১)
এ ছাড়া কেউ দাওয়াত দিলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া, তাঁর কল্যাণের জন্য দোয়া করা উচিত। এটা মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ (সা.) কারও বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে মেজবানের জন্য দোয়া না করে ফিরতেন না।
একবার আবুল হাইসাম (রা.) নবী করিম (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের দাওয়াত করলেন। খাওয়া শেষে নবীজি (সা.) বললেন, তোমাদের ভাইকে সওয়াব দান করো। তাঁরা বললেন, আমরা তাঁকে কীভাবে সওয়াব দান করব? তিনি বললেন, কাউকে যখন কোনো ঘরে খাওয়ার জন্য ডাকা হবে, তখন পানাহার করার পর সে যদি নিমন্ত্রণকারীর জন্য দোয়া করে, তাহলে সেটিই হবে মেজবানের জন্য সওয়াব পৌঁছানো।
আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বাড়িতে খাবার খেয়ে এই দোয়া করেছেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফি-মা রাজাকতাহুম, ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তাদের যে রিজিক দিয়েছেন, তাতে বরকত দান করুন, তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদের প্রতি দয়া করুন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৭৬)

ঈদ, বিয়ে, ওলিমা, আকিকা, আত্মীয়স্বজনের পুনর্মিলনী কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিটি পরিবারে বছরের নানা সময়ে ভোজ অনুষ্ঠান চলে। অনুষ্ঠানের দাওয়াত যায় এক আত্মীয় থেকে আরেক আত্মীয়ের বাড়িতে।
দাওয়াত পাওয়ার পর ভোজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু ইসলামি শিষ্টাচার। যেমন, নিজের সঙ্গে অতিরিক্ত লোক না নেওয়া।
আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত একটা বদ রীতি হলো, একজনকে দাওয়াত দিলে সঙ্গে যায় আরও কয়েকজন। এটা অভদ্রতা। এতে মেজবানের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়।
ইসলাম বলে, কেউ দাওয়াত দিলে তা গ্রহণ করা সুন্নত। বিনা কারণে দাওয়াত অগ্রাহ্য করা অনুচিত। আবার বিনা দাওয়াতে কারও ভোজ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়াও অনুচিত। বিনা দাওয়াতে ভোজে অংশ নেওয়া ব্যক্তিকে চোর ও লুটেরার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে হাদিসে।
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যাকে দাওয়াত দেওয়ার পরও সে তা কবুল করল না, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নাফরমানি করল। আর যে দাওয়াত ছাড়াই উপস্থিত হলো, সে চোর হয়ে ঢুকল এবং লুটেরা হয়ে বের হলো। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৪১)
এ ছাড়া কেউ দাওয়াত দিলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া, তাঁর কল্যাণের জন্য দোয়া করা উচিত। এটা মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। রাসুলুল্লাহ (সা.) কারও বাড়িতে দাওয়াত খেতে গেলে মেজবানের জন্য দোয়া না করে ফিরতেন না।
একবার আবুল হাইসাম (রা.) নবী করিম (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের দাওয়াত করলেন। খাওয়া শেষে নবীজি (সা.) বললেন, তোমাদের ভাইকে সওয়াব দান করো। তাঁরা বললেন, আমরা তাঁকে কীভাবে সওয়াব দান করব? তিনি বললেন, কাউকে যখন কোনো ঘরে খাওয়ার জন্য ডাকা হবে, তখন পানাহার করার পর সে যদি নিমন্ত্রণকারীর জন্য দোয়া করে, তাহলে সেটিই হবে মেজবানের জন্য সওয়াব পৌঁছানো।
আবদুল্লাহ ইবনে বুসর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের বাড়িতে খাবার খেয়ে এই দোয়া করেছেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লাহুম ফি-মা রাজাকতাহুম, ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তাদের যে রিজিক দিয়েছেন, তাতে বরকত দান করুন, তাদের ক্ষমা করুন এবং তাদের প্রতি দয়া করুন।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৭৬)

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
আল্লাহর দেওয়া জীবন অত্যন্ত মূল্যবান। যে সম্পদ যত বেশি মূল্যবান, তার ব্যবহার-প্রক্রিয়াও তত বেশি সুপরিকল্পিত হওয়া প্রয়োজন। সময় বহমান স্রোতের মতো, যাকে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই জীবনের এই মূল্যবান সময়গুলো অবহেলায় নষ্ট করা কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৯ ঘণ্টা আগে
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
১৪ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১৬ ঘণ্টা আগে