কাউসার লাবীব

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি। আল্লাহ তাআলা তাঁর হৃদয়ে প্রশান্তি ঢেলে দিতেন। আল্লাহর বিশেষ দয়া তাঁকে ঘিরে রাখত।
যেভাবে হিজরতের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়
নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। কিন্তু কোনো কিছুই তাঁকে ইসলামের দাওয়াত থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারেনি। কোনো হুমকি-ধমকি তাঁকে থামাতে পারেনি। সত্যের পথে তিনি ছিলেন অবিচল। ইসলামের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছাতে যত পন্থা সম্ভব ছিল, সব পথেই তিনি হেঁটেছেন, প্রতিটি দরজায় কড়া নেড়েছেন, প্রতিটি সমাবেশ-জমায়েতে উপস্থিত হয়েছেন, গোত্রে গোত্রে গিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন, বিশেষ ব্যক্তিদের আলাদা করে দাওয়াত দিয়েছেন—এই আশায়, হয়তো কেউ সত্যের পথে তাঁর সঙ্গী হবে, এক আল্লাহর ওপর ইমান আনবে, ইসলাম প্রচারে তাঁর সহযোগী হবে।
মক্কার কিছু মানুষ নবী (সা.)-এর দাওয়াতে বিশ্বাস করেছিল—যাদের আত্মা ছিল উন্নত, হৃদয় ছিল পবিত্র। ধীরে ধীরে ইসলামের অনুসারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। মূর্তিপূজার অসারতা থেকে মানুষ সচেতন হতে থাকে। ধীরে কিন্তু সুনিপুণভাবে চলতে থাকে মহানবী (সা.)-এর দাওয়াতি কার্যক্রম। তাঁর দাওয়াতের সফলতা মক্কার নেতৃস্থানীয় কাফেরদের কপালে ভাঁজ ফেলে। তারা যখন বুঝতে পারে, এভাবে চললে তাদের ধর্মীয় মর্যাদা ও নেতৃত্ব বিপদের মুখে পড়বে, তখন তারা নবীজি (সা.)-এর ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাঁর দাওয়াতি কার্যক্রম বন্ধ করতে উঠেপড়ে লাগে। ইসলাম গ্রহণকারীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। শারীরিক নিপীড়ন, কারাবাস এমনকি হত্যার শিকার হয় অনেকে। এসবের মাঝেই নবী (সা.) বিভিন্ন আরব গোত্রের কাছে দাওয়াত পৌঁছাতে থাকেন। বিশেষ করে তিনি হজ মৌসুমকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করেন।
হিজরতের প্রস্তুতি
নবী (সা.)-এর নিরলস প্রচেষ্টা অবশেষে ফল দিতে শুরু করে। এক হজ মৌসুমে খাজরাজ গোত্রের ছয়জন ব্যক্তি তাঁর দাওয়াতে সাড়া দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন, ইয়াসরিবে (বর্তমান মদিনা) ফিরে গিয়ে ইসলাম প্রচার করবেন এবং তাঁকে সহযোগিতা করবেন। এক বছর পর হজ মৌসুমে ইয়াসরিবের ১২ জন ব্যক্তি এসে নবীর সঙ্গে প্রথম আকাবা সন্ধি করেন। এই সন্ধিতে তাঁরা আল্লাহর সঙ্গে শরিক না করা, চুরি না করা, ব্যভিচার না করা, সন্তান হত্যা না করা ইত্যাদি শপথ করেন। সেই ১২ জন যখন ইয়াসরিবে ফিরে যান, নবী (সা.) তাঁদের সঙ্গে পাঠান জ্ঞানী, মেধাবী ও পরিশ্রমী ইসলাম প্রচারক মুসআব ইবনে উমাইরকে। তিনি এমনভাবে ইসলাম প্রচার করেন, ইয়াসরিবের প্রতিটি ঘরে ইসলাম পৌঁছে যায়। তিনিই ইয়াসরিবকে হিজরতের উপযুক্ত স্থান হিসেবে প্রস্তুত করেন। পরবর্তী বছর হজ মৌসুমে ৭৩ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী মদিনা থেকে এসে নবী (সা.)-এর সঙ্গে দ্বিতীয় আকাবা সন্ধি করেন। এই সন্ধিতে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন, ‘নবী (সা.) যদি তাঁদের এলাকায় হিজরত করেন, তবে তাঁকে তাঁরা রক্ষা করবেন, তাঁর পাশে থাকবেন এবং জীবন দিয়ে তাঁর সুরক্ষা করবেন।’
মাতৃভূমির মায়া ছেড়ে
দ্বিতীয় আকাবা সন্ধির পর নবী (সা.) সাহাবিদের মদিনায় হিজরত করার নির্দেশ দেন। তখন কেউ একা, কেউ দল বেঁধে, কেউ প্রকাশ্যে, কেউ গোপনে মদিনায় হিজরত করতে থাকেন। ধীরে ধীরে অধিকাংশ মুসলমানই হিজরত করে ফেলেন। মক্কায় অবশিষ্ট থাকেন নবী (সা.) এবং অল্প কিছু সাহাবি। এ সময় মক্কার কাফেররা ভাবে—‘ইয়াসরিবে গিয়ে মুহাম্মদ যদি তাঁর অনুসারীদের সুসংগঠিত করতে পারেন, একটি রাষ্ট্র গঠন করতে পারেন—তাতে কুরাইশের মর্যাদা, নেতৃত্ব এবং বাণিজ্য—সবকিছুর ওপরই আঘাত আসবে।’ তাই তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়—এই সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আগেই নবী (সা.)-কে হত্যা করবে। যে রাতে তাঁকে হত্যা করা হবে, সে রাতেই তিনি আল্লাহর নির্দেশে প্রিয় মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে ইয়াসরিবের পথ ধরেন।
ইয়াসরিব যেভাবে মদিনা হলো
নবী (সা.)-এর হিজরতের সময় ইয়াসরিব প্রচলিত অর্থে কোনো নগরী ছিল না। বরং এটি ছিল বিস্তৃত এক সমভূমিতে ছড়িয়ে থাকা কয়েকটি জলাধারকেন্দ্রিক বসতি। এখানে বাস করত আউস ও খাজরাজ নামক দুটি আরব গোত্র এবং একাধিক ইহুদি সম্প্রদায়। তিনি এই এলাকাকে নগর হিসেবে গঠনে উদ্যোগী হন। ইয়াসরিবকে তিনি নগর হিসেবে গুছিয়ে তোলেন। রাস্তাঘাট নির্মাণ করেন। পারস্পরিক দ্বন্দ্ব মুছে দেন। রক্তের সম্পর্ক ছাড়াই মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠে।
এই নগর বিনির্মাণের মূল ভিত্তি ছিল মসজিদ। মসজিদে নববি। এই মসজিদ শুধু নামাজের স্থানই ছিল না; এটিই ছিল রাষ্ট্রের কেন্দ্র—এখানেই নামাজ হতো, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত হতো, যুদ্ধ ও শান্তি বিষয়ে পরামর্শ হতো, প্রতিনিধিদল আসত এবং এখানে নবী (সা.)-এর বাসভবনও ছিল, যা থেকে তিনি সরাসরি মসজিদে প্রবেশ করতে পারতেন। এই মসজিদ কেন্দ্র করেই ইয়াসরিবের নতুন জনবসতি গড়ে ওঠে। শহরের রাস্তাঘাট সুচারুভাবে বিন্যস্ত হয়। নাম পাল্টে হয় মদিনা। মদিনাতুর রাসুল।
হিজরি সনের সূচনা হয় যেভাবে
আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি সন গণনা শুরু হয় হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে, যা ইতিহাসে যুক্ত করে নতুন পালক। ঘুরিয়ে দেয় ইতিহাসের মোড়। রাষ্ট্রীয় কাজ সুচারুভাবে পালনের জন্য ওমর (রা.) নতুন সন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য ডাকেন পরামর্শ সভা। সভায় নবী (সা.)-এর জন্ম, মৃত্যু, নবুওয়াত ও হিজরত—এই চার বিষয়কে কেন্দ্র করে বর্ষ গণনার প্রস্তাব আসে। ওমর (রা.) হজরত আলী (রা.)-এর প্রস্তাবকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন বর্ষ গণনার জন্য হিজরতকে বেছে নেন। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ২৪ সেপ্টেম্বর ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী (সা.) হিজরত করেন। সে বছরকে সূচনা বছর ধরে শুরু হয় হিজরি সন।
তথ্যসূত্র: ইসলাম অনলাইন ডটনেট

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি। আল্লাহ তাআলা তাঁর হৃদয়ে প্রশান্তি ঢেলে দিতেন। আল্লাহর বিশেষ দয়া তাঁকে ঘিরে রাখত।
যেভাবে হিজরতের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়
নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। কিন্তু কোনো কিছুই তাঁকে ইসলামের দাওয়াত থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারেনি। কোনো হুমকি-ধমকি তাঁকে থামাতে পারেনি। সত্যের পথে তিনি ছিলেন অবিচল। ইসলামের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছাতে যত পন্থা সম্ভব ছিল, সব পথেই তিনি হেঁটেছেন, প্রতিটি দরজায় কড়া নেড়েছেন, প্রতিটি সমাবেশ-জমায়েতে উপস্থিত হয়েছেন, গোত্রে গোত্রে গিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন, বিশেষ ব্যক্তিদের আলাদা করে দাওয়াত দিয়েছেন—এই আশায়, হয়তো কেউ সত্যের পথে তাঁর সঙ্গী হবে, এক আল্লাহর ওপর ইমান আনবে, ইসলাম প্রচারে তাঁর সহযোগী হবে।
মক্কার কিছু মানুষ নবী (সা.)-এর দাওয়াতে বিশ্বাস করেছিল—যাদের আত্মা ছিল উন্নত, হৃদয় ছিল পবিত্র। ধীরে ধীরে ইসলামের অনুসারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। মূর্তিপূজার অসারতা থেকে মানুষ সচেতন হতে থাকে। ধীরে কিন্তু সুনিপুণভাবে চলতে থাকে মহানবী (সা.)-এর দাওয়াতি কার্যক্রম। তাঁর দাওয়াতের সফলতা মক্কার নেতৃস্থানীয় কাফেরদের কপালে ভাঁজ ফেলে। তারা যখন বুঝতে পারে, এভাবে চললে তাদের ধর্মীয় মর্যাদা ও নেতৃত্ব বিপদের মুখে পড়বে, তখন তারা নবীজি (সা.)-এর ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাঁর দাওয়াতি কার্যক্রম বন্ধ করতে উঠেপড়ে লাগে। ইসলাম গ্রহণকারীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। শারীরিক নিপীড়ন, কারাবাস এমনকি হত্যার শিকার হয় অনেকে। এসবের মাঝেই নবী (সা.) বিভিন্ন আরব গোত্রের কাছে দাওয়াত পৌঁছাতে থাকেন। বিশেষ করে তিনি হজ মৌসুমকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করেন।
হিজরতের প্রস্তুতি
নবী (সা.)-এর নিরলস প্রচেষ্টা অবশেষে ফল দিতে শুরু করে। এক হজ মৌসুমে খাজরাজ গোত্রের ছয়জন ব্যক্তি তাঁর দাওয়াতে সাড়া দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন, ইয়াসরিবে (বর্তমান মদিনা) ফিরে গিয়ে ইসলাম প্রচার করবেন এবং তাঁকে সহযোগিতা করবেন। এক বছর পর হজ মৌসুমে ইয়াসরিবের ১২ জন ব্যক্তি এসে নবীর সঙ্গে প্রথম আকাবা সন্ধি করেন। এই সন্ধিতে তাঁরা আল্লাহর সঙ্গে শরিক না করা, চুরি না করা, ব্যভিচার না করা, সন্তান হত্যা না করা ইত্যাদি শপথ করেন। সেই ১২ জন যখন ইয়াসরিবে ফিরে যান, নবী (সা.) তাঁদের সঙ্গে পাঠান জ্ঞানী, মেধাবী ও পরিশ্রমী ইসলাম প্রচারক মুসআব ইবনে উমাইরকে। তিনি এমনভাবে ইসলাম প্রচার করেন, ইয়াসরিবের প্রতিটি ঘরে ইসলাম পৌঁছে যায়। তিনিই ইয়াসরিবকে হিজরতের উপযুক্ত স্থান হিসেবে প্রস্তুত করেন। পরবর্তী বছর হজ মৌসুমে ৭৩ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী মদিনা থেকে এসে নবী (সা.)-এর সঙ্গে দ্বিতীয় আকাবা সন্ধি করেন। এই সন্ধিতে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন, ‘নবী (সা.) যদি তাঁদের এলাকায় হিজরত করেন, তবে তাঁকে তাঁরা রক্ষা করবেন, তাঁর পাশে থাকবেন এবং জীবন দিয়ে তাঁর সুরক্ষা করবেন।’
মাতৃভূমির মায়া ছেড়ে
দ্বিতীয় আকাবা সন্ধির পর নবী (সা.) সাহাবিদের মদিনায় হিজরত করার নির্দেশ দেন। তখন কেউ একা, কেউ দল বেঁধে, কেউ প্রকাশ্যে, কেউ গোপনে মদিনায় হিজরত করতে থাকেন। ধীরে ধীরে অধিকাংশ মুসলমানই হিজরত করে ফেলেন। মক্কায় অবশিষ্ট থাকেন নবী (সা.) এবং অল্প কিছু সাহাবি। এ সময় মক্কার কাফেররা ভাবে—‘ইয়াসরিবে গিয়ে মুহাম্মদ যদি তাঁর অনুসারীদের সুসংগঠিত করতে পারেন, একটি রাষ্ট্র গঠন করতে পারেন—তাতে কুরাইশের মর্যাদা, নেতৃত্ব এবং বাণিজ্য—সবকিছুর ওপরই আঘাত আসবে।’ তাই তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়—এই সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আগেই নবী (সা.)-কে হত্যা করবে। যে রাতে তাঁকে হত্যা করা হবে, সে রাতেই তিনি আল্লাহর নির্দেশে প্রিয় মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে ইয়াসরিবের পথ ধরেন।
ইয়াসরিব যেভাবে মদিনা হলো
নবী (সা.)-এর হিজরতের সময় ইয়াসরিব প্রচলিত অর্থে কোনো নগরী ছিল না। বরং এটি ছিল বিস্তৃত এক সমভূমিতে ছড়িয়ে থাকা কয়েকটি জলাধারকেন্দ্রিক বসতি। এখানে বাস করত আউস ও খাজরাজ নামক দুটি আরব গোত্র এবং একাধিক ইহুদি সম্প্রদায়। তিনি এই এলাকাকে নগর হিসেবে গঠনে উদ্যোগী হন। ইয়াসরিবকে তিনি নগর হিসেবে গুছিয়ে তোলেন। রাস্তাঘাট নির্মাণ করেন। পারস্পরিক দ্বন্দ্ব মুছে দেন। রক্তের সম্পর্ক ছাড়াই মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠে।
এই নগর বিনির্মাণের মূল ভিত্তি ছিল মসজিদ। মসজিদে নববি। এই মসজিদ শুধু নামাজের স্থানই ছিল না; এটিই ছিল রাষ্ট্রের কেন্দ্র—এখানেই নামাজ হতো, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত হতো, যুদ্ধ ও শান্তি বিষয়ে পরামর্শ হতো, প্রতিনিধিদল আসত এবং এখানে নবী (সা.)-এর বাসভবনও ছিল, যা থেকে তিনি সরাসরি মসজিদে প্রবেশ করতে পারতেন। এই মসজিদ কেন্দ্র করেই ইয়াসরিবের নতুন জনবসতি গড়ে ওঠে। শহরের রাস্তাঘাট সুচারুভাবে বিন্যস্ত হয়। নাম পাল্টে হয় মদিনা। মদিনাতুর রাসুল।
হিজরি সনের সূচনা হয় যেভাবে
আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি সন গণনা শুরু হয় হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে, যা ইতিহাসে যুক্ত করে নতুন পালক। ঘুরিয়ে দেয় ইতিহাসের মোড়। রাষ্ট্রীয় কাজ সুচারুভাবে পালনের জন্য ওমর (রা.) নতুন সন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য ডাকেন পরামর্শ সভা। সভায় নবী (সা.)-এর জন্ম, মৃত্যু, নবুওয়াত ও হিজরত—এই চার বিষয়কে কেন্দ্র করে বর্ষ গণনার প্রস্তাব আসে। ওমর (রা.) হজরত আলী (রা.)-এর প্রস্তাবকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন বর্ষ গণনার জন্য হিজরতকে বেছে নেন। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ২৪ সেপ্টেম্বর ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী (সা.) হিজরত করেন। সে বছরকে সূচনা বছর ধরে শুরু হয় হিজরি সন।
তথ্যসূত্র: ইসলাম অনলাইন ডটনেট

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৭ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি।
২৭ জুন ২০২৫
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৭ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি।
২৭ জুন ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৬ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি।
২৭ জুন ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি।
২৭ জুন ২০২৫
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
৬ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৭ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৮ ঘণ্টা আগে