কাউসার লাবীব

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি। আল্লাহ তাআলা তাঁর হৃদয়ে প্রশান্তি ঢেলে দিতেন। আল্লাহর বিশেষ দয়া তাঁকে ঘিরে রাখত।
যেভাবে হিজরতের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়
নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। কিন্তু কোনো কিছুই তাঁকে ইসলামের দাওয়াত থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারেনি। কোনো হুমকি-ধমকি তাঁকে থামাতে পারেনি। সত্যের পথে তিনি ছিলেন অবিচল। ইসলামের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছাতে যত পন্থা সম্ভব ছিল, সব পথেই তিনি হেঁটেছেন, প্রতিটি দরজায় কড়া নেড়েছেন, প্রতিটি সমাবেশ-জমায়েতে উপস্থিত হয়েছেন, গোত্রে গোত্রে গিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন, বিশেষ ব্যক্তিদের আলাদা করে দাওয়াত দিয়েছেন—এই আশায়, হয়তো কেউ সত্যের পথে তাঁর সঙ্গী হবে, এক আল্লাহর ওপর ইমান আনবে, ইসলাম প্রচারে তাঁর সহযোগী হবে।
মক্কার কিছু মানুষ নবী (সা.)-এর দাওয়াতে বিশ্বাস করেছিল—যাদের আত্মা ছিল উন্নত, হৃদয় ছিল পবিত্র। ধীরে ধীরে ইসলামের অনুসারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। মূর্তিপূজার অসারতা থেকে মানুষ সচেতন হতে থাকে। ধীরে কিন্তু সুনিপুণভাবে চলতে থাকে মহানবী (সা.)-এর দাওয়াতি কার্যক্রম। তাঁর দাওয়াতের সফলতা মক্কার নেতৃস্থানীয় কাফেরদের কপালে ভাঁজ ফেলে। তারা যখন বুঝতে পারে, এভাবে চললে তাদের ধর্মীয় মর্যাদা ও নেতৃত্ব বিপদের মুখে পড়বে, তখন তারা নবীজি (সা.)-এর ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাঁর দাওয়াতি কার্যক্রম বন্ধ করতে উঠেপড়ে লাগে। ইসলাম গ্রহণকারীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। শারীরিক নিপীড়ন, কারাবাস এমনকি হত্যার শিকার হয় অনেকে। এসবের মাঝেই নবী (সা.) বিভিন্ন আরব গোত্রের কাছে দাওয়াত পৌঁছাতে থাকেন। বিশেষ করে তিনি হজ মৌসুমকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করেন।
হিজরতের প্রস্তুতি
নবী (সা.)-এর নিরলস প্রচেষ্টা অবশেষে ফল দিতে শুরু করে। এক হজ মৌসুমে খাজরাজ গোত্রের ছয়জন ব্যক্তি তাঁর দাওয়াতে সাড়া দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন, ইয়াসরিবে (বর্তমান মদিনা) ফিরে গিয়ে ইসলাম প্রচার করবেন এবং তাঁকে সহযোগিতা করবেন। এক বছর পর হজ মৌসুমে ইয়াসরিবের ১২ জন ব্যক্তি এসে নবীর সঙ্গে প্রথম আকাবা সন্ধি করেন। এই সন্ধিতে তাঁরা আল্লাহর সঙ্গে শরিক না করা, চুরি না করা, ব্যভিচার না করা, সন্তান হত্যা না করা ইত্যাদি শপথ করেন। সেই ১২ জন যখন ইয়াসরিবে ফিরে যান, নবী (সা.) তাঁদের সঙ্গে পাঠান জ্ঞানী, মেধাবী ও পরিশ্রমী ইসলাম প্রচারক মুসআব ইবনে উমাইরকে। তিনি এমনভাবে ইসলাম প্রচার করেন, ইয়াসরিবের প্রতিটি ঘরে ইসলাম পৌঁছে যায়। তিনিই ইয়াসরিবকে হিজরতের উপযুক্ত স্থান হিসেবে প্রস্তুত করেন। পরবর্তী বছর হজ মৌসুমে ৭৩ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী মদিনা থেকে এসে নবী (সা.)-এর সঙ্গে দ্বিতীয় আকাবা সন্ধি করেন। এই সন্ধিতে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন, ‘নবী (সা.) যদি তাঁদের এলাকায় হিজরত করেন, তবে তাঁকে তাঁরা রক্ষা করবেন, তাঁর পাশে থাকবেন এবং জীবন দিয়ে তাঁর সুরক্ষা করবেন।’
মাতৃভূমির মায়া ছেড়ে
দ্বিতীয় আকাবা সন্ধির পর নবী (সা.) সাহাবিদের মদিনায় হিজরত করার নির্দেশ দেন। তখন কেউ একা, কেউ দল বেঁধে, কেউ প্রকাশ্যে, কেউ গোপনে মদিনায় হিজরত করতে থাকেন। ধীরে ধীরে অধিকাংশ মুসলমানই হিজরত করে ফেলেন। মক্কায় অবশিষ্ট থাকেন নবী (সা.) এবং অল্প কিছু সাহাবি। এ সময় মক্কার কাফেররা ভাবে—‘ইয়াসরিবে গিয়ে মুহাম্মদ যদি তাঁর অনুসারীদের সুসংগঠিত করতে পারেন, একটি রাষ্ট্র গঠন করতে পারেন—তাতে কুরাইশের মর্যাদা, নেতৃত্ব এবং বাণিজ্য—সবকিছুর ওপরই আঘাত আসবে।’ তাই তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়—এই সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আগেই নবী (সা.)-কে হত্যা করবে। যে রাতে তাঁকে হত্যা করা হবে, সে রাতেই তিনি আল্লাহর নির্দেশে প্রিয় মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে ইয়াসরিবের পথ ধরেন।
ইয়াসরিব যেভাবে মদিনা হলো
নবী (সা.)-এর হিজরতের সময় ইয়াসরিব প্রচলিত অর্থে কোনো নগরী ছিল না। বরং এটি ছিল বিস্তৃত এক সমভূমিতে ছড়িয়ে থাকা কয়েকটি জলাধারকেন্দ্রিক বসতি। এখানে বাস করত আউস ও খাজরাজ নামক দুটি আরব গোত্র এবং একাধিক ইহুদি সম্প্রদায়। তিনি এই এলাকাকে নগর হিসেবে গঠনে উদ্যোগী হন। ইয়াসরিবকে তিনি নগর হিসেবে গুছিয়ে তোলেন। রাস্তাঘাট নির্মাণ করেন। পারস্পরিক দ্বন্দ্ব মুছে দেন। রক্তের সম্পর্ক ছাড়াই মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠে।
এই নগর বিনির্মাণের মূল ভিত্তি ছিল মসজিদ। মসজিদে নববি। এই মসজিদ শুধু নামাজের স্থানই ছিল না; এটিই ছিল রাষ্ট্রের কেন্দ্র—এখানেই নামাজ হতো, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত হতো, যুদ্ধ ও শান্তি বিষয়ে পরামর্শ হতো, প্রতিনিধিদল আসত এবং এখানে নবী (সা.)-এর বাসভবনও ছিল, যা থেকে তিনি সরাসরি মসজিদে প্রবেশ করতে পারতেন। এই মসজিদ কেন্দ্র করেই ইয়াসরিবের নতুন জনবসতি গড়ে ওঠে। শহরের রাস্তাঘাট সুচারুভাবে বিন্যস্ত হয়। নাম পাল্টে হয় মদিনা। মদিনাতুর রাসুল।
হিজরি সনের সূচনা হয় যেভাবে
আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি সন গণনা শুরু হয় হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে, যা ইতিহাসে যুক্ত করে নতুন পালক। ঘুরিয়ে দেয় ইতিহাসের মোড়। রাষ্ট্রীয় কাজ সুচারুভাবে পালনের জন্য ওমর (রা.) নতুন সন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য ডাকেন পরামর্শ সভা। সভায় নবী (সা.)-এর জন্ম, মৃত্যু, নবুওয়াত ও হিজরত—এই চার বিষয়কে কেন্দ্র করে বর্ষ গণনার প্রস্তাব আসে। ওমর (রা.) হজরত আলী (রা.)-এর প্রস্তাবকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন বর্ষ গণনার জন্য হিজরতকে বেছে নেন। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ২৪ সেপ্টেম্বর ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী (সা.) হিজরত করেন। সে বছরকে সূচনা বছর ধরে শুরু হয় হিজরি সন।
তথ্যসূত্র: ইসলাম অনলাইন ডটনেট

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি। আল্লাহ তাআলা তাঁর হৃদয়ে প্রশান্তি ঢেলে দিতেন। আল্লাহর বিশেষ দয়া তাঁকে ঘিরে রাখত।
যেভাবে হিজরতের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়
নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। কিন্তু কোনো কিছুই তাঁকে ইসলামের দাওয়াত থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারেনি। কোনো হুমকি-ধমকি তাঁকে থামাতে পারেনি। সত্যের পথে তিনি ছিলেন অবিচল। ইসলামের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছাতে যত পন্থা সম্ভব ছিল, সব পথেই তিনি হেঁটেছেন, প্রতিটি দরজায় কড়া নেড়েছেন, প্রতিটি সমাবেশ-জমায়েতে উপস্থিত হয়েছেন, গোত্রে গোত্রে গিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন, বিশেষ ব্যক্তিদের আলাদা করে দাওয়াত দিয়েছেন—এই আশায়, হয়তো কেউ সত্যের পথে তাঁর সঙ্গী হবে, এক আল্লাহর ওপর ইমান আনবে, ইসলাম প্রচারে তাঁর সহযোগী হবে।
মক্কার কিছু মানুষ নবী (সা.)-এর দাওয়াতে বিশ্বাস করেছিল—যাদের আত্মা ছিল উন্নত, হৃদয় ছিল পবিত্র। ধীরে ধীরে ইসলামের অনুসারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। মূর্তিপূজার অসারতা থেকে মানুষ সচেতন হতে থাকে। ধীরে কিন্তু সুনিপুণভাবে চলতে থাকে মহানবী (সা.)-এর দাওয়াতি কার্যক্রম। তাঁর দাওয়াতের সফলতা মক্কার নেতৃস্থানীয় কাফেরদের কপালে ভাঁজ ফেলে। তারা যখন বুঝতে পারে, এভাবে চললে তাদের ধর্মীয় মর্যাদা ও নেতৃত্ব বিপদের মুখে পড়বে, তখন তারা নবীজি (সা.)-এর ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাঁর দাওয়াতি কার্যক্রম বন্ধ করতে উঠেপড়ে লাগে। ইসলাম গ্রহণকারীদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। শারীরিক নিপীড়ন, কারাবাস এমনকি হত্যার শিকার হয় অনেকে। এসবের মাঝেই নবী (সা.) বিভিন্ন আরব গোত্রের কাছে দাওয়াত পৌঁছাতে থাকেন। বিশেষ করে তিনি হজ মৌসুমকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করেন।
হিজরতের প্রস্তুতি
নবী (সা.)-এর নিরলস প্রচেষ্টা অবশেষে ফল দিতে শুরু করে। এক হজ মৌসুমে খাজরাজ গোত্রের ছয়জন ব্যক্তি তাঁর দাওয়াতে সাড়া দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন, ইয়াসরিবে (বর্তমান মদিনা) ফিরে গিয়ে ইসলাম প্রচার করবেন এবং তাঁকে সহযোগিতা করবেন। এক বছর পর হজ মৌসুমে ইয়াসরিবের ১২ জন ব্যক্তি এসে নবীর সঙ্গে প্রথম আকাবা সন্ধি করেন। এই সন্ধিতে তাঁরা আল্লাহর সঙ্গে শরিক না করা, চুরি না করা, ব্যভিচার না করা, সন্তান হত্যা না করা ইত্যাদি শপথ করেন। সেই ১২ জন যখন ইয়াসরিবে ফিরে যান, নবী (সা.) তাঁদের সঙ্গে পাঠান জ্ঞানী, মেধাবী ও পরিশ্রমী ইসলাম প্রচারক মুসআব ইবনে উমাইরকে। তিনি এমনভাবে ইসলাম প্রচার করেন, ইয়াসরিবের প্রতিটি ঘরে ইসলাম পৌঁছে যায়। তিনিই ইয়াসরিবকে হিজরতের উপযুক্ত স্থান হিসেবে প্রস্তুত করেন। পরবর্তী বছর হজ মৌসুমে ৭৩ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী মদিনা থেকে এসে নবী (সা.)-এর সঙ্গে দ্বিতীয় আকাবা সন্ধি করেন। এই সন্ধিতে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দেন, ‘নবী (সা.) যদি তাঁদের এলাকায় হিজরত করেন, তবে তাঁকে তাঁরা রক্ষা করবেন, তাঁর পাশে থাকবেন এবং জীবন দিয়ে তাঁর সুরক্ষা করবেন।’
মাতৃভূমির মায়া ছেড়ে
দ্বিতীয় আকাবা সন্ধির পর নবী (সা.) সাহাবিদের মদিনায় হিজরত করার নির্দেশ দেন। তখন কেউ একা, কেউ দল বেঁধে, কেউ প্রকাশ্যে, কেউ গোপনে মদিনায় হিজরত করতে থাকেন। ধীরে ধীরে অধিকাংশ মুসলমানই হিজরত করে ফেলেন। মক্কায় অবশিষ্ট থাকেন নবী (সা.) এবং অল্প কিছু সাহাবি। এ সময় মক্কার কাফেররা ভাবে—‘ইয়াসরিবে গিয়ে মুহাম্মদ যদি তাঁর অনুসারীদের সুসংগঠিত করতে পারেন, একটি রাষ্ট্র গঠন করতে পারেন—তাতে কুরাইশের মর্যাদা, নেতৃত্ব এবং বাণিজ্য—সবকিছুর ওপরই আঘাত আসবে।’ তাই তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়—এই সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আগেই নবী (সা.)-কে হত্যা করবে। যে রাতে তাঁকে হত্যা করা হবে, সে রাতেই তিনি আল্লাহর নির্দেশে প্রিয় মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে ইয়াসরিবের পথ ধরেন।
ইয়াসরিব যেভাবে মদিনা হলো
নবী (সা.)-এর হিজরতের সময় ইয়াসরিব প্রচলিত অর্থে কোনো নগরী ছিল না। বরং এটি ছিল বিস্তৃত এক সমভূমিতে ছড়িয়ে থাকা কয়েকটি জলাধারকেন্দ্রিক বসতি। এখানে বাস করত আউস ও খাজরাজ নামক দুটি আরব গোত্র এবং একাধিক ইহুদি সম্প্রদায়। তিনি এই এলাকাকে নগর হিসেবে গঠনে উদ্যোগী হন। ইয়াসরিবকে তিনি নগর হিসেবে গুছিয়ে তোলেন। রাস্তাঘাট নির্মাণ করেন। পারস্পরিক দ্বন্দ্ব মুছে দেন। রক্তের সম্পর্ক ছাড়াই মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠে।
এই নগর বিনির্মাণের মূল ভিত্তি ছিল মসজিদ। মসজিদে নববি। এই মসজিদ শুধু নামাজের স্থানই ছিল না; এটিই ছিল রাষ্ট্রের কেন্দ্র—এখানেই নামাজ হতো, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত হতো, যুদ্ধ ও শান্তি বিষয়ে পরামর্শ হতো, প্রতিনিধিদল আসত এবং এখানে নবী (সা.)-এর বাসভবনও ছিল, যা থেকে তিনি সরাসরি মসজিদে প্রবেশ করতে পারতেন। এই মসজিদ কেন্দ্র করেই ইয়াসরিবের নতুন জনবসতি গড়ে ওঠে। শহরের রাস্তাঘাট সুচারুভাবে বিন্যস্ত হয়। নাম পাল্টে হয় মদিনা। মদিনাতুর রাসুল।
হিজরি সনের সূচনা হয় যেভাবে
আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি সন গণনা শুরু হয় হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে, যা ইতিহাসে যুক্ত করে নতুন পালক। ঘুরিয়ে দেয় ইতিহাসের মোড়। রাষ্ট্রীয় কাজ সুচারুভাবে পালনের জন্য ওমর (রা.) নতুন সন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য ডাকেন পরামর্শ সভা। সভায় নবী (সা.)-এর জন্ম, মৃত্যু, নবুওয়াত ও হিজরত—এই চার বিষয়কে কেন্দ্র করে বর্ষ গণনার প্রস্তাব আসে। ওমর (রা.) হজরত আলী (রা.)-এর প্রস্তাবকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন বর্ষ গণনার জন্য হিজরতকে বেছে নেন। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ২৪ সেপ্টেম্বর ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী (সা.) হিজরত করেন। সে বছরকে সূচনা বছর ধরে শুরু হয় হিজরি সন।
তথ্যসূত্র: ইসলাম অনলাইন ডটনেট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১২ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ১০ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৯ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি।
২৭ জুন ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১২ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি।
২৭ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি।
২৭ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াতপ্রাপ্তির পর মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এই সময় তিনি মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন। এক যুগের বেশি সময় তিনি দিনরাত এক করে মক্কার মরুপ্রান্তরে এই মেহনত চালিয়ে যান। এতে তিনি কখনো ক্লান্ত হননি, হতাশ হননি, বিরক্ত হননি এবং নিরাশও হননি।
২৭ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
১২ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১৬ ঘণ্টা আগে