ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

আল্লাহ তাআলা এই বিশ্বজাহানের মালিক। তিনি এর পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন মানুষকে। তাই মানুষকে ‘খলিফা’ বা প্রতিনিধি বলা হয়। আর জনপ্রতিনিধিকে বলা হয় ‘খলিফাতুন নাস’। পরিবার, সমাজ, গ্রাম-মহল্লা, রাষ্ট্র—প্রতিটি স্তরেই যিনি জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে তাদেরই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, তিনিই জনপ্রতিনিধি। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি বানিয়েছেন।’ (সুরা ফাতির: ৩৯)। জনপ্রতিনিধি সম্মান ও মর্যাদার পদ। এই পদের দায়-দায়িত্ব গুরুগম্ভীর হওয়ায় যে কেউ এর যোগ্য হতে পারে না। বরং জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরি। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরা হলো:
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া
জনপ্রতিনিধি প্রাপ্তবয়স্ক ও বিবেকবান হওয়া আবশ্যক। কেননা, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও পাগল নেতৃত্বের যোগ্য হতে পারে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা নির্বোধদের হাতে তোমাদের ধন-সম্পদ দিয়ো না, যাকে আল্লাহ তোমাদের জন্য করেছেন জীবিকার মাধ্যম।’ (সুরা নিসা: ৫)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করা হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক, যতক্ষণ না সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়। পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞানপ্রাপ্ত হয়।’ (নাসায়ি)
সুস্থ হওয়া
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া নেতা হওয়ার অন্যতম শর্ত। কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগ। যেমন অন্ধ, বধির, বোবা ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তাকে জ্ঞানে ও দেহে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৪৭)
যোগ্য হওয়া
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব উত্তমভাবে পালনের যোগ্য হওয়া জনপ্রতিনিধির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বসমূহ সুচারুরূপে পালনের জন্য জনপ্রতিনিধির স্বভাবগত যোগ্যতা একান্ত অপরিহার্য। আলী (রা.) বলেন, ‘মানুষের নেতৃত্বদানের অধিকারী হবে সে, যে তাদের সবার তুলনায় অধিক দৃঢ় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও অধিক শক্তিশালী হবে।’ সায়িদ হাভি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধির জন্য শর্ত হলো, তাকে অবশ্যই জনগণের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য হতে হবে।’ (আল-ইসলাম: ২ / ১৪৮)
ন্যায়পরায়ণ হওয়া
জনপ্রতিনিধিকে সুবিচার, ন্যায়পরায়ণতা ও নিরপেক্ষতার গুণে গুণান্বিত হতে হবে। অন্যথায় সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব। ন্যায়বিচার একটি মানসিক অবস্থাবিশেষ, তা জনপ্রতিনিধিকে সর্বপ্রকার পাপ থেকে যেমন দূরে রাখে, তেমনি জাতীয় পর্যায়ে বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা, প্রতারণা ও নির্যাতনমূলক কার্যক্রম থেকেও পবিত্র থাকতে উদ্বুদ্ধ করে।
আইনে পারদর্শী হওয়া
জনপ্রতিনিধিকে রাষ্ট্রের আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী হওয়া আবশ্যক। ইসলামি রাষ্ট্র হলে আল্লাহর আইন সম্পর্কে পারদর্শী হতে হবে। সমাজের অন্যান্য সাধারণ নাগরিকের মতো জনপ্রতিনিধিও সমভাবে আইনের আওতায় থাকবেন। (অভিযুক্ত হলে তাঁকে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ থাকতে হবে। ইসলামে জনপ্রতিনিধির ক্ষমতা ও কার্যাবলি লাগামবদ্ধ করা হয়েছে।) সায়িদ হাভি বলেন, ‘রাষ্ট্রের বিধিবিধান সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া সর্বপ্রথম আবশ্যক। কেননা, তিনি তাঁর রাষ্ট্রে তা বাস্তবায়ন করে থাকেন।’ (আল-ইসলাম: ২/ ১৪৮)।
জন্মসূত্রের পবিত্রতা
জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই জন্মসূত্রে পবিত্র হতে হবে। ব্যভিচারের পথ বন্ধ করার জন্য এমন শর্তারোপ করা হয়েছে। ব্যভিচারপ্রসূত ব্যক্তিকে যদি রাষ্ট্রের উচ্চতর আসনে বসানো হয়, তাহলে তা গোটা জাতির জন্য কলঙ্কের বিষয়। ফলে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো সেই জনগোষ্ঠীর পক্ষে সম্ভব নয়।
মানবিক হওয়া
জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই উন্নতমানের মানবিক ও ইসলামি চারিত্রিক গুণে ভূষিত হতে হবে। কোরআন মজিদে এই গুণসমূহের সমন্বিত গুণ তাকওয়ার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকি।’ (সুরা হুজুরাত: ১৩)
অর্থ-পদের মোহ না থাকা
জনপ্রতিনিধি জনগণের রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন। তিনি ওই পদ পাওয়ার জন্য কারও দ্বারস্থ হবেন না অথবা পদের মোহে অর্থ খরচ করবেন না। এমন করলে তা তার অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। এমনকি তিনি যখন জনগণের রায়ে নির্বাচিত হবেন, তখনো আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছ থাকবেন এবং অনিয়ম করবেন না, যার দ্বারা অর্থ আত্মসাৎ বা এ-জাতীয় কোনো দোষ প্রকাশ হয়ে পড়ে।
আদর্শিক হওয়া
জনপ্রতিনিধি জনগণের উদ্দেশ্যে যা কিছু বলবেন, তা অবশ্যই ব্যক্তিগত জীবনে পালন করবেন। যদি তাঁর কথা ও কাজে সামঞ্জস্য না থাকে, তবে তিনি সমাজে মূল্যহীন হয়ে পড়বেন। ফলে তাঁর কথা কারও ওপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে না। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কি মানুষকে ভালো কাজের আদেশ দিচ্ছ আর নিজদের বেলায় ভুলে যাচ্ছ? অথচ তোমরা কিতাব তিলাওয়াত করো। তোমরা কি বোঝো না?’ (সুরা বাকারা: ৪৪)। তিনি আরও বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা তা কেন বলো, যা তোমরা নিজেরা করো না? তোমরা যা করো না, তা বলা আল্লাহর কাছে বড়ই ক্রোধের বিষয়।’ (সুরা সফ: ২-৩)
আল্লাহর ওপর ভরসা করা
জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। কেননা, আল্লাহ ছাড়া কারও ওপর ভরসা করা তাঁর জন্য সমীচীন নয়। কাজে-কর্মে আল্লাহর ওপর ভরসা ও তাঁর কাছে সাহায্য কামনা করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘এরপর (সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর) যখন সংকল্প করবে, তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করবে।’ (সুরা আল ইমরান: ১৫৯)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

আল্লাহ তাআলা এই বিশ্বজাহানের মালিক। তিনি এর পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন মানুষকে। তাই মানুষকে ‘খলিফা’ বা প্রতিনিধি বলা হয়। আর জনপ্রতিনিধিকে বলা হয় ‘খলিফাতুন নাস’। পরিবার, সমাজ, গ্রাম-মহল্লা, রাষ্ট্র—প্রতিটি স্তরেই যিনি জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে তাদেরই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, তিনিই জনপ্রতিনিধি। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি বানিয়েছেন।’ (সুরা ফাতির: ৩৯)। জনপ্রতিনিধি সম্মান ও মর্যাদার পদ। এই পদের দায়-দায়িত্ব গুরুগম্ভীর হওয়ায় যে কেউ এর যোগ্য হতে পারে না। বরং জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরি। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরা হলো:
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া
জনপ্রতিনিধি প্রাপ্তবয়স্ক ও বিবেকবান হওয়া আবশ্যক। কেননা, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও পাগল নেতৃত্বের যোগ্য হতে পারে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা নির্বোধদের হাতে তোমাদের ধন-সম্পদ দিয়ো না, যাকে আল্লাহ তোমাদের জন্য করেছেন জীবিকার মাধ্যম।’ (সুরা নিসা: ৫)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করা হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক, যতক্ষণ না সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়। পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞানপ্রাপ্ত হয়।’ (নাসায়ি)
সুস্থ হওয়া
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া নেতা হওয়ার অন্যতম শর্ত। কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগ। যেমন অন্ধ, বধির, বোবা ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তাকে জ্ঞানে ও দেহে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৪৭)
যোগ্য হওয়া
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব উত্তমভাবে পালনের যোগ্য হওয়া জনপ্রতিনিধির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বসমূহ সুচারুরূপে পালনের জন্য জনপ্রতিনিধির স্বভাবগত যোগ্যতা একান্ত অপরিহার্য। আলী (রা.) বলেন, ‘মানুষের নেতৃত্বদানের অধিকারী হবে সে, যে তাদের সবার তুলনায় অধিক দৃঢ় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও অধিক শক্তিশালী হবে।’ সায়িদ হাভি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধির জন্য শর্ত হলো, তাকে অবশ্যই জনগণের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য হতে হবে।’ (আল-ইসলাম: ২ / ১৪৮)
ন্যায়পরায়ণ হওয়া
জনপ্রতিনিধিকে সুবিচার, ন্যায়পরায়ণতা ও নিরপেক্ষতার গুণে গুণান্বিত হতে হবে। অন্যথায় সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব। ন্যায়বিচার একটি মানসিক অবস্থাবিশেষ, তা জনপ্রতিনিধিকে সর্বপ্রকার পাপ থেকে যেমন দূরে রাখে, তেমনি জাতীয় পর্যায়ে বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা, প্রতারণা ও নির্যাতনমূলক কার্যক্রম থেকেও পবিত্র থাকতে উদ্বুদ্ধ করে।
আইনে পারদর্শী হওয়া
জনপ্রতিনিধিকে রাষ্ট্রের আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী হওয়া আবশ্যক। ইসলামি রাষ্ট্র হলে আল্লাহর আইন সম্পর্কে পারদর্শী হতে হবে। সমাজের অন্যান্য সাধারণ নাগরিকের মতো জনপ্রতিনিধিও সমভাবে আইনের আওতায় থাকবেন। (অভিযুক্ত হলে তাঁকে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ থাকতে হবে। ইসলামে জনপ্রতিনিধির ক্ষমতা ও কার্যাবলি লাগামবদ্ধ করা হয়েছে।) সায়িদ হাভি বলেন, ‘রাষ্ট্রের বিধিবিধান সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া সর্বপ্রথম আবশ্যক। কেননা, তিনি তাঁর রাষ্ট্রে তা বাস্তবায়ন করে থাকেন।’ (আল-ইসলাম: ২/ ১৪৮)।
জন্মসূত্রের পবিত্রতা
জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই জন্মসূত্রে পবিত্র হতে হবে। ব্যভিচারের পথ বন্ধ করার জন্য এমন শর্তারোপ করা হয়েছে। ব্যভিচারপ্রসূত ব্যক্তিকে যদি রাষ্ট্রের উচ্চতর আসনে বসানো হয়, তাহলে তা গোটা জাতির জন্য কলঙ্কের বিষয়। ফলে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো সেই জনগোষ্ঠীর পক্ষে সম্ভব নয়।
মানবিক হওয়া
জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই উন্নতমানের মানবিক ও ইসলামি চারিত্রিক গুণে ভূষিত হতে হবে। কোরআন মজিদে এই গুণসমূহের সমন্বিত গুণ তাকওয়ার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকি।’ (সুরা হুজুরাত: ১৩)
অর্থ-পদের মোহ না থাকা
জনপ্রতিনিধি জনগণের রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন। তিনি ওই পদ পাওয়ার জন্য কারও দ্বারস্থ হবেন না অথবা পদের মোহে অর্থ খরচ করবেন না। এমন করলে তা তার অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। এমনকি তিনি যখন জনগণের রায়ে নির্বাচিত হবেন, তখনো আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছ থাকবেন এবং অনিয়ম করবেন না, যার দ্বারা অর্থ আত্মসাৎ বা এ-জাতীয় কোনো দোষ প্রকাশ হয়ে পড়ে।
আদর্শিক হওয়া
জনপ্রতিনিধি জনগণের উদ্দেশ্যে যা কিছু বলবেন, তা অবশ্যই ব্যক্তিগত জীবনে পালন করবেন। যদি তাঁর কথা ও কাজে সামঞ্জস্য না থাকে, তবে তিনি সমাজে মূল্যহীন হয়ে পড়বেন। ফলে তাঁর কথা কারও ওপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে না। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কি মানুষকে ভালো কাজের আদেশ দিচ্ছ আর নিজদের বেলায় ভুলে যাচ্ছ? অথচ তোমরা কিতাব তিলাওয়াত করো। তোমরা কি বোঝো না?’ (সুরা বাকারা: ৪৪)। তিনি আরও বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা তা কেন বলো, যা তোমরা নিজেরা করো না? তোমরা যা করো না, তা বলা আল্লাহর কাছে বড়ই ক্রোধের বিষয়।’ (সুরা সফ: ২-৩)
আল্লাহর ওপর ভরসা করা
জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। কেননা, আল্লাহ ছাড়া কারও ওপর ভরসা করা তাঁর জন্য সমীচীন নয়। কাজে-কর্মে আল্লাহর ওপর ভরসা ও তাঁর কাছে সাহায্য কামনা করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘এরপর (সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর) যখন সংকল্প করবে, তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করবে।’ (সুরা আল ইমরান: ১৫৯)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

আল্লাহ তাআলা এই বিশ্বজাহানের মালিক। তিনি এর পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন মানুষকে। তাই মানুষকে ‘খলিফা’ বা প্রতিনিধি বলা হয়। আর জনপ্রতিনিধিকে বলা হয় ‘খলিফাতুন নাস’। পরিবার, সমাজ, গ্রাম-মহল্লা, রাষ্ট্র—প্রতিটি স্তরেই যিনি জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে তাদেরই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, তিনিই জনপ্রতিনিধি। যেমন আল্লাহ
১২ জানুয়ারি ২০২৪
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

আল্লাহ তাআলা এই বিশ্বজাহানের মালিক। তিনি এর পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন মানুষকে। তাই মানুষকে ‘খলিফা’ বা প্রতিনিধি বলা হয়। আর জনপ্রতিনিধিকে বলা হয় ‘খলিফাতুন নাস’। পরিবার, সমাজ, গ্রাম-মহল্লা, রাষ্ট্র—প্রতিটি স্তরেই যিনি জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে তাদেরই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, তিনিই জনপ্রতিনিধি। যেমন আল্লাহ
১২ জানুয়ারি ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল্লাহ তাআলা এই বিশ্বজাহানের মালিক। তিনি এর পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন মানুষকে। তাই মানুষকে ‘খলিফা’ বা প্রতিনিধি বলা হয়। আর জনপ্রতিনিধিকে বলা হয় ‘খলিফাতুন নাস’। পরিবার, সমাজ, গ্রাম-মহল্লা, রাষ্ট্র—প্রতিটি স্তরেই যিনি জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে তাদেরই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, তিনিই জনপ্রতিনিধি। যেমন আল্লাহ
১২ জানুয়ারি ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

আল্লাহ তাআলা এই বিশ্বজাহানের মালিক। তিনি এর পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন মানুষকে। তাই মানুষকে ‘খলিফা’ বা প্রতিনিধি বলা হয়। আর জনপ্রতিনিধিকে বলা হয় ‘খলিফাতুন নাস’। পরিবার, সমাজ, গ্রাম-মহল্লা, রাষ্ট্র—প্রতিটি স্তরেই যিনি জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে তাদেরই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, তিনিই জনপ্রতিনিধি। যেমন আল্লাহ
১২ জানুয়ারি ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে