ইসলাম ডেস্ক

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
খেরুয়া মসজিদের অবস্থান
ঐতিহাসিক এই মসজিদটি বগুড়া জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলার খন্দকারটোলায় অবস্থিত। শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশায় ৫ মিনিটের পথ।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাতা ও নির্মাণকাল
মসজিদের সম্মুখ দেয়ালে উৎকীর্ণ আরবি-ফারসি শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৯৮৯ হিজরিতে) জওহর আলী কাকশালের পুত্র মুরাদ খান কাকশাল এটি নির্মাণ করেন। কাকশাল উপাধি ছিল তুর্কিদের। আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে এ অঞ্চলকে শেরপুর মোর্চা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খেরুয়া মসজিদের নাম
আরবি-ফারসিতে ‘খেরুয়া’ বলে কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, আরবি ‘খয়র’ (কল্যাণ) শব্দ থেকেই এ নামটি এসেছে। অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলেন, খেরুয়া শব্দটি ফারসি ‘খায়ের গাহ’ শব্দ থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাণশৈলী
মসজিদটি সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যশৈলীর মিশেলে নির্মিত। মসজিদের নিচের অংশে ভূমি পরিকল্পনা মোগল স্থাপত্যরীতির আর ওপরের অংশ সুলতানি রীতিতে নির্মিত। বাইরে থেকে উত্তর-দক্ষিণে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ২৪ ফুট।
আর ভেতর থেকে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট এবং প্রস্থে সাড়ে ১২ ফুট। পূর্ব দেয়ালে তিনটি খিলান। দরজার মাঝেরটি আকারে খানিক বড়। দরজা বরাবর আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে অর্ধগোলাকার মেহরাবগুলো স্থাপিত। এখানেও মাঝেরটি অপর দুটি থেকে বড়। বড় দরজার দুপাশে দুটি শিলালিপি ছিল। তার একটি এখনো স্থাপিত থাকলেও অপরটি রয়েছে করাচি জাদুঘরে।
উত্তর আর দক্ষিণ দেয়ালেও আছে ১টি করে দরজা। মসজিদের ছাদে ৩.৭১ মিটার ব্যাসের উপুড় করা বাটি সদৃশ তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজের ইটের গাঁথুনি খুবই নান্দনিক। গম্বুজের সম্পূর্ণ ভর চার কোণের চারটি প্রকাণ্ড অষ্ট ভূজ মিনার এবং চুনসুরকিতে গাঁথা পাতলা লাল ইটের ১.৮১ মিটার চওড়া দেয়ালের ওপর। মসজিদের কার্নিশ ধনুকের মতো বাঁকা। কালের ঘর্ষণে ক্ষয়ে গেছে দেয়ালে করা পোড়ামাটির শিল্পকর্ম এবং ইটের ওপরের বাহারি নকশা।
খেরুয়া মসজিদের সামনে রয়েছে বিশাল মাঠ। মাঠের চতুর্দিকে রয়েছে তাল, নারিকেল, আম ও কদমগাছের সারি। কথিত আছে, মসজিদের মাঠে যে কবর, তা আবদুস সামাদ ফকির নামের এক ব্যক্তির; যিনি মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
খেরুয়া মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
বাংলায় মোগল শাসনের সূচনা হয় ১৫৭৬ সালে। মোগল শাসনের সূচনা কালের মসজিদ হিসেবে খেরুয়া মসজিদের পৃথক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ মসজিদটি তৎকালীন বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
খেরুয়া মসজিদের বর্তমান অবস্থা
খেরুয়া মসজিদে বর্তমানে ওয়াক্তিয়া, জুমা, তারাবিসহ দুই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ভেতরে সর্বসাকল্যে ৫০-৬০ জন মানুষ সংকুলান হয়। বাকিদের বাইরে চট বিছিয়ে দাঁড়াতে হয়।
১৯৮৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটি সংস্কার করে। এরপর আর উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়নি বললেই চলে। বাইরে থেকে ভালো দেখা গেলেও মসজিদের ভেতরের ইটগুলো ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। ক্রমেই ঝুরঝুরে হয়ে যাচ্ছে ইটগুলো। মোগল আমলের এই ঐতিহাসিক স্থাপনাকে টিকিয়ে রাখতে অতি দ্রুত সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: মুজাহিদ আল কারিম,ইসলামবিষয়ক গবেষক

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
খেরুয়া মসজিদের অবস্থান
ঐতিহাসিক এই মসজিদটি বগুড়া জেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলার খন্দকারটোলায় অবস্থিত। শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোরিকশায় ৫ মিনিটের পথ।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাতা ও নির্মাণকাল
মসজিদের সম্মুখ দেয়ালে উৎকীর্ণ আরবি-ফারসি শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে (৯৮৯ হিজরিতে) জওহর আলী কাকশালের পুত্র মুরাদ খান কাকশাল এটি নির্মাণ করেন। কাকশাল উপাধি ছিল তুর্কিদের। আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে এ অঞ্চলকে শেরপুর মোর্চা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খেরুয়া মসজিদের নাম
আরবি-ফারসিতে ‘খেরুয়া’ বলে কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। ধারণা করা হয়, আরবি ‘খয়র’ (কল্যাণ) শব্দ থেকেই এ নামটি এসেছে। অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলেন, খেরুয়া শব্দটি ফারসি ‘খায়ের গাহ’ শব্দ থেকেও উদ্ভূত হতে পারে।
খেরুয়া মসজিদের নির্মাণশৈলী
মসজিদটি সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যশৈলীর মিশেলে নির্মিত। মসজিদের নিচের অংশে ভূমি পরিকল্পনা মোগল স্থাপত্যরীতির আর ওপরের অংশ সুলতানি রীতিতে নির্মিত। বাইরে থেকে উত্তর-দক্ষিণে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ সাড়ে ২৪ ফুট।
আর ভেতর থেকে মসজিদের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট এবং প্রস্থে সাড়ে ১২ ফুট। পূর্ব দেয়ালে তিনটি খিলান। দরজার মাঝেরটি আকারে খানিক বড়। দরজা বরাবর আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে অর্ধগোলাকার মেহরাবগুলো স্থাপিত। এখানেও মাঝেরটি অপর দুটি থেকে বড়। বড় দরজার দুপাশে দুটি শিলালিপি ছিল। তার একটি এখনো স্থাপিত থাকলেও অপরটি রয়েছে করাচি জাদুঘরে।
উত্তর আর দক্ষিণ দেয়ালেও আছে ১টি করে দরজা। মসজিদের ছাদে ৩.৭১ মিটার ব্যাসের উপুড় করা বাটি সদৃশ তিনটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজের ইটের গাঁথুনি খুবই নান্দনিক। গম্বুজের সম্পূর্ণ ভর চার কোণের চারটি প্রকাণ্ড অষ্ট ভূজ মিনার এবং চুনসুরকিতে গাঁথা পাতলা লাল ইটের ১.৮১ মিটার চওড়া দেয়ালের ওপর। মসজিদের কার্নিশ ধনুকের মতো বাঁকা। কালের ঘর্ষণে ক্ষয়ে গেছে দেয়ালে করা পোড়ামাটির শিল্পকর্ম এবং ইটের ওপরের বাহারি নকশা।
খেরুয়া মসজিদের সামনে রয়েছে বিশাল মাঠ। মাঠের চতুর্দিকে রয়েছে তাল, নারিকেল, আম ও কদমগাছের সারি। কথিত আছে, মসজিদের মাঠে যে কবর, তা আবদুস সামাদ ফকির নামের এক ব্যক্তির; যিনি মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
খেরুয়া মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
বাংলায় মোগল শাসনের সূচনা হয় ১৫৭৬ সালে। মোগল শাসনের সূচনা কালের মসজিদ হিসেবে খেরুয়া মসজিদের পৃথক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ মসজিদটি তৎকালীন বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
খেরুয়া মসজিদের বর্তমান অবস্থা
খেরুয়া মসজিদে বর্তমানে ওয়াক্তিয়া, জুমা, তারাবিসহ দুই ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ভেতরে সর্বসাকল্যে ৫০-৬০ জন মানুষ সংকুলান হয়। বাকিদের বাইরে চট বিছিয়ে দাঁড়াতে হয়।
১৯৮৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটি সংস্কার করে। এরপর আর উল্লেখযোগ্য সংস্কার হয়নি বললেই চলে। বাইরে থেকে ভালো দেখা গেলেও মসজিদের ভেতরের ইটগুলো ক্ষয়ে যেতে শুরু করেছে। ক্রমেই ঝুরঝুরে হয়ে যাচ্ছে ইটগুলো। মোগল আমলের এই ঐতিহাসিক স্থাপনাকে টিকিয়ে রাখতে অতি দ্রুত সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।
লেখক: মুজাহিদ আল কারিম,ইসলামবিষয়ক গবেষক

জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৫ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
১৯ জুন ২০২৫
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৫ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৮ ঘণ্টা আগেআবরার নাঈম

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
১৯ জুন ২০২৫
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৭ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
১৯ জুন ২০২৫
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।
রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।
রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

ইট-পাথরের দেয়ালের নিচে লুকিয়ে থাকে শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাস। একটি প্রাচীন স্থাপনা নিছক ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়, সময়ের জীবন্ত দলিল। এই ফিচারে আমরা একটি প্রাচীন স্থাপনা নিয়ে জানব; যার নাম খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটি প্রাচীন মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন।
১৯ জুন ২০২৫
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৫ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৭ ঘণ্টা আগে