মাহমুদ হাসান ফাহিম

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
প্রথম দিন ৮ জিলহজ
জিলহজ মাসের ৮ তারিখে হাজিদের ইহরাম অবস্থায় মিনায় যেতে হয় এবং জোহরের আগেই সেখানে পৌঁছাতে হয়। মিনায় সেদিনের জোহরসহ ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। আর রাতে মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।
দ্বিতীয় দিন ৯ জিলহজ
এদিনটি আরাফাতের দিন হিসেবে পরিচিত। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা থেকে শুরু হয় হজের মূল কার্যক্রম। এদিন চারটি কাজ করতে হয়। যথা:
—ফজরের পর মিনায় গোসল বা অজু করে সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করা এবং রওনার সময় তাকবির বলা, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
—জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করা। এটি হজের ফরজ বিধান।
—আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তওবা–ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ, তাহলিল ও রোনাজারিতে আত্মনিয়োগ করা।
—সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা করা। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
তৃতীয় দিন ১০ জিলহজ
১০ জিলহজ হজের প্রধান কর্মব্যস্ত দিন। এদিনে হাজিদের পাঁচটি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। যথা:
—মুজদালিফায় অবস্থান: সারা রাত মুজদালিফার খোলা আকাশের নিচে, মরুর বালুর ওপর অবস্থান করতে হয় এবং ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার আগেই মিনার উদ্দেশে রওনা হতে হয়।
—পাথর সংগ্রহ: মিনায় জামরায় (শয়তানকে পাথর মারার জন্য) মুজদালিফায় অবস্থানের সময় রাতে কিংবা সকালে তা সংগ্রহ করে রাখা। জামরার নিকট ব্যতীত অন্য যেকোনো স্থান থেকে তা সংগ্রহ করা যায়।
—পাথর নিক্ষেপ: ১০ তারিখ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরায় সাতটি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করতে হয়।
—কোরবানি করা: বড় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেই মিনায় কোরবানির পশু জবাই করতে হয়।
—মাথা মুণ্ডন করা: কোরবানির পরপরই মাথা ন্যাড়া করার মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হতে হয়। এরপর হাজিরা ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারবে। তবে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম দিন ১১-১২ জিলহজ
জিলহজের ১১ ও ১২ তারিখে মোট তিনটি কাজ করতে হয়। যথা:
—তাওয়াফে জিয়ারত: হজের সর্বশেষ রোকন হলো তাওয়াফে জিয়ারত। ১১–১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে।
—পাথর নিক্ষেপ করা: ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করা এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরায় ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
—মিনায় রাতযাপন ও ত্যাগ: ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগেই মিনা ত্যাগ করতে হয়। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সে রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করতে হয়। উল্লেখ্য, যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারে, তাহলে তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে।
বিদায়ী তাওয়াফ
সারা বিশ্বে থেকে আগত সব হজ পালনকারীর জন্য দেশে রওনা হওয়ার আগে পবিত্র কাবা ত্যাগের আগে বিদায়ী তাওয়াফ করা আবশ্যক। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যেকোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফ হিসেবে আদায় হয়ে যায়।
সূত্র: মানাসিক, গুনিয়াতুন্নাসিক, আদ দূররুল মুখতার, আহকামে হজ ইত্যাদি

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
প্রথম দিন ৮ জিলহজ
জিলহজ মাসের ৮ তারিখে হাজিদের ইহরাম অবস্থায় মিনায় যেতে হয় এবং জোহরের আগেই সেখানে পৌঁছাতে হয়। মিনায় সেদিনের জোহরসহ ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। আর রাতে মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।
দ্বিতীয় দিন ৯ জিলহজ
এদিনটি আরাফাতের দিন হিসেবে পরিচিত। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা থেকে শুরু হয় হজের মূল কার্যক্রম। এদিন চারটি কাজ করতে হয়। যথা:
—ফজরের পর মিনায় গোসল বা অজু করে সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করা এবং রওনার সময় তাকবির বলা, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
—জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করা। এটি হজের ফরজ বিধান।
—আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তওবা–ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ, তাহলিল ও রোনাজারিতে আত্মনিয়োগ করা।
—সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা করা। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
তৃতীয় দিন ১০ জিলহজ
১০ জিলহজ হজের প্রধান কর্মব্যস্ত দিন। এদিনে হাজিদের পাঁচটি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। যথা:
—মুজদালিফায় অবস্থান: সারা রাত মুজদালিফার খোলা আকাশের নিচে, মরুর বালুর ওপর অবস্থান করতে হয় এবং ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার আগেই মিনার উদ্দেশে রওনা হতে হয়।
—পাথর সংগ্রহ: মিনায় জামরায় (শয়তানকে পাথর মারার জন্য) মুজদালিফায় অবস্থানের সময় রাতে কিংবা সকালে তা সংগ্রহ করে রাখা। জামরার নিকট ব্যতীত অন্য যেকোনো স্থান থেকে তা সংগ্রহ করা যায়।
—পাথর নিক্ষেপ: ১০ তারিখ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরায় সাতটি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করতে হয়।
—কোরবানি করা: বড় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেই মিনায় কোরবানির পশু জবাই করতে হয়।
—মাথা মুণ্ডন করা: কোরবানির পরপরই মাথা ন্যাড়া করার মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হতে হয়। এরপর হাজিরা ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারবে। তবে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম দিন ১১-১২ জিলহজ
জিলহজের ১১ ও ১২ তারিখে মোট তিনটি কাজ করতে হয়। যথা:
—তাওয়াফে জিয়ারত: হজের সর্বশেষ রোকন হলো তাওয়াফে জিয়ারত। ১১–১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে।
—পাথর নিক্ষেপ করা: ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করা এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরায় ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
—মিনায় রাতযাপন ও ত্যাগ: ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগেই মিনা ত্যাগ করতে হয়। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সে রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করতে হয়। উল্লেখ্য, যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারে, তাহলে তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে।
বিদায়ী তাওয়াফ
সারা বিশ্বে থেকে আগত সব হজ পালনকারীর জন্য দেশে রওনা হওয়ার আগে পবিত্র কাবা ত্যাগের আগে বিদায়ী তাওয়াফ করা আবশ্যক। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যেকোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফ হিসেবে আদায় হয়ে যায়।
সূত্র: মানাসিক, গুনিয়াতুন্নাসিক, আদ দূররুল মুখতার, আহকামে হজ ইত্যাদি
মাহমুদ হাসান ফাহিম

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
প্রথম দিন ৮ জিলহজ
জিলহজ মাসের ৮ তারিখে হাজিদের ইহরাম অবস্থায় মিনায় যেতে হয় এবং জোহরের আগেই সেখানে পৌঁছাতে হয়। মিনায় সেদিনের জোহরসহ ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। আর রাতে মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।
দ্বিতীয় দিন ৯ জিলহজ
এদিনটি আরাফাতের দিন হিসেবে পরিচিত। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা থেকে শুরু হয় হজের মূল কার্যক্রম। এদিন চারটি কাজ করতে হয়। যথা:
—ফজরের পর মিনায় গোসল বা অজু করে সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করা এবং রওনার সময় তাকবির বলা, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
—জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করা। এটি হজের ফরজ বিধান।
—আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তওবা–ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ, তাহলিল ও রোনাজারিতে আত্মনিয়োগ করা।
—সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা করা। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
তৃতীয় দিন ১০ জিলহজ
১০ জিলহজ হজের প্রধান কর্মব্যস্ত দিন। এদিনে হাজিদের পাঁচটি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। যথা:
—মুজদালিফায় অবস্থান: সারা রাত মুজদালিফার খোলা আকাশের নিচে, মরুর বালুর ওপর অবস্থান করতে হয় এবং ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার আগেই মিনার উদ্দেশে রওনা হতে হয়।
—পাথর সংগ্রহ: মিনায় জামরায় (শয়তানকে পাথর মারার জন্য) মুজদালিফায় অবস্থানের সময় রাতে কিংবা সকালে তা সংগ্রহ করে রাখা। জামরার নিকট ব্যতীত অন্য যেকোনো স্থান থেকে তা সংগ্রহ করা যায়।
—পাথর নিক্ষেপ: ১০ তারিখ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরায় সাতটি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করতে হয়।
—কোরবানি করা: বড় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেই মিনায় কোরবানির পশু জবাই করতে হয়।
—মাথা মুণ্ডন করা: কোরবানির পরপরই মাথা ন্যাড়া করার মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হতে হয়। এরপর হাজিরা ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারবে। তবে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম দিন ১১-১২ জিলহজ
জিলহজের ১১ ও ১২ তারিখে মোট তিনটি কাজ করতে হয়। যথা:
—তাওয়াফে জিয়ারত: হজের সর্বশেষ রোকন হলো তাওয়াফে জিয়ারত। ১১–১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে।
—পাথর নিক্ষেপ করা: ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করা এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরায় ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
—মিনায় রাতযাপন ও ত্যাগ: ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগেই মিনা ত্যাগ করতে হয়। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সে রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করতে হয়। উল্লেখ্য, যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারে, তাহলে তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে।
বিদায়ী তাওয়াফ
সারা বিশ্বে থেকে আগত সব হজ পালনকারীর জন্য দেশে রওনা হওয়ার আগে পবিত্র কাবা ত্যাগের আগে বিদায়ী তাওয়াফ করা আবশ্যক। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যেকোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফ হিসেবে আদায় হয়ে যায়।
সূত্র: মানাসিক, গুনিয়াতুন্নাসিক, আদ দূররুল মুখতার, আহকামে হজ ইত্যাদি

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
প্রথম দিন ৮ জিলহজ
জিলহজ মাসের ৮ তারিখে হাজিদের ইহরাম অবস্থায় মিনায় যেতে হয় এবং জোহরের আগেই সেখানে পৌঁছাতে হয়। মিনায় সেদিনের জোহরসহ ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। আর রাতে মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।
দ্বিতীয় দিন ৯ জিলহজ
এদিনটি আরাফাতের দিন হিসেবে পরিচিত। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা থেকে শুরু হয় হজের মূল কার্যক্রম। এদিন চারটি কাজ করতে হয়। যথা:
—ফজরের পর মিনায় গোসল বা অজু করে সকাল সকাল আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করা এবং রওনার সময় তাকবির বলা, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
—জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করা। এটি হজের ফরজ বিধান।
—আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শোনা এবং জোহর ও আসরের নামাজ নির্দিষ্ট সময়ে আলাদাভাবে আদায় করা। তওবা–ইসতেগফার, তাকবির, তাসবিহ, তাহলিল ও রোনাজারিতে আত্মনিয়োগ করা।
—সন্ধ্যায় মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা করা। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে একসঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আদায় করা।
তৃতীয় দিন ১০ জিলহজ
১০ জিলহজ হজের প্রধান কর্মব্যস্ত দিন। এদিনে হাজিদের পাঁচটি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। যথা:
—মুজদালিফায় অবস্থান: সারা রাত মুজদালিফার খোলা আকাশের নিচে, মরুর বালুর ওপর অবস্থান করতে হয় এবং ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার আগেই মিনার উদ্দেশে রওনা হতে হয়।
—পাথর সংগ্রহ: মিনায় জামরায় (শয়তানকে পাথর মারার জন্য) মুজদালিফায় অবস্থানের সময় রাতে কিংবা সকালে তা সংগ্রহ করে রাখা। জামরার নিকট ব্যতীত অন্য যেকোনো স্থান থেকে তা সংগ্রহ করা যায়।
—পাথর নিক্ষেপ: ১০ তারিখ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরায় সাতটি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। আর তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করতে হয়।
—কোরবানি করা: বড় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেই মিনায় কোরবানির পশু জবাই করতে হয়।
—মাথা মুণ্ডন করা: কোরবানির পরপরই মাথা ন্যাড়া করার মাধ্যমে হজের ইহরাম থেকে হালাল হতে হয়। এরপর হাজিরা ইহরামের কাপড় পরিবর্তন করাসহ সব সাধারণ কাজ করতে পারবে। তবে স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।
চতুর্থ ও পঞ্চম দিন ১১-১২ জিলহজ
জিলহজের ১১ ও ১২ তারিখে মোট তিনটি কাজ করতে হয়। যথা:
—তাওয়াফে জিয়ারত: হজের সর্বশেষ রোকন হলো তাওয়াফে জিয়ারত। ১১–১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে হবে। ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে।
—পাথর নিক্ষেপ করা: ১১ ও ১২ জিলহজ প্রতিদিন মিনায় অবস্থান করা এবং ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরায় ৭টি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
—মিনায় রাতযাপন ও ত্যাগ: ১২ তারিখ সূর্য ডোবার আগেই মিনা ত্যাগ করতে হয়। সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে সে রাত (১৩ জিলহজ) মিনায় অবস্থান করতে হয়। উল্লেখ্য, যদি কেউ ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে মিনা ত্যাগ করতে না পারে, তাহলে তাকে ১৩ জিলহজ ৭টি করে আরও ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে।
বিদায়ী তাওয়াফ
সারা বিশ্বে থেকে আগত সব হজ পালনকারীর জন্য দেশে রওনা হওয়ার আগে পবিত্র কাবা ত্যাগের আগে বিদায়ী তাওয়াফ করা আবশ্যক। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যেকোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফ হিসেবে আদায় হয়ে যায়।
সূত্র: মানাসিক, গুনিয়াতুন্নাসিক, আদ দূররুল মুখতার, আহকামে হজ ইত্যাদি

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৯ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
১৪ জুন ২০২৪
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
১৪ জুন ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
১৪ জুন ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৯ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

হজের আনুষ্ঠানিকতা মোট পাঁচ দিনের। ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এদিনগুলোতে হাজিদের ধারাবাহিক কিছু আমল করতে হয়। পাঁচ দিনের কর্মপদ্ধতি ও সংশ্লিষ্ট জরুরি বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে—
১৪ জুন ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
৯ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২১ ঘণ্টা আগে