আমজাদ ইউনুস

পৃথিবীতে যেকোনো ধরনের অনাচার ও বিপর্যয় সৃষ্টি করা একটি ঘৃণিত কাজ। মহান আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় এবং সুস্থ স্বভাবের বিপরীত। বিপর্যয় সৃষ্টি করা, অনিষ্ট করা এবং অন্যায়ভাবে ধ্বংস সাধন করা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। ইসলাম মানবজাতিকে এক উন্নত নৈতিক চরিত্র ও আত্মনিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়। সকল প্রাণীর প্রতি দয়া ও সুবিচার নিশ্চিত করে। কোরআনে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ বিপর্যয়কে পছন্দ করেন না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০৫)
ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা হলো—দয়া, করুণা ও ন্যায়পরায়ণতা। এটি কেবল মানুষের জন্য প্রযোজ্য নয়; বরং পশু-পাখি, কীটপতঙ্গসহ সব সৃষ্টির জন্যও প্রযোজ্য। ইসলাম যেভাবে বিভিন্ন কল্যাণকর কাজে প্রাণী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে, তেমনিভাবে অকারণে বা কোনো উপকার ছাড়া প্রাণী হত্যা নিষেধ করেছে। একই সঙ্গে মানুষের কল্যাণ ও তাদের ক্ষতির প্রতিরোধের ব্যাপারেও যত্নবান থেকেছে।
ইসলাম শুধু মানুষের ন্যায়বিচারের শিক্ষা দেয় না, বরং প্রাণীদের প্রতিও ন্যায়পরায়ণ হওয়ার আদেশ করে। বিনা কারণে প্রাণী হত্যা করা নিষিদ্ধ, এবং আগুন দিয়ে কোনো প্রাণীকে পোড়ানো কঠোরভাবে হারাম। ইসলামের এসব বিধান মানুষকে দয়া, সুবিচার ও সংযমের শিক্ষা দেয়। বিনা কারণে এক নারী বিড়ালকে কষ্ট দেওয়ার কারণে জাহান্নামি হয়েছিল।
ইবনু ওমর (রা.) সূত্রে নবী (সা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে জমিনের পোকা মাকড় খেতে পারত।’
রাসুল (সা.) একবার সাহাবিদের এক নবীর ঘটনা বর্ণনা করেছিলেন। সেই ঘটনা আমাদের নৈতিকতার উচ্চতর স্তরে নিয়ে যায়। দায়িত্ববোধ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের চেতনা জাগিয়ে তোলে। পাশাপাশি ন্যায়ের গুরুত্ব এবং অপরাধের শাস্তির মাত্রার বিষয়টি ফুটে ওঠে। উক্ত ঘটনায় আরও বেশ কিছু শিক্ষা ও উপদেশ পাওয়া যায়। নিচে হাদিসের আলোকে ঘটনাটি তুলে ধরা হলো—
আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নবীগণের মধ্যে কোনো এক নবী একটি গাছের নিচে অবতরণ করেন। এরপর তাঁকে একটি পিঁপড়ায় কামড় দেয়। তিনি তাঁর আসবাবপত্রের ব্যাপারে আদেশ দেন। সেগুলো গাছের নিচ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর তিনি নির্দেশ দিলেন এবং পিঁপড়ার বাসা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হলো। তখন আল্লাহ তাঁর প্রতি অহি নাজিল করলেন—তুমি একটি মাত্র পিঁপড়াকে শাস্তি দিলে না কেন?’ (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ২২১৯)
হাদিস থেকে শিক্ষা
অন্যায়ভাবে প্রাণী হত্যা: কোনো প্রাণীকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা বৈধ নয়, শুধু যদি তা আক্রমণকারী বা ক্ষতিকর হয়, তখন তা মারার অনুমতি রয়েছে।
আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া নিষিদ্ধ: ইসলামের বিধান অনুযায়ী আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়ার অধিকার শুধু আল্লাহর। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আগুনের শাস্তি কেবলমাত্র জাহান্নামের শাস্তি হিসেবেই নির্ধারিত।’ অতএব কোনো মানুষকে বা প্রাণীকে আগুনে পুড়িয়ে মারা বৈধ নয়। পূর্ববর্তী জাতিগুলোতে এটি বৈধ ছিল, তাই হয়তো কোনো নবী আগুন দিয়ে একটি পিপীলিকা জাতিকে ধ্বংস করেছিলেন।
পিঁপড়ার প্রশংসা ও বৈশিষ্ট্য: প্রতিটি প্রাণী মহান আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করে। পিঁপড়াও মহান আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করে (তাসবিহ পাঠ করে)।
প্রাণীদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য: অন্যান্য জাতির মতো পিঁপড়াও মহান আল্লাহর সৃষ্ট এক জাতি। গোষ্ঠীবদ্ধভাবে বসবাস করে এবং একে অপরের প্রতি সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করে।
প্রতিশোধ বা শাস্তির মাত্রা: প্রতিশোধ বা শাস্তির মাত্রা অপরাধের তুলনায় বেশি হওয়া উচিত নয়।

পৃথিবীতে যেকোনো ধরনের অনাচার ও বিপর্যয় সৃষ্টি করা একটি ঘৃণিত কাজ। মহান আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় এবং সুস্থ স্বভাবের বিপরীত। বিপর্যয় সৃষ্টি করা, অনিষ্ট করা এবং অন্যায়ভাবে ধ্বংস সাধন করা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। ইসলাম মানবজাতিকে এক উন্নত নৈতিক চরিত্র ও আত্মনিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়। সকল প্রাণীর প্রতি দয়া ও সুবিচার নিশ্চিত করে। কোরআনে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ বিপর্যয়কে পছন্দ করেন না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০৫)
ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা হলো—দয়া, করুণা ও ন্যায়পরায়ণতা। এটি কেবল মানুষের জন্য প্রযোজ্য নয়; বরং পশু-পাখি, কীটপতঙ্গসহ সব সৃষ্টির জন্যও প্রযোজ্য। ইসলাম যেভাবে বিভিন্ন কল্যাণকর কাজে প্রাণী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে, তেমনিভাবে অকারণে বা কোনো উপকার ছাড়া প্রাণী হত্যা নিষেধ করেছে। একই সঙ্গে মানুষের কল্যাণ ও তাদের ক্ষতির প্রতিরোধের ব্যাপারেও যত্নবান থেকেছে।
ইসলাম শুধু মানুষের ন্যায়বিচারের শিক্ষা দেয় না, বরং প্রাণীদের প্রতিও ন্যায়পরায়ণ হওয়ার আদেশ করে। বিনা কারণে প্রাণী হত্যা করা নিষিদ্ধ, এবং আগুন দিয়ে কোনো প্রাণীকে পোড়ানো কঠোরভাবে হারাম। ইসলামের এসব বিধান মানুষকে দয়া, সুবিচার ও সংযমের শিক্ষা দেয়। বিনা কারণে এক নারী বিড়ালকে কষ্ট দেওয়ার কারণে জাহান্নামি হয়েছিল।
ইবনু ওমর (রা.) সূত্রে নবী (সা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে জমিনের পোকা মাকড় খেতে পারত।’
রাসুল (সা.) একবার সাহাবিদের এক নবীর ঘটনা বর্ণনা করেছিলেন। সেই ঘটনা আমাদের নৈতিকতার উচ্চতর স্তরে নিয়ে যায়। দায়িত্ববোধ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের চেতনা জাগিয়ে তোলে। পাশাপাশি ন্যায়ের গুরুত্ব এবং অপরাধের শাস্তির মাত্রার বিষয়টি ফুটে ওঠে। উক্ত ঘটনায় আরও বেশ কিছু শিক্ষা ও উপদেশ পাওয়া যায়। নিচে হাদিসের আলোকে ঘটনাটি তুলে ধরা হলো—
আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নবীগণের মধ্যে কোনো এক নবী একটি গাছের নিচে অবতরণ করেন। এরপর তাঁকে একটি পিঁপড়ায় কামড় দেয়। তিনি তাঁর আসবাবপত্রের ব্যাপারে আদেশ দেন। সেগুলো গাছের নিচ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর তিনি নির্দেশ দিলেন এবং পিঁপড়ার বাসা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হলো। তখন আল্লাহ তাঁর প্রতি অহি নাজিল করলেন—তুমি একটি মাত্র পিঁপড়াকে শাস্তি দিলে না কেন?’ (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ২২১৯)
হাদিস থেকে শিক্ষা
অন্যায়ভাবে প্রাণী হত্যা: কোনো প্রাণীকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা বৈধ নয়, শুধু যদি তা আক্রমণকারী বা ক্ষতিকর হয়, তখন তা মারার অনুমতি রয়েছে।
আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া নিষিদ্ধ: ইসলামের বিধান অনুযায়ী আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়ার অধিকার শুধু আল্লাহর। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আগুনের শাস্তি কেবলমাত্র জাহান্নামের শাস্তি হিসেবেই নির্ধারিত।’ অতএব কোনো মানুষকে বা প্রাণীকে আগুনে পুড়িয়ে মারা বৈধ নয়। পূর্ববর্তী জাতিগুলোতে এটি বৈধ ছিল, তাই হয়তো কোনো নবী আগুন দিয়ে একটি পিপীলিকা জাতিকে ধ্বংস করেছিলেন।
পিঁপড়ার প্রশংসা ও বৈশিষ্ট্য: প্রতিটি প্রাণী মহান আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করে। পিঁপড়াও মহান আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করে (তাসবিহ পাঠ করে)।
প্রাণীদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য: অন্যান্য জাতির মতো পিঁপড়াও মহান আল্লাহর সৃষ্ট এক জাতি। গোষ্ঠীবদ্ধভাবে বসবাস করে এবং একে অপরের প্রতি সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করে।
প্রতিশোধ বা শাস্তির মাত্রা: প্রতিশোধ বা শাস্তির মাত্রা অপরাধের তুলনায় বেশি হওয়া উচিত নয়।

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

পৃথিবীতে যেকোনো ধরনের অনাচার ও বিপর্যয় সৃষ্টি করা একটি ঘৃণিত কাজ। মহান আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় এবং সুস্থ স্বভাবের বিপরীত। বিপর্যয় সৃষ্টি করা, অনিষ্ট করা এবং অন্যায়ভাবে ধ্বংস সাধন করা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। ইসলাম মানবজাতিকে এক উন্নত নৈতিক চরিত্র ও আত্মনিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়।
১৪ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পৃথিবীতে যেকোনো ধরনের অনাচার ও বিপর্যয় সৃষ্টি করা একটি ঘৃণিত কাজ। মহান আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় এবং সুস্থ স্বভাবের বিপরীত। বিপর্যয় সৃষ্টি করা, অনিষ্ট করা এবং অন্যায়ভাবে ধ্বংস সাধন করা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। ইসলাম মানবজাতিকে এক উন্নত নৈতিক চরিত্র ও আত্মনিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়।
১৪ মার্চ ২০২৫
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

পৃথিবীতে যেকোনো ধরনের অনাচার ও বিপর্যয় সৃষ্টি করা একটি ঘৃণিত কাজ। মহান আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় এবং সুস্থ স্বভাবের বিপরীত। বিপর্যয় সৃষ্টি করা, অনিষ্ট করা এবং অন্যায়ভাবে ধ্বংস সাধন করা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। ইসলাম মানবজাতিকে এক উন্নত নৈতিক চরিত্র ও আত্মনিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়।
১৪ মার্চ ২০২৫
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পৃথিবীতে যেকোনো ধরনের অনাচার ও বিপর্যয় সৃষ্টি করা একটি ঘৃণিত কাজ। মহান আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় এবং সুস্থ স্বভাবের বিপরীত। বিপর্যয় সৃষ্টি করা, অনিষ্ট করা এবং অন্যায়ভাবে ধ্বংস সাধন করা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। ইসলাম মানবজাতিকে এক উন্নত নৈতিক চরিত্র ও আত্মনিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়।
১৪ মার্চ ২০২৫
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে