Ajker Patrika

হাদিসের গল্প: পিঁপড়ার বাসা জ্বালিয়ে দেওয়ায় আল্লাহর অসন্তুষ্টি

আমজাদ ইউনুস 
পিঁপড়ার বাসা জ্বালিয়ে দেওয়ায় আল্লাহ এক সাহাবির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ছবি: সংগৃহীত
পিঁপড়ার বাসা জ্বালিয়ে দেওয়ায় আল্লাহ এক সাহাবির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীতে যেকোনো ধরনের অনাচার ও বিপর্যয় সৃষ্টি করা একটি ঘৃণিত কাজ। মহান আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় এবং সুস্থ স্বভাবের বিপরীত। বিপর্যয় সৃষ্টি করা, অনিষ্ট করা এবং অন্যায়ভাবে ধ্বংস সাধন করা ইসলাম কখনো সমর্থন করে না। ইসলাম মানবজাতিকে এক উন্নত নৈতিক চরিত্র ও আত্মনিয়ন্ত্রণের শিক্ষা দেয়। সকল প্রাণীর প্রতি দয়া ও সুবিচার নিশ্চিত করে। কোরআনে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ বিপর্যয়কে পছন্দ করেন না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০৫)

ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা হলো—দয়া, করুণা ও ন্যায়পরায়ণতা। এটি কেবল মানুষের জন্য প্রযোজ্য নয়; বরং পশু-পাখি, কীটপতঙ্গসহ সব সৃষ্টির জন্যও প্রযোজ্য। ইসলাম যেভাবে বিভিন্ন কল্যাণকর কাজে প্রাণী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে, তেমনিভাবে অকারণে বা কোনো উপকার ছাড়া প্রাণী হত্যা নিষেধ করেছে। একই সঙ্গে মানুষের কল্যাণ ও তাদের ক্ষতির প্রতিরোধের ব্যাপারেও যত্নবান থেকেছে।

ইসলাম শুধু মানুষের ন্যায়বিচারের শিক্ষা দেয় না, বরং প্রাণীদের প্রতিও ন্যায়পরায়ণ হওয়ার আদেশ করে। বিনা কারণে প্রাণী হত্যা করা নিষিদ্ধ, এবং আগুন দিয়ে কোনো প্রাণীকে পোড়ানো কঠোরভাবে হারাম। ইসলামের এসব বিধান মানুষকে দয়া, সুবিচার ও সংযমের শিক্ষা দেয়। বিনা কারণে এক নারী বিড়ালকে কষ্ট দেওয়ার কারণে জাহান্নামি হয়েছিল।

ইবনু ওমর (রা.) সূত্রে নবী (সা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে জমিনের পোকা মাকড় খেতে পারত।’

রাসুল (সা.) একবার সাহাবিদের এক নবীর ঘটনা বর্ণনা করেছিলেন। সেই ঘটনা আমাদের নৈতিকতার উচ্চতর স্তরে নিয়ে যায়। দায়িত্ববোধ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের চেতনা জাগিয়ে তোলে। পাশাপাশি ন্যায়ের গুরুত্ব এবং অপরাধের শাস্তির মাত্রার বিষয়টি ফুটে ওঠে। উক্ত ঘটনায় আরও বেশ কিছু শিক্ষা ও উপদেশ পাওয়া যায়। নিচে হাদিসের আলোকে ঘটনাটি তুলে ধরা হলো—

আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নবীগণের মধ্যে কোনো এক নবী একটি গাছের নিচে অবতরণ করেন। এরপর তাঁকে একটি পিঁপড়ায় কামড় দেয়। তিনি তাঁর আসবাবপত্রের ব্যাপারে আদেশ দেন। সেগুলো গাছের নিচ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর তিনি নির্দেশ দিলেন এবং পিঁপড়ার বাসা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হলো। তখন আল্লাহ তাঁর প্রতি অহি নাজিল করলেন—তুমি একটি মাত্র পিঁপড়াকে শাস্তি দিলে না কেন?’ (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ২২১৯)

হাদিস থেকে শিক্ষা

অন্যায়ভাবে প্রাণী হত্যা: কোনো প্রাণীকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা বৈধ নয়, শুধু যদি তা আক্রমণকারী বা ক্ষতিকর হয়, তখন তা মারার অনুমতি রয়েছে।

আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়া নিষিদ্ধ: ইসলামের বিধান অনুযায়ী আগুন দিয়ে শাস্তি দেওয়ার অধিকার শুধু আল্লাহর। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আগুনের শাস্তি কেবলমাত্র জাহান্নামের শাস্তি হিসেবেই নির্ধারিত।’ অতএব কোনো মানুষকে বা প্রাণীকে আগুনে পুড়িয়ে মারা বৈধ নয়। পূর্ববর্তী জাতিগুলোতে এটি বৈধ ছিল, তাই হয়তো কোনো নবী আগুন দিয়ে একটি পিপীলিকা জাতিকে ধ্বংস করেছিলেন।

পিঁপড়ার প্রশংসা ও বৈশিষ্ট্য: প্রতিটি প্রাণী মহান আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করে। পিঁপড়াও মহান আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করে (তাসবিহ পাঠ করে)।

প্রাণীদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য: অন্যান্য জাতির মতো পিঁপড়াও মহান আল্লাহর সৃষ্ট এক জাতি। গোষ্ঠীবদ্ধভাবে বসবাস করে এবং একে অপরের প্রতি সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করে।

প্রতিশোধ বা শাস্তির মাত্রা: প্রতিশোধ বা শাস্তির মাত্রা অপরাধের তুলনায় বেশি হওয়া উচিত নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জানাজায় নারীদের অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলাম যা বলে

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।

জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)

আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।

জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।

এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য যে সুসংবাদ দিয়েছেন নবীজি (সা.)

আবরার নাঈম 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)

জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।

জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লাশ দেখে যে দোয়া পড়বেন

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)

কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’

এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)

পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’

অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)

হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’

অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রজব মাসে যে দোয়া পড়তেন নবীজি (সা.)

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।

হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)

এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।

রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত