আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত দ্রুত তীব্র হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে তড়িঘড়ি ওয়াশিংটনে ফিরেছেন। এর আগে, তিনি ইরানিদের তাদের রাজধানী তেহরান ‘অবিলম্বে খালি করার’ এক আশঙ্কাজনক সতর্কবার্তা জারি করেন।
কানাডায় চলমান শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে যেতে হবে।’ এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির কারণে তিনি দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরবেন। ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে বলেন, ‘অবশ্যম্ভাবী কিছু কারণে আমাকে তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে।’
ট্রাম্পের মূলত আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত কানাডায় থাকার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার দুপুরের মধ্যেই তিনি ইঙ্গিত দিতে শুরু করেন যে, তাঁর মনোযোগ অন্য কোথাও এবং তিনি ইরান-ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব বিকল্প বিবেচনা করছেন।
কানাডার কানানাস্কিসের রিসোর্ট শহরে জি-৭ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হয়, ইরান আলোচনা টেবিলে আছে। তারা একটি চুক্তি করতে চায়। আমি এখান থেকে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা কিছু একটা করতে যাচ্ছি।’
এই শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের উপস্থিতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিভেদ তৈরি হয়। জোট নেতারা ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্প স্বাক্ষর না করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিভেদ তৈরি হয়। যদিও নথি প্রস্তুতকারী কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, তাঁকে হয়তো শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর করতে রাজি করানো যেতে পারে।
এর কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ইরানের নাগরিকদের উদ্দেশে তাঁর সতর্কবার্তা জারি করেন। তিনি বলেন, ‘সবাইকে অবিলম্বে তেহরান খালি করতে হবে!’ তবে কেন খালি করতে হবে—এর কারণ বলেননি তিনি।
ট্রাম্পের এই বার্তা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের মধ্যে তেহরানকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাপ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি বলে মনে হচ্ছে। একটি সরকারি সূত্র ও এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প স্টিভ উইটকফসহ তাঁর দলের সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন। উইটকফ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত। সূত্র দুটি বলছেন, ট্রাম্প জরুরি ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে চাইছেন যে—ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত সমাধানে ইরান কূটনীতিতে কতটা আন্তরিক।
গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর থেকে ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলে আসছেন, ইরানের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য আলোচনায় বসা। পাশাপাশি তিনি গোপনে তাঁর দলকে ইরান ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের লাইন খোলা রাখতে উৎসাহিত করছেন।
জি-৭ সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্প তাঁর সমকক্ষদের বলেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি অর্জনে আলোচনা চলছে। তিনি ইঙ্গিত দেন, তিনি চান মার্কিন কর্মকর্তারা এ সপ্তাহেই তাদের ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করুক। এক মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, যদিও এখনো কিছুই ঠিক হয়নি, তবে ইসরায়েল ও ইরান সঠিক পথেই এগোচ্ছে। ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, ইরান সোমবার দিনের শুরুর দিকে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল।
তবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ট্রাম্প কোন পথে এগোবেন সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা দেননি ট্রাম্প। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, আরও আরও মার্কিন সামরিক সম্পদ মোতায়েনের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের চেষ্টা করবেন কি না—তা নিয়েও তিনি কিছু বলেননি।
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হোয়াইট হাউস জোর দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ইরান আক্রমণে যোগ দেয়নি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যালেক্স ফেইফার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘মার্কিন বাহিনী তাদের আত্মরক্ষামূলক অবস্থান বজায় রেখেছে এবং তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমরা আমেরিকান স্বার্থ রক্ষা করব।’
পারস্য উপসাগর অঞ্চলের একটি দেশের কূটনীতিকের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন রোববার আঞ্চলিক অংশীদারদের জানায় যে, ইরান যদি মার্কিন স্বার্থে আঘাত না করে, তাহলে তারা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে জড়িত হবে না। সোমবার রাত পর্যন্ত এই বার্তায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, ট্রাম্প তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তাদের ওয়াশিংটনের সিচুয়েশন রুমে একত্র হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে একত্র হতে বলেছেন না কি ডিসিতে ফেরার পর উপস্থিত থাকতে বলেছেন, তা জানা যায়নি।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার দিনের শুরুর দিকে বেশ কয়েকজন শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে আসতে দেখা যায়। যাদের মধ্যে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান রেইজিন কেইনও ছিলেন।
এদিকে কানাডায়, মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের ইউরোপীয় সমকক্ষদের ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছেন যে—ট্রাম্প সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানিয়ে জি-৭ নেতাদের বিবৃতিতে যোগ দেবেন না। এটি শীর্ষ সম্মেলন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সমকক্ষদের সঙ্গে একটি তাৎক্ষণিক বিভেদ তৈরি করেছে।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের তৈরি করা খসড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ ম্যার্ৎজ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নেতাদের মধ্যে ঐকমত্য চূড়ান্ত করার আশা করেছিলেন।
যৌথ বিবৃতি সম্পর্কে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন।’
হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প মনে করেন, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে যা বলেছেন, তাতে এই মুহূর্তে বিবৃতিতে স্বাক্ষরের কোনো কারণ নেই। বিবৃতিতে বিশ্বনেতাদের মধ্যে ঐক্য প্রদর্শিত হবে কিনা জানতে চাইলে ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, অন্য নেতাদের অনুরোধে ট্রাম্পের সম্মেলনে উপস্থিতিই তাঁর ঐক্য প্রদর্শন।
এদিকে, সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, তাঁর লক্ষ্য হলো ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করে তা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, ‘আমি ইরানে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র দেখতে চাই না, এবং আমরা তা নিশ্চিত করার পথে অনেকটাই এগিয়েছি।’
ইসরায়েল মার্কিন সাহায্য ছাড়াই ইরানের পারমাণবিক হুমকি দমন করতে পারবে কি না—জানতে চাইলে ট্রাম্প জবাব দেন, ‘এটা অপ্রাসঙ্গিক। কিছু একটা ঘটবে।’ সোমবার দিনের শুরুতে শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে তার সংঘাত কমাতে চায়।
কার্নির সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেন, ‘তারা (ইরান) কথা বলতে চায়, কিন্তু তাদের আগেই তা করা উচিত ছিল। আমার ৬০ দিন ছিল এবং তাদের ৬০ দিন ছিল। ৬১ তম দিনে আমি বলেছিলাম, আমাদের কোনো চুক্তি হয়নি। তাদের একটি চুক্তি করতে হবে এবং এটি উভয় পক্ষের জন্য বেদনাদায়ক। কিন্তু আমি বলব ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না এবং তাদের কথা বলা উচিত এবং খুব দেরি হয়ে যাওয়ার আগে তাদের অবিলম্বে কথা বলা উচিত।’
ট্রাম্প কিছুদিন আগে ইরানকে পারমাণবিক চুক্তি করার জন্য দুই মাসের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন অন্যথায় পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন। সেই আল্টিমেটামের ৬১ তম দিনে অর্থাৎ শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সামরিক নেতারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট সংঘাতে মার্কিন সামরিক জড়িত হবে কি না সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সে সম্পর্কে কথা বলতে চাই না।’ যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কী গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি অস্পষ্ট জবাব দেন।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের কাছে স্পষ্ট নয় যে, ইসরায়েলের হামলার মাত্রা ও পরিধি বিবেচনা করে ট্রাম্প কেন আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েলের ওপর মার্কিন প্রভাব বিবেচনা করে জি-৭ এর অন্যান্য নেতারা জানতে চান যে, যুক্তরাষ্ট্র কত দিন ধরে সংঘাত চালিয়ে যেতে দেবে অথবা ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর উত্তেজনা কমানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন কিনা। কিন্তু ট্রাম্প সেখানেও অস্পষ্ট জবাব দেন।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত দ্রুত তীব্র হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে তড়িঘড়ি ওয়াশিংটনে ফিরেছেন। এর আগে, তিনি ইরানিদের তাদের রাজধানী তেহরান ‘অবিলম্বে খালি করার’ এক আশঙ্কাজনক সতর্কবার্তা জারি করেন।
কানাডায় চলমান শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে যেতে হবে।’ এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির কারণে তিনি দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরবেন। ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে বলেন, ‘অবশ্যম্ভাবী কিছু কারণে আমাকে তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে।’
ট্রাম্পের মূলত আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত কানাডায় থাকার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার দুপুরের মধ্যেই তিনি ইঙ্গিত দিতে শুরু করেন যে, তাঁর মনোযোগ অন্য কোথাও এবং তিনি ইরান-ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব বিকল্প বিবেচনা করছেন।
কানাডার কানানাস্কিসের রিসোর্ট শহরে জি-৭ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হয়, ইরান আলোচনা টেবিলে আছে। তারা একটি চুক্তি করতে চায়। আমি এখান থেকে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা কিছু একটা করতে যাচ্ছি।’
এই শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের উপস্থিতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিভেদ তৈরি হয়। জোট নেতারা ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্প স্বাক্ষর না করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিভেদ তৈরি হয়। যদিও নথি প্রস্তুতকারী কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, তাঁকে হয়তো শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর করতে রাজি করানো যেতে পারে।
এর কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ইরানের নাগরিকদের উদ্দেশে তাঁর সতর্কবার্তা জারি করেন। তিনি বলেন, ‘সবাইকে অবিলম্বে তেহরান খালি করতে হবে!’ তবে কেন খালি করতে হবে—এর কারণ বলেননি তিনি।
ট্রাম্পের এই বার্তা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের মধ্যে তেহরানকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাপ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি বলে মনে হচ্ছে। একটি সরকারি সূত্র ও এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প স্টিভ উইটকফসহ তাঁর দলের সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন। উইটকফ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত। সূত্র দুটি বলছেন, ট্রাম্প জরুরি ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে চাইছেন যে—ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত সমাধানে ইরান কূটনীতিতে কতটা আন্তরিক।
গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর থেকে ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলে আসছেন, ইরানের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য আলোচনায় বসা। পাশাপাশি তিনি গোপনে তাঁর দলকে ইরান ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের লাইন খোলা রাখতে উৎসাহিত করছেন।
জি-৭ সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্প তাঁর সমকক্ষদের বলেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি অর্জনে আলোচনা চলছে। তিনি ইঙ্গিত দেন, তিনি চান মার্কিন কর্মকর্তারা এ সপ্তাহেই তাদের ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করুক। এক মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, যদিও এখনো কিছুই ঠিক হয়নি, তবে ইসরায়েল ও ইরান সঠিক পথেই এগোচ্ছে। ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, ইরান সোমবার দিনের শুরুর দিকে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল।
তবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ট্রাম্প কোন পথে এগোবেন সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা দেননি ট্রাম্প। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, আরও আরও মার্কিন সামরিক সম্পদ মোতায়েনের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের চেষ্টা করবেন কি না—তা নিয়েও তিনি কিছু বলেননি।
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হোয়াইট হাউস জোর দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ইরান আক্রমণে যোগ দেয়নি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যালেক্স ফেইফার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘মার্কিন বাহিনী তাদের আত্মরক্ষামূলক অবস্থান বজায় রেখেছে এবং তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমরা আমেরিকান স্বার্থ রক্ষা করব।’
পারস্য উপসাগর অঞ্চলের একটি দেশের কূটনীতিকের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন রোববার আঞ্চলিক অংশীদারদের জানায় যে, ইরান যদি মার্কিন স্বার্থে আঘাত না করে, তাহলে তারা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে জড়িত হবে না। সোমবার রাত পর্যন্ত এই বার্তায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, ট্রাম্প তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তাদের ওয়াশিংটনের সিচুয়েশন রুমে একত্র হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে একত্র হতে বলেছেন না কি ডিসিতে ফেরার পর উপস্থিত থাকতে বলেছেন, তা জানা যায়নি।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার দিনের শুরুর দিকে বেশ কয়েকজন শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে আসতে দেখা যায়। যাদের মধ্যে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান রেইজিন কেইনও ছিলেন।
এদিকে কানাডায়, মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের ইউরোপীয় সমকক্ষদের ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছেন যে—ট্রাম্প সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানিয়ে জি-৭ নেতাদের বিবৃতিতে যোগ দেবেন না। এটি শীর্ষ সম্মেলন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সমকক্ষদের সঙ্গে একটি তাৎক্ষণিক বিভেদ তৈরি করেছে।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের তৈরি করা খসড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ ম্যার্ৎজ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নেতাদের মধ্যে ঐকমত্য চূড়ান্ত করার আশা করেছিলেন।
যৌথ বিবৃতি সম্পর্কে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন।’
হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প মনে করেন, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে যা বলেছেন, তাতে এই মুহূর্তে বিবৃতিতে স্বাক্ষরের কোনো কারণ নেই। বিবৃতিতে বিশ্বনেতাদের মধ্যে ঐক্য প্রদর্শিত হবে কিনা জানতে চাইলে ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, অন্য নেতাদের অনুরোধে ট্রাম্পের সম্মেলনে উপস্থিতিই তাঁর ঐক্য প্রদর্শন।
এদিকে, সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, তাঁর লক্ষ্য হলো ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করে তা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, ‘আমি ইরানে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র দেখতে চাই না, এবং আমরা তা নিশ্চিত করার পথে অনেকটাই এগিয়েছি।’
ইসরায়েল মার্কিন সাহায্য ছাড়াই ইরানের পারমাণবিক হুমকি দমন করতে পারবে কি না—জানতে চাইলে ট্রাম্প জবাব দেন, ‘এটা অপ্রাসঙ্গিক। কিছু একটা ঘটবে।’ সোমবার দিনের শুরুতে শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে তার সংঘাত কমাতে চায়।
কার্নির সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেন, ‘তারা (ইরান) কথা বলতে চায়, কিন্তু তাদের আগেই তা করা উচিত ছিল। আমার ৬০ দিন ছিল এবং তাদের ৬০ দিন ছিল। ৬১ তম দিনে আমি বলেছিলাম, আমাদের কোনো চুক্তি হয়নি। তাদের একটি চুক্তি করতে হবে এবং এটি উভয় পক্ষের জন্য বেদনাদায়ক। কিন্তু আমি বলব ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না এবং তাদের কথা বলা উচিত এবং খুব দেরি হয়ে যাওয়ার আগে তাদের অবিলম্বে কথা বলা উচিত।’
ট্রাম্প কিছুদিন আগে ইরানকে পারমাণবিক চুক্তি করার জন্য দুই মাসের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন অন্যথায় পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন। সেই আল্টিমেটামের ৬১ তম দিনে অর্থাৎ শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সামরিক নেতারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট সংঘাতে মার্কিন সামরিক জড়িত হবে কি না সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সে সম্পর্কে কথা বলতে চাই না।’ যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কী গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি অস্পষ্ট জবাব দেন।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের কাছে স্পষ্ট নয় যে, ইসরায়েলের হামলার মাত্রা ও পরিধি বিবেচনা করে ট্রাম্প কেন আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েলের ওপর মার্কিন প্রভাব বিবেচনা করে জি-৭ এর অন্যান্য নেতারা জানতে চান যে, যুক্তরাষ্ট্র কত দিন ধরে সংঘাত চালিয়ে যেতে দেবে অথবা ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর উত্তেজনা কমানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন কিনা। কিন্তু ট্রাম্প সেখানেও অস্পষ্ট জবাব দেন।
তথ্যসূত্র: সিএনএন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত দ্রুত তীব্র হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে তড়িঘড়ি ওয়াশিংটনে ফিরেছেন। এর আগে, তিনি ইরানিদের তাদের রাজধানী তেহরান ‘অবিলম্বে খালি করার’ এক আশঙ্কাজনক সতর্কবার্তা জারি করেন।
কানাডায় চলমান শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে যেতে হবে।’ এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির কারণে তিনি দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরবেন। ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে বলেন, ‘অবশ্যম্ভাবী কিছু কারণে আমাকে তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে।’
ট্রাম্পের মূলত আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত কানাডায় থাকার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার দুপুরের মধ্যেই তিনি ইঙ্গিত দিতে শুরু করেন যে, তাঁর মনোযোগ অন্য কোথাও এবং তিনি ইরান-ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব বিকল্প বিবেচনা করছেন।
কানাডার কানানাস্কিসের রিসোর্ট শহরে জি-৭ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হয়, ইরান আলোচনা টেবিলে আছে। তারা একটি চুক্তি করতে চায়। আমি এখান থেকে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা কিছু একটা করতে যাচ্ছি।’
এই শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের উপস্থিতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিভেদ তৈরি হয়। জোট নেতারা ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্প স্বাক্ষর না করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিভেদ তৈরি হয়। যদিও নথি প্রস্তুতকারী কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, তাঁকে হয়তো শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর করতে রাজি করানো যেতে পারে।
এর কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ইরানের নাগরিকদের উদ্দেশে তাঁর সতর্কবার্তা জারি করেন। তিনি বলেন, ‘সবাইকে অবিলম্বে তেহরান খালি করতে হবে!’ তবে কেন খালি করতে হবে—এর কারণ বলেননি তিনি।
ট্রাম্পের এই বার্তা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের মধ্যে তেহরানকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাপ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি বলে মনে হচ্ছে। একটি সরকারি সূত্র ও এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প স্টিভ উইটকফসহ তাঁর দলের সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন। উইটকফ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত। সূত্র দুটি বলছেন, ট্রাম্প জরুরি ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে চাইছেন যে—ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত সমাধানে ইরান কূটনীতিতে কতটা আন্তরিক।
গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর থেকে ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলে আসছেন, ইরানের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য আলোচনায় বসা। পাশাপাশি তিনি গোপনে তাঁর দলকে ইরান ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের লাইন খোলা রাখতে উৎসাহিত করছেন।
জি-৭ সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্প তাঁর সমকক্ষদের বলেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি অর্জনে আলোচনা চলছে। তিনি ইঙ্গিত দেন, তিনি চান মার্কিন কর্মকর্তারা এ সপ্তাহেই তাদের ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করুক। এক মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, যদিও এখনো কিছুই ঠিক হয়নি, তবে ইসরায়েল ও ইরান সঠিক পথেই এগোচ্ছে। ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, ইরান সোমবার দিনের শুরুর দিকে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল।
তবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ট্রাম্প কোন পথে এগোবেন সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা দেননি ট্রাম্প। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, আরও আরও মার্কিন সামরিক সম্পদ মোতায়েনের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের চেষ্টা করবেন কি না—তা নিয়েও তিনি কিছু বলেননি।
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হোয়াইট হাউস জোর দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ইরান আক্রমণে যোগ দেয়নি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যালেক্স ফেইফার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘মার্কিন বাহিনী তাদের আত্মরক্ষামূলক অবস্থান বজায় রেখেছে এবং তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমরা আমেরিকান স্বার্থ রক্ষা করব।’
পারস্য উপসাগর অঞ্চলের একটি দেশের কূটনীতিকের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন রোববার আঞ্চলিক অংশীদারদের জানায় যে, ইরান যদি মার্কিন স্বার্থে আঘাত না করে, তাহলে তারা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে জড়িত হবে না। সোমবার রাত পর্যন্ত এই বার্তায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, ট্রাম্প তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তাদের ওয়াশিংটনের সিচুয়েশন রুমে একত্র হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে একত্র হতে বলেছেন না কি ডিসিতে ফেরার পর উপস্থিত থাকতে বলেছেন, তা জানা যায়নি।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার দিনের শুরুর দিকে বেশ কয়েকজন শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে আসতে দেখা যায়। যাদের মধ্যে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান রেইজিন কেইনও ছিলেন।
এদিকে কানাডায়, মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের ইউরোপীয় সমকক্ষদের ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছেন যে—ট্রাম্প সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানিয়ে জি-৭ নেতাদের বিবৃতিতে যোগ দেবেন না। এটি শীর্ষ সম্মেলন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সমকক্ষদের সঙ্গে একটি তাৎক্ষণিক বিভেদ তৈরি করেছে।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের তৈরি করা খসড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ ম্যার্ৎজ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নেতাদের মধ্যে ঐকমত্য চূড়ান্ত করার আশা করেছিলেন।
যৌথ বিবৃতি সম্পর্কে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন।’
হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প মনে করেন, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে যা বলেছেন, তাতে এই মুহূর্তে বিবৃতিতে স্বাক্ষরের কোনো কারণ নেই। বিবৃতিতে বিশ্বনেতাদের মধ্যে ঐক্য প্রদর্শিত হবে কিনা জানতে চাইলে ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, অন্য নেতাদের অনুরোধে ট্রাম্পের সম্মেলনে উপস্থিতিই তাঁর ঐক্য প্রদর্শন।
এদিকে, সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, তাঁর লক্ষ্য হলো ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করে তা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, ‘আমি ইরানে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র দেখতে চাই না, এবং আমরা তা নিশ্চিত করার পথে অনেকটাই এগিয়েছি।’
ইসরায়েল মার্কিন সাহায্য ছাড়াই ইরানের পারমাণবিক হুমকি দমন করতে পারবে কি না—জানতে চাইলে ট্রাম্প জবাব দেন, ‘এটা অপ্রাসঙ্গিক। কিছু একটা ঘটবে।’ সোমবার দিনের শুরুতে শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে তার সংঘাত কমাতে চায়।
কার্নির সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেন, ‘তারা (ইরান) কথা বলতে চায়, কিন্তু তাদের আগেই তা করা উচিত ছিল। আমার ৬০ দিন ছিল এবং তাদের ৬০ দিন ছিল। ৬১ তম দিনে আমি বলেছিলাম, আমাদের কোনো চুক্তি হয়নি। তাদের একটি চুক্তি করতে হবে এবং এটি উভয় পক্ষের জন্য বেদনাদায়ক। কিন্তু আমি বলব ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না এবং তাদের কথা বলা উচিত এবং খুব দেরি হয়ে যাওয়ার আগে তাদের অবিলম্বে কথা বলা উচিত।’
ট্রাম্প কিছুদিন আগে ইরানকে পারমাণবিক চুক্তি করার জন্য দুই মাসের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন অন্যথায় পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন। সেই আল্টিমেটামের ৬১ তম দিনে অর্থাৎ শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সামরিক নেতারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট সংঘাতে মার্কিন সামরিক জড়িত হবে কি না সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সে সম্পর্কে কথা বলতে চাই না।’ যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কী গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি অস্পষ্ট জবাব দেন।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের কাছে স্পষ্ট নয় যে, ইসরায়েলের হামলার মাত্রা ও পরিধি বিবেচনা করে ট্রাম্প কেন আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েলের ওপর মার্কিন প্রভাব বিবেচনা করে জি-৭ এর অন্যান্য নেতারা জানতে চান যে, যুক্তরাষ্ট্র কত দিন ধরে সংঘাত চালিয়ে যেতে দেবে অথবা ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর উত্তেজনা কমানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন কিনা। কিন্তু ট্রাম্প সেখানেও অস্পষ্ট জবাব দেন।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত দ্রুত তীব্র হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে তড়িঘড়ি ওয়াশিংটনে ফিরেছেন। এর আগে, তিনি ইরানিদের তাদের রাজধানী তেহরান ‘অবিলম্বে খালি করার’ এক আশঙ্কাজনক সতর্কবার্তা জারি করেন।
কানাডায় চলমান শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে যেতে হবে।’ এর আগে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির কারণে তিনি দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরবেন। ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে বলেন, ‘অবশ্যম্ভাবী কিছু কারণে আমাকে তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে।’
ট্রাম্পের মূলত আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত কানাডায় থাকার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার দুপুরের মধ্যেই তিনি ইঙ্গিত দিতে শুরু করেন যে, তাঁর মনোযোগ অন্য কোথাও এবং তিনি ইরান-ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব বিকল্প বিবেচনা করছেন।
কানাডার কানানাস্কিসের রিসোর্ট শহরে জি-৭ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হয়, ইরান আলোচনা টেবিলে আছে। তারা একটি চুক্তি করতে চায়। আমি এখান থেকে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা কিছু একটা করতে যাচ্ছি।’
এই শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের উপস্থিতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিভেদ তৈরি হয়। জোট নেতারা ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে ট্রাম্প স্বাক্ষর না করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিভেদ তৈরি হয়। যদিও নথি প্রস্তুতকারী কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, তাঁকে হয়তো শেষ পর্যন্ত স্বাক্ষর করতে রাজি করানো যেতে পারে।
এর কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ইরানের নাগরিকদের উদ্দেশে তাঁর সতর্কবার্তা জারি করেন। তিনি বলেন, ‘সবাইকে অবিলম্বে তেহরান খালি করতে হবে!’ তবে কেন খালি করতে হবে—এর কারণ বলেননি তিনি।
ট্রাম্পের এই বার্তা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের মধ্যে তেহরানকে আলোচনার টেবিলে আনতে চাপ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে তৈরি বলে মনে হচ্ছে। একটি সরকারি সূত্র ও এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প স্টিভ উইটকফসহ তাঁর দলের সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন। উইটকফ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত। সূত্র দুটি বলছেন, ট্রাম্প জরুরি ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে চাইছেন যে—ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত সমাধানে ইরান কূটনীতিতে কতটা আন্তরিক।
গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর থেকে ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলে আসছেন, ইরানের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য আলোচনায় বসা। পাশাপাশি তিনি গোপনে তাঁর দলকে ইরান ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের লাইন খোলা রাখতে উৎসাহিত করছেন।
জি-৭ সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্প তাঁর সমকক্ষদের বলেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি অর্জনে আলোচনা চলছে। তিনি ইঙ্গিত দেন, তিনি চান মার্কিন কর্মকর্তারা এ সপ্তাহেই তাদের ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করুক। এক মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন, যদিও এখনো কিছুই ঠিক হয়নি, তবে ইসরায়েল ও ইরান সঠিক পথেই এগোচ্ছে। ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, ইরান সোমবার দিনের শুরুর দিকে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল।
তবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ট্রাম্প কোন পথে এগোবেন সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা দেননি ট্রাম্প। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, আরও আরও মার্কিন সামরিক সম্পদ মোতায়েনের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের চেষ্টা করবেন কি না—তা নিয়েও তিনি কিছু বলেননি।
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হোয়াইট হাউস জোর দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ইরান আক্রমণে যোগ দেয়নি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যালেক্স ফেইফার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘মার্কিন বাহিনী তাদের আত্মরক্ষামূলক অবস্থান বজায় রেখেছে এবং তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমরা আমেরিকান স্বার্থ রক্ষা করব।’
পারস্য উপসাগর অঞ্চলের একটি দেশের কূটনীতিকের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন রোববার আঞ্চলিক অংশীদারদের জানায় যে, ইরান যদি মার্কিন স্বার্থে আঘাত না করে, তাহলে তারা ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে জড়িত হবে না। সোমবার রাত পর্যন্ত এই বার্তায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, ট্রাম্প তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্মকর্তাদের ওয়াশিংটনের সিচুয়েশন রুমে একত্র হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে একত্র হতে বলেছেন না কি ডিসিতে ফেরার পর উপস্থিত থাকতে বলেছেন, তা জানা যায়নি।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার দিনের শুরুর দিকে বেশ কয়েকজন শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ে আসতে দেখা যায়। যাদের মধ্যে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান রেইজিন কেইনও ছিলেন।
এদিকে কানাডায়, মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের ইউরোপীয় সমকক্ষদের ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছেন যে—ট্রাম্প সংঘাত নিরসনের আহ্বান জানিয়ে জি-৭ নেতাদের বিবৃতিতে যোগ দেবেন না। এটি শীর্ষ সম্মেলন শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সমকক্ষদের সঙ্গে একটি তাৎক্ষণিক বিভেদ তৈরি করেছে।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের তৈরি করা খসড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে এবং ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ ম্যার্ৎজ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নেতাদের মধ্যে ঐকমত্য চূড়ান্ত করার আশা করেছিলেন।
যৌথ বিবৃতি সম্পর্কে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শক্তিশালী নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে শান্তি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন।’
হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প মনে করেন, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে তিনি প্রকাশ্যে যা বলেছেন, তাতে এই মুহূর্তে বিবৃতিতে স্বাক্ষরের কোনো কারণ নেই। বিবৃতিতে বিশ্বনেতাদের মধ্যে ঐক্য প্রদর্শিত হবে কিনা জানতে চাইলে ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, অন্য নেতাদের অনুরোধে ট্রাম্পের সম্মেলনে উপস্থিতিই তাঁর ঐক্য প্রদর্শন।
এদিকে, সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, তাঁর লক্ষ্য হলো ইরান যেন পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করে তা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, ‘আমি ইরানে কোনো পারমাণবিক অস্ত্র দেখতে চাই না, এবং আমরা তা নিশ্চিত করার পথে অনেকটাই এগিয়েছি।’
ইসরায়েল মার্কিন সাহায্য ছাড়াই ইরানের পারমাণবিক হুমকি দমন করতে পারবে কি না—জানতে চাইলে ট্রাম্প জবাব দেন, ‘এটা অপ্রাসঙ্গিক। কিছু একটা ঘটবে।’ সোমবার দিনের শুরুতে শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে তার সংঘাত কমাতে চায়।
কার্নির সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেন, ‘তারা (ইরান) কথা বলতে চায়, কিন্তু তাদের আগেই তা করা উচিত ছিল। আমার ৬০ দিন ছিল এবং তাদের ৬০ দিন ছিল। ৬১ তম দিনে আমি বলেছিলাম, আমাদের কোনো চুক্তি হয়নি। তাদের একটি চুক্তি করতে হবে এবং এটি উভয় পক্ষের জন্য বেদনাদায়ক। কিন্তু আমি বলব ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না এবং তাদের কথা বলা উচিত এবং খুব দেরি হয়ে যাওয়ার আগে তাদের অবিলম্বে কথা বলা উচিত।’
ট্রাম্প কিছুদিন আগে ইরানকে পারমাণবিক চুক্তি করার জন্য দুই মাসের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন অন্যথায় পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন। সেই আল্টিমেটামের ৬১ তম দিনে অর্থাৎ শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সামরিক নেতারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট সংঘাতে মার্কিন সামরিক জড়িত হবে কি না সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সে সম্পর্কে কথা বলতে চাই না।’ যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কী গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলেও তিনি অস্পষ্ট জবাব দেন।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের কাছে স্পষ্ট নয় যে, ইসরায়েলের হামলার মাত্রা ও পরিধি বিবেচনা করে ট্রাম্প কেন আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। কর্মকর্তারা বলেন, ইসরায়েলের ওপর মার্কিন প্রভাব বিবেচনা করে জি-৭ এর অন্যান্য নেতারা জানতে চান যে, যুক্তরাষ্ট্র কত দিন ধরে সংঘাত চালিয়ে যেতে দেবে অথবা ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর উত্তেজনা কমানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন কিনা। কিন্তু ট্রাম্প সেখানেও অস্পষ্ট জবাব দেন।
তথ্যসূত্র: সিএনএন

সনদ নিতে আসা এক নারী চিকিৎসকের মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে এই বিতর্কে নীতীশের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা। পরে এ বিষয়ে ব
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অভিবাসনে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা বড় হয়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ও আরও পাঁচটি দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
১৪ ঘণ্টা আগে
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সনদ নিতে আসা এক নারী চিকিৎসকের মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে এই বিতর্কে নীতীশের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা। পরে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন সঞ্জয় নিষাদ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ভারত সংবাদ’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিষাদ বলেন, সঠিক ব্যক্তির হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে কি না যাচাই করতে নীতীশ কুমার ওই নারীর নিকাব সরিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি শরীরের অন্য কোনো অংশে স্পর্শ করতেন, তাহলে ঘটনাটি কীভাবে দেখা হতো।
সাক্ষাৎকারে নিষাদকে বলতে শোনা যায়, ‘নিকাব টেনে নেওয়া হয়নি, সরানো হয়েছে। যাচাই করার জন্যই এটি করা হয়েছে, যাতে সঠিক ব্যক্তিকেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এ নিয়ে মানুষের হৈচৈ করা উচিত নয়। তিনিও তো একজন মানুষ। তাঁর পেছনে লেগে থাকা ঠিক নয়। শুধু নিকাব ছুঁয়েছেন বলেই এত কিছু হয়ে গেল। অন্য কোথাও ছুঁলে তাহলে কী হতো?’
সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করার সময় মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদকে হাসতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় সঞ্জয় নিষাদের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রিণাতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘উত্তর প্রদেশ সরকারের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ হাসতে হাসতে এই নির্লজ্জ কথাগুলো বলেছেন। যেভাবে এবং যে কুটিল হাসি দিয়ে তিনি কথা বলছেন, তা তাঁর ঘৃণ্য, অযৌক্তিক ও নারীবিদ্বেষী মানসিকতাই প্রকাশ করে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাটনায় এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে সনদপত্র তুলে দিচ্ছেন ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
বিরোধীরা এই ঘটনাকে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা এক নারীর প্রকাশ্য হয়রানি ছাড়া আর কিছু নয় বলে নিন্দা জানিয়েছে।
নীতীশের ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেত্রী সুপ্রিয়া। তিনি একে ‘ঘৃণ্য, অযৌক্তিক ও নারীবিদ্বেষী মানসিকতার’ বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন।
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এদিকে বিতর্কের মুখে পড়ে পরে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন সঞ্জয় নিষাদ। তিনি বলেন, ‘যে বক্তব্যকে ঘিরে আজ বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে, সেটি আমি হাসতে হাসতে, খুব সাধারণভাবে এবং আমার স্থানীয় ভোজপুরি ভাষায় বলেছিলাম। কোনো সম্প্রদায়, কোনো নারী বা কোনো ধর্মের প্রতি আমার কোনো কু-উদ্দেশ্য ছিল না। কাউকে অপমান করারও কোনো ইচ্ছা ছিল না।’ পিটিআইকে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা জানান নিষাদ।
যোগী আদিত্যনাথের দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তিনি ২০২১ সাল থেকে উত্তর প্রদেশ বিধান পরিষদের সদস্য। নিষাদ সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে তিনি ২০১৬ সালে নিষাদ পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন।

সনদ নিতে আসা এক নারী চিকিৎসকের মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে এই বিতর্কে নীতীশের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা। পরে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন সঞ্জয় নিষাদ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ভারত সংবাদ’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিষাদ বলেন, সঠিক ব্যক্তির হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে কি না যাচাই করতে নীতীশ কুমার ওই নারীর নিকাব সরিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি শরীরের অন্য কোনো অংশে স্পর্শ করতেন, তাহলে ঘটনাটি কীভাবে দেখা হতো।
সাক্ষাৎকারে নিষাদকে বলতে শোনা যায়, ‘নিকাব টেনে নেওয়া হয়নি, সরানো হয়েছে। যাচাই করার জন্যই এটি করা হয়েছে, যাতে সঠিক ব্যক্তিকেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এ নিয়ে মানুষের হৈচৈ করা উচিত নয়। তিনিও তো একজন মানুষ। তাঁর পেছনে লেগে থাকা ঠিক নয়। শুধু নিকাব ছুঁয়েছেন বলেই এত কিছু হয়ে গেল। অন্য কোথাও ছুঁলে তাহলে কী হতো?’
সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করার সময় মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদকে হাসতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় সঞ্জয় নিষাদের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রিণাতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘উত্তর প্রদেশ সরকারের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ হাসতে হাসতে এই নির্লজ্জ কথাগুলো বলেছেন। যেভাবে এবং যে কুটিল হাসি দিয়ে তিনি কথা বলছেন, তা তাঁর ঘৃণ্য, অযৌক্তিক ও নারীবিদ্বেষী মানসিকতাই প্রকাশ করে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাটনায় এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে সনদপত্র তুলে দিচ্ছেন ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
বিরোধীরা এই ঘটনাকে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা এক নারীর প্রকাশ্য হয়রানি ছাড়া আর কিছু নয় বলে নিন্দা জানিয়েছে।
নীতীশের ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেত্রী সুপ্রিয়া। তিনি একে ‘ঘৃণ্য, অযৌক্তিক ও নারীবিদ্বেষী মানসিকতার’ বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন।
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এদিকে বিতর্কের মুখে পড়ে পরে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন সঞ্জয় নিষাদ। তিনি বলেন, ‘যে বক্তব্যকে ঘিরে আজ বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে, সেটি আমি হাসতে হাসতে, খুব সাধারণভাবে এবং আমার স্থানীয় ভোজপুরি ভাষায় বলেছিলাম। কোনো সম্প্রদায়, কোনো নারী বা কোনো ধর্মের প্রতি আমার কোনো কু-উদ্দেশ্য ছিল না। কাউকে অপমান করারও কোনো ইচ্ছা ছিল না।’ পিটিআইকে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা জানান নিষাদ।
যোগী আদিত্যনাথের দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তিনি ২০২১ সাল থেকে উত্তর প্রদেশ বিধান পরিষদের সদস্য। নিষাদ সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে তিনি ২০১৬ সালে নিষাদ পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত দ্রুত তীব্র হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে তড়িঘড়ি ওয়াশিংটনে ফিরেছেন। এর আগে, তিনি ইরানিদের তাদের রাজধানী তেহরান ‘অবিলম্বে খালি করার’ এক আশঙ্কাজনক সতর্কবার্তা জারি করেন।
১৭ জুন ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অভিবাসনে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা বড় হয়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ও আরও পাঁচটি দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
১৪ ঘণ্টা আগে
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অভিবাসনে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা বড় হয়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ও আরও পাঁচটি দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নতুন ঘোষণায় আরও পাঁচটি দেশকে যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা নথিতে ভ্রমণকারীদেরও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ১৫টি দেশের ক্ষেত্রে নতুন করে ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।
প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের মানদণ্ড আরও কঠোর করার চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অন্যায্যভাবে বহু দেশের মানুষের ভ্রমণের সুযোগ সীমিত করছে বলে মনে করছেন সমালোচকেরা।
থ্যাংকসগিভিং ছুটির শেষ দিকে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সেনাকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন এক আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তারের পর প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা আরও সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিয়েছিল।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, যেসব ব্যক্তির আগে থেকেই বৈধ ভিসা আছে, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা কিংবা যাঁদের ভিসার ধরন কূটনীতিক বা ক্রীড়াবিদদের মতো বিশেষ শ্রেণিভুক্ত, তাঁরা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন। এ ছাড়া যাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ দেশটির স্বার্থে প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হবে, তাঁরাও ছাড় পাবেন। এসব পরিবর্তন আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। পাশাপাশি আরও সাতটি দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এই সিদ্ধান্ত তাঁর প্রথম মেয়াদের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিকে পুনরুজ্জীবিত করে।
সে সময় নিষেধাজ্ঞা তালিকায় ছিল আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। একই সঙ্গে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের ওপর বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রিপাবলিকান প্রশাসন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা আরও বাড়ানো হচ্ছে। নতুন করে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়া।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা ভ্রমণ নথি বহনকারীদের ওপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এটি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা। উল্লেখ্য, দক্ষিণ সুদানের নাগরিকেরা আগেই উল্লেখযোগ্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মুখে ছিলেন।
এ ছাড়া আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ১৫টি দেশ যুক্ত করা হচ্ছে। দেশগুলো হলো অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বেনিন, আইভরি কোস্ট, ডোমিনিকা, গ্যাবন, গাম্বিয়া, মালাউই, মৌরিতানিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, তানজানিয়া, টোঙ্গা, জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাওয়া দর্শনার্থী ও সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আগ্রহী, উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
ঘোষণায় ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, যেসব দেশ থেকে ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে, সেসব দেশে ‘ব্যাপক দুর্নীতি, জাল বা অনির্ভরযোগ্য নাগরিক নথি এবং অপরাধসংক্রান্ত রেকর্ড’ রয়েছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য নাগরিকদের যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া কিছু দেশে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করার হার বেশি বলে উল্লেখ করা হয়। আবার যুক্তরাষ্ট্র যাদের ফেরত পাঠাতে চায়, তাদের নিজ দেশে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর ঘটনাও আছে। কোনো কোনো দেশে সামগ্রিক স্থিতিশীলতা ও সরকারি নিয়ন্ত্রণের ঘাটতিও রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এসব কারণেই যাচাই প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়ে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। পাশাপাশি অভিবাসন আইন প্রয়োগ, পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কথাও এই সিদ্ধান্তের পেছনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘোষণার পর আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দশকব্যাপী যুদ্ধে সহায়তা করা আফগান নাগরিকদের পক্ষে কাজ করা সংগঠনগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হালনাগাদ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় বিশেষ অভিবাসী ভিসা (এসআইভি) পাওয়ার যোগ্য আফগানদের জন্য থাকা আগের ছাড় আর নেই। এই বিশেষ ভিসা মূলত সেই আফগানদের জন্য, যারা নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধপ্রচেষ্টায় ঘনিষ্ঠভাবে সহায়তা করেছিলেন।
বিশেষ অভিবাসী ভিসা কর্মসূচির পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা সংস্থা ‘নো ওয়ান লেফট বিহাইন্ড’ এই পরিবর্তন নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানায়, তারা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে প্রেসিডেন্টের অঙ্গীকারকে সম্মান করে। তবে ব্যাপক যাচাই-বাছাইয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা আফগানদের দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাকেই আরও শক্তিশালী করে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, যাচাই প্রক্রিয়ার অসংগতি পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে এই নীতিগত পরিবর্তন আনা হলেও এর ফলে অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি গোষ্ঠী সীমাবদ্ধতার মুখে পড়ছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠোরভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। এরা সেই যুদ্ধকালীন মিত্র, যাদেরই লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়—যে হুমকি মোকাবিলার কথা এই ঘোষণায় বলা হয়েছে।
নিষিদ্ধ বা সীমিত ভ্রমণ তালিকায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হওয়া দেশগুলো মঙ্গলবার গভীর রাতে জানায়, তারা ঘোষণাটি পর্যালোচনা করছে। ক্যারিবীয় সাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ডোমিনিকার সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, বিষয়টিকে তারা ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও জরুরি বিবেচনায়’ দেখছে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার অর্থ কী এবং সম্ভাব্য সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়, তা স্পষ্ট করতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার রাষ্ট্রদূত রোনাল্ড সন্ডার্স বলেন, বিষয়টি ‘খুবই গুরুতর’। নতুন বিধিনিষেধ নিয়ে আরও তথ্য জানতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন আগে আংশিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কিছু দেশের ওপর বিধিনিষেধ আরও কঠোর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে লাওস ও সিয়েরা লিওন। তবে এক ক্ষেত্রে তুর্কমেনিস্তানের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে সেখানকার নাগরিকদের ওপর কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত জুনে ঘোষিত আগের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অন্যান্য সব বিধান আগের মতোই বহাল থাকবে।
ফিলিস্তিনিদের ওপর নতুন এই নিষেধাজ্ঞা এমন এক সময় এলো, যখন কয়েক মাস আগেই ট্রাম্প প্রশাসন এমন বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, যার ফলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পাসপোর্টধারীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা, কাজ, বিনোদন বা শিক্ষার উদ্দেশ্যে ভ্রমণের নথি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। মঙ্গলবারের ঘোষণায় সেই সীমাবদ্ধতা আরও বাড়ানো হলো। এতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পাসপোর্টধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে অভিবাসনের পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবারের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রশাসন জানায়, পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত কয়েকটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম চালায়। এসব গোষ্ঠীর হাতে মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি করা হয়।
এ ছাড়া ওই সব এলাকায় সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে যাচাই ও স্ক্রিনিং সক্ষমতা ‘ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে’ বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অভিবাসনে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা বড় হয়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ও আরও পাঁচটি দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, নতুন ঘোষণায় আরও পাঁচটি দেশকে যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা নথিতে ভ্রমণকারীদেরও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ১৫টি দেশের ক্ষেত্রে নতুন করে ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে।
প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের মানদণ্ড আরও কঠোর করার চলমান উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অন্যায্যভাবে বহু দেশের মানুষের ভ্রমণের সুযোগ সীমিত করছে বলে মনে করছেন সমালোচকেরা।
থ্যাংকসগিভিং ছুটির শেষ দিকে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সেনাকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন এক আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তারের পর প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা আরও সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিয়েছিল।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, যেসব ব্যক্তির আগে থেকেই বৈধ ভিসা আছে, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা কিংবা যাঁদের ভিসার ধরন কূটনীতিক বা ক্রীড়াবিদদের মতো বিশেষ শ্রেণিভুক্ত, তাঁরা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন। এ ছাড়া যাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ দেশটির স্বার্থে প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হবে, তাঁরাও ছাড় পাবেন। এসব পরিবর্তন আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। পাশাপাশি আরও সাতটি দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এই সিদ্ধান্ত তাঁর প্রথম মেয়াদের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিকে পুনরুজ্জীবিত করে।
সে সময় নিষেধাজ্ঞা তালিকায় ছিল আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। একই সঙ্গে বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের ওপর বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রিপাবলিকান প্রশাসন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা আরও বাড়ানো হচ্ছে। নতুন করে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়া।
এ ছাড়া ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা ভ্রমণ নথি বহনকারীদের ওপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এটি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা। উল্লেখ্য, দক্ষিণ সুদানের নাগরিকেরা আগেই উল্লেখযোগ্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মুখে ছিলেন।
এ ছাড়া আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ১৫টি দেশ যুক্ত করা হচ্ছে। দেশগুলো হলো অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডা, বেনিন, আইভরি কোস্ট, ডোমিনিকা, গ্যাবন, গাম্বিয়া, মালাউই, মৌরিতানিয়া, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, তানজানিয়া, টোঙ্গা, জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ে।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাওয়া দর্শনার্থী ও সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে আগ্রহী, উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
ঘোষণায় ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, যেসব দেশ থেকে ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে, সেসব দেশে ‘ব্যাপক দুর্নীতি, জাল বা অনির্ভরযোগ্য নাগরিক নথি এবং অপরাধসংক্রান্ত রেকর্ড’ রয়েছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য নাগরিকদের যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া কিছু দেশে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করার হার বেশি বলে উল্লেখ করা হয়। আবার যুক্তরাষ্ট্র যাদের ফেরত পাঠাতে চায়, তাদের নিজ দেশে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর ঘটনাও আছে। কোনো কোনো দেশে সামগ্রিক স্থিতিশীলতা ও সরকারি নিয়ন্ত্রণের ঘাটতিও রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এসব কারণেই যাচাই প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়ে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। পাশাপাশি অভিবাসন আইন প্রয়োগ, পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কথাও এই সিদ্ধান্তের পেছনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘোষণার পর আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দশকব্যাপী যুদ্ধে সহায়তা করা আফগান নাগরিকদের পক্ষে কাজ করা সংগঠনগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হালনাগাদ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় বিশেষ অভিবাসী ভিসা (এসআইভি) পাওয়ার যোগ্য আফগানদের জন্য থাকা আগের ছাড় আর নেই। এই বিশেষ ভিসা মূলত সেই আফগানদের জন্য, যারা নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধপ্রচেষ্টায় ঘনিষ্ঠভাবে সহায়তা করেছিলেন।
বিশেষ অভিবাসী ভিসা কর্মসূচির পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা সংস্থা ‘নো ওয়ান লেফট বিহাইন্ড’ এই পরিবর্তন নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানায়, তারা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে প্রেসিডেন্টের অঙ্গীকারকে সম্মান করে। তবে ব্যাপক যাচাই-বাছাইয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা আফগানদের দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাকেই আরও শক্তিশালী করে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, যাচাই প্রক্রিয়ার অসংগতি পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে এই নীতিগত পরিবর্তন আনা হলেও এর ফলে অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি গোষ্ঠী সীমাবদ্ধতার মুখে পড়ছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠোরভাবে যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। এরা সেই যুদ্ধকালীন মিত্র, যাদেরই লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়—যে হুমকি মোকাবিলার কথা এই ঘোষণায় বলা হয়েছে।
নিষিদ্ধ বা সীমিত ভ্রমণ তালিকায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হওয়া দেশগুলো মঙ্গলবার গভীর রাতে জানায়, তারা ঘোষণাটি পর্যালোচনা করছে। ক্যারিবীয় সাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ডোমিনিকার সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, বিষয়টিকে তারা ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও জরুরি বিবেচনায়’ দেখছে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার অর্থ কী এবং সম্ভাব্য সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়, তা স্পষ্ট করতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার রাষ্ট্রদূত রোনাল্ড সন্ডার্স বলেন, বিষয়টি ‘খুবই গুরুতর’। নতুন বিধিনিষেধ নিয়ে আরও তথ্য জানতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন আগে আংশিক নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কিছু দেশের ওপর বিধিনিষেধ আরও কঠোর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে লাওস ও সিয়েরা লিওন। তবে এক ক্ষেত্রে তুর্কমেনিস্তানের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে সেখানকার নাগরিকদের ওপর কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত জুনে ঘোষিত আগের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অন্যান্য সব বিধান আগের মতোই বহাল থাকবে।
ফিলিস্তিনিদের ওপর নতুন এই নিষেধাজ্ঞা এমন এক সময় এলো, যখন কয়েক মাস আগেই ট্রাম্প প্রশাসন এমন বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, যার ফলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পাসপোর্টধারীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা, কাজ, বিনোদন বা শিক্ষার উদ্দেশ্যে ভ্রমণের নথি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। মঙ্গলবারের ঘোষণায় সেই সীমাবদ্ধতা আরও বাড়ানো হলো। এতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পাসপোর্টধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে অভিবাসনের পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবারের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রশাসন জানায়, পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত কয়েকটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম চালায়। এসব গোষ্ঠীর হাতে মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি করা হয়।
এ ছাড়া ওই সব এলাকায় সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে যাচাই ও স্ক্রিনিং সক্ষমতা ‘ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে’ বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত দ্রুত তীব্র হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে তড়িঘড়ি ওয়াশিংটনে ফিরেছেন। এর আগে, তিনি ইরানিদের তাদের রাজধানী তেহরান ‘অবিলম্বে খালি করার’ এক আশঙ্কাজনক সতর্কবার্তা জারি করেন।
১৭ জুন ২০২৫
সনদ নিতে আসা এক নারী চিকিৎসকের মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে এই বিতর্কে নীতীশের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা। পরে এ বিষয়ে ব
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
১৪ ঘণ্টা আগে
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে দেওয়া তাঁর ভাষণ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত’ করে প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে সম্প্রচার করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানি ও বাণিজ্যিক আচরণবিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। ক্ষতিপূরণ দাবির অঙ্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই অঙ্ক ৫ বিলিয়ন ডলার বলা হলেও, ট্রাম্পের আইনজীবীদের সাম্প্রতিক নথি ও ব্রিফিং অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবি ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে (১৬ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, কথিত প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের ভাষণের দুটি ভিন্ন অংশ সম্পাদনার মাধ্যমে একত্রে দেখানো হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব... এবং আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আমরা লড়াই করব, দারুণভাবে লড়াই করব।’ তবে বাস্তবে এই দুটি বক্তব্য ভাষণের মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল।
বিবিসি স্বীকার করেছে, এই সম্পাদনার ফলে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে যে, ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ জন্য তারা গত মাসে দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, মানহানির অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
বিবিসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আগেও যেমন বলা হয়েছে, আমরা এই মামলার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করব।’ চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তারা বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, ডকুমেন্টারিটি যুক্তরাজ্যের বাইরে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রচার না হলেও ভিপিএন বা ব্রিটবক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের, বিশেষ করে ফ্লোরিডার দর্শকেরা এটি দেখতে পারেন। বিবিসি এসব অভিযোগের বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি বিবিসির নিজস্ব আইনি বিষয়। একই সঙ্গে তারা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসির ভূমিকার ওপর আস্থার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা জেতা কঠিন হলেও এই মামলা বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে দেওয়া তাঁর ভাষণ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত’ করে প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে সম্প্রচার করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানি ও বাণিজ্যিক আচরণবিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। ক্ষতিপূরণ দাবির অঙ্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই অঙ্ক ৫ বিলিয়ন ডলার বলা হলেও, ট্রাম্পের আইনজীবীদের সাম্প্রতিক নথি ও ব্রিফিং অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবি ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে (১৬ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, কথিত প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের ভাষণের দুটি ভিন্ন অংশ সম্পাদনার মাধ্যমে একত্রে দেখানো হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব... এবং আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আমরা লড়াই করব, দারুণভাবে লড়াই করব।’ তবে বাস্তবে এই দুটি বক্তব্য ভাষণের মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল।
বিবিসি স্বীকার করেছে, এই সম্পাদনার ফলে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে যে, ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ জন্য তারা গত মাসে দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, মানহানির অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
বিবিসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আগেও যেমন বলা হয়েছে, আমরা এই মামলার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করব।’ চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তারা বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, ডকুমেন্টারিটি যুক্তরাজ্যের বাইরে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রচার না হলেও ভিপিএন বা ব্রিটবক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের, বিশেষ করে ফ্লোরিডার দর্শকেরা এটি দেখতে পারেন। বিবিসি এসব অভিযোগের বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি বিবিসির নিজস্ব আইনি বিষয়। একই সঙ্গে তারা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসির ভূমিকার ওপর আস্থার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা জেতা কঠিন হলেও এই মামলা বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত দ্রুত তীব্র হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে তড়িঘড়ি ওয়াশিংটনে ফিরেছেন। এর আগে, তিনি ইরানিদের তাদের রাজধানী তেহরান ‘অবিলম্বে খালি করার’ এক আশঙ্কাজনক সতর্কবার্তা জারি করেন।
১৭ জুন ২০২৫
সনদ নিতে আসা এক নারী চিকিৎসকের মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে এই বিতর্কে নীতীশের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা। পরে এ বিষয়ে ব
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অভিবাসনে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা বড় হয়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ও আরও পাঁচটি দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগে
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
সরকারি অনুষ্ঠানে নারী চিকিৎসকের মুখ থেকে নিকাব টেনে খোলার ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছে বিরোধী দলগুলো।
এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করে কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগের দাবি করেছে।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নীতীশের কড়া সমালোচনা করে বিরোধী দল আরজেডি এক বিবৃতিতে বলেছে, পর্দা করা মুসলিম নারীর নিকাব খুলে ফেলে জেডিও এবং বিজেপি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে কী রাজনীতি করছে, সেটি প্রকাশ করে দিয়েছে।
আরজেডি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লিখেছে, ‘নীতীশজির কী হয়েছে? তাঁর মানসিক অবস্থা এখন করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
সরকারি অনুষ্ঠানে নারী চিকিৎসকের মুখ থেকে নিকাব টেনে খোলার ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছে বিরোধী দলগুলো।
এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করে কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগের দাবি করেছে।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নীতীশের কড়া সমালোচনা করে বিরোধী দল আরজেডি এক বিবৃতিতে বলেছে, পর্দা করা মুসলিম নারীর নিকাব খুলে ফেলে জেডিও এবং বিজেপি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে কী রাজনীতি করছে, সেটি প্রকাশ করে দিয়েছে।
আরজেডি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লিখেছে, ‘নীতীশজির কী হয়েছে? তাঁর মানসিক অবস্থা এখন করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত দ্রুত তীব্র হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন থেকে তড়িঘড়ি ওয়াশিংটনে ফিরেছেন। এর আগে, তিনি ইরানিদের তাদের রাজধানী তেহরান ‘অবিলম্বে খালি করার’ এক আশঙ্কাজনক সতর্কবার্তা জারি করেন।
১৭ জুন ২০২৫
সনদ নিতে আসা এক নারী চিকিৎসকের মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে এই বিতর্কে নীতীশের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা। পরে এ বিষয়ে ব
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ও অভিবাসনে নিষিদ্ধ দেশের তালিকা বড় হয়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ও আরও পাঁচটি দেশের ওপর পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
১৪ ঘণ্টা আগে