আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী। তাঁর শিল্পকর্মের বিষয়বস্তু সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য। এরই মধ্যে তাঁর বহু শিল্পকর্ম প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে। প্রদর্শিত হয়েছে লন্ডনের টেট মডার্ন জাদুঘরেও।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারিতে জোহরান মামদানির প্রচারাভিযানে খুব কমই প্রকাশ্যে এসেছেন স্ত্রী রামা দুওয়াজি। স্ত্রীর অনুপস্থিতিকেও মামদানির বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা। তাদের দাবি ছিল—ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীকে আড়ালে রাখছেন ৩৩ বছর বয়সী মামদানি। বিষয়টি বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনপ্রার্থীরা পারিবারিক মূল্যবোধ দেখাতে প্রায়ই স্ত্রী-সন্তানদের প্রকাশ্যে আনেন।

স্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে চলা সমালোচনার জবাবে মামদানি গত মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। নিউইয়র্ক সিটির ক্লার্ক অফিসে তাঁদের বিয়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আপনি যদি আজ বা যেকোনো দিন টুইটার দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন রাজনীতি কতটা নির্মম হতে পারে। সাধারণত এসব আমি উপেক্ষা করি—প্রাণনাশের হুমকি থেকে শুরু করে আমাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মতো হুমকিও উপেক্ষা করি। কিন্তু যখন প্রিয় মানুষদের নিয়ে টানাটানি শুরু হয়, তখন বিষয়টা আলাদা। আমার মতাদর্শ নিয়ে আপনি সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু আমার পরিবার নিয়ে নয়।’

নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রামা দুওয়াজি নিজেও ইনস্টাগ্রামে বিয়ের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘এর চেয়ে বেশি গর্বিত হওয়ার উপায় নেই!’
ডেটিং অ্যাপ হিঞ্জে প্রথম পরিচয় হয় মামদানি-দুওয়াজির। গত সপ্তাহে বুলওয়ার্কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বলতে গিয়ে মামদানি রসিকতা করে বলেন, ‘এখনো ডেটিং অ্যাপগুলোতে কিছুটা আশার আলো আছে!’ মামদানির নির্বাচনী প্রচার শিবির জানিয়েছে, গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন মামদানি এবং দুওয়াজি।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন রামা দুওয়াজি। তিনি ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে, নিউইয়র্ক সিটির স্কুল অব ভিজুয়াল আর্টস থেকে ইলাস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। দুওয়াজির ওয়েবসাইটে তাঁর কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘স্থিরচিত্র এবং অ্যানিমেশনের মাধ্যমে নারী সংহতি এবং সামষ্টিক অভিজ্ঞতার সূক্ষ্ম ভেদ অনুসন্ধান করেন রামা।’
রামা দুওয়াজির শিল্পকর্মের মূল উপজীব্য আরব বিশ্ব। তাঁর অধিকাংশ কাজ সাদাকালো। এক ইয়েমেনি রাজনীতিকের মৃত্যু নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র ‘হু কিলড মাই গ্র্যান্ডফাদার’-এ স্থান পেয়েছে দুওয়াজির শিল্পকর্ম। ২০২২ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস নির্মাণ করে প্রামাণ্যচিত্রটি।

দুওয়াজির ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা স্পষ্ট। তাঁর বিভিন্ন শিল্পকর্মের মধ্যে ফুটে উঠেছে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনেরও তীব্র নিন্দা। এ ছাড়া, সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলের পক্ষেও বেশ কিছু শিল্পকর্ম প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফিলিস্তিন ইস্যুসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াইইউএনজি নামে একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলব না, নিউইয়র্কে এখন সময়টা বেশ গুমোট। আমি আমার বন্ধু ও পরিবারের জন্য চিন্তিত, সবকিছুই কেমন যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, দেশছাড়া করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমি যা করতে পারি, তা হলো আমার শিল্পকর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিস্তিন আর সিরিয়ায় যা ঘটছে, তা যতটা সম্ভব তুলে ধরতে পারি।’
সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে শিল্পীদের কথা বলার দায় আছে কিনা। জবাবে তিনি সংগীতশিল্পী নিনা সিমোনকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘যতদূর আমি জানি, একজন শিল্পীর দায় হলো তাঁর শিল্পকর্মে সময়ের প্রতিফলন ঘটানো।’
রামা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা সবার দায়িত্ব। আর সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অসাধারণ শক্তি শিল্পের রয়েছে। আমি বলছি না সবাইকে রাজনীতিনির্ভর শিল্পই করতে হবে, কিন্তু শিল্প যেভাবে তৈরি হয়, যেভাবে অর্থায়ন ও প্রচার হয়—সবকিছুই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি আমরা আতঙ্ক থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য যে শিল্প করি, সেটিও রাজনৈতিকই। কারণ সেটিও আমাদের সময় ও বাস্তবতার প্রতিক্রিয়া।’

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী। তাঁর শিল্পকর্মের বিষয়বস্তু সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য। এরই মধ্যে তাঁর বহু শিল্পকর্ম প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে। প্রদর্শিত হয়েছে লন্ডনের টেট মডার্ন জাদুঘরেও।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারিতে জোহরান মামদানির প্রচারাভিযানে খুব কমই প্রকাশ্যে এসেছেন স্ত্রী রামা দুওয়াজি। স্ত্রীর অনুপস্থিতিকেও মামদানির বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা। তাদের দাবি ছিল—ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীকে আড়ালে রাখছেন ৩৩ বছর বয়সী মামদানি। বিষয়টি বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনপ্রার্থীরা পারিবারিক মূল্যবোধ দেখাতে প্রায়ই স্ত্রী-সন্তানদের প্রকাশ্যে আনেন।

স্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে চলা সমালোচনার জবাবে মামদানি গত মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। নিউইয়র্ক সিটির ক্লার্ক অফিসে তাঁদের বিয়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আপনি যদি আজ বা যেকোনো দিন টুইটার দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন রাজনীতি কতটা নির্মম হতে পারে। সাধারণত এসব আমি উপেক্ষা করি—প্রাণনাশের হুমকি থেকে শুরু করে আমাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মতো হুমকিও উপেক্ষা করি। কিন্তু যখন প্রিয় মানুষদের নিয়ে টানাটানি শুরু হয়, তখন বিষয়টা আলাদা। আমার মতাদর্শ নিয়ে আপনি সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু আমার পরিবার নিয়ে নয়।’

নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রামা দুওয়াজি নিজেও ইনস্টাগ্রামে বিয়ের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘এর চেয়ে বেশি গর্বিত হওয়ার উপায় নেই!’
ডেটিং অ্যাপ হিঞ্জে প্রথম পরিচয় হয় মামদানি-দুওয়াজির। গত সপ্তাহে বুলওয়ার্কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বলতে গিয়ে মামদানি রসিকতা করে বলেন, ‘এখনো ডেটিং অ্যাপগুলোতে কিছুটা আশার আলো আছে!’ মামদানির নির্বাচনী প্রচার শিবির জানিয়েছে, গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন মামদানি এবং দুওয়াজি।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন রামা দুওয়াজি। তিনি ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে, নিউইয়র্ক সিটির স্কুল অব ভিজুয়াল আর্টস থেকে ইলাস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। দুওয়াজির ওয়েবসাইটে তাঁর কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘স্থিরচিত্র এবং অ্যানিমেশনের মাধ্যমে নারী সংহতি এবং সামষ্টিক অভিজ্ঞতার সূক্ষ্ম ভেদ অনুসন্ধান করেন রামা।’
রামা দুওয়াজির শিল্পকর্মের মূল উপজীব্য আরব বিশ্ব। তাঁর অধিকাংশ কাজ সাদাকালো। এক ইয়েমেনি রাজনীতিকের মৃত্যু নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র ‘হু কিলড মাই গ্র্যান্ডফাদার’-এ স্থান পেয়েছে দুওয়াজির শিল্পকর্ম। ২০২২ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস নির্মাণ করে প্রামাণ্যচিত্রটি।

দুওয়াজির ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা স্পষ্ট। তাঁর বিভিন্ন শিল্পকর্মের মধ্যে ফুটে উঠেছে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনেরও তীব্র নিন্দা। এ ছাড়া, সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলের পক্ষেও বেশ কিছু শিল্পকর্ম প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফিলিস্তিন ইস্যুসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াইইউএনজি নামে একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলব না, নিউইয়র্কে এখন সময়টা বেশ গুমোট। আমি আমার বন্ধু ও পরিবারের জন্য চিন্তিত, সবকিছুই কেমন যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, দেশছাড়া করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমি যা করতে পারি, তা হলো আমার শিল্পকর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিস্তিন আর সিরিয়ায় যা ঘটছে, তা যতটা সম্ভব তুলে ধরতে পারি।’
সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে শিল্পীদের কথা বলার দায় আছে কিনা। জবাবে তিনি সংগীতশিল্পী নিনা সিমোনকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘যতদূর আমি জানি, একজন শিল্পীর দায় হলো তাঁর শিল্পকর্মে সময়ের প্রতিফলন ঘটানো।’
রামা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা সবার দায়িত্ব। আর সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অসাধারণ শক্তি শিল্পের রয়েছে। আমি বলছি না সবাইকে রাজনীতিনির্ভর শিল্পই করতে হবে, কিন্তু শিল্প যেভাবে তৈরি হয়, যেভাবে অর্থায়ন ও প্রচার হয়—সবকিছুই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি আমরা আতঙ্ক থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য যে শিল্প করি, সেটিও রাজনৈতিকই। কারণ সেটিও আমাদের সময় ও বাস্তবতার প্রতিক্রিয়া।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী। তাঁর শিল্পকর্মের বিষয়বস্তু সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য। এরই মধ্যে তাঁর বহু শিল্পকর্ম প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে। প্রদর্শিত হয়েছে লন্ডনের টেট মডার্ন জাদুঘরেও।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারিতে জোহরান মামদানির প্রচারাভিযানে খুব কমই প্রকাশ্যে এসেছেন স্ত্রী রামা দুওয়াজি। স্ত্রীর অনুপস্থিতিকেও মামদানির বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা। তাদের দাবি ছিল—ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীকে আড়ালে রাখছেন ৩৩ বছর বয়সী মামদানি। বিষয়টি বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনপ্রার্থীরা পারিবারিক মূল্যবোধ দেখাতে প্রায়ই স্ত্রী-সন্তানদের প্রকাশ্যে আনেন।

স্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে চলা সমালোচনার জবাবে মামদানি গত মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। নিউইয়র্ক সিটির ক্লার্ক অফিসে তাঁদের বিয়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আপনি যদি আজ বা যেকোনো দিন টুইটার দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন রাজনীতি কতটা নির্মম হতে পারে। সাধারণত এসব আমি উপেক্ষা করি—প্রাণনাশের হুমকি থেকে শুরু করে আমাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মতো হুমকিও উপেক্ষা করি। কিন্তু যখন প্রিয় মানুষদের নিয়ে টানাটানি শুরু হয়, তখন বিষয়টা আলাদা। আমার মতাদর্শ নিয়ে আপনি সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু আমার পরিবার নিয়ে নয়।’

নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রামা দুওয়াজি নিজেও ইনস্টাগ্রামে বিয়ের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘এর চেয়ে বেশি গর্বিত হওয়ার উপায় নেই!’
ডেটিং অ্যাপ হিঞ্জে প্রথম পরিচয় হয় মামদানি-দুওয়াজির। গত সপ্তাহে বুলওয়ার্কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বলতে গিয়ে মামদানি রসিকতা করে বলেন, ‘এখনো ডেটিং অ্যাপগুলোতে কিছুটা আশার আলো আছে!’ মামদানির নির্বাচনী প্রচার শিবির জানিয়েছে, গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন মামদানি এবং দুওয়াজি।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন রামা দুওয়াজি। তিনি ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে, নিউইয়র্ক সিটির স্কুল অব ভিজুয়াল আর্টস থেকে ইলাস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। দুওয়াজির ওয়েবসাইটে তাঁর কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘স্থিরচিত্র এবং অ্যানিমেশনের মাধ্যমে নারী সংহতি এবং সামষ্টিক অভিজ্ঞতার সূক্ষ্ম ভেদ অনুসন্ধান করেন রামা।’
রামা দুওয়াজির শিল্পকর্মের মূল উপজীব্য আরব বিশ্ব। তাঁর অধিকাংশ কাজ সাদাকালো। এক ইয়েমেনি রাজনীতিকের মৃত্যু নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র ‘হু কিলড মাই গ্র্যান্ডফাদার’-এ স্থান পেয়েছে দুওয়াজির শিল্পকর্ম। ২০২২ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস নির্মাণ করে প্রামাণ্যচিত্রটি।

দুওয়াজির ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা স্পষ্ট। তাঁর বিভিন্ন শিল্পকর্মের মধ্যে ফুটে উঠেছে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনেরও তীব্র নিন্দা। এ ছাড়া, সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলের পক্ষেও বেশ কিছু শিল্পকর্ম প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফিলিস্তিন ইস্যুসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াইইউএনজি নামে একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলব না, নিউইয়র্কে এখন সময়টা বেশ গুমোট। আমি আমার বন্ধু ও পরিবারের জন্য চিন্তিত, সবকিছুই কেমন যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, দেশছাড়া করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমি যা করতে পারি, তা হলো আমার শিল্পকর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিস্তিন আর সিরিয়ায় যা ঘটছে, তা যতটা সম্ভব তুলে ধরতে পারি।’
সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে শিল্পীদের কথা বলার দায় আছে কিনা। জবাবে তিনি সংগীতশিল্পী নিনা সিমোনকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘যতদূর আমি জানি, একজন শিল্পীর দায় হলো তাঁর শিল্পকর্মে সময়ের প্রতিফলন ঘটানো।’
রামা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা সবার দায়িত্ব। আর সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অসাধারণ শক্তি শিল্পের রয়েছে। আমি বলছি না সবাইকে রাজনীতিনির্ভর শিল্পই করতে হবে, কিন্তু শিল্প যেভাবে তৈরি হয়, যেভাবে অর্থায়ন ও প্রচার হয়—সবকিছুই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি আমরা আতঙ্ক থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য যে শিল্প করি, সেটিও রাজনৈতিকই। কারণ সেটিও আমাদের সময় ও বাস্তবতার প্রতিক্রিয়া।’

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী। তাঁর শিল্পকর্মের বিষয়বস্তু সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য। এরই মধ্যে তাঁর বহু শিল্পকর্ম প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে। প্রদর্শিত হয়েছে লন্ডনের টেট মডার্ন জাদুঘরেও।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারিতে জোহরান মামদানির প্রচারাভিযানে খুব কমই প্রকাশ্যে এসেছেন স্ত্রী রামা দুওয়াজি। স্ত্রীর অনুপস্থিতিকেও মামদানির বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা। তাদের দাবি ছিল—ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীকে আড়ালে রাখছেন ৩৩ বছর বয়সী মামদানি। বিষয়টি বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনপ্রার্থীরা পারিবারিক মূল্যবোধ দেখাতে প্রায়ই স্ত্রী-সন্তানদের প্রকাশ্যে আনেন।

স্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে চলা সমালোচনার জবাবে মামদানি গত মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। নিউইয়র্ক সিটির ক্লার্ক অফিসে তাঁদের বিয়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আপনি যদি আজ বা যেকোনো দিন টুইটার দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন রাজনীতি কতটা নির্মম হতে পারে। সাধারণত এসব আমি উপেক্ষা করি—প্রাণনাশের হুমকি থেকে শুরু করে আমাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মতো হুমকিও উপেক্ষা করি। কিন্তু যখন প্রিয় মানুষদের নিয়ে টানাটানি শুরু হয়, তখন বিষয়টা আলাদা। আমার মতাদর্শ নিয়ে আপনি সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু আমার পরিবার নিয়ে নয়।’

নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রামা দুওয়াজি নিজেও ইনস্টাগ্রামে বিয়ের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘এর চেয়ে বেশি গর্বিত হওয়ার উপায় নেই!’
ডেটিং অ্যাপ হিঞ্জে প্রথম পরিচয় হয় মামদানি-দুওয়াজির। গত সপ্তাহে বুলওয়ার্কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বলতে গিয়ে মামদানি রসিকতা করে বলেন, ‘এখনো ডেটিং অ্যাপগুলোতে কিছুটা আশার আলো আছে!’ মামদানির নির্বাচনী প্রচার শিবির জানিয়েছে, গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন মামদানি এবং দুওয়াজি।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন রামা দুওয়াজি। তিনি ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে, নিউইয়র্ক সিটির স্কুল অব ভিজুয়াল আর্টস থেকে ইলাস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। দুওয়াজির ওয়েবসাইটে তাঁর কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘স্থিরচিত্র এবং অ্যানিমেশনের মাধ্যমে নারী সংহতি এবং সামষ্টিক অভিজ্ঞতার সূক্ষ্ম ভেদ অনুসন্ধান করেন রামা।’
রামা দুওয়াজির শিল্পকর্মের মূল উপজীব্য আরব বিশ্ব। তাঁর অধিকাংশ কাজ সাদাকালো। এক ইয়েমেনি রাজনীতিকের মৃত্যু নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র ‘হু কিলড মাই গ্র্যান্ডফাদার’-এ স্থান পেয়েছে দুওয়াজির শিল্পকর্ম। ২০২২ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস নির্মাণ করে প্রামাণ্যচিত্রটি।

দুওয়াজির ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা স্পষ্ট। তাঁর বিভিন্ন শিল্পকর্মের মধ্যে ফুটে উঠেছে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনেরও তীব্র নিন্দা। এ ছাড়া, সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলের পক্ষেও বেশ কিছু শিল্পকর্ম প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফিলিস্তিন ইস্যুসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াইইউএনজি নামে একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলব না, নিউইয়র্কে এখন সময়টা বেশ গুমোট। আমি আমার বন্ধু ও পরিবারের জন্য চিন্তিত, সবকিছুই কেমন যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, দেশছাড়া করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমি যা করতে পারি, তা হলো আমার শিল্পকর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিস্তিন আর সিরিয়ায় যা ঘটছে, তা যতটা সম্ভব তুলে ধরতে পারি।’
সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে শিল্পীদের কথা বলার দায় আছে কিনা। জবাবে তিনি সংগীতশিল্পী নিনা সিমোনকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘যতদূর আমি জানি, একজন শিল্পীর দায় হলো তাঁর শিল্পকর্মে সময়ের প্রতিফলন ঘটানো।’
রামা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা সবার দায়িত্ব। আর সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অসাধারণ শক্তি শিল্পের রয়েছে। আমি বলছি না সবাইকে রাজনীতিনির্ভর শিল্পই করতে হবে, কিন্তু শিল্প যেভাবে তৈরি হয়, যেভাবে অর্থায়ন ও প্রচার হয়—সবকিছুই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি আমরা আতঙ্ক থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য যে শিল্প করি, সেটিও রাজনৈতিকই। কারণ সেটিও আমাদের সময় ও বাস্তবতার প্রতিক্রিয়া।’

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী।
২৭ জুন ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী।
২৭ জুন ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী।
২৭ জুন ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী।
২৭ জুন ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে